বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৬

অলিভ ওয়েলের যত গুণ

ranna banna o beauty tips
অলিভ ওয়েলের যত গুণ
ভোজ্য তেল হিসেবে অনেক ধরনের তেল ব্যবহৃত হয়। তবে সারা বিশ্বে যত রকম ভোজ্য তেল রয়েছে তার মধ্যে স্বাস্থ্যকর তালিকার দিক থেকে শীর্ষস্থান দখল করে আছে অলিভ ওয়েল। সুস্থ ও ফিট দেহের জন্য অলিভ ওয়েলের চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক। অনেক দেশে অলিভ ওয়েল সাধারণত কেবল সালাদের তেল হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। আবার অনেক দেশের রান্নার জরুরি উপকরণ এটি। তবে কেবল রান্নাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে এই অলিভ ওয়েলকে আরও নানা প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। আসুন জেনে নেই, সালাদ বা রান্নার কাজ ছাড়াও অলিভ ওয়েলের কিছু অনন্য ব্যবহারের কথা-

১. মাঝে মাঝে দেখা যায় বাড়ির কোন দরজা খুলতে বা বন্ধ করতে গেলে ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়ার করে। সে ক্ষেত্রে সংযোগ কব্জাগুলোতে কিছু অলিভ ওয়েল দিয়ে দিন। আর শব্দ করবে না।

২. ওটমিল, সামান্য ক্রিমের সঙ্গে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে তা মুখ পরিষ্কারের স্কার্ব হিসাবে ব্যবহার করুন।

৩. লোহার যন্ত্রপাতি বা গ্রিলের মরিচা প্রতিরোধ করতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।

৪. বাচ্চাদের ম্যাসাজের জন্য অলিভ ওয়েলকে সেরা বলে ধরা হয়।

৫. বাড়িতে শেভিং ক্রিম না থাকলে মসৃণ শেভের জন্য অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

৬. এক কাপ অলিভ ওয়েলের সঙ্গে এক কাপ ভিনেগার মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে নিন। আসবাবপত্র পরিষ্কারের কাজে একে ব্যবহার করুন।

৭. হাতের কালশিটে ভাব দূর করতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।

৮. ওয়াক্সিংয়ের পর হাত ও পায়ের চিটচিটে ভাব দূর করতে অলিভ ওয়েল মাখুন।

৯. চুলকে স্থির করে রাখতে চাইলে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন চুলে। মনে হবে যেন জেল দিয়েছেন।

১০. মৌচাক থেকে প্রাপ্ত মোমের সঙ্গে সামান্য অলিভ ওয়েল মিশিয়ে একটি কৌটায় রেখে দিন। এটি পরে লিপজেলের কাজ করবে।

১১. চুলের কন্ডিশনার হিসাবে অলিভ ওয়েল দারুণ কাজে দেয়। চুলে মেখে একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন।

১২. ব্রাশগুলোকে চকচকে রাখতে এগুলো ধুয়ে অলিভ ওয়েলে পলিশ করুন।

১৩. মেকআপ মুছতে রিমুভার হিসেবে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

১৪. দাঁতের যত্নেও দারুণ এক উপাদান অলিভ ওয়েল।

১৫. শিশুদের নিতম্ব থেকে র‌্যাশ দূর করতে সামান্য অলিভ ওয়েল মাখিয়ে দিন।

মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৬

মাত্র ৩ মিনিটে করে ফেলুন ভিন্ন তিনটি মেসি বান

ranna banna o beauty tips
মাত্র ৩ মিনিটে করে ফেলুন ভিন্ন তিনটি মেসি বান
কিছুটা অবিন্যস্ত এলোমেলো দু-একটি ক্লিপ দিয়ে আলতো করে চুল বেঁধে নেওয়াটা বর্তমান সময়ে বেশ প্রচলিত একটি হেয়ার ট্রেন্ড। কলেজ, ভার্সিটি থেকে শুরু করে বিয়ের অনুষ্ঠানেও আজকাল এইভাবে চুল বাঁধছেন অনেকেই। চুল পরিপাটি করে টাইট করে বেঁধে হেয়ার স্টাইল করার দিন শেষ। এলোমেলো করে এই চুল বাঁধাকে এলোমেলো বা মেসি  হেয়ার স্টাইল বলা হয়।
যেভাবে করবেন ভিন্ন তিনটি মেসি বান-

ফুল ভলিউম মেসি বান

১। প্রথমে চুলগুলো ভালো করে আঁচড়িয়ে নিন।

২। সামনের কিছু চুল পাফ করে ফুলিয়ে নিন। পাফ করা চুল পিছনে নিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকিয়ে ফেলুন।

৩। এবার পিছনের চুলগুলো আঁচড়িয়ে রাবার ব্যান্ড দিয়ে পনিটেইল করুন।

৪। পনিটেইলের চুলগুলো আঙ্গুল দিয়ে নিচ থেকে উপরে আঁচড়ান। এতে চুলের ভলিউম বৃদ্ধি পাবে।

৫। চুলগুলো রোল করে পেচিয়ে খোঁপার  মত করুন। এটি চুলের কাঁটা দিয়ে চারপাশ থেকে আটকিয়ে দিন।

৬। আঙ্গুল দিয়ে খোঁপার পিছনের এবং সামনের চুলগুলো কিছুটা এলোমেলো করে দিন।

৭। ব্যস হয়ে গেল ফুল ভলিউম মেসি বান।

টুইস্ট মেসি বান

১। সবগুলো চুল ভালো করে আঁচড়িয়ে একসাথে করুন।

২। এবার চুলগুলো পেঁচিয়ে খোঁপা করুন।  

৩। এই খোঁপাটি একটি রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে ফেলুন। খোঁপাটি কিছুটা বড় করে করবেন।

৪। আঙ্গুল দিয়ে খোঁপার সামনে এবং পিছনের চুলগুলো এলোমেলো করে দিন।

৫। সালোয়ার কামিজের সাথে বেশ মানিয়ে যায় এই খোঁপাটি।

এজি নট মেসি বান

১। সবগুলো চুল পিছনে পনিটেলের মত করে নিয়ে আসুন।

২। এরপর পেঁচিয়ে নিয়ে একটি নট করুন (ভিডিও অনুযায়ী)।

৩। একটি রাবার ব্যান্ড দিয়ে চুলটি বেঁধে ফেলুন। বাকী চুলগুলো ক্লিপ দিয়ে বেঁধে ফেলুন।

৪। ব্যস হয়ে গেল এজি নট মেসি বান।

সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬

ঘর থেকে ইঁদুর দূর করে ফেলুন ৫টি কৌশলে

ranna banna o beauty tips
ঘর থেকে ইঁদুর দূর করে ফেলুন ৫টি কৌশলে
তেলাপোকার মত ঘরের আরেকটি যন্ত্রণাদায়ক উপদ্রব হল ইঁদুর। কাপড়চোপড় থেকে শুরু করে বইপত্র এমনকি রান্নাঘরে রাখা চালও কেটে খেয়ে ফেলে ইঁদুর। শুধু কাটাকুটি করে ইঁদুর ক্ষান্ত হয় না নানান ধরণের অসুখ ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে। বাজারের ইঁদুর মারার ওষুধ দিয়ে অনেক সময় ইঁদুর দূর করা যায় না। ঘরে থাকা টুকিটাকি জিনিস দিয়ে ইঁদুর চিরতরে দূর করা সম্ভব। আসুন তাহলে উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।  

১। তেজপাতা

ইঁদুর মনে করে তেজপাতা তাদের খাবার। এটি মনে করে তারা তেজপাতা খেয়ে থাকে, কিন্তু তেজপাতা ইঁদুর মেরে ফেলে। ইঁদুর আসা যাওয়ার স্থানে কিছু পরিমাণ তেজপাতা রেখে দিন।

২। গোল মরিচের ব্যবহার

গোলমরিচের গন্ধ ইঁদুর একেবারেই সহ্য করতে পারে না। গোলমরিচের  ঝাঁঝ পূর্ণ ঘ্রাণ ইঁদুরের ফুসফুসে গেলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। একটা সময় শ্বাস বন্ধে হয়ে মারা যায়। যে সকল স্থানে ইঁদুরের উপদ্রব বেশী বা ইঁদুরের আবাস রয়েছে মনে করছেন সেসকল স্থানে গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে রাখুন।

৩। পেঁয়াজের রস

রান্নার অপরিহার্য উপাদান পেঁয়াজ। রান্না করা ছাড়াও পেঁয়াজ দিয়ে দূর করতে পারেন ইঁদুর। ইঁদুর খুব সহজেই পেঁয়াজে কামড় দিয়ে বসে। ইঁদুর আছে এমন স্থানে পেঁয়াজ রেখে দিন। কিছুদিনের মধ্যেই ইঁদুর দূর হয়ে যাবে।

৪। ন্যাপথলিন

কাপড়কে পোকার হাত থেকে রক্ষার জন্য ন্যাপথলিন ব্যবহার করা হয়। এই নেপথলিন ইঁদুর দূর করতেও বেশ কার্যকর। ইঁদুর আসার স্থানে কয়েকটি ন্যাপথলিন রেখে দিন।

৫। পিপারমিন্ট অয়েল

ইঁদুর দূর করতে পিপারমিন্ট অয়েল অনেক কার্যকরী। ঘরে পিপারমিন্ট অয়েল একটি তুলোর বলে লাগিয়ে ইঁদুরের স্থানে রেখে দিন এছাড়া ঘরে এমনিতেই ছড়িয়ে রাখলে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। পিপারমিন্ট অয়েলের পরিবর্তে পুদিনা পাতা ছেঁচে অলিভ অয়েলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন এবং ঠান্ডা করে ব্যবহার করুন। ইঁদুর পুদিনাপাতার গন্ধ সহ্য করতে পারে না।

কিভাবে চিনবেন বিউটি প্রডাক্টসের আসল-নকল

ranna banna o beauty tips
কিভাবে চিনবেন বিউটি প্রডাক্টসের আসল-নকল
বিভিন্ন রকমের প্রসাধনী সৌন্দর্য্য প্রিয় নারীদের প্রিয় সঙ্গী এখন। লিপস্টিক, নেইলপলিশ, কাজল ইত্যাদি বিভিন্ন সৌন্দর্য্যবর্ধক পণ্য আমরা হরহামেশাই কিনি। কিন্তু প্রায়ই ঘরে ফিরে দেখি যেমন রিভিউ দেখেছিলাম অনলাইনে পণ্যটি মোটেও তেমন নয়। কষ্ট করে পয়সা খরচ করে নকল পণ্য কিনে ফেলেছেন আপনি। তখন নিজের উপর কি রাগটাই না হয়। কিন্তু অপ্রত্যাশিত এই পরিস্থিতি বদলে দিতে পারেন আপনি নিজেই। আসুন জেনে নিই বিউটি প্রডাক্টস এর আসল নকল চেনার চতুর কিছু কৌশল-

একমাত্র অনুমোদিত বিক্রেতার কাছ থেকে পণ্য কিনুন
দোকান বড় হলেই কিন্তু পণ্য নির্ভেজাল হয় না। আপনি যে ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে চান তাদের অফিসিয়াল সাইটে প্রবেশ করে দেখে নিন দেশের কোথায় কোথায় তাদের অনুমোদিত বিক্রয়স্থল রয়েছে। শুধু এসব জায়গা থেকেই পণ্য কিনুন। সহজেই বাঁচতে পারবেন নকল থেকে।

প্যাকেজিং এর দিকে নজর দিন
পণ্যের প্যাকেট, লোগোর অবস্থান সব কিছুর দিকে নজর দিন। কিছু না কিছু বৈসাদৃশ্য আপনি পাবেন। হয়ত আপনি ম্যাক ব্র্যান্ডের একটি লিপস্টিক কিনতে যাচ্ছেন। দেখুন লোগোটি ঠিক একই জায়গায় বসানো কিনা। আসল ম্যানুফেকচারিং কোম্পানির সকল প্রডাকশন একই রকম হয়। কোন হেরফের থাকে না।

বারকোড, সিরিয়াল নাম্বার এবং ম্যানুফেকচারিং তথ্য চেক করুন
আপনার প্যাকেটের সিরিয়াল নাম্বার এবং ভেতরের পণ্যের সিরিয়াল নাম্বার মিলিয়ে নিন। নকল পণ্যে দেখা যায় কোন একটি সিরিয়াল নং মিসিং থাকে। আবার বারকোড প্রথম ২/৩ ডিজিটে গরমিল থাকতে পারে। প্যাকেট এবং পণ্যে মিল পাবেন না পণ্য নকল হলে। আসল পণ্যে অবশ্যই উৎপাদন তারখ এবং মেয়াদ দেওয়া থাকবে। সেগুলোও লক্ষ্য করুন।

রং খেয়াল করুন
নকল আই শ্যাডো, ব্লাশ, লিপস্টিক এবং পাউডার দেখা যায় আসল পণ্যের মত একই রঙের হয় না। আগেই ম্যানুফেকচারিং কোম্পানির সাইট থেকে রঙগুলো চিনে নিন। অতিরিক্ত উজ্জ্বল রং বা ফ্যাকাসে রং সবই যাচাই করে দেখুন।

ঘ্রাণ খেয়াল করুন
ব্র্যান্ডের পণ্যে কখনোই এমন কোন উপাদান ব্যবহার করা হয় না যা আপনার বিরক্তির কারণ হতে পারে। পণ্যের ঘনত্ব, ঘ্রাণ সবকিছুতে একটি স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখা হয়। তাই যখনই উৎকট গন্ধ বা এমন কোন ঘ্রাণ অনুভব করছেন যা ভাল লাগছে না তখনই আগে যাচাই করুন।

ব্রাশ এবং স্পঞ্জ চেক করুন
প্যাকেজিং এবং অন্যান্য সব কিছু ঠিক থাকার পরও আপনার মেকাপ পণ্যটি নকল হবার সুযোগ থেকেই যায়। এবার পরীক্ষা করুন আপনার পণ্যটির সাথে সে জিনিসগুলো দেওয়া হয়, যেমন- মেকাপ ব্রাশ, স্পঞ্জ। নকল পণ্যে এগুলো খুবই নিম্নমানের হয়।

রুক্ষ প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই ৫টি হেয়ারপ্যাক

ranna banna o beauty tips
রুক্ষ প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই ৫টি হেয়ারপ্যাক
ধুলোবালি, রোদ, হেয়ার ট্রিটমেন্ট বিভিন্ন কারণে চুল রুক্ষ, প্রাণহীন ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। রুক্ষ প্রাণহীন চুলে কোন হেয়ার স্টাইল  ভালো লাগে না। নিয়মিত চুলে ব্লো-ড্রাই, হেয়ার স্ট্রেটনার, রোলার ব্যবহার ও পার্ম করে আমরা নিজেরাই চুলের ক্ষতি করে যাচ্ছি। তবে এসব ছাড়াও সঠিক পরিচর্যার অভাবে চুলে রুক্ষভাব আসতে পারে। প্রাণহীন রুক্ষ চুলকে সিল্কি ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই প্যাকগুলো।

১। মধু, অলিভ অয়েল

এক টেবিল চামচ মধু, দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ ডিমের কুসুম একসাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ম্যাসাজ করে সম্পূর্ণ চুলে লাগান। ৩০ মিনিট চুলে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করবে।  

২। মধু এবং অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

১/৪ কাপ বিশুদ্ধ মধু এবং ১০ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার একসাথে মেশান। এটি চুলে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সম্ভব হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৩। টকদই এবং মধুর প্যাক

দুই টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক টেবিল চামচ মধু। সবগুলো উপাদান একসাথে মেশান। এবার এটি ম্যাসাজ করে সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৪। মধু এবং ভেজিটেবল অয়েল

মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। মধু আর ভেজিটেবল অয়েল চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি দিয়ে থাকে। দুই টেবিল চামচ মধু,  দুই টেবিল চামচ ভেজিটেবিল অয়েল মিশিয়ে নিন। এটি আপানার চুলে লাগিয়ে নিন। ১৫/২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

৫। মধু এবং কলার প্যাক

একটি পাকা কলা, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। চুল দুইভাগ করুন। তারপর এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। এটি চুলে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। কলা চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে শাইনি ঝলমলে করে তোলে।

মধু চুল আঠা আঠা করে তোলে। তাই শুধু মধু ব্যবহার না করে কোন না কোন উপাদানের সাথে মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। নিয়মিত এই প্যাকগুলো ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে সিল্কি এবং শাইনি।

সপ্তাহে ৭দিন ব্যবহার করুন ৭টি ভিন্ন ফেসপ্যাক

ranna banna o beauty tips
সপ্তাহে ৭দিন ব্যবহার করুন ৭টি ভিন্ন ফেসপ্যাক
ত্বক সচেতন নারীরা রূপচর্চায় নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন। শত ব্যস্ততার মাঝে দিনের কিছুটা সময় বের করেন ত্বকের যত্নের জন্য। একই ফেসপ্যাক বার বার ব্যবহার করার পরিবর্তে সপ্তাহে সাত দিন সাতরকম ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের অনেকগুলো সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে সাথে ত্বক হয়ে উঠবে নিখুঁত উজ্জ্বল। শনিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন এই প্যাকগুলো।    

১। শনিবার

সপ্তাহ শুরু করুন মধু এবং লেবুর ক্লিনজার দিয়ে। লেবু এবং মধু একসাথে মিশিয়ে নিন। এটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করেন। এই প্যাক ব্যবহারের পূর্বে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। ত্বকের কালো দাগ এবং সানবার্ন দূর করে দেবে এই প্যাকটি।

২। রবিবার

ত্বক পরিষ্কার করার পর ব্যবহার করুন স্ট্রবেরি প্যাক। স্ট্রবেরি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এটি চটকে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি ত্বক ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে স্ট্রবেরির সাথে দুধ বা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩। সোমবার

ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে টকদইয়ের জুড়ি নেই। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে ত্বক নরম কোমল করে তোলে এটি। সেনসিটিভ ত্বকের জন্য টকদই বেশ উপকারি। টকদই সরাসরি অথবা কোন প্যাকের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

৪। মঙ্গলবার

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বেসন বেশ কার্যকর। বেসন এবং দুধ একসাথ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি ত্বক থেকে কালো দাগ দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৫। বুধবার

ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য মুলতানি মাটির প্যাক অনেক কার্যকর। মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল একসাথে মেশান। এই প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করবে তার সাথে ব্রণের দাগ দূর করে দেবে।

৬। বৃহস্পতিবার

বৃহস্পতিবার ব্যবহার করুন হলুদের ফেসপ্যাক। ত্বকের প্রায় সবধরণের সমস্যা দূর করে দেয় হলুদের ফেসপ্যাক। হলুদ এবং দুধ একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন। হলুদের নির্যাস দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৭। শুক্রবার

সপ্তাহ শেষ করুন চালের পানি দিয়ে। চাল সিদ্ধ করার পর তার পানি ফেলে না দিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের কালো দাগ, মেছতার দাগ দূর করবে। এরসাথে বলিরেখা পড়া রোধ করবে।

খাসির মাংসের ভিন্ন ধর্মী কাবাব তৈরি করুন ঘরে

ranna banna o beauty tips
খাসির মাংসের ভিন্ন ধর্মী কাবাব তৈরি করুন ঘরে
“কাবাব” নামটা শুনলে জিভে পানি চলে আসে। শিক কাবাব বেশি খাওয়া হলেও খাসির কাবাবও অনেক জনপ্রিয় কাবাবপ্রেমীদের কাছে। গরুর মাংসে অনেকের অ্যালার্জি থাকা তারা  শিক কাবাব খেতে পারেন না। তারা খাসির মাংস দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন দারুন এই কাবাবটি।

উপকরণ:

১/২ কেজি খাসির মাংস

২ টেবিল চামচ কাঁচা পেঁপে

লবণ

১ টেবিল চামচ আদার কুচি

১ টেবিল চামচ রসুনের কুচি

২টি দারুচিনি

৮টি লবঙ্গ

৬টি গোলমরিচ

১/২ চা চামচ দারুচিনির গুড়ো

১/২ জয়ত্রী গুড়ো

তেজপাতা

১ টেবিল চামচ বেসন

১টি পেঁয়াজ বেরেস্তা

১/২ কাপ ধনেপাতা কুচি

৪-৫টি কাঁচা মরচি

১টি ডিম

প্রণালী:

১। তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, শুকনো কাঁচা মরিচ, জয়ফল জয়ত্রি গুড়ো, গোল মরিচের গুড়ো। লবঙ্গ, এলাচ, আদা কুচি, রসুন কুচি, কাঁচা পেঁপে সব একসাথে পেস্ট করে নিন।

২। মশলা গুড়ো হয়ে আসলে এতে ডিম এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে ফেলুন।

৩। খাসির কিমা মিহি করে বেটে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।

৪। এরপর খাসির কিমার সাথে লবণ, মশলার পেস্ট দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৫। এতে এক টেবিল চামচ বেসন মেশান।

৬। মিশ্রণটি দিয়ে চ্যাপ্টা করে কাবাবের আকৃতি করে নিন।

৭। কাবাবগুলো ফ্রিজে রেখে দিন ১০ মিনিটের জন্য।

৮। একটি প্যানে তেল মাঝারি আঁচে তেল গরম করতে দিন।

৯। তেল গরম হয়ে আসলে এতে কাবাবগুলো দিয়ে দিন। বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।

১০। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার মাটন গুটি কাবাব।

প্রেশার কুকারে তৈরি করুন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি

ranna banna o beauty tips
প্রেশার কুকারে তৈরি করুন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি
বিরিয়ানি নামটা শুনলে মাংস আর তেল, মশলা দেওয়া খাবারের কথা মনে পড়ে যায়। তেল মশলা কম দিয়েও বিরিয়ানি রান্না করা সম্ভব। নানারকম সবজি দিয়ে রান্না করে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি। প্রেশার কুকারে শীতের সবজি দিয়ে তৈরি করে নিন মজাদার সবজি বিরিয়ানি।

উপকরণ:

১ কাপ পোলাও চাল

৪টি লবঙ্গ

২টি দারুচিনি

১টি তেজপাতা

৮-১০ টি গোলমরিচ

১ চা চামচ জিরা

১/২ চা চামচ মরিচের গুঁড়ো

১ টেবিল চামচ ধনিয়া গুঁড়ো

২ টেবিল চামচ বিরিয়ানি মশলা

১/২ কাপ টকদই

১ কাপ পেঁয়াজ কুচি

১ টেবিল চামচ আদা রসুন কুচি

১/৪ কাপ ফুলকুপি

১/৪ কাপ বিনস

১/৪ কাপ গাজর কুচি

১/৪ কাপ আলু

১/৪ কাপ পুদিনা পাতা কুচি

১/৪ কাপ ধনেপাতা কুচি

তেল

লবণ

পানি

প্রণালী:

১। পোলাও চাল ভালো করে ধুয়ে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর পানি ফেলে দিন।

২। প্রেসার কুকারে তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হয়ে আসলে এতে তেজপাতা, এলাচ, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জিরা দিয়ে দিন।

৩। কিছুক্ষণ নাড়ুন তারপর এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।

৪। পেঁয়াজ বাদামী রং হয়ে আসলে এতে আদার পেস্ট, রসুনের পেস্ট, পুদিনা পাতা এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

৫। এরপর এতে আলু, গাজর, ফুলকুপি, বিনস দিয়ে দিন।

৬। সবজি রান্না হলে এতে লবণ, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, বিরিয়ানি মশলা এবং টকদই দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।

৭। এবার এতে চাল দিয়ে মশলার সাথে ৫ মিনিট নাড়ুন।

৮। এতে পৌনে দুই কাপ পানি দিয়ে প্রেসার কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে দিন।

৯। প্রেশার কুকারে হুইসেল দিলে চুলা বন্ধ করে দিন।

১০। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার সবজি বিরিয়ানি।

টিপস:

আপনি আপনার পছন্দমত সবজি দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করতে পারেন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.