সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

স্বাস্থ্যকর ১০ বর্ষাকালীন স্ন্যাকস

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর ১০ বর্ষাকালীন স্ন্যাকস
প্রচণ্ড গ্রীষ্মের পর বর্ষার আগমন মানে সুখসময়। ভেজা ঋতুর আগমনে জিভও চায় ক্রাঞ্চি টেস্ট। মসলা চায়ে চুমুক আর এক বাটি ফ্রাইড স্ন্যাকস নিয়ে জানালায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে জম্পেশ লাগে। বর্ষার সময় ডুবো তেলে ভাজা স্ন্যাকসগুলো বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু যদি স্বাস্থ্য আর বর্ষা উপভোগ দুটোই ঠিক রাখতে চান তাহলে বর্ষার স্ন্যাকসগুলোর পরিবর্তণ আনতে পারেন। দেখে ফেলা যাক বর্ষা মৌসুমের কিছু সহজ ও ইয়াম্মি স্ন্যাকস আইডিয়া –

রোস্টেড সয়া আমন্ড
এক কাপ আমন্ড দুই চা-চামচ তামারিতে (প্রাকৃতিকভাবে জারিত সয়াসস) ঝাঁকিয়ে নিন। একটি অয়েলড বেকিং সিটে রেখে একশো ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রোস্ট করুন। মাঝে মধ্যে নেড়ে দিন। সোনালী রঙ আসা পর্যন্ত ১০-১৫ মিনিট এভাবে রোস্ট করুন। খুব সহজে তৈরি স্ন্যাকসটি উচ্চ প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ।

সি-সল্ট পপকর্ন উইথ সুপার সিডস
একটি পাত্রে দুই কাপ পপকর্ন ১/২ চা-চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে ওলট-পালট করে নিন। আধ চা-চামচ সি-সল্ট ও এক টেবিলচামচ টোস্ট করা সূর্যমুখীর বীজ পপকর্নের পাত্রে যোগ করুন। এবার এয়ারটাইট জারে ভরে ব্যাগে রেখে দিন। পথে-ঘাটে বর্ষাকালীন ক্ষুধার মেটাতে মন্দ হবে না!

চিলি স্প্রেড পামপকিন সিডস
এক কাপ কুমড়ার বিচির সঙ্গে দুই চা-চামচ অলিভ অয়েল, ১/২ চা-চামচ চিলি পাউডার  ও ১/৪ চা-চামচ সি-সল্ট মেশান। ৮-১০ মিনিট নেড়ে মচমচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। রাতে ঘুম না পেলে ক্রিসপি এ স্ন্যাকস পট বের করে চিবাতে শুরু করুন। এতে রয়েছে ট্রিপটোফেন। যা শরীর সেরোটোনিনে রূপান্তর করে। যা পরে ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনে রূপান্তর হয়।

আপেল স্যান্ডুইচ
কাটার দিয়ে আস্ত আপেলের উপরে বোঁটার অংশ থেকে নিচ পর্যন্ত মাঝের বিচির অংশটা বের করে আনুন। আপেলের শেপ ঠিকই থাকবে, শুধু মাঝের বিচির অংশ গোল হয়ে বেরিয়ে আসবে। এবার আড়াআড়িভাবে আপেলটি মোটা মোটা স্ল‍াইস করুন। একটি স্লাইসের উপর পিনাট বাটার ল‍াগান। চাইলে দারুচিনি ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার আরেকটি স্লাইস বসিয়ে চেখে দেখুন।

স‍ুইট পটেটো স্ট্রিপস
একটি মিষ্টি আলু দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পাতলা করে কাটুন। দুই চা-চামচ অলিভ অয়েল মাখিয়ে অয়েলড ননস্টিক বেকিং শিটে রেখে একশো ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ২০ মিনিট রোস্ট করুন। খাওয়ার সময় লবণ ছড়িয়ে দিন। এয়াটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করা যাবে।

ক্রিসপি সেলারি স্টিকস
১/৪ কাপ গ্রিক ইয়োগার্ট দুই টেবিলচামচ টুকরো টুকরো করা ব্লু  চিজের সঙ্গে মেশান। এবার সেলারি স্টিকের ওপর মিশ্রণটি ঢেলে দিন। প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাকসটি যেকোনো সময়ে খেতে পারেন।

টমেটো পিজ্জা
তিনটি মাঝারি সাইজের টমেটো অর্ধেক করে কাটুন। এক টেবিলচামচ পারমিসান চিজ ছড়িয়ে দিন। এবার ১/২ চা-চামচ বালসামিক ভিনেগার ছড়িয়ে এক চা-চামচ পুদিনা কুচি দিয়ে টেস্ট করুন।

চিজ এন্ড ওয়ালনাট স্টাফড ডেট
চারটি খেজুর মাঝখান থেকে ফেড়ে নিন। এক টেবিলচামচ গট চিজ খেজুরগুলোর মাঝখানে ভরে নিন। এবার টপার হিসেবে টোস্টেড আখরোট দিয়ে তৈরি করুন ইয়াম্মি ও পুষ্টিকর বর্ষাকালীন স্ন্যাকস।

গ্রিলড ফ্রুট সালাদ
পিচ, আপেল ও অ‍ানারস কিউব করে কাটুন। এবার লেবুর রস ছড়িয়ে মিক্স করে নিন। কাঠিতে কিউবগুলো গেঁথে ১০ মিনিট গ্রিল করুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

এয়ার ফ্রাইড পেস্তা
আধ কাপ পেস্তা সি-সল্ট দিয়ে এয়ার ফ্রাই করুন। তারপর আর কিছুই না, এক কাপ গরম চা আর এয়‍ার ফ্রাইড পেস্তা নিয়ে জানালার ধারে বসে বৃষ্টি উপভোগ করুন।

কিচেন সিঙ্ক ঝকঝকে রাখতে করণীয়

ranna banna o beauty tips
কিচেন সিঙ্ক ঝকঝকে রাখতে করণীয়
হাড়ি-পাতিল থেকে শুরু করে রান্নাঘরে ব্যবহৃত সবকিছুই কিচেন সিঙ্কে রেখেই পরিষ্কার করা হয়। অর্থাৎ রান্নাঘরের অধিকাংশ ধূলা-বালির ধকল সামলায় সিঙ্ক। দিনের অধিকাংশ সময়েই ভেজা থাকে সেটি। 
পানির সঙ্গে বিভিন্ন ভারি ধাতু এবং ক্ষারীয় রাসায়নিক পদার্থ মিশে থাকায় স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি সিঙ্কে খুব সহজেই ময়লা জমে। যা পরবর্তীতে দাগে পরিণত হয়। নিত্য ব্যবহার্য সিঙ্কে কোনো দাগ পড়ার আগেই সতর্ক হোন। ঝকঝকে রাখতে প্রতিদিনই পরিষ্কার করুন সেটি। 
আপনার রান্নাঘরেই আছে- এমন উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই কিচেন সিঙ্ক পরিষ্কার করা যায়। আর সেই উপাদানটি হলো ভিনেগার। 
রান্নাঘরে থাকা বিভিন্ন পণ্যসহ ঘরের অনেক কিছু পরিষ্কারের কাজে ভালো ফল দেয় ভিনেগার। বিশেষ করে স্টেইনলেস স্টিলের উপর ভারি ধাতু বা ক্ষারীয় পানির প্রভাবে যে দাগ পড়ে- তা দূর করতেও বিশেষভাবে কাজ দেয় এই পণ্যটি। 

কিচেন সিঙ্ক পরিষ্কারে ভিনেগারের ব্যবহার : 
একটি পরিষ্কার কাপড় ভিনেগারে ভিজিয়ে নিন। পুরো সিঙ্কের ওপরটা একবার মুছে দিন। সিঙ্কের যে স্থানে বেশি ময়লা জমেছে- ভিনেগার ভেজা কাপড় দিয়ে সেই স্থানটি ঘণ্টাখানেক ঢেকে রাখুন। এরপর নরম স্পঞ্জ দিয়ে স্ক্রাব করে নিন। ময়লাটা সহজেই উঠে আসবে। এরপরও কিছু ময়লা থাকলে সেখানে ভিনেগারে ভেজানো কাপড়টি আরও ঘণ্টাখানেক দিয়ে রাখুন। 
এরপর আবার স্পঞ্জ দিয়ে স্ক্রাব করে নিন। কখনও নতুন স্পঞ্জ দিয়ে স্ক্রাব করবেন না। এতে স্টিলের ওপর স্ক্র্যাছ পড়তে পারে। সিঙ্ক পরিষ্কারের জন্য সব সময় নরম হয়ে যাওয়া স্পঞ্জ ব্যবহার করবেন। 

কিচেন সিঙ্ক পরিষ্কারের জন্য আরও কিছু টিপস: 
১. ভেজা সিঙ্কের ওপর বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন। এবার ব্রাশ দিয়ে ঘষে সেটাকে পেস্টের মতো ছড়িয়ে দিন। পেপার টাওয়েল ভিনেগারে ভিজিয়ে পুরো সিঙ্ক ঢেকে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সিঙ্ক। 
২. সিঙ্কের ড্রেইনে খাবার আটকে গেলে তা সরাতে বেকিং সোডা এবং ভিনেগার ব্যবহার করা যাবে। আধা কাপ বেকিং সোডা ড্রেইনে ঢেলে দিন। এরপর এক কাপ ভিনেগার ঢালুন। মিনিট দশেক বুদবুদের পর চার কাপ গরম পানি ঢেলে দিন। সিঙ্ক খুলে যাবে। প্রতি মাসে একবার এই কাজটি করলে ড্রেইন পরিষ্কার থাকবে। 
৩. ভিনেগার ও বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কারের পর লেবু বা কমলার খোসা দিয়ে পুরো সিঙ্ক মুছে নিন। এতে মিষ্টি সুগন্ধ ছড়াবে। 
৪. সিঙ্ক ঝকঝকে রাখতে পেপার টাওয়েলে অলিভ অয়েল নিয়ে সিঙ্ক মুছে নিতে পারেন। 

রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬

নিজে তৈরি করে নিন পছন্দমত লিপস্টিক

ranna banna o beauty tips
নিজে তৈরি করে নিন পছন্দমত লিপস্টিক
নারীরা যে সকল কসমেটিকস প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে তার মধ্যে লিপস্টিক অন্যতম। ভার্সিটি বলেন কিংবা অফিস একটু লিপস্টিক এনে দেয় সাজে পূর্ণতা। পোশাকের রং এর সাথে মিলিয়ে সাজে লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। কিন্তু সব সময় কি আর পোশাকের রং এর সাথে মিলিয়ে লিপস্টিক কেনা সম্ভব হয়? হয় না। আবার বাজারের নন-ব্র্যন্ডের লিপস্টিক ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এইবার ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন নিজের পছন্দমত লিপস্টিক। ভাবছেন কীভাবে? খুব সহজে তৈরি করা সম্ভব।

যা যা লাগবে:

১ চা চামচ বিশুদ্ধ মোমের গুঁড়ো (মোমের রং পেন্সিল গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে পারেন)

১ চা চামচ কোকো বাটার বা শিয়া বাটার

১ চা চামচ নারকেল তেল

পছন্দমত রঙ

যেভাবে তৈরি করবেন:

১। প্রথমে একটি ঢাকনা ছাড়া কাঁচের বয়ামে নারকেল তেল, শিয়া বাটার এবং মোম মিশেয়ে নিন।

২। এবার এই কাঁচের বয়ামটি একটি গরম পানি রাখা পাত্রের উপর রাখুন।

৩। সব কয়েকটি উপাদান ভাল করে মিশে গেলে বয়ামটি পানি থেকে সরিয়ে ফেলুন। এরপর আপনার পছন্দমত রং মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪। সব উপাদান মিশে গেলে ড্রপার দিয়ে খালি লিপস্টিকের টিউবে ভরে ফেলুন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কোটায় উপাদানগুলো রেখে দিতে পারেন।

৫। এবার এটি কোন ঠাণ্ডা স্থানে রেখে দিন, যাতে লিপস্টিক গলে না যায়।

পছন্দের রং তৈরি জন্য:

লাল রং এর জন্য:

১/৮ চা চামচ বিটের গুঁড়ো অথবা ১ ফোঁটা লাল ফুড কালার।

ব্রাউন রং এর জন্য:

১/৪ চা চামচ কোকো পাউডার, এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো অথবা হলুদের গুঁড়ো।

ম্যাট টেক্সচারের জন্য:

১/৪ চা চামচ বেনটনিক ক্লে ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া পছন্দমত আইশ্যাডো ব্যবহারে করে তৈরি করে নিতে পারেন যেকোন রং এর লিপস্টিক।

টিপস:

মোমের রং পেন্সিল ব্যবহার করলে বিট বা অন্য রং ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।

ঘরেই তৈরি করুন দোকানের মত পারফেক্ট কোন

ranna banna o beauty tips
ঘরেই তৈরি করুন দোকানের মত পারফেক্ট কোন
আইসক্রিম পার্লারগুলোতে কোন অথবা কাপে আইসক্রিম খেতে দেওয়া হয়। সাধারণত বিস্কুট কোনে আইসক্রিম খেতে দারুন লাগে। অনেকে বাসায় দোকানের মত আইসক্রিম তৈরি করতে পারলেও, কোনটি ঘরে তৈরি করা হয় না কখনও। এবার ঘরেও তৈরি করে নিতে পারবেন আইসক্রিমের কোন! ভাবছেন কীভাবে? জেনে নিন আইসক্রিমের কোন তৈরির সহজ রেসিপিটি। অল্প কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন পারফেক্ট দোকানের মত কোন।

উপকরণ:

২টি বড় ডিমের সাদা অংশ

১/৪ কাপ চিনি

৩ টেবিল চামচ দুধ

১/২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স

এক চিমটি লবণ

২/৩ কাপ ময়দা

২ টেবিল চামচ মাখন

হালকা মিষ্টি চকলেট

বাদাম কুচি

প্রণালী:

১। ডিমের সাদা অংশ, চিনি, দুধ, ভ্যানিলা এসেন্স এবং লবণ ভাল করে ফেটে নিন। এরপর এতে ময়দা এবং মাখন দিয়ে আবার ফাটুন।

২। এবার নন-স্টিক অথবা কাস্ট আয়রনের প্যান চুলায় অল্প আঁচে গরম করতে দিন।

৩। ১ এবং ১/২ টেবিল চামচ ময়দার মিশ্রণটি দিয়ে ছড়িয়ে দিন। দ্রুত এটি গোল আকৃতির আকারে করে ফেলুন।

৪। মাঝারি আঁচে ৪ থেকে ৫ মিনিট এটি রান্না করুন। একপাশ হয়ে গেলে  উল্টিয়ে দিন। অপরপাশ ১-২ মিনিট রাখুন। বেশিক্ষণ চুলায় রাখবেন না এতে বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে।

৫। এবার (ভিডিও অনুযায়ী) হাত দিয়ে কোন আকৃতির করে নিন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত আকৃতি করতে পারেন। খুব বেশি শক্ত করে কোনটি রোল করবেন না, এতে ভেঙ্গে যেতে পারে।

৬। চকলেটের সিরাপে কোনের মুখটি ভিজিয়ে নিয়ে তারপর বাদামকুচি অথবা সুইট বলের ছড়িয়ে দিন। কোনের পিছনের অংশটুকু চকলেট সিরাপে ডুবিয়ে নিন।

৭। পছন্দের আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার কোন আইসক্রিম।

টিপস:

কোনের মিশ্রণটি আপনি চাইলে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন দুই দিন পর্যন্ত।

শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, দাগ দূর করাসহ ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার হয়ে আসছে। বহুগুণী এই মাটি ত্বকের যত্ন ছাড়াও চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায়। চুলকে খুশকি মুক্ত রেখে চুল মজবুত স্বাস্থ্যজ্বল করতে মুলতানি মাটির জুড়ি নেই। এছাড়া স্কাল্পের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। মুলতানি মাটির কিছু কার্যকরী হেয়ার প্যাক জেনে নেওয়া যাক।

১। চুল পড়া রোধে

চার থেকে পাঁচ চা চামচ মুলতানি মাটি, দুই চা চামচ টকদই, এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি শুষ্ক চুলের জন্য উপযোগী। তৈলাক্ত অথবা নরমাল চুলের জন্য অ্যালোভেরা জেল, লেবুর রস এবং মুলতানি মাটির গুঁড়ো মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পারবেন।

২। চুলের গোড়া মজবুত করতে  

এক কাপ মুলতানি মাটি, পাঁচ চামচ চালের গুঁড়া,  একটি  ডিমের সাদা অংশ, অল্প কিছু পানি দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর প্যকটি চুলের গোড়াসহ সম্পূর্ণ চুলে ভাল করে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করবে।

৩। চুলের আগা ফাটা রোধে

চুলের আগা ফাটা রোধের জন্য প্রথমে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে সারারাত থাকুন। সকালে গরম পানিরে ভেজানো টাওয়েল দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে নিন। এক ঘন্টার পর মুলতানি মাটি এবং টকদইয়ের প্যাক চুলে ভাল করে লাগান। কিছুক্ষণ রাখার পর চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরের দিন শ্যাম্পু করুন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। এক মাসের মধ্যে দেখবেন চুলের আগা ফাটা দূর হয়ে গেছে।

৪। খুশকি দূর করতে

চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, দুই টেবিল চামচ কমলার খোসার গুঁড়ো, এবং পানি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি যেন ঘন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

৫। চুল স্ট্রেইট করতে

এক কাপ মুলতানি মাটি, পাঁচ চা চামচ চালের গুঁড়ো এবং একটি ডিমের সাদা অংশ একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এরসাথে অল্প কিছু পানি মিশিয়ে নিবেন। চুলে লাগিয়ে নিন প্যাকটি। তারপর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান দুই থেকে তিনবার। ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন প্যাক শুকানোর জন্য। তারপর চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আধা কাপ দুধ স্প্রে বোতলে ভরে চুলে স্প্রে করে নিন। তারপর আবার ৪-৫ বার চুল আঁচড়ান। ১৫-২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাক ব্যবহার করার আগের রাতে চুলে তেল মাসাজ করতে ভুলবেন না।

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স সবজির শিঙাড়া

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স সবজির শিঙাড়া
স্বাস্থ্যকর অথচ মুখরোচক খাবারের তালিকা নিতান্তই ছোট। অনেকে তো ভাবেন স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই বিস্বাদ এবং সুস্বাদু মানেই তা অস্বাস্থ্যকর। আসলে কী তাই? আসলে কিন্তু সুস্বাস্থ্য বজায় রেখেও সুস্বাদ পাওয়া যায়। দেখে নিন তেমনি একটি রেসিপি। এই রেসিপিতে ব্যবহৃত উপাদানগুলো থেকে শুরু করে প্রস্তুত প্রণালী পুরোটাই সাধারণ শিঙাড়া-সমুচার চাইতে স্বাস্থ্যকর।

উপকরণ
- ১ কাপ আটা
- ২টা মাঝারি মাপের কাঁচাকলা, সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে কুচিয়ে নেওয়া
- আধা কাপ মটরশুঁটি, সেদ্ধ করা
- দেড় চা চামচ জিরা
- ২ চা চামচ তেল
- লবণ স্বাদমতো
- ১/২টা কাঁচামরিচ কুচি
- ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা মিহি কুচি
- আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- আধা চা চামচ আমচুর
- পৌনে এক চা চামচ মরিচের গুঁড়ো
- এক চতুর্থাংশ লেবুর রস

উপকরণ
১) একটি পাত্রে আটা নিন। এতে আধা চা চামচ জিরা, ১ চা চামচ তেল এবং লবণ দিয়ে মেশান। প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে খামির তৈরি করে নিন।
২) বাকি তেল একটি সসপ্যানে দিয়ে গরম করে নিন। বাকি জিরা দিন। জিরাতে রং ধরলে এতে কাঁচামরিচ, আদা, কাঁচাকলা, গরম মশলা, আমচুর, মরিচ গুঁড়ো, লবণ এবং অল্প করে পানি দিন। মিশিয়ে রান্না করে নিন কিছুক্ষণ। এরপর মটরশুঁটি দিন। এরপর একটু পিষে নিন চামচের উল্টো দিক দিয়ে। চুলা বন্ধ করে দিন।
৩) লেবুর রস মিশিয়ে দিন এই মিশ্রণে। সরিয়ে রাখুন চুলা থেকে।
৪) ১৮০ ডিগ্রিতে প্রিহিট হতে দিন ওভেন।
৫) খামির থেকে রুটি গড়ে নিন। ভিডিওর মতো ভাঁজ করে শিঙাড়ার আকৃতি দিন। কোনের মাঝে কাঁচাকলার মিশ্রণ দিন। পানি দিয়ে একটু ভিজিয়ে বন্ধ করে দিন কোন। এভাবে তৈরি করে নিন কয়েকটি শিঙাড়া।
৬) বেকিং ট্রে-তে কুকিং স্প্রে দিয়ে এতে শিঙাড়াগুলো রাখুন। প্রিহিট করা ওভেনে দিয়ে বেক করে নিন ১৫-১৮ মিনিট।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

ঘরে বসেই করুন পার্লারের মত ব্লিচ

ranna banna o beauty tips
ঘরে বসেই করুন পার্লারের মত ব্লিচ
দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ব্লিচের জুড়ি নেই। বিশেষ কোন অনুষ্ঠানের আগে অনেকেই ব্লিচ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকেন। সাধারণত পার্লারে ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহার করে ব্লিচ করা হয়। তবে ব্লিচিং ক্রিম অথবা ফেসিয়ালের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, বিধায় এটি ত্বকের ক্ষতি করে। আপনি চাইলে ঘরে করে ফেলতে পারেন ব্লিচিং। সহজে ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে ব্লিচিং করা সম্ভব। আসুন তাহলে উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

১। টকদই

হাতে কিছু পরিমাণ টকদই নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন একবার করুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পার্থ্যক দেখতে পাবেন। এছাড়া এক টেবিল চামচ টকদইয়ের সাথে আধা টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। এবার ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২। ওটমিল ব্লিচিং

দুই টেবিল চামচ ওটমিল, এক টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি মুখে সম্পূর্ণভাবে শুকাতে দেবেন না। কিছুটা নরম থাকতেই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

৩। বেসন

বেসন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর। বেসন এবং গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪। আলুর প্যাক       

আলুর খোসা ছড়িয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরসাথে গোলাপজল, মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আলু ত্বকের কালো দাগ দূর করে। এর সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৫। লেবু, মধু এবং দুধ

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক চা চামচ লেবুর রস,  এক চা চামচ মধু এবং আধা চা চামচ বাদাম তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী।

ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহারে টিপস:

১। ব্লিচ হল অ্যামোনিয়া, এমনকি বাজারে যে ক্রিম কিনতে পাওয়া যায় তাতেও এটি ব্যবহার করা হয়। তাই প্রতিদিন ব্যবহার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তিন সপ্তাহে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

২। ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহারের আগে ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। তবে ক্লিঞ্জিং মিল্ক ব্যবহার করবেন না।

৩। গাড় ত্বকের অধিকারীরা বেশিক্ষণ ত্বকে ব্লিচিং ক্রিম রাখবেন না। সর্বোচ্চ ১০ মিনিট ত্বকে রাখবেন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.