cosmetics লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
cosmetics লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬

নিজে তৈরি করে নিন পছন্দমত লিপস্টিক

ranna banna o beauty tips
নিজে তৈরি করে নিন পছন্দমত লিপস্টিক
নারীরা যে সকল কসমেটিকস প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে তার মধ্যে লিপস্টিক অন্যতম। ভার্সিটি বলেন কিংবা অফিস একটু লিপস্টিক এনে দেয় সাজে পূর্ণতা। পোশাকের রং এর সাথে মিলিয়ে সাজে লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। কিন্তু সব সময় কি আর পোশাকের রং এর সাথে মিলিয়ে লিপস্টিক কেনা সম্ভব হয়? হয় না। আবার বাজারের নন-ব্র্যন্ডের লিপস্টিক ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এইবার ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন নিজের পছন্দমত লিপস্টিক। ভাবছেন কীভাবে? খুব সহজে তৈরি করা সম্ভব।

যা যা লাগবে:

১ চা চামচ বিশুদ্ধ মোমের গুঁড়ো (মোমের রং পেন্সিল গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে পারেন)

১ চা চামচ কোকো বাটার বা শিয়া বাটার

১ চা চামচ নারকেল তেল

পছন্দমত রঙ

যেভাবে তৈরি করবেন:

১। প্রথমে একটি ঢাকনা ছাড়া কাঁচের বয়ামে নারকেল তেল, শিয়া বাটার এবং মোম মিশেয়ে নিন।

২। এবার এই কাঁচের বয়ামটি একটি গরম পানি রাখা পাত্রের উপর রাখুন।

৩। সব কয়েকটি উপাদান ভাল করে মিশে গেলে বয়ামটি পানি থেকে সরিয়ে ফেলুন। এরপর আপনার পছন্দমত রং মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪। সব উপাদান মিশে গেলে ড্রপার দিয়ে খালি লিপস্টিকের টিউবে ভরে ফেলুন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কোটায় উপাদানগুলো রেখে দিতে পারেন।

৫। এবার এটি কোন ঠাণ্ডা স্থানে রেখে দিন, যাতে লিপস্টিক গলে না যায়।

পছন্দের রং তৈরি জন্য:

লাল রং এর জন্য:

১/৮ চা চামচ বিটের গুঁড়ো অথবা ১ ফোঁটা লাল ফুড কালার।

ব্রাউন রং এর জন্য:

১/৪ চা চামচ কোকো পাউডার, এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো অথবা হলুদের গুঁড়ো।

ম্যাট টেক্সচারের জন্য:

১/৪ চা চামচ বেনটনিক ক্লে ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া পছন্দমত আইশ্যাডো ব্যবহারে করে তৈরি করে নিতে পারেন যেকোন রং এর লিপস্টিক।

টিপস:

মোমের রং পেন্সিল ব্যবহার করলে বিট বা অন্য রং ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

নেইল পলিশ রিমুভারে সতর্কতা

ranna banna o beauty tips
নেইল পলিশ রিমুভারে সতর্কতা
রং-বেরঙের নেইল পলিশ দিয়ে বেশ তো নখ রাঙাচ্ছেন! কখনো পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে, কখনও-বা ইচ্ছেমতো তুলির আঁচড়ে সেজে উঠছে নখ। রোজ তো আর এক পোশাকে বাইরে যাওয়া যায় না। তাই পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় নখের সাজও। ইন্টারনেট বলছে চীন দেশ থেকেই উদ্ভাবন হয়েছিল এই নখ রাঙানোর চল। এই যে একটার পর একটা রং দিয়ে নখের ক্যানভাসে নকশা করা, সেটার জন্য তো আগে নখটা পরিষ্কার থাকা চাই। নখে নেইল পলিশ দেওয়ার আগে তাই নখটা একেবারে সাদা করে নিতে হয়। একটা রং তুলে তারপর নতুন রং দেওয়ার জন্য ব্যবহার হয় নেইল পলিশ রিমুভার। নিয়মিত রিমুভার ব্যবহারে নখের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না তো?

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বেশিমাত্রায় রিমুভার ব্যবহারের কারণে আমাদের নখের এনামেলের পাশাপাশি চামড়ায়ও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। নেইল পেইন্ট রিমুভারগুলোতে সাধারণত অ্যাসিটোন নামের একধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকে। এ ছাড়া রিমুভার তৈরিতে অনেক সময় ইথাইল অ্যাসিটেট ব্যবহার করা হয়। তবে অ্যাসিটোনোর চাইতে ইথাইল অ্যাসিটেট কম সংবেদনশীল হওয়ায় ইথাইল অ্যাসিটেট দিয়ে তৈরি রিমুভার ব্যবহার করা ভালো। তাই রিমুভার কেনার সময় উপাদানের দিকেও খেয়াল করা উচিত।

বেশি বেশি রিমুভার ব্যবহার করলে আমাদের নখ ও চামড়ায় কী কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে, সে সম্পর্কে বললেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল ওয়াহাব। তিনি জানালেন, মাত্রাতিরিক্ত নেইল পলিশ ও নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহারের কারণে নখের স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে নখের এনামেল, যার প্রভাবে পাতলা হয়ে যেতে পারে হাত-পায়ের নখ। পাশাপাশি নখের পাশের ত্বকে প্রদাহজনিত রোগ ‘প্যারোনিকিয়া’ হতে পারে। ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও শক্ত। অনেক সময় হাত-পায়ের চামড়া উঠতে পারে।

বারবার রিমুভার ও নেইল পলিশ দেওয়ায় হারায় স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। কেননা, রিমুভারে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান হিসেবে যা থাকে, সেটা নখের স্বাভাবিক মসৃণতা বা উজ্জ্বলতা, কোনোটাই ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়।
রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বললেন, ‘নখের শুভ্রতা ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে হলে প্রতিবার রিমুভার ব্যবহারের পরে অবশ্যই কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে ভালোভাবে হাত-পা ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো চামড়া থেকে দূর হয়ে যাবে। ভালো করে হাত-পা পরিষ্কার করার পর পেট্রোলিয়াম জেলি, ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) বা জলপাইয়ের তেল লাগাতে পারেন। ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায় এমন কোনো ভালো ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগাতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ময়েশ্চারাইজিং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।’
নেইল পলিশ রিমুভারের ব্যবহার নিয়ে আফরোজা পারভীনের পরামর্শ হলো:
* মাসে দুবারের বেশি রিমুভার ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি বেশি প্রয়োজন পড়ে সেটা যেন ছয়বারের বেশি না হয়।
* একই ব্র্যান্ডের নেইল পলিশ ও রিমুভার ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো হয়।
* যত ভালো ব্র্যান্ডই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা প্রতি তিন মাস অন্তর পরিবর্তন করতে হবে। এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে আসে।
* রিমুভার লাগিয়ে কটন-বাড বা কটন-বলের সাহায্যে খুবই আলতো করে ঘষে নেইল পলিশ তুলতে হবে।
* সতর্কতার সঙ্গে যে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে, তা হলো রিমুভার ব্যবহারের সময় যেন তা নখের পাশের চামড়ায় না লাগে।

সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬

ত্বকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করুন বেসনের ৪টি ফেস প্যাক

ranna banna o beauty tips
ত্বকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করুন বেসনের ৪টি ফেস প্যাক
প্রায়  সব বাসাতেই ছোলার ডালের ময়দা বা বেসন থাকে। বছরের পর বছর যাবত আমাদের দাদী-নানীরা ও মায়েরা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করে আসছেন ছোলার ময়দা বা বেসন। বেসন যেভাবে কাজ করে তা হল-

-   বেসন স্কিনের মরা চামড়া দূর করে স্কিনের পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করে
-   নিয়মিত বেসনের ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক নরম, মসৃণ ও দৃঢ় হয়ে থাকে।
-   ত্বক ফর্সা করার ও হেয়ার রিমুভাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে বেসন।
-   যেহেতু বেসন ক্ষারীয় প্রকৃতির তাই এটি ব্যবহারের পূর্বে দুধ, দই বা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে তারপর মুখে লাগাতে হবে।

আসুন আজ জেনে নিই বেসনের ফেস প্যাক তৈরি ও ব্যবহারের ৪ টি উপায় সম্পর্কে।

১। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকে তাহলে গোলাপ জলের সাথে বেসন মিশিয়ে আপনার মুখে লাগান এবং শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। চোখের চারপাশে লাগাবেন না। গোলাপ জল ও বেসনের ফেস প্যাক ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নিবে। আরেকটি ভালো ফেস প্যাক হচ্ছে বেসন ও দই এর ফেস প্যাক। এটি ত্বকের টক্সিন বাহির করে দিয়ে ত্বককে মসৃণ করে থাকে।  

২। শুষ্ক ত্বকের জন্য

শুষ্ক ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন হয়। ত্বককে আর্দ্র রাখার জন্য বেসনের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য যা যা লাগবে তা হল- বেসন, মধু, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া  ও দুধ। এই উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করলে ত্বকের ড্রাইনেস কমাবে।   

৩। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

ত্বকের তামাটে ভাব দূর করতে পারে বেসন। ৪/৫ টি কাঠ বাদামের গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ দুধ, লেবুর রস ও বেসন। এই উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে দীর্ঘক্ষণ মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ভালো ফল পাওয়ার জন্য। এই প্যাকটি লাগানোর ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।  

৪। ত্বকের দাগ দূর হতে সাহায্য করে

ত্বকের দাগ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে বেসন। বেসনের সাথে শশার রস মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন এবং একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।   

নিস্তেজ ও ক্ষতিগ্রস্থ চুলের মেরামতেও দারুন কাজ করে বেসন। বেসনের সাথে দই মিশিয়ে মাথার তালু ও চুলে লাগান। নিয়মিত এই মিশ্রণটি আপনার চুলে ব্যবহার করলে চুল উজ্জ্বল ও শক্তিশালী হবে। এই প্যাকটি খুশকি মুক্ত হতেও সাহায্য করবে।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.