skin care লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
skin care লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬

আপনার ত্বক কি তৈলাক্ত? তাহলে ব্যবহার করুন ঘরে তৈরি চন্দনের ফেস প্যাক

ranna banna o beauty tips
আপনার ত্বক কি তৈলাক্ত? তাহলে ব্যবহার করুন ঘরে তৈরি চন্দনের ফেস প্যাক
সূর্যের আলোয় বাইরে বের হলেই ত্বকে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা তৈরি হয়। তৈলাক্ত ত্বকের মানুষদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরো বেড়ে যায়। ত্বকের তেল চিটচিটে ভাব দূর করে উজ্জ্বলতা ও কমনীয়তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে চন্দনের ফেস প্যাক। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্যই আমাদের আজকের এই ফিচার।

যেভাবে তৈরি করবেন চন্দনের ফেস প্যাক :

-   ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সাথে ১ চা চামচ চন্দনের গুঁড়া এমং ১ চিমটি হলুদ গুঁড়া মেশান। সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মেশান।

-   এর সাথে সামান্য দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি যেন পাতলা হয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। দুধের পরিবর্তে গোলাপ জল ও ব্যবহার করতে পারেন।   

-   এবার এই প্যাকটি মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকানোর জন্য।

-   তারপর মুখে সামান্য পানির ছিটা দিন এবং আঙ্গুল দিয়ে বৃত্তাকারে ঘষতে থাকুন। তাহলে খুব সহজেই প্যাকটি উঠে যাবে।

-   এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং মুখটি মুছে নিন।

-   সপ্তাহে ১ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল হবে ও ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর হবে।

যে কারণে এই ফেস প্যাকটি কার্যকরী :

এই ফেস প্যাকটিতে মুলতানি মাটি থাকে যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়। এছাড়াও ত্বকের ধুলো-ময়লা ও মরা চামড়া দূর করে ত্বককে পরিষ্কার হতে সাহায্য করে মুলতানি মাটি। চন্দন ত্বককে ময়েশ্চারাইজ হতে সাহায্য করে এবং ত্বকে শীতল অনুভূতি দেয়। চন্দনে সেন্টানল নামক সক্রিয় উপাদান থাকে যা ত্বকের ছিদ্রগুলোকে সংকুচিত হতে সাহায্য করে প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে। হলুদে থাকে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান এবং দুধে থাকে এক্সফলিয়েটিং ও ত্বকের বর্ণ হালকা করার উপাদান। তাই চন্দনের এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করলে ত্বক নরম-কোমল হওয়ার পাশাপাশি ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততাও দূর হবে।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

ঘরে বসেই করুন পার্লারের মত ব্লিচ

ranna banna o beauty tips
ঘরে বসেই করুন পার্লারের মত ব্লিচ
দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ব্লিচের জুড়ি নেই। বিশেষ কোন অনুষ্ঠানের আগে অনেকেই ব্লিচ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকেন। সাধারণত পার্লারে ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহার করে ব্লিচ করা হয়। তবে ব্লিচিং ক্রিম অথবা ফেসিয়ালের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, বিধায় এটি ত্বকের ক্ষতি করে। আপনি চাইলে ঘরে করে ফেলতে পারেন ব্লিচিং। সহজে ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে ব্লিচিং করা সম্ভব। আসুন তাহলে উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

১। টকদই

হাতে কিছু পরিমাণ টকদই নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন একবার করুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পার্থ্যক দেখতে পাবেন। এছাড়া এক টেবিল চামচ টকদইয়ের সাথে আধা টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। এবার ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২। ওটমিল ব্লিচিং

দুই টেবিল চামচ ওটমিল, এক টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি মুখে সম্পূর্ণভাবে শুকাতে দেবেন না। কিছুটা নরম থাকতেই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

৩। বেসন

বেসন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর। বেসন এবং গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪। আলুর প্যাক       

আলুর খোসা ছড়িয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরসাথে গোলাপজল, মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আলু ত্বকের কালো দাগ দূর করে। এর সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৫। লেবু, মধু এবং দুধ

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক চা চামচ লেবুর রস,  এক চা চামচ মধু এবং আধা চা চামচ বাদাম তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী।

ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহারে টিপস:

১। ব্লিচ হল অ্যামোনিয়া, এমনকি বাজারে যে ক্রিম কিনতে পাওয়া যায় তাতেও এটি ব্যবহার করা হয়। তাই প্রতিদিন ব্যবহার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তিন সপ্তাহে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

২। ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহারের আগে ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। তবে ক্লিঞ্জিং মিল্ক ব্যবহার করবেন না।

৩। গাড় ত্বকের অধিকারীরা বেশিক্ষণ ত্বকে ব্লিচিং ক্রিম রাখবেন না। সর্বোচ্চ ১০ মিনিট ত্বকে রাখবেন।

মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬

চুল সিল্কি, খুশকিমুক্ত করবে বেসনের ৪ প্যাক

ranna banna o beauty tips
চুল সিল্কি, খুশকিমুক্ত করবে বেসনের ৪ প্যাক
রূপচর্চায় বেসনের ব্যবহার সেই আদিকাল থেকে হয়ে আসছে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ব্রণ, রোদে পোড়া দাগসহ ত্বকের কালো দাগ দূর করতে বেসনের প্যাক অনেক বেশি কার্যকর। বেসন শুধু ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হয়, তা কিন্তু নয় চুল ঝলমলে, সিল্কি করতে বেসনের জুড়ি নেই। বেসনের প্যাক চুলকে করে তুলে ঝলমলে, সিল্কি এবং স্বাস্থ্যোজ্বল। কীভাবে? জেনে নিন বেসনের কিছু কার্যকরী হেয়ার প্যাক।

১। চুলের গোড়া মজবুত করতে

৩ টেবিল চামচ বেসন

১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

১ টেবিল চামচ লেবুর রস

টকদই পরিমাণমত

টকদই, বেসন, লেবুর রস এবং অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। বেসন চুলের গোড়া মজবুত করে চুল সিল্কি করে তোলে।

২। চুলকে সিল্কি ও শাইনি করতে

১ টি ডিমের সাদা অংশ

২ টেবিল চাচামচ বেসন

১ চা চামচ টকদই

১/২ চাচামচ লেবুর রস

এই সবগুলো উপাদান দিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এরপর চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।এই হেয়ার প্যাকটি নিয়মিত করাতে চুল হয়ে উঠবে সিল্কি, শাইনি স্বাস্থ্যজ্জল ও সুন্দর।

৩। চুলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে

৪ চা চামচ বেসন

২ চা চামচ আমন্ড অয়েল

৬ চা চামচ টক দই

২ চা চামচ অলিভ অয়েল

সবগুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি চুলের গোড়ায় ভালো মতো লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার প্যাকটি ব্যবহার করুন। আর চুল যদি বেশি শুষ্ক এবং ড্যামেজ হয়ে থাকে তাহলে এর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল যোগ করতে পারেন। এই প্যাকটি আপনার চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতে সাহায্য করবে। চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর সাথে ১ বা ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪। শুষ্ক এবং খুশকি আক্রান্ত চুলের জন্য

বেসন

টকদই

বেসন এবং টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে করবে খুশকি মুক্ত।  

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০১৬

ব্রণ হলে ভুলেও করবেন না এই ৫টি কাজ

ranna banna o beauty tips
ব্রণ হলে ভুলেও করবেন না এই ৫টি কাজ
ব্রণ সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। ছেলে মেয়ে উভয়কে এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ব্রণের এই সমস্যা নিয়ে সবাই বেশ বিরক্ত। ব্রণ চলে গেলেও থেকে যায় এর জেদী দাগ। আর এই দাগ দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয় কত শত ক্রিম। অথচ আপনি কি জানেন ব্রণ স্থায়ী এবং ব্রণের দাগের জন্য কিছুটা আপনি দায়ী। আপনার কিছু অভ্যাসের কারণে ত্বকে ব্রণের দাগ স্থায়ী হচ্ছে। ব্রণ হলে কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

১। অতিরিক্ত মুখ ধোয়া

দিনে দুই বার মুখ ধোয়া ত্বকের জন্য ভাল। এটি ত্বকের ময়লা ধুলো বালি দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখে। কিন্তু ব্রণের সময় দিনে একবার মুখ পরিষ্কার করা উচিত। অতিরিক্ত মুখ ধোয়া ত্বক শুষ্ক করে দেয়। শুষ্ক ত্বকে তেল বেশি উৎপন্ন হয়। যা ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি করে।

২। অতিরক্ত এক্সফলিয়েট

সপ্তাহে কয়েকবার এক্সফলিয়েট করা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এতে ব্রণের মুখ ভেঙ্গে যায়, ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া ত্বকে ছড়িয়ে আরও ব্রণ সৃষ্টি করে। ব্রণের সময় এক্সফলিয়েট করা থেকে বিরত থাকুন।

৩। ব্রণে নখ ব্যবহার  করা  

ব্রণ হলে প্রায় সব মেয়েদের যেই কাজটি করতে দেখা যায়, তা হল ব্রণ নখ দিয়ে খোঁচানো। আর এই কাজটি ত্বকে ব্রণের দাগ স্থায়ী করে দেয়। ব্রণ নখ দিয়ে খোঁচানো, চুলকানো থেকে বিরত থাকুন।

৪। অতিরিক্ত পণ্যের ব্যবহার

ব্রণ দূর করার জন্য নানা রকম পণ্য ব্যবহার করা হয়। কখন পেস্ট আবার কখন দারুচিনির গুঁড়ো। একই ব্রণে নানা পণ্য ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি ত্বকে ব্রণ স্থায়ী হয়।

৫। খুশকি থেকে দূরে থাকুন

খুশকি থেকে অনেক সময় ব্রণ দেখা দেয়। নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখুন। চুলে খুশকি দেখা দিলে তা দূর করার ব্যবস্থা করুন।

- See more at: http://www.priyo.com/2016/Jun/22/222903#sthash.v0dO9tAb.dpuf

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.