homemade vorta লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
homemade vorta লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

সুস্বাদু ভর্তার পদ

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু ভর্তার পদ
ভর্তা ভাতে বাঙালির খাবার- এ আর নতুন কি? তবে খাবারের এই রীতির মধ্যে প্রচলিত আছে রকমারি ভর্তার পদ। সবার পক্ষে তাই সব ভর্তার পদ জানার কথা না। জানলেও তা অনেক সময় সুস্বাদু হয় না। তাই আজ শিখে নেব প্রচলিত কিছু ভর্তাকে সুস্বাদু করার কৌশল। আসছে পহেলা বৈশাখে সাদা ভাতের সঙ্গে রকমারি ভর্তার পদে যেন আপনিই সেরা থাকেন। বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে অতিথিদের বাহবা পেতেও সুস্বাদু এসব ভর্তার তুলনা হয় না।

বেগুন ভর্তা

উপকরণ
বড় গোলবেগুন ১টি, সরিষা বাটা ১ চা চামচ, নারকেল মিহি বাটা ২ চা চামচ, টমেটো কুঁচি১ কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ, মেথি আধা কাপ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে করবেন
বেগুনের গায়ে তেল মাখিয়ে পুড়িয়ে নিন। এবার পানিতে রেখে খোসা ছাড়িয়ে মেখে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে মেথি ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি দিতে হবে। পেঁয়াজ একটু নরম হলে টমেটো সরিষা, নারকেল, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে বেগুন দিন। কড়াইয়ের তলা ছেড়ে এলে এবং একটু আঠালো হলে নামিয়ে নিতে হবে। হয়ে গেল বেগুন ভর্তা।

মসুর ডালের ভর্তা

যা যা লাগবে
মসুর ডাল ১ কাপ, পানি ৩ থেকে সাড়ে ৩ কাপ, রসুন কুঁচি আধা চামচ, ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি ১ চা চামচ, লবণ আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ফালি ২টি, সরিষা তেল ১ চা চামচ।

যেভাবে করবেন
ডাল, রসুন আর পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ঘন থকথকে হলে নামিয়ে আনুন। এবার স্বাদমতো লবণ আর বাকি উপকরণ দিয়ে মেখে ভর্তা করে নিন। পছন্দের আচার দিয়েও এই ভর্তা খেতে বেশ দারুণ।

টমেটো ভর্তা

যা যা লাগবে
ছোট টমেটো ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ মিহি কুঁচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ২টা, ধনেপাতা কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ১ চা চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন
শুকনো মরিচ তাওয়ায় টেলে বিচিসহ গুঁড়ো করে নিতে হবে। টমেটোর গায়ে তেল লাগিয়ে তাওয়ার ওপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। মাঝারি আঁচে চুলায় তুলে সব দিক সমানভাবে পুড়িয়ে নিলে বেশি ভালো হবে। ঠাণ্ডা হলে খোসা ছাড়িয়ে চটকে পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ, তেল, চিনি, লেবুর রস, ধনেপাতা দিয়ে মেখে ভর্তা করতে হবে।

টাকি মাছের ভর্তা

যা যা লাগবে
টাকিমাছ ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ পাতা ২ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, ধনে বাটা ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, হলুদ গুড়া সামান্য, মরিচ বাটা আধা চা চামচ।

যেভাবে করবেন
মাছ সেদ্ধ করে কাটা বেছে ১ কাপ মেপে নিতে হবে। তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা বাদামী রঙ করে ভেজে বাটা মসলা ও সামান্য পানি দিয়ে কষাতে হবে। কষানো হলে পেয়াজ পাতাসহ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার মাছ এবং লবণ দিয়ে নাড়ুন শুকনা হওয়া পর্যন্ত। এবার চুলা থেকে নামিয়ে হাত দিয়ে গোল গোল বল বানিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার টাকি মাছের ভাজা ভর্তা।

লাউশাক ভর্তা

যা যা লাগবে
লাউয়ের পাতা ৬ থেকে ৭টা, নারিকেল কুরানো ৪ চা চামচ, সরিষা ২ চা চামচ, সেদ্ধ কাঁচামরিচ ২টা, প্রয়োজনমতো লবণ।

যেভাবে করবেন
লাউশাক ভালো করে ধুয়ে মরিচসহ সেদ্ধ করুন। শাক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার কুরানো নারিকেল, সরিষা, লবণ, সেদ্ধ করা শাক ও কাঁচামরিচসহ পাটায় পিষে ভর্তা তৈরি করুন। ব্যাস হয়ে গেল মজাদার লাউশাক ভর্তা।

বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৬

চিতই মজাতে দারুণ ভর্তা

ranna banna o beauty tips
ভর্তা
শীত এলেই নানা রকম পিঠা পুলির ধুম পড়ে যায়। কিন্তু ব্যস্ত নগরিক জীবনে এতো আয়োজন করে খাওয়ার সময় কোথায়। ভরসা রাস্তার ধারে কিনতে পাওয়া পিঠা। তাছাড়া মজার সব ভর্তার সঙ্গে চিতই পিঠার ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের উপস্থিতি মাতিয়ে তোলে যে কাউকে। এভাবে নিজের খাওয়া হলেও পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে পিঠা তৈরি করতেই হয়। তাছাড়া সবার সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে পরিচ্ছন্ন পরিবেষে নিজ হাতে পিঠা বানানোয় বেশি ভালো। কিন্তু পিঠার আকর্ষণীয় উপকরণ ভর্তা? এটাও হবে আপনারই হাতে। তাই শিখে নিতে পারেন চিতই পিঠাকে আরও বেশি মজাদার করতে কয়েকটি ভর্তা বানানোর পদ্ধতি।

ধনে পাতার চাটনি

যা যা লাগবে

ধনে পাতা ১ কাপ, তেঁতুল ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ২টা, রসুন ৪ থেকে ৫ কোয়া, লবণ স্বাদমতো, সরিষা তেল প্রয়োজনমতো।

যেভাবে করবেন

ধনে পাতা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার ধনে পাতা, তেঁতুল, কাঁচা মরিচ, রসুন পাটায় বেটে নিতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় লবণ আর সামান্য সরিষা তেল মিশিয়ে নিন।

সরিষা ভর্তা

যা যা লাগবে

সরিষা আধা কাপ, রসুন ২ কোয়া, শুকনো মরিচ ২টি, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন

নতুন সরিষা ধুয়ে বেটে নিতে হবে। রসুন শুকনো মরিচ তাওয়ায় টেলে নিতে হবে। এবার সরিষার সঙ্গে ধনেপাতা, রসুন, শুকনো মরিচ, লবণ দিয়ে আরও একবার বেটে নিতে হবে। ঠাণ্ডা-সর্দিতেও এই ভর্তা ওষুধের মতো কাজ করে।

লইট্টা ভর্তা
যা যা লাগবে

লইট্টা শুটকি, শুকনা মরিচ , পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, সরিষার তেল, লবণ।

যেভাবে করবেন

প্রথমে শুটকি মাছ গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পানি ঝরিয়ে তাওয়াতে তেল ছাড়া ভালো করে ভাজতে হবে। শুটকিগুলো ভাজা ভাজা হলে পাটায় বেটে নিতে হবে। এরপর ভাজা শুকনা মরিচ, ভাজা পেঁয়াজ কুচি, ভাজা রসুন কুচি সরিষার তেল, লবণ এবং ধনে পাতা দিয়ে মাখিয়ে লেবু দিয়ে পরিবেশন করুন মজার স্বাদের লইট্টা শুটকি ভর্তা।

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

ভাতের পাতে ৬ রকমের ভর্তা

ranna banna o beauty tips
ভাতের পাতে ৬ রকমের ভর্তা
গরম ভাতের পাতে হরেক রকমের ভর্তা- শুনেই জিভে পানি চলে আসে, তাই না? ৬টি দারুণ ভর্তার রেসিপি নিয়ে আজ এসেছনে নদী সিনা । এই ভর্তাগুলো সুস্বাদু তো বটেই, সাথে স্বাস্থ্যকরও। চলুন, জেনে নিই রেসিপি।
১.কালোজিরা ভর্তাঃ

উপকরণঃ কালোজিরা সিকি কাপ, রসুনের কোয়া ১ টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ ৩-৪টি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল ১ টেবিল-চামচ।

প্রণালীঃ রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ প্যানে টেলে নিতে হবে। তেল বাদে সব উপকরণ পাটায় বেটে তেল দিয়ে মাখিয়ে ভর্তা করতে হবে।

২.টমেটো ভর্তাঃ

উপকরণঃ টমেটো আধা কেজি, কাঁচা মরিচ ৫/৬টি, লবণ পরিমাণ মতো, পিঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, ধনে পাতা কুচি সিকি কাপ, সরিষার টেল স্বাদ অনুযায়ী।

প্রণালীঃ টমেটো ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন। চুলায় ফ্রাই প্যানে টমেটোগুলি দিয়ে ঢেকে দিন অল্প আঁচে। ১০/১৫ মিনিট পর উটিয়ে দিন। টমেটো সিদ্ধ হয়ে গেলে প্যান থেকে নামিয়ে নিন। এবার টমেটোগুলির খোসা ছাড়িয়ে নিন। পাত্রে পিঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ধনে পাতা কুচি নিন। হাতে মেখে টমেটোগুলি তার সাথে মিশিয়ে ভর্তা করে নিন। তেল যোগ করুন। তৈরি হয়ে গেল চমৎকার টমেটো ভর্তা।

৩.লাউপাতা /কুমড়া পাতা ভর্তাঃ

উপকরণঃ কচি লাউপাতা/কুমড়া পাতা ১৫/২০টি, চিংড়ি ১/২ কাপ ছোট, পেঁয়াজ ১/৪ কাপ, কাঁচামরিচ যে যেমন ঝাল খাবেন , রসুন ১ টেবিল চামচ ,লবণ সাদমত, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ।

প্রণালীঃ লাউপাতা ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এইবার বাকি সব দিয়ে প্যানে একটু নেড়ে পানি শুকিয়ে নিন। পানি শুকিয়ে গেলে পেস্ট করে নিন। সব শেষে সরিষার তেল মেখে পরিবেশন করুন।

৪. বেগুন ভর্তাঃ

উপকরণঃ বেগুন - ৪০০ গ্রাম, সরিষার তেল - ১ টেবিল চামচ,পেঁয়াজ কুচি - ১/৪ কাপ,কাঁচামরিচ - ৪-৫ টা (কুচি করে দিতে পারেন অথবা হাল্কা করে টেলে নিয়ে ভর্তা করে দিতে পারেন),ধনিয়াপাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ (ইচ্ছা),লবণ- ১ চা চামচ অথবা পছন্দমত।

প্রণালীঃ বেগুন নরম হওয়া পর্যন্ত পুড়িয়ে নিন। বেগুন পোড়া হয়ে গেলে বেগুনটা ঠান্ডা হতে দিন। তারপর চামড়া আস্তে আস্তে ছাড়িয়ে নিয়ে ভাল করে ভর্তা করে নিন। তারপর পেঁয়াজকুচি, মরিচকুচি, লবণ ও ধনিয়াপাতাকুচি ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

৫. সবজির ভর্তাঃ

উপকরণঃ আলু ২টি, মিষ্টি কুমড়া আধা কাপ, ফুল কপি ১ কাপ, ব্রকলি ১ কাপ, বরবটি ১ কাপ,গাজর ১/২ কাপ , লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ/শুকনা মরিচ ভাজা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, ধনেপাতা কুচি ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালীঃ সব সবজি চারকোনা করে কেটে নিন। সব সবজি সামান্য লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন।
এরপর সবজিগুলো একসঙ্গে ভর্তা করে সরিষার তেল, কাঁচা মরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে মেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

৬.পালংশাক ভর্তাঃ

উপকরণঃ পালংশাক ২০০ গ্রাম , কাঁচা মরিচ/ শুকনা মরিচ ভাজা ৫ থেকে ৬ টি পেয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ। লবণ ও সরিষার তেল -নিজের পছন্দ মত।

প্রনালীঃ প্রথমে পালংশাক ভাল করে ধুয়ে বড় করে কেটে যে কোন পাত্রে সিদ্ধ করে নিন। শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে পেয়াজ কুচি, মরিচ ও লবণ হাত দিয়ে চেটকিয়ে মিহি করুন। তারপর সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করুন। শীতের দিনে গরম গরম ভাতের সাথে শাক ভর্তা অনেক সুস্বাদু লাগে।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.