বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হারবাল বিউটি টিপস

ranna banna o beauty tips
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হারবাল বিউটি টিপস
বেশিরভাগ নারীই উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরণের কসমেটিক পণ্য ব্যবহার করেন। যদিও এর দ্বারা উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া হয়না। আপনার ত্বকের জন্য ভেতর থেকে এবং বাহির থেকে পুষ্টি প্রয়োজন। কেমিক্যাল কসমেটিক এই পুষ্টি সরবরাহ করতে পারেনা এবং এরা কেবল বাহিরের ত্বকেই কাজ করে। প্যাকেটজাত পণ্য দীর্ঘদিন ব্যবহার করাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য হারবাল পণ্য ব্যবহার করুন। এই হারবাল উপাদানগুলো আপনার রান্নাঘরেই পাবেন এবং এরা দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের উপর ভালো প্রভাব ফেলে। চলুন তাহলে জেনে নিই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী ভেষজ উপাদানগুলো সম্পর্কে।

১। আঙ্গুর

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আঙ্গুর ব্যবহার করতে পারেন। কয়েকটি আঙ্গুর থেঁতলে নিয়ে আপনার মুখের ত্বকে লাগান।

২। শশা, গ্লিসারিন ও গোলাপজল

শশা থেঁতলে রস বের করে এর সাথে গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। বাহিরে যাওয়ার পূর্বে ও বাসায় ফেরার পরে এই ফেস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারলে উপকার পাবেন।

৩। চন্দন, হলুদ এবং দুধ

চন্দনের মিহি গুঁড়োর সাথে সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ও সতেজ হবে।

৪। মধু ও দুধের সর

দুধের সরের সাথে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়, বিশেষ করে শীতের দিনে।

৫। টাটকা দুধ, লবণ ও লেবুর রস

টাটকা দুধের সাথে এক চিমটি লবণ ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের ছিদ্রগুলো উন্মুক্ত হয়।

৬। টমেটোর জুস

টমেটোর জুসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।

৭। হলুদ গুঁড়ো, আটা ও তিলের তেল

হলুদ গুঁড়ো, আটা ও তিলের তেল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়, সেইসাথে ত্বকের উজ্জলতাও বৃদ্ধি পায়।

৮। বাঁধাকপির জুস ও মধু

বাঁধাকপির কিছুটা অংশ থেঁতলে রস বের করুন। এই রসের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করা যায়।

৯। গাজরের জুস

ত্বকের উজ্জ্বলতা প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করার জন্য গাজরের জুস চমৎকার কাজ করে। গাজর ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করে নিতে পারেন।

১০। মধু ও দারচিনি গুঁড়ো

মধু ও দারুচিনি গুঁড়া ৩ : ১ অনুপাতে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে লাগিয়ে সারারাত রাখুন। এতে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়।

১১। অ্যালোভেরা জুস

অ্যালোভেরা জুস ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ দূর হয় এবং ত্বক হাইড্রেটেড থাকে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে চমৎকার কাজ করে।

১২। মুলতানি মাটি, গোলাপের পাপড়ি, নিম, তুলসি ও গোলাপজল

মুলতানি মাটির সাথে গোলাপের পাপড়ি, নিম পাতার গুঁড়ো, তুলসি পাতার গুঁড়ো ও গোলাপ জল বা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ ত্বক পাওয়া যায়।

ভিন্ন স্বাদের মজাদার নাস্তা রুটি পিজ্জা

ranna banna o beauty tips
ভিন্ন স্বাদের মজাদার নাস্তা রুটি পিজ্জা
পিজ্জা খাবারটি নাম শুনলে জিভে পানি চলে আসে। পিজ্জাপ্রেমিকরা পিজ্জা স্বাদের যেকোন খাবারই খেতে পছন্দ করেন। এমনি এক ভিন্ন ধরণের খাবার হল পিজ্জা রুটি। বিকেলের নাস্তায় হোক অথবা সকালের নাস্তায় ঝটপট তৈরি করে নিতে পারেন এই  রুটি পিজ্জা। এরজন্য ওভেনের প্রয়োজন হবে না।

উপকরণ:

১ কাপ ময়দা
১/২ কাপ সুজি
লবণ
এক চিমটি বেকিং সোডা
১/৪ কাপ টকদই
১.৫ চা চামচ কাঁচা মরিচ কুচি
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
তেল
পনির কুচি
১/২ কাপ সুজির ডোসার ডো
বাঁধাকুপি কুচি
হলুদ ক্যাপসিয়াম কুচি
সবুজ ক্যাপসিকাম কুচি

প্রণালী:

১। ময়দা, সুজি, লবণ, বেকিং সোডা, টকদই, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা কুচি এবং তেল একসাথে মিশিয়ে নিন। এরসাথে অল্প পানি মিশিয়ে ডো করুন। ডোটি ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।

২। ডোটি দিয়ে রুটি তৈরি করুন।

৩। একটি রুটি বেলে তার ভিতর পনির কুচি দিয়ে দিন। আরেকটি রুটি দিয়ে উপর দিয়ে ঢেকে দিন।

৪। এবার এই রুটিটি নন-স্টিক প্যানে সেঁকতে দিন।

৫। এবার ডোসার মিশ্রণে কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভাল করে মেশান।

৬। রুটি বাদামী রং হয়ে আসলে এতে ডোসার মিশ্রণ দিয়ে দিন। তার উপর পনির কুচি, সবুজ, লাল ক্যাপসিকাম কুচি, সামান্য তেল দিন।

৭। রুটিটি উল্টিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর রুটিতে পনির কুচি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।

৮। পনির নরম হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।

৯। পছন্দমত আকৃতিতে কেটে পরিবেশন করুন রুটি পিজ্জা।

সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

ব্যথা ছাড়াই ভ্রু প্লাক করার কৌশল

ranna banna o beauty tips
ব্যথা ছাড়াই ভ্রু প্লাক করার কৌশল
সৌন্দর্য চর্চা সব বাদ থাকলেও নিয়মিত ভ্রু প্লাক করা হয়। চেহারায় পরিচ্ছন্নতার আলাদা মাত্রা যোগ করতে প্লাক করা ভ্রুর জুড়ি নেই। প্লাক করা সুন্দর চোখা ভ্রু পছন্দ করেন সব নারীই। কিন্তু পার্লারে গিয়ে থ্রেডিং অথবা নিজেই চিমটা দিয়ে প্লাক করার ব্যথা সহ্য করতে পারেন না অনেকেই। আজ জেনে নিন একদম ব্যথা ছাড়া ভ্রু প্লাক করার ছোট্ট কৌশলটি।

ভ্রু প্লাক করার জন্য আপনার দরকার হবে গরম পানি এবং একটা ছোট্ট হ্যান্ড টাওয়েল।

গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে চিপে নিন। এবার এই টাওয়েল ভাঁজ করে ভ্রু-র ওপর দিয়ে রাখুন ১ থেকে ২ মিনিট। এতে আপনার রোমকূপ খুলে যাবে এবং ভ্রু প্লাক করতে সুবিধা হবে, ব্যথা লাগবে না বেশি। প্লাক করার জন্য নতুন, সূক্ষ্ম চিমটা ব্যবহার করুন। আর প্লাক করা শেষ হলে লাগিয়ে নিন কিছুটা অ্যালোভেরা জেল।

স্বাস্থ্যকর ১০ বর্ষাকালীন স্ন্যাকস

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর ১০ বর্ষাকালীন স্ন্যাকস
প্রচণ্ড গ্রীষ্মের পর বর্ষার আগমন মানে সুখসময়। ভেজা ঋতুর আগমনে জিভও চায় ক্রাঞ্চি টেস্ট। মসলা চায়ে চুমুক আর এক বাটি ফ্রাইড স্ন্যাকস নিয়ে জানালায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে জম্পেশ লাগে। বর্ষার সময় ডুবো তেলে ভাজা স্ন্যাকসগুলো বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু যদি স্বাস্থ্য আর বর্ষা উপভোগ দুটোই ঠিক রাখতে চান তাহলে বর্ষার স্ন্যাকসগুলোর পরিবর্তণ আনতে পারেন। দেখে ফেলা যাক বর্ষা মৌসুমের কিছু সহজ ও ইয়াম্মি স্ন্যাকস আইডিয়া –

রোস্টেড সয়া আমন্ড
এক কাপ আমন্ড দুই চা-চামচ তামারিতে (প্রাকৃতিকভাবে জারিত সয়াসস) ঝাঁকিয়ে নিন। একটি অয়েলড বেকিং সিটে রেখে একশো ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রোস্ট করুন। মাঝে মধ্যে নেড়ে দিন। সোনালী রঙ আসা পর্যন্ত ১০-১৫ মিনিট এভাবে রোস্ট করুন। খুব সহজে তৈরি স্ন্যাকসটি উচ্চ প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ।

সি-সল্ট পপকর্ন উইথ সুপার সিডস
একটি পাত্রে দুই কাপ পপকর্ন ১/২ চা-চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে ওলট-পালট করে নিন। আধ চা-চামচ সি-সল্ট ও এক টেবিলচামচ টোস্ট করা সূর্যমুখীর বীজ পপকর্নের পাত্রে যোগ করুন। এবার এয়ারটাইট জারে ভরে ব্যাগে রেখে দিন। পথে-ঘাটে বর্ষাকালীন ক্ষুধার মেটাতে মন্দ হবে না!

চিলি স্প্রেড পামপকিন সিডস
এক কাপ কুমড়ার বিচির সঙ্গে দুই চা-চামচ অলিভ অয়েল, ১/২ চা-চামচ চিলি পাউডার  ও ১/৪ চা-চামচ সি-সল্ট মেশান। ৮-১০ মিনিট নেড়ে মচমচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। রাতে ঘুম না পেলে ক্রিসপি এ স্ন্যাকস পট বের করে চিবাতে শুরু করুন। এতে রয়েছে ট্রিপটোফেন। যা শরীর সেরোটোনিনে রূপান্তর করে। যা পরে ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনে রূপান্তর হয়।

আপেল স্যান্ডুইচ
কাটার দিয়ে আস্ত আপেলের উপরে বোঁটার অংশ থেকে নিচ পর্যন্ত মাঝের বিচির অংশটা বের করে আনুন। আপেলের শেপ ঠিকই থাকবে, শুধু মাঝের বিচির অংশ গোল হয়ে বেরিয়ে আসবে। এবার আড়াআড়িভাবে আপেলটি মোটা মোটা স্ল‍াইস করুন। একটি স্লাইসের উপর পিনাট বাটার ল‍াগান। চাইলে দারুচিনি ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার আরেকটি স্লাইস বসিয়ে চেখে দেখুন।

স‍ুইট পটেটো স্ট্রিপস
একটি মিষ্টি আলু দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পাতলা করে কাটুন। দুই চা-চামচ অলিভ অয়েল মাখিয়ে অয়েলড ননস্টিক বেকিং শিটে রেখে একশো ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ২০ মিনিট রোস্ট করুন। খাওয়ার সময় লবণ ছড়িয়ে দিন। এয়াটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করা যাবে।

ক্রিসপি সেলারি স্টিকস
১/৪ কাপ গ্রিক ইয়োগার্ট দুই টেবিলচামচ টুকরো টুকরো করা ব্লু  চিজের সঙ্গে মেশান। এবার সেলারি স্টিকের ওপর মিশ্রণটি ঢেলে দিন। প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাকসটি যেকোনো সময়ে খেতে পারেন।

টমেটো পিজ্জা
তিনটি মাঝারি সাইজের টমেটো অর্ধেক করে কাটুন। এক টেবিলচামচ পারমিসান চিজ ছড়িয়ে দিন। এবার ১/২ চা-চামচ বালসামিক ভিনেগার ছড়িয়ে এক চা-চামচ পুদিনা কুচি দিয়ে টেস্ট করুন।

চিজ এন্ড ওয়ালনাট স্টাফড ডেট
চারটি খেজুর মাঝখান থেকে ফেড়ে নিন। এক টেবিলচামচ গট চিজ খেজুরগুলোর মাঝখানে ভরে নিন। এবার টপার হিসেবে টোস্টেড আখরোট দিয়ে তৈরি করুন ইয়াম্মি ও পুষ্টিকর বর্ষাকালীন স্ন্যাকস।

গ্রিলড ফ্রুট সালাদ
পিচ, আপেল ও অ‍ানারস কিউব করে কাটুন। এবার লেবুর রস ছড়িয়ে মিক্স করে নিন। কাঠিতে কিউবগুলো গেঁথে ১০ মিনিট গ্রিল করুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

এয়ার ফ্রাইড পেস্তা
আধ কাপ পেস্তা সি-সল্ট দিয়ে এয়ার ফ্রাই করুন। তারপর আর কিছুই না, এক কাপ গরম চা আর এয়‍ার ফ্রাইড পেস্তা নিয়ে জানালার ধারে বসে বৃষ্টি উপভোগ করুন।

কিচেন সিঙ্ক ঝকঝকে রাখতে করণীয়

ranna banna o beauty tips
কিচেন সিঙ্ক ঝকঝকে রাখতে করণীয়
হাড়ি-পাতিল থেকে শুরু করে রান্নাঘরে ব্যবহৃত সবকিছুই কিচেন সিঙ্কে রেখেই পরিষ্কার করা হয়। অর্থাৎ রান্নাঘরের অধিকাংশ ধূলা-বালির ধকল সামলায় সিঙ্ক। দিনের অধিকাংশ সময়েই ভেজা থাকে সেটি। 
পানির সঙ্গে বিভিন্ন ভারি ধাতু এবং ক্ষারীয় রাসায়নিক পদার্থ মিশে থাকায় স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি সিঙ্কে খুব সহজেই ময়লা জমে। যা পরবর্তীতে দাগে পরিণত হয়। নিত্য ব্যবহার্য সিঙ্কে কোনো দাগ পড়ার আগেই সতর্ক হোন। ঝকঝকে রাখতে প্রতিদিনই পরিষ্কার করুন সেটি। 
আপনার রান্নাঘরেই আছে- এমন উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই কিচেন সিঙ্ক পরিষ্কার করা যায়। আর সেই উপাদানটি হলো ভিনেগার। 
রান্নাঘরে থাকা বিভিন্ন পণ্যসহ ঘরের অনেক কিছু পরিষ্কারের কাজে ভালো ফল দেয় ভিনেগার। বিশেষ করে স্টেইনলেস স্টিলের উপর ভারি ধাতু বা ক্ষারীয় পানির প্রভাবে যে দাগ পড়ে- তা দূর করতেও বিশেষভাবে কাজ দেয় এই পণ্যটি। 

কিচেন সিঙ্ক পরিষ্কারে ভিনেগারের ব্যবহার : 
একটি পরিষ্কার কাপড় ভিনেগারে ভিজিয়ে নিন। পুরো সিঙ্কের ওপরটা একবার মুছে দিন। সিঙ্কের যে স্থানে বেশি ময়লা জমেছে- ভিনেগার ভেজা কাপড় দিয়ে সেই স্থানটি ঘণ্টাখানেক ঢেকে রাখুন। এরপর নরম স্পঞ্জ দিয়ে স্ক্রাব করে নিন। ময়লাটা সহজেই উঠে আসবে। এরপরও কিছু ময়লা থাকলে সেখানে ভিনেগারে ভেজানো কাপড়টি আরও ঘণ্টাখানেক দিয়ে রাখুন। 
এরপর আবার স্পঞ্জ দিয়ে স্ক্রাব করে নিন। কখনও নতুন স্পঞ্জ দিয়ে স্ক্রাব করবেন না। এতে স্টিলের ওপর স্ক্র্যাছ পড়তে পারে। সিঙ্ক পরিষ্কারের জন্য সব সময় নরম হয়ে যাওয়া স্পঞ্জ ব্যবহার করবেন। 

কিচেন সিঙ্ক পরিষ্কারের জন্য আরও কিছু টিপস: 
১. ভেজা সিঙ্কের ওপর বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন। এবার ব্রাশ দিয়ে ঘষে সেটাকে পেস্টের মতো ছড়িয়ে দিন। পেপার টাওয়েল ভিনেগারে ভিজিয়ে পুরো সিঙ্ক ঢেকে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সিঙ্ক। 
২. সিঙ্কের ড্রেইনে খাবার আটকে গেলে তা সরাতে বেকিং সোডা এবং ভিনেগার ব্যবহার করা যাবে। আধা কাপ বেকিং সোডা ড্রেইনে ঢেলে দিন। এরপর এক কাপ ভিনেগার ঢালুন। মিনিট দশেক বুদবুদের পর চার কাপ গরম পানি ঢেলে দিন। সিঙ্ক খুলে যাবে। প্রতি মাসে একবার এই কাজটি করলে ড্রেইন পরিষ্কার থাকবে। 
৩. ভিনেগার ও বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কারের পর লেবু বা কমলার খোসা দিয়ে পুরো সিঙ্ক মুছে নিন। এতে মিষ্টি সুগন্ধ ছড়াবে। 
৪. সিঙ্ক ঝকঝকে রাখতে পেপার টাওয়েলে অলিভ অয়েল নিয়ে সিঙ্ক মুছে নিতে পারেন। 

রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬

নিজে তৈরি করে নিন পছন্দমত লিপস্টিক

ranna banna o beauty tips
নিজে তৈরি করে নিন পছন্দমত লিপস্টিক
নারীরা যে সকল কসমেটিকস প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে তার মধ্যে লিপস্টিক অন্যতম। ভার্সিটি বলেন কিংবা অফিস একটু লিপস্টিক এনে দেয় সাজে পূর্ণতা। পোশাকের রং এর সাথে মিলিয়ে সাজে লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। কিন্তু সব সময় কি আর পোশাকের রং এর সাথে মিলিয়ে লিপস্টিক কেনা সম্ভব হয়? হয় না। আবার বাজারের নন-ব্র্যন্ডের লিপস্টিক ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এইবার ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন নিজের পছন্দমত লিপস্টিক। ভাবছেন কীভাবে? খুব সহজে তৈরি করা সম্ভব।

যা যা লাগবে:

১ চা চামচ বিশুদ্ধ মোমের গুঁড়ো (মোমের রং পেন্সিল গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে পারেন)

১ চা চামচ কোকো বাটার বা শিয়া বাটার

১ চা চামচ নারকেল তেল

পছন্দমত রঙ

যেভাবে তৈরি করবেন:

১। প্রথমে একটি ঢাকনা ছাড়া কাঁচের বয়ামে নারকেল তেল, শিয়া বাটার এবং মোম মিশেয়ে নিন।

২। এবার এই কাঁচের বয়ামটি একটি গরম পানি রাখা পাত্রের উপর রাখুন।

৩। সব কয়েকটি উপাদান ভাল করে মিশে গেলে বয়ামটি পানি থেকে সরিয়ে ফেলুন। এরপর আপনার পছন্দমত রং মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪। সব উপাদান মিশে গেলে ড্রপার দিয়ে খালি লিপস্টিকের টিউবে ভরে ফেলুন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কোটায় উপাদানগুলো রেখে দিতে পারেন।

৫। এবার এটি কোন ঠাণ্ডা স্থানে রেখে দিন, যাতে লিপস্টিক গলে না যায়।

পছন্দের রং তৈরি জন্য:

লাল রং এর জন্য:

১/৮ চা চামচ বিটের গুঁড়ো অথবা ১ ফোঁটা লাল ফুড কালার।

ব্রাউন রং এর জন্য:

১/৪ চা চামচ কোকো পাউডার, এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো অথবা হলুদের গুঁড়ো।

ম্যাট টেক্সচারের জন্য:

১/৪ চা চামচ বেনটনিক ক্লে ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া পছন্দমত আইশ্যাডো ব্যবহারে করে তৈরি করে নিতে পারেন যেকোন রং এর লিপস্টিক।

টিপস:

মোমের রং পেন্সিল ব্যবহার করলে বিট বা অন্য রং ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।

ঘরেই তৈরি করুন দোকানের মত পারফেক্ট কোন

ranna banna o beauty tips
ঘরেই তৈরি করুন দোকানের মত পারফেক্ট কোন
আইসক্রিম পার্লারগুলোতে কোন অথবা কাপে আইসক্রিম খেতে দেওয়া হয়। সাধারণত বিস্কুট কোনে আইসক্রিম খেতে দারুন লাগে। অনেকে বাসায় দোকানের মত আইসক্রিম তৈরি করতে পারলেও, কোনটি ঘরে তৈরি করা হয় না কখনও। এবার ঘরেও তৈরি করে নিতে পারবেন আইসক্রিমের কোন! ভাবছেন কীভাবে? জেনে নিন আইসক্রিমের কোন তৈরির সহজ রেসিপিটি। অল্প কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন পারফেক্ট দোকানের মত কোন।

উপকরণ:

২টি বড় ডিমের সাদা অংশ

১/৪ কাপ চিনি

৩ টেবিল চামচ দুধ

১/২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স

এক চিমটি লবণ

২/৩ কাপ ময়দা

২ টেবিল চামচ মাখন

হালকা মিষ্টি চকলেট

বাদাম কুচি

প্রণালী:

১। ডিমের সাদা অংশ, চিনি, দুধ, ভ্যানিলা এসেন্স এবং লবণ ভাল করে ফেটে নিন। এরপর এতে ময়দা এবং মাখন দিয়ে আবার ফাটুন।

২। এবার নন-স্টিক অথবা কাস্ট আয়রনের প্যান চুলায় অল্প আঁচে গরম করতে দিন।

৩। ১ এবং ১/২ টেবিল চামচ ময়দার মিশ্রণটি দিয়ে ছড়িয়ে দিন। দ্রুত এটি গোল আকৃতির আকারে করে ফেলুন।

৪। মাঝারি আঁচে ৪ থেকে ৫ মিনিট এটি রান্না করুন। একপাশ হয়ে গেলে  উল্টিয়ে দিন। অপরপাশ ১-২ মিনিট রাখুন। বেশিক্ষণ চুলায় রাখবেন না এতে বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে।

৫। এবার (ভিডিও অনুযায়ী) হাত দিয়ে কোন আকৃতির করে নিন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত আকৃতি করতে পারেন। খুব বেশি শক্ত করে কোনটি রোল করবেন না, এতে ভেঙ্গে যেতে পারে।

৬। চকলেটের সিরাপে কোনের মুখটি ভিজিয়ে নিয়ে তারপর বাদামকুচি অথবা সুইট বলের ছড়িয়ে দিন। কোনের পিছনের অংশটুকু চকলেট সিরাপে ডুবিয়ে নিন।

৭। পছন্দের আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার কোন আইসক্রিম।

টিপস:

কোনের মিশ্রণটি আপনি চাইলে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন দুই দিন পর্যন্ত।

শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, দাগ দূর করাসহ ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার হয়ে আসছে। বহুগুণী এই মাটি ত্বকের যত্ন ছাড়াও চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায়। চুলকে খুশকি মুক্ত রেখে চুল মজবুত স্বাস্থ্যজ্বল করতে মুলতানি মাটির জুড়ি নেই। এছাড়া স্কাল্পের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। মুলতানি মাটির কিছু কার্যকরী হেয়ার প্যাক জেনে নেওয়া যাক।

১। চুল পড়া রোধে

চার থেকে পাঁচ চা চামচ মুলতানি মাটি, দুই চা চামচ টকদই, এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি শুষ্ক চুলের জন্য উপযোগী। তৈলাক্ত অথবা নরমাল চুলের জন্য অ্যালোভেরা জেল, লেবুর রস এবং মুলতানি মাটির গুঁড়ো মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পারবেন।

২। চুলের গোড়া মজবুত করতে  

এক কাপ মুলতানি মাটি, পাঁচ চামচ চালের গুঁড়া,  একটি  ডিমের সাদা অংশ, অল্প কিছু পানি দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর প্যকটি চুলের গোড়াসহ সম্পূর্ণ চুলে ভাল করে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করবে।

৩। চুলের আগা ফাটা রোধে

চুলের আগা ফাটা রোধের জন্য প্রথমে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে সারারাত থাকুন। সকালে গরম পানিরে ভেজানো টাওয়েল দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে নিন। এক ঘন্টার পর মুলতানি মাটি এবং টকদইয়ের প্যাক চুলে ভাল করে লাগান। কিছুক্ষণ রাখার পর চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরের দিন শ্যাম্পু করুন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। এক মাসের মধ্যে দেখবেন চুলের আগা ফাটা দূর হয়ে গেছে।

৪। খুশকি দূর করতে

চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, দুই টেবিল চামচ কমলার খোসার গুঁড়ো, এবং পানি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি যেন ঘন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

৫। চুল স্ট্রেইট করতে

এক কাপ মুলতানি মাটি, পাঁচ চা চামচ চালের গুঁড়ো এবং একটি ডিমের সাদা অংশ একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এরসাথে অল্প কিছু পানি মিশিয়ে নিবেন। চুলে লাগিয়ে নিন প্যাকটি। তারপর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান দুই থেকে তিনবার। ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন প্যাক শুকানোর জন্য। তারপর চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আধা কাপ দুধ স্প্রে বোতলে ভরে চুলে স্প্রে করে নিন। তারপর আবার ৪-৫ বার চুল আঁচড়ান। ১৫-২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাক ব্যবহার করার আগের রাতে চুলে তেল মাসাজ করতে ভুলবেন না।

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স সবজির শিঙাড়া

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স সবজির শিঙাড়া
স্বাস্থ্যকর অথচ মুখরোচক খাবারের তালিকা নিতান্তই ছোট। অনেকে তো ভাবেন স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই বিস্বাদ এবং সুস্বাদু মানেই তা অস্বাস্থ্যকর। আসলে কী তাই? আসলে কিন্তু সুস্বাস্থ্য বজায় রেখেও সুস্বাদ পাওয়া যায়। দেখে নিন তেমনি একটি রেসিপি। এই রেসিপিতে ব্যবহৃত উপাদানগুলো থেকে শুরু করে প্রস্তুত প্রণালী পুরোটাই সাধারণ শিঙাড়া-সমুচার চাইতে স্বাস্থ্যকর।

উপকরণ
- ১ কাপ আটা
- ২টা মাঝারি মাপের কাঁচাকলা, সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে কুচিয়ে নেওয়া
- আধা কাপ মটরশুঁটি, সেদ্ধ করা
- দেড় চা চামচ জিরা
- ২ চা চামচ তেল
- লবণ স্বাদমতো
- ১/২টা কাঁচামরিচ কুচি
- ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা মিহি কুচি
- আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- আধা চা চামচ আমচুর
- পৌনে এক চা চামচ মরিচের গুঁড়ো
- এক চতুর্থাংশ লেবুর রস

উপকরণ
১) একটি পাত্রে আটা নিন। এতে আধা চা চামচ জিরা, ১ চা চামচ তেল এবং লবণ দিয়ে মেশান। প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে খামির তৈরি করে নিন।
২) বাকি তেল একটি সসপ্যানে দিয়ে গরম করে নিন। বাকি জিরা দিন। জিরাতে রং ধরলে এতে কাঁচামরিচ, আদা, কাঁচাকলা, গরম মশলা, আমচুর, মরিচ গুঁড়ো, লবণ এবং অল্প করে পানি দিন। মিশিয়ে রান্না করে নিন কিছুক্ষণ। এরপর মটরশুঁটি দিন। এরপর একটু পিষে নিন চামচের উল্টো দিক দিয়ে। চুলা বন্ধ করে দিন।
৩) লেবুর রস মিশিয়ে দিন এই মিশ্রণে। সরিয়ে রাখুন চুলা থেকে।
৪) ১৮০ ডিগ্রিতে প্রিহিট হতে দিন ওভেন।
৫) খামির থেকে রুটি গড়ে নিন। ভিডিওর মতো ভাঁজ করে শিঙাড়ার আকৃতি দিন। কোনের মাঝে কাঁচাকলার মিশ্রণ দিন। পানি দিয়ে একটু ভিজিয়ে বন্ধ করে দিন কোন। এভাবে তৈরি করে নিন কয়েকটি শিঙাড়া।
৬) বেকিং ট্রে-তে কুকিং স্প্রে দিয়ে এতে শিঙাড়াগুলো রাখুন। প্রিহিট করা ওভেনে দিয়ে বেক করে নিন ১৫-১৮ মিনিট।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

ঘরে বসেই করুন পার্লারের মত ব্লিচ

ranna banna o beauty tips
ঘরে বসেই করুন পার্লারের মত ব্লিচ
দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ব্লিচের জুড়ি নেই। বিশেষ কোন অনুষ্ঠানের আগে অনেকেই ব্লিচ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকেন। সাধারণত পার্লারে ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহার করে ব্লিচ করা হয়। তবে ব্লিচিং ক্রিম অথবা ফেসিয়ালের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, বিধায় এটি ত্বকের ক্ষতি করে। আপনি চাইলে ঘরে করে ফেলতে পারেন ব্লিচিং। সহজে ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে ব্লিচিং করা সম্ভব। আসুন তাহলে উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

১। টকদই

হাতে কিছু পরিমাণ টকদই নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন একবার করুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পার্থ্যক দেখতে পাবেন। এছাড়া এক টেবিল চামচ টকদইয়ের সাথে আধা টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। এবার ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২। ওটমিল ব্লিচিং

দুই টেবিল চামচ ওটমিল, এক টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি মুখে সম্পূর্ণভাবে শুকাতে দেবেন না। কিছুটা নরম থাকতেই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

৩। বেসন

বেসন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর। বেসন এবং গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪। আলুর প্যাক       

আলুর খোসা ছড়িয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরসাথে গোলাপজল, মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আলু ত্বকের কালো দাগ দূর করে। এর সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৫। লেবু, মধু এবং দুধ

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক চা চামচ লেবুর রস,  এক চা চামচ মধু এবং আধা চা চামচ বাদাম তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী।

ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহারে টিপস:

১। ব্লিচ হল অ্যামোনিয়া, এমনকি বাজারে যে ক্রিম কিনতে পাওয়া যায় তাতেও এটি ব্যবহার করা হয়। তাই প্রতিদিন ব্যবহার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তিন সপ্তাহে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

২। ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহারের আগে ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। তবে ক্লিঞ্জিং মিল্ক ব্যবহার করবেন না।

৩। গাড় ত্বকের অধিকারীরা বেশিক্ষণ ত্বকে ব্লিচিং ক্রিম রাখবেন না। সর্বোচ্চ ১০ মিনিট ত্বকে রাখবেন।

ডিম ছাড়া ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি

Ranna banna o beauty tips
ডিম ছাড়া ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি
মিষ্টি খাবার খেতে যারা পছন্দ করেন তাদের কাছে ব্রাউনি বেশ পছন্দের একটি খাবার। ব্রাউনিপ্রেমীদের কাছে চকলেট ব্রাউনি বেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন তো আর বেকারীতে গিয়ে চকলেট ব্রাউনি খাওয়া সম্ভব হয় না। ঘরেই যদি তৈরি করা যায় পেস্ট্রিশপের স্বাদের চকলেট ব্রাউনি তাহলে কেমন হয়? দারুন তাই তো? আজ তাহলে শিখে নিন পেস্ট্রিশপের মত পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি তৈরির রেসিপিটি।

উপকরণ:

৮০ গ্রাম মাখন

১৮০ গ্রাম কনডেন্সড মিল্ক

৩০ গ্রাম টকদই

কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স

১৬০ গ্রাম ডার্ক চকলেট

১২৫ গ্রাম ময়দা

১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা

১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার

৫০ গ্রাম চকলেট চিপস

প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রি হিট করে রাখুন।

২। একটি পাত্রে গলানো মাখন এবং কনডেন্সড মিল্ক ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৩। এরসাথে টকদই এবং ভ্যানিলা এসেন্স ভাল করে ফেটে নিন।

৪। এবার এতে গলানো ডার্ক চকলেট ভাল করে মেশান।

৫। একটি পাত্রে ময়দা, বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে রাখুন।

৬। একটি চালনিতে আস্তে আস্তে চেলে টকদইয়ের মিশ্রণের সাথে মেশান।

৭। এরপর এতে চকলেটের টুকরো দিয়ে আবার মেশান।

৮। ওভেন ট্রেতে মাখন বা তেল লাগিয়ে নিন। তারউপর কিছুটা ময়দা ছিটিয়ে দিন।

৯। ব্রাউনি মিশ্রণটি ওভেন ট্রেতে ঢেলে ২০ মিনিট বেক করুন। নামানোর আগে টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করুন।

১০। ঠান্ডা হয়ে গেলে পছন্দমত আকৃতিতে কেটে নিন। আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চকলেট ব্রাউনি।

বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬

বর্ষাকালে চুলের যত্ন

ranna banna o beauty tips
বর্ষাকালে চুলের যত্ন
বর্ষাকালে বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকে বলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয় বেশি। অনেকেই মনে করেন যে গ্রীষ্মকালে চুলের ক্ষতি অধিক। কিন্তু না, বর্ষাকালে চুলের বাহিরের কিউটিক্যাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চুল হয়ে পরে ভঙ্গুর, রুক্ষ ও শুষ্ক। বর্ষাকালে চুলের সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞের মতামত জেনে নিই চলুন।

১। চুল শুষ্ক রাখুন 

বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু বৃষ্টিতে বার বার আপনার চুল ভেজানোটা মোটেও উপকারী নয়। বৃষ্টির পানি এসিডিক হয় এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার চুলের দুর্দশাই কেবল বৃদ্ধি করবে। বর্ষায় বাহিরে যাওয়ার পূর্বে আপনার চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।

২। সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু করুন

চুল ও মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বৃষ্টিতে ভেজার পরে গোসল করে নিন। বৃষ্টির পানি দীর্ঘক্ষণ আপনার মাথায় থাকলে তা চুলকানির সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি আপনার চুলে ব্যাকটেরিয়াল বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং খুশকিও হতে পারে। অনেক ধরণের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই উচিৎ এবং হেয়ার স্প্রে এড়িয়ে চলুন।

৩। অয়েল ম্যাসাজ

আপনার ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। আপনার পছন্দের যেকোন তেল আপনার চুলের গোঁড়ায় ভালোভাবে ম্যসাজ করে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন বা একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে নিন মাথায়। এতে  আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হবে এবং চুলের শুষ্কতা দূর হবে।

৪। হেয়ার স্টাইল করা এড়িয়ে চলুন

বর্ষাকালে হেয়ার স্টাইল চুলের শুধু ক্ষতিই করে। বর্ষায় খুব শক্ত করে চুল বাঁধতে অনুৎসাহিত করা হয় কারণ এতে বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লে তা আবদ্ধ হয়ে থাকে এবং চলের আর্দ্রতাও বৃদ্ধি পায়। এতে চুলে গন্ধ হয় এবং চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে। হালকা করে চুল বাঁধুন। বর্ষায় চুল ছেটে ছোট করে রাখতে পারেন, এতে চুল পরিষ্কার করা ও যত্ন নেয়া সহজ হবে।

৫। অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট কিনুন হুডিসহ  

বর্ষায় যেকোন সময় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হবেনা এমন মনে হলেও বাহিরে যাওয়ার সময় সাথে হুডিসহ অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট রাখুন। অনেকেই এটা পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে সাথে একটি ছাতা রাখুন। আজকাল অনেক ধরণের রঙ্গিন ও ছোট ছাতা পাওয়া যায় যা ব্যাগে রাখা সম্ভব।

৬। হেয়ার মাস্ক

ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক কোন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন সপ্তাহে অন্তত একদিন। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।  

৭। প্রোটিন খান

ডারমাটোলজিস্ট ও কসমেটোলজিস্ট ডা. অপর্ণা সান্তারাম বলেন, “বর্ষায় চুলকে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান”।

এছাড়াও প্রতিদিন তাজা ফল, বাদান ও সবুজ শাকসবজি এবং ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন। চুলে  কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার লাগানোর পর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান যতে সব জায়গায় কন্ডিশনার পৌঁছে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।


মজাদার ও স্বাস্থ্যকর "আপেলের চিপস"

ranna banna o beauty tips
মজাদার ও স্বাস্থ্যকর "আপেলের চিপস"
একটু বৃষ্টি বৃষ্টি দিনে চিপস খাওয়ার মজাই আলাদা। কিন্তু কী চিপস খাবেন? দোকান থেকে কেনা চিপসে কী কী উপাদান থাকে তা নিশ্চিত হবার কোনো উপায় নেই। বাড়িতেও পটেটো চিপস তৈরি করলে তাতে থাকে অনেকটা কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট। স্বাস্থ্যকর চিপস খেতে চাইলে তৈরি করে নিন দারুণ সুস্বাদু আপেলের চিপস।

উপকরণ
- ২টা বড় লাল আপেল
- আধা কাপ কাস্টর সুগার
- ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
- অল্প করে দারুচিনি গুঁড়ো

প্রণালী
১) প্রথমে সুগার সিরাপ তৈরি করুন। একটি নন-স্টিক প্যানে গরম করে নিন কাস্টর সুগার। আধা কাপ পানি দিন। মিশিয়ে গরম করুন যতক্ষণ না চিনি গলে যায়। আঁচ কমিয়ে ৪-৫ মিনিট রাখুন যাতে ঘন হয়ে আসে। আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।
২) আপেলগুলোকে চিকন করে স্লাইস করে নিন।
৩) আপেলের স্লাইসের ওপর অল্প করে লেবুর জুস মাখিয়ে নিন। এরপর চিনির সিরাপে ফেলে দিন। ভালো করে আপেলের স্লাইসে মাখিয়ে নিন সিরাপ। এভাবে সিরাপে ভিজতে দিন ১০-১৫ মিনিট।
৪) ওভেন প্রিহিট করে নিন ১৮০ ডিগ্রিতে। একটা বেকিং ট্রে তে সিলিকন ম্যাট মেলে নিন। এর ওপর আপেলের স্লাইসগুলোকে রাখুন। ওপরে দারুচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে নিন।
৫) আপেলের স্লাইসগুলোকে বেক করে নিন ৩০-৪০ মিনিট।

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

নেইল পলিশ রিমুভারে সতর্কতা

ranna banna o beauty tips
নেইল পলিশ রিমুভারে সতর্কতা
রং-বেরঙের নেইল পলিশ দিয়ে বেশ তো নখ রাঙাচ্ছেন! কখনো পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে, কখনও-বা ইচ্ছেমতো তুলির আঁচড়ে সেজে উঠছে নখ। রোজ তো আর এক পোশাকে বাইরে যাওয়া যায় না। তাই পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় নখের সাজও। ইন্টারনেট বলছে চীন দেশ থেকেই উদ্ভাবন হয়েছিল এই নখ রাঙানোর চল। এই যে একটার পর একটা রং দিয়ে নখের ক্যানভাসে নকশা করা, সেটার জন্য তো আগে নখটা পরিষ্কার থাকা চাই। নখে নেইল পলিশ দেওয়ার আগে তাই নখটা একেবারে সাদা করে নিতে হয়। একটা রং তুলে তারপর নতুন রং দেওয়ার জন্য ব্যবহার হয় নেইল পলিশ রিমুভার। নিয়মিত রিমুভার ব্যবহারে নখের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না তো?

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বেশিমাত্রায় রিমুভার ব্যবহারের কারণে আমাদের নখের এনামেলের পাশাপাশি চামড়ায়ও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। নেইল পেইন্ট রিমুভারগুলোতে সাধারণত অ্যাসিটোন নামের একধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকে। এ ছাড়া রিমুভার তৈরিতে অনেক সময় ইথাইল অ্যাসিটেট ব্যবহার করা হয়। তবে অ্যাসিটোনোর চাইতে ইথাইল অ্যাসিটেট কম সংবেদনশীল হওয়ায় ইথাইল অ্যাসিটেট দিয়ে তৈরি রিমুভার ব্যবহার করা ভালো। তাই রিমুভার কেনার সময় উপাদানের দিকেও খেয়াল করা উচিত।

বেশি বেশি রিমুভার ব্যবহার করলে আমাদের নখ ও চামড়ায় কী কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে, সে সম্পর্কে বললেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল ওয়াহাব। তিনি জানালেন, মাত্রাতিরিক্ত নেইল পলিশ ও নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহারের কারণে নখের স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে নখের এনামেল, যার প্রভাবে পাতলা হয়ে যেতে পারে হাত-পায়ের নখ। পাশাপাশি নখের পাশের ত্বকে প্রদাহজনিত রোগ ‘প্যারোনিকিয়া’ হতে পারে। ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও শক্ত। অনেক সময় হাত-পায়ের চামড়া উঠতে পারে।

বারবার রিমুভার ও নেইল পলিশ দেওয়ায় হারায় স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। কেননা, রিমুভারে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান হিসেবে যা থাকে, সেটা নখের স্বাভাবিক মসৃণতা বা উজ্জ্বলতা, কোনোটাই ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়।
রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বললেন, ‘নখের শুভ্রতা ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে হলে প্রতিবার রিমুভার ব্যবহারের পরে অবশ্যই কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে ভালোভাবে হাত-পা ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো চামড়া থেকে দূর হয়ে যাবে। ভালো করে হাত-পা পরিষ্কার করার পর পেট্রোলিয়াম জেলি, ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) বা জলপাইয়ের তেল লাগাতে পারেন। ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায় এমন কোনো ভালো ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগাতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ময়েশ্চারাইজিং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।’
নেইল পলিশ রিমুভারের ব্যবহার নিয়ে আফরোজা পারভীনের পরামর্শ হলো:
* মাসে দুবারের বেশি রিমুভার ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি বেশি প্রয়োজন পড়ে সেটা যেন ছয়বারের বেশি না হয়।
* একই ব্র্যান্ডের নেইল পলিশ ও রিমুভার ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো হয়।
* যত ভালো ব্র্যান্ডই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা প্রতি তিন মাস অন্তর পরিবর্তন করতে হবে। এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে আসে।
* রিমুভার লাগিয়ে কটন-বাড বা কটন-বলের সাহায্যে খুবই আলতো করে ঘষে নেইল পলিশ তুলতে হবে।
* সতর্কতার সঙ্গে যে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে, তা হলো রিমুভার ব্যবহারের সময় যেন তা নখের পাশের চামড়ায় না লাগে।

বৃষ্টিতে খিচুড়ি

সসেজ ভুনা খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
সসেজ ভুনা খিচুড়ি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল আধা কেজি, মসুর ডাল আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি দেড় টেবিল চামচ, সসেজ ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, এলাচ-দারুচিনি কয়েকটা, কারিপাতা ৮-১০টা, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি কয়েকটা, ঘি ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালি: সসেজ টুকরো করে ঘিতে ভেজে তুলে রাখুন। এবার পেঁয়াজ কুচি, কারিপাতা, গরম মসলা সামান্য ভেজে আদাবাটা, রসুনবাটা, হলুদের গুঁড়া, চাল ও ডাল দিয়ে ৫ মিনিটের মতো কষান, পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি কিছুটা কমে এলে সসেজ ঢেলে নেড়ে দিন। কাঁচা মরিচ দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে দিন। হয়ে গেলে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

পাঁচমিশালি ডালে নরম খিচুড়ি
পাঁচমিশালি ডালে নরম খিচুড়ি
উপকরণ: সেদ্ধ চাল দেড় কাপ, পাঁচমিশালি ডাল ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, জিরার গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনের গুঁড়া আধা চা-চামচ, তেজপাতা ২টা, এলাচ ৩-৪টা, দারুচিনি ২-৩ টুকরা, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, বাগারের জন্য ঘি দেড় টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: চাল ও ডাল ধুয়ে আদাবাটা, রসুনবাটা, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, পেঁয়াজ, লবণ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে চুলায় দিন। চাল ও ডাল সেদ্ধ হয়ে ঘন হয়ে এলে ঘিতে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে ঢেলে দিন। কয়েকটা কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে নামিয়ে নিন। গরুর মাংসের সঙ্গে পরিবেশন করুন। 
মুগডালের সাদা খিচুড়ি
মুগডালের সাদা খিচুড়ি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ৫০০ গ্রাম, মুগডাল ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি দেড় টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, এলাচ, দারুচিনি কয়েকটা, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, কারিপাতা ৮-১০টা, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ৫-৬টা, লবঙ্গ ২-৩টা।
প্রণালি: মুগডাল অল্প আঁচে টেলে নিন। চাল ও ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। ঘিতে পেঁয়াজ, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি ও কারিপাতা ভাজুন। এবার আদাবাটা, রসুনবাটা, চাল ও ডাল দিয়ে কয়েক মিনিট কষান। সাড়ে তিন কাপ-আন্দাজ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে রাখুন। পানি কমে এলে নেড়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে দিন। হয়ে গেলে ভাজা ডিমের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
সবজির বিন্নি খিচুড়ি
সবজির বিন্নি খিচুড়ি
উপকরণ: বিন্নি চাল ২ কাপ, মসুর ডাল ১ কাপ, বিভিন্ন রকম সবজি আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চ-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা কয়েকটা, ঘি ৩ টেবিল চামচ, পানি সাড়ে তিন কাপ
প্রণালি: বিন্নি চাল ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ফুলে ওঠার পর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। বিভিন্ন রকম সবজি ছোট ছোট টুকরো করে নিন। পাত্রে ঘি গরম করে পেঁয়াজ ও গরম মসলা ভেজে সবজি আদা ও রসুনবাটা দিয়ে সামান্য ভেজে নিন। এবার চাল ও ডাল ঢেলে কয়েক মিনিট ভাজুন। পানি দিয়ে ঢেকে দিন। প্রথমে মাঝারি ও পরে মৃদু আঁচে রান্না করুন।
কলিজার ঝাল খিচুড়ি
কলিজার ঝাল খিচুড়ি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, ডাল সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, কলিজা ১ কাপ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনের গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ কয়েকটা, কাবাব চিনি ৪টা, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ, ঘি বা তেল ৩ টেবিল চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: চাল ও ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কলিজা ছোট ছোট টুকরো করে সেদ্ধ করে নিন। ঘিতে পেঁয়াজ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ, আদা, রসুনবাটা ও সেদ্ধ কলিজা দিয়ে নাড়ুন। চাল ও ডাল দিয়ে কষান, পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে দিন। পানি কিছুটা কমে এলে সব গুঁড়া মসলা দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। মৃদু আঁচে রাখুন। খিচুড়ি হয়ে গেলে সালাদের সঙ্গে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.