Indian recipe লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Indian recipe লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

স্বাস্থ্যকর ১০ বর্ষাকালীন স্ন্যাকস

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর ১০ বর্ষাকালীন স্ন্যাকস
প্রচণ্ড গ্রীষ্মের পর বর্ষার আগমন মানে সুখসময়। ভেজা ঋতুর আগমনে জিভও চায় ক্রাঞ্চি টেস্ট। মসলা চায়ে চুমুক আর এক বাটি ফ্রাইড স্ন্যাকস নিয়ে জানালায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে জম্পেশ লাগে। বর্ষার সময় ডুবো তেলে ভাজা স্ন্যাকসগুলো বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু যদি স্বাস্থ্য আর বর্ষা উপভোগ দুটোই ঠিক রাখতে চান তাহলে বর্ষার স্ন্যাকসগুলোর পরিবর্তণ আনতে পারেন। দেখে ফেলা যাক বর্ষা মৌসুমের কিছু সহজ ও ইয়াম্মি স্ন্যাকস আইডিয়া –

রোস্টেড সয়া আমন্ড
এক কাপ আমন্ড দুই চা-চামচ তামারিতে (প্রাকৃতিকভাবে জারিত সয়াসস) ঝাঁকিয়ে নিন। একটি অয়েলড বেকিং সিটে রেখে একশো ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রোস্ট করুন। মাঝে মধ্যে নেড়ে দিন। সোনালী রঙ আসা পর্যন্ত ১০-১৫ মিনিট এভাবে রোস্ট করুন। খুব সহজে তৈরি স্ন্যাকসটি উচ্চ প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ।

সি-সল্ট পপকর্ন উইথ সুপার সিডস
একটি পাত্রে দুই কাপ পপকর্ন ১/২ চা-চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে ওলট-পালট করে নিন। আধ চা-চামচ সি-সল্ট ও এক টেবিলচামচ টোস্ট করা সূর্যমুখীর বীজ পপকর্নের পাত্রে যোগ করুন। এবার এয়ারটাইট জারে ভরে ব্যাগে রেখে দিন। পথে-ঘাটে বর্ষাকালীন ক্ষুধার মেটাতে মন্দ হবে না!

চিলি স্প্রেড পামপকিন সিডস
এক কাপ কুমড়ার বিচির সঙ্গে দুই চা-চামচ অলিভ অয়েল, ১/২ চা-চামচ চিলি পাউডার  ও ১/৪ চা-চামচ সি-সল্ট মেশান। ৮-১০ মিনিট নেড়ে মচমচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। রাতে ঘুম না পেলে ক্রিসপি এ স্ন্যাকস পট বের করে চিবাতে শুরু করুন। এতে রয়েছে ট্রিপটোফেন। যা শরীর সেরোটোনিনে রূপান্তর করে। যা পরে ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনে রূপান্তর হয়।

আপেল স্যান্ডুইচ
কাটার দিয়ে আস্ত আপেলের উপরে বোঁটার অংশ থেকে নিচ পর্যন্ত মাঝের বিচির অংশটা বের করে আনুন। আপেলের শেপ ঠিকই থাকবে, শুধু মাঝের বিচির অংশ গোল হয়ে বেরিয়ে আসবে। এবার আড়াআড়িভাবে আপেলটি মোটা মোটা স্ল‍াইস করুন। একটি স্লাইসের উপর পিনাট বাটার ল‍াগান। চাইলে দারুচিনি ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার আরেকটি স্লাইস বসিয়ে চেখে দেখুন।

স‍ুইট পটেটো স্ট্রিপস
একটি মিষ্টি আলু দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পাতলা করে কাটুন। দুই চা-চামচ অলিভ অয়েল মাখিয়ে অয়েলড ননস্টিক বেকিং শিটে রেখে একশো ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ২০ মিনিট রোস্ট করুন। খাওয়ার সময় লবণ ছড়িয়ে দিন। এয়াটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করা যাবে।

ক্রিসপি সেলারি স্টিকস
১/৪ কাপ গ্রিক ইয়োগার্ট দুই টেবিলচামচ টুকরো টুকরো করা ব্লু  চিজের সঙ্গে মেশান। এবার সেলারি স্টিকের ওপর মিশ্রণটি ঢেলে দিন। প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাকসটি যেকোনো সময়ে খেতে পারেন।

টমেটো পিজ্জা
তিনটি মাঝারি সাইজের টমেটো অর্ধেক করে কাটুন। এক টেবিলচামচ পারমিসান চিজ ছড়িয়ে দিন। এবার ১/২ চা-চামচ বালসামিক ভিনেগার ছড়িয়ে এক চা-চামচ পুদিনা কুচি দিয়ে টেস্ট করুন।

চিজ এন্ড ওয়ালনাট স্টাফড ডেট
চারটি খেজুর মাঝখান থেকে ফেড়ে নিন। এক টেবিলচামচ গট চিজ খেজুরগুলোর মাঝখানে ভরে নিন। এবার টপার হিসেবে টোস্টেড আখরোট দিয়ে তৈরি করুন ইয়াম্মি ও পুষ্টিকর বর্ষাকালীন স্ন্যাকস।

গ্রিলড ফ্রুট সালাদ
পিচ, আপেল ও অ‍ানারস কিউব করে কাটুন। এবার লেবুর রস ছড়িয়ে মিক্স করে নিন। কাঠিতে কিউবগুলো গেঁথে ১০ মিনিট গ্রিল করুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

এয়ার ফ্রাইড পেস্তা
আধ কাপ পেস্তা সি-সল্ট দিয়ে এয়ার ফ্রাই করুন। তারপর আর কিছুই না, এক কাপ গরম চা আর এয়‍ার ফ্রাইড পেস্তা নিয়ে জানালার ধারে বসে বৃষ্টি উপভোগ করুন।

সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬

গরম প্রাণ জুড়াতে ঝটপট ম্যাঙ্গো ডিলাইট

ranna banna o beauty tips
ম্যাঙ্গো ডিলাইট
বাজারে খুঁজলে এখনই পাওয়া যাবে কিছু কিছু পাকা আম। একেবারে প্যাচপ্যাচে এই গরমের এই দিনে আপনি যদি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কোনো ডেজার্ট খেতে চান, তাহলে তৈরি করে নিতে পারেন মৌসুমের স্বাদে ম্যাঙ্গো ডিলাইট। সহজ এই রেসিপিতে খাবার তৈরির জন্য আপনাকে পাকা রাঁধুনি হতে হবে না। একদম অল্প কিছু উপাদানে খুব কম সময়ে তৈরি হয়ে যাবে চোখ জুড়ানো ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা এই ডেজার্ট।

উপকরণ

- ১ কাপ হেভি হুইপিং ক্রিম
- ১ চা চামচ ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট
- ৩ টেবিল চামচ অথবা স্বাদমতো গুঁড়ো চিনি
- ১ কাপ পাকা আমের পাল্প
- কয়েক টুকরো আম গার্নিশের জন্য
- পুদিনা পাতা গার্নিশের জন্য

প্রণালী
১) একটা পরিষ্কার, ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করা বোলে হেভি ক্রিম নিন এবং মিডিয়াম স্পিডে আধা মিনিট হুইপ করে নিন যাতে ঘন হয়ে আসে।
২) ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট এবং গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে বিট করুন যতক্ষণ না “স্টিফ পিক” তৈরি হয়।
৩) সার্ভিং গ্লাস বা বাটিতে বড় এক চামচ হুইপড ক্রিম দিন। গ্লাসটা ধীরে ধীরে টেবিলে ঠুকে সমান করে নিন ক্রিম। এবার ওপরে এক স্তর আমের পাল্প দিয়ে নিন। আবারও সমান করে নিন।
৪) এবার ওপরে অল্প করে হুইপড ক্রিম দিন। একটু পুদিনা এবং কয়েক টুকরো আম দিয়ে পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা!

ওভেন ছাড়াই তৈরি করে ফেলুন সুস্বাদু গার্লিক ব্রেড

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু গার্লিক ব্রেড
প্রতিদিন সকালের নাস্তায় যে খাবারটি প্রায় সব বাসায়ই খাওয়া হয়, তা হল পাউরুটি। বাজারের অস্বাস্থ্যকর পাউরুটি খাওয়াটা অনেকেরই অপছন্দের। আবার পাউরুটি ওভেন ছাড়া তৈরি করা যায় না বলে, ইচ্ছা থাকলেও পাউরুটি ঘরে তৈরি করতে পারেন না। এই সমস্যার সমাধান করে দেবে আজকের এই রেসিপি। ওভেন ছাড়াই তৈরি করে নিতে পারবেন গার্লিক ব্রেড।

উপকরণ:
  • ২ কাপ ময়দা
  • ১ চা চামচ ইস্ট
  • ৩/৪ কাপ গরম পানি
  • ১ টেবিল চামচ চিনি
  • ৩/৪ চা চামচ লবণ
  • ২ টেবিল চামচ তেল
  • গার্লিক বাটার তৈরির জন্য
  • ২ টেবিল চামচ মাখন
  • ৪ কোয়া রসুন কুচি
  • লবণ স্বাদমত
  • গোলমরিচ গুঁড়ো
  • ১ চা চামচ ওরিগেনো, বেসলি এবং পার্সলি পাতা গুঁড়ো


প্রণালী:

১। একটি পাত্রে ১/২ কাপ গরম পানি, চিনি এবং ইস্ট মিশিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন।
২। ৫ মিনিট পর পানিতে বুদবুদ উঠলে এতে ময়দা, তেল, লবণ এবং বাকী ১/৪ কাপ পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।  
৩। ডো নরম হয়ে গেলে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট অথবা সুতির কাপড় দিয়ে ২ ঘন্টা ঢেকে রাখুন।
৪। আরেকটি পাত্রে রসুন কুচি, মাখন, ওরিগেনো, ব্রাসলি,পার্সলি পাতা গুঁড়ো, লবণ এবং গোল মরিচ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৫। এবার ডোটিকে দুই ভাগ করে নিন। এবার একটি ভাগ নিয়ে বড় রুটির মত বেলে নিই।
৬। রুটির মাঝে মাখন রসুনের মিশ্রণটি দিন। এবার রুটিটি রোল করুন।
৭। রোল করা রুটিটি ছুড়ি দিয়ে কয়েক টুকরো করে নিন।
৮। এখন নন-স্টিক প্যানে তেল দিয়ে কাটা ডোর টুকরোগুলো দিন।
৯। একটি কাপড় দিয়ে প্যানের ঢাকনাটি পেঁচিয়ে নিন, তারপর সেটি দিয়ে প্যানটি ঢেকে দিন।
১০। এবার প্যানটি গরম কোন স্থানে এক ঘন্টা রেখে দিন। এক ঘন্টা পর দেখবেন ডোটি ফুলে ডাবল হয়ে গেছে।
১১। এবার অল্প আঁচে প্যানটি ১০-১২ মিনিট চুলায় রাখুন।
১২। ১০ মিনিট পর পাউরুটির পাশ পরিবর্তন করে ৫-৬ মিনিট রান্না করুন।
১৩। দুই পাশ সোনালী রং হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করুন।
১৪। পাউরুটির উপরে মাখন ব্রাশ এবং ধনেপাতা কুচি করে নামিয়ে ফেলুন।
১৫। ব্যস তৈরি হয়ে গেল গার্লিক ব্রেড।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৬

ঝটপট হালকা স্ন্যাক্স অনিয়ন রিংস

ranna banna o beauty tips
অনিয়ন রিংস
স্ন্যাক্সের কথা চিন্তা করলেই ভয় লাগে। একদিকে অনেক অনেক ক্যালোরির ভয়, আরেকদিকে হরেক রকমের উপকরণ আর আয়োজন নিয়ে চিন্তা। কিন্তু এই স্ন্যাক্স তৈরিতে আপনার আদতে কিছুই লাগবে না। বাড়িতে ময়দা, পিঁয়াজ, তেল আর কিছু মশলা থাকলেই চোখের পলকে তৈরি করে ফেলতে পারবেন দারুণ মুচমুচে নাশতা। চলুন দেখে নেই অনিয়ন রিংস এর রেসিপিটি।

উপকরণ

- পৌনে এক কাপ ময়দা
- সিকি কাপ কর্ন ফ্লাওয়ার
- সিকি চা চামচ গার্লিক পাউডার
- আধা চা চামচ শুকনো মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ চাট মশলা
- এক চিমটি বেকিং সোডা
- লবণ স্বাদমতো
- সিকি কাপ ফেটানো টক দই
- ২টা বড় পিঁয়াজ, মোটা রিং করে কাটা
- ১ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব
- ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল

প্রণালী

১) পিঁয়াজ রিং করে কেটে রিংগুলোকে ছাড়িয়ে নিন। এগুলোকে আলাদা করে রাখুন।
২) একটা বোলে ময়দা, কর্ন স্টার্চ, মরিচের গুঁড়ো, বেকিং সোডা, লবণ, এক টেবিল চামচ ব্রেড ক্রাম্ব এবং দই মিশিয়ে নিন। ঘন করে ব্যাটার তৈরি করুন। দরকার হলে অল্প করে পানি দিন। ব্যাটার তৈরি হলে এতে গার্লিক পাউডার দিয়ে দিন এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৩) একটা বাটিতে ১ টেবিল চামচ ময়দা নিন। এই বাটিতে পিঁয়াজের রিংগুলোকে নিয়ে একটা প্লেট দিয়ে ঢেকে দিন। এবার ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এতে সব পিয়াজে ময়দা মেখে যাবে।
৪) এবার ময়দা মাখা রিংগুলোকে ব্যাটার ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। এবার এগুলোকে ডিপ ফ্রাই করে নিন। ব্রেড ক্রাম্ব ছাড়া শুধু ব্যাটারে ডুবিয়েও এটা তৈরি করে নিতে পারেন।
 পছন্দের যে কোনো সসের সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম। 
ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬

ওভেনে কাচ্চি বিরিয়ানি

ranna banna o beauty tips
ওভেনে কাচ্চি বিরিয়ানি
উপকরণ: 
খাসির মাংস ২ কেজি। পোলাওয়ের চাল ১ কেজি। আলু আধা কেজি। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ। আদাবাটা ২ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। জিরাগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ। শুকনা মরিচগুঁড়া ৫টি। ঘি ১ কাপ। আধা কাপ তেল। টক দই দেড় কাপ। এলাচবাটা ১ চা-চামচ। দারুচিনি বাটা আধা চা-চামচ। লবঙ্গগুঁড়া ৪টি। জায়ফল গুঁড়া ১টি। জয়ত্রীগুঁড়া আধা চা-চামচ। কমলা রং (ইচ্ছা)। গোলাপ জল ২ টেবিল-চামচ। কেওড়ার জল ২ টেবিল-চামচ। জাফরান আধা চা-চামচ। আলু বোখারা ১০টি। কিশমিশ ৩ টেবিল-চামচ। গুঁড়া দুধ ৩ টেবিল-চামচ। লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: 
মাংস ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন এক ঘণ্টা। চুলায় গরম পানি বসিয়ে রাখবেন। পেঁয়াজ কেটে ভেজে রাখতে হবে।

আলুতে হালকা রং মাখিয়ে, তেলে ভেজে রাখতে হবে। চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখবেন। আলু ও ঘি ছাড়া বাকি সব উপকরণ মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।

ওভেন প্রিহিট করবেন।
তারপর যে পাত্রে রান্না করা হবে (স্টিলের বা ননস্টিকের সস প্যান হলে ভালো হয়) সে পাত্রে প্রথমে অর্ধেক মাংস বিছিয়ে দিতে হবে। তার উপর আলু ছড়িয়ে, অর্ধেকটা চাল ছড়িয়ে দেবেন। এভাবে আবার মাংস ও চাল দেবেন।

সবশেষে ঘিয়ের সঙ্গে অল্প গরম পানি, দুধ, মিশিয়ে ছড়িয়ে দেবেন উপর দিয়ে। চালের সমান গরম পানি দিন। লবণ ঠিক আছে কিনা দেখবেন।

ঢাকনা দিয়ে ভালো করে মুখ বন্ধ করে, ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে দুই ঘণ্টা বেইক করবেন। এক ঘণ্টা পর ১৫০ ডিগ্রিতে কমিয়ে নিয়ে আসবেন। কিছুক্ষণ পরে ঢাকনা খুলবেন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

মজার স্বাদে ইলিশ কাসুন্দি

ranna banna o beauty tips
ইলিশ কাসুন্দি 
মাছে ভাতে বাঙালির নতুন বছরের যাত্রা ইলিশ দিয়েই হতে হবে। সংস্কৃতি প্রেমি এ জাতির কাছে ইলিশ পান্তা রীতিমতো প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখের সকালে প্রতিটি বাঙালি যেন কাঁচা মরিচ, এক টুকরো পেঁয়াজ আর ইলিশ-পান্তা দিয়ে নিজেকে হালনাগাদ করিয়ে নেন। হ্যা, এবারের পহেলা বৈশাখেও ইলিশই খাবেন তবে স্বাদে থাকতে হবে নতুনত্ব। শিখে নিন মজার স্বাদে ইলিশ কাসুন্দির সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

ইলিশ মাছ ৬ টুকরা, কাসুন্দি আধা কাপ, হলুদগুঁড়া কোয়ার্টার চা-চামট, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ ৪ থেকে ৫টি, তেল কোয়ার্টার কাপ।

যেভাবে করবেন

কড়াইতে সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে মাছ টুকরোগুলো ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার একটি কড়াইয়ে মাখানো মাছ দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে দিন। ১৫ মিনিট পর মাছ সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন। ব্যাস হয়ে গেল মজার স্বাদে ইলিশ কাসুন্দি।

ঝটপট নাস্তা শানা পাকাড়ো

ranna banna o beauty tips
ঝটপট নাস্তা শানা পাকাড়ো
হঠাৎ করে মেহমান চলে এল, ঘরে তেমন কোন খাবার নেই। তখন কি করবেন? বাইরে যাবেন, নাস্তা কিনবেন, তারপর আপ্যায়ন করবেন? তারচেয়ে সহজ কোন কিছু ঘরে তৈরি করে ফেলুন। স্বল্প সময়ে অল্প কিছু উপাদান দিয়ে সহজে তৈরি করে নিতে পারেন শানা পাকোড়া! আসুন তাহলে জেনে নেওয়া মুড়মুড়ে শানা পাকাড়োর রেসিপিটি।

উপকরণ:

৪টি পেঁয়াজ কুচি
ধনেপাতা কুচি
২টি কাঁচা মরিচ কুচি
লবন স্বাদমত
১/২ চা চামচ জিরা
১/২ চা চামচ ধনিয়া
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ লাল শুকনো মরিচ
১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা
১.৫ কাপ বেসন
পানি
তেল ভাজার জন্য

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, ধনিয়া, কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ, জিরা, মরিচ গুঁড়ো, লাল শুকনো মরিচ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। তারপর এতে ময়দা অথবা বেসন এবং পানি দিয়ে ভাল করে মেশান। মিশ্রণটি যেন ঘন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
৩। প্যানে তেল গরম করতে দিন।
৪। তেল গরম হয়ে আসলে চামচ দিয়ে পাকোড়ার মিশ্রণটি ছোট ছোট বল করে দিয়ে দিন।
৫। বলগুলো বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।
৬। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মচমচে শানা পাকাড়ো। সস বা চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার এই খাবারটি।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

সুস্বাদু ও রসালো মুরগির রোস্ট

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু ও রসালো মুরগির রোস্ট
কোনো উপলক্ষ্যে খাবার আয়োজন মানেই মুরগির রোস্ট। বাড়ির সদস্যদের বায়না মেটাতে ছুটির দিনটিও হয়ে যায় এমনই এক উপলক্ষ্য। বাড়িতে, অতিথির আপ্যায়নে বা রেস্টুরেন্টে খাওয়া একই রোস্টে থাকে স্বাদের ভিন্নতা। নিজের হাতে রান্না রোস্ট কোনো কোনোদিন একটু বেশিই ভালো লেগে যায়। রসালো এমন মুরগির রোস্টের নাম শুনতেই জিভে পানি চলে আসে যে কারো। কিন্তু নিশ্চিতভাবে সুস্বাদু এবং রসালো মুরগিরে রোস্ট করার কৌশল জানা থাকলে আর চিন্তা কি? আসুন এক নজরে শিখে নেয়া যাক।

যা যা লাগবে

রোস্টের আকারে চার টুকরো মুরগির মাংস, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, টকদই ২ টেবিল চামচ, নারিকেল বাটা ১ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, বড় এলাচ ১টি, ছোট এলাচ ৩টি, তেজপাতা ২টি, জিরা বাটা আধা টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ, ২ কাপ পানি, তেল, লবণ স্বাদমতো, লবঙ্গ ৪টি, দারুচিনি ২ টুকরা।

যেভাবে করতে হবে

মুরগিগুলো ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তেল, পেঁয়াজ আর পানি ছাড়া রান্না পাত্রে সব মসলা দিয়ে মাংস ভালো করে মেখে নিন। আধা ঘণ্টা রেখে পানিসহ পাত্রটি চুলোতে উঠিয়ে দিন। এবার অল্প আঁচে দশ মিনিট রান্না করতে হবে। তারপর আলাদা একটি কড়াইয়ে আধা কাপ তেল গরম করুন। তেল গরম হলে মংসগুলোকে ঝোল থেকে উঠিয়ে ভেজে নিতে হবে। মাংস বাদামী রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। ভাজা হলে মাংসগুলোকে আবার সে ঝোলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। মাংসে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে আবার দশ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন রসালো মুরগির রোস্ট।

সুস্বাদু ভর্তার পদ

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু ভর্তার পদ
ভর্তা ভাতে বাঙালির খাবার- এ আর নতুন কি? তবে খাবারের এই রীতির মধ্যে প্রচলিত আছে রকমারি ভর্তার পদ। সবার পক্ষে তাই সব ভর্তার পদ জানার কথা না। জানলেও তা অনেক সময় সুস্বাদু হয় না। তাই আজ শিখে নেব প্রচলিত কিছু ভর্তাকে সুস্বাদু করার কৌশল। আসছে পহেলা বৈশাখে সাদা ভাতের সঙ্গে রকমারি ভর্তার পদে যেন আপনিই সেরা থাকেন। বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে অতিথিদের বাহবা পেতেও সুস্বাদু এসব ভর্তার তুলনা হয় না।

বেগুন ভর্তা

উপকরণ
বড় গোলবেগুন ১টি, সরিষা বাটা ১ চা চামচ, নারকেল মিহি বাটা ২ চা চামচ, টমেটো কুঁচি১ কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ, মেথি আধা কাপ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে করবেন
বেগুনের গায়ে তেল মাখিয়ে পুড়িয়ে নিন। এবার পানিতে রেখে খোসা ছাড়িয়ে মেখে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে মেথি ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি দিতে হবে। পেঁয়াজ একটু নরম হলে টমেটো সরিষা, নারকেল, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে বেগুন দিন। কড়াইয়ের তলা ছেড়ে এলে এবং একটু আঠালো হলে নামিয়ে নিতে হবে। হয়ে গেল বেগুন ভর্তা।

মসুর ডালের ভর্তা

যা যা লাগবে
মসুর ডাল ১ কাপ, পানি ৩ থেকে সাড়ে ৩ কাপ, রসুন কুঁচি আধা চামচ, ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি ১ চা চামচ, লবণ আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ফালি ২টি, সরিষা তেল ১ চা চামচ।

যেভাবে করবেন
ডাল, রসুন আর পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ঘন থকথকে হলে নামিয়ে আনুন। এবার স্বাদমতো লবণ আর বাকি উপকরণ দিয়ে মেখে ভর্তা করে নিন। পছন্দের আচার দিয়েও এই ভর্তা খেতে বেশ দারুণ।

টমেটো ভর্তা

যা যা লাগবে
ছোট টমেটো ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ মিহি কুঁচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ২টা, ধনেপাতা কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ১ চা চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন
শুকনো মরিচ তাওয়ায় টেলে বিচিসহ গুঁড়ো করে নিতে হবে। টমেটোর গায়ে তেল লাগিয়ে তাওয়ার ওপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। মাঝারি আঁচে চুলায় তুলে সব দিক সমানভাবে পুড়িয়ে নিলে বেশি ভালো হবে। ঠাণ্ডা হলে খোসা ছাড়িয়ে চটকে পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ, তেল, চিনি, লেবুর রস, ধনেপাতা দিয়ে মেখে ভর্তা করতে হবে।

টাকি মাছের ভর্তা

যা যা লাগবে
টাকিমাছ ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ পাতা ২ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, ধনে বাটা ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, হলুদ গুড়া সামান্য, মরিচ বাটা আধা চা চামচ।

যেভাবে করবেন
মাছ সেদ্ধ করে কাটা বেছে ১ কাপ মেপে নিতে হবে। তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা বাদামী রঙ করে ভেজে বাটা মসলা ও সামান্য পানি দিয়ে কষাতে হবে। কষানো হলে পেয়াজ পাতাসহ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার মাছ এবং লবণ দিয়ে নাড়ুন শুকনা হওয়া পর্যন্ত। এবার চুলা থেকে নামিয়ে হাত দিয়ে গোল গোল বল বানিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার টাকি মাছের ভাজা ভর্তা।

লাউশাক ভর্তা

যা যা লাগবে
লাউয়ের পাতা ৬ থেকে ৭টা, নারিকেল কুরানো ৪ চা চামচ, সরিষা ২ চা চামচ, সেদ্ধ কাঁচামরিচ ২টা, প্রয়োজনমতো লবণ।

যেভাবে করবেন
লাউশাক ভালো করে ধুয়ে মরিচসহ সেদ্ধ করুন। শাক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার কুরানো নারিকেল, সরিষা, লবণ, সেদ্ধ করা শাক ও কাঁচামরিচসহ পাটায় পিষে ভর্তা তৈরি করুন। ব্যাস হয়ে গেল মজাদার লাউশাক ভর্তা।

তোভার ডাল

ranna banna o beauty tips
তোভার ডাল
নিত্যদিনের খাবারগুলোর মধ্যে ডাল অন্যতম। অনেকেই ডাল ছাড়া খাবার খেতেই পারেন না। সাধারণত মসুরির ডালটা বেশি রান্না  করা হয়। অনেকে মুগ ডাল রান্না করে থাকেন মসুরি ডালের পরিবর্তে। অড়হর ডাল ঝামেলার কারণে অনেকেই রান্না করতে চান না। অথচ এই ডাল খেতে কিন্তু দারুণ। ভারতে গুজরাটে এই অড়হর ডাল দিয়ে একটি রান্না করা হয় "তোভার ডাল"। ভাত, রুটি সবকিছুর সাথে খেতে দারুন লাগে এই খাবারটি।
উপকরণ:
১/২ কাপ অড়হর ডাল
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ টি কাঁচা মরিচ
১/৪ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ কাপ টমেটো কুচি
১/৪ কাপ গুঁড়
লবণ স্বাদমত
১ টেবিল চামচ তেল
১ চা চামচ সরিষা
১/২ চা চামচ জিরা
২টি লবঙ্গ
১ টি ছোট দারুচিনি
৪-৫টি কারি পাতা
১/৪ চা চামচ হিং
১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ লেবুর রস
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

প্রণালী:
১। অড়হরের ডাল ১.৫ কাপ পানি দিয়ে প্রেশার কুকারে দিয়ে দিন। ৩টি শিষ দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সিদ্ধ হয়ে এলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলে ফেলুন।
২। রান্না করা ডালের সাথে ১ কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৩। এবার একটি প্যানে ব্লেন্ড করা ডাল, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ, আদা, টমেটো, গুঁড়, ১.৫ কাপ পানি এবং লবণ দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন।
৪। ডাল মাঝে মাঝে নাড়ুন।
৫। এখন আরেকটি প্যানে তেল গরম হয় এলে সরিষা, জিরা দিয়ে দিন। জিরা ফুটে আসলে এতে লবঙ্গ, দারুচিনি, কারি পাতা দিয়ে মাঝারি আঁচে কয়েক সেকেন্ড ভাঁজুন।
৬। এটি ফুটন্ত ডালে এটি দিয়ে দিন। এর সাথে হিং, মরিচ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে ৪ থেকে ৫ মিনিট রান্না করুন।
৭। সবশেষে লেবুর রস এবং ধনে পাতা কুচি দিয়ে ১-২ মিনিট নেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
৮। ভাত অথবা রুটির সাথে পরিবেশন করুন মজাদার তভার ডাল।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে


শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০১৬

স্ট্রবেরি জ্যাম

ranna banna o beauty tips
স্ট্রবেরি জ্যাম
আজকাল বাজারে একটি ফল খুব দেখা যায়, তা হল স্ট্রবেরি। মজাদার এই ফলটি দিয়ে নানা রকম খাবার তৈরি করা যায়। আইসক্রিম থেকে শুরু করে কেক পর্যন্ত সব রকম খাবার তৈরি করা যায় এই ফলটি দিয়ে। সকালের নাস্তায় রুটির সাথে জ্যাম খুব পরিচিত। কিন্তু বাজারের একই স্বাদের জ্যাম কত আর খাওয়া যায়! এরচেয়ে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার টক-মিষ্টি স্ট্রবেরি জ্যাম। অল্প কিছু উপাদান দিয়ে খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারেন এই জ্যামটি।
উপকরণ:
২ পাউন্ড স্ট্রবেরি
৪ কাপ চিনি গুঁড়ো
৩টি লেবুর রস
প্রণালী:
১। প্রথমে স্ট্রবেরি ভাল করে ধুয়ে মুখ কেটে নিন।
২। এবার একটি পাত্রে স্ট্রবেরিগুলো নিয়ে ভাল করে ম্যাশ করে নিন। ৪ কাপ পরিমাণে স্ট্রবেরি ম্যাশ করে নিন।
৩। একটি প্যানে ম্যাশ করা স্ট্রবেরি, চিনি এবং লেবুর রস দিয়ে চুলা দিয়ে দিন।
৪। অল্প আঁচে মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন, যতক্ষণ না চিনি গলে মিশে যায়।
৫। চিনি গলে গেলে চুলার তাপ বাড়িয়ে দিয়ে বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৬। মিশ্রণটি ঘন হওয়া অর্থ্যাৎ ২২০ ডিগ্রী ফারেনহাইট অথবা ১০৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছানো পর্যন্ত জ্বাল দিন।
৭। এবার ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে জ্যাম জারে ঢেলে দিন।
৮। গরম জ্যাম ঠান্ডা করে সংরক্ষণের জন্য একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি নিয়ে এতে জ্যামের জারগুলো রেখে দিন।
৯। যদি সাথে সাথে জ্যাম না খান, তবে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

ক্যারট রোল কেক

ranna banna o beauty tips
ক্যারট রোল কেক
মজাদার একটি সবজি গাজর। সালাদ, রান্না করা ছাড়াও এই গাজর দিয়ে তৈরি করা যায় মজার মজার সব খাবার। সাধারণত গাজরের হালুয়া, গাজরের পায়েস, গাজরের লাড্ডু বেশ পরিচিত। কিন্তু এই গাজর দিয়ে এক প্রকার কেক তৈরি করা হয়, যা ক্যারট কেক নামে পরিচিত। গাজর দিয়ে কেক অনেকই তৈরি করে থাকেন। ক্যারট কেক রোল একটু ভিন্ন ধরণের, ভিন্ন স্বাদের হয়ে থাকে।
উপকরণ:
কেক তৈরির জন্য
৩টি ডিম
২/৩ কাপ চিনি
১/২ চা চামচ লবণ
১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
২ টেবিল চামচ তেল
১ টেবিল চামচ লেবুর রস
২ কাপ গাজর কুচি
৩/৪ (১০০গ্রাম) কাপ ময়দা  
১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার
১/২ চা চামচ বেকিং সোডা
২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
১ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ চা চামচ জয়ফল গুঁড়ো
ফিলিং তৈরির জন্য
১ কাপ (২৪০ মিলিগ্রাম) ক্রিম
৮ আউন্স( ২৫০ গ্রাম) চিজ
১/২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
১/২ কাপ(৬০ গ্রাম) চিনির গুঁড়ো
১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
প্রণালী:
১। প্রথমে ওভেন ৩৫০ ফারেনহাইট অথবা ১৮০ সেলসিয়াসে প্রিহিট করে নিন।
২। একটি পাত্রে ডিম, চিনি, লবণ এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভাল করে বিট করে নিন। হলুদ রঙের ফেনা না উঠা পর্যন্ত বিট করতে থাকুন।
৩। এরপর এতে তেল দিয়ে আবার বিট করুন। গাজর কুচি এবং লেবুর রস দিয়ে আবার বিট করুন।
৪। এবার ময়দা, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, দারুচিনি গুঁড়ো, আদা কুচি এবং জয়ফল গুঁড়ো গাজরের সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ভাল করে ময়দা মিশিয়ে নিবেন। অনেক সময় গাজর নরম হয়ে যেতে পারে অথবা বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে। নরম হয়ে গেলে এতে ১/২ কাপ অথবা ১/৪ কাপ ময়দা মিশিয়ে নিতে পারেন।
৫।  এখন বেকিং পাত্রে মাখন লাগিয়ে নিন। এরপর উপর বেকিং পেপার দিয়ে চিনি ছিটিয়ে নিন। তারপর কেকের মিশ্রণটি দিয়ে ১৫ মিনিট বেক করুন।
৬। কেকটি রোল করার জন্য একটি কিচেন টাওয়েলের উপর চিনি ছিটিয়ে কেকটি রাখুন। কেকের উপর চিনি ছিটিয়ে রোল করুন।
৭। ক্রিম বিটার দিয়ে বিট করে নিন। আরেকটি পাত্রে চিজ, চিনির গুঁড়ো, দারুচিনি এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে বিট করে নিন। ক্রিমের সাথে এই মিশ্রণটি মিশিয়ে ফেলুন।
৮। রোল করা কেকটির ভাঁজ খুলে এর মাঝে ক্রিমের মিশ্রণটি দিয়ে দিন।
৯। এখন রোল করা কেকটি ফ্রিজে সারা রাত অথবা কয়েক ঘণ্টা রাখুন।
১০। উপরে চিনির গুঁড়ো ছিটিয়ে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের মজাদার ক্যারট কেক রোল।
টিপস:
১। আপনি চাইলে ফিলিংটা বাদ দিয়ে শুধু ক্যারট কেক তৈরি করে নিতে পারেন।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

বুধবার, ২ মার্চ, ২০১৬

ঝাল ঝাল স্বাদে "মাশরুম মাসালা"

ranna banna o beauty tips
ঝাল ঝাল স্বাদে "মাশরুম মাসালা"
প্রচুর প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা স্বাস্থ্যকর একটা খাবার মাশরুম। কিন্তু সাধারণ স্যুপ বা পাকোড়া ছাড়া মাশরুম কী করে রান্না করতে হয় তা অনেকেই জানেন না। আর দেশি খাবারের মতো করে রান্না করা যায় না বলে অনেকেই আগ্রহ দেখান না। আজ দেখে নিন মাশরুম দিয়ে তৈরি ঝাল ঝাল একটা সবজি রেসিপি। একদম দেখি খাবারের মতোই কাঁচামরিচ এবং মশলা দিয়ে রান্না করে ফেলতে পারবেন আপনিও। দেখে নিন সহজ রেসিপিটি।

উপকরণ

- ২৫০ গ্রাম মাশরুম, মোটা করে স্লাইস করা
- সিকি চা চামচ সরিষা
- আধা কাপ টমেটো পিউরি
- ১টা মাঝারি পিঁয়াজ, মিহি কুচি করা
- ২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- ৪টা অথবা স্বাদমতো কাঁচামরিচ, মাঝখান থেকে চেরা
- লবণ স্বাদমতো
- ১ চা চামচ জিরা
- কয়েকটা কারী পাতা
- ১ চা চামচ জিরা গুরপ
- ১ চা চামচ গরম মশলা
- ২ চা চামচ অথবা স্বাদমতো মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ৩ টেবিল চামচ তেল
- ১টা কিউব করা ক্যাপসিকাম
- ২ টেবিল চামচ কুচি করা ধনেপাতা
- ২ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
- লেবুর রস অল্প
- গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- ৩টা রসুনের কোয়া কুচি
- ১ টেবিল চামচ মাখন

প্রণালী

১) একটা প্যান গরম করে এতে দিন দুই টেবিল চামচ তেল। তেল গরম হয়ে এলে এতে দিন সিকি চা চামচ সরিষা। সরিষা ফুটতে শুরু করলে এতে জিরা দিয়ে দিন। এরপর দিন ৪-৫টা কারী পাতা, কাঁচামরিচ, হলুদ গুঁড়ো এবং পিঁয়াজ কুচি। এর ওপর দিন আদা-রসুন বাটা এবগ্ন অল্প করে লবণ। এগুলোকে কষে নিন যতক্ষণ না আদা-রসুন বাটা ভালো করে রান্না হয়ে যায় এবং কাঁচা গন্ধটা চলে যায়। ৫ মিনিটের মতো লাগতে পারে।
২) এই মশলার মাঝে দিন জিরা গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং মরিচ গুঁড়ো। একই সাথে দিয়ে দিন ক্যাপসিকাম এবং টমেটো পিউরি। ভালো করে মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর দিয়ে দিতে পারেন মাশরুমগুলোও। ভালো করে নেড়ে নিন যাতে মাশরুম এবং ক্যাপসিকামে সব মশলা মেখে যায়। ঢেকে রান্না হতে দিন।
৩) মাশরুম এবং ক্যাপসিকাম রান্না হয়ে যাবে ৫ মিনিটের মাঝে। এ সময়ে লবণ চেখে দেখুন। খুব কম আঁচে চুলায় রাখুন তরকারিটা।
৪) এ সময়ে তৈরি করে নিন বাগার দেবার কিছু উপকরণ। ছোট একটা প্যানে মাখন গলিয়ে নিন। গলে গেলে এতে কয়েকটা কাঁচামরিচ, রসুনের কোয়া দিয়ে দিন। সুন্দর একটা ফ্লেভার উঠলে কারী পাতা, ধনেপাতা কুচি, লবণ এবং গোলমরিচ দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে সুগন্ধ উঠলে বুঝবেন এটা তৈরি।
৫) এবার কম আঁচে রাখা মাশরুমের তরকারীর ওপরে এটা ঢেলে মিশিয়ে নিন। নামানোর আগে ওপরে দিয়ে দিতে পারেন টাটকা লেবুর রস।
তৈরি হয়ে গেলো মাশরুম মাসালা। একে পরিবেশন করতে পারেন রুটি, পরোটা এবং নানের সাথে।
রান্নার পুরো প্রণালী টি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

স্পঞ্জ রসগোল্লা

ranna banna o beauty tips
স্পঞ্জ রসগোল্লা
বাঙালি মাত্রই “মিষ্টি” খেতে ভালোবাসে। আর মিষ্টির নাম শুনলে চোখের সামনে ভেসে উঠে গোল গোল রসে টুই টুম্বর রসগোল্লা। ডায়াবেটিসের কারণে অনেকেই রসগোল্লা খেতে পারেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে স্পঞ্জ রসগোল্লা। একটু হালকা মিষ্টি বলে সকলেই এটা খেতে ভালোবাসেন। বাসায় যতই চেষ্টা করেন না কেন দোকানের মত স্পঞ্জ রসগোল্লা কেন জানি হতে চায় না। দোকানের স্পঞ্জ মিষ্টির রহস্যটা তাহলে কি? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক দোকানের স্পঞ্জ মিষ্টির রহস্যটি।

উপকরণ:

১ লিটার দুধ
২ কাপ চিনি
২-৩ টেবিল চামচ লেবুর রস

প্রণালী:

১। চুলায় দুধ গরম করতে দিন। গরম করার সময় বার বার নাড়তে থাকুন।
২। লেবুর রসের সাথে ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে সেটি দুধে দিয়ে দিন।
৩। দুধ ফেটে ছানা হয়ে গেলে একটি পাতলা সুতির কাপড়ে পানি ঢেলে ছেঁকে নিন।
৪। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ছানা ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধু ছানাকে নরম করবে না, লেবুর ময়লাও দূর করে দেবে।
৫। এবার ছানা থেকে ভাল করে পানি বের করে নিন। আরও ভাল করে পানি বের করার জন্য ৩০ মিনিট কাপড়টি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখুন। লক্ষ্য রাখবেন ছানা যেন খুব বেশি ড্রাই না হয়ে যায়।
৬। এখন ১০ কাপ পানিতে দুই কাপ চিনি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।
৭। ছানা কাপড় থেকে বের করে নিয়ে ভাল করে মথে নিন।
৮। লক্ষ্য রাখবেন ছানাতে যেন পানি না থাকে আবার খুব বেশি ড্রাইও যেন না হয়ে যায়।
৯। এবার ছানাগুলো দিয়ে ছোট ছোট রসগোল্লা তৈরি করে নিন।
১০। চিনির সিরা বলক আসলে এতে রসগোল্লাগুলো দিয়ে দিন।
১১। চিনির সিরা প্রেসারে কুকারে করলে উচ্চ তাপে ১৫ মিনিট সময় ঠিক করে নিন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নাড়া দিন। তারপর আবার ঢাকনা দিয়ে দিন।
১২। ১৫ মিনিট পর রসগোল্লাগুলো রসসহ একটি পাত্রে ঢেলে দিন।
১৩। এভাবে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা রেখে দিন।
১৪। ৬-৭ ঘন্টা পর তৈরি হয়ে যাবে নরম নরম স্পঞ্জ রসগোল্লা।
রেছিপি টি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি ভালভাবে দেখতে পারেন 


শিখে নিন মহারাষ্ট্রের এই টমেটো রেসিপিটি

ranna banna o beauty tips
শিখে নিন মহারাষ্ট্রের এই টমেটো রেসিপিটি
শীত শেষ এই সময় টমেটো কিছুটা সস্তা এবং সহজলভ্য। টমেটো কেচাপ, টমেটো চাটনি, টমেটোর টক তৈরির সবচেয়ে ভাল সময় এখন। অনেকেই টমেটো কেচাপ তৈরি করে সংরক্ষণ করে থাকে। এই গরমে  ভাতের সাথে কোন টক জাতীয় খাবার থাকলে খেতে দারুন লাগে। টমেটোর টক অনেকেই অনেকভাবে রান্না করে থাকেন। সঞ্জীব কাপুরের এই টমেটোর টকের একটি ভিন্ন রেসিপি দিয়েছেন। সাধারণত মহারাষ্ট্রে এই রান্নাটি করা হয়ে থাকে।  আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মহারাষ্ট্রের এই  রেসিপিটি।

উপকরণ:
  • ৪টি সিদ্ধ টমেটো
  • ৮-১০ ধনেপাতা
  • ৭-৮টি রসুনের কোয়া
  • ১-২টি কাঁচা মরিচ
  • ১ টেবিল চামচ ঘি
  • ১ চা চামচ সরিষা
  • ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
  • ১ ইঞ্চি আদা
  • ১ চা চামচ জিরা
  • ১ চিমটি হিং
  • ৭-৯ টি কারি পাতা
  • ১ টেবিল চামচ চিনি
  • লবণ স্বাদমত
প্রণালী:
১। প্রথমে ধনেপাতা, রসুনের কোয়া, আদা, কাঁচা মরিচ এবং কিছু পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
২। এবার সিদ্ধ টমেটো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। টমেটো ছেঁকে পিউরি আলদা করে রাখুন।
৩। তারপর টমেটো পিউরি, ধনেপাতা, রসুনের মিশ্রণ এবং পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪। এখন একটি নন-স্টিক প্যানে ঘি দিয়ে দিন। এতে আস্ত সরিষা দিয়ে নাড়ুন।
৫। তারপর এতে জিরা, কারি পাতা, হিং দিয়ে দিন।
৬। এরপর এতে টমেটোর মিশ্রণটি ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ পর এতে চিনি এবং লবণ দিয়ে দিন।
৭। চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ থেকে ৭ মিনিট জ্বাল দিন।  
৮। পাত্রে ঢেকে পরিবেশন করুন মজাদার টমেটো সার।
রেছিপি টি ভালভাবে তৈরি করতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

কেবল শীতে কেন, বসন্তেও খেয়ে দেখুন হাঁস!

ranna banna o beauty tips
হাঁসের মাংস 
আর কদিন বাদেই কাঠ ফাটা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে জীবন। তাই শীতে যদি হাঁস খাওয়া না হয়ে থাকে, এখনোই সময় হাঁসের মাংস চেখে দেখার।, রেসিপি দিচ্ছেন শারমিন হক।    
উপকরণ -  
  • রাজ হাঁসের মাংস ১ কেজি (পরিমানমত) 
  • পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ 
  • পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ 
  • রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
  • আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
  • টমেটো পিউরি ২ কাপ
  • হলুদ গুঁড়ো ২ চা চামচ (ইচ্ছানুযায়ী বাড়াতে কমাতে পারেন)
  • মরিচ গুঁড়ো ৩ চা চামচ (ইচ্ছানুযায়ী বাড়াতে কমাতে পারেন)
  • ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ - জিরা গুঁড়ো ১চা চামচ
  • দারুচিনি ৩ টুকরা
  • এলাচ ৩ টুকরা
  • তেজপাতা ১টা
  • টমেটো কুচি ২ কাপ
  • লবণ (পরিমানমত)
  • কাচাঁ মরিচ ফালি ৪ টা
  • আস্ত কাচাঁ মরিচ ৮টা   


প্রস্তুত প্রনালী  
-একটা ডিসে কাচাঁ মরিচ বাদে সব মশলা দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে। 
 -এবার ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে।  
-১৫ মিনিট পর প্রেশার কুকারে দিয়ে কষাতে হবে।কষানো হলে তাতে রাজ  হাসেঁর মাংশ দিয়ে আবার কষাতে হবে। 
-পানি কমে গেলে একটু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন।কিছুক্ষণ পর ঢাকনা তুলে দেখুন। পানি কমে গেলে আবার পানি দিয়ে দিন।পানি কমে মাংস সিদ্ধ হলে তাতে আস্ত কাচাঁ মরিচ দিয়ে দিন।  ঝোল মাখা মাখা হলে ফালি করা কাচাঁ মরিচ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে গরম ভাত বা পোলাওর সাথে পরিবেশন করুন।    

টিপস হাসেঁর মাংস একটু বেশি কষাতে হয়। সাথে মশলাটাও ভাল করে কষাবেন মাংশ দেয়ার আগে। হাসেঁর মাংশ যত কষাবেন তত মজা হবে। 

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বাধাকপি দিয়ে বুটের ডাল

ranna banna o beauty tips
বাধাকপি দিয়ে বুটের ডাল 
শীতের অন্যতম একটি সবজি হল বাঁধাকপি। শীতকালে প্রায় সব বাসায় বাঁধাকপি ভাজি করা হয়। এমনকি বাঁধাকপি দিয়ে তরকারিও রান্না করা হয়ে থাকে! বাঁধাকপি কখনও বুটের ডাল দিয়ে ভাজি করেছেন? একটু ভিন্ন স্বাদের এই ভারতীয় ভাজি করে দেখতে পারেন। ভাত, পোলাও বা রুটি সবকিছুর সাথে খেতে দারুন লাগবে এই ভাজিটি।
উপকরণ:
২৫০ গ্রাম বাঁধাকপি কুচি
১/২ কাপ ভেজানো বুটের ডাল
২-৩ টেবিল চামচ তেল
১/২ চা চামচ সরিষা
১ চা চামচ জিরা
১ চিমটি হিং
৬-৮ টি কারিপাতা
১/৪ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো
১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ চিনি
২ টেবিল চামচ নারকেল কুচি
প্রণালী:
১। বুটের ডাল ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। কিংবা সারারাতও ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
২। একটি  প্যানে তেল গরম করতে দিন।
৩। তেল গরম হয়ে এলে এতে সরিষা দিয়ে দিন। সরিষা ফুটে উঠলে এতে জিরা, হিং এবং কারি পাতা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড নাড়ুন।
৪। এবার এতে ভেজানো বুটের ডাল দিয়ে দুই-তিন মিনিট নাড়ুন।
৫। তারপর এতে হলুদের গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
৬। এবার এতে বাঁধাকপি কুচি দিয়ে অল্প আঁচে ২ থেকে ৩ মিনিট রান্না করুন।
৭। লবণ এবং চিনি ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৮। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।
৯। ডাল সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে রান্না করুন।
১০। নারকেল কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বাঁধাকপি বুটের ডাল ভাজি।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.