ranna banna লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ranna banna লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

ছুটির দিনে বাসায় রান্না করুন কোর্মা বিরিয়ানি

ছুটির দিনে বাসায় রান্না করুন কোর্মা বিরিয়ানি
বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আর যারা পছন্দ করেন তাদের কাছে একটি জনপ্রিয় পদ হচ্ছে কোর্মা বিরিয়ানি। কিন্তু অনেকেই হয়তো এই খাবারটি তৈরির রেসিপি জানেন না। হঠাৎ কোনো অতিথি এলে বা ঘরোয়া পার্টিতে চাইলেও রাঁধতে পারেন কোর্মা বিরিয়ানি। দেখে নিতে পারেন রেসিপিটি-
উপকরণ
খাসির মাংস ছোট করে কাটা ১ কেজি,

বাসমতি চাল আধা কেজি,
টক দই আধা কাপ,

পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ,

আদা বাটা ১ টেবিল চামচ,

রসুন বাটা ১ চা-চামচ ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ,

মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,

ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ,

ছোট এলাচ ৪ টি,

কিশমিশ সিকি কাপ,

আলুবোখারা ৭/৮ টি,

পুদিনা পাতা ২ টেবিল চামচ,

ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ,

কাঁচা মরিচ ৫/৬ টি,

শাহি জিরা আধা চা-চামচ,

জর্দার রং সামান্য,

সিরকা ১ টেবিল চামচ,

ঘি-তেল দেড় কাপ,

কেওড়া জল ২ টেবিল চামচ,

লবণ পরিমাণমতো।

কোর্মার মসলা (ছোট এলাচ ৬ টি, বড় এলাচ ৩ টির বিচি, লবঙ্গ ৪ টি, সাদা গোলমরিচ ৬টি ও দারুচিনি ৪/৫টা। এই মসলাগুলো চুলার পাশে রেখে মচমচে করে গুঁড়া করে নিতে হবে)।

প্রণালি
দই, আদা-রসুন বাটা, ধনে গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ভাজা, জিরা, লবণ, সিকি কাপ তেল, ২ টেবিল চামচ ঘি,১ টেবিল চামচ কেওড়াজল ও কোর্মার মসলা অর্ধেক দিয়ে মাংস মেখে রাখুন। পাত্রের ১ কাপ তেল ও ঘি দিয়ে বেরেস্তা করে অর্ধেক তুলে নিন। বাকি অর্ধেক বেরেস্তার মধ্যে মাংস দিয়ে কোর্মার মতো রান্না করুন। নামানোর আগে বাকি অর্ধেক মসলা দিয়ে দিন।

চাল ২০ মিনিট ভিজিয়ে পানি ছেঁকে নিন। অন্য পাত্রে চালের ৪ গুণ গরম পানি করে তাতে কাঁচামরিচ ৫/৬ টি, এলাচ ৪/৫ টি, পুদিনাপাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, দারুচিনি ২/৩ টুকরা ও শাহি জিরা আধা চা-চামচ দিন। পানি ফুটে গেল ভেজানো চাল দিন। চাল আধা সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বিরিয়ানি রান্নার পাত্রে ১ টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে দিন।

এবার কিছুটা আধা সেদ্ধ চাল ছড়িয়ে অর্ধেক পরিমাণ মাংস ঢেলে দিন। এর ওপর বেরেস্তা ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। মাংসের ওপর আবার একইভাবে রান্না করা ভাত ও মাংসের স্তর সাজান। ওপরে আবার চাল দিন। এখানে ভাতের স্তর হবে তিনটি এবং মাংসের স্তর হবে দুটি। সবার ওপরে বাকি ঘি এবং দুধে ভেজানো কেওড়া ছড়িয়ে দিয়ে আলু বোখারা গুজে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ২০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৬

অলিভ ওয়েলের যত গুণ

ranna banna o beauty tips
অলিভ ওয়েলের যত গুণ
ভোজ্য তেল হিসেবে অনেক ধরনের তেল ব্যবহৃত হয়। তবে সারা বিশ্বে যত রকম ভোজ্য তেল রয়েছে তার মধ্যে স্বাস্থ্যকর তালিকার দিক থেকে শীর্ষস্থান দখল করে আছে অলিভ ওয়েল। সুস্থ ও ফিট দেহের জন্য অলিভ ওয়েলের চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক। অনেক দেশে অলিভ ওয়েল সাধারণত কেবল সালাদের তেল হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। আবার অনেক দেশের রান্নার জরুরি উপকরণ এটি। তবে কেবল রান্নাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে এই অলিভ ওয়েলকে আরও নানা প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। আসুন জেনে নেই, সালাদ বা রান্নার কাজ ছাড়াও অলিভ ওয়েলের কিছু অনন্য ব্যবহারের কথা-

১. মাঝে মাঝে দেখা যায় বাড়ির কোন দরজা খুলতে বা বন্ধ করতে গেলে ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়ার করে। সে ক্ষেত্রে সংযোগ কব্জাগুলোতে কিছু অলিভ ওয়েল দিয়ে দিন। আর শব্দ করবে না।

২. ওটমিল, সামান্য ক্রিমের সঙ্গে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে তা মুখ পরিষ্কারের স্কার্ব হিসাবে ব্যবহার করুন।

৩. লোহার যন্ত্রপাতি বা গ্রিলের মরিচা প্রতিরোধ করতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।

৪. বাচ্চাদের ম্যাসাজের জন্য অলিভ ওয়েলকে সেরা বলে ধরা হয়।

৫. বাড়িতে শেভিং ক্রিম না থাকলে মসৃণ শেভের জন্য অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

৬. এক কাপ অলিভ ওয়েলের সঙ্গে এক কাপ ভিনেগার মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে নিন। আসবাবপত্র পরিষ্কারের কাজে একে ব্যবহার করুন।

৭. হাতের কালশিটে ভাব দূর করতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।

৮. ওয়াক্সিংয়ের পর হাত ও পায়ের চিটচিটে ভাব দূর করতে অলিভ ওয়েল মাখুন।

৯. চুলকে স্থির করে রাখতে চাইলে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন চুলে। মনে হবে যেন জেল দিয়েছেন।

১০. মৌচাক থেকে প্রাপ্ত মোমের সঙ্গে সামান্য অলিভ ওয়েল মিশিয়ে একটি কৌটায় রেখে দিন। এটি পরে লিপজেলের কাজ করবে।

১১. চুলের কন্ডিশনার হিসাবে অলিভ ওয়েল দারুণ কাজে দেয়। চুলে মেখে একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন।

১২. ব্রাশগুলোকে চকচকে রাখতে এগুলো ধুয়ে অলিভ ওয়েলে পলিশ করুন।

১৩. মেকআপ মুছতে রিমুভার হিসেবে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

১৪. দাঁতের যত্নেও দারুণ এক উপাদান অলিভ ওয়েল।

১৫. শিশুদের নিতম্ব থেকে র‌্যাশ দূর করতে সামান্য অলিভ ওয়েল মাখিয়ে দিন।

সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬

ঘর থেকে ইঁদুর দূর করে ফেলুন ৫টি কৌশলে

ranna banna o beauty tips
ঘর থেকে ইঁদুর দূর করে ফেলুন ৫টি কৌশলে
তেলাপোকার মত ঘরের আরেকটি যন্ত্রণাদায়ক উপদ্রব হল ইঁদুর। কাপড়চোপড় থেকে শুরু করে বইপত্র এমনকি রান্নাঘরে রাখা চালও কেটে খেয়ে ফেলে ইঁদুর। শুধু কাটাকুটি করে ইঁদুর ক্ষান্ত হয় না নানান ধরণের অসুখ ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে। বাজারের ইঁদুর মারার ওষুধ দিয়ে অনেক সময় ইঁদুর দূর করা যায় না। ঘরে থাকা টুকিটাকি জিনিস দিয়ে ইঁদুর চিরতরে দূর করা সম্ভব। আসুন তাহলে উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।  

১। তেজপাতা

ইঁদুর মনে করে তেজপাতা তাদের খাবার। এটি মনে করে তারা তেজপাতা খেয়ে থাকে, কিন্তু তেজপাতা ইঁদুর মেরে ফেলে। ইঁদুর আসা যাওয়ার স্থানে কিছু পরিমাণ তেজপাতা রেখে দিন।

২। গোল মরিচের ব্যবহার

গোলমরিচের গন্ধ ইঁদুর একেবারেই সহ্য করতে পারে না। গোলমরিচের  ঝাঁঝ পূর্ণ ঘ্রাণ ইঁদুরের ফুসফুসে গেলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। একটা সময় শ্বাস বন্ধে হয়ে মারা যায়। যে সকল স্থানে ইঁদুরের উপদ্রব বেশী বা ইঁদুরের আবাস রয়েছে মনে করছেন সেসকল স্থানে গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে রাখুন।

৩। পেঁয়াজের রস

রান্নার অপরিহার্য উপাদান পেঁয়াজ। রান্না করা ছাড়াও পেঁয়াজ দিয়ে দূর করতে পারেন ইঁদুর। ইঁদুর খুব সহজেই পেঁয়াজে কামড় দিয়ে বসে। ইঁদুর আছে এমন স্থানে পেঁয়াজ রেখে দিন। কিছুদিনের মধ্যেই ইঁদুর দূর হয়ে যাবে।

৪। ন্যাপথলিন

কাপড়কে পোকার হাত থেকে রক্ষার জন্য ন্যাপথলিন ব্যবহার করা হয়। এই নেপথলিন ইঁদুর দূর করতেও বেশ কার্যকর। ইঁদুর আসার স্থানে কয়েকটি ন্যাপথলিন রেখে দিন।

৫। পিপারমিন্ট অয়েল

ইঁদুর দূর করতে পিপারমিন্ট অয়েল অনেক কার্যকরী। ঘরে পিপারমিন্ট অয়েল একটি তুলোর বলে লাগিয়ে ইঁদুরের স্থানে রেখে দিন এছাড়া ঘরে এমনিতেই ছড়িয়ে রাখলে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। পিপারমিন্ট অয়েলের পরিবর্তে পুদিনা পাতা ছেঁচে অলিভ অয়েলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন এবং ঠান্ডা করে ব্যবহার করুন। ইঁদুর পুদিনাপাতার গন্ধ সহ্য করতে পারে না।

কিভাবে চিনবেন বিউটি প্রডাক্টসের আসল-নকল

ranna banna o beauty tips
কিভাবে চিনবেন বিউটি প্রডাক্টসের আসল-নকল
বিভিন্ন রকমের প্রসাধনী সৌন্দর্য্য প্রিয় নারীদের প্রিয় সঙ্গী এখন। লিপস্টিক, নেইলপলিশ, কাজল ইত্যাদি বিভিন্ন সৌন্দর্য্যবর্ধক পণ্য আমরা হরহামেশাই কিনি। কিন্তু প্রায়ই ঘরে ফিরে দেখি যেমন রিভিউ দেখেছিলাম অনলাইনে পণ্যটি মোটেও তেমন নয়। কষ্ট করে পয়সা খরচ করে নকল পণ্য কিনে ফেলেছেন আপনি। তখন নিজের উপর কি রাগটাই না হয়। কিন্তু অপ্রত্যাশিত এই পরিস্থিতি বদলে দিতে পারেন আপনি নিজেই। আসুন জেনে নিই বিউটি প্রডাক্টস এর আসল নকল চেনার চতুর কিছু কৌশল-

একমাত্র অনুমোদিত বিক্রেতার কাছ থেকে পণ্য কিনুন
দোকান বড় হলেই কিন্তু পণ্য নির্ভেজাল হয় না। আপনি যে ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে চান তাদের অফিসিয়াল সাইটে প্রবেশ করে দেখে নিন দেশের কোথায় কোথায় তাদের অনুমোদিত বিক্রয়স্থল রয়েছে। শুধু এসব জায়গা থেকেই পণ্য কিনুন। সহজেই বাঁচতে পারবেন নকল থেকে।

প্যাকেজিং এর দিকে নজর দিন
পণ্যের প্যাকেট, লোগোর অবস্থান সব কিছুর দিকে নজর দিন। কিছু না কিছু বৈসাদৃশ্য আপনি পাবেন। হয়ত আপনি ম্যাক ব্র্যান্ডের একটি লিপস্টিক কিনতে যাচ্ছেন। দেখুন লোগোটি ঠিক একই জায়গায় বসানো কিনা। আসল ম্যানুফেকচারিং কোম্পানির সকল প্রডাকশন একই রকম হয়। কোন হেরফের থাকে না।

বারকোড, সিরিয়াল নাম্বার এবং ম্যানুফেকচারিং তথ্য চেক করুন
আপনার প্যাকেটের সিরিয়াল নাম্বার এবং ভেতরের পণ্যের সিরিয়াল নাম্বার মিলিয়ে নিন। নকল পণ্যে দেখা যায় কোন একটি সিরিয়াল নং মিসিং থাকে। আবার বারকোড প্রথম ২/৩ ডিজিটে গরমিল থাকতে পারে। প্যাকেট এবং পণ্যে মিল পাবেন না পণ্য নকল হলে। আসল পণ্যে অবশ্যই উৎপাদন তারখ এবং মেয়াদ দেওয়া থাকবে। সেগুলোও লক্ষ্য করুন।

রং খেয়াল করুন
নকল আই শ্যাডো, ব্লাশ, লিপস্টিক এবং পাউডার দেখা যায় আসল পণ্যের মত একই রঙের হয় না। আগেই ম্যানুফেকচারিং কোম্পানির সাইট থেকে রঙগুলো চিনে নিন। অতিরিক্ত উজ্জ্বল রং বা ফ্যাকাসে রং সবই যাচাই করে দেখুন।

ঘ্রাণ খেয়াল করুন
ব্র্যান্ডের পণ্যে কখনোই এমন কোন উপাদান ব্যবহার করা হয় না যা আপনার বিরক্তির কারণ হতে পারে। পণ্যের ঘনত্ব, ঘ্রাণ সবকিছুতে একটি স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখা হয়। তাই যখনই উৎকট গন্ধ বা এমন কোন ঘ্রাণ অনুভব করছেন যা ভাল লাগছে না তখনই আগে যাচাই করুন।

ব্রাশ এবং স্পঞ্জ চেক করুন
প্যাকেজিং এবং অন্যান্য সব কিছু ঠিক থাকার পরও আপনার মেকাপ পণ্যটি নকল হবার সুযোগ থেকেই যায়। এবার পরীক্ষা করুন আপনার পণ্যটির সাথে সে জিনিসগুলো দেওয়া হয়, যেমন- মেকাপ ব্রাশ, স্পঞ্জ। নকল পণ্যে এগুলো খুবই নিম্নমানের হয়।

রুক্ষ প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই ৫টি হেয়ারপ্যাক

ranna banna o beauty tips
রুক্ষ প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই ৫টি হেয়ারপ্যাক
ধুলোবালি, রোদ, হেয়ার ট্রিটমেন্ট বিভিন্ন কারণে চুল রুক্ষ, প্রাণহীন ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। রুক্ষ প্রাণহীন চুলে কোন হেয়ার স্টাইল  ভালো লাগে না। নিয়মিত চুলে ব্লো-ড্রাই, হেয়ার স্ট্রেটনার, রোলার ব্যবহার ও পার্ম করে আমরা নিজেরাই চুলের ক্ষতি করে যাচ্ছি। তবে এসব ছাড়াও সঠিক পরিচর্যার অভাবে চুলে রুক্ষভাব আসতে পারে। প্রাণহীন রুক্ষ চুলকে সিল্কি ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই প্যাকগুলো।

১। মধু, অলিভ অয়েল

এক টেবিল চামচ মধু, দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ ডিমের কুসুম একসাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ম্যাসাজ করে সম্পূর্ণ চুলে লাগান। ৩০ মিনিট চুলে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করবে।  

২। মধু এবং অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

১/৪ কাপ বিশুদ্ধ মধু এবং ১০ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার একসাথে মেশান। এটি চুলে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সম্ভব হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৩। টকদই এবং মধুর প্যাক

দুই টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক টেবিল চামচ মধু। সবগুলো উপাদান একসাথে মেশান। এবার এটি ম্যাসাজ করে সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৪। মধু এবং ভেজিটেবল অয়েল

মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। মধু আর ভেজিটেবল অয়েল চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি দিয়ে থাকে। দুই টেবিল চামচ মধু,  দুই টেবিল চামচ ভেজিটেবিল অয়েল মিশিয়ে নিন। এটি আপানার চুলে লাগিয়ে নিন। ১৫/২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

৫। মধু এবং কলার প্যাক

একটি পাকা কলা, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। চুল দুইভাগ করুন। তারপর এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। এটি চুলে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। কলা চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে শাইনি ঝলমলে করে তোলে।

মধু চুল আঠা আঠা করে তোলে। তাই শুধু মধু ব্যবহার না করে কোন না কোন উপাদানের সাথে মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। নিয়মিত এই প্যাকগুলো ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে সিল্কি এবং শাইনি।

সপ্তাহে ৭দিন ব্যবহার করুন ৭টি ভিন্ন ফেসপ্যাক

ranna banna o beauty tips
সপ্তাহে ৭দিন ব্যবহার করুন ৭টি ভিন্ন ফেসপ্যাক
ত্বক সচেতন নারীরা রূপচর্চায় নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন। শত ব্যস্ততার মাঝে দিনের কিছুটা সময় বের করেন ত্বকের যত্নের জন্য। একই ফেসপ্যাক বার বার ব্যবহার করার পরিবর্তে সপ্তাহে সাত দিন সাতরকম ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের অনেকগুলো সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে সাথে ত্বক হয়ে উঠবে নিখুঁত উজ্জ্বল। শনিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন এই প্যাকগুলো।    

১। শনিবার

সপ্তাহ শুরু করুন মধু এবং লেবুর ক্লিনজার দিয়ে। লেবু এবং মধু একসাথে মিশিয়ে নিন। এটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করেন। এই প্যাক ব্যবহারের পূর্বে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। ত্বকের কালো দাগ এবং সানবার্ন দূর করে দেবে এই প্যাকটি।

২। রবিবার

ত্বক পরিষ্কার করার পর ব্যবহার করুন স্ট্রবেরি প্যাক। স্ট্রবেরি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এটি চটকে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি ত্বক ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে স্ট্রবেরির সাথে দুধ বা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩। সোমবার

ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে টকদইয়ের জুড়ি নেই। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে ত্বক নরম কোমল করে তোলে এটি। সেনসিটিভ ত্বকের জন্য টকদই বেশ উপকারি। টকদই সরাসরি অথবা কোন প্যাকের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

৪। মঙ্গলবার

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বেসন বেশ কার্যকর। বেসন এবং দুধ একসাথ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি ত্বক থেকে কালো দাগ দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৫। বুধবার

ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য মুলতানি মাটির প্যাক অনেক কার্যকর। মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল একসাথে মেশান। এই প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করবে তার সাথে ব্রণের দাগ দূর করে দেবে।

৬। বৃহস্পতিবার

বৃহস্পতিবার ব্যবহার করুন হলুদের ফেসপ্যাক। ত্বকের প্রায় সবধরণের সমস্যা দূর করে দেয় হলুদের ফেসপ্যাক। হলুদ এবং দুধ একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন। হলুদের নির্যাস দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৭। শুক্রবার

সপ্তাহ শেষ করুন চালের পানি দিয়ে। চাল সিদ্ধ করার পর তার পানি ফেলে না দিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের কালো দাগ, মেছতার দাগ দূর করবে। এরসাথে বলিরেখা পড়া রোধ করবে।

খাসির মাংসের ভিন্ন ধর্মী কাবাব তৈরি করুন ঘরে

ranna banna o beauty tips
খাসির মাংসের ভিন্ন ধর্মী কাবাব তৈরি করুন ঘরে
“কাবাব” নামটা শুনলে জিভে পানি চলে আসে। শিক কাবাব বেশি খাওয়া হলেও খাসির কাবাবও অনেক জনপ্রিয় কাবাবপ্রেমীদের কাছে। গরুর মাংসে অনেকের অ্যালার্জি থাকা তারা  শিক কাবাব খেতে পারেন না। তারা খাসির মাংস দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন দারুন এই কাবাবটি।

উপকরণ:

১/২ কেজি খাসির মাংস

২ টেবিল চামচ কাঁচা পেঁপে

লবণ

১ টেবিল চামচ আদার কুচি

১ টেবিল চামচ রসুনের কুচি

২টি দারুচিনি

৮টি লবঙ্গ

৬টি গোলমরিচ

১/২ চা চামচ দারুচিনির গুড়ো

১/২ জয়ত্রী গুড়ো

তেজপাতা

১ টেবিল চামচ বেসন

১টি পেঁয়াজ বেরেস্তা

১/২ কাপ ধনেপাতা কুচি

৪-৫টি কাঁচা মরচি

১টি ডিম

প্রণালী:

১। তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, শুকনো কাঁচা মরিচ, জয়ফল জয়ত্রি গুড়ো, গোল মরিচের গুড়ো। লবঙ্গ, এলাচ, আদা কুচি, রসুন কুচি, কাঁচা পেঁপে সব একসাথে পেস্ট করে নিন।

২। মশলা গুড়ো হয়ে আসলে এতে ডিম এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে ফেলুন।

৩। খাসির কিমা মিহি করে বেটে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।

৪। এরপর খাসির কিমার সাথে লবণ, মশলার পেস্ট দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৫। এতে এক টেবিল চামচ বেসন মেশান।

৬। মিশ্রণটি দিয়ে চ্যাপ্টা করে কাবাবের আকৃতি করে নিন।

৭। কাবাবগুলো ফ্রিজে রেখে দিন ১০ মিনিটের জন্য।

৮। একটি প্যানে তেল মাঝারি আঁচে তেল গরম করতে দিন।

৯। তেল গরম হয়ে আসলে এতে কাবাবগুলো দিয়ে দিন। বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।

১০। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার মাটন গুটি কাবাব।

প্রেশার কুকারে তৈরি করুন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি

ranna banna o beauty tips
প্রেশার কুকারে তৈরি করুন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি
বিরিয়ানি নামটা শুনলে মাংস আর তেল, মশলা দেওয়া খাবারের কথা মনে পড়ে যায়। তেল মশলা কম দিয়েও বিরিয়ানি রান্না করা সম্ভব। নানারকম সবজি দিয়ে রান্না করে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি। প্রেশার কুকারে শীতের সবজি দিয়ে তৈরি করে নিন মজাদার সবজি বিরিয়ানি।

উপকরণ:

১ কাপ পোলাও চাল

৪টি লবঙ্গ

২টি দারুচিনি

১টি তেজপাতা

৮-১০ টি গোলমরিচ

১ চা চামচ জিরা

১/২ চা চামচ মরিচের গুঁড়ো

১ টেবিল চামচ ধনিয়া গুঁড়ো

২ টেবিল চামচ বিরিয়ানি মশলা

১/২ কাপ টকদই

১ কাপ পেঁয়াজ কুচি

১ টেবিল চামচ আদা রসুন কুচি

১/৪ কাপ ফুলকুপি

১/৪ কাপ বিনস

১/৪ কাপ গাজর কুচি

১/৪ কাপ আলু

১/৪ কাপ পুদিনা পাতা কুচি

১/৪ কাপ ধনেপাতা কুচি

তেল

লবণ

পানি

প্রণালী:

১। পোলাও চাল ভালো করে ধুয়ে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর পানি ফেলে দিন।

২। প্রেসার কুকারে তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হয়ে আসলে এতে তেজপাতা, এলাচ, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জিরা দিয়ে দিন।

৩। কিছুক্ষণ নাড়ুন তারপর এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।

৪। পেঁয়াজ বাদামী রং হয়ে আসলে এতে আদার পেস্ট, রসুনের পেস্ট, পুদিনা পাতা এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

৫। এরপর এতে আলু, গাজর, ফুলকুপি, বিনস দিয়ে দিন।

৬। সবজি রান্না হলে এতে লবণ, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, বিরিয়ানি মশলা এবং টকদই দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।

৭। এবার এতে চাল দিয়ে মশলার সাথে ৫ মিনিট নাড়ুন।

৮। এতে পৌনে দুই কাপ পানি দিয়ে প্রেসার কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে দিন।

৯। প্রেশার কুকারে হুইসেল দিলে চুলা বন্ধ করে দিন।

১০। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার সবজি বিরিয়ানি।

টিপস:

আপনি আপনার পছন্দমত সবজি দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করতে পারেন।

সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৬

নবাবী সবজি পোলাও

ranna banna o beauty tips
নবাবী সবজি পোলাও
“নবাবী” শব্দটি শুনলেই মনে হয় মাখা মাখা মাংস আর বাসমতী চালের সুবাসে মৌ মৌ করতে থাকা ভোজ। কিন্তু তাহলে নিরামিষভোজীদের কী হবে? তাদের কপালে কি নবাবী খাবার নেই? আছে নিশ্চয়ই। আজ দেখে নিন নবাবী খাবারেরই একটি নিরামিষ সংস্করণ। স্বাদে-গন্ধে মাংসের বিরিয়ানির চাইতে কোনো অংশে কম নয় এই সবজি পোলাও। অনেকগুলো উপকরণ থাকায় প্রতি কামড়েই আছে চমক। তৈরির সময়টাও লাগবে কম।

উপকরণ
২ কাপ (২০০ গ্রাম) চাল
২ টেবিল চামচ ঘি
আধা টেবিল চামচ তেল
১টা ছোট ফুলকপি
১টা মাঝারি গাজর
৬/৭টি সীম
আধা কাপ মটরশুঁটি
৮-১০টি মুগ ডালের বড়ি/ সয়া বল
১টি বড় পিঁয়াজ
১ টেবিল চামচ আদা কুচি
১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
৩টি কাচামরিচ মিহি কুচি
কয়েকটি তেজপাতা
৪/৬টি লবঙ্গ
৩/৪টি এলাচ
১টি শাহী এলাচ
৬/৭টি গোলমরিচ
১ ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি
১ চা চামচ আস্ত জিরা
আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
অল্প কিছু কাজুবাদাম ও কিসমিস
গার্নিশের জন্য ধনেপাতা কুচি

প্রণালী
১) বড়ি বা সয়া বল ডিপ ফ্রাই করে রাখুন।
২) একটি প্যানে তেল গরম করে নিন। এতে অর্ধেক পিঁয়াজ এবং অর্ধেক আদা ভেজে বেরেস্তা করে নিন। এরপর এতে দিন ফুলকপি, গাজর, সীম, মটরশুঁটি, এক চিমটি হলুদ এবং লবন। নেড়েচেড়ে ভেজে নিন ৫-৬ মিনিট। এরপর নামিয়ে রাখুন।
৩) প্রেশার কুকারে ঘি গরম করে নিন। এতে দিন তেজপাতা, জিরা, লবঙ্গ, গোলমরিচ, এলাচ এবং কয়েকটি কাজুবাদাম। ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না হাল্কা গোলাপি হয়ে আসে কাজুবাদাম। এরপর কিছু কিসমিস দিতে পারেন। বাকি পিঁয়াজ, আদা, রসুন, কাচামরিচ দিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়। এরপর বড়ি দিয়ে কয়েক মিনিট ভেজে নিন। বাকি হলুদ, মরিচ গুঁড়ো এবং ধনে গুঁড়ো দিন। ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
৪) এতে চাল দিয়ে দিন। অল্প লবণ ছিটিয়ে দিন। ৪ কাপ পানি দিয়ে প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে দিন। মাঝারি আচে রান্না হতে দিন। একটা সিটি দিলেই সেদ্ধ হয়ে যাবে।
৫) আচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার কমে গেলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলুন। এর ভেতরে সবজিগুলো দিয়ে দিন। ভালো করে নেড়ে সেদ্ধ পোলাওয়ের সাথে মিশিয়ে নিন। এরপর ঢাকনা বন্ধ করে রেখে দিন ১০ মিনিট। এতে সবজিগুলো সেদ্ধ হবে কিন্তু একটু কচকচেও থাকবে।

ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন নবাবী সবজি পোলাও। এর সাথে দিতে পারেন রায়তা। ব্যাস, আমিষের কোনো দরকারই হবে না!

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬

ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলুন ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাকের মাধ্যমে

ranna banna o beauty tips
ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলুন ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাকের মাধ্যমে
শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রোটিনের ভূমিকা সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানে। সুন্দর স্বাস্থ্যকর চুলের জন্যেও প্রোটিনের প্রয়োজন রয়েছে। আগা ফাটা, চুল পড়া, ক্ষতিগ্রস্ত চুলের সমস্যা সারিয়ে তুলতে প্রোটিন হেয়ার প্যাকের জুড়ি নেই। চুলের সমস্যা সামধানে অনেকেই পার্লারে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। কিন্তু সব সময় পার্লারে গিয়ে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করা সম্ভব হয় না। ঘরোয়া কিছু উপায়ে ঘরে করে ফেলতে পারেন পার্লারের মত প্রোটিন ট্রিটমেন্ট।

১। নারকেলের দুধ

নারকেলের দুধ প্রোটিনের অন্যতম উৎস। নারকেলের দুধ চুল শাইনি এবং স্ট্রং করে তোলে। কিছু পরিমাণ নারকেলের দুধ চুলের গোড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট এটি চুলে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তাৎক্ষনিক চুলের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

২। মেথি, দুধ এবং নারকেল তেলের প্যাক

৪ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়ো, ১/২ কাপ দুধ, ২ টেবিল চামচ টকদই, ৩ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ নারকেল তেল। গরম দুধে মেথি ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এবার এটি টকদই এবং নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে চুলটি ধুয়ে প্যাকটি লাগিয়ে ফেলুন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি চুল ধুয়ে ফেলুন।

৩। ডিমের হেয়ার প্যাক

১টি ডিম এবং ৫ চা চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। আপনার যদি তৈলাক্ত চুল হয়, তবে ডিমের সাদা অংশ, রুক্ষ চুল হলে ডিমের কুসুম আর নরমাল চুলের জন্য আপনি সম্পূর্ণ ডিম ব্যবহার করতে পারেন। ডিম আপনার চুলে পুষ্টি যোগায়। টকদই চুলকে সিল্কি, ঝলমলে করে তোলে।

৪। মেয়নিজ এবং অ্যাভোকাডো

মেয়নিজ ডিম এবং তেল দিয়ে তৈরি হওয়া এটি চুলের জন্য বেশ উপকারি। অ্যাভোকাডো চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা রোধ করে। দুই টেবিল চামচ মেয়নিজ এবং অর্ধেকটা অ্যাভোকাডো চটকে মিশিয়ে নিন। এটি সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার করুন। তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। ২০-৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৫। ডিম এবং মধুর প্যাক

ডিম এবং মধু ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলতে বেশ কার্যকর। এক চামচ মধু এবং দুটি ডিম একসাথে বিট করে মেশান। এটি মাথার তালুসহ সম্পূর্ণ চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে এর সাথে লেবুর রস মেশাতে পারেন। লেবুর রস খুশকি দূর করতে বেশ কার্যকর।

চিকেন কিমা টিকিয়া

ranna banna o beauty tips
চিকেন কিমা টিকিয়া
স্ন্যাক্স বলতেই আজকাল আমরা বুঝি খুব অস্বাস্থ্যকর, তেল চুপচুপে, কড়া করে ভাজা কিছু খাবার। এসব খাবার মুহূর্তের ক্ষুধা মেটালেও বেশিক্ষণ পেটে থাকে না, আর স্বাস্থ্যেরও খুব একটা উপকার করে না। স্বাস্থ্যকর এবং বেশ কিছুটা সময় পেট ভরিয়ে রাখবে এমন স্ন্যাক্স খুঁজতে থাকলে আজ দেখে নিন চিকেন কিমা টিকিয়ার এই রেসিপিটি। চিকেনের পাশাপাশি বেশ কিছু সবজির মিশ্রণে চমৎকার এই খাবারটি পছন্দ করবেন যে কেউ। 

উপকরণ: 

-২৫০ গ্রাম মুরগির মাংসের কিমা

-২ টেবিল চামচ আদা-কাঁচামরিচ বাটা

-৫/৬টা ফ্রেঞ্চ বিন, মিহি কুচি

-১টি ছোট গাজর, মিহি কুচি 

-২/৩ টেবিল চামচ মটরশুঁটি, সেদ্ধ করে পেস্ট করে নেওয়া

-২/৩ টেবিল চামচ ওটস

-১টি ছোট আলু, সেদ্ধ করা

-লবণ স্বাদমতো

-১টি ডিমের সাদা অংশ

-১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

-আধা কাপ ব্রেড ক্রাম্ব

-২ চা চামচ তেল

-ওপরে দেবার জন্য চাট মশলা

-অর্ধেকটা লেটুস, লম্বা করে ছিঁড়ে নেওয়া

-বড় পিঁয়াজের কিছু রিং

-১টি লেবু, লম্বা করে টুকরো কড়া

-৩/৪টি চেরি টমেটো

-পরিবেশনের জন্য পুদিনার চাটনি

প্রণালী: 

১) কিমা একটি পাত্রে নিন। এতে মিশিয়ে নিন আদা-কাঁচামরিচ বাটা, ফ্রেঞ্চ বিনস, গাজর, মটরশুঁটি এবং ওটস। ভালো করে মাখিয়ে নিন। 

২) আলু গ্রেট করে নি এই মিশ্রণে। এরপর লবণ, ডিমের সাদা অংশ এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে মাখিয়ে  নিন। 

৩) একটি প্লেটে ব্রেডক্রাম্ব ছড়িয়ে নিন। 

৪) কিমার মিশ্রণ দিয়ে সমান মাপের কয়েকটি টিকিয়ে তৈরি করে নিন। ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন।

৫) নন-স্টিক কড়াইতে তেল গরম করে নিন। এতে টিকিয়ে দিয়ে দুই পাশে উল্টেপাল্টে ভেজে নিন টিকিয়াগুলো। চিকেন কিমা পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে আসা পর্যন্ত ভাজুন। ভাজা হয়ে এলে ওপরে অল্প করে চাট মশলা ছড়িয়ে নিন। 

পরিবেশনের প্লেটে লেটুস পাতা, পিঁয়াজের রিং, লেবুর টুকরো এবং টমেটো সাজিয়ে নিন। লেটুসের ওপর টিকিয়া দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম। এটা স্ন্যাক্স হিসেবেও খেতে পারেন, পোলাও অথবা খিচুড়ির সাথেও সাইড ডিশ হিসেবে দিতে পারেন। 

শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬

আপনার ত্বক কি তৈলাক্ত? তাহলে ব্যবহার করুন ঘরে তৈরি চন্দনের ফেস প্যাক

ranna banna o beauty tips
আপনার ত্বক কি তৈলাক্ত? তাহলে ব্যবহার করুন ঘরে তৈরি চন্দনের ফেস প্যাক
সূর্যের আলোয় বাইরে বের হলেই ত্বকে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা তৈরি হয়। তৈলাক্ত ত্বকের মানুষদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরো বেড়ে যায়। ত্বকের তেল চিটচিটে ভাব দূর করে উজ্জ্বলতা ও কমনীয়তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে চন্দনের ফেস প্যাক। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্যই আমাদের আজকের এই ফিচার।

যেভাবে তৈরি করবেন চন্দনের ফেস প্যাক :

-   ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সাথে ১ চা চামচ চন্দনের গুঁড়া এমং ১ চিমটি হলুদ গুঁড়া মেশান। সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মেশান।

-   এর সাথে সামান্য দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি যেন পাতলা হয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। দুধের পরিবর্তে গোলাপ জল ও ব্যবহার করতে পারেন।   

-   এবার এই প্যাকটি মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকানোর জন্য।

-   তারপর মুখে সামান্য পানির ছিটা দিন এবং আঙ্গুল দিয়ে বৃত্তাকারে ঘষতে থাকুন। তাহলে খুব সহজেই প্যাকটি উঠে যাবে।

-   এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং মুখটি মুছে নিন।

-   সপ্তাহে ১ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল হবে ও ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর হবে।

যে কারণে এই ফেস প্যাকটি কার্যকরী :

এই ফেস প্যাকটিতে মুলতানি মাটি থাকে যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়। এছাড়াও ত্বকের ধুলো-ময়লা ও মরা চামড়া দূর করে ত্বককে পরিষ্কার হতে সাহায্য করে মুলতানি মাটি। চন্দন ত্বককে ময়েশ্চারাইজ হতে সাহায্য করে এবং ত্বকে শীতল অনুভূতি দেয়। চন্দনে সেন্টানল নামক সক্রিয় উপাদান থাকে যা ত্বকের ছিদ্রগুলোকে সংকুচিত হতে সাহায্য করে প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে। হলুদে থাকে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান এবং দুধে থাকে এক্সফলিয়েটিং ও ত্বকের বর্ণ হালকা করার উপাদান। তাই চন্দনের এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করলে ত্বক নরম-কোমল হওয়ার পাশাপাশি ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততাও দূর হবে।

হায়দ্রাবাদি টক ডাল রেসিপি

ranna banna o beauty tips
হায়দ্রাবাদি টক ডাল রেসিপি
ডাল খেতে পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। উৎসব থাকুক আর না থাকুক, মুগ-মসুরই ভরসা। অন্যরকম ডাল খাবার শখ হলে হয়তো বুটের ডাল অথবা মাসকলাইয়ের ডাল রান্না করা হয়। কিন্তু আরও অনেক রকমের ডালের কথা ভুলে যাই আমরা, তার মাঝে একটি হলো অড়হরের ডাল। অনেকে হয়তো নামই শোনেননি কখনো, চোখে দেখা বা চেখে দেখা তো পরের কথা। এই অড়হরের ডাল দিয়েই তৈরি দারুন সুস্বাদু একটি ডালের রেসিপি জেনে নিন আজ। টক-ঝাল এই ডালের রেসিপিটি এসেছে হায়দ্রাবাদ থেকে।

উপকরণ
- ১ কাপ অড়হরের ডাল
- ১টি বড় টমেটো, মিহি কুচি করা
- আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
- ১ চা চামচ রসুন কুচি
- আধা চা চামচ আদা কুচি
- পৌণে এক চা চামচ কাঁচামরিচ কুচি
- এক কাপ তেঁতুল গোলা পানি

বাগাড় দেবার জন্য
- ১ চা চামচ তেল
- ১ চা চামচ সরিষা
- ১ চা চামচ জিরা
- ২/৩টি শুকনো মরিচ
- কয়েকটি কারি পাতা
- ৩/৪ কোয়া রসুন কুচি করা
- গার্নিশের জন্য ধনেপাতা কুচি

প্রণালী
১) প্রথমে ডাল ভালো করে ধুয়ে নিন। একটি প্রেশার কুকারে ডাল, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, কাঁচামরিচ, টমেটো এবং দুই কাপ পানি দিন। ঢাকনা আটকে দিয়ে বেশি আঁচে দুইটি সিটি দেওয়া পর্যন্ত রান্না হতে দিন। এরপর আঁচ কমিয়ে আরও ৩ মিনিট রান্না হতে দিন। এরপর আঁচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার নিজে থেকে কমে এলে এরপর ঢাকনা খুলুন।
২) ডাল রান্না হয়ে এলে ডাল রান্নার কাঠি দিয়ে নেড়ে একে আরও মিহি করে নিন। এতে তেঁতুলের পানি দিয়ে আবারও আঁচে দিন। ফুটে এলে আঁচ একেবারে কমিয়ে রাখুন। এই অবস্থায় বাগাড় প্রস্তুত করুন।
৩) বাগাড়ের জন্য একটি কড়াইতে তেল গরম করে নিন। এতে সরিষা ও জিরা দিন। এগুলো ফুটে এলে আদা দিয়ে ভাজুন। আদা বাদামি হয়ে এলে কারি পাতা ও শুকনো মরিচ দিন। কয়েক সেকেন্ড সাঁতলে নিন।
৪) ডালের ওপর বাগাড় ঢেলে দিন এবং ৪-৫ মিনিট রাখুন। এরপর আঁচ বন্ধ করে দিন।

তৈরি হয়ে গেলো দারুন টক-ঝাল স্বাদের হায়দ্রাবাদি ডাল। পরিবেশনের আগে ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিন। পরিবেশন করতে পারেন গরম ভাতের সাথে।

টিপস:
- অড়হর ডালের বদলে মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারেন
- তেঁতুলের বদলে ব্যবহার করতে পারেন লেবুর রস

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬

ত্বকের সমস্যার সমাধান করবে গুঁড়ো দুধের এই ৫টি প্যাক

ranna banna o beauty tips
ত্বকের সমস্যার সমাধান করবে গুঁড়ো দুধের এই ৫টি প্যাক
চা বা কফি তৈরির অন্যতম উপাদান হল গুঁড়ো দুধ। শুধু চা কফি নয় পায়েস, পুডিং, মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় গুঁড়ো দুধ। আপনি কি জানেন ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যায় এই গুঁড়ো দুধ? ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা, ত্বকে কালো দাগ কিংবা ব্রণের কালো দাগ দূর করতে গুঁড়ো দুধের প্যাক ব্যবহার করুন। গুঁড়ো দুধের কার্যকর কিছু প্যাক নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

১। গুঁড়ো দুধ এবং লেবুর রস

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধের সাথে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

২। গুঁড়ো দুধ, পেঁপে এবং গোলাপ জল

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক টেবিল চামচ পেঁপের পেস্ট এবং ছয়-সাত ফোঁটা গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে নিন।  এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গোলাপ জল টোনার হিসেবে কাজ করে। আর গুঁড়ো দুধ এবং পেঁপে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

৩। গুঁড়ো দুধ এবং চালের গুঁড়ো

একটি পাত্রে চাল এবং গুঁড়ো দুধ পানিতে গুলিয়ে দুই ঘন্টা রেখে দিন। এরপর এই মিশ্রণটি বেটে পেস্ট করুন। এই পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে এতে লেবুর রস মেশাতে পারেন। এটি ত্বক নরম করার সাথে সাথে স্ক্রার্বেও কাজ করবে।

৪। গুঁড়ো দুধ এবং হলুদ

এক চা চামচ হলুদের গুঁড়োর সাথে কাঁচা দুধ মেশান। দুধ এবং হলুদের পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে মধু মেশাতে পারেন। প্যাক ব্যবহারের আগে মুখ কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের রোমকূপ খুলে যাবে এবং প্যাক ভালভাবে ত্বকে কাজ করবে।

৫। গুঁড়ো দুধ এবং কমলার খোসা

কমলার খোসা গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে চক্রাকারে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি তুলে ফেলার পর ত্বকে বরফ ঘষুন পাঁচ মিনিট। তাৎক্ষনিক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এই প্যাকটি।

অতিথি আপ্যায়নে ঝটপট আলু রোস্ট

ranna banna o beauty tips
অতিথি আপ্যায়নে ঝটপট আলু রোস্ট
বিপদের সময়ে আলুর বিকল্প নেই। সকালের নাস্তায় দ্রুত আলু ভাজা, দুপুরে ভাতের সাথে আলু ভর্তা, স্ন্যাক্স হিসেবে আলুর চপ, আর মাছ-মাংস বা ডিম রান্নায় আমিষের পাশাপাশি তো আছেই। কিন্তু শুধু আলু দিয়েই যে রোস্ট তৈরি করে ফেলা যায়, তা কখনও ভেবেছেন? খাবার টেবিলে আমিষের অনুপস্থিতি একবারেই ভুলিয়ে দেবে ঝটপট এই আলু মাসালা রোস্ট। চলুন দেখে নিই রেসিপিটি।

রান্নার সময়: ১২ মিনিট

কোটাবাছার সময়: ১৫ মিনিট

পরিবেশন: ৪ জন

উপকরণ
- ৩/৪টি বড় আলু
- দেড় টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো/কর্ন ফ্লাওয়ার
- ১ টেবিল চামচ তেল
- সিকি চা চামচ হিং/কাসুরি মেথি
- ১ চা চামচ জিরা
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- আধা চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- পৌনে এক চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
- লবণ ১ চা চামচ
- ১ টেবিল চামচ টাটকা ধনেপাতা কুচি

প্রণালী
১) দ্রুত আলু সেদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন প্রেশার কুকার। কুকারে ২ কাপ পানি দিন। আরেকটি পাত্রে ধোয়া আলু নিয়ে এই পানির ওপর রাখুন। আলু পানিতে দেবেন না। ঢাকনা লাগিয়ে দিন। বেশি আঁচে সেদ্ধ হতে দিন। ২টি হুইসেল আঁচ কমিয়ে রাখুন ৮-১০ মিনিট। এরপর আঁচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার কমে এলে ঢাকনা খুলে নিন। চামড়া ছাড়িয়ে কিউব করে কেটে নিন।
২) কিউব করা আলু একটি বড় পাত্রে নিন। এতে চালের গুঁড়ো দিন এবং পাত্রটি সাবধানে টস করুন যাতে আলুর কিউবে সমানভাবে চালের গুঁড়ো মেখে যায়।
৩) একটি ছোট পাত্রে লবণ, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
৪) তলাভারি একটি পাত্রে তেল গরম করে নিন। এতে আস্ত জিরা দিন। জিরা ফুটতে থাকলে আঁচ কমিয়ে ফেলুন। এতে মশলার মিশ্রণ দিয়ে দিন। তেলের সাথে নেড়ে মিশিয়ে নিন। কিন্তু সাবধান থাকুন যেন মশলা পুড়ে না যায়।
৫) চালের গুঁড়ো মাখানো আলুর কিউবগুলোকে এবার মশলার মাঝে ছেড়ে দিন। কম আঁচে নেড়েচেড়ে রান্না করুন ৮-১০ মিনিট। ওপরটা মুচমুচে লালচে-সোনালি হলে নামিয়ে নিন।

ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভাত বা পরোটার সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম।

টিপস:
- এক চিমটি গরম মশলা গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন
- মশলা দেবার সময়েই লবণ দিয়ে দিন, পরে দেবেন না
- চালের গুঁড়ো না থাকলে কর্ন ফ্লাওয়ার ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু চালের গুঁড়ো দিলে ক্রিস্পি ভাবটা ভালো আসবে

বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬

খুশকির কারণে চুল পড়া রোধ করতে চান?

ranna banna o beauty tips
খুশকির কারণে চুল পড়া রোধ করতে চান?
চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে মনবল নষ্ট হয়ে যায় অনেকেরই। ভিটামিনের ঘাটতি থেকে শুরু করে জটিল কোন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে চুল পড়তে পারে। চুল পড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে খুশকি। কীভাবে খুশকির কারণে চুল পড়ে যায় এবং এই চুল পড়া প্রতিরোধের উপায় কী- তাই জানবো আজ।

অত্যধিক চুলকানো ও আঁচড়ানো

খুশকি চুল পড়ে যাওয়ার জন্য সরাসরি দায়ী নয়। খুশকির কারণে প্রচন্ড চুলকানি হয়। চুলকানি কমানোর জন্য চুল ঘন ঘন আঁচড়ানোর ফলে মাথার তালু শুষ্ক হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত ঘর্ষণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল পড়া শুরু হয়। মাথার তালুর শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল এবং চুলকানিও প্রতিরোধ করে।    

ডারমাটাইটিস

মাথার তালুতে ডারমাটাইটিস হতে পারে সাবান, ডিটারজেন্ট বা রাসায়নিকের ব্যবহারের ফলে। ডারমাটাইটিসের কারণেও খুশকি হতে পারে এবং চুল পড়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাটির সমাধানের জন্য একজন ডারমাটোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।

ত্বকের কোষের স্খলন

খুশকির কারণে মাথার তালুর কোষ অধিক পরিমাণে ঝরে যায়। যা চুল পড়ে যাওয়া এবং চুলের বৃদ্ধির উপর ও প্রভাব ফেলে। আপনি হয়তো খুশকি দূর করার জন্য অ্যান্টিডেন্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন। কিন্তু মাথার তালুর এক্সফলিয়েটিং করার মত গুরুত্বপূর্ণ ধাপটিই হয়তোবা বাদ দিয়ে যাচ্ছেন আপনি। চুল পড়া বন্ধ করা এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এক্সফলিয়েটিং স্কাল্প মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।

ওটমিলের ফেসপ্যাক   

খুশকি মুক্ত হতে এবং চুল পড়া প্রতিরোধে সাহায্য করে ওটমিলের হেয়ার প্যাক। ওটমিলের হেয়ার প্যাক তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন এবং লাগানোর উপায় :

-   ৪ টেবিলচামচ ওটমিলের সাথে দুই টেবিলচামচ দুধ এবং দুই টেবিলচামচ আমন্ড অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।

-   আপনার চুলগুলোকে জটমুক্ত করে নিন এবং ওটমিলের প্যাকটি মাথার তালুতে ও চুলে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

-   সপ্তাহে ১ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। অত্যধিক তেলের উৎপাদন ও খুশকি মুক্ত হতে সাহায্য করবে ওটমিলের প্যাকটি।  

ভারতীয় জনপ্রিয় খাবার ঝিঙ্গা আলু পোস্ত

ranna banna o beauty tips
ভারতীয় জনপ্রিয় খাবার ঝিঙ্গা আলু পোস্ত 
ঝিঙ্গা বেশ জনপ্রিয় একটি সবজি। ভাজি অথবা তরকারি হিসেবে ঝিঙ্গা অনেকেই রান্না করে থাকেন। ঝিঙ্গা দিয়ে একটি রান্না হল ঝিঙ্গা আলু পোস্ত। ভাত, রুটি, পোলাও যেকোন খাবারের সাথে এই সবজিটি খেতে দারুন লাগে। ভিন্নধর্মী সবজিটি রান্না করতে পারেন খুব সহজে।

উপকরণ:

২টি মাঝারি আকৃতির আলু ( ছোট করে কাটা)

১টি মাঝারি আকৃতির ঝিঙ্গা

১/২ মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ কুচি

১/২ চা চামচ কালোজিরা

১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো

কাঁচামরিচ কুচি

২ টেবিল চামচ পোস্ত বাটা

লবণ

প্রণালী:

১। প্রথমে চুলায় প্যান গরম হয়ে আসলে এতে তেল দিয়ে দিন। এরপর এতে কালোজিরা, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।

২। কিছুক্ষণ পর এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।

৩। পেঁয়াজ কুচি নরম হয়ে আসলে এতে আলু দিয়ে দিন।

৪। এরপর এতে লবণ, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।

৫। আলু নরম হয়ে আসলে এতে ঝিঙ্গা দিয়ে দিন।

৬। আলু, ঝিঙ্গা ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

৭। তারপর এতে পোস্ত দানা বাটা দিয়ে দিন। কিছুটা ঘন হয়ে আসলে সামান্য পানি দিয়ে দিন।

৮। কাঁচামরিচ দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ঝিঙ্গা আলু পোস্ত।

মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৬

পার্লারের মত হেয়ার স্পা ঘরে করে ফেলুন ৫টি উপায়ে।

Hair Spa
পার্লারের মত হেয়ার স্পা
চুলের যত্নে হেয়ার স্পা বেশ জনপ্রিয় এবং প্রচলিত একটি ট্রিটমেন্ট। যারা নিয়মিত পার্লারে সেবা নিয়ে থাকেন, তারা প্রায়ই হেয়ার স্পা করেন। রুক্ষ, প্রাণহীন চুলকে ঝলমল উজ্জ্বল করে তুলতে হেয়ার স্পার তুলনা নেই। কিন্তু সব সময় পার্লারে গিয়ে স্পা করানো সম্ভব হয় না। এখন আপনি বাসায় বসেই খুব সহজে হেয়ার স্পা করে নিতে পারেন।    

১। তেলের ম্যাসাজ

বিশুদ্ধ অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেল কিছুটা গরম করে নিন। তারপর এটি মাথার তালুতে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে ১০ মিনিট পুরো মাথা ঢেকে রাখুন। তোয়ালের গরম ভাব চুলে স্টিমের কাজ করে। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তেলের ম্যাসাজ করলে আপনি চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার এড়িয়ে যেতে পারেন। অন্যান্য তেলের তুলনায় অলিভ অয়েল বেশি কার্যকর।

হট অয়েল ম্যাসাজের পর নিচের যেকোন একটি প্যাক চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

১। অ্যাভোকাডো এবং মধুর হেয়ার প্যাক

অ্যাভোকাডো নতুন চুল গজাতে সাহায্য করার পাশাপাশি চুলকে মসৃণ কোমল করে থাকে। একটি আভাকাডো চটকে নিয়ে এর মধ্যে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার চুলে এই প্যাক মাখুন। ২০ মিনিট এর পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

২। ডিম এবং তেলের প্যাক

ডিমের প্রোটিন নতুন চুল গোঁড়া মজবুত করে তোলে। যেকোন ভিটামিন ই যুক্ত তেলের সাথে ডিম ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই প্যাক সম্পূর্ণ চুলে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি চুলকে নরম ও মসৃণ করে তুলবে।

৩। কলার প্যাক

একটি পাকা কলা চটকে নিয়ে এতে অলিভ অয়েল এবং ডিম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার প্যাকটি চুলে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৪। শসার প্যাক

একটি ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফেটে নিন এরসাথে দুই টেবিল চামচ ভিটামিন ই অয়েল এবং চার পাঁচ টুকরো শসার টুকরো করে রস বের করুন। সবগুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে নিন। চুলে এই প্যাকটি ভাল করে লাগান। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৫। দুধ ও মধুর প্যাক

খুব সহজ এবং কার্যকরী একটি স্পা হল দুধ মধুর প্যাক। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ফেলুন। এরপর এটি চুলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুল অনেক বেশি ঝরঝরে ও প্রাণবন্ত হবে।

ভারতীয় "ধোকলা" এইবার তৈরি করুন পাউরুটি দিয়ে।

bread dhokla sandwich
ভারতীয় "ধোকলা"
পাউরুটি দিয়ে নানান নাস্তা তৈরি করা যায়। পাউরুটি টোস্ট, ব্রেড পাকোড়া, স্যান্ডউইচ আরও কত কী! এই পাউরুটি দিয়ে তৈরি করতে পারেন আরেকটি মজাদার ভারতীয় খাবার। ধোকলা খাবারটির নাম কম বেশি সবাই শুনেছেন। এই ধোকলা স্যান্ডউইচ তৈরি করতে পারবেন  পাউরুটি দিয়ে।

উপকরণ:

৮টি পাউরুটির টুকরো
১ কাপ বেসন

১/২ কাপ সুজি

লবণ

তেল

১ চা চামচ চিনি

১ চা চামচ ইনো (ফ্রুট সল্ট)

পুরের জন্য:

১/৪ কাপ পেঁয়াজ কুচি

১/৪ কাপ গাজর কুচি

১/৪ কাপ শিম কুচি

১/৪ কাপ লাল ক্যাপসিকাম কুচি

তেল

১/২ চা চামচ সরিষা

এক চিমটি হিং

১/৪ চা চামচ গরম মশলা

১/৪ চা চামচ মরিচ গুড়ো

লেবুর রস

১/৪ চা চামচ গোল মরিচের গুড়ো

২ চা চামচ টমেটো কেচাপ

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে বেসন, সুজি, টকদই, লবণ, চিনি, তেল এবং সামান্য পানি দিয়ে ভাল করে মেশান। কিছুটা ঘন হওয়ার জন্য প্রয়োজনমত পানি মেশান।

২। এই মিশ্রণটি ঢাকনা দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।

৩। একটি নন-স্টিক প্যানে তেল দিন। এতে সরিষা দিয়ে নাড়ুন। এরপর এতে হিং, পেঁয়াজ কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, গাজর কুচি, শিম কুচি ইত্যাদি সবজি দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে রান্না করুন।

৪। খুব বেশি রান্না করবেন না। সবজি কিছুটা নরম হয়ে আসলে এতে মরিচ গুড়ো, টমেটো কেচাপ, লেবুর রস, গরম মশলা, এবং গোল মরিচের গুড়ো দিয়ে দিন।

৫। এবার পাউরুটিগুলোকে গোল করে কেটে নিন।

৬। ইডলি বা পিঠা বানানোর ছাঁচে কিছুটা তেল ব্রাশ করে পাউরুটি দিয়ে দিন।

৭। চুলায় ১.৫ গ্লাস পানি জ্বাল হতে দিন। পানি বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

৮। পিঠা তৈরি ছাঁচে পাউরুটি তার উপর সবজির মিশ্রণ এবং সবশেষে বেসনের মিশ্রণটি দিয়ে দিন।

৯। এবার ফুটন্ত পানিতে ছাঁচটি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ৩-৪ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন।

১০। ৩-৪ মিনিট পর সস বা চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পাউরুটি ধোকলা।

টিপস:

১। বেসনের মিশ্রণটি খুব ভাল করে ফেটে নিবেন যাতে কোন প্রকার দানা দানা ভাব না থাকে।

২। বেসনের মিশ্রণে ইনো ফ্রুট সল্ট মিশিয়ে তারপর পাউরুটির উপর দিবেন।

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হারবাল বিউটি টিপস

ranna banna o beauty tips
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হারবাল বিউটি টিপস
বেশিরভাগ নারীই উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরণের কসমেটিক পণ্য ব্যবহার করেন। যদিও এর দ্বারা উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া হয়না। আপনার ত্বকের জন্য ভেতর থেকে এবং বাহির থেকে পুষ্টি প্রয়োজন। কেমিক্যাল কসমেটিক এই পুষ্টি সরবরাহ করতে পারেনা এবং এরা কেবল বাহিরের ত্বকেই কাজ করে। প্যাকেটজাত পণ্য দীর্ঘদিন ব্যবহার করাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য হারবাল পণ্য ব্যবহার করুন। এই হারবাল উপাদানগুলো আপনার রান্নাঘরেই পাবেন এবং এরা দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের উপর ভালো প্রভাব ফেলে। চলুন তাহলে জেনে নিই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী ভেষজ উপাদানগুলো সম্পর্কে।

১। আঙ্গুর

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আঙ্গুর ব্যবহার করতে পারেন। কয়েকটি আঙ্গুর থেঁতলে নিয়ে আপনার মুখের ত্বকে লাগান।

২। শশা, গ্লিসারিন ও গোলাপজল

শশা থেঁতলে রস বের করে এর সাথে গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। বাহিরে যাওয়ার পূর্বে ও বাসায় ফেরার পরে এই ফেস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারলে উপকার পাবেন।

৩। চন্দন, হলুদ এবং দুধ

চন্দনের মিহি গুঁড়োর সাথে সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ও সতেজ হবে।

৪। মধু ও দুধের সর

দুধের সরের সাথে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়, বিশেষ করে শীতের দিনে।

৫। টাটকা দুধ, লবণ ও লেবুর রস

টাটকা দুধের সাথে এক চিমটি লবণ ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের ছিদ্রগুলো উন্মুক্ত হয়।

৬। টমেটোর জুস

টমেটোর জুসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।

৭। হলুদ গুঁড়ো, আটা ও তিলের তেল

হলুদ গুঁড়ো, আটা ও তিলের তেল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়, সেইসাথে ত্বকের উজ্জলতাও বৃদ্ধি পায়।

৮। বাঁধাকপির জুস ও মধু

বাঁধাকপির কিছুটা অংশ থেঁতলে রস বের করুন। এই রসের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করা যায়।

৯। গাজরের জুস

ত্বকের উজ্জ্বলতা প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করার জন্য গাজরের জুস চমৎকার কাজ করে। গাজর ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করে নিতে পারেন।

১০। মধু ও দারচিনি গুঁড়ো

মধু ও দারুচিনি গুঁড়া ৩ : ১ অনুপাতে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে লাগিয়ে সারারাত রাখুন। এতে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়।

১১। অ্যালোভেরা জুস

অ্যালোভেরা জুস ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ দূর হয় এবং ত্বক হাইড্রেটেড থাকে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে চমৎকার কাজ করে।

১২। মুলতানি মাটি, গোলাপের পাপড়ি, নিম, তুলসি ও গোলাপজল

মুলতানি মাটির সাথে গোলাপের পাপড়ি, নিম পাতার গুঁড়ো, তুলসি পাতার গুঁড়ো ও গোলাপ জল বা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ ত্বক পাওয়া যায়।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.