recipe tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
recipe tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

ছুটির দিনে বাসায় রান্না করুন কোর্মা বিরিয়ানি

ছুটির দিনে বাসায় রান্না করুন কোর্মা বিরিয়ানি
বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আর যারা পছন্দ করেন তাদের কাছে একটি জনপ্রিয় পদ হচ্ছে কোর্মা বিরিয়ানি। কিন্তু অনেকেই হয়তো এই খাবারটি তৈরির রেসিপি জানেন না। হঠাৎ কোনো অতিথি এলে বা ঘরোয়া পার্টিতে চাইলেও রাঁধতে পারেন কোর্মা বিরিয়ানি। দেখে নিতে পারেন রেসিপিটি-
উপকরণ
খাসির মাংস ছোট করে কাটা ১ কেজি,

বাসমতি চাল আধা কেজি,
টক দই আধা কাপ,

পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ,

আদা বাটা ১ টেবিল চামচ,

রসুন বাটা ১ চা-চামচ ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ,

মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,

ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ,

ছোট এলাচ ৪ টি,

কিশমিশ সিকি কাপ,

আলুবোখারা ৭/৮ টি,

পুদিনা পাতা ২ টেবিল চামচ,

ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ,

কাঁচা মরিচ ৫/৬ টি,

শাহি জিরা আধা চা-চামচ,

জর্দার রং সামান্য,

সিরকা ১ টেবিল চামচ,

ঘি-তেল দেড় কাপ,

কেওড়া জল ২ টেবিল চামচ,

লবণ পরিমাণমতো।

কোর্মার মসলা (ছোট এলাচ ৬ টি, বড় এলাচ ৩ টির বিচি, লবঙ্গ ৪ টি, সাদা গোলমরিচ ৬টি ও দারুচিনি ৪/৫টা। এই মসলাগুলো চুলার পাশে রেখে মচমচে করে গুঁড়া করে নিতে হবে)।

প্রণালি
দই, আদা-রসুন বাটা, ধনে গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ভাজা, জিরা, লবণ, সিকি কাপ তেল, ২ টেবিল চামচ ঘি,১ টেবিল চামচ কেওড়াজল ও কোর্মার মসলা অর্ধেক দিয়ে মাংস মেখে রাখুন। পাত্রের ১ কাপ তেল ও ঘি দিয়ে বেরেস্তা করে অর্ধেক তুলে নিন। বাকি অর্ধেক বেরেস্তার মধ্যে মাংস দিয়ে কোর্মার মতো রান্না করুন। নামানোর আগে বাকি অর্ধেক মসলা দিয়ে দিন।

চাল ২০ মিনিট ভিজিয়ে পানি ছেঁকে নিন। অন্য পাত্রে চালের ৪ গুণ গরম পানি করে তাতে কাঁচামরিচ ৫/৬ টি, এলাচ ৪/৫ টি, পুদিনাপাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, দারুচিনি ২/৩ টুকরা ও শাহি জিরা আধা চা-চামচ দিন। পানি ফুটে গেল ভেজানো চাল দিন। চাল আধা সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বিরিয়ানি রান্নার পাত্রে ১ টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে দিন।

এবার কিছুটা আধা সেদ্ধ চাল ছড়িয়ে অর্ধেক পরিমাণ মাংস ঢেলে দিন। এর ওপর বেরেস্তা ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। মাংসের ওপর আবার একইভাবে রান্না করা ভাত ও মাংসের স্তর সাজান। ওপরে আবার চাল দিন। এখানে ভাতের স্তর হবে তিনটি এবং মাংসের স্তর হবে দুটি। সবার ওপরে বাকি ঘি এবং দুধে ভেজানো কেওড়া ছড়িয়ে দিয়ে আলু বোখারা গুজে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ২০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

স্বাস্থ্যকর ১০ বর্ষাকালীন স্ন্যাকস

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর ১০ বর্ষাকালীন স্ন্যাকস
প্রচণ্ড গ্রীষ্মের পর বর্ষার আগমন মানে সুখসময়। ভেজা ঋতুর আগমনে জিভও চায় ক্রাঞ্চি টেস্ট। মসলা চায়ে চুমুক আর এক বাটি ফ্রাইড স্ন্যাকস নিয়ে জানালায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে জম্পেশ লাগে। বর্ষার সময় ডুবো তেলে ভাজা স্ন্যাকসগুলো বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু যদি স্বাস্থ্য আর বর্ষা উপভোগ দুটোই ঠিক রাখতে চান তাহলে বর্ষার স্ন্যাকসগুলোর পরিবর্তণ আনতে পারেন। দেখে ফেলা যাক বর্ষা মৌসুমের কিছু সহজ ও ইয়াম্মি স্ন্যাকস আইডিয়া –

রোস্টেড সয়া আমন্ড
এক কাপ আমন্ড দুই চা-চামচ তামারিতে (প্রাকৃতিকভাবে জারিত সয়াসস) ঝাঁকিয়ে নিন। একটি অয়েলড বেকিং সিটে রেখে একশো ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রোস্ট করুন। মাঝে মধ্যে নেড়ে দিন। সোনালী রঙ আসা পর্যন্ত ১০-১৫ মিনিট এভাবে রোস্ট করুন। খুব সহজে তৈরি স্ন্যাকসটি উচ্চ প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ।

সি-সল্ট পপকর্ন উইথ সুপার সিডস
একটি পাত্রে দুই কাপ পপকর্ন ১/২ চা-চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে ওলট-পালট করে নিন। আধ চা-চামচ সি-সল্ট ও এক টেবিলচামচ টোস্ট করা সূর্যমুখীর বীজ পপকর্নের পাত্রে যোগ করুন। এবার এয়ারটাইট জারে ভরে ব্যাগে রেখে দিন। পথে-ঘাটে বর্ষাকালীন ক্ষুধার মেটাতে মন্দ হবে না!

চিলি স্প্রেড পামপকিন সিডস
এক কাপ কুমড়ার বিচির সঙ্গে দুই চা-চামচ অলিভ অয়েল, ১/২ চা-চামচ চিলি পাউডার  ও ১/৪ চা-চামচ সি-সল্ট মেশান। ৮-১০ মিনিট নেড়ে মচমচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। রাতে ঘুম না পেলে ক্রিসপি এ স্ন্যাকস পট বের করে চিবাতে শুরু করুন। এতে রয়েছে ট্রিপটোফেন। যা শরীর সেরোটোনিনে রূপান্তর করে। যা পরে ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনে রূপান্তর হয়।

আপেল স্যান্ডুইচ
কাটার দিয়ে আস্ত আপেলের উপরে বোঁটার অংশ থেকে নিচ পর্যন্ত মাঝের বিচির অংশটা বের করে আনুন। আপেলের শেপ ঠিকই থাকবে, শুধু মাঝের বিচির অংশ গোল হয়ে বেরিয়ে আসবে। এবার আড়াআড়িভাবে আপেলটি মোটা মোটা স্ল‍াইস করুন। একটি স্লাইসের উপর পিনাট বাটার ল‍াগান। চাইলে দারুচিনি ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার আরেকটি স্লাইস বসিয়ে চেখে দেখুন।

স‍ুইট পটেটো স্ট্রিপস
একটি মিষ্টি আলু দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পাতলা করে কাটুন। দুই চা-চামচ অলিভ অয়েল মাখিয়ে অয়েলড ননস্টিক বেকিং শিটে রেখে একশো ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ২০ মিনিট রোস্ট করুন। খাওয়ার সময় লবণ ছড়িয়ে দিন। এয়াটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করা যাবে।

ক্রিসপি সেলারি স্টিকস
১/৪ কাপ গ্রিক ইয়োগার্ট দুই টেবিলচামচ টুকরো টুকরো করা ব্লু  চিজের সঙ্গে মেশান। এবার সেলারি স্টিকের ওপর মিশ্রণটি ঢেলে দিন। প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাকসটি যেকোনো সময়ে খেতে পারেন।

টমেটো পিজ্জা
তিনটি মাঝারি সাইজের টমেটো অর্ধেক করে কাটুন। এক টেবিলচামচ পারমিসান চিজ ছড়িয়ে দিন। এবার ১/২ চা-চামচ বালসামিক ভিনেগার ছড়িয়ে এক চা-চামচ পুদিনা কুচি দিয়ে টেস্ট করুন।

চিজ এন্ড ওয়ালনাট স্টাফড ডেট
চারটি খেজুর মাঝখান থেকে ফেড়ে নিন। এক টেবিলচামচ গট চিজ খেজুরগুলোর মাঝখানে ভরে নিন। এবার টপার হিসেবে টোস্টেড আখরোট দিয়ে তৈরি করুন ইয়াম্মি ও পুষ্টিকর বর্ষাকালীন স্ন্যাকস।

গ্রিলড ফ্রুট সালাদ
পিচ, আপেল ও অ‍ানারস কিউব করে কাটুন। এবার লেবুর রস ছড়িয়ে মিক্স করে নিন। কাঠিতে কিউবগুলো গেঁথে ১০ মিনিট গ্রিল করুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

এয়ার ফ্রাইড পেস্তা
আধ কাপ পেস্তা সি-সল্ট দিয়ে এয়ার ফ্রাই করুন। তারপর আর কিছুই না, এক কাপ গরম চা আর এয়‍ার ফ্রাইড পেস্তা নিয়ে জানালার ধারে বসে বৃষ্টি উপভোগ করুন।

রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬

ঘরেই তৈরি করুন দোকানের মত পারফেক্ট কোন

ranna banna o beauty tips
ঘরেই তৈরি করুন দোকানের মত পারফেক্ট কোন
আইসক্রিম পার্লারগুলোতে কোন অথবা কাপে আইসক্রিম খেতে দেওয়া হয়। সাধারণত বিস্কুট কোনে আইসক্রিম খেতে দারুন লাগে। অনেকে বাসায় দোকানের মত আইসক্রিম তৈরি করতে পারলেও, কোনটি ঘরে তৈরি করা হয় না কখনও। এবার ঘরেও তৈরি করে নিতে পারবেন আইসক্রিমের কোন! ভাবছেন কীভাবে? জেনে নিন আইসক্রিমের কোন তৈরির সহজ রেসিপিটি। অল্প কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন পারফেক্ট দোকানের মত কোন।

উপকরণ:

২টি বড় ডিমের সাদা অংশ

১/৪ কাপ চিনি

৩ টেবিল চামচ দুধ

১/২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স

এক চিমটি লবণ

২/৩ কাপ ময়দা

২ টেবিল চামচ মাখন

হালকা মিষ্টি চকলেট

বাদাম কুচি

প্রণালী:

১। ডিমের সাদা অংশ, চিনি, দুধ, ভ্যানিলা এসেন্স এবং লবণ ভাল করে ফেটে নিন। এরপর এতে ময়দা এবং মাখন দিয়ে আবার ফাটুন।

২। এবার নন-স্টিক অথবা কাস্ট আয়রনের প্যান চুলায় অল্প আঁচে গরম করতে দিন।

৩। ১ এবং ১/২ টেবিল চামচ ময়দার মিশ্রণটি দিয়ে ছড়িয়ে দিন। দ্রুত এটি গোল আকৃতির আকারে করে ফেলুন।

৪। মাঝারি আঁচে ৪ থেকে ৫ মিনিট এটি রান্না করুন। একপাশ হয়ে গেলে  উল্টিয়ে দিন। অপরপাশ ১-২ মিনিট রাখুন। বেশিক্ষণ চুলায় রাখবেন না এতে বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে।

৫। এবার (ভিডিও অনুযায়ী) হাত দিয়ে কোন আকৃতির করে নিন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত আকৃতি করতে পারেন। খুব বেশি শক্ত করে কোনটি রোল করবেন না, এতে ভেঙ্গে যেতে পারে।

৬। চকলেটের সিরাপে কোনের মুখটি ভিজিয়ে নিয়ে তারপর বাদামকুচি অথবা সুইট বলের ছড়িয়ে দিন। কোনের পিছনের অংশটুকু চকলেট সিরাপে ডুবিয়ে নিন।

৭। পছন্দের আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার কোন আইসক্রিম।

টিপস:

কোনের মিশ্রণটি আপনি চাইলে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন দুই দিন পর্যন্ত।

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

গরমে প্রাণ জুড়ানো শরবত

ranna banna o beauty tips
শরবত
বৈশাখের খরতাপে দিনভর ঘোরাঘুরি আর ঘাম ঝরিয়ে ক্লান্ত হওয়া নিত্যদিনের কাজ। কাঠফাটা রোদ্দুরে যখন গলা শুকিয়ে চৌচির তখন পছন্দের ফলের একগ্লাস শরবত হতে পারে পরম আরাধ্য। তাই ঝটপট শিখে নিন কিছু তাজা ফলের প্রাণ জুড়ানো শরবত বানানোর সহজ রেসিপি।

কাঁচা আমের শরবত
মাঝারি আকারের কাঁচা আম ১টা, চিনি স্বাদমতো, গোল মরিচ ১ চা চামচ, বিটলবণ ১ চা চামচ, ধনে পাতা সামান্য, কাঁচা মরিচ ২টা, লবণ প্রয়োজনমতো, পানি আড়াই কাপ।

যেভাবে করবেন
আম কুচি কুচি করে কেটে সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন টক-ঝাল-মিষ্টি কাঁচা আমের শরবত।

তরমুজের শরবত
তরমুজের শরবত
তরমুজ ২০০ গ্রাম, আদা ৫ গ্রাম, লেবুর রস সামান্য, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, চিনি স্বাদমতো, পানি ১০০ মিলি।

যেভাবে করবেন
প্রথমে তরমুজ কেটে খোসা ফেলে টুকরো করে নিন। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। হয়ে গেল তরমুজের মজাদার শরবত।

বাঙ্গির শরবত
বাঙ্গির শরবত
বাঙ্গি কুচি ১ কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, বরফ কিউব পরিমাণমতো, লবণ এক চিমটি ( না দিলেও হবে)।

যেভাবে করবেন
বরফ বাদে বাঙ্গি কুচির সঙ্গে সব উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যাস হয়ে গেল সুস্বাদু এক গ্লাস শরবত। এবার বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।


পান্তার সঙ্গে ইলিশ তন্দুরী

ranna banna o beauty tips
ইলিশ তন্দুরী
বৈশাখী রান্নার কথা ভাবতেই প্রথমেই আসে ইলিশ পান্তা। বছরের প্রথম দিনে জাতীয় মাছ ইলিশের অসাধারণ স্বাদ উপভোগ যেন বাঙালিত্বের হালনাগাদ করায়। একসময় বাঙালির সকালের তৃপ্তিকর নাস্তা ছিল ইলিশ পান্তা। বৈশাখ বরণে সেই রীতিকে স্বরণ করা এখন আমাদের সংস্কৃতিতে দাঁড়িয়েছে। ইলিশ দিয়ে অনেক রকমের রান্না করা হয়। তবে আজ আপনাদের জন্য রয়েছে একটা ভিন্ন স্বাদের রেসিপি। বৈশাখী রান্নায় আজ দেখে নেয়া যাক ইলিশ তন্দুরী।

যা যা লাগবে
মাছের টুকরা ৫টি
তন্দুরী মসলা ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস ২ চা চামচ
লবণ পরিমাণমতো
আদা ও রসুন বাটা আধা চা চামচ
তেল ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ

যেভাবে করবেন

মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। মাছের সঙ্গে সব উপকরণ মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার ফ্রাইপ্যানে তেল মাখিয়ে চুলায় দিয়ে মাছ সাজিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। তারপর সেই মাছ তুলে একটি একটি করে আগুনে ঝলসিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার ইলিশ তন্দুরী। পান্তা ভাতের সঙ্গে দারুণ উপযোগী তন্দুরী ইলিশ। গরম ভাতের সঙ্গেও কম যায় না।

জেনে নিন বাটারস্কচ আইসক্রিম তৈরির সহজ প্রণালীটি


ranna banna o beauty tips
বাটারস্কচ আইসক্রিম
এই  কাঠফাটা গরমে প্রাণ জুড়াতে আইসক্রিমের তুলনা নেই। বাজারের আইসক্রিম কত আর খেতে ভাল লাগে বলুন। ঘরে যদি বাজারের মত মজাদার ফ্লেভারের আইসক্রিম তৈরি করা যায় কেমন হয় বলুন তো? দারুন তাই তো! আইসক্রিমের অনেকগুলো ফ্লেভারের মধ্যে বাটারস্কচ অন্যতম। অনেকের পছন্দের ফ্লেভার এটি। কিন্তু এই মজাদার ফ্লেভারটি সব স্থানে পাওয়া যায় না। তাই ইচ্ছা হলেই খেতে পারেন না প্রিয় ফ্লেভারের আইসক্রিমটি। এখন ইচ্ছা করলেই খেতে পারবেন যখন তখন বাটারস্কচ আইসক্রিম। তাও নিজে তৈরি করে। ভাবছেন কিভাবে? তাহলে জেনে নিন বাটারস্কচ আইসক্রিম তৈরির রেসিপিটি।

উপকরণ:
  • ৪ টেবিল চামচ চিনি
  • ২ টেবিল চামচ কাজুবাদাম
  • ১ টেবিল চামচ মাখন
  • ১.৫ কাপ লো ফ্যাট ক্রিম
  • ১/৩ কাপ চিনির গুঁড়ো
  • ১/২ কাপ দুধ
  • ১.৫ চা চামচ বাটারস্কচ এসেন্স  


প্রণালী:
১। প্রথমে একটি প্যানে চিনি দিয়ে ক্যারামেল তৈরি করে নিন।
২। তারপর চুলার আঁচ কমিয়ে এতে মাখন, কাজুবাদাম কুচি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩। এটি নামিয়ে একটি পাত্রে ঢেলে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন।
৪। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটির উপর কিচেন টাওয়েল রেখে বেলুন দিয়ে বেলে নিন।
৫। আরেকটি পাত্রে বরফ কুচির সাথে কিছু পানি দিয়ে তার উপর ঠান্ডা (ফ্রিজে রাখা) আরেকটি পাত্র রেখে দিন।
৬। এবার পাত্রের উপর ক্রিম বিটার দিয়ে ভাল করে বিট করুন।
৭। এটি দ্বিগুণ হয়ে গেলে এতে চিনির গুঁড়ো দিয়ে আবার বিট করুন। এরপর এতে দুধ, বাটারস্কচ এসেন্স, ক্যারামেল বাদাম কুচি, লেমন কালার মিশিয়ে আবার বিট করুন।  
৮। এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘন্টা।
৯। বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বাটারস্কচ আইসক্রিম।

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

নিজেই তৈরি করে ফেলুন ত্বকের উপযোগী সানস্ক্রিন লোশন

ranna banna o beauty tips
সানস্ক্রিন লোশন
এই গরমে কোন প্রসাধনীটা মেয়েরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, সানস্ক্রিন লোশন। সানস্ক্রিন লোশন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার কথা চিন্তাই করা যায় না। বিশেষত যাদের দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হয়, তাদের জন্য সানস্ক্রিন একটি অপরিহার্য প্রসাধনীর নাম। বাজারে নানা ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন কিনতে পাওয়া যায়। অনেকেই বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে চান না। বিশেষত যারা
সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী তাঁদেরকে বাজারের সানস্ক্রিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হয়। আপনি চাইলে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন সানস্ক্রিন লোশন। কেমিক্যালমুক্ত সম্পূর্ণ পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়া এই লোশন আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে রক্ষা করে থাকবে।
যা যা লাগবে:
নারকেল তেল- এসপিএফ উপাদন সমৃদ্ধ
শিয়া বাটার- ত্বককে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করে থাকে।
জোজবা অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল অথবা তিলের তেল- এই তেলগুলো খুব সহজে ত্বকে মিশে যায় এবং ত্বককে রক্ষা করে থাকে।
ইউক্যালিপ্টাস তেল এবং ল্যাভেন্ডার তেল- ইউক্যালিপ্টাস তেলে খুব অল্প পরিমাণে এসপিএফ থাকে এবং ল্যাভেন্ডার তেল ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে লেবু বা লেমন এ্যাসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ভিটামিন ই অয়েল- ত্বককে ময়োশ্চারাইজ এবং পুষ্টি দিয়ে থাকে।
জিংক অক্সাইড (নন ন্যানো)- এটি সূর্যের ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্নি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। তবে খেয়াল রাখবেন জিংক অক্সাইড যেন নন-ন্যানো অর্থ্যাৎ টক্সিন মুক্ত হয়।
যেভাবে তৈরি করবেন
১। নারকেল তেল, শিয়া বাটার এবং জোজোবা/তিল/ সান ফ্লাওয়ার তেল একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন। একটি বড় পাত্রে পানি দিয়ে চুলায় দিন।
২। এবার এই পাত্রটির ভিতরে নারকেল তেলের পাত্রটি দিয়ে দিন।
৩। যতক্ষণ পর্যন্ত না শিয়া বাটার গলে যায়, ততক্ষণ এটি চুলায় রাখুন।
৪। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এবার এতে জিঙ্ক অক্সাইড, ভিটামিন ই এবং অন্যান্য এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন।
৫। জারে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন। এটি ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যবহারের পর অব্যশই সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রাখুন।
যে পরিমাণে জিঙ্ক অক্সাইড ব্যবহার করবেন
এসপিএফ ২-৫:৫% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ৫-১১: ১০% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ১২-১৯: ১৫% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ২০ এর উপর: ২০% জিঙ্ক অক্সাইড

টিপস:
·       দিনের মধ্যভাগ সময়ে সূর্যের আলোতে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
·       রোদে ছাতা ব্যবহার করুন।
·       এছাড়া বড় কোন হ্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
·       হালকা রং এর ঢোলাঢালা পোশাক ব্যবহার করুন।

যেভাবে কিচেন সাজালে কমবে আপনার ওজন!

ranna banna o beauty tips
যেভাবে কিচেন সাজালে কমবে আপনার ওজন!
অনেকের জন্যই ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি একটি অনন্ত প্রক্রিয়া। দেখা যায় কোনো একটি ব্যায়াম বা ডায়েট অনুসরণ করে কিছুদিনের জন্য ওজন কমলেও দ্রুতই তারা আবার ওজনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সবসময় খাওয়া দাওয়ার ওপর নজর রাখার মতো মানসিক শক্তি সবার থাকেও না। এমন একটি কৌশল আছে যাতে নিজের সচেতন ইচ্ছে ছাড়াই আপনার খাওয়া থাকবে নিয়ন্ত্রণে। আর তার জন্য আপনার কিচেনে আনতে হবে ছোট্ট কিছু পরিবর্তন। চলুন, দেখে নেই ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এসব পরিবর্তনের কথা।

১) স্ন্যাকজাতীয় খাবার রাখুন চোখের আড়ালে

আমরা সহজেই মিষ্টি কেক, বিস্কুট, চানাচুর এসবের দিকে হাত বাড়াই কারণ এগুলো থাকে টেবিল বা শেলফে, হাতের নাগালেই। এগুলো চোখের সামনে থাকার কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের BMI বেড়ে যেতে পারে। অপরদিকে, স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোকে চোখের সামনে রাখার ফলে সুস্থ ও ছিপছিপে শরীর ধরে রাখা সম্ভব হয়। যারা রান্নাঘরে ফল সাজিয়ে রাখেন তাদের BMI অন্যদের তুলনায় কম হতে দেখা যায়।

২) সুন্দর ডেজার্টের বাটি ব্যবহার বন্ধ করুন

অন্যরকম, সুন্দর ডিজাইনের মিষ্টি বা আইসক্রিম খাওয়ার বাটি বা চামচ আপনার এসব খাবার খাওয়ার ইচ্ছে অবধারিতভাবেই বাড়িয়ে দেবে। ডেজার্টের জন্য আলাদা বাটি না রেখে সাধারণ বাটি ও চামচ ব্যবহার করুন।

৩) ছোট প্লেট ব্যবহার করুন

স্বাভাবিক আকারের প্লেট ব্যবহারের বদলে খাওয়ার সময়ে ব্যবহার করুন হাফ প্লেট বা সালাদ প্লেট। তবে সাধারণ প্লেটের চাইতে খুব বেশি ছোট প্লেট ব্যবহার করবেন না। তাতে দেখা যাবে আপনি বারবার খাবার বেড়ে নিচ্ছেন এবং শেষতক খাওয়া কমার বদলে বেড়ে যাবে। ভাতের প্লেটের বদলে একটু ছোট একটা হাফ প্লেটে খাবার খান। এতে আপনার মনে হবে প্লেটটা বেশি ভোরে আছে এবং আপনার তৃপ্তির পরিমাণটাও বেশি হবে।

৪) টেবিলে বেশি খাবার রাখবেন না

খাবার আলাদা করে বোল-বাটিতে বেড়ে খাওয়ার টেবিলে রাখবেন না। এতে এক প্রস্থ খাওয়া হলে আপনি সহজেই খাবার তুলে নিয়ে আবার খেতে থাকবেন। বরং রান্নাঘর থেকে খাবার প্লেটে তুলে নিয়ে ডাইনিং রুমে চলে আসুন। এতে খাবার নিয়ে আসতে আপনার আবার উঠতে হবে। এই চিন্তা থেকেও আপনার খাওয়া কম হবে। আরেকটা কাজ করতে পারেন। অসাস্থ্যকর, ভারি খাবারগুলো রান্নাঘরে রাখত পারেন, কিন্তু স্বাস্থ্যকর সালাদটা রাখতে পারেন টেবিলে।

৫) বড় আকারের স্ন্যাক্সের প্যাকেট কিনবেন না

ফ্যামিলি সাইজের চিপস, বিস্কুট, চানাচুর ইত্যাদির প্যাকেট যদিও কেনা হয়, দেখা যায় আপনি একাই পুরোটা শেষ করে ফেলছেন, পরিবারের কেউ আর ভাগ বসাতে আসছে না। এমন জিনিস বাসায় পড়ে থাকলেও আপনার বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। নিজেকে যতই বোঝান না কেন একটু খেয়ে রেখে দেবেন, দেখা যায় অনেকটাই খাওয়া হয়ে যায়। ফলে আপনার ডায়েটের বারোটা বাজে। ছোট আকারের স্ন্যাক্সের প্যাকেট কিনুন। অথবা বড় প্যাকেট কিনে বাড়িতে এনেই ছোট ছোট জিপলক ব্যাগে আলাদা করে রাখুন অল্প অল্প পরিমাণে।

৬) ফ্রিজ সাজান বুদ্ধি করে

রেফ্রিজারেটরগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা থাকে যাতে সবজি থাকে একদম নিচে, যা চোখেই পড়ে না সহজে। আপনি মোটেও এই ডিজাইন অনুসরণ করতে যাবেন না। বরং ফল ও সবজি রাখুন এমন জায়গায় যাতে সহজেই চোখে পড়ে, ফ্রিজ খুললেই যেন দেখা যায় অনেকগুলো রঙ্গিন ফল-সবজি।

৭) ব্যবহার করুন চিকন গ্লাস ও সবুজ প্লেট

ছোট, মোটা গ্লাস বা মগে আপনি যতই পান করুন না কেন মনে হবে কম হয়ে গেলো। কিন্তু লম্বা, সরু গ্লাসে পানীয় পান করলে অল্পেই মনে হবে অনেকটা পান করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন কোক, পেপসি, অন্যান্য সফট ড্রিঙ্কস, মিল্কশেক এসব পান করার ক্ষেত্রে এই কৌশল কাজে আসবে। তবে অবশ্যই পানি পান করবেন প্রচুর পরিমাণে। আর প্লেটের রং কেন সবুজ করতে বলে হচ্ছে? কারণ সবুজ রঙের প্লেটে আপনি বেশি করে সবুজ সালাদ খেতে পারবেন। কিন্তু সাদাটে ধরণের খাবার যেমন শর্করা বা প্রোটিন খেতে গেলে তার রং এই সবুজের মাঝে বেশি বোঝা যাবে, ফলে এগুলো আপনি বেশি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হয়ে যাবেন।

এছাড়াও যেসব কাজ করতে পারেন তা হলো-
- স্বচ্ছ কন্টেইনারে রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার
- খাবার ঘরটাকে রাখুন গরম, কারণ ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় মানুষ বেশি খায়
- চিনির বদলে ব্যবহার করুন খেজুর
- সল্ট শেকার ব্যবহার না কর একটা বাটিতে লবণ রাখুন, হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৬

ঝটপট হালকা স্ন্যাক্স অনিয়ন রিংস

ranna banna o beauty tips
অনিয়ন রিংস
স্ন্যাক্সের কথা চিন্তা করলেই ভয় লাগে। একদিকে অনেক অনেক ক্যালোরির ভয়, আরেকদিকে হরেক রকমের উপকরণ আর আয়োজন নিয়ে চিন্তা। কিন্তু এই স্ন্যাক্স তৈরিতে আপনার আদতে কিছুই লাগবে না। বাড়িতে ময়দা, পিঁয়াজ, তেল আর কিছু মশলা থাকলেই চোখের পলকে তৈরি করে ফেলতে পারবেন দারুণ মুচমুচে নাশতা। চলুন দেখে নেই অনিয়ন রিংস এর রেসিপিটি।

উপকরণ

- পৌনে এক কাপ ময়দা
- সিকি কাপ কর্ন ফ্লাওয়ার
- সিকি চা চামচ গার্লিক পাউডার
- আধা চা চামচ শুকনো মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ চাট মশলা
- এক চিমটি বেকিং সোডা
- লবণ স্বাদমতো
- সিকি কাপ ফেটানো টক দই
- ২টা বড় পিঁয়াজ, মোটা রিং করে কাটা
- ১ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব
- ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল

প্রণালী

১) পিঁয়াজ রিং করে কেটে রিংগুলোকে ছাড়িয়ে নিন। এগুলোকে আলাদা করে রাখুন।
২) একটা বোলে ময়দা, কর্ন স্টার্চ, মরিচের গুঁড়ো, বেকিং সোডা, লবণ, এক টেবিল চামচ ব্রেড ক্রাম্ব এবং দই মিশিয়ে নিন। ঘন করে ব্যাটার তৈরি করুন। দরকার হলে অল্প করে পানি দিন। ব্যাটার তৈরি হলে এতে গার্লিক পাউডার দিয়ে দিন এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৩) একটা বাটিতে ১ টেবিল চামচ ময়দা নিন। এই বাটিতে পিঁয়াজের রিংগুলোকে নিয়ে একটা প্লেট দিয়ে ঢেকে দিন। এবার ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এতে সব পিয়াজে ময়দা মেখে যাবে।
৪) এবার ময়দা মাখা রিংগুলোকে ব্যাটার ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। এবার এগুলোকে ডিপ ফ্রাই করে নিন। ব্রেড ক্রাম্ব ছাড়া শুধু ব্যাটারে ডুবিয়েও এটা তৈরি করে নিতে পারেন।
 পছন্দের যে কোনো সসের সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম। 
ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

স্বাদ বদলে জাপানি রাইস

ranna banna o beauty tips
স্বাদ বদলে জাপানি রাইস
রাইস ডিশ ছাড়া আসলে বাঙালির চলেই না। সাদা ভা থেকে শুরু করে পোলাও, বিরিয়ানি, ফ্রাইড রাইস ইত্যাদি কত কিছুই না খেয়ে থাকি আমরা। চলুন, আজ  আফরোজা নাজনীন সুমির হেঁসেল থেকে জেনে নিই ভিন্নধর্মী একটি রাইস ডিশের রেসিপি "জাপানি রাইস"।  

উপকরণ: 

আধা সিদ্ধ ভাত:
৪ কাপ মুরগির মাংস:
১ কাপ রসুন কুচি: ১ চা চামচ তেল:
২ টে: চামচ সাদা গোলমরিচ গুঁড়া:
১ টে: চামচ লবণ:
স্বাদমত টমেটো চিলিসস:
৪ টে: চামচ সিদ্ধ গাজর:
১টা ডিম:
২টা আদা বাটা :
আধা চা চামচ সয়াসস :
আধা চা চামচ  

প্রনালী:  

-প্রথমেই মাংস লবন, গোলমরিচ দিয়ে ম্যারিনেট করে নিন।
-এরপর গরম তেলে রসুন কুচি ভেজে তাতে মুরগীর মাংস ভেজে সিদ্ধ ভাত ও গাজর দিয়ে দিন।
-ভাল করে নেড়ে ভেজে এতে সস আর গরম মসলা গুঁড়া ও লবন দিন।
-উপরে ডিম ভাজা দিয়ে পরিবেশন করুন হট টমেটো সস দিয়ে মজাদার জাপানি রাইস। 

রেস্টুরেন্ট স্বাদের বার্গার তৈরি করে ফেলুন আলু দিয়ে

ranna banna o beauty tips
রেস্টুরেন্ট স্বাদের বার্গার তৈরি করে ফেলুন আলু দিয়ে
বার্গার ছোট বড় সবার পছন্দের একটি খাবার। অনেকে দুপুরের খাবার হিসেবে বার্গার খেয়ে থাকেন। আর বাচ্চাদের তো কথাই নেই, বার্গার হলে আর কিছুই লাগে না তাদের। কিন্তু প্রতিদিন বাইরের বার্গার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন রেস্টুরেন্ট স্বাদের বার্গার। তবে এই বার্গারটি একটু ভিন্ন ধরণের। সবজি খাওয়া নিয়ে প্রায় সব বাচ্চারাই বিরক্ত করে থাকে। কিন্তু আলু সব বাচ্চাদেরই পছন্দের সবজি। এই আলু দিয়েই তৈরি করুন মজাদার আলু টিক্কা বার্গার। টিফিনেও তৈরি করে দিতে পারেন এই খাবারটি।

উপকরণ

২টি সিদ্ধ আলুর ভর্তা
২ কাপ সিদ্ধ সবজি (পছন্দের যেকোন সবজি)
১ চা চামচ আদা মরিচ পেস্ট
ধনেপাতা কুচি
লবণ
১/৪ চা চামচ গরম মশলা
লেবুর রস
২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
কর্ণ ফ্লাওয়ার পেস্ট
৩ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
লবণ
পানি
ভাজা ব্রেড ক্রাম্বস
কোলস্ল তৈরির জন্য
১ কাপ মেয়নিজ
১/২ কাপ গাজর কুচি
১টি পেঁয়াজ লম্বা করে কাটা
সরিষার সস
গোলমরিচ
লবণ
বার্গার বন
মাখন
চিজ
টমেটো কেচাপ  
লেটুস পাতা
শসার টুকরো
টমেটোর টুকরো

প্রণালী:

১। প্রথমে সিদ্ধ আলু, আদা মরিচের পেস্ট, সিদ্ধ সবজি (মটরশুঁটি, বিনস, গাজর, ফুলকপি), ধনেপাতা কুচি, লবণ, গরম মশলা, লেবুর রস, কর্ণ ফ্লাওয়ার ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। হাতের তালুতে অল্প করে তেল লাগিয়ে নিন। তারপর সবজিগুলো দিয়ে বড় চপ তৈরি করুন।
৩। আরেকটি পাত্রে কর্ণ ফ্লাওয়ার, লবণ এবং পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
৪। সবজির চপটি কর্ণ ফ্লাওয়ারে ডুবিয়ে তারপর ব্রেড ক্রাম্বসে জড়িয়ে তেলে দিয়ে দিন। বাদামী রং হয়ে আসলে তেল থেকে নামিয়ে ফেলুন।
৫। এখন মেয়নিজ, গাজর কুচি, পেঁয়াজ, সরিষার সস, গোল মরিচ, লবণ একসাথে মিশিয়ে ক্লোসোল তৈরি করুন।
৬। বার্গার বনে মাখন লাগিয়ে নন-স্টিক প্যানে সেঁকুন। তারসাথে সবজির চপটি দিয়ে দিন।
৭। সবজি চপটির উপর চিজ দিয়ে একটি ছোট বাটি দিয়ে চিজসহ চপটি ঢেকে দিন।
৮। বার্গার বনে টমেটো কেচাপ, লেটুস, শসা, টমেটোর টুকরো, অল্প একটু লবণ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো, আলুর চপ, তার উপর কোলস্ল সালাদ দিয়ে দিন।
৯। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার আলু টিক্কা বার্গার।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

খুব সহজে তৈরি করুন স্পাইসি গ্রিলড চিকেন ড্রামস্টিক

ranna banna o beauty tips
স্পাইসি গ্রিলড চিকেন ড্রামস্টিক
ইদানিং রাস্তাঘাটে মোড়ে মোড়ে দেখা যায় গ্রিলড চিকেন তৈরি হচ্ছে। এর দারুণ সুগন্ধে যেন মুহূর্তেই বেড়ে যায় ক্ষুধা। কিন্তু গ্রিলড চিকেন আবার বাসায় তৈরি করার কথা ভাবতেই চান না কেউ। এটা লাগবে সেটা লাগবে এই ভেবে আর রান্না করা হয় না। চলুন দেখে নেই একদম ঘরোয়া উপায়ে, বাড়িতে থাকা উপকরণ দিয়েই স্পাইসি গ্রিলড চিকেন ড্রামস্টিক তৈরির পদ্ধতিটি। তেলে ভাজার দরকার হয় না বলে এটা বেশ স্বাস্থ্যকরও বটে।

উপকরণ
- ৪টা চিকেন ড্রামস্টিক
- লবণ স্বাদমতো
- লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
- ১ চা চামচ ধনে
- ১ চা চামচ আদা কুচি
- ১ চা চামচ রসুন কুচি
- ৮/১০টা শুকনো মরিচ
- ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
- ব্রাশ করার জন্য অল্প তেল

প্রণালী
১) প্রথমে ড্রামস্টিকগুলোর ওপরে ছুরি দিয়ে চিরে নিন কয়েক জায়গায়। এরপর এতে ২ চা চামচ লবণ এবং লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে ম্যারিনেট হতে রাখুন। এই ফাঁকে গ্রিলের মশলা তৈরি করে নিন।
২) মশলা তৈরির জন্য ধনে, আদা, রসুন, শুকনো মরিচ, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং অল্প করে পানি একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। একদম মিহি পেস্ট হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন।
৩) এই মশলা ড্রামস্টিকে মাখিয়ে ম্যরিনেট হতে দিন কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট।
৪) একটা বেকিং ট্রেতে তেল ব্রাশ করে নিন। এতে ম্যারিনেট করা ড্রামস্টিকগুলো রাখুন। মশলা বাকি থাকলে ওপরে দিয়ে দিন। ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে বেক করুন যতক্ষণ না চিকেন রান্না হয়ে যায় পুরোপুরি। ৪৫ মিনিটের মতো লাগতে পারে।

লেবুর টুকরো দিয়ে গার্নিশ করে নান অথবা তন্দুরি রুটির সাথে পরিবেশন করুন ঝাল ঝাল গ্রিলড চিকেন ড্রামস্টিক। 
ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

বারবিকিউ চিকেন উইংস তৈরির সবচাইতে সহজ উপায়

ranna banna o beauty tips
চিকেন উইংস
বিভিন্ন রেস্তরাঁয় সবসময়েই ভীষণ জনপ্রিয় একটি আইটেম হলো চিকেন উইংস। উইংসের বিভিন্ন ধরণের মাঝে আবার বারবিকিউ উইংসটাই বেশি মুখরোচক। বারবিকিউ সসে মাখা মুচমুচে এই উইংস আপনি কিন্তু নিজেও তৈরি করে নিতে পারেন বাড়িতেই। এতে খুব বেশি সময় লাগবে না। উপকরণও লাগবে কম। চলুন দেখে নেই প্রণালীটি।

উপকরণ

- সিকি কাপ বারবিকিউ সস
- ৮ পিস চিকেন উইং
- ১ টেবিল চামচ তেল
- ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
- লবণ স্বাদমতো
- গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- ২ টেবিল চামচ ময়দা
- ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
- গার্নিশ করার জন্য পিঁয়াজকলি কুচি

প্রণালী

১) প্যানে ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম হতে দিন।
২) একটা বোলে চিকেন উইংগুলো নিন। এতে দিন লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং ময়দা। ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৩) গরম তেলে ডিপ ফ্রাই করে নিন যাতে সোনালি ও মুচমুচে হয়ে আসে। তেল ঝরিয়ে নিন কাগজে।
৪) ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে নিন নন স্টিক প্যানে। এতে রসুন দিয়ে আধা মিনিট সাঁতলে নিন। এতে বারবিকিউ সস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এতে ভাজা চিকেন উইংগুলোকে দিয়ে দিন। টস করে নিন যাতে বারবিকিউ সস এতে ভালো করে মেখে যায়। এক মিনিট রান্না হতে দিন।

এবার নামিয়ে ওপরে পিঁয়াজকলি কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।
ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

তৈরি করে ফেলুন ভারতীয় স্ট্রিট ফুড পুরি চাট

ranna banna o beauty tips
 তৈরি করে ফেলুন ভারতীয় স্ট্রিট ফুড পুরি চাট
খুব সহজেফুচকা, পানিপুরি, দোসা কিংবা ভেলপুরি মুখরোচক এই স্ট্রিট ফুডগুলো সবার বেশ পছন্দ। ভারতীয় খাবারগুলোর মধ্যে স্ট্রিট ফুডগুলো দুই দেশেই সমান জনপ্রিয়। পুরি চাট এমনি একটি মুখরোচক স্ট্রিট ফুড। চটপটে, টক, ঝাল, মিষ্টি স্বাদের এই খাবারটি খেতে দারুন লাগে। আসুন তাহলে পুরি চাটের রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ:

পুরি তৈরির জন্য
১/৪ কাপ ময়দা
১/৪ কাপ সুজি
১ চিমটি বেকিং সোডা
১/২ চা চামচ লবণ
তেল ভাজার জন্য
ঘুগনি তৈরির জন্য
১ কাপ ডাবরি ডাল
১ চা চামচ লবণ
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/৮ চা চামচ বেকিং সোডা
চাটের জন্য
২টি পেঁয়াজ কুচি
২টি টমেটো কুচি
২টি সিদ্ধ আলু
২টি কাঁচা মরিচ কুচি
৫০০ মিলিগ্রাম টকদই
১/২ কাপ তেঁতুলের চাটনি
২ চা চামচ লবণ
২.৫ চা চামচ গোল মরিচ
২.৫ চা চামচ ভাঁজা জিরা গুঁড়ো
২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ চাট মশলা
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
৫ টেবিল চামচ ডালিম

প্রণালী:

১। ডাবরি ডাল সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে প্রেশার কুকারে পানি, ডাবরি ডাল, লবণ, হলুদ এবং বেকিং সোডা দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। ৪টি শিষ দিলে আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন।
২। একটি পাত্রে ময়দা, সুজি, লবণ, বেকিং সোডা, এবং পানি দিয়ে নরম ডো তৈরি করুন। একটি সুতির কাপড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রাখুন।
৩। এই ডো দিয়ে ছোট ছোট পুরি তৈরি করে নিন। তেল গরম হয়ে আসলে পুরিগুলো তেলে দিয়ে দিন। সোনালী রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
৪। একটি পুরির মুখটা ভেঙ্গে এর ভেতর ৩-৪ চা চামচ ঘুগনি, ২-৩ চামচ পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, আলু কুচি, অল্পকিছু কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ দিন।
৫। তার উপর টকদই, তেঁতুলের চাটনি, ধনেপাতা কুচি বা চাটনি, গোল মরচি গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, চাট মশলা, জিরা গুঁড়ো, চানাচুর দিয়ে দিন।
৬। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার চটপটে পুরি চাট।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

অল্প সময়ে ঝটপট তৈরি করে ফেলুন টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার

ranna banna o beauty tips
টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার
আমের মৌসুম চলে এসেছে। বাজারে কাঁচা আম উঠতে শুরু করেছে। কাঁচা আম নামটি শুনলে প্রথমে যে খাবারটির কথা মনে আসে তা হল টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার। আমের আচার খেতে সবাই পছন্দ করে, কিন্তু ঝামেলার কারণে এটি অনেকে  তৈরি করতে চায় না। ব্যস্ত এই নগরজীবনে আচার তৈরি করার মত সময় পাওয়া যায় না। যদি অল্প সময়ে টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার তৈরি করা যায়, তবে কেমন হয় বলুন তো? কী অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই অল্প কিছু উপাদানে স্বল্প সময়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার।   

উপকরণ:

২টি খোসা ছাড়ানো কাঁচা আমের কুচি
১ কাপ চিনি
১/২ কাপ গুড়
১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত

প্রণালী:

১। একটি প্যানে কাঁচা আমের কুচি, চিনি এবং গুড় দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। চিনি এবং গুড় না গলা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৩। তারপর এতে মরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, এবং লবণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। বলক আনা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৪। ঘন হয় আসলে চুলা নিভিয়ে দিন।
৫। ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিবেশন করুন মজাদার আমের টক ঝাল মিষ্টি আচার।
টিপস:
আপনি চাইলে এটি বেশি করে তৈরি করে সংরক্ষণ করতে পারেন।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

মুখরোচক মশলাদার নিরামিষ আলু-মটর

ranna banna o beauty tips
মুখরোচক মশলাদার নিরামিষ আলু-মটর
এই গরমে আমিষ জাতীয় খাবার একটু কমই খেয়ে থাকি আমরা। বরং নিরামিষ খাবারই বেশি খাওয়া দরকার। কিন্তু নিরামিষ খাবার যেন ঠিক আমিষের মতো মজা হয় না। আর নিরামিষের তেমন মুখরোচক রেসিপিও জানেন না অনেকেই। চলুন আজ দেখে নেই মশলাদার মুখরোচক দারুণ এক নিরামিষ রান্নার রেসিপি। মাখা মাখা এই রান্নাটি খেয়ে আপনি ভুলেই যাবেন আমিষের স্বাদ!

উপকরণ

- ৩টা মাঝারি আলু, চামড়া ছাড়িয়ে ১ ইঞ্চি কিউব করে কাটা
- আধা কাপ মটরশুঁটি
- ৩ টেবিল চামচ তেল
- ১টা মাঝারি পিঁয়াজ কুচি করা
- লবণ স্বাদমতো
- ২/৩টা কাঁচামরিচ
- ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
- ২ কোয়া রসুন
- সামান্য আদা কুচি
- ৩টা টমেটো কিউব করা
মশলার জন্য
- ১ টেবিল চামচ ধনে গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামচ কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- আধা চা চামচ আস্ত জিরা

প্রণালী

১) একটা ওভেন-প্রুফ বোলে এক চিমটি লবণ এবং এক টেবিল চামচ পানি দিন মটরশুটির সাথে। এটাকে ঢেকে মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিন ২ মিনিট। এতে মটরশুটির মিষ্টি ভাবটা চলে যাবে। এরপর বের করে রাখুন।
২) একটা প্রেশার কুকারে তেল মাঝারি আঁচে গরম করে নিন। এতে দিন জিরা, লম্বালম্বি চেরা কাঁচামরিচ এবং পিঁয়াজ। জিরা ফুটতে থাকলে এতে দিন ধনে গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো এবং মিশিয়ে সাঁতলে নিন ২ মিনিট।
৩) পিঁয়াজ নরম হতে দিন। এই সময়ের মাঝে কিউব করা টমেটো, আদা ও রসুন ব্লেন্ড করে পিউরি করে নিন। এই পিউরি প্রেশার কুকারে দিয়ে মিশিয়ে নিন মশলার সাথে।
৪) ২ মিনিট ভালো করে রান্না করে নিন এই টমেটোর পেস্ট। এরপর দিয়ে দিন আলু, সেদ্ধ মটরশুঁটি, পৌনে এক কাপ পানি এবং লবণ।
৩) ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা চাপা দিয়ে রান্না হতে দিন তিনটা শিষ দেওয়া পর্যন্ত। এরপর চুলা বন্ধ করে দিন। প্রেশার কুকার বন্ধ করে রাখুন, খুলবেন না। মিনিট পাঁচেক রেখে দিন, এর মাঝে কক্ষ তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা হয়ে আসবে প্রেশার কুকার। এরপর ঢাকনা খুলে একবার নেড়ে মিশিয়ে নিন। এতে ধনেপাতা মিশিয়ে নিন এবং পরিবেশন করুন গরম গরম। যে কোনো রুটি বা পরোটার সাথে এই মাখা মাখা সবজি দারুণ লাগবে।
ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

কলা দিয়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার পাউরুটি

ranna banna o beauty tips
কলা দিয়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার পাউরুটি
পাউরুটি সকালে নাস্তায় অনেকেই খেয়ে থাকেন। বাজারের পাউরুটি নানা অস্বাস্থ্যকর উপাদান তৈরি করে হয়ে থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই কারণে অনেকেই ঘরে পাউরুটি তৈরি করে থাকেন। কলা দিয়ে পাউরুটি তৈরি করেছেন কখনও? এইবার পাকা কলা এবং নারকেল দিয়ে তৈরি করে ফেলুন ভিন্ন স্বাদের পাউরুটি।

উপকরণ:

১ কাপ (১২৫ গ্রাম) ময়দা
১/৪ চা চামচ (২গ্রাম) বেকিং সোডা
২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ লবন
৩/৪ কাপ (১৫০গ্রাম) চিনি
২টি ডিম
১১৩ গ্রাম মাখন গলানো
৩ থেকে ৪টি পাকা কলা
১/৩ কাপ (৭০ গ্রাম) ক্রিম
১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
৩/৪ কাপ (৭৫ গ্রাম) কাজুবাদাম কুচি
১ কাপ নারকেল কুচি

প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ৩৫০ ফারেনহাইট অথবা ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রিহিট করে নিন।
২। একটি পাত্রে ময়দা, নারকেল গুঁড়ো, লবণ, বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার এবং দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
৩। আরেকটি পাত্রে মাখন এবং চিনি বিটার দিয়ে বিট করতে থাকুন। ক্রিমি টেক্সচার তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বিট করতে থাকুন। এরপর এতে ডিম এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে আবার বিট করুন। এরপর এতে অল্প অল্প করে ময়দার মিশ্রণটি ঢালুন এবং বিট করুন।
৪। কলা খুব ভাল করে চটকিয়ে নিন। চটকানো কলা চিনি এবং মাখনের মিশ্রণের সাথে মিশিয়ে আবার বিট করুন। মিশ্রণে কাজু বাদাম কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৫। বেকিং প্লেটে মাখন লাগিয়ে  নিন।
৬। এবার এতে কেকের মিশ্রণটি দিয়ে উপরে বাদাম কুচি দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ মিনিট বেক করুন।
৭। বাদামী রং হয়ে এলে একটি টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করে নামিয়ে ফেলুন।
৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার কলা নারকেলের পাউরুটি।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

তোভার ডাল

ranna banna o beauty tips
তোভার ডাল
নিত্যদিনের খাবারগুলোর মধ্যে ডাল অন্যতম। অনেকেই ডাল ছাড়া খাবার খেতেই পারেন না। সাধারণত মসুরির ডালটা বেশি রান্না  করা হয়। অনেকে মুগ ডাল রান্না করে থাকেন মসুরি ডালের পরিবর্তে। অড়হর ডাল ঝামেলার কারণে অনেকেই রান্না করতে চান না। অথচ এই ডাল খেতে কিন্তু দারুণ। ভারতে গুজরাটে এই অড়হর ডাল দিয়ে একটি রান্না করা হয় "তোভার ডাল"। ভাত, রুটি সবকিছুর সাথে খেতে দারুন লাগে এই খাবারটি।
উপকরণ:
১/২ কাপ অড়হর ডাল
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ টি কাঁচা মরিচ
১/৪ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ কাপ টমেটো কুচি
১/৪ কাপ গুঁড়
লবণ স্বাদমত
১ টেবিল চামচ তেল
১ চা চামচ সরিষা
১/২ চা চামচ জিরা
২টি লবঙ্গ
১ টি ছোট দারুচিনি
৪-৫টি কারি পাতা
১/৪ চা চামচ হিং
১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ লেবুর রস
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

প্রণালী:
১। অড়হরের ডাল ১.৫ কাপ পানি দিয়ে প্রেশার কুকারে দিয়ে দিন। ৩টি শিষ দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সিদ্ধ হয়ে এলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলে ফেলুন।
২। রান্না করা ডালের সাথে ১ কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৩। এবার একটি প্যানে ব্লেন্ড করা ডাল, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ, আদা, টমেটো, গুঁড়, ১.৫ কাপ পানি এবং লবণ দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন।
৪। ডাল মাঝে মাঝে নাড়ুন।
৫। এখন আরেকটি প্যানে তেল গরম হয় এলে সরিষা, জিরা দিয়ে দিন। জিরা ফুটে আসলে এতে লবঙ্গ, দারুচিনি, কারি পাতা দিয়ে মাঝারি আঁচে কয়েক সেকেন্ড ভাঁজুন।
৬। এটি ফুটন্ত ডালে এটি দিয়ে দিন। এর সাথে হিং, মরিচ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে ৪ থেকে ৫ মিনিট রান্না করুন।
৭। সবশেষে লেবুর রস এবং ধনে পাতা কুচি দিয়ে ১-২ মিনিট নেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
৮। ভাত অথবা রুটির সাথে পরিবেশন করুন মজাদার তভার ডাল।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে


রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

"ক্লিয়ার চিকেন সুপ উইথ ভেজিটেবলস"

ranna banna o beauty tips
"ক্লিয়ার চিকেন সুপ উইথ ভেজিটেবলস"
চাইনিজ রেস্তরাঁর স্যুপের বাইরে একেবারেই ভিন্ন কিছু খেতে চান? তাহলে আজ চেখে দেখুন সায়মা সুলতানার এই রেসিপিটি। যারা কিনা ডায়েট করছেন ওজন কমানর লক্ষ্যে, তাঁদের জন্যেও দারুণ হবে এই রেসিপিটি!

লা লাগবে 

  • চিকেন কিমা হাফ কাপ
  • চিকেন / ভেজিটেবল স্টক ২ কাপ
  • সিদ্ধ সবজি পছন্দ মত
  • রশুন কুচি
  • লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
  • অল্প ধনিয়া পাতা কুচি
  • লেমন গ্রাস স্টিক ( থাই পাতা ) কয়েকটা
  • লবন স্বাদ মত
  • অল্প অলিভ অয়েল

প্রনালি

-এই সুপের এর প্রধান উপকরণ হল চিকেন / ভেজিটেবল স্টক।
-এর জন্য ৩ কাপ পানিতে ২ কাপ পরিমাণ মুরগির হাড্ডি (মাংস সহ নিতে পারেন, হাড্ডি গুলো একটু ছেঁচে দিবেন), পেঁয়াজ টুকরো,রশুন কয়েক কোয়া, আদা টুকরা আস্ত গোলমরিচ, অল্প লবণ দিয়ে কম আঁচে রান্না করুন।
-পানিটা ১ কাপ এর আরেকটু বেশি থাকা অবস্থায় নামিয়ে নিন।শুধু পানিটা ছেঁকে নিবেন । 
(বাকি বেঁচে যাওয়া মাংস দিয়ে আপনি অন্য যেকোনো নাস্তা যেমন চিকেন সমুচাতে অথবা নুডুলস এ দিতে পারেন।ভেজিটেবল স্টকও একই ভাবে বানাতে পারেন।)
-এবার একটা হাঁড়িতে অল্প তেল দিয়ে তাতে চিকেন কিমা দিন। নাড়াচাড়া করে রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট।
- এবার ১ কাপ স্টক দিন।সাথে সিদ্ধ সবজি পছন্দ মত, রশুন কুচি,লেবুর রস,অল্প ধনিয়া পাতা কুচি,লেমন গ্রাস স্টিক ( থাই পাতা ) কয়েকটা,লবন স্বাদ মত দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন। সুপ রেডি!
-নামিয়ে বাটিতে নিয়ে উপরে হালকা অলিভ অয়েল ছিটিয়ে দিন।উপরে ধনিয়া পাতা কুচি আর টালা গোল মরিচ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন এই সুপ।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.