recipe লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
recipe লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬

খাসির মাংসের ভিন্ন ধর্মী কাবাব তৈরি করুন ঘরে

ranna banna o beauty tips
খাসির মাংসের ভিন্ন ধর্মী কাবাব তৈরি করুন ঘরে
“কাবাব” নামটা শুনলে জিভে পানি চলে আসে। শিক কাবাব বেশি খাওয়া হলেও খাসির কাবাবও অনেক জনপ্রিয় কাবাবপ্রেমীদের কাছে। গরুর মাংসে অনেকের অ্যালার্জি থাকা তারা  শিক কাবাব খেতে পারেন না। তারা খাসির মাংস দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন দারুন এই কাবাবটি।

উপকরণ:

১/২ কেজি খাসির মাংস

২ টেবিল চামচ কাঁচা পেঁপে

লবণ

১ টেবিল চামচ আদার কুচি

১ টেবিল চামচ রসুনের কুচি

২টি দারুচিনি

৮টি লবঙ্গ

৬টি গোলমরিচ

১/২ চা চামচ দারুচিনির গুড়ো

১/২ জয়ত্রী গুড়ো

তেজপাতা

১ টেবিল চামচ বেসন

১টি পেঁয়াজ বেরেস্তা

১/২ কাপ ধনেপাতা কুচি

৪-৫টি কাঁচা মরচি

১টি ডিম

প্রণালী:

১। তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, শুকনো কাঁচা মরিচ, জয়ফল জয়ত্রি গুড়ো, গোল মরিচের গুড়ো। লবঙ্গ, এলাচ, আদা কুচি, রসুন কুচি, কাঁচা পেঁপে সব একসাথে পেস্ট করে নিন।

২। মশলা গুড়ো হয়ে আসলে এতে ডিম এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে ফেলুন।

৩। খাসির কিমা মিহি করে বেটে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।

৪। এরপর খাসির কিমার সাথে লবণ, মশলার পেস্ট দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৫। এতে এক টেবিল চামচ বেসন মেশান।

৬। মিশ্রণটি দিয়ে চ্যাপ্টা করে কাবাবের আকৃতি করে নিন।

৭। কাবাবগুলো ফ্রিজে রেখে দিন ১০ মিনিটের জন্য।

৮। একটি প্যানে তেল মাঝারি আঁচে তেল গরম করতে দিন।

৯। তেল গরম হয়ে আসলে এতে কাবাবগুলো দিয়ে দিন। বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।

১০। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার মাটন গুটি কাবাব।

প্রেশার কুকারে তৈরি করুন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি

ranna banna o beauty tips
প্রেশার কুকারে তৈরি করুন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি
বিরিয়ানি নামটা শুনলে মাংস আর তেল, মশলা দেওয়া খাবারের কথা মনে পড়ে যায়। তেল মশলা কম দিয়েও বিরিয়ানি রান্না করা সম্ভব। নানারকম সবজি দিয়ে রান্না করে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি। প্রেশার কুকারে শীতের সবজি দিয়ে তৈরি করে নিন মজাদার সবজি বিরিয়ানি।

উপকরণ:

১ কাপ পোলাও চাল

৪টি লবঙ্গ

২টি দারুচিনি

১টি তেজপাতা

৮-১০ টি গোলমরিচ

১ চা চামচ জিরা

১/২ চা চামচ মরিচের গুঁড়ো

১ টেবিল চামচ ধনিয়া গুঁড়ো

২ টেবিল চামচ বিরিয়ানি মশলা

১/২ কাপ টকদই

১ কাপ পেঁয়াজ কুচি

১ টেবিল চামচ আদা রসুন কুচি

১/৪ কাপ ফুলকুপি

১/৪ কাপ বিনস

১/৪ কাপ গাজর কুচি

১/৪ কাপ আলু

১/৪ কাপ পুদিনা পাতা কুচি

১/৪ কাপ ধনেপাতা কুচি

তেল

লবণ

পানি

প্রণালী:

১। পোলাও চাল ভালো করে ধুয়ে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর পানি ফেলে দিন।

২। প্রেসার কুকারে তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হয়ে আসলে এতে তেজপাতা, এলাচ, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জিরা দিয়ে দিন।

৩। কিছুক্ষণ নাড়ুন তারপর এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।

৪। পেঁয়াজ বাদামী রং হয়ে আসলে এতে আদার পেস্ট, রসুনের পেস্ট, পুদিনা পাতা এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

৫। এরপর এতে আলু, গাজর, ফুলকুপি, বিনস দিয়ে দিন।

৬। সবজি রান্না হলে এতে লবণ, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, বিরিয়ানি মশলা এবং টকদই দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।

৭। এবার এতে চাল দিয়ে মশলার সাথে ৫ মিনিট নাড়ুন।

৮। এতে পৌনে দুই কাপ পানি দিয়ে প্রেসার কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে দিন।

৯। প্রেশার কুকারে হুইসেল দিলে চুলা বন্ধ করে দিন।

১০। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার সবজি বিরিয়ানি।

টিপস:

আপনি আপনার পছন্দমত সবজি দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করতে পারেন।

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬

চিকেন কিমা টিকিয়া

ranna banna o beauty tips
চিকেন কিমা টিকিয়া
স্ন্যাক্স বলতেই আজকাল আমরা বুঝি খুব অস্বাস্থ্যকর, তেল চুপচুপে, কড়া করে ভাজা কিছু খাবার। এসব খাবার মুহূর্তের ক্ষুধা মেটালেও বেশিক্ষণ পেটে থাকে না, আর স্বাস্থ্যেরও খুব একটা উপকার করে না। স্বাস্থ্যকর এবং বেশ কিছুটা সময় পেট ভরিয়ে রাখবে এমন স্ন্যাক্স খুঁজতে থাকলে আজ দেখে নিন চিকেন কিমা টিকিয়ার এই রেসিপিটি। চিকেনের পাশাপাশি বেশ কিছু সবজির মিশ্রণে চমৎকার এই খাবারটি পছন্দ করবেন যে কেউ। 

উপকরণ: 

-২৫০ গ্রাম মুরগির মাংসের কিমা

-২ টেবিল চামচ আদা-কাঁচামরিচ বাটা

-৫/৬টা ফ্রেঞ্চ বিন, মিহি কুচি

-১টি ছোট গাজর, মিহি কুচি 

-২/৩ টেবিল চামচ মটরশুঁটি, সেদ্ধ করে পেস্ট করে নেওয়া

-২/৩ টেবিল চামচ ওটস

-১টি ছোট আলু, সেদ্ধ করা

-লবণ স্বাদমতো

-১টি ডিমের সাদা অংশ

-১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

-আধা কাপ ব্রেড ক্রাম্ব

-২ চা চামচ তেল

-ওপরে দেবার জন্য চাট মশলা

-অর্ধেকটা লেটুস, লম্বা করে ছিঁড়ে নেওয়া

-বড় পিঁয়াজের কিছু রিং

-১টি লেবু, লম্বা করে টুকরো কড়া

-৩/৪টি চেরি টমেটো

-পরিবেশনের জন্য পুদিনার চাটনি

প্রণালী: 

১) কিমা একটি পাত্রে নিন। এতে মিশিয়ে নিন আদা-কাঁচামরিচ বাটা, ফ্রেঞ্চ বিনস, গাজর, মটরশুঁটি এবং ওটস। ভালো করে মাখিয়ে নিন। 

২) আলু গ্রেট করে নি এই মিশ্রণে। এরপর লবণ, ডিমের সাদা অংশ এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে মাখিয়ে  নিন। 

৩) একটি প্লেটে ব্রেডক্রাম্ব ছড়িয়ে নিন। 

৪) কিমার মিশ্রণ দিয়ে সমান মাপের কয়েকটি টিকিয়ে তৈরি করে নিন। ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন।

৫) নন-স্টিক কড়াইতে তেল গরম করে নিন। এতে টিকিয়ে দিয়ে দুই পাশে উল্টেপাল্টে ভেজে নিন টিকিয়াগুলো। চিকেন কিমা পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে আসা পর্যন্ত ভাজুন। ভাজা হয়ে এলে ওপরে অল্প করে চাট মশলা ছড়িয়ে নিন। 

পরিবেশনের প্লেটে লেটুস পাতা, পিঁয়াজের রিং, লেবুর টুকরো এবং টমেটো সাজিয়ে নিন। লেটুসের ওপর টিকিয়া দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম। এটা স্ন্যাক্স হিসেবেও খেতে পারেন, পোলাও অথবা খিচুড়ির সাথেও সাইড ডিশ হিসেবে দিতে পারেন। 

শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬

হায়দ্রাবাদি টক ডাল রেসিপি

ranna banna o beauty tips
হায়দ্রাবাদি টক ডাল রেসিপি
ডাল খেতে পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। উৎসব থাকুক আর না থাকুক, মুগ-মসুরই ভরসা। অন্যরকম ডাল খাবার শখ হলে হয়তো বুটের ডাল অথবা মাসকলাইয়ের ডাল রান্না করা হয়। কিন্তু আরও অনেক রকমের ডালের কথা ভুলে যাই আমরা, তার মাঝে একটি হলো অড়হরের ডাল। অনেকে হয়তো নামই শোনেননি কখনো, চোখে দেখা বা চেখে দেখা তো পরের কথা। এই অড়হরের ডাল দিয়েই তৈরি দারুন সুস্বাদু একটি ডালের রেসিপি জেনে নিন আজ। টক-ঝাল এই ডালের রেসিপিটি এসেছে হায়দ্রাবাদ থেকে।

উপকরণ
- ১ কাপ অড়হরের ডাল
- ১টি বড় টমেটো, মিহি কুচি করা
- আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
- ১ চা চামচ রসুন কুচি
- আধা চা চামচ আদা কুচি
- পৌণে এক চা চামচ কাঁচামরিচ কুচি
- এক কাপ তেঁতুল গোলা পানি

বাগাড় দেবার জন্য
- ১ চা চামচ তেল
- ১ চা চামচ সরিষা
- ১ চা চামচ জিরা
- ২/৩টি শুকনো মরিচ
- কয়েকটি কারি পাতা
- ৩/৪ কোয়া রসুন কুচি করা
- গার্নিশের জন্য ধনেপাতা কুচি

প্রণালী
১) প্রথমে ডাল ভালো করে ধুয়ে নিন। একটি প্রেশার কুকারে ডাল, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, কাঁচামরিচ, টমেটো এবং দুই কাপ পানি দিন। ঢাকনা আটকে দিয়ে বেশি আঁচে দুইটি সিটি দেওয়া পর্যন্ত রান্না হতে দিন। এরপর আঁচ কমিয়ে আরও ৩ মিনিট রান্না হতে দিন। এরপর আঁচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার নিজে থেকে কমে এলে এরপর ঢাকনা খুলুন।
২) ডাল রান্না হয়ে এলে ডাল রান্নার কাঠি দিয়ে নেড়ে একে আরও মিহি করে নিন। এতে তেঁতুলের পানি দিয়ে আবারও আঁচে দিন। ফুটে এলে আঁচ একেবারে কমিয়ে রাখুন। এই অবস্থায় বাগাড় প্রস্তুত করুন।
৩) বাগাড়ের জন্য একটি কড়াইতে তেল গরম করে নিন। এতে সরিষা ও জিরা দিন। এগুলো ফুটে এলে আদা দিয়ে ভাজুন। আদা বাদামি হয়ে এলে কারি পাতা ও শুকনো মরিচ দিন। কয়েক সেকেন্ড সাঁতলে নিন।
৪) ডালের ওপর বাগাড় ঢেলে দিন এবং ৪-৫ মিনিট রাখুন। এরপর আঁচ বন্ধ করে দিন।

তৈরি হয়ে গেলো দারুন টক-ঝাল স্বাদের হায়দ্রাবাদি ডাল। পরিবেশনের আগে ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিন। পরিবেশন করতে পারেন গরম ভাতের সাথে।

টিপস:
- অড়হর ডালের বদলে মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারেন
- তেঁতুলের বদলে ব্যবহার করতে পারেন লেবুর রস

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

ভিন্ন স্বাদের মজাদার নাস্তা রুটি পিজ্জা

ranna banna o beauty tips
ভিন্ন স্বাদের মজাদার নাস্তা রুটি পিজ্জা
পিজ্জা খাবারটি নাম শুনলে জিভে পানি চলে আসে। পিজ্জাপ্রেমিকরা পিজ্জা স্বাদের যেকোন খাবারই খেতে পছন্দ করেন। এমনি এক ভিন্ন ধরণের খাবার হল পিজ্জা রুটি। বিকেলের নাস্তায় হোক অথবা সকালের নাস্তায় ঝটপট তৈরি করে নিতে পারেন এই  রুটি পিজ্জা। এরজন্য ওভেনের প্রয়োজন হবে না।

উপকরণ:

১ কাপ ময়দা
১/২ কাপ সুজি
লবণ
এক চিমটি বেকিং সোডা
১/৪ কাপ টকদই
১.৫ চা চামচ কাঁচা মরিচ কুচি
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
তেল
পনির কুচি
১/২ কাপ সুজির ডোসার ডো
বাঁধাকুপি কুচি
হলুদ ক্যাপসিয়াম কুচি
সবুজ ক্যাপসিকাম কুচি

প্রণালী:

১। ময়দা, সুজি, লবণ, বেকিং সোডা, টকদই, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা কুচি এবং তেল একসাথে মিশিয়ে নিন। এরসাথে অল্প পানি মিশিয়ে ডো করুন। ডোটি ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।

২। ডোটি দিয়ে রুটি তৈরি করুন।

৩। একটি রুটি বেলে তার ভিতর পনির কুচি দিয়ে দিন। আরেকটি রুটি দিয়ে উপর দিয়ে ঢেকে দিন।

৪। এবার এই রুটিটি নন-স্টিক প্যানে সেঁকতে দিন।

৫। এবার ডোসার মিশ্রণে কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভাল করে মেশান।

৬। রুটি বাদামী রং হয়ে আসলে এতে ডোসার মিশ্রণ দিয়ে দিন। তার উপর পনির কুচি, সবুজ, লাল ক্যাপসিকাম কুচি, সামান্য তেল দিন।

৭। রুটিটি উল্টিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর রুটিতে পনির কুচি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।

৮। পনির নরম হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।

৯। পছন্দমত আকৃতিতে কেটে পরিবেশন করুন রুটি পিজ্জা।

সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

কিচেন সিঙ্ক ঝকঝকে রাখতে করণীয়

ranna banna o beauty tips
কিচেন সিঙ্ক ঝকঝকে রাখতে করণীয়
হাড়ি-পাতিল থেকে শুরু করে রান্নাঘরে ব্যবহৃত সবকিছুই কিচেন সিঙ্কে রেখেই পরিষ্কার করা হয়। অর্থাৎ রান্নাঘরের অধিকাংশ ধূলা-বালির ধকল সামলায় সিঙ্ক। দিনের অধিকাংশ সময়েই ভেজা থাকে সেটি। 
পানির সঙ্গে বিভিন্ন ভারি ধাতু এবং ক্ষারীয় রাসায়নিক পদার্থ মিশে থাকায় স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি সিঙ্কে খুব সহজেই ময়লা জমে। যা পরবর্তীতে দাগে পরিণত হয়। নিত্য ব্যবহার্য সিঙ্কে কোনো দাগ পড়ার আগেই সতর্ক হোন। ঝকঝকে রাখতে প্রতিদিনই পরিষ্কার করুন সেটি। 
আপনার রান্নাঘরেই আছে- এমন উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই কিচেন সিঙ্ক পরিষ্কার করা যায়। আর সেই উপাদানটি হলো ভিনেগার। 
রান্নাঘরে থাকা বিভিন্ন পণ্যসহ ঘরের অনেক কিছু পরিষ্কারের কাজে ভালো ফল দেয় ভিনেগার। বিশেষ করে স্টেইনলেস স্টিলের উপর ভারি ধাতু বা ক্ষারীয় পানির প্রভাবে যে দাগ পড়ে- তা দূর করতেও বিশেষভাবে কাজ দেয় এই পণ্যটি। 

কিচেন সিঙ্ক পরিষ্কারে ভিনেগারের ব্যবহার : 
একটি পরিষ্কার কাপড় ভিনেগারে ভিজিয়ে নিন। পুরো সিঙ্কের ওপরটা একবার মুছে দিন। সিঙ্কের যে স্থানে বেশি ময়লা জমেছে- ভিনেগার ভেজা কাপড় দিয়ে সেই স্থানটি ঘণ্টাখানেক ঢেকে রাখুন। এরপর নরম স্পঞ্জ দিয়ে স্ক্রাব করে নিন। ময়লাটা সহজেই উঠে আসবে। এরপরও কিছু ময়লা থাকলে সেখানে ভিনেগারে ভেজানো কাপড়টি আরও ঘণ্টাখানেক দিয়ে রাখুন। 
এরপর আবার স্পঞ্জ দিয়ে স্ক্রাব করে নিন। কখনও নতুন স্পঞ্জ দিয়ে স্ক্রাব করবেন না। এতে স্টিলের ওপর স্ক্র্যাছ পড়তে পারে। সিঙ্ক পরিষ্কারের জন্য সব সময় নরম হয়ে যাওয়া স্পঞ্জ ব্যবহার করবেন। 

কিচেন সিঙ্ক পরিষ্কারের জন্য আরও কিছু টিপস: 
১. ভেজা সিঙ্কের ওপর বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন। এবার ব্রাশ দিয়ে ঘষে সেটাকে পেস্টের মতো ছড়িয়ে দিন। পেপার টাওয়েল ভিনেগারে ভিজিয়ে পুরো সিঙ্ক ঢেকে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সিঙ্ক। 
২. সিঙ্কের ড্রেইনে খাবার আটকে গেলে তা সরাতে বেকিং সোডা এবং ভিনেগার ব্যবহার করা যাবে। আধা কাপ বেকিং সোডা ড্রেইনে ঢেলে দিন। এরপর এক কাপ ভিনেগার ঢালুন। মিনিট দশেক বুদবুদের পর চার কাপ গরম পানি ঢেলে দিন। সিঙ্ক খুলে যাবে। প্রতি মাসে একবার এই কাজটি করলে ড্রেইন পরিষ্কার থাকবে। 
৩. ভিনেগার ও বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কারের পর লেবু বা কমলার খোসা দিয়ে পুরো সিঙ্ক মুছে নিন। এতে মিষ্টি সুগন্ধ ছড়াবে। 
৪. সিঙ্ক ঝকঝকে রাখতে পেপার টাওয়েলে অলিভ অয়েল নিয়ে সিঙ্ক মুছে নিতে পারেন। 

রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬

ঘরেই তৈরি করুন দোকানের মত পারফেক্ট কোন

ranna banna o beauty tips
ঘরেই তৈরি করুন দোকানের মত পারফেক্ট কোন
আইসক্রিম পার্লারগুলোতে কোন অথবা কাপে আইসক্রিম খেতে দেওয়া হয়। সাধারণত বিস্কুট কোনে আইসক্রিম খেতে দারুন লাগে। অনেকে বাসায় দোকানের মত আইসক্রিম তৈরি করতে পারলেও, কোনটি ঘরে তৈরি করা হয় না কখনও। এবার ঘরেও তৈরি করে নিতে পারবেন আইসক্রিমের কোন! ভাবছেন কীভাবে? জেনে নিন আইসক্রিমের কোন তৈরির সহজ রেসিপিটি। অল্প কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন পারফেক্ট দোকানের মত কোন।

উপকরণ:

২টি বড় ডিমের সাদা অংশ

১/৪ কাপ চিনি

৩ টেবিল চামচ দুধ

১/২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স

এক চিমটি লবণ

২/৩ কাপ ময়দা

২ টেবিল চামচ মাখন

হালকা মিষ্টি চকলেট

বাদাম কুচি

প্রণালী:

১। ডিমের সাদা অংশ, চিনি, দুধ, ভ্যানিলা এসেন্স এবং লবণ ভাল করে ফেটে নিন। এরপর এতে ময়দা এবং মাখন দিয়ে আবার ফাটুন।

২। এবার নন-স্টিক অথবা কাস্ট আয়রনের প্যান চুলায় অল্প আঁচে গরম করতে দিন।

৩। ১ এবং ১/২ টেবিল চামচ ময়দার মিশ্রণটি দিয়ে ছড়িয়ে দিন। দ্রুত এটি গোল আকৃতির আকারে করে ফেলুন।

৪। মাঝারি আঁচে ৪ থেকে ৫ মিনিট এটি রান্না করুন। একপাশ হয়ে গেলে  উল্টিয়ে দিন। অপরপাশ ১-২ মিনিট রাখুন। বেশিক্ষণ চুলায় রাখবেন না এতে বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে।

৫। এবার (ভিডিও অনুযায়ী) হাত দিয়ে কোন আকৃতির করে নিন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত আকৃতি করতে পারেন। খুব বেশি শক্ত করে কোনটি রোল করবেন না, এতে ভেঙ্গে যেতে পারে।

৬। চকলেটের সিরাপে কোনের মুখটি ভিজিয়ে নিয়ে তারপর বাদামকুচি অথবা সুইট বলের ছড়িয়ে দিন। কোনের পিছনের অংশটুকু চকলেট সিরাপে ডুবিয়ে নিন।

৭। পছন্দের আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার কোন আইসক্রিম।

টিপস:

কোনের মিশ্রণটি আপনি চাইলে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন দুই দিন পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

ডিম ছাড়া ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি

Ranna banna o beauty tips
ডিম ছাড়া ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি
মিষ্টি খাবার খেতে যারা পছন্দ করেন তাদের কাছে ব্রাউনি বেশ পছন্দের একটি খাবার। ব্রাউনিপ্রেমীদের কাছে চকলেট ব্রাউনি বেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন তো আর বেকারীতে গিয়ে চকলেট ব্রাউনি খাওয়া সম্ভব হয় না। ঘরেই যদি তৈরি করা যায় পেস্ট্রিশপের স্বাদের চকলেট ব্রাউনি তাহলে কেমন হয়? দারুন তাই তো? আজ তাহলে শিখে নিন পেস্ট্রিশপের মত পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি তৈরির রেসিপিটি।

উপকরণ:

৮০ গ্রাম মাখন

১৮০ গ্রাম কনডেন্সড মিল্ক

৩০ গ্রাম টকদই

কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স

১৬০ গ্রাম ডার্ক চকলেট

১২৫ গ্রাম ময়দা

১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা

১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার

৫০ গ্রাম চকলেট চিপস

প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রি হিট করে রাখুন।

২। একটি পাত্রে গলানো মাখন এবং কনডেন্সড মিল্ক ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৩। এরসাথে টকদই এবং ভ্যানিলা এসেন্স ভাল করে ফেটে নিন।

৪। এবার এতে গলানো ডার্ক চকলেট ভাল করে মেশান।

৫। একটি পাত্রে ময়দা, বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে রাখুন।

৬। একটি চালনিতে আস্তে আস্তে চেলে টকদইয়ের মিশ্রণের সাথে মেশান।

৭। এরপর এতে চকলেটের টুকরো দিয়ে আবার মেশান।

৮। ওভেন ট্রেতে মাখন বা তেল লাগিয়ে নিন। তারউপর কিছুটা ময়দা ছিটিয়ে দিন।

৯। ব্রাউনি মিশ্রণটি ওভেন ট্রেতে ঢেলে ২০ মিনিট বেক করুন। নামানোর আগে টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করুন।

১০। ঠান্ডা হয়ে গেলে পছন্দমত আকৃতিতে কেটে নিন। আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চকলেট ব্রাউনি।

বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬

মজাদার ও স্বাস্থ্যকর "আপেলের চিপস"

ranna banna o beauty tips
মজাদার ও স্বাস্থ্যকর "আপেলের চিপস"
একটু বৃষ্টি বৃষ্টি দিনে চিপস খাওয়ার মজাই আলাদা। কিন্তু কী চিপস খাবেন? দোকান থেকে কেনা চিপসে কী কী উপাদান থাকে তা নিশ্চিত হবার কোনো উপায় নেই। বাড়িতেও পটেটো চিপস তৈরি করলে তাতে থাকে অনেকটা কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট। স্বাস্থ্যকর চিপস খেতে চাইলে তৈরি করে নিন দারুণ সুস্বাদু আপেলের চিপস।

উপকরণ
- ২টা বড় লাল আপেল
- আধা কাপ কাস্টর সুগার
- ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
- অল্প করে দারুচিনি গুঁড়ো

প্রণালী
১) প্রথমে সুগার সিরাপ তৈরি করুন। একটি নন-স্টিক প্যানে গরম করে নিন কাস্টর সুগার। আধা কাপ পানি দিন। মিশিয়ে গরম করুন যতক্ষণ না চিনি গলে যায়। আঁচ কমিয়ে ৪-৫ মিনিট রাখুন যাতে ঘন হয়ে আসে। আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।
২) আপেলগুলোকে চিকন করে স্লাইস করে নিন।
৩) আপেলের স্লাইসের ওপর অল্প করে লেবুর জুস মাখিয়ে নিন। এরপর চিনির সিরাপে ফেলে দিন। ভালো করে আপেলের স্লাইসে মাখিয়ে নিন সিরাপ। এভাবে সিরাপে ভিজতে দিন ১০-১৫ মিনিট।
৪) ওভেন প্রিহিট করে নিন ১৮০ ডিগ্রিতে। একটা বেকিং ট্রে তে সিলিকন ম্যাট মেলে নিন। এর ওপর আপেলের স্লাইসগুলোকে রাখুন। ওপরে দারুচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে নিন।
৫) আপেলের স্লাইসগুলোকে বেক করে নিন ৩০-৪০ মিনিট।

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

বৃষ্টিতে খিচুড়ি

সসেজ ভুনা খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
সসেজ ভুনা খিচুড়ি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল আধা কেজি, মসুর ডাল আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি দেড় টেবিল চামচ, সসেজ ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, এলাচ-দারুচিনি কয়েকটা, কারিপাতা ৮-১০টা, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি কয়েকটা, ঘি ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালি: সসেজ টুকরো করে ঘিতে ভেজে তুলে রাখুন। এবার পেঁয়াজ কুচি, কারিপাতা, গরম মসলা সামান্য ভেজে আদাবাটা, রসুনবাটা, হলুদের গুঁড়া, চাল ও ডাল দিয়ে ৫ মিনিটের মতো কষান, পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি কিছুটা কমে এলে সসেজ ঢেলে নেড়ে দিন। কাঁচা মরিচ দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে দিন। হয়ে গেলে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

পাঁচমিশালি ডালে নরম খিচুড়ি
পাঁচমিশালি ডালে নরম খিচুড়ি
উপকরণ: সেদ্ধ চাল দেড় কাপ, পাঁচমিশালি ডাল ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, জিরার গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনের গুঁড়া আধা চা-চামচ, তেজপাতা ২টা, এলাচ ৩-৪টা, দারুচিনি ২-৩ টুকরা, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, বাগারের জন্য ঘি দেড় টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: চাল ও ডাল ধুয়ে আদাবাটা, রসুনবাটা, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, পেঁয়াজ, লবণ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে চুলায় দিন। চাল ও ডাল সেদ্ধ হয়ে ঘন হয়ে এলে ঘিতে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে ঢেলে দিন। কয়েকটা কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে নামিয়ে নিন। গরুর মাংসের সঙ্গে পরিবেশন করুন। 
মুগডালের সাদা খিচুড়ি
মুগডালের সাদা খিচুড়ি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ৫০০ গ্রাম, মুগডাল ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি দেড় টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, এলাচ, দারুচিনি কয়েকটা, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, কারিপাতা ৮-১০টা, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ৫-৬টা, লবঙ্গ ২-৩টা।
প্রণালি: মুগডাল অল্প আঁচে টেলে নিন। চাল ও ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। ঘিতে পেঁয়াজ, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি ও কারিপাতা ভাজুন। এবার আদাবাটা, রসুনবাটা, চাল ও ডাল দিয়ে কয়েক মিনিট কষান। সাড়ে তিন কাপ-আন্দাজ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে রাখুন। পানি কমে এলে নেড়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে দিন। হয়ে গেলে ভাজা ডিমের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
সবজির বিন্নি খিচুড়ি
সবজির বিন্নি খিচুড়ি
উপকরণ: বিন্নি চাল ২ কাপ, মসুর ডাল ১ কাপ, বিভিন্ন রকম সবজি আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চ-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা কয়েকটা, ঘি ৩ টেবিল চামচ, পানি সাড়ে তিন কাপ
প্রণালি: বিন্নি চাল ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ফুলে ওঠার পর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। বিভিন্ন রকম সবজি ছোট ছোট টুকরো করে নিন। পাত্রে ঘি গরম করে পেঁয়াজ ও গরম মসলা ভেজে সবজি আদা ও রসুনবাটা দিয়ে সামান্য ভেজে নিন। এবার চাল ও ডাল ঢেলে কয়েক মিনিট ভাজুন। পানি দিয়ে ঢেকে দিন। প্রথমে মাঝারি ও পরে মৃদু আঁচে রান্না করুন।
কলিজার ঝাল খিচুড়ি
কলিজার ঝাল খিচুড়ি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, ডাল সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, কলিজা ১ কাপ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনের গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ কয়েকটা, কাবাব চিনি ৪টা, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ, ঘি বা তেল ৩ টেবিল চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: চাল ও ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কলিজা ছোট ছোট টুকরো করে সেদ্ধ করে নিন। ঘিতে পেঁয়াজ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ, আদা, রসুনবাটা ও সেদ্ধ কলিজা দিয়ে নাড়ুন। চাল ও ডাল দিয়ে কষান, পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে দিন। পানি কিছুটা কমে এলে সব গুঁড়া মসলা দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। মৃদু আঁচে রাখুন। খিচুড়ি হয়ে গেলে সালাদের সঙ্গে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬

খুব সহজে ঝটপট তৈরি করে ফেলুন জিলাপি

ranna banna o beauty tips
খুব সহজে ঝটপট তৈরি করে ফেলুন জিলাপি
ইফতারে পরিচিত একটি খাবার হল জিলাপি। প্রায় সব বাসাতে ইফতারে জিলাপি রাখা হয়। ঝামেলার কারণে জিলাপি তৈরি করতে জানলেও অনেকে তৈরি করতে চান না। এইবার খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারবেন জিলাপি। ঝটপট কম সময়ে ইফতারে তৈরি করে নিন মজাদার জিলাপি।

উপকরণ:

সিরা তৈরির জন্য

৩ কাপ পানি
৩ কাপ চিনি
৮-১০টি জাফরান
২-৩ ফোঁটা খাওয়ার রং
জিলাপির ব্যাটার তৈরির জন্য

১ কাপ ময়দা
১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার
২ টেবিল চামচ ঘন টকদই
পানি
তেল
প্রণালী:

১। প্রথমে চিনির সিরা তৈরি করার জন্য পানি, চিনি এবং জাফরান মিশিয়ে নিন।

২। উচ্চ তাপে সিরা জ্বাল দিন। যেন চিনি সম্পূর্ণভাবে গলে যায়। চিনির সিরাটি যেন পাতলা না হয়, কিছুটা ঘন থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

৩। চিনির সিরা ঘন হয়ে আসলে এতে খাবারের রং মিশিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

৪। এবার একটি পাত্রে ময়দা, বেকিং পাউডার এবং টকদই একসাথে মেশান।

৫। এরসাথে অল্প পরিমাণ পানি মিশিয়ে কিছুটা ঘন করুন (ভিডিও অনুযায়ী)। ব্যাটার খুব বেশি পাতলা অথবা ঘন যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

৬। এবার মাঝারি আঁচে চুলায় তেল গরম করতে দিন। তেল যেন খুব বেশি গরম না হয়।

৭। কেচাপের বোতলে জিলাপির মিশ্রণটি ঢেলে নিন।

৮। তারপর গোল গোল (ভিডিও অনুযায়ী) করে জিলাপি তেলে দিন।

৯। বাদামী রং হয়ে আসলে তেল থেকে নামিয়ে সাথে সাথে গরম চিনির সিরায় দিয়ে দিন।

১০। এক মিনিট চিনির সিরায় রেখে নামিয়ে ফেলুন।

১১। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার জিলাপি।

সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬

রেস্তরাঁ স্বাদের পাস্তা

ranna banna o beauty tips
রেস্তরাঁ স্বাদের পাস্তা
বর্তমান সময়ে পাস্তা বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। তরুণ তরুণী থাকে শুরু ছোট শিশু পর্যন্ত ইটালিয়ান খাবারটির ভক্ত। রেস্তরাঁ গুলোতে নানা স্বাদের পাস্তা পাওয়া গেলেও হোয়াইট সস পাস্তা বেশি প্রচলিত। বাসায় অনেকেই এই পাস্তা তৈরি করে থাকেন। কিন্তু তাতে রেস্তরাঁর মত স্বাদ পাওয়া যায় না। রেস্তরাঁ স্বাদের হোয়াইট এবং রেড সস পাস্তাটি আপনি ঘরে তৈরি করতে পারবেন। কীভাবে? জেনে নিন রেসিপিটি।

উপকরণ:

১০০ গ্রাম পাস্তা

১ কাপ দুধ

১ কাপ  টমেটো কিউরি

১ টেবিল চামচ লাল শুকনো মরিচ গুঁড়া

১ টেবিল চামচ রসুনের পেষ্ট

১টি ছোট পেঁয়াজ কুচি

১টি ক্যাপসিকাম কুচি

১.৫ টেবিল চামচ টমেটো সস

১টি ধন্দুল কুচি

২ টেবিল চামচ চিজ বা পনির

১/২ টেবিল চামচ অরিগোনা

১ চা চামচ ধনে পাতা কুচি

লবণ স্বাদমত

১ টেবিল চামচ মাখন

১ চা চামচ ময়দা

প্রণালী:

১। প্রথমে একটি প্যানে মাখন দিয়ে দিন। মাখন গলে গেলে এতে ময়দা দিন।

২। ময়দা, মাখন ভাল করে মিশে গেলে এতে দুধ দিয়ে দিন। দুধ, মাখন, ময়দা ভাল করে নাড়তে থাকুন যতক্ষন না এটি ঘন না হয়।

৩। ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

৪। আরেকটি প্যানে মাখন দিন। এর সাথে পেঁয়াজ কুচি, রসুনের পেষ্ট দিয়ে নাড়ুন।

৫। এরপর এতে ক্যাপসিকাম কুচি, ধন্দুল কুচি ( যেকোন সবজি ব্যবহার করতে পারেন ) দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। যদি মাংস দিতে চান, মাংসও দিয়ে দিতে পারেন।

৬। এবার টমেটোর পেস্ট দিয়ে ৭-৮ মিনিট রান্না করুন।

৭। এরপর একে একে টমেটো কেচাপ, ড্রাই অরিগেনো, শুকনো লাল মরিচের গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

৮। এটি প্যানে লেগে গেলে এতে পানি দিয়ে নাড়ুন।

৯। এবার এতে হোয়াইট সস দিয়ে নাড়ুন।

১০। তারপর এতে চিজ এবং লবণ দিয়ে দিন।

১১। সিদ্ধ করা পাস্তা দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ নাড়ুন।

১২। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার হোয়াইট এবং রেড সস পাস্তা।

বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬

সুজির কচুরি

ranna banna o beauty tips
সুজির কচুরি
পেঁয়াজু, বেগুন, আলুর চপ খেতে খেতে বিরক্ত। একই ধরণের খাবার আর কতই খাওয়া যায়! বিরক্তিকর এই ইফতারিতে আনতে পারেন ভিন্ন স্বাদ। তাও খুব সহজে ঘরে থাকা সুজি দিয়ে! কী অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। সুজি আর আলু দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন দারুণ স্বাদের সুজি কচুরি।

উপকরণ:
ডো তৈরির জন্য লাগবে-

১/২ কাপ সুজি

১ কাপ পানি

১ টেবিলচামচ জিরা

১ টেবিল চামচ তেল

আলুর পুরের জন্য লাগবে-

১টা আলু সিদ্ধ

২ টা মরিচ

লবণ স্বাদমত

চাট মশলা

প্রণালী:

১। প্রথমে একটি পাত্রে পানিতে সুজি, জিরা, লবণ(সামান্য পরিমাণে)তেল দিয়ে সিদ্ধ করতে দিন। সুজি ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

২। অল্প কিছুক্ষণের জন্য সুজি ঠান্ডা হতে দিন। লক্ষ্য রাখবেন খুব বেশি ঠান্ডা যেন না হয়। বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে সুজি গোল হবে না।

৩। আরেকটি বাটিতে সিদ্ধ আলু, মরিচ, চ্যাট মশলা, লবণ ভাল করে মিশিয়ে পুর তৈরি করে নিন।

৪। এবার হাতে একটু তেল লাগিয়ে নিন। তারপর সুজির ডো হাতে নিয়ে কিছুটা চ্যাপ্টা করে তাতে আলুর পুরটা দিয়ে দিন।

৫। সুজির ডো দিয়ে আলুর পুরটা ভাল করে ঢেকে দিন। এমনভাবে ঢাকুন যাতে পুর দেখা না যায়।

৬। তেল গরম হয়ে আসলে এতে সুজির কচুরিগুলো দিয়ে দিন। খুব বেশি কচুরি একসাথে দিবেন না। এতে কচুরি ভেঙ্গে যেতে পারে।

৭। কচুরিগুলো বাদামি রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার সুজির কচুরি। সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

পেঁয়াজু, বেগুন, আলুর চপ খেতে খেতে বিরক্ত। একই ধরণের খাবার আর কতই খাওয়া যায়! বিরক্তিকর এই ইফতারিতে আনতে পারেন ভিন্ন স্বাদ। তাও খুব সহজে ঘরে থাকা সুজি দিয়ে! কী অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। সুজি আর আলু দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন দারুণ স্বাদের সুজি কচুরি।

উপকরণ:
ডো তৈরির জন্য লাগবে-

১/২ কাপ সুজি

১ কাপ পানি

১ টেবিলচামচ জিরা

১ টেবিল চামচ তেল

আলুর পুরের জন্য লাগবে-

১টা আলু সিদ্ধ

২ টা মরিচ

লবণ স্বাদমত

চাট মশলা

প্রণালী:

১। প্রথমে একটি পাত্রে পানিতে সুজি, জিরা, লবণ(সামান্য পরিমাণে)তেল দিয়ে সিদ্ধ করতে দিন। সুজি ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

২। অল্প কিছুক্ষণের জন্য সুজি ঠান্ডা হতে দিন। লক্ষ্য রাখবেন খুব বেশি ঠান্ডা যেন না হয়। বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে সুজি গোল হবে না।

৩। আরেকটি বাটিতে সিদ্ধ আলু, মরিচ, চ্যাট মশলা, লবণ ভাল করে মিশিয়ে পুর তৈরি করে নিন।

৪। এবার হাতে একটু তেল লাগিয়ে নিন। তারপর সুজির ডো হাতে নিয়ে কিছুটা চ্যাপ্টা করে তাতে আলুর পুরটা দিয়ে দিন।

৫। সুজির ডো দিয়ে আলুর পুরটা ভাল করে ঢেকে দিন। এমনভাবে ঢাকুন যাতে পুর দেখা না যায়।

৬। তেল গরম হয়ে আসলে এতে সুজির কচুরিগুলো দিয়ে দিন। খুব বেশি কচুরি একসাথে দিবেন না। এতে কচুরি ভেঙ্গে যেতে পারে।

৭। কচুরিগুলো বাদামি রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার সুজির কচুরি। সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

মজাদার খেজুরের মিল্কশেক

মজাদার খেজুরের মিল্কশেক
সারাদিন রোজা রাখার পর প্রাণ জুড়াতে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবতের জুড়ি নেই। শরবতের পরিবর্তে অনেকেই বিভিন্ন ফলের জুস পান  করে থাকেন। প্রতিদিন একইরকম পানীয় পান করতে করতে একঘেয়ামি চলে আসে। তাই পানীয়তে চাই ভিন্ন কিছু, নতুন কিছু। আমের জুস, কলার জুস অথবা কমলার জুস অনেক তো হল, এইবার তৈরি করুন মজাদার খেজুরের মিল্কশেক। মজাদার এই মিল্কশেকটি অল্প কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করা সম্ভব। ইফতারিতে ঝটপট তৈরি করুন খেজুর মিল্কশেক।

উপকরণ:  

১৫ থেকে ২০টি খেজুর

৩ থেকে ৪ কাপ দুধ

৭-৮টি দারুচিনি গুঁড়ো

বরফের টুকরো

প্রণালী:

১। প্রথমে খেজুরের ভিতর থেকে বীচি আলাদা করে নিন। এলাচের খোসা ছাড়িয়ে গুঁড়ো করে নিন।

২। এইবার ব্লেন্ডারে খেজুর, এলাচ গুঁড়ো, দুধ এবং বরফের টুকরো দিয়ে ব্লেন্ড করুন।

৩। খেজুর, দুধ ভাল করে ব্লেন্ড না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করতে থাকুন।

৪। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের মজাদার খেজুরের মিল্কশেক।

টিপস:

১। আপনি চাইলে খেজুরের সাথে একটি পাকা কলা, কাঠবাদাম কুচিও যোগ করতে পারেন। এটি মিল্কশেকের স্বাদ বৃদ্ধির সাথে সাথে এর পুষ্টিগুণ করে দেবে দ্বিগুণ।

সোমবার, ২০ জুন, ২০১৬

ইফতারে মিষ্টিমুখ হোক আম সেমাইয়ে

ranna banna o beauty tips
আম সেমাইয়ে
সারাদিন পার করে ইফতারে একটু মিষ্টি খাবার খেতে ভালোবাসেন সবাই। ফলমূলের পাশাপাশি তাই ডেজার্টের কদরটাও কম নয়। আমের এই মৌসুমে চলুন দেখে নিই আমের স্বাদে দারুণ একটি সেমাইয়ের রেসিপি। খুব কম উপকরণের সহজেই তৈরি হবে এই খাবারটি। যারা সাধারণ দুধ-সেমাই তৈরি করতে পারেন, তারা এটাও তৈরি করতে পারবেন অনায়াসে।

উপকরণ
- ১ কাপ আমের পাল্প
- ১ লিটার দুধ
- পৌনে এক কাপ সেমাই
- ১ টেবিল চামচ ঘি
- পৌনে এক চা চামচ এলাচি গুঁড়ো
- ৬ টেবিল চামচ চিনি
- কাঠবাদাম ও পেস্তাবাদাম কুচি
- গার্নিশ করার জন্য আমের টুকরো

প্রণালী
১) প্যান গরম করে ঘি দিন এতে। ঘি গরম হয়ে এলে এতে সেমাই দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নিন। সেমাইয়ের রং পরিবর্তন হয়ে এলে এতে দুধ দিয়ে ফুটিয়ে নিন।
২) দুধ ফুটে গেলে এতে চিনি দিয়ে দিন। চিনি গলে গেলে চুল বন্ধ করে এলাচি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে এলে আমের পাল্প দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৩) ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রাখুন। পরিবেশন করুন ওপরে বাদাম কুচি এবং আমের টুকরো দিয়ে।

মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১৬

মেক্সিকান নাচোস

ranna banna o beauty tips
মেক্সিকান নাচোস 
দেখতে যেমন লোভনীয়, খেতেও দারুণ। বলছি নাচোসের কথা। সুদূর মেক্সিকোর মুখরোচক জনপ্রিয় খাবারটি এরই মধ্যে তরূণদের মাঝে বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে। তাইতো যে আড্ডাগুলোর প্রাণ ছিলো সিঙ্গারা-সমোচা, এরপরে চটপটি-ফুচকা, এখন সেখানে দেখা যায় নাচোসের রাজত্ব। 

মুচমুচে চিপসের সঙ্গে ক্রিমি ও চিজি চিকেন কিংবা ফ্রেশ টমেটো সালসা তৈরি হয় ভিন্ন স্বাদের নাচোস। 

আজ আপনাদের জন্য মুচমুচে নাচোসের রেসিপি:  

চিপসের উপকরণ: প্রথমেই চিপস তৈরি করে নিন। ভুট্টার আটা ২ কাপ, ময়দা আধা কাপ, পনির গ্রেট-২০০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, মাখন ২৫ গ্রাম, কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো।

 প্রণালী: ভুট্টার আটা, ময়দা, পনির, কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ ও মাখন একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে ভালো করে মেখে আধাঘণ্টা ঢেকে রাখুন। এবার পাতলা রুটি বেলে তিন কোনা করে কেটে ডুবোতেলে অল্প আঁচে হালকা বাদামি রং করে ভেজে তুলুন।

মাংস: মুরগির কিমা ২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদা কুচি ১ চা-চামচ, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, মাখন ৫০ গ্রাম, টমেটো সালসা আধা কাপ, পনির ২০০ গ্রাম, পেঁয়াজ গোল করে কাটা আধা কাপ, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ।

প্রণালী: মুরগির কিমা, সয়াসস, ওয়েস্টার সস দিয়ে মেখে ২০মিনিট রাখুন। এবার ফ্রাই প্যানে মাখন গরম করে আদা-রসুন ভেজে তাতে পেঁয়াজ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে মাখানো কিমা দিয়ে কষিয়ে নিন। টমেটো সস দিয়ে কিছুক্ষণ পরে লেবুর রস ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামাতে হবে। 

টমেটো সালসা: লাল ও সবুজ মরিচ পছন্দমতো, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ, রসুন কুচি পোয়া কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লেবুর রস ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, অলিভ ওয়েল ২ টেবিল চামচ, টমেটো কুচি আধা কাপ। সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে ফ্রিজে রাখুন।

কিমা রেখে ওপরে টমেটো সালসা, পনির, ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সাজিয়ে প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। 
সবশেষে কর্নচিপস, চিকেন, সালসা সঙ্গে গলানো ক্রিমি চিজ, পছন্দমতো ক্রিম, মেয়োনেজ দিয়ে পছন্দের পাত্রে লেয়ার করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। 

রূপচাঁদা শুটকির দোপেঁয়াজা


ranna banna o beauty tips
রূপচাঁদা শুটকির দোপেঁয়াজা
উপকরণ: রূপচাঁদা শুটকি ১টি। তেল পরিমাণ মতো। পেঁয়াজকুচি ২ কাপ। রসুনকুচি আধা কাপ। টমেটোকুচি আধা কাপ। সামান্য আদাবাটা। ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া ৩ চা-চামচ। হলুদগুঁড়া দেড় চা-চামচ। কাঁচামরিচ ৬টি। লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: রূপচাঁদা শুটকি দুই ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হলে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে, ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার প্যানে তেল দিন।

তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজকুচি, রসুনকুচি, সামান্য আদাবাটা, ধনেগুঁড়া, মরিচ, হলুদ, তেল, লবণ, কাঁচামরিচ আর টমেটো-কুচি সব মসলা ভালো করে ভেজে নিন।

পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে তাতে মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। এবার অল্প পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে ঢেকে দিন। পানি কমে মাখা মাখা হলে তাতে কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

স্বাস্থ্যকর রান্নার জন্য ব্যবহার করুন ভিনেগার

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর রান্নার জন্য ব্যবহার করুন ভিনেগার
রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্যই ভিনেগার ব্যবহৃত হয় বলে অনেকের ধারণা। তবে এ ধারণাটি মোটেও ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি খাবারের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও খাবারকে স্বাস্থ্যকর করতে সহায়তা করে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। 

ভিনেগারে রয়েছে উচ্চমাত্রায় এসিটিক এসিড। এটি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসিটিক এসিড পেটের জন্যও উপকারি। ভিনেগার রান্নাঘরে রাখার কিংবা খাবারে ব্যবহার করার প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। এ কারণে আপনার রান্নাঘরে যেন এক বোতল ভিনেগার রাখা হয় এবং নিয়মিত তা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয় এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
 ১. উচ্চমাত্রায় এসিটিক এসিড থাকায় ভিনেগার দেহের জন্য উপকারি। এটি মূলত আপনার দেহের বিভিন্ন খনিজ উপাদান গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে দেহের পুষ্টি গ্রহণের হার বৃদ্ধি পায়।
 ২. নারীরা ভিনেগার গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দেহের খনিজ উপাদানের ঘাটতি রোধ করতে পারে। এছাড়া ভিনেগারের আরও কিছু উপকারিতা রয়েছে। 
৩. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভিনেগার ভূমিকা রাখে। 
৪. গবেষকরা বলছেন, হৃদরোগের সমস্যাতেও ভিনেগার উপকার করে। বিভিন্ন খাবারে লবণকে প্রতিস্থাপন করে ভিনেগার। 
৫. ভিনেগারে ক্যালরি কম থাকায় এটি সালাদে ব্যবহার করা সুবিধাজনক। 
৬. গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার আগে ভিনেগার খেলে পেটে পরিপূর্ণতার অনুভূতি হয়, যা পরবর্তীতে ক্ষুধা কমায় এবং বাড়তি খাওয়ার প্রবণতা রোধ করে।

মাছের লোভনীয় কয়েকটি রেসিপি

ranna banna o beauty tips
মাছের লোভনীয় কয়েকটি রেসিপি
গন্ধরাজী পাবদা

উপকরণ: পাবদামাছ ২০০ গ্রাম, কালোজিরে ১/৪ চা-চামচ, কাঁচালঙ্কা চেরা ৪টে, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, হিং ১ চিমটে, গন্ধরাজ লেবুপাতা ৪-৫টা, রসুনকুচি ২টো, টোম্যাটোবাটা ১ টেবলচামচ, নুন স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: পাবদামাছ ভেজে নিন, ওই তেলে কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা, হিং, রসুনকুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে টোম্যাটোবাটা, নুন, হলুদগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে জল দিন। জল ফুটলে মাছগুলো দিয়ে চাপা দিন। মাছ সিদ্ধ হলে লেবুপাতা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করুন। ১০ মিনিট ওই অবস্থায় ঢাকা দিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।

আম বড়ি ফুলকপি দিয়ে মৌরলামাছ

উপকরণ: মৌরলামাছ ২৫০ গ্রাম, ফুলকপি ছোট সাইজের ১টা, বড়ি ৪-৫টা, কাঁচা আম ১টা, আদাবাটা ১ চা-চামচ, জিরেবাটা ১/২ চা-চামচ, কাঁচালঙ্কা ২টো, হলুদগুঁড়ো ১ চা-চামচ, নুন-চিনি স্বাদমতো, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, পাঁচফোড়ন ১/৪ চা-চামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: মৌরলামাছে নুন, হলুদ মাখিয়ে ভাল করে ভেজে আলাদা করে রাখুন। ওই তেলে ফুলকপির ছোট টুকরোগুলো সোনালি করে বেজে তুলে নিন। আরও কিছুটা তেল দিয়ে বড়ি ভেজে তুলে রাখুন। এবার পাঁচফোড়ন, জিরেবাটা, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে হালকা আঁচে কষুন। মশলা থেকে তেল ছাড়লে আদাবাটা, কাঁচা আমবাটা ও কয়েকটা আমকুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে জল দিন। ভাজা ফুলকপির টুকরো ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে ঝোল ফুটতে দিন। ঝোলের মধ্যে মাছ ভাজা ও বড়ি ছাড়ুন। নুন, চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটতে দিন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে খান।

তিল ট্যাংরা

উপকরণ: ট্যাংরামাছ ৪টে, সাদা সরষে ২ চা-চামচ, সাদা তিল ৪ চা-চামচ, টক দই ১ টেবলচামচ, কাঁচালঙ্কাবাটা ৩টে, কাঁচালঙ্কা চেরা ৩টে, পাঁচফোড়ন ১/৪ চা-চামচ, নুন স্বাদমতো, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: মাছ কেটে ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। ওই তেলে পাঁচফোড়ন দিন। একটা বাটিতে টক দই ফেটিয়ে তাতে তিলবাটা, সাদা সরষেবাটা, লঙ্কাবাটা, নুন, হলুদ ও সামান্য জল দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে তেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। প্রয়োজনে সামান্য জলও দিতে পারেন। এবার ভেজে রাখা মাছ দিয়ে ফুটতে দিন। মাছ সিদ্ধ হলে চেরা কাঁচালঙ্কা দিন। নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

কাজলিমাছের বাটি চচ্চড়ি

উপকরণ: কাজলিমাছ ২৫০ গ্রাম, আলু মাঝারি মাপের ১টা, পেঁয়াজ মাঝারি মাপের ১টা, হলুদগুঁড়ো ১/২ টেবলচামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ টেবলচামচ, নুন স্বাদমতো, কাঁচালঙ্কা চেরা ৪টে, টোম্যাটোবাটা ১ টেবলচামচ, সরষেবাটা ১ টেবলচামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো, ধনেপাতাকুচি ২ টেবলচামচ।

প্রণালী: মাছে নুন, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ১০ মিনিট ম্যারিনেড করে রাখুন। আলু, পেঁয়াজ লম্বা করে কেটে নিন। তাতে চেরা কাঁচালঙ্কা, টোম্যাটো, কাঁচালঙ্কা, সরষেবাটা, নুন, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো সরষের তেল ধনেপাতাকুচি ও আগে থেকে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে গরম জলে টিফিন বক্সে ১৫ মিনিট ভাপিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর ঢাকা খুলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।

পুঁটি পটলের ঝাল

উপকরণ: পুঁটিমাছ ২৫০ গ্রাম, পটল ২টো, পেঁয়াজ ১টা, কাঁচালঙ্কা ৪টে, রসুনবাটা ১/২ চা-চামচ, সরষেবাটা ১ টেবলচামচ, পোস্তবাটা ১ টেবলচামচ, নারকেলবাটা ১ টেবলচামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, কালোজিরে ১ চা-চামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: মাছ হালকা করে ভেজে নিন। পটল সরু লম্বা করে কেটে ভেজে নিন। ওই তেলে কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিন। পেঁয়াজ সামান্য ভাজা হলে রসুনবাটা, লঙ্কাগুঁড়ো, পোস্ত, সরষে, নারকেলবাটা সব দিয়ে নুন, হলুদগুঁড়ো দিয়ে ভাজা পটলগুলো দিন। সামান্য জল দিয়ে ভাজা মাছগুলো দিয়ে কম আঁচে ১৫ মিনিট রাখুন। ঢাকা খুলে সরষের তেল ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।

ক্যাপসিকাম পার্শে 

উপকরণ: পার্শেমাছ ৫০০ গ্রাম, ক্যাপসিকাম বড় সাইজের ১টা, টোম্যাটো ১টা, নুন-চিনি স্বাদমতো, ধনেগুঁড়ো ১ চা-চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ।

প্রণালী: ক্যাপসিকাম একটু পুড়িয়ে নিয়ে পোড়া অংশ চেঁছে নিন ও মিক্সিতে পেস্ট করুন। পার্শেমাছ ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলে শুকনোলঙ্কা দিয়ে তাতে ক্যাপসিকামবাটা, নুন, চিনি, হলুদগুঁড়ো, ধনে, লঙ্কাগুঁড়ো ও টোম্যাটোবাটা দিয়ে কষে জল দিন। ভাজা মাছ দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। 

অন্য স্বাদে চেনা ইফতারি

ranna banna o beauty tips
অন্য স্বাদে চেনা ইফতারি
ইফতারের আয়োজনে বুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, হালিম, শরবত ইত্যাদি তো থাকবেই। ইফতারির এই পদগুলো চাইলে একটু ভিন্নভাবে বানাতে পারেন। তেমন রেসিপি দিয়েছেন জেবুন্নেসা  বেগম।

মুরগির হালিম
উপকরণ: মুরগি ১ কেজি, গম আধা কাপ, মুগ ডাল সিকি কাপ, মসুর ডাল সিকি কাপ, ছোলার ডাল সিকি কাপ, মাষকলাইয়ের ডাল সিকি কাপ, অড়হড় ডাল সিকি কাপ, পোলাওয়ের চাল আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা কয়েকটা, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ ও জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি: গম, মাষকলাই ডাল ও মুগ ডাল টেলে নিন। চাল, ডাল ও গম সেদ্ধ করে বেটে নিন। তেলে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে সব মসলা ও মুরগি দিয়ে কষান। সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। সেদ্ধ হলে বাটা ডালের মিশ্রণ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে নাড়ুন। হয়ে গেলে নামিয়ে বাটিতে ঢেলে, আদা কুচি, ধনে পাতা, মরিচ, বেরেস্তা ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পেঁয়াজু
উপকরণ: ডাল (মসুর, খেসারি বা বুট) ১ কাপ, আদা বাটা আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, রোস্টেড তিল ১ টেবিল চামচ ও বড় আলু ২-৩টা।
প্রণালি: ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর ডাল ফুলে উঠলে পানি ঝরিয়ে বেটে নিন। বেশি মিহি করে বাটবেন না। পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুচি করে নিন। বাটা ডালের সঙ্গে আদা বাটা, কাঁচা মরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লবণ, রোস্টেড তিল, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া দিয়ে মেখে নিন। আলুর খোসা ফেলে চিকন লম্বা করে কেটে নিন। সামান্য লবণ দিয়ে অল্প সেদ্ধ করে নিন। আলুর মধ্যে ডাল মুড়িয়ে ডুবে তেলে ভেজে নিন। ইফতারের টেবিলে পেঁয়াজুর সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ফলের সালাদ
উপকরণ: মাল্টার রস ১ কাপ, আপেল আধা কাপ, আঙুর আধা কাপ, তরমুজ আধা কাপ, কলা ১টা, কাঁচা বা শুকনা মরিচ (টালা) ১টা, চিনি ১ টেবিল চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, পুদিনা কুচি ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া সামান্য, চাট মসলা আধা চা-চামচ ও লেবুর রস আধা চা-চামচ।
প্রণালি: আপেল টুকরা করে লবণ পানিতে ধুয়ে নিন। কলা টুকরা করে চিনি পানিতে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিন। তরমুজ ও আঙুর টুকরা করে নিন। মাল্টা অথবা কমলার রস নিয়ে এতে চাট মসলা, লেবুর রস, পুদিনা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এবার সব ফল একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ইফতারের আগে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

কিমা বেগুনি
উপকরণ: বেগুন ৩টা, বেসন দেড় কাপ, আদা বাটা আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, ঠান্ডা পানি পৌনে এক কাপ (পরিমাণমতো), লবণ স্বাদমতো, বেকিং পাউডার সিকি চা-চামচ।
স্টাফিংয়ের জন্য: মুরগির কিমা ১ কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা-চামচ, অরিগানো ১ চা-চামচ, চিজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ ও তেল ১ চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে মুরগির কিমা, কাঁচা মরিচ কুচি, অরিগানো, গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে ভেজে রাখুন। বেগুন লম্বা ও একটু মোটা করে কাটুন। মাঝখানে পকেটের মতো করে কাটুন। ধুয়ে সামান্য লবণ মেখে রাখুন। এবার বেগুনের ভেতর কিমার পুর ঢুকিয়ে চিজের কুচি দিন। বেসনের সঙ্গে আদা বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, লবণ, বেকিং পাউডার ও পানি দিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। বেগুন সাবধানে ব্যাটারে ডুবিয়ে নিন। যাতে কিমা বের হয়ে না যায়। ডুবো তেলে ভেজে ইফতারিতে গরম গরম পরিবেশন করুন।

দুধ বাদামের শরবত
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ কাপ, গোলাপজল ১ চা-চামচ, বরফ কুচি পরিমাণমতো ও মধু ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: দুধ ২-৩ বার ফুটে উঠলে ঠান্ডা করে রাখুন। দুধের সঙ্গে বাদাম বাটা, পেস্তাবাদাম বাটা, চিনি, গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

পুদিনায় দই বড়া
উপকরণ: মাষকলাইয়ের ডাল ১ কাপ, পুদিনা পাতা ৩ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, টক দই দেড় কাপ, জিরা টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ।
প্রণালি: মাষকলাইয়ের ডাল ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ১ টেবিল চামচ পুদিনা, অর্ধেকটা (আধা টেবিল চামচ) কাঁচা মরিচ বাটা মিশিয়ে নিন। সামান্য লবণ মেখে বড়া আকারে ভেজে নিন। ভাজা বড়া পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে চেপে পানি ঝরিয়ে নিন। টক দইয়ের সঙ্গে বিট লবণ, রোস্টেড জিরা গুঁড়া, বাকি পুদিনা ও কাঁচা মরিচ বাটা মিশিয়ে নিন। এবার সেটাতে ডালের বড়া দিয়ে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

বুন্দিয়া
উপকরণ: বুটের ডালের বেসন ১ কাপ, লবণ সিকি চা-চামচ (পরিমাণমতো), বেকিং পাউডার সিকি চা-চামচ, বেকিং সোডা সিকি চা-চামচ, খাবার রং কয়েক ফোঁটা, ঘি ও তেল ভাজার জন্য, শিরার জন্য ১ কাপ পানি ও ১ কাপ চিনি।
প্রণালি: বেসনের সঙ্গে বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, খাবার রং ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তেল ও ঘি গরম করে বুন্দিয়া ভেজে নিন। চিনি ও পানি দিয়ে শিরা তৈরি করুন। ভাজা বুন্দিয়া শিরায় ঢেলে দিন। শিরা বুন্দিয়ার ভেতরে ঢুকে গেলে তুলে নিন।

সবজি কিমা বুট
উপকরণ: বুট দেড় কাপ, বিফ কিমা আধা কাপ, বিভিন্ন রকম সবজি (সেদ্ধ) ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, সরিষা বাটা আধা চা-চামচ, এলাচি, দারুচিনি তেজপাতা কয়েকটা, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, টমেটো কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনে পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি: বুট পরিষ্কার করে ধুয়ে ৬-৭ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ফুলে ওঠার পর সামান্য হলুদ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। তেল গরম করে গরম মসলা, পেঁয়াজ কুচি, বাটা মসলা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, কষিয়ে কিমা দিয়ে ভাজুন। সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। এবার সেদ্ধ সবজি ঢেলে দিন। বুট দিয়ে নাড়ুন। ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, কাঁচা মরিচ, টমেটো দিন। ধনে পাতা দিয়ে নামিয়ে নিন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.