মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

ঘরে করা যাবে স্টিম ফেসিয়াল

ranna banna o beauty tips
 স্টিম ফেসিয়াল
আয়নার সামনে গেলেই ত্বক নিয়ে ভাবনাটা বেড়ে যায় কয়েকগুন। তখন মনে হয়, নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য কোমল, মসৃণ ত্বক অপরিহার্য। সে ত্বককে সুন্দর করতে আমাদের চেষ্টারও কমতি থাকে না। বিশেষ করে শীতের শুরুতে হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনে ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে দরকার ফেসিয়াল।

ফেসিয়ালের মধ্যে স্টিম ফেসিয়াল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কেননা উত্তপ্ত বাষ্প রোমকূপকে প্রসারিত করে। ফলে ধুলো ময়লা ও অবাঞ্ছিত তৈলাক্ত পদার্থ আটকে থাকা সব ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। গরম পানির ভাপ মুখে নিলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। আসুন শিখে নেয়া যাক, ঘরে বসে স্টিম ফেসিয়াল করার সহজ নিয়ম-

- প্রথমে মাথার চুল পেছন দিকে আঁচড়ে বেঁধে নিতে হবে।

- একটা বড় গামলায় অর্ধেকটা ফুটন্ত গরম পানি নিন।

- একটা বড় তোয়ালে পিঠের দিক থেকে মাথার উপরে টেনে গামলা ঢেকে দিন যাতে বাষ্প বেরিয়ে যেতে না পারে। অনেকটা তাবুর মত করে তোয়ালে দিয়ে গামলার ওপর ঝুঁকে মাথা ঢেকে দিন।

- এসময় চোখ দুটো বন্ধ রাখতে হবে।

- মাঝে মাঝে তোয়ালে সরিয়ে প্রয়োজনীয় শ্বাস নেয়া যাবে। চামচ দিয়ে পানি নেড়ে নিলে বেশি করে বাষ্প উঠতে থাকবে। এভাবে ১০ মিনিট ভাপ নিতে হবে।

- পানিতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান মেশাতে পারেন। যেমন- ১ চামচ যোয়ান, ২টি লেবুর রস অথবা খোসা, ২ চামচ থেঁতো মৌরি। এগুলো আপনার ত্বকের যত্নে দারুণ ভূমিকা পালন করবে।

- ভাপ নেওয়া শেষ হলে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর তোয়ালে দিয়ে ত্বক মুছে নিন।

- সব শেষে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম মেখে নিন। হয়ে গেল স্টিম ফেসিয়াল।

লাল-সবুজে বিজয় সাজ

ranna banna o beauty tips
লাল-সবুজে বিজয় সাজ
অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বাঙালির বিজয় যাত্রা শুর হয়েছিল ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরে। দিনটি তাই প্রতিটি বাঙালি হৃদয়ে বিশেষভাবে জাগ্রত। উৎসব প্রিয় এ জাতি বিজয়ের আনন্দে সাজবে, এটাই স্বাভাবিক।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আসতেই সবার মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নানা তোড়জোড়। অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে দিবসভিত্তিক সাজ-পোশাকের ব্যাপারটা আমাদের সংস্কৃতিতে জড়িয়ে আছে অনেক আগে থেকে। এবারও বিজয় দিবসে ফ্যাশন সচেতন মানুষের আয়োজনের কমতি নেই। মানুষের অঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে আমাদের জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ আবহ।

যেকোনো উৎসব মূলত তারুণ্য নির্ভর। বিজয় দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা আর সবার চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের নামকরা ফ্যাশন হাউজগুলো সেজেছে আপন উদ্যোগে। আপনার ইচ্ছার পূর্ণতা মেলাতে সে আয়োজনের জুড়ি নেই। তাদের নান্দনিক সৃষ্টিকর্মে আপনার ইচ্ছা পেতে পারে নতুন মাত্রা। বেছে নিতে পারেন পছন্দের পোশাক আর অনুষঙ্গ।

বিজয় দিবসের সকালে পরনের সব কিছুতেই থাকতে পারে লাল-সবুজের ছোঁয়া। মেয়েরা পরতে পারেন লাল-সবুজ শাড়ি। লাল পাড়ওয়ালা সবুজ শাড়ি কিম্বা সবুজ পাড়ের লাল শাড়ি বেশ মানিয়ে যায়। শাড়ি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ হওয়ায় ভালো। তবে সময়টা শীতকাল হওয়ায় কাঁধে একটা লাল বা সবুজ শাল রাখতে পারেন। তাহলে দিনভর থাকবেন শীতের কষ্টমুক্ত।
ranna banna o beauty tips
লাল-সবুজে বিজয় সাজ
তরুণীদের অনেকে লাল সবুজ থ্রি-পিস পছন্দ করে। কেউ কেউ টপস বা ফতুয়াও বেছে নিতে পারেন। ফ্যাশন হাউজগুলোর আয়োজনে পাবেন প্রয়োজনের সবকিছু।

কপালে বড় লাল টিপে ভালো মানাবে যে কোনো তরুণীকেই। লাল লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে। সঙ্গে সবুজ বা লাল রঙের মাথার ব্যান্ড। আর হাতে লাল সবুজ চুড়ি থাকা চাই-ই।

ছেলেরা সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পরতে পারেন। আকাশি রঙের জিন্স কিংবা সাদা পাজামা মানিয়ে যাবে। সবুজ পাঞ্জাবিতে লালের উপস্থিতি আপনার সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দেবে অনেক বেশি। পাঞ্জাবি ছাড়াও টি-শার্ট পরতে পারেন। বিজয় দিবসের থিম অবলম্বনে করা এসব টি-শার্ট আপনার স্মার্টনেস বাড়িয়ে দেবে শতগুণ।

মেয়ে শিশুদের লাল-সবুজ শাড়িতে অসাধারণ লাগে। ছেলে বাচ্চাদের সাজেও থাকতে পারে লাল সবুজ আবহ। পতাকার রঙে রাঙানো রিস্ট ব্যান্ড কিনে হাতে পরতে পারেন ছোট বড় সবাই। মাথায় পেঁচাতে পারেন পতাকার ছাপ দেয়া লম্বা কাপড়ের ব্যান্ড। চোয়ালে বা হাতে এঁকে নিতে পারেন বিজয় দিবসের নানা ট্যাটু। সবকিছুই যেনো হয় বিজয় দিবসকে মাথায় রেখে।






কেবল ডিম দিয়েই তৈরি করুন দারুণ মজার চাইনিজ খাবার "শেইং শেজুদান"

ranna banna o beauty tips
"শেইং শেজুদান"
বাড়িতে টমেটো ও ডিম আছে? তাতেই চলবে! এই দুটি উপাদান দিয়ে ঝটপট তৈরি করে ফেলতে পারেন ডিনারের জন্য একটি দারুণ ডিশ। রেসিপি দিচ্ছেন  শারমিন হক।

উপকরণ
- ডিম ৩ টি
- টমেটো ৩ টি (ডিম ও টমেটো সম পরিমাণ)
- স্প্রিং অনিয়ন
- ফুলকপি,ব্রকলি পাতলা করে কাটা  ( মূল চাইনিজ রেসিপিতে এটা দেয়া হয় না)
- কালো গোল মরিচ গুড়া
- লবণ
- তেল
- টমেটো সস (ঝাল পছন্দ করলে হট টমেটো সস দিতে পারেন।
- অয়েস্টার সস (না দিলেও সমস্যা নেই)

প্রস্তুত প্রনালি

    -ফ্রাই প্যানে অল্প তেল দিয়ে ফুলকপি, ব্রকলি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে তাতে টমেটো,স্প্রিং অনিয়ন, লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ৪/৫ মিনিট ভেজে নামিয়ে নিন।
    -এবার সামান্য লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ডিম গুলো ফেটে নিন। এমনভাবে ফেটাবেন যাতে ফেনা না হয়।
    -এবার প্যানে তেল দিন। তেল গরম হলে ডিম দিয়ে দিন। ২ মিনিট পর ডিমটা চামচ দিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে ভেজে রাখা টমেটো সবজি দিয়ে দিন।
    -অয়েস্টার সস দিয়ে ভাল করে নেড়ে নামিয়ে নিন। এবার পছন্দমত গার্নিশি করে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

শীতের আমেজে গরম গরম ডিম চিতই

ranna banna o beauty tips
গরম গরম ডিম চিতই
শীত এসেছে আর চিতই পিঠা খাওয়া হবে না, সে কি হয়। একদম না! হরেক রকম ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। চলুন, আজ তাহলে জেনে নিই একটি ভিন্নধর্মী এক চিতই পিঠার রেসিপি। ঝাল চিতইয়ের মত আজ আমরা তৈরি করবো ডিম চিতই। রেসিপি দিচ্ছেন বীথি জগলুল।

পিঠার ব্যাটার তৈরি করতে লাগবে
চালের গুঁড়া- ৩ কাপ
ডিম- ২টি
লবণ- ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়া- স্বাদমতো
বেকিং পাউডার- ১ চা চামচ
কুসুম গরম পানি- দরকারমতো

টপিং-এর জন্য লাগবে
সেদ্ধ ডিম- ২টি
স্প্রিং ওনিওন কুচি- ২-৩টি
কাঁচামরিচ কুচি- ১টি
ধনেপাতা কুচি- ৩/৪ টে চামচ

    - ডিম পাতলা পাতলা করে পিস করে নিন। ডিম ছাড়া টপিং-এর সবকিছু একসাথে মিশিয়ে রাখুন।

প্রণালি

    -চালের গুঁড়ার সাথে গোলমরিচ গুঁড়া ও ফেটানো ডিম মিশিয়ে নিন। এবার পরিমাণমতো কুসুম গরম পানি দিয়ে ঘন ব্যাটার বানিয়ে নিন।
    -ব্যাটার বেশ অনেকক্ষন ধরে হাত দিয়ে গোলাবেন, তাহলে পিঠা নরম হবে।
    -ব্যাটার করা হলে ২-৩ ঘন্টার জন্যে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। বানানোর আগে বেকিং পাউডার মিশিয়ে নেবেন।
    -মৃদু থেকে মাঝারি আঁচে ভারি লোহার কড়াই অথবা মাটির খোলা গরম করে নিন। বড়ো ডালের চামচ দিয়ে ২ চামচ ব্যাটার দিয়ে মাটির ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
    -কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে ঢাকনা তুলে পিঠার মাঝখানে এক টুকরা সেদ্ধ ডিম দিয়ে চারপাশে টপিং-এর উপকরন দিন। আবার ঢাকনা দিয়ে দিন।
    -মাঝখানে একবার ঢাকনার চারপাশ দিয়ে অল্প করে পানি দিয়ে দিন। পিঠার চারপাশ উঠে উঠে আসলে নামিয়ে নিন।
    -এইভাবে সবগুলি পিঠা বানিয়ে নিন। নীচে মুচমুচে ও উপরে নরম তুলতুলে পিঠা হবে।
    -বিভিন্ন রকম ভর্তা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

চটজলদি অতিথি আপ্যায়নে তৈরি করে ফেলুন মাসালা ঘি রাইস

ranna banna o beauty tips
মাসালা ঘি রাইস
মেহমান সব সময় বলে কয়ে আসে না। আর মাঝে মাঝে এমন অবস্থা হয় যে হুট করে অতিথি চলে এসেছে অথচ ঘরে কিছুই নেই, কিচ্ছু না। মজার মজার খাবার রান্নার সময়ও নেই। তখন উপায়? চিন্তিত হবেন না। জেনে রাখুন দারুণ সুস্বাদু মাসালা ঘি রাইসের রেসিপিটি। এটি মূলত রাজস্থানি একটি খাবার। নেহায়েত আনাড়ি রাঁধুনিও এটা রান্না করতে পারবে। আর ঘিয়ের মোহময় স্বাদে আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে যাবে মেহমান।
উপকরণ

    -   ২ কাপ ভাত
    -   এক চা চামচ জিরা
    -   ২টি তেজপাতা
    -   ৫০ গ্রাম কাজুবাদাম
    -   ৬টা কারি পাতা
    -   ৩টা কাঁচামরিচ
    -   ২টা পিঁয়াজ কুচানো
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   হলুদ গুঁড়ো প্রয়োজনমতো
    -   ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
    -   ২ টেবিল চামচ ঘি
    -   আধা কাপ মটরশুঁটি

প্রণালী

১) একটি বড় প্যানে ঘি গরম করে নিন। এতে দিয়ে দিন জিরা, তেজপাতা, কাজুবাদাম, কারি পাতা, কাঁচামরিচ, মটরশুঁটি, পিঁয়াজ কুচি, লবণ এবং হলুদ। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে রান্না করতে থাকুন। মশলাটা রান্না হয়ে গেলে এতে দিয়ে দিন মরিচ গুঁড়ো। মরিচ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন বাকি মশলাটার সাথে।

২) এবার রান্না করে রাখা ভাত দিয়ে দিন এই মশলার মাঝে। নেড়েচেড়ে নিন যাতে পুরো ভাতে মশলা মিশে যায়। ভাতটা গরম হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।

২০ মিনিটে তৈরি করে ফেলুন খাস চাইনিজ ডিশ জেনারেল সো চিকেন

ranna banna o beauty tips
জেনারেল সো চিকেন
এক চাইনিজ জেনারেল, সো সুংটাং এর নামের সাথে মিল রেখে এই খাবারের নাম। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, সেই জেনারেল নিজে কখনোই এই খাবারটি খাননি! চীনের হুনান প্রদেশ থেকে উঠে আসা এই খাবারটি চাইনিজ ডিশ হিসেবে বিশ্বের অনেক দেশেই প্রসিদ্ধ। আপনিও মাত্র ২০ মিনিটেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন সহজ এই খাবারটি। চলুন, জেনে নেই এর রেসিপি।
উপকরণ:

    -   ৪৫০ গ্রাম হাড় ছাড়া মুরগীর পায়ের মাংস, কিউব করে কাটা
    -   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
    -   ১টা ডিম
    -   ১ টেবিল চামচ ময়দা
    -   ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
    -   ২টা পিঁয়াজকলি এবং তার সাথে ছোট পিঁয়াজ
    -   ১ টেবিল চামচ তিলের তেল
    -   ১ চা চামচ আদা মিহি কুচি
    -   ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
    -   ১ টেবিল চামচ অয়েস্টার সস
    -   ১ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
    -   ১ চা চামচ সয়া সস
    -   আধা চা চামচ চিনি
    -   ১ চা চামচ ভিনেগার

প্রণালী

১) প্যানে তেল গরম করে নিন।

২) একটা বোলে মুরগীর মাংস নিন। এতে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং ডিম দিয়ে মিশিয়ে ফেলুন। এতে ময়দা এবং কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে ভালো করে মেখে নিন।

৩) তেলে এই মুরগী ডিপ ফ্রাই করে নিন। মুচমুচে সোনালি হয়ে এলে উঠিয়ে নিন।

৪) পিঁয়াজকলির পিঁয়াজটা মিহি করে কুচিয়ে নিন।

৫) সস তৈরির জন্য একটা নন-স্টিক প্যানে গরম করে নিন তিলের তেল। এতে পিঁয়াজ কুচিটা দিয়ে সাঁতলে নিন মিনিটখানেক। আদা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়ে নিন। এরপর রসুন দিয়ে ভেজে নিন যতক্ষণ না রসুনটা সোনালি হয়ে আসে।
৬) প্যানে ফ্রাইড চিকেনটা দিয়ে দিন এবং টস করে নিন। এতে অয়েস্টার সস, টমেটো কেচাপ, সয়া সস, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং চিনি দিয়ে টস করে মিশিয়ে নিন।

৭) ভিনেগার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এক মিনিট রান্না করুন। ওপরে পিঁয়াজকলি কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।

ভাতের পাতে ৬ রকমের ভর্তা

ranna banna o beauty tips
ভাতের পাতে ৬ রকমের ভর্তা
গরম ভাতের পাতে হরেক রকমের ভর্তা- শুনেই জিভে পানি চলে আসে, তাই না? ৬টি দারুণ ভর্তার রেসিপি নিয়ে আজ এসেছনে নদী সিনা । এই ভর্তাগুলো সুস্বাদু তো বটেই, সাথে স্বাস্থ্যকরও। চলুন, জেনে নিই রেসিপি।
১.কালোজিরা ভর্তাঃ

উপকরণঃ কালোজিরা সিকি কাপ, রসুনের কোয়া ১ টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ ৩-৪টি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালীঃ রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ প্যানে টেলে নিতে হবে। তেল বাদে সব উপকরণ পাটায় বেটে তেল দিয়ে মাখিয়ে ভর্তা করতে হবে।

২.টমেটো ভর্তাঃ

উপকরণঃ টমেটো আধা কেজি, কাঁচা মরিচ ৫/৬টি, লবণ পরিমাণ মতো, পিঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, ধনে পাতা কুচি সিকি কাপ, সরিষার টেল স্বাদ অনুযায়ী।

প্রণালীঃ টমেটো ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন। চুলায় ফ্রাই প্যানে টমেটোগুলি দিয়ে ঢেকে দিন অল্প আঁচে। ১০/১৫ মিনিট পর উটিয়ে দিন। টমেটো সিদ্ধ হয়ে গেলে প্যান থেকে নামিয়ে নিন। এবার টমেটোগুলির খোসা ছাড়িয়ে নিন। পাত্রে পিঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ধনে পাতা কুচি নিন। হাতে মেখে টমেটোগুলি তার সাথে মিশিয়ে ভর্তা করে নিন। তেল যোগ করুন। তৈরি হয়ে গেল চমৎকার টমেটো ভর্তা।

৩.লাউপাতা /কুমড়া পাতা ভর্তাঃ

উপকরণঃ কচি লাউপাতা/কুমড়া পাতা ১৫/২০টি, চিংড়ি ১/২ কাপ ছোট, পেঁয়াজ ১/৪ কাপ, কাঁচামরিচ যে যেমন ঝাল খাবেন , রসুন ১ টেবিল চামচ ,লবণ সাদমত, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ।

প্রণালীঃ লাউপাতা ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এইবার বাকি সব দিয়ে প্যানে একটু নেড়ে পানি শুকিয়ে নিন। পানি শুকিয়ে গেলে পেস্ট করে নিন। সব শেষে সরিষার তেল মেখে পরিবেশন করুন।

৪. বেগুন ভর্তাঃ

উপকরণঃ বেগুন - ৪০০ গ্রাম, সরিষার তেল - ১ টেবিল চামচ,পেঁয়াজ কুচি - ১/৪ কাপ,কাঁচামরিচ - ৪-৫ টা (কুচি করে দিতে পারেন অথবা হাল্কা করে টেলে নিয়ে ভর্তা করে দিতে পারেন),ধনিয়াপাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ (ইচ্ছা),লবণ- ১ চা চামচ অথবা পছন্দমত।

প্রণালীঃ বেগুন নরম হওয়া পর্যন্ত পুড়িয়ে নিন। বেগুন পোড়া হয়ে গেলে বেগুনটা ঠান্ডা হতে দিন। তারপর চামড়া আস্তে আস্তে ছাড়িয়ে নিয়ে ভাল করে ভর্তা করে নিন। তারপর পেঁয়াজকুচি, মরিচকুচি, লবণ ও ধনিয়াপাতাকুচি ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

৫. সবজির ভর্তাঃ

উপকরণঃ আলু ২টি, মিষ্টি কুমড়া আধা কাপ, ফুল কপি ১ কাপ, ব্রকলি ১ কাপ, বরবটি ১ কাপ,গাজর ১/২ কাপ , লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ/শুকনা মরিচ ভাজা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, ধনেপাতা কুচি ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালীঃ সব সবজি চারকোনা করে কেটে নিন। সব সবজি সামান্য লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।
এরপর সবজিগুলো একসঙ্গে ভর্তা করে সরিষার তেল, কাঁচা মরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে মেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

৬.পালংশাক ভর্তাঃ

উপকরণঃ পালংশাক ২০০ গ্রাম , কাঁচা মরিচ/ শুকনা মরিচ ভাজা ৫ থেকে ৬ টি পেয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ। লবণ ও সরিষার তেল -নিজের পছন্দ মত।

প্রনালীঃ প্রথমে পালংশাক ভাল করে ধুয়ে বড় করে কেটে যে কোন পাত্রে সিদ্ধ করে নিন। শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে পেয়াজ কুচি, মরিচ ও লবণ হাত দিয়ে চেটকিয়ে মিহি করুন। তারপর সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করুন। শীতের দিনে গরম গরম ভাতের সাথে শাক ভর্তা অনেক সুস্বাদু লাগে।

নাস্তায় মুখরোচক ফিশ শাসলিক

ranna banna o beauty tips
ফিশ শাসলিক
পুষ্টিগুণঃ

মাছে আছে প্রাণীজ প্রোটিন। মাছের প্রোটিন দেহ গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া মাছের তেলে উপকারী ফ্যাট আছে। আছে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি-৬,ভিটামিন বি-১২ ও আয়রন।

উপকরণঃ

- কাঁটা ছাড়া মাছের পিঠের অংশ ৫০০ গ্রাম
(যে কোনো কাঁটা ছাড়া নরম মাছ হলে ভালো। সামুদ্রিক মাছেও চমৎকার হয়)
- আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা আধা চা-চামচ
- জিরা গুঁড়া আধা চা-চামচ
- মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ
- গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ
- লবণ পরিমাণমতো
- টমেটো সস ১ টেবিল চামচ
- ওয়েস্টার সস ১ চা-চামচ
- ফিশ সস ১ চা-চামচ
- চিলি সস ১ চা-চামচ
- লেবুর রস এক টেবিল চামচ
- সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ (মাখানোর জন্য)
- পেঁয়াজ ভাজে ভাজে খোলা খোলা আধা কাপ
- কাঁচামরিচ আস্ত ৮-১০টি,
- গাজর স্লাইস আধা কাপ,
- সবুজ ক্যাপসিকাম ১টি,
- টমেটো ৩টি।
- শাসলিকের কাঠি প্রয়োজনমত
- ভাজার জন্য তেল

প্রণালীঃ

- কাঁটাছাড়া বড় মাছের পিঠের অংশ আধা ইঞ্চি কিউব করে কেটে নিন।ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে সব মসলা মিশিয়ে ৪০-৫০ মিনিট রেখে দিন।

- এবার মাছের সঙ্গে খোলা পেয়াজ, কাঁচা মরিচ, গাজর স্লাইস ও টমেটো মেখে নিতে হবে।

- এরপর শাসলিক কাঠিতে একে একে সব গেঁথে নিতে হবে।

- ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল দিয়ে গরম হলে কাঠি গুলো বিছিয়ে দিতে হবে।

- একদিক হয়ে গেলে উল্টে দিতে হবে।

- মাঝে মাঝে মসলা ব্রাশ করে দিতে হবে।

- হালকা পোড়া বাদামি রং হলে নামিয়ে ফেলতে হবে।

- সসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার ফিশ শাসলিক।
বলাই বাহুল্য যে খাবার আয়োজনে শাসলিক একটি অত্যন্ত আকর্ষনীয় খাবার। আমরা প্রায় সবাই চিকেন শাসলিক খেয়েছি। কিন্তু মাছ দিয়েও যে শাসলিক করা যায় তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। বিকেলের নাস্তা হিসেবে ফিশ শাসলিক বেশ পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে। আসুন জেনে নেয়া কাজ ফিশ শাসলিকের পুষ্টিগুণ ও রেসিপি।

রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

দই ফুচকা

দই ফুচকা
ফুচকা উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী :
ময়দা ১ কাপ, সুজি ১/২কাপ, তালমাখনা ১ চা চামচ (মসলার দোকানে পাওয়া যায়), লবণ, পানি এক সঙ্গে মাখিয়ে ডো তৈরী করুন। এবার রুটির মতো বেলে বিস্কিট কাটার, গ্লাস অথবা বয়ামের মুখ দিয়ে ফুচকার আকৃতি করে কেটে নিন। গরম ডুবো তেলে ফুচকাগুলো ছেড়ে দিন। ফুলে উঠে লালচে হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।

পুরের উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালীঃ
দুই কাপ পরিমান সেদ্ধ আলু নিতে হবে। এরপর দুই টেবিল চামচ আস্ত ধনে, দুই টেবিল চামচ জিরা ও এক টেবিল চামচ গোলমরিচ একসঙ্গে শুকনা তাওয়ায় নিয়ে ভাজতে হবে এবং ঠান্ডা হলে গুঁড়া করে নিতে হবে। এরপর সেদ্ধ আলুর ভেতর এগুলো দিয়ে মাখাতে হবে।

দইয়ের সসের উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালীঃ
দই দুই কাপ, লবণ ১ চা চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১/২ কাপ (খুব মিহি কুচি) একসঙ্গে ফেটে নিতে হবে।

দই ফুচকা প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রতিটি ফুচকার উপরে কিছুটা ভেঙ্গে নিন। এরপর ভাঙ্গা অংশে পুর ঢুকিয়ে নিন। এরপর ফুচকার উপর দইয়ের সস দিয়ে দিন। এবার দইয়ের উপর পুদিনা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি ও ভাজা জিরা গুড়া দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার দই ফুচকা।

সবজি চিকেন

ranna banna o beauty tips
সবজি চিকেন
প্রয়োজনীয় উপকরণ:

চিকেন কিমা ৫০০ গ্রাম, পিঁয়াজ কুচি ২ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ২ কাপ, ব্রোকলি কুচি ২ কাপ, ঢেঁড়শ কুচি ২ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা গুড়া আধা চা চামচ, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ কাটা ৬ টি, তেল ২ টেবিল চামচ, রসুন কাটা ২ টেবিল চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।



প্রস্তুত প্রণালী:

চিকেন কিমাতে লেবুর রস, লবণ, আদা, রসুন বাটা মিশিয়ে আধাঘণ্টা রেখে দিতে হবে। একটি প্যানে গরম তেলে রসুন দিয়ে বাদামী করে ভাজতে হবে। এবার চিকেনে সয়াসস মিশিয়ে ভাজতে থাকুন। মাঝারি আঁচে মিনিট পাঁচেক ভাজার পর সব সবজি, কাঁচা মরিচ, দিয়ে ঢেকে রাখুন। দশ মিনিট পর জিরাগুঁড়া, এলাচ গুঁড়া, কাঁচা মরিচ দিয়ে অল্প আঁচে পাঁচ মিনিট রান্না করুন। এবার গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন মজার স্বাদের সবজি-চিকেন।

রাশিয়ান পটেটো সালাদ

ranna banna o beauty tips
রাশিয়ান পটেটো সালাদ
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
  •     চৌকো করে কাটা সিদ্ধ আলু- ১ কাপ
  •     মটরশুঁটি, ফ্রেঞ্চ বিন, বরবটি, ভুট্টা ইত্যাদি যা যা আপনার পছন্দ- ১/২ কাপ (সিদ্ধ করে নেয়া, না দিলেও সমস্যা নেই)
  •     গাজর, টমেটো, ক্যাপ্সিকাম, আপেল, বীজ ফেলা শশা- ১/২ কাপ
  •     ডিম সিদ্ধ- ২ টি
  •     মেয়নেজ- ১/২ কাপ (চাইলে একটু বেশিও দিতে পারেন)
  •     চিনি সামান্য
  •     লেবুর রস- ১ চা চামচ
  •     কমলার রস- ২ টেবিল চামচ
  •     গোল মরিচ গুঁড়ো
  •     গলিত মাখন- ২ টেবিল চামচ
  •     মুরগির বুকের মাংস বা টুনা ফিশ ১ কাপ


প্রস্তুত প্রণালী:

    সব সবজি আলুর আকারেই কেটে নেবেন। সিদ্ধ করা সবজিগুলো ভালোভাবে ঠাণ্ডা করে নিবেন।
    ডিমের কুসুম দুটি বের করে নিন। তারপর সাদা অংশটিও চৌকো করে কেটে নিন।
    মুরগির মাংস বা টুনা ফিশকে হালকা আদা রসুন ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। ঠাণ্ডা করে টুকরো করুন বা ছাড়িয়ে নিন হাত দিয়ে।
    এবার ডিমের কুসুম দুটি একটি বাটিতে নিন। এর সাথে লেবু ও কমলার রস, মাখন, চিনি দিয়ে ভালো করে মেশান। কুসুম মসৃণ হলে মেয়নেজ দিন ও ভালো করে মেশান।
    তারপর আলু, সিদ্ধ সবজি ও মুরগি/টুনা দিয়ে দিন। এভাবে রেখে দিন ১০ মিনিট।
    পরিবেশনের ঠিক আগে কাঁচা সবজি ও গোলমরিচ মিশিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার রাশিয়ান সালাদ।

রাশিয়ান মিক্সড সালাদ

ranna banna o beauty tips
রাশিয়ান মিক্সড সালাদ
রাশিয়ান সালাদ খুব উপাদেয় একটি খাবার। এতে ডিম, মাংস, অনেক ফল ও সবজি থাকে। ফলে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সালাদ।

 প্রয়োজনীয় উপকরণ:

টক দই (ফুল ক্রিম) আধা লিটার। সিদ্ধ ডিম ১টি। আলু সেদ্ধ ২টি (মাঝারি আকারের)। ছোট শসা ২টি। আমড়া ৩-৪টি, সিদ্ধ গাজর ১টি। সুইট কর্ণ আধা কাপ। মুরগির বুকের মাংস (সিদ্ধ বা অল্প তেলে লবণ দিয়ে ভাজা) আধা কাপ। লবণ পরিমাণমতো। গোলমরিচের গুঁড়া পরিমাণমতো।

 প্রস্তুত প্রণালী:

    প্রথমে টক দইটুকু একটা পাতলা কাপড়ে নিয়ে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর একটা বড় বাটিতে দই, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া ও সুইট কর্ন ছাড়া বাকি সব উপকরণ কিউব করে কেটে রাখুন।
    এরপর এতে টকদই, সুইট কর্ন, লবণ এবং গোলমরিচ দিয়ে মাখিয়ে নিন।
    হয়ে গেল সহজ, টেস্টি, লো ফ্যাট রাশিয়ান সালাদ। এ সালাদ যেমন শুধু খাওয়া যায়। তেমনি হাতে বানানো রুটি বা পাউরুটি দিয়েও খেতে মজা।

 

দই ফলের সালাদ

দই ফলের সালাদ
খুব কম সময়ে পুষ্টিকর খাবার তৈরির কিছু রেসিপি জানলে, কর্মজীবীরা উপকৃত হবেন। আপনাদের জন্যই দই ফলের সালাদের রেসিপি।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:
  •     মিষ্টি দই২৫০ গ্রাম
  •     ফল ৫০০ গ্রাম
  •     ভাজা শুকনো মরিচ গুঁড়ো ১ টেবল চা (কিংবা স্বাদমতো)
  •     লবন স্বাদমতো
  •     বীট লবন স্বাদমতো
  •     গোল মরিচের গুঁড়ো এক চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালী:

    মিষ্টি দইয়ে শুকনো মরিচ টেলে তার গুড়া মিশিয়ে, লবন, বীট লবন, গোল মরিচের গুড়া দিয়ে ভালো করে ফেটে নিয়ে পছন্দের ফল দিয়ে সালাদ করে খেলে শরীরের জন্য খুব ভালো। এ গরমে শরীরকে ঠান্ডা করে, ঘাটতি পূরন করবে। কলা, পেঁপে, বাঙ্গি, পেয়ারা, কামরাঙা, আম, কমলা, আপেল, আঙ্গুর হাতের কাছে যা ফল পাবেন তাই সালাদে দিয়ে খেতে পারেন।
    খেয়াল রাখতে হবে এটা বানিয়ে অনেকক্ষণ রেখে দেয়া যাবে না। সাথে সাথেই খেয়ে নিতে হবে। এতে স্বাদ আর পুষ্টিগুন দুটোই ঠিক থাকবে।

শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

পিনহুইল সমুচা

ranna banna o beauty tips
পিনহুইল সমুচা

বিকেলের সুস্বাদু নাস্তা। রেসিপি দিয়েছেন বীথি জগলুল।

উপকরণ

ডো’য়ের জন্য: ময়দা ১ কাপ। সুজি ২ টেবিল-চামচ। তেল ৩ টেবিল-চামচ। পানি ১/৪ কাপ।

লবণ আধা চা-চামচ। কালিজিরা ১ চা-চামচ।

পুরের জন্য: আলু সিদ্ধ ৪টি (মাঝারি)। মটরসিদ্ধ আধা কাপ। গরম মসলাগুঁড়া ১ চা-চামচ। জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ। আস্তজিরা ১ চা-চামচ। কাঁচামরিচ-কুচি ১ টেবিল-চামচ। ধনেপাতা-কুচি ইচ্ছা মতো। লবণ স্বাদ মতো।

আরও লাগবে: তেল, ময়দা ও পানি পরিমাণ মতো।

ডো তৈরি: ডো’র শুকনা উপকরণগুলো মিশিয়ে আস্তে আস্তে পানি দিয়ে ডো তৈরি করে নিন। তারপর ১৫ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন।

পুর তৈরি: আলু একটু গোটা গোটা রেখে চটকিয়ে সঙ্গের সব উপকরণ হাত দিয়ে মিশিয়ে নিন।

সমুচা তৈরি: ডো এবং পুর দেওয়ার উপকরণ সমান দুই ভাগে ভাগ করে নিন। এবার রুটি বেলার পিঁড়িতে তেল লাগিয়ে বড় করে একটি রুটি তৈরি করুন। রুটির উপর সমান করে ফিলিং বিছিয়ে বেলুন দিয়ে চেপে দিন।

একদিক থেকে রোল করে অপর প্রান্ত পর্যন্ত আসুন। শেষ প্রান্ত পানি দিয়ে লাগিয়ে দিন। আঁটসাঁট করে রোল করবেন। দুইপাশের এক ইঞ্চি বাদ দিয়ে আধা ইঞ্চি করে কেটে নিন। কাটা হলে হাত দিয়ে প্রতিটি পিনহুইলকে হালকা করে চেপে দিন।

প্যানে তেল গরম হতে দিন। এই ফাঁকে দুতিন টেবিল-চামচ ময়দা ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পাতলা ব্যাটার বা মণ্ড বানিয়ে নিন। একটি একটি করে পিনহুইল মণ্ডতে ডুবিয়ে গরম তেলে ছাড়ুন। মাঝারি আঁচে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে নিন।

ভাজা হলে চাটনি অথবা সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মসলা লেবু চা

ranna banna o beauty tips
মসলা লেবু চা

এই মৌসুমে সর্দি-কাশি দূর করতে ও শরীর তাজা করে তুলতে এই পানীয় অতুলনীয়। পদ্ধতি দিয়েছেন আনার সোহেল।

উপকরণ: পানি ২ কাপ। এক চিমটি লবণ। আদা পাতলা করে কাটা ২,৩টি। এলাচ ২টি। লবঙ্গ ২,৩টি। এক ইঞ্চি লম্বা দারুচিনি ২ টুকরা করা। তেজপাতা ১টি দুই টুকরা করা। লেবু ছোট ১টি। চা-পাতা ১ চা-চামচ। মধু বা চিনি ২ চা-চামচ (২ কাপ চায়ের জন্য)।

পদ্ধতি: মধু, লেবু, চা-পাতা বাদে পাত্রে পানি, আদা, সব মসলা ও এক চিমটি লবণ দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। ‍দুতিন বার বলগ উঠলে কিংবা ফুটে উঠলে চা-পাতা দিন।

চায়ের রং বের হলে নামিয়ে নিন। এবার দুটি কাপে লেবুর রস বের করে নিন এবং চা ছেঁকে দিন। সবশেষে মধু দিয়ে মেশান।

সবজি-পেঁয়াজু

Ranna Banna o beauty tips
সবজি-পেঁয়াজু

বিকেলের নাস্তায় চায়ের সঙ্গে চমৎকার নাস্তা। রেসিপি দিয়েছেন বীথি জগলুল।

উপকরণ: মসুর ডাল আধা কাপ। চালের গুঁড়া ২ মুঠ। বাঁধাকপি-কুচি ১ কাপ। গাজরকুচি ১টি। আলুকুচি ১টি। পেঁয়াজকুচি ১/৩ কাপ। কাঁচামরিচ-কুচি ৮ থেকে ১০টি। আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল-চামচ করে। হলুদ ও জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ করে। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: ডাল ভিজিয়ে রেখে ফুলে উঠলে পানি ঝরিয়ে আধা বাটা করে নিন। মাঝারি আঁচে তেল গরম করে নিন। এবার ডালের সঙ্গে বাকি সব উপকরণ মাখিয়ে নিন।

মিশ্রণ অল্প করে হাতে নিয়ে, পেঁয়াজুর আকারে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে তুলুন। বিকেলের চায়ের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার সবজি পেঁয়াজু।

হালকা শীতের বিকেলে তৈরি করে ফেলুন মজাদার সবজি কাটলেট

Ranna Banna o beauty tips
মজাদার সবজি কাটলেট
কাটলেট শব্দটা শুনলে মাছ বা মাংসের কথা মনে আসে। কিন্তু সবজি দিয়ে অনেক মজাদার কাটলেট তৈরি করা যায়। যেসব বাচ্চারা সবজি খেতে চায় না, তাদেরকে সবজি খাওয়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল সবজির কাটলেট। শীতকালের মজাদার সবজি দিয়ে ঘরে তৈরি করে ফেলুন মজাদার সবজি কাটলেট।
 

উপকরণ:

    ৩-৪ টি সিদ্ধ আলু
    ১ টেবিল চামচ তেল
    ১টি মাঝারি পেঁয়াজ কুচি
    ২ টেবিল চামচ আদা রসূনের পেস্ট
    ১টি মাঝারি গজর কুচি
    ১/৪ কাপ কর্ণ
    ২টি কাঁচা মরিচ কুচি
    ১/৪ কাপ সিদ্ধ মটরশুঁটি
    ৩ টেবিল চামচ ক্যাপসিকাম কুচি
    লবণ স্বাদমত
    ১/২ চা চামচ হার্বস
    ১/২ চা চামচ লাল শুকনো মরিচ
    গোল মরিচ গুঁড়ো
    ১ চা চামচ লেবুর রস
    ১/২ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব
    ধনেপাতা কুচি
    ২ টেবিল চামচ ময়দা
    ১/২ কাপ পানি
    ১/২ কাপ কর্ণ ফ্লেক্স বা বিস্কুটের গুঁড়ো

প্রণালী:

১। একটি প্যানে তেল দিয়ে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।

২। পেঁয়াজ কুচি লাল হয়ে এলে এতে আদা রসূনের পেস্ট, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে নাড়ুন।

৩। তারপর এতে গাজর কুচি, মটরশুঁটি, সুইট কর্ণ, ক্যাপসিকাম দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন।

৪। এবার এতে লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো, হার্বস, শুকনো মরিচ গুঁড়ো, লেবুর রস এবং সিদ্ধ আলু দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।

৫। আঠালো ডোর মত হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

৬। এবার এতে ব্রেড ক্রাম্বস, ধনে পাতা কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন।

৭। হাতে সামান্য তেল লাগিয়ে ডো দিয়ে নিজের পছন্দের মত আকৃতি করে নিন।

৮। এবার এটি প্রথমে ময়দায় তারপর কর্ণ ফ্লেক্স বা বিস্কুটের গুঁড়োর মধ্যে গড়িয়ে তেলে দিয়ে দিন।

৯। মাঝারি আঁচে কাটলেটগুলো ভাজুন।

১০। বাদামী হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন মজাদার ক্রিপসি সবজি কাটলেট।

ছুটির দিনের আমেজে "রেলওয়ে ভেজিটেবল কাটলেট"

Ranna Banna o beauty tips
"রেলওয়ে ভেজিটেবল কাটলেট"
রেনে যারা নিয়মিত ভ্রমণ করেন, কিংবা বিশেষ করে আগে করতেন, তাঁদের জিভে কিন্ত এখনো লেগে আছে সেই ভেজিটেবল কাটলেটের স্বাদ। আমাদের সবার স্মৃতিতেই হয়তো কমবেশি আছে এই কাটলেটের কথা। চলুন, আজ ছুটির দিনের অবসরে ঝালাই করে নেয়া যাক শৈশব স্মৃতিকে। রেলওয়ে ভেজিটেবল কাটলেটের রেসিপি নিয়ে এসেছেন আতিয়া আমজাদ।

উপকরণ

-১টি গাজর ও ২টি বরবটি মিহি করে কাটা, ও ১ মুঠো মটরশুটি সব মিলিয়ে ১ কাপ
-৩ টি সিদ্ধ আলু ভর্তা করে নেয়া
-পিয়াজ কুচি ৪ টে:চামচ
-২টি কাচা মরিচ কুচি
-আদা কুচি ১ টে:চা
-মরিচের গুরা ১ চা:চা
-চালের গুরা ১ টে:চা
-পুদিনাপাতা কুচি ১ টে:চা
- লবন হাফ চা:চা
- ময়দা ৪ টে:চা
-টোস্ট বিস্কিটের গুরা ১ কাপ
- তেল ৬ টে:চা

প্রণালি


    -১ কাপ ফুটন্ত পানিতে সবজি গুলো ৩ মিনিট সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখুন।আলু চটকে নিন।
    -প্যানে ১ টে:চা তেল গরম করে পিঁয়াজ,মরিচ ও আদা কুচি ভেজে নিন ১ মিনিট, এবার সিদ্ধ সব্জি গুলো দিয়ে আরো ৪/৫ মিনিট ভেজে আলু ভর্তার সাথে মিশিয়ে লবণ, গুঁড়ো মরিচ, চালের গুঁড়ো ও পুদিনা পাতা একত্রে মিশাতে হবে।
    - মিশ্রণ টি ৬ ভাগে ভাগ করে ৬ টি গোল চপের শেপ করে রাখুন। -ময়দার সাথে হাফ কাপ পানি দিয়ে গুলে পাতলা কাই করে নিন। আরেকটি প্লেটে বিস্কিটের গুঁড়ো ছরিয়ে নিন।
    -গোল চপ গুলো এখন ময়দার পাতলা কাই-এ চুবিয়ে বিস্কিটের গুঁড়োয় গরিয়ে নিন এবং কাটলেট-এর শেপ দিন হাতের তালুতে নিয়ে।
    -কাটলেট গুলো ভাজার আগে ১ ঘন্টা ফ্রিজে রাখতে হবে।
    -বাকি তেল গরম করে কম আঁচে একটু সময় নিয়ে কাটলেট গুলো বাদামি করে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।

বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

স্বাদে ভরা মাছের কাটলেট

ranna banna o beauty tips
মাছের কাটলেট
মাছ খেতে পছন্দ সবার। তবে কাঁটার ভয়ে কেউ কেউ মাছ এড়িয়ে যেতে চান। সেখানে কাঁটা ছাড়া মাছ দিয়ে যদি মজার কোনো খাবার তৈরি করা হয় তবে তা লুফে নেন সবাই। পুরোদমে মুখরোচক মাছের স্বাদ অথচ কাঁটা বেছে নেয়ার কোনো ঝামেলায় নেই। মজার সস দিয়ে নাস্তা, সাদা ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে মাছের কাটলেটের জুড়ি নেই। পরিবারের সদস্যদের মন ভরাতে আর অতিথির আপ্যায়নে স্বাদের যোগ করতে শিখে নিতে পারেন মাছের কাটলেট। স্বাদের ভূবনে হারিয়ে যেতে চট করে দেখে নেয়া যাক মাছের কাটলেট বানানোর সহজ পদ্ধতি।  

যা যা লাগবে

যেকোনো মাছ ২ কাপ, আদা বাটা আধা চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, রসুন বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, ধনে পাতা কুচি আধা কাপ, পাউরুটি ২ পিস, আদা মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, দুধ আধা কাপ, মুড়ির গুঁড়া ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো ও ময়দা আধা কাপ।

যেভাবে করবেন

মাছ আদা ও রসুন বাটা, লবণ, অল্প কাঁচামরিচ এবং পানি দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। এরপর কাঁটা বেছে নিতে হবে। পাউরুটি দুধে ভিজিয়ে মাছে মেশাতে হবে। সঙ্গে পেঁয়াজ, ধনে পাতা, আদা, কাঁচামরিচ কুচি, কর্নফ্লাওয়ার ও মুড়ির গুঁড়া ২ টেবিল চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ময়দা ১ কাপ পানিতে গুলিয়ে পেস্ট বানিয়ে রাখতে হবে। এবার মাখানো মাছ কাটলেটের মতো বানিয়ে ময়দার পেস্টে চুবিয়ে টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। এবার নামিয়ে ডিপ ফ্রাই করে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন যেকোনো কিছুর সঙ্গে।

শীতের শুরুতেই পায়ের যত্ন

ranna banna o beauty tips
শীতের শুরুতেই পায়ের যত্ন
খুব বেশি শীত অনুভূত হোক আর না হোক, প্রকৃতি কিন্তু বেশ রুক্ষ্ম হয়ে গেছে। এই রুক্ষ্মতার কবলে সবচেয়ে বেশি কাতর হচ্ছে আমাদের পায়ের সৌন্দর্য। পায়ের ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে ব্যবহার করতে হচ্ছে ময়েশ্চারাইজার। আর যখনই বাইরে বের হচ্ছি তাতে জড়িয়ে যাচ্ছে রাস্তার ধুলা বালি। ঠিক মতো যত্ন না করলে এতে পায়ের ত্বক আরও বেশি নাজুক হয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেও গোড়ালি ফেটে যাচ্ছে। ফাটলে জমছে ময়লা। দেখতে যেমন দৃষ্টিকটু অনুভূতিও তেমনি দিশেহারা। পায়ের সৌন্দর্য বজায় রাখতে এখন উপায়? শীতের শুরুতেই নিয়মিত নেয়া যত্নের সঙ্গে সামান্য আরেকটু যত্ন যোগ করতে হবে, তাহলে পেতে পারেন নরম কোমল মসৃণ পা। আর সেজন্য বাড়িতে বসেই সপ্তাহে অন্তত একবার সহজ উপায়ে স্ক্রাব করে নিতে পারেন। স্ক্রাব করতে যা যা লাগবে-

ব্রাউন সুগার ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, মধু ১ টেবিল চামচ, অলিভ অয়েল ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন

একটি বাটিতে সব উপাদান একসঙ্গে নিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। নরম পেস্ট তৈরি করে রেখে দিন। এবার আপনার পা দুটি একটি বড় গামলায় উষ্ণ গরম পানিতে চুবিয়ে রাখুন ১০ থেকে ২০ মিনিট। এতে পায়ের আলগা ময়লা স্তর নরম হয়ে যাবে। তারপর পায়ে বাটি থেকে পেস্ট নিয়ে লাগান এবং আলতো হাতে ঘষতে থাকুন। কিছু সময় এভাবে পায়ে ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর স্ক্রাবার দিয়ে আলতো ঘষে ময়লা পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। সবশেষে পা মুছে ব্যবহার্য ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি আপনার পায়ের মরাকোষ দূর করবে। শক্ত ভাব চলে যাবে নিমিষে আর পা হবে কোমল। এছাড়াও প্রতিদিন গোসল করার সময় স্ক্রাবার দিয়ে সামান্য ঘষে ময়লা দূর করতে হবে। গোসলের পর ক্রিম বা লোশন লাগাতে হবে নিয়মিত।

এই শীতে নিজেই তৈরি করে নিন লিপ বাম

ranna banna o beauty tips
লিপ বাম
শীতে ত্বক রুক্ষ হতে শুরু করেছে সবারই, শুরু হয়েছে ঠোঁট ফাটা। বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিপ বামে অনেকেরই উপকার হয় না। এর চাইতে বাড়িতে নিজেই তৈরি করে ফেলতে পারেন দারুণ কার্যকরী লিপ বাম। ঠোঁটের ফাটাভাব দূর করে সারা শীত আপনার ঠোঁট নরম-কোমল রাখবে এই লিপ বাম। চলুন, দেখে নেই রেসিপিটি।
যা যা লাগবে

-   এক টেবিল চামচ কোকো বাটার

-   দেড় টেবিল চামচ প্রাকৃতিক মোম

-   তিন টেবিল চামচ নারিকেল তেল

-   এক ফোঁটা পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল (অথবা আপনার পছন্দের অন্য কোনো এসেনশিয়াল অয়েল)

-   লিপ বাম রাখার জন্য ছোট কিছু কৌটা
যা করতে হবে

১) একটা বড় সসপ্যানে পানি ফুটিয়ে নিন। এর ওপরে আরেকটা পাত্র বসিয়ে কোকো বাটার, মোম এবং নারিকেল তেল গলিয়ে নিন। মাইক্রোওয়েভেও গলিয়ে নিতে পারেন।

২) আপনি যদি লিপ বামে রঙ অথবা সুগন্ধি দিতে চান, তাহলে এগুলো গলে গেলে ভেতরে দিতে পারেন কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল এবং এক টুকরো লিপস্টিক।

৩) কৌটায় ঢেলে ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হলে সেট হয়ে যাবে। ফ্রিজে রেখেও সেট করতে পারেন। এবার ব্যবহার করতে পারেন ইচ্ছেমত।

টিপস

    ইচ্ছে হলে দিতে পারেন এক চা চামচ করে মধু, আমন্ড তেল এবং অলিভ অয়েল
    ভিটামিন ই তেল দিতে পারেন ২০ ফোঁটার মতো

এই শীতে ঠোঁটে লিপ বাম ব্যবহার করতে মেনে চলতে পারেন এই নিয়মগুলো-

-   ঠোঁট ফেটে গেলে বা চামড়া উঠতে থাকলে চামড়া ছিঁড়বেন না বা ঠোঁট কামড়াবেন না, অবস্থা আরও খারাপ হবে

-   ফাটা ঠোঁট এক্সফলিয়েট না করাই ভালো

-   ইউক্যালিপ্টাসের তেল, মেনথল এবং কর্পুরের মতো উপাদানগুলো ব্যবহার কারও কারও ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, এক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো

লেখক
কে এন দেয়া
অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, প্রিয় লাইফ
প্রিয়.কম

গাজরের লাড্ডু তৈরি করুন সহজ রেসিপিতে

ranna banna o beauty tips
গাজরের লাড্ডু
গাজরের হালুয়া নিশ্চয়ই ভালোবাসেন খেতে? তাহলে আপনার কাছে ভালো লাগবে গাজরের লাড্ডুও। চলুন তাহলে জেনে নিই আয়েশা সিদ্দিকার গাজরের লাড্ডুর রেসিপি।

উপকরণ
গাজর কুচি ১ কাপ
চিনি ১ কাপ
গুঁড়া দুধ ১/২ কাপ
তেল+ ঘি ১/২ কাপ
কেওড়া জল ১ চা চামচ
দারচিনি ১ টুকরা
এলাচ ২ টি

প্রণালী

    -গাজর, চিনি, গুঁড়া দুধ  একসাথে ব্লেন্ড করে নিন।
    -এবার একটি ননস্টিক প্যানে তেল+ ঘি গরম করে এতে গাজর মিশ্রণ দিয়ে দিন, এতে যোগ করুন দারচিনি আর এলাচ ।
    -ঘন ঘন নাড়তে থাকবেন যাতে প্যানের তলায় না লেগে যায়। মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসলে কেওড়া জল দিয়ে দিন ।
    -মিশ্রণটি ঘন হয়ে পাতিলের গা ছেড়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা হতে দিন।
    -কিছুটা ঠাণ্ডা হলে লাড্ডু বানিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার গাজরের লাড্ডু।

ঝাল-মিষ্টি স্বাদে তৈরি করুন মুরগীর অন্যরকম একটি পদ

Ranna Banna o beauty tips
হানি গ্লাজেড চিকেন
সপ্তাহের শেষের দিকে বাড়িতে ফিরে সবাই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। ছুটির আমেজে একটু অন্যরকম কিছু খেতে ইচ্ছে করে সবারই। গতানুগতিক খাবারের একঘেয়েমি থেকে বের হয়ে আসতে চাইলে তৈরি করে ফেলতে পারেন হানি গ্লেজড চিকেন। মধুর পাশাপাশি বেশ কিছুটা শুকনো মরিচও এতে ব্যবহার করা হয়। ফলে ঝাল-মিষ্টি দারুণ মুখরোচক খাবারটি পছন্দ করবে বাড়ির সবাই। তৈরি করাটাও খুবই সহজ। 
উপকরণ

    -   ৪০০ গ্রাম হাড়ছাড়া মুরগীর মাংস, এক ইঞ্চি টুকরো করে কাটা
    -   ৪/৫ কোয়া রসুন কুচি করা
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   ২ চা চামচ শুকনো মরিচ
    -   ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
    -   দেড় টেবিল চামচ+ ২ চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
    -   দেড় কাপ চিকেন স্টক
    -   ২ টেবিল চামচ তেল
    -   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
    -   ৩ টেবিল চামচ মধু
    -   ২ চা চামচ সয়া সস
    -   ২টা পিঁয়াজকলি কুচানো
    -   ১ টেবিল চামচ সাদা তিল, তাওয়ায় টেলে নেওয়া

প্রণালী

১) মুরগীর মাংস, রসুনের অর্ধেক পরিমাণ, লবণ, অর্ধেক পরিমাণ শুকনো মরিচ, অর্ধেক পরিমাণ গোলমরিচ গুঁড়ো, দেড় টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার এবং এক টেবিল চামচ চিকেন স্টক নিন একটি বোলে এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন। 

২) কড়াইতে ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম করে নিন এবং এতে মুরগীর মাংস ভেজে তুলুন সোনালি করে।

৩) একটা নন স্টিক কড়াইতে বাকি রসুন এবং শুকনো মরিচ দিয়ে সাঁতলে নিন যতক্ষণ না রসুন সোনালি হয়ে আসে। বাকি চিকেন স্টক এতে দিয়ে দিন। এর সাথে দিন মধু, লবণ, বাকি গোলমরিচ গুঁড়ো, সয়া সস এবং মিশিয়ে নিন ভালো করে।

৪) বাকি কর্ন ফ্লাওয়ারটাকে ২ টেবিল চামচ পানিতে মিশিয়ে নিন এবং এটা কড়াইতে সসের সাথে মিশিয়ে নিন।

৫) ভাজা মুরগীর তেল ঝরিয়ে সরাসরি চুলায় রাখা সসে দিয়ে দিন। পিঁয়াজকলি অল্প কিছু রেখে দিন গার্নিশ করার জন্য। বাকিটা দিয়ে দিন সসের সাথে। ভালো করে সবকিছু মেশান যতক্ষণ না মুরগিটা সসে ভালো করে মেখে যায়।

তৈরি হয়ে গেলো দারুণ স্বাদের হানি গ্লেজড চিকেন। এবার ওপরে তিল এবং পিঁয়াজকলি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।

বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

শীতের দিনের নাস্তায় মজাদার তেলের পিঠা

Ranna banna o beauty tips
তেলের পিঠা
চলে এসেছে শীত, এখন কি পিঠা না খেলে চলে? সকালের নাস্তায় হোক বা বিকালের চায়ের সাথে, গরম গরম তেলের পিঠা কিন্তু ছোটবড় সকলেরই ভীষণ পছন্দ। তাহলে চলুন, জেনে নিই সায়মা সুলতানার একটি ঝটপট রেসিপি।

 



যা লাগবে
চালের গুঁড়া ১ কাপ
ময়দা হাফ কাপ
খেজুরের গুড়/চিনি অথবা ব্রাউন সুগার - ৩/৪ কাপ (কম বেশি করা যাবে)
মৌরি আস্ত হাফ চা চামচ ( না দিলেও হবে )
লবন এক চিমটি
তেল ভাজার জন্য

প্রণালি

    -একটি বাটিতে চালের গুঁড়া এবং ময়দা নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
    -এবার গুড়, চিনি অথবা ব্রাউন সুগার দিয়ে ভাল করে মাখুন। অল্প পরিমাণে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে কেক মিশ্রণ-এর মত মিশ্রণ তৈরি করুন। (মিশ্রণটি ঘন হবে )
    -মিশ্রণটি ২ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন।
    -কড়াই বা প্যানে তেল গরম করুন। তেল পর্যাপ্ত গরম হলেই মিশ্রণ তেলে ছাড়ুন।
    -একটি বড় গোল চামচ ( আমি ডাল এর চামচ দিয়ে করেছি ) নিয়ে মিশ্রণটি নেড়ে এক চামচ পরিমান মিশ্রণ তেলে ছাড়ুন।
    -কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে পিঠাটি ফুলে উঠবে। ফুলে উঠলে পিঠাটি উল্টে দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভেজে তেল থেকে তুলে ফেলুন।
    -নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন এই পিঠা , আমি পরিবেশন এর সময় হাল্কা ক্যারামেল ছিটিয়ে দিয়েছি । চাইলে মধুও দেয়া যায়।

ঝাল ঝাল মঙ্গোলিয়ান প্রনের রেসিপিটি

Ranna Banna o beauty tips
মঙ্গোলিয়ান প্রনের রেসিপিটি
চিংড়ির নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে সবার। আর এই চিংড়ির রান্নাটি যদি হয় ঝাল ঝাল, একই সাথে মুচমুচে এবং সসে মাখামাখা, তাহলে তো কথাই নেই! ঝাল খেতে যারা ভালোবাসেন, তাদের জন্য রইলো দারুণ মঙ্গোলিয়ান প্রনের রেসিপি। মজাদার স্ন্যাক্স হিসেবে যেমন, তেমনি কোনো অনুষ্ঠানে অতিথিদের চমকে দিতেও দারুণ এই খাবারটি।
উপকরণ

    -   ১৬/১৮টি বড় চিংড়ি, পরিষ্কার করা কিন্তু লেজ সহ
    -   ৩/৪ কোয়া রসুন কুচানো
    -   ২ টেবিল চামচ লাল মরিচ পেস্ট
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   আধা চা চামচ সাদা গোলমরিচ গুঁড়ো
    -   ডিপ ফ্রাই করার জন্য যথেষ্ট তেল
    -   ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা, কুচানো
    -   ২ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
    -   ২ চা চামচ পাতলা সয়া সস
    -   ১ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
    -   ১ চা চামচ চিনি
    -   ১ চা চামচ মল্ট ভিনেগার
    -   দুটো পিঁয়াজকলি কুচানো

প্রণালী

১) চিংড়িগুলোকে একটা বোলে নিয়ে এতে যোগ করুন অর্ধেক পরিমাণ রসুন, এক টেবিল চামচ মরিচ পেস্ট, লবণ এবং সাদা গোলমরিচের গুঁড়োর অর্ধেক। ভালো করে মিশিয়ে ম্যারিনেট হতে রেখে দিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট।

২) এই সময়ের পর এতে কর্ন ফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন।

৩) কড়াইতে ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম করে নিন। চিংড়িগুলোকে মুচমুচে সোনালি করে ভেজে তুলুন।

৪) সস তৈরির জন্য নন স্টিক কড়াইতে অল্প করে তেল গরম করে নিন। এতে বাকি আদা-রসুন দিয়ে দিন এবং রসুন সোনালি হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এতে বাকি মরিচের পেস্ট দিয়ে সাঁতলে নিন। এরপর টমেটো কেচাপ দিন। এতে যোগ করুন সয়া সস এবং ভাজা চিংড়িগুলো। টস করে মিশিয়ে নিন। স্বাদমতো লবণ, বাকি গোলমরিচ গুঁড়ো, চিনি এবং মল্ট ভিনেগার দিয়ে আবারও টস করে নিন।

ঘরেই তৈরি করে ফেলুন বাজারের সুস্বাদু পিজ্জা সস

Ranna Banna o beauty tips
পিজ্জা সস
পিজ্জা নাম শুনলেই জিবে পানি চলে আসে। রেস্টুরেন্ট তো বটেই, অনেকে বাসায়ও তৈরি করে থাকেন পিজ্জা। পিজ্জা তৈরির অন্যতম একটি উপাদান হল পিজ্জা সস যা বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। পিজ্জাটা যখন ঘরে তৈরি করছেন, তখন পিজ্জা সসটিও ঘরেই তৈরি করে ফেলুন। কীভাবে তৈরি করবেন? জেনে নিন পিজ্জা সস তৈরির সহজ রেসিপিটি।

উপকরণ:

৬টি বড় টমেটো

১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

১ চা চামচ রসুন কুচি

১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি

১/২ চা চামচ অরিগেনো

১ চা চামচ লাল শুকানো মরিচ

২ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ

১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো

লবণ স্বাদমত

১/২ চা চামচ চিনি



প্রণালী:

১। টমেটোগুলো মুখ কেটে পানিতে ২-৩ মিনিট সিদ্ধ করতে দিন। সিদ্ধ হয়ে গেলে টমেটোর খোসা ছাড়িয়ে ফেলুন।

২। টমেটোগুলো কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।

৩। এবার প্যান গরম হয়ে এলে এতে অলিভ অয়েল দিন।

৪। অলিভ অয়েল গরম হয়ে আসলে এতে রসুন কুচি দিয়ে দিন।

৫। রসুন লাল হয়ে গেলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ১-২ মিনিট ভাজুন।

৬। তারপর এতে টমেটোর পেস্ট, ওরিগেনো, শুকনো মরিচ, টমেটো কেচাপ, লাল মরিচ গুঁড়ো, লবণ দিয়ে ২-৩ মিনিট রান্না করুন।

৭। চিনি দিয়ে মাঝারি আঁচে ১-২ মিনিট রান্না করুন।

৮। ঠান্ডা হয়ে গেলে এয়ার টাইট কনটেইনারে সংরক্ষন করুন।

৯। পিজ্জা তৈরির সময় ব্যবহার করুন পিজ্জা সস।

সহজেই তৈরী করুন পাঞ্জাবী মুঠি কাবাব

Ranna banna o beauty tips
মুঠি কাবাব
 "মুঠি কাবাব" এসেছে পাঞ্জাবী "মুঠঠি কাবাব" থেকে। এটা প্রধানত পাঞ্জাবী একটি খাবার। খাবারটি কিছুটা জালি কাবাব ধরণের হলেও এর আকৃতি এবং কিছু উপাদান ভিন্ন। হাতের মুঠোয় চাপ দিয়ে আকৃতি দেয়া হয় বলে এর নাম হয়েছে মুঠি বা মুঠো কাবাব।

খাবার টেবিলে যে কোনো ধরণের কাবাব থাকলেই পরিবারের সবাই খুশি। আর খুশি হবে নাই বা কেনো? কাবাবের স্বাদ ও ঘ্রাণে সবারই লোভ লেগে যায়। আসুন তাহলে দেখে নেয়া যাক মুঠি কাবাবের সহজ রেসিপি।

পুষ্টিগুণঃ

একটি মাঝারী আকৃতির মুঠো কাবাবে আছে ১৬০ ক্যালোরি, ৪ গ্রাম ফ্যাট, ১০৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ৩২০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ২৬ গ্রাম প্রোটিন।

উপকরণঃ

- ১/২ কেজি গরুর/খাসির কিমা
- ১ টেবিল চামচ গরম মসলা গুঁড়ো
- পেঁয়াজ কিমা আধা কাপ,
- ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
- ১ টেবিল চামচ কাঁচামরিচ কুচি
- ১ চা চামচ আদা বাটা
- ১ চা চামচ রসুন বাটা
- ১/২ চা চামচ চিনি
- ১ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার/ময়দা
- তেল ভাজার জন্য
- সরিষার তেল মাখানোর জন্য
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী

প্রস্তুত প্রণালীঃ

- কিমা করা মাংসকে পাটায় আরেকবার ছেঁচে নিন। না নিলেও সমস্যা নেই, তবে নিলে ভালো।

- কিমা ভালো করে ধুয়ে পানি ছেঁকে নিন।

- কিমায় গরম মশলা, আদা বাটা, রসুন বাটা, সরিষার তেল, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ, কর্ন ফ্লাওয়ার, ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ কুচি মাখিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট রাখুন।

- মাঝারী আঁচে চুলায় ফ্রাই প্যান দিয়ে মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন।

- এবার হাতে একটু তেল মাখিয়ে নিয়ে কিছুটা মিশ্রন হাতের মুঠোয় নিন।

- মুঠোয় চেপে চেপে আকার দিয়ে গরম ডুবো তেলে ছেড়ে দিন।

- কাবাব লাল করে ভেজে তুলে কিচেন টিস্যুতে তুলে নিন।

- পরোটা, সস কিংবা সালাদের সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম মুঠি কাবাব।

মসলা মাখা " আলুর দম "

ranna banna o beauty tips
মসলা মাখা " আলুর দম "
রেল গাড়ি ঝমাঝম, পা পিছলে আলুর দম’ এই পঙতিটি তো সবাই শুনেছেন। কিন্তু এই আলুর দম বা দম আলু জিনিসটা খেয়েছেন কখনো? লুচি/পরোটা দিয়ে বা ভাতের সাথে দম আলু খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। একটু ঝাল আর মুখরোচক স্বাদের দম আলু খাবারে নিয়ে আসে ভিন্নতা। যারা মাছ মাংস ছাড়া খেতেই পারেন না, তাঁদের মুখেও কিন্তু বেশ লাগবে এর স্বাদ। সহজেই তৈরি করা যায় দম আলু। খুব বেশি সময়ও লাগে না বানাতে। আসুন দেখে নেয়া যাক মজাদার দম আলুর রেসিপি।

পুষ্টিগুণঃ

এক কাপ দম আলুতে আছে ৩৭৭ ক্যালরী, ২১.৭ গ্রাম ফ্যাট, ১০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল, ৮৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৫২০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০.৯ প্রোটিন।

উপকরণঃ

- আলু আধা কেজি (ছোট গোল আলু অথবা চারকোনা করে কাটা আলু)
- আদাবাটা ১ চা-চামচ
- জিরা গুঁড়ো ১ চা-চামচ
- হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচ
- মরিচের গুঁড়ো ১ চা-চামচ
- তেজপাতা ১/২টি
- দারচিনি মাঝারী আকৃতির ৩/৪টি
- এলাচি ২টি
- টমেটো পিউরী ৪ টেবিল চামচ
- কাঁচা মরিচ ৩/৪ টি ফালি করা
- আস্ত জিরা আধা চা চামচ
- চিনি সামান্য
- তেল পরিমাণ মত
- লবণ পরিমাণ মত
- কিশমিশ- ইচ্ছা

প্রণালীঃ

- আলু হালকা সেদ্ধ করে নিন।

- কড়াইয়ে তেল গরম করে সেদ্ধ আলু হালকা ভেজে তুলে নিন।

- এবার আরেকটা কড়াইতে অল্প তেলে গোটা জিরা, এলাচি, দারচিনি একটু ভেজে নিন।

- তারপর তেজপাতা, আদাবাটা, মরিচ গুড়া, জিরা গুড়া, হলুদ গুড়া ও লবণ দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন।

- মসলা কষে উপরে তেল উঠে এলে ভাজা আলু দিয়ে দিন।

- এবার কড়াইয়ে সামান্য পানি, অল্প চিনি, টমেটো পিউরি ও কিশমিশ দিয়ে আরেকটু কষিয়ে নিন।

- এবার কাঁচা মরিচ ফালি দিন।

- খেয়াল রাখুন আলু গলে না যায়। এবার মাখা মাখা ঝোল করে নামিয়ে নিন।

- উপর ধনিয়া পাতা কুচি ছিটিয়ে বিকেলের পরিবেশন করুন মজাদার আলুর দম।

ঘরেই তৈরি করুন সুস্বাদু আচারি মুরগী

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু আচারি মুরগী
 সেই নিয়মিত মুরগী ভুনা খেয়ে যারা বিরক্ত, তাঁদের জন্য আজকের এই ভিন্ন স্বাদের রেসিপি। আচারি মুরগী অত্যন্ত সহজ এবং সুস্বাদু। যারা ছুটির দিনে মুরগী রান্নার কথা ভাবছেন, তারা অবশ্যই আচারি মুরগী রেঁধে খেয়ে দেখুন একবার। আসুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে রাঁধবেন আচারি মুরগী।

পুষ্টিগুণঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম মুরগীতে ১১০ ক্যালরি আছে। এতে আছে প্রোটিন, ফ্যাট, কোলেস্টেরল, সোডিয়াম ও পটাশিয়াম।

উপকরণঃ

- মুরগীর মাংস দেড় কেজি
- আম বা জলপাইয়ের আচার ৩ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ
- আদা বাটা ২ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা ২ চা চামচ
- জিরা বাটা ১ চা চামচ
- সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ
- মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
- হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
- লবণ পরিমাণমতো
- দারচিনি ৪ টুকরা
- এলাচ ৪টি
- তেজপাতা ৪টি
- মেথি আধা চা চামচ
- তেল ১ কাপ
- কাঁচামরিচ ৫-৬টি
- টকদই আধা কাপ
- চিনি ১ চা চামচ

প্রণালীঃ

- মুরগীর মাংস ধুয়ে সব বাটা মশলা, গুঁড়া মসলা, টকদই ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।

- তেল গরম করে মেথি ফোড়ন দিয়ে তেল ছেঁকে তুলে ফেলতে হবে।

- পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে নিতে হবে।

- মসলা মাখানো মাংস দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে।

- পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে রান্না করতে হবে।

- পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ, চিনি, আচার দিয়ে মাংস ভুনা ভুনা করে নামাতে হবে।

- রেসিপি জেনে নিলেন। এবার তাহলে বানিয়ে ফেলুন মজাদার আচারি মাংস। ভাত, পোলাও, বিরিয়ানি অথবা পরোটার সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম আচারি মাংস।

বারাহি স্বাদের নিরামিষ

মাংসে অরুচি! নিরামিষের স্বাদ নিন তাহলে। তাতেও বৈচিত্র্যের অভাব নেই। শুভাগতা দেবাশীষ দিয়েছেন নানারকম সবজির রেসিপি। 

ranna banna o beauty tips
বরবটি ঘন্ট
ranna banna o beauty tips
নবরত্ন তরকারিঃ
বরবটি ঘন্ট
উপকরণ: বরবটি ১ কেজি, বড় আলু ২টি, আদা বাটা ২ চা-চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, তেজপাতা ২টি, শুকনো মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চা-চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৬-৭টি, গরমমসলা বাটা ১ চা-চামচ ও শুকনো মরিচ ২টি।
প্রণালি: বরবটি সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তেলে আলু ভাজতে হবে এবং আলুর রং বাদামি হলে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলের মধ্যে আস্ত জিরা, তেজপাতা ও শুকনো মরিচ দিয়ে ফোড়ন দিতে হবে। তারপর নেড়েচেড়ে ব্লেন্ড করা বরবটি দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। পানি শুকিয়ে এলে লবণ, আদা বাটা, জিরাবাটা, শুকনো মরিচের গুঁড়া ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। ২৫ মিনিট আস্তে আস্তে নাড়তে হবে যেন নিচে লেগে না যায়। তারপর ভেজে রাখা আলুগুলো দিতে হবে। আস্ত কাঁচা মরিচ দিতে হবে। আলু দেওয়ার পর ২-৩ মিনিট নেড়ে ঘি, গরমমসলা ও চিনি দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
ranna banna o beauty tips
নারকেল দুধে পটোলের দম

নবরত্ন তরকারিঃ 
ranna banna o beauty tips
নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল
ranna banna o beauty tips
আমড়ার চাটনি
উপকরণ: বরবটি ২৫০ গ্রাম, আলু ও গাজর ২৫০ গ্রাম, ফুলকপি ২টি, ক্যাপসিকাম বড় ১টি, টমেটো ২টি, পেঁয়াজবাটা ১ কাপ, কাজু বাদামবাটা ২ টেবিল চামচ, এলাচি ৫-৬টি, দারুচিনি ৩টি, তেজপাতা ২টি, ধনেপাতা পরিমাণ মতো, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, পেঁয়াজ ৪ টুকরা করে নিতে হবে আধা কাপ, মাখন ৫০ গ্রাম, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, সাদা তেল ৩ টেবিল চামচ, হলুদ-মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, আস্ত কাঁচা মরিচ ৩-৪টি, লবণ ও চিনি স্বাদ অনুসারে, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ এবং ফ্রেশ ক্রিম ১ কৌটা।
প্রণালি: সবজিগুলো চৌকা করে কেটে আধা সেদ্ধ করে ঠান্ডা পানিতে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। তেলের মধ্যে এলাচি ও দারুচিনি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন থেকে সুগন্ধ বেরোলে পেঁয়াজবাটা কষাতে হবে। তারপর একে একে আদা, রসুন, হলুদ এবং মরিচের গুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষাতে হবে। কাজু বাদামবাটা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মৃদু আঁচে নাড়তে হবে। অনবরত নাড়তে হবে যেন লেগে না যায়। তেল ছাড়লে নামিয়ে ফেলতে হবে। কড়াইতে মাখন দিয়ে রসুন কুচি ফোড়ন দিতে হবে। রসুন বাদামি রং হলে সেদ্ধ করে রাখা সবজিগুলো দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে।
এরপর প্রস্তুতকৃত মসলা সেদ্ধ সবজিতে দিতে হবে। টুকরা করে কাটা টমেটো, ক্যাপসিকাম ও পেঁয়াজ দিতে হবে এবং নাড়াচাড়া করতে হবে। সবজি দেখে লবণ দিয়ে তারপর কাঁচা মরিচ ও চিনি দিতে হবে। ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে ধনেপাতা কুচি আর পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

নারকেল দুধে পটোলের দম
পনিরের তরকারি
আলু পোস্ত
উপকরণ: পটোল আদা কেজি (ছিলে সেদ্ধ করে নেওয়া), পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চা–চামচ, ছোট এলাচি ৩/৪ টি, ঘি ও সরষের তেল একসঙ্গে ৪ টেবিল চামচ, নারকেলের দুধ দেড় কাপ, হলুদ আধা চা–চামচ, শুকনো মরিচের গুঁড়া আদা চা–চামচ, চিনি সিকি চা–চামচ, কাঁচা মরিচ ৭/৮টি ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: কড়াইতে তেল ও ঘি একসঙ্গে দিতে হবে। এলাচি থেঁতো করে ফোড়ন দিতে হবে। পেঁয়াজবাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে হলুদ ও শুকনো মরিচের গুঁড়া দিয়ে কষাতে হবে। তেল ছাড়লে পটোলগুলো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষাতে হবে। তারপরে নারকেলের দুধ দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে রাখতে হবে। পটোল সেদ্ধ হয়ে মাখা মাখা হলে কাঁচা মরিচ দিতে হবে। সবশেষে ঘি এবং চিনি দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল
উপকরণ: ছোলার ডাল আধা কেজি, আদা বাটা ১ চা-চামচ, নারকেল কোরানো ১ কাপ, তেজপাতা ২-৩টি, ঘি ২ টেবিল চামচ, আস্ত জিরা ১ চা-চামচ, শুকনো মরিচ ৩-৪টি, সাদা তেল ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া সিকি চা-চামচ, দারুচিনি ৩-৪টি, এলাচি ৫-৬টি, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: ডালের মধ্যে আদা বাটা, তেজপাতা, লবণ ও হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। যেন গলে না যায়। অন্য কড়াইয়ে তেলে আস্ত জিরা, শুকনো মরিচ ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে সুগন্ধ বেরোলে ডাল দিতে হবে। তারপর ঘিয়ে ভাজা নারকেল দিতে হবে। সবশেষে ঘি দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

আমড়ার চাটনি
উপকরণ: আমড়া ১ কেজি, চিনি ১ কাপ, শুকনোর মরিচ ২-৩টি, মরিচের গুঁড়া সিকি চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, আনারসের টুকরা ২ কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, আস্ত সরিষা আধা চামচের কম ও টেলে রাখা মৌরি গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি: লবণ ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে আমড়াগুলো ভালোমতো সেদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর হাত দিয়ে চটকিয়ে নিতে হবে। সরিষার তেলে সরিষা ও শুকনো মরিচ ফোড়ন দিয়ে তাতে চটকিয়ে রাখা আমড়া দিতে হবে। হলুদ ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে মৃদু আঁচে আস্তে আস্তে নাড়তে হবে। মাখা মাখা হয়ে গেলে চিনি দিতে হবে। ভালো করে নাড়াচাড়া করে নামানোর আগে ঘি দিয়ে ভেজে রাখা আনারসের টুকরাগুলো দিতে হবে। ওপরে মৌরি গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে।

পনিরের তরকারি
উপকরণ: ২ কেজি দুধের ছানা, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা-চামচ, টমেটো পিউরি ২ টেবিল চামচ, কাজু বাদামবাটা ২ টেবিল চামচ, ফ্রেশ ক্রিম আধা কৌটা, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ, মাখন ৫০ গ্রাম, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, এলাচি, দারুচিনি ও লবঙ্গ পরিমাণ মতো এবং লবণ ও চিনি স্বাদমতো।
প্রণালি: তেলে এলাচি, দারুচিনি ও লবঙ্গ দিয়ে ফোড়ন দিতে হবে। এরপর পেঁয়াজবাটা দিতে হবে এবং তা বাদামি রং ধারণ করলে আদা বাটা, রসুন বাটা ও টমেটো পিউরি দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কাজুবাদাম দিয়ে ভালো করে অনেকক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। ছানাগুলো চৌকা করে কেটে নিতে হবে। অন্য কড়াইতে মাখন দিয়ে তার মধ্যে রসুন কুচি দিতে হবে। তারপর কষানো মসলা দিয়ে আরও একটু পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে তখন কেটে রাখা পনিরগুলো দিতে হবে। পরিমাণমতো লবণ ও চিনি দিতে হবে এবং সবশেষে ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

আলু পোস্ত
উপকরণ: আলু চাক করে কাটা ১ কাপ, আদা বাটা ২ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, তেজপাতা ২টি, শুকনো মরিচ ২-৩টি, হলুদ আধা চা-চামচের একটু কম, পোস্ত বাটা ৩০০ গ্রাম, লবণ স্বাদ অনুসারে, চিনি ১ চা-চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচের গুঁড়া সিকি চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি ও আস্ত জিরা সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: পোস্ত আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে বেটে নিতে হবে। কড়াইতে তেল ও ঘি একসঙ্গে দিয়ে জিরা, তেজপাতা ও শুকনো মরিচ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। এরপর একে একে আদা বাটা, জিরাবাটা, শুকনো মরিচের গুঁড়া ও সামান্য হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। মসলা থেকে তেল ছাড়লে আলুগুলো দিতে হবে। এরপর পাঁচ মিনিট কষাতে হবে। তারপর পোস্ত বাটা দিয়ে অল্প আঁচে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট নাড়তে হবে। এরপর চিনি দিতে হবে। শেষে ঘি দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

পছন্দের পোলাও-বিরিয়ানি

আবহাওয়া ঠান্ডার দিকে। বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন বা আড্ডার আয়োজন তো চলবেই। নিমন্ত্রণে পরিবেশনের জন্য পোলাও-বিরিয়ানির কিছু রেসিপি দিয়েছেন কল্পনা রহমান। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। 
ranna banna o beauty tips
কারিপাতা রাইস

কারিপাতা রাইসঃ
 উপকরণ: পোলাওয়ের চাল আধা কেজি, হলুদ গুঁড়া ১ চিমটি, নারিকেল কোরানো ১ কাপ, কারিপাতা ১ মুঠ, গোটা সরিষা ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা-চামচ ও তেল আধা কাপ।
প্রণালি: পোলাওয়ের চাল লবণ দিয়ে ঝরঝরে করে সেদ্ধ করে নিন। প্যানে তেল গরম করে তাতে সরিষা কারিপাতার ফোড়ন দিয়ে হলুদ দিন। এবার তাতে সেদ্ধ করা ভাত ও নারিকেল কোরা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে মেশান। এবার নামিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।
ranna banna o beauty tips
মুরগির বিরিয়ানি

মুরগির বিরিয়ানি
মুরগির বিরিয়ানিউপকরণ: দেশি মুরগি ৪ টি, পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, আদার রস সিকি কাপ, রসুনের রস ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, মিষ্টি দই আধা কাপ, চিনি ১ চা-চামচ, কেওড়া জল ৪ টেবিল চামচ, পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল চামচ, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা দেড় কাপ, গুঁড়া দুধ ৪ টেবিল চামচ, ঘি ১ কাপ, তেল আধা কাপ, টমেটো সস সিকি কাপ, জয়ফল-জয়ত্রী-এলাচ-দারুচিনি ৪টি করে, জর্দার রং সামান্য, জাফরান ১ চিমটি, আলু বোখারা ৭/৮ টি, মাওয়া আধা কাপ, গোটা শাহি জিরা ১ চা-চামচ, আলু আধা কেজি, লবণ পরিমাণমতো ও আটা আধা কেজি।
প্রণালি: 
মুরগি ৪ টুকরা করে কেটে ধুয়ে ২ টেবিল চামচ লবণ, আধা কাপ টক দই ও ১ কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখে দিন ১৫ মিনিট। এরপর দইয়ের মিশ্রণ থেকে তুলে নিন। ওই মাংসে আধা কাপ মিষ্টি দই, মরিচ গুঁড়া, আদা-রসুনের রস, গুঁড়া দুধ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া, কেওড়া জল, টমেটো সস, পোস্তদানা বাটা, বাদাম বাটা ও প্রয়োজনমতো লবণ দিয়ে মেখে ৩০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন।

চাল ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে চালের ৪ গুণ পানি দিয়ে ফুটিয়ে ভেজানো চাল ও প্রয়োজনমতো লবণ দিয়ে দিন। সঙ্গে আধা চা-চামচ শাহি জিরা ও এলাচ দারুচিনি
৪টি করে দিয়ে দিন। চাল প্রায় সেদ্ধ হয়ে এলে ছেঁকে ফ্যানের নিচে ছড়িয়ে দিন। চাল পুরোপুরি সেদ্ধ হবে না।
আলুগুলো আধা কাপ তেলে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ভেজে নিন। একটু পর ২ টেবিল চামচ বেরেস্তা ও ১ চা-চামচ চিনি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। যে পাত্রে বিরিয়ানি রাঁধবেন সেই পাত্রে প্রথমে মেরিনেট করা মাংস দিন। তার ওপর ভাজা আলু ও তেল দিন। মাওয়া ও বেরেস্তা ১ টেবিল চামচ চিনি দিয়ে ভেঙে আলুর ওপর ছড়িয়ে দিতে হবে। মাংসের ওপর রান্না চালগুলো বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর ঘি ছড়িয়ে দিন। চালের মাঝে মাঝে আলু বোখারা গুঁজে দিন। বাকি আধা চা-চামচ, শাহি জিরা ও কেওড়া জল ছড়িয়ে দিন।
আধা কাপ দুধে কেশর ভিজিয়ে চালে ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। আটা গুলিয়ে কাই বানিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দিন। তবে একটি চায়ের চামচ দিয়ে ২টি জায়গায় ছোট ফাঁকা রাখুন। চুলায় তাওয়া বসিয়ে তার ওপর পাতিল বসিয়ে দিন। প্রথম ১০ মিনিট বেশি জ্বালে তারপর মৃদু আঁচে ১ ঘণ্টা চুলায় রেখে আঁচ বন্ধ করে দিন। এভাবে আরও ১৫ মিনিট চুলার ওপর রেখে নামিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।
ranna banna o beauty tips
কোর্মা বিরিয়ানি

কোর্মা বিরিয়ানি
উপকরণ: খাসির মাংস ছোট করে কাটা ১ কেজি, বাসমতি চাল আধা কেজি, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ছোট এলাচ ৪ টি, কিশমিশ সিকি কাপ, আলুবোখারা ৭/৮ টি, পুদিনা পাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৫/৬ টি, শাহি জিরা আধা চা-চামচ, জর্দার রং সামান্য, সিরকা ১ টেবিল চামচ, ঘি-তেল দেড় কাপ, কেওড়া জল ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো। কোর্মার মসলা (ছোট এলাচ ৬ টি, বড় এলাচ ৩ টির বিচি, লবঙ্গ ৪ টি, সাদা গোলমরিচ ৬টি ও দারুচিনি ৪/৫টা। এই মসলাগুলো চুলার পাশে রেখে মচমচে করে গুঁড়া করে
নিতে হবে)।
প্রণালি: দই, আদা-রসুন বাটা, ধনে গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ভাজা, জিরা, লবণ, সিকি কাপ তেল, ২ টেবিল চামচ ঘি,১ টেবিল চামচ কেওড়াজল ও কোর্মার মসলা অর্ধেক দিয়ে মাংস মেখে রাখুন। পাত্রের ১ কাপ তেল ও ঘি দিয়ে বেরেস্তা করে অর্ধেক তুলে নিন। বাকি অর্ধেক বেরেস্তার মধ্যে মাংস দিয়ে কোর্মার মতো রান্না করুন। নামানোর আগে বাকি অর্ধেক মসলা দিয়ে দিন।
চাল ২০ মিনিট ভিজিয়ে পানি ছেঁকে নিন। অন্য পাত্রে চালের ৪ গুণ গরম পানি করে তাতে কাঁচামরিচ ৫/৬ টি, এলাচ ৪/৫ টি, পুদিনাপাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, দারুচিনি ২/৩ টুকরা ও শাহি জিরা আধা চা-চামচ দিন। পানি ফুটে গেল ভেজানো চাল দিন। চাল আধা সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
এবার বিরিয়ানি রান্নার পাত্রে ১ টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে দিন। এবার কিছুটা আধা সেদ্ধ চাল ছড়িয়ে অর্ধেক পরিমাণ মাংস ঢেলে দিন। এর ওপর বেরেস্তা ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। মাংসের ওপর আবার একইভাবে রান্না করা ভাত ও মাংসের স্তর সাজান। ওপরে আবার চাল দিন। এখানে ভাতের স্তর হবে তিনটি এবং মাংসের স্তর হবে দুটি। সবার ওপরে বাকি ঘি এবং দুধে ভেজানো কেওড়া ছড়িয়ে দিয়ে আলু বোখারা গুজে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ২০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

সাধারণ মুরগীর মাংসের ভিন্ন স্বাদ "চিকেন মিটবল কারি"

ranna banna o beauty tips
"চিকেন মিটবল কারি"
সেই একঘেয়ে মুরগীর কারি বা কোরমা কতক্ষণ আর ভালো লাগে? স্বাদ বদল চাইলে চলুন আজ জেনে নিই সুমনা সুমির একটি দারুণ রেসিপি। কেবল ভাত নয়, পোলাও বা যে কোন রুটি-পরোটার সাথেও পরিবেশন করতে পারবেন এই কারি। উৎসবের আয়োজনেও মানিয়ে যাবে চমৎকার।


মিটবল তৈরি

মুরগির কিমা ২কাপ
ডিমের সাদা অংশ ২টি
টমেটো সস ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস ১টেবিল চামচ
লবণ ১চা চামচ
কর্নফ্লাওয়ার ১টেবিল চামচ
বিস্কুটের গুঁড়ো ১/৪কাপ (প্যানে ১ টেবিলচামচ তেল দিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো একটু ভেজে নিন)
পেঁয়াজ বেরেস্তা ১/৪কাপ
গরম মসলা গুঁড়ো ১চা চামচ
গোলমরিচ বাটা ১চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো ১চা চামচ
আদা রসুন বাটা ১চা চামচ করে

    -বিটার দিয়ে কিমা, ডিম,লেবুর রস, সস ও কর্নফ্লাওয়ার ভাল করে ফেটে নিন।
    বাকি সব উপকরণ একসাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। হাতে তেল মেখে নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে চেপে চেপে গোল করে বল বানিয়ে নিন।ফ্রিজে ১ঘন্টা রেখে দিন।

গ্রেভী তৈরি

তেল ১/২কাপ
পেঁয়াজ কুচি ১কাপ
লবণ ১চা চা
টকদই ১ টেবিল চামচ
এলাচ ৩টি, দারুচিনি ২টি, তেজ়পাতা ২টি
মরিচ, বাটা ১চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়ো ১ চা চামচ
হলুদ বাটা ১চা চামচ
ধনে বাটা ১চা চামচ
কাচামরিচ ৩টি
আদা বাটা ১চা চামচ
রসুন বাটা ১চা চামচ
ভাজা জ়িরা, গুঁড়ো ১চা চামচ
ঘি ২ টেবিল চামচ
চিনি ১ চা চামচ

প্রণালি

    -কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নরম করে ভেজে চুলা বন্ধ করে দিন। ব্লেন্ডারে নরম পেয়াজের সাথে ১/৪কাপ পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন।
    -এই মিশ্রনটি আবার কড়াইতে ঢেলে সব বাটা ও গুঁড়ো মসলা ,এলাচ, দারচিনি এবং তেজ়পাতা দিয়ে কষিয়ে নিন।
        -ফ্রিজ থেকে নামিয়ে মিটবল দিয়ে মসলার সাথে মিশিয়ে নিয়ে ১ মিনিট ঢেকে রান্না করুন।
        -মিটবলে ১কাপ পানি দিয়ে মিশিয়ে অল্প আছে ঢেকে ১৫ মিনিট রান্না করুন। বেশি নাড়া যাবেনা। কড়াই হাত দিয়ে ধরে নেড়ে দিন।
        -তেলের উপর উঠলে কাঁচা মরিচ,ঘি, চিনি ও ভাজা জিরা গুঁড়ো দিয়ে ২ মিনিট দমে রাখতে হবে।
        -চুলা বন্ধ করে ভাত, পোলাও বা রুটির সাথে পরিবেশন করুন।

রাইস কুকারে ভাপা কাচকি

ranna banna o beauty tips
রাইস কুকারে ভাপা কাচকি
এই শীতের মৌসুমে কিন্তু নতুন সবজি আর ধনেপাতা দিয়ে মাছ খেতে বেশ লাগে। গরম ভাতের সাথে কাচকি মাছের চচ্চড়ি, রসনা বিলাসে আর কিছু চাই কি? না, আজ কাচকির চচ্চড়ি নয়। বরং তৈরি হবে ভাপা কাচকি, তাও আবার রাইস কুকারে! চলুন, জেনে নিই বীথি জগলুলের রেসিপি।

যা প্রয়োজন

কাচকি মাছ- দেড় কাপ
পিয়াজ কুচি- ১/২ কাপ
কাঁচামরিচ ফালি- ১০-১২টি
আলু মিহি কুচি- ১টি বড়ো
হলুদ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
জিরা/মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ করে
ধনেপাতা কুচি- ইচ্ছামতো
বাধাকপির পাতা- ৮-১০টি
সরিষার তেল- পরিমাণমতো
লবণ-স্বাদমতো

যেভাবে করবেন

    -মাছ বেছে ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। আলু খুব মিহি করে কুচি করে নিন, নয়তো গ্রেটারে গ্রেট করে নিন। বাধাকপির পাতা ফুটন্ত গরম পানিতে ভাপ দিয়ে নিন।
    -এবার একটি বাটিতে মাছ ও পাতা ছাড়া সব উপকরণ হাত দিয়ে খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। মাখানো হলে এরসাথে আলতো হাতে মাছ মিশিয়ে নিন যেন মাছ ভেঙে না যায়। মাছের এই মিশ্রণটি ৮-১০ ভাগে ভাগ করে পাতা দিয়ে মুড়িয়ে নিন। এবার একটি হাফ প্লেটে পাতায় মোড়ানো মাছের মিশ্রণ সাজিয়ে রাখুন।
    -রাইস কুকারের বাটিতে অল্প পানি দিয়ে ফুটতে নিন। পানি ফুটে উঠলে রাইস কুকারের ছিদ্রওয়ালা বাটির ওপর হাফ প্লেট বসিয়ে দিন। ১০ মিনিট হাই পাওয়ারে রাইস কুকার চালু রাখুন। ১০ মিনিট পর কুকার অফ করে দিন, কিন্তু ঢাকনা খুলবেন না। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে হাফ প্লেট বের করে নিন।
    -গরম সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন মজাদার ভাপা কাচকি।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.