hair care tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
hair care tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, দাগ দূর করাসহ ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার হয়ে আসছে। বহুগুণী এই মাটি ত্বকের যত্ন ছাড়াও চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায়। চুলকে খুশকি মুক্ত রেখে চুল মজবুত স্বাস্থ্যজ্বল করতে মুলতানি মাটির জুড়ি নেই। এছাড়া স্কাল্পের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। মুলতানি মাটির কিছু কার্যকরী হেয়ার প্যাক জেনে নেওয়া যাক।

১। চুল পড়া রোধে

চার থেকে পাঁচ চা চামচ মুলতানি মাটি, দুই চা চামচ টকদই, এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি শুষ্ক চুলের জন্য উপযোগী। তৈলাক্ত অথবা নরমাল চুলের জন্য অ্যালোভেরা জেল, লেবুর রস এবং মুলতানি মাটির গুঁড়ো মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পারবেন।

২। চুলের গোড়া মজবুত করতে  

এক কাপ মুলতানি মাটি, পাঁচ চামচ চালের গুঁড়া,  একটি  ডিমের সাদা অংশ, অল্প কিছু পানি দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর প্যকটি চুলের গোড়াসহ সম্পূর্ণ চুলে ভাল করে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করবে।

৩। চুলের আগা ফাটা রোধে

চুলের আগা ফাটা রোধের জন্য প্রথমে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে সারারাত থাকুন। সকালে গরম পানিরে ভেজানো টাওয়েল দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে নিন। এক ঘন্টার পর মুলতানি মাটি এবং টকদইয়ের প্যাক চুলে ভাল করে লাগান। কিছুক্ষণ রাখার পর চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরের দিন শ্যাম্পু করুন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। এক মাসের মধ্যে দেখবেন চুলের আগা ফাটা দূর হয়ে গেছে।

৪। খুশকি দূর করতে

চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, দুই টেবিল চামচ কমলার খোসার গুঁড়ো, এবং পানি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি যেন ঘন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

৫। চুল স্ট্রেইট করতে

এক কাপ মুলতানি মাটি, পাঁচ চা চামচ চালের গুঁড়ো এবং একটি ডিমের সাদা অংশ একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এরসাথে অল্প কিছু পানি মিশিয়ে নিবেন। চুলে লাগিয়ে নিন প্যাকটি। তারপর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান দুই থেকে তিনবার। ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন প্যাক শুকানোর জন্য। তারপর চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আধা কাপ দুধ স্প্রে বোতলে ভরে চুলে স্প্রে করে নিন। তারপর আবার ৪-৫ বার চুল আঁচড়ান। ১৫-২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাক ব্যবহার করার আগের রাতে চুলে তেল মাসাজ করতে ভুলবেন না।

বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬

বর্ষাকালে চুলের যত্ন

ranna banna o beauty tips
বর্ষাকালে চুলের যত্ন
বর্ষাকালে বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকে বলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয় বেশি। অনেকেই মনে করেন যে গ্রীষ্মকালে চুলের ক্ষতি অধিক। কিন্তু না, বর্ষাকালে চুলের বাহিরের কিউটিক্যাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চুল হয়ে পরে ভঙ্গুর, রুক্ষ ও শুষ্ক। বর্ষাকালে চুলের সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞের মতামত জেনে নিই চলুন।

১। চুল শুষ্ক রাখুন 

বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু বৃষ্টিতে বার বার আপনার চুল ভেজানোটা মোটেও উপকারী নয়। বৃষ্টির পানি এসিডিক হয় এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার চুলের দুর্দশাই কেবল বৃদ্ধি করবে। বর্ষায় বাহিরে যাওয়ার পূর্বে আপনার চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।

২। সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু করুন

চুল ও মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বৃষ্টিতে ভেজার পরে গোসল করে নিন। বৃষ্টির পানি দীর্ঘক্ষণ আপনার মাথায় থাকলে তা চুলকানির সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি আপনার চুলে ব্যাকটেরিয়াল বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং খুশকিও হতে পারে। অনেক ধরণের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই উচিৎ এবং হেয়ার স্প্রে এড়িয়ে চলুন।

৩। অয়েল ম্যাসাজ

আপনার ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। আপনার পছন্দের যেকোন তেল আপনার চুলের গোঁড়ায় ভালোভাবে ম্যসাজ করে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন বা একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে নিন মাথায়। এতে  আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হবে এবং চুলের শুষ্কতা দূর হবে।

৪। হেয়ার স্টাইল করা এড়িয়ে চলুন

বর্ষাকালে হেয়ার স্টাইল চুলের শুধু ক্ষতিই করে। বর্ষায় খুব শক্ত করে চুল বাঁধতে অনুৎসাহিত করা হয় কারণ এতে বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লে তা আবদ্ধ হয়ে থাকে এবং চলের আর্দ্রতাও বৃদ্ধি পায়। এতে চুলে গন্ধ হয় এবং চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে। হালকা করে চুল বাঁধুন। বর্ষায় চুল ছেটে ছোট করে রাখতে পারেন, এতে চুল পরিষ্কার করা ও যত্ন নেয়া সহজ হবে।

৫। অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট কিনুন হুডিসহ  

বর্ষায় যেকোন সময় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হবেনা এমন মনে হলেও বাহিরে যাওয়ার সময় সাথে হুডিসহ অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট রাখুন। অনেকেই এটা পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে সাথে একটি ছাতা রাখুন। আজকাল অনেক ধরণের রঙ্গিন ও ছোট ছাতা পাওয়া যায় যা ব্যাগে রাখা সম্ভব।

৬। হেয়ার মাস্ক

ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক কোন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন সপ্তাহে অন্তত একদিন। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।  

৭। প্রোটিন খান

ডারমাটোলজিস্ট ও কসমেটোলজিস্ট ডা. অপর্ণা সান্তারাম বলেন, “বর্ষায় চুলকে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান”।

এছাড়াও প্রতিদিন তাজা ফল, বাদান ও সবুজ শাকসবজি এবং ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন। চুলে  কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার লাগানোর পর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান যতে সব জায়গায় কন্ডিশনার পৌঁছে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।


 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.