রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬

নিজে তৈরি করে নিন পছন্দমত লিপস্টিক

ranna banna o beauty tips
নিজে তৈরি করে নিন পছন্দমত লিপস্টিক
নারীরা যে সকল কসমেটিকস প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে তার মধ্যে লিপস্টিক অন্যতম। ভার্সিটি বলেন কিংবা অফিস একটু লিপস্টিক এনে দেয় সাজে পূর্ণতা। পোশাকের রং এর সাথে মিলিয়ে সাজে লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। কিন্তু সব সময় কি আর পোশাকের রং এর সাথে মিলিয়ে লিপস্টিক কেনা সম্ভব হয়? হয় না। আবার বাজারের নন-ব্র্যন্ডের লিপস্টিক ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এইবার ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন নিজের পছন্দমত লিপস্টিক। ভাবছেন কীভাবে? খুব সহজে তৈরি করা সম্ভব।

যা যা লাগবে:

১ চা চামচ বিশুদ্ধ মোমের গুঁড়ো (মোমের রং পেন্সিল গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে পারেন)

১ চা চামচ কোকো বাটার বা শিয়া বাটার

১ চা চামচ নারকেল তেল

পছন্দমত রঙ

যেভাবে তৈরি করবেন:

১। প্রথমে একটি ঢাকনা ছাড়া কাঁচের বয়ামে নারকেল তেল, শিয়া বাটার এবং মোম মিশেয়ে নিন।

২। এবার এই কাঁচের বয়ামটি একটি গরম পানি রাখা পাত্রের উপর রাখুন।

৩। সব কয়েকটি উপাদান ভাল করে মিশে গেলে বয়ামটি পানি থেকে সরিয়ে ফেলুন। এরপর আপনার পছন্দমত রং মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪। সব উপাদান মিশে গেলে ড্রপার দিয়ে খালি লিপস্টিকের টিউবে ভরে ফেলুন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কোটায় উপাদানগুলো রেখে দিতে পারেন।

৫। এবার এটি কোন ঠাণ্ডা স্থানে রেখে দিন, যাতে লিপস্টিক গলে না যায়।

পছন্দের রং তৈরি জন্য:

লাল রং এর জন্য:

১/৮ চা চামচ বিটের গুঁড়ো অথবা ১ ফোঁটা লাল ফুড কালার।

ব্রাউন রং এর জন্য:

১/৪ চা চামচ কোকো পাউডার, এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো অথবা হলুদের গুঁড়ো।

ম্যাট টেক্সচারের জন্য:

১/৪ চা চামচ বেনটনিক ক্লে ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া পছন্দমত আইশ্যাডো ব্যবহারে করে তৈরি করে নিতে পারেন যেকোন রং এর লিপস্টিক।

টিপস:

মোমের রং পেন্সিল ব্যবহার করলে বিট বা অন্য রং ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।

ঘরেই তৈরি করুন দোকানের মত পারফেক্ট কোন

ranna banna o beauty tips
ঘরেই তৈরি করুন দোকানের মত পারফেক্ট কোন
আইসক্রিম পার্লারগুলোতে কোন অথবা কাপে আইসক্রিম খেতে দেওয়া হয়। সাধারণত বিস্কুট কোনে আইসক্রিম খেতে দারুন লাগে। অনেকে বাসায় দোকানের মত আইসক্রিম তৈরি করতে পারলেও, কোনটি ঘরে তৈরি করা হয় না কখনও। এবার ঘরেও তৈরি করে নিতে পারবেন আইসক্রিমের কোন! ভাবছেন কীভাবে? জেনে নিন আইসক্রিমের কোন তৈরির সহজ রেসিপিটি। অল্প কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন পারফেক্ট দোকানের মত কোন।

উপকরণ:

২টি বড় ডিমের সাদা অংশ

১/৪ কাপ চিনি

৩ টেবিল চামচ দুধ

১/২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স

এক চিমটি লবণ

২/৩ কাপ ময়দা

২ টেবিল চামচ মাখন

হালকা মিষ্টি চকলেট

বাদাম কুচি

প্রণালী:

১। ডিমের সাদা অংশ, চিনি, দুধ, ভ্যানিলা এসেন্স এবং লবণ ভাল করে ফেটে নিন। এরপর এতে ময়দা এবং মাখন দিয়ে আবার ফাটুন।

২। এবার নন-স্টিক অথবা কাস্ট আয়রনের প্যান চুলায় অল্প আঁচে গরম করতে দিন।

৩। ১ এবং ১/২ টেবিল চামচ ময়দার মিশ্রণটি দিয়ে ছড়িয়ে দিন। দ্রুত এটি গোল আকৃতির আকারে করে ফেলুন।

৪। মাঝারি আঁচে ৪ থেকে ৫ মিনিট এটি রান্না করুন। একপাশ হয়ে গেলে  উল্টিয়ে দিন। অপরপাশ ১-২ মিনিট রাখুন। বেশিক্ষণ চুলায় রাখবেন না এতে বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে।

৫। এবার (ভিডিও অনুযায়ী) হাত দিয়ে কোন আকৃতির করে নিন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত আকৃতি করতে পারেন। খুব বেশি শক্ত করে কোনটি রোল করবেন না, এতে ভেঙ্গে যেতে পারে।

৬। চকলেটের সিরাপে কোনের মুখটি ভিজিয়ে নিয়ে তারপর বাদামকুচি অথবা সুইট বলের ছড়িয়ে দিন। কোনের পিছনের অংশটুকু চকলেট সিরাপে ডুবিয়ে নিন।

৭। পছন্দের আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার কোন আইসক্রিম।

টিপস:

কোনের মিশ্রণটি আপনি চাইলে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন দুই দিন পর্যন্ত।

শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬

চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, দাগ দূর করাসহ ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার হয়ে আসছে। বহুগুণী এই মাটি ত্বকের যত্ন ছাড়াও চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায়। চুলকে খুশকি মুক্ত রেখে চুল মজবুত স্বাস্থ্যজ্বল করতে মুলতানি মাটির জুড়ি নেই। এছাড়া স্কাল্পের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। মুলতানি মাটির কিছু কার্যকরী হেয়ার প্যাক জেনে নেওয়া যাক।

১। চুল পড়া রোধে

চার থেকে পাঁচ চা চামচ মুলতানি মাটি, দুই চা চামচ টকদই, এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি শুষ্ক চুলের জন্য উপযোগী। তৈলাক্ত অথবা নরমাল চুলের জন্য অ্যালোভেরা জেল, লেবুর রস এবং মুলতানি মাটির গুঁড়ো মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পারবেন।

২। চুলের গোড়া মজবুত করতে  

এক কাপ মুলতানি মাটি, পাঁচ চামচ চালের গুঁড়া,  একটি  ডিমের সাদা অংশ, অল্প কিছু পানি দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর প্যকটি চুলের গোড়াসহ সম্পূর্ণ চুলে ভাল করে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করবে।

৩। চুলের আগা ফাটা রোধে

চুলের আগা ফাটা রোধের জন্য প্রথমে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে সারারাত থাকুন। সকালে গরম পানিরে ভেজানো টাওয়েল দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে নিন। এক ঘন্টার পর মুলতানি মাটি এবং টকদইয়ের প্যাক চুলে ভাল করে লাগান। কিছুক্ষণ রাখার পর চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরের দিন শ্যাম্পু করুন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। এক মাসের মধ্যে দেখবেন চুলের আগা ফাটা দূর হয়ে গেছে।

৪। খুশকি দূর করতে

চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, দুই টেবিল চামচ কমলার খোসার গুঁড়ো, এবং পানি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি যেন ঘন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

৫। চুল স্ট্রেইট করতে

এক কাপ মুলতানি মাটি, পাঁচ চা চামচ চালের গুঁড়ো এবং একটি ডিমের সাদা অংশ একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এরসাথে অল্প কিছু পানি মিশিয়ে নিবেন। চুলে লাগিয়ে নিন প্যাকটি। তারপর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান দুই থেকে তিনবার। ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন প্যাক শুকানোর জন্য। তারপর চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আধা কাপ দুধ স্প্রে বোতলে ভরে চুলে স্প্রে করে নিন। তারপর আবার ৪-৫ বার চুল আঁচড়ান। ১৫-২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাক ব্যবহার করার আগের রাতে চুলে তেল মাসাজ করতে ভুলবেন না।

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স সবজির শিঙাড়া

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স সবজির শিঙাড়া
স্বাস্থ্যকর অথচ মুখরোচক খাবারের তালিকা নিতান্তই ছোট। অনেকে তো ভাবেন স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই বিস্বাদ এবং সুস্বাদু মানেই তা অস্বাস্থ্যকর। আসলে কী তাই? আসলে কিন্তু সুস্বাস্থ্য বজায় রেখেও সুস্বাদ পাওয়া যায়। দেখে নিন তেমনি একটি রেসিপি। এই রেসিপিতে ব্যবহৃত উপাদানগুলো থেকে শুরু করে প্রস্তুত প্রণালী পুরোটাই সাধারণ শিঙাড়া-সমুচার চাইতে স্বাস্থ্যকর।

উপকরণ
- ১ কাপ আটা
- ২টা মাঝারি মাপের কাঁচাকলা, সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে কুচিয়ে নেওয়া
- আধা কাপ মটরশুঁটি, সেদ্ধ করা
- দেড় চা চামচ জিরা
- ২ চা চামচ তেল
- লবণ স্বাদমতো
- ১/২টা কাঁচামরিচ কুচি
- ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা মিহি কুচি
- আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- আধা চা চামচ আমচুর
- পৌনে এক চা চামচ মরিচের গুঁড়ো
- এক চতুর্থাংশ লেবুর রস

উপকরণ
১) একটি পাত্রে আটা নিন। এতে আধা চা চামচ জিরা, ১ চা চামচ তেল এবং লবণ দিয়ে মেশান। প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে খামির তৈরি করে নিন।
২) বাকি তেল একটি সসপ্যানে দিয়ে গরম করে নিন। বাকি জিরা দিন। জিরাতে রং ধরলে এতে কাঁচামরিচ, আদা, কাঁচাকলা, গরম মশলা, আমচুর, মরিচ গুঁড়ো, লবণ এবং অল্প করে পানি দিন। মিশিয়ে রান্না করে নিন কিছুক্ষণ। এরপর মটরশুঁটি দিন। এরপর একটু পিষে নিন চামচের উল্টো দিক দিয়ে। চুলা বন্ধ করে দিন।
৩) লেবুর রস মিশিয়ে দিন এই মিশ্রণে। সরিয়ে রাখুন চুলা থেকে।
৪) ১৮০ ডিগ্রিতে প্রিহিট হতে দিন ওভেন।
৫) খামির থেকে রুটি গড়ে নিন। ভিডিওর মতো ভাঁজ করে শিঙাড়ার আকৃতি দিন। কোনের মাঝে কাঁচাকলার মিশ্রণ দিন। পানি দিয়ে একটু ভিজিয়ে বন্ধ করে দিন কোন। এভাবে তৈরি করে নিন কয়েকটি শিঙাড়া।
৬) বেকিং ট্রে-তে কুকিং স্প্রে দিয়ে এতে শিঙাড়াগুলো রাখুন। প্রিহিট করা ওভেনে দিয়ে বেক করে নিন ১৫-১৮ মিনিট।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

ঘরে বসেই করুন পার্লারের মত ব্লিচ

ranna banna o beauty tips
ঘরে বসেই করুন পার্লারের মত ব্লিচ
দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ব্লিচের জুড়ি নেই। বিশেষ কোন অনুষ্ঠানের আগে অনেকেই ব্লিচ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকেন। সাধারণত পার্লারে ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহার করে ব্লিচ করা হয়। তবে ব্লিচিং ক্রিম অথবা ফেসিয়ালের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, বিধায় এটি ত্বকের ক্ষতি করে। আপনি চাইলে ঘরে করে ফেলতে পারেন ব্লিচিং। সহজে ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে ব্লিচিং করা সম্ভব। আসুন তাহলে উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

১। টকদই

হাতে কিছু পরিমাণ টকদই নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন একবার করুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পার্থ্যক দেখতে পাবেন। এছাড়া এক টেবিল চামচ টকদইয়ের সাথে আধা টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। এবার ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২। ওটমিল ব্লিচিং

দুই টেবিল চামচ ওটমিল, এক টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি মুখে সম্পূর্ণভাবে শুকাতে দেবেন না। কিছুটা নরম থাকতেই পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।

৩। বেসন

বেসন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর। বেসন এবং গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

৪। আলুর প্যাক       

আলুর খোসা ছড়িয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরসাথে গোলাপজল, মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আলু ত্বকের কালো দাগ দূর করে। এর সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৫। লেবু, মধু এবং দুধ

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক চা চামচ লেবুর রস,  এক চা চামচ মধু এবং আধা চা চামচ বাদাম তেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী।

ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহারে টিপস:

১। ব্লিচ হল অ্যামোনিয়া, এমনকি বাজারে যে ক্রিম কিনতে পাওয়া যায় তাতেও এটি ব্যবহার করা হয়। তাই প্রতিদিন ব্যবহার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তিন সপ্তাহে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

২। ব্লিচিং ক্রিম ব্যবহারের আগে ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। তবে ক্লিঞ্জিং মিল্ক ব্যবহার করবেন না।

৩। গাড় ত্বকের অধিকারীরা বেশিক্ষণ ত্বকে ব্লিচিং ক্রিম রাখবেন না। সর্বোচ্চ ১০ মিনিট ত্বকে রাখবেন।

ডিম ছাড়া ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি

Ranna banna o beauty tips
ডিম ছাড়া ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি
মিষ্টি খাবার খেতে যারা পছন্দ করেন তাদের কাছে ব্রাউনি বেশ পছন্দের একটি খাবার। ব্রাউনিপ্রেমীদের কাছে চকলেট ব্রাউনি বেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন তো আর বেকারীতে গিয়ে চকলেট ব্রাউনি খাওয়া সম্ভব হয় না। ঘরেই যদি তৈরি করা যায় পেস্ট্রিশপের স্বাদের চকলেট ব্রাউনি তাহলে কেমন হয়? দারুন তাই তো? আজ তাহলে শিখে নিন পেস্ট্রিশপের মত পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি তৈরির রেসিপিটি।

উপকরণ:

৮০ গ্রাম মাখন

১৮০ গ্রাম কনডেন্সড মিল্ক

৩০ গ্রাম টকদই

কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স

১৬০ গ্রাম ডার্ক চকলেট

১২৫ গ্রাম ময়দা

১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা

১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার

৫০ গ্রাম চকলেট চিপস

প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রি হিট করে রাখুন।

২। একটি পাত্রে গলানো মাখন এবং কনডেন্সড মিল্ক ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৩। এরসাথে টকদই এবং ভ্যানিলা এসেন্স ভাল করে ফেটে নিন।

৪। এবার এতে গলানো ডার্ক চকলেট ভাল করে মেশান।

৫। একটি পাত্রে ময়দা, বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে রাখুন।

৬। একটি চালনিতে আস্তে আস্তে চেলে টকদইয়ের মিশ্রণের সাথে মেশান।

৭। এরপর এতে চকলেটের টুকরো দিয়ে আবার মেশান।

৮। ওভেন ট্রেতে মাখন বা তেল লাগিয়ে নিন। তারউপর কিছুটা ময়দা ছিটিয়ে দিন।

৯। ব্রাউনি মিশ্রণটি ওভেন ট্রেতে ঢেলে ২০ মিনিট বেক করুন। নামানোর আগে টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করুন।

১০। ঠান্ডা হয়ে গেলে পছন্দমত আকৃতিতে কেটে নিন। আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চকলেট ব্রাউনি।

বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬

বর্ষাকালে চুলের যত্ন

ranna banna o beauty tips
বর্ষাকালে চুলের যত্ন
বর্ষাকালে বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকে বলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয় বেশি। অনেকেই মনে করেন যে গ্রীষ্মকালে চুলের ক্ষতি অধিক। কিন্তু না, বর্ষাকালে চুলের বাহিরের কিউটিক্যাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চুল হয়ে পরে ভঙ্গুর, রুক্ষ ও শুষ্ক। বর্ষাকালে চুলের সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞের মতামত জেনে নিই চলুন।

১। চুল শুষ্ক রাখুন 

বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু বৃষ্টিতে বার বার আপনার চুল ভেজানোটা মোটেও উপকারী নয়। বৃষ্টির পানি এসিডিক হয় এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার চুলের দুর্দশাই কেবল বৃদ্ধি করবে। বর্ষায় বাহিরে যাওয়ার পূর্বে আপনার চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।

২। সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু করুন

চুল ও মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বৃষ্টিতে ভেজার পরে গোসল করে নিন। বৃষ্টির পানি দীর্ঘক্ষণ আপনার মাথায় থাকলে তা চুলকানির সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি আপনার চুলে ব্যাকটেরিয়াল বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং খুশকিও হতে পারে। অনেক ধরণের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই উচিৎ এবং হেয়ার স্প্রে এড়িয়ে চলুন।

৩। অয়েল ম্যাসাজ

আপনার ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। আপনার পছন্দের যেকোন তেল আপনার চুলের গোঁড়ায় ভালোভাবে ম্যসাজ করে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন বা একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে নিন মাথায়। এতে  আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হবে এবং চুলের শুষ্কতা দূর হবে।

৪। হেয়ার স্টাইল করা এড়িয়ে চলুন

বর্ষাকালে হেয়ার স্টাইল চুলের শুধু ক্ষতিই করে। বর্ষায় খুব শক্ত করে চুল বাঁধতে অনুৎসাহিত করা হয় কারণ এতে বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লে তা আবদ্ধ হয়ে থাকে এবং চলের আর্দ্রতাও বৃদ্ধি পায়। এতে চুলে গন্ধ হয় এবং চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে। হালকা করে চুল বাঁধুন। বর্ষায় চুল ছেটে ছোট করে রাখতে পারেন, এতে চুল পরিষ্কার করা ও যত্ন নেয়া সহজ হবে।

৫। অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট কিনুন হুডিসহ  

বর্ষায় যেকোন সময় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হবেনা এমন মনে হলেও বাহিরে যাওয়ার সময় সাথে হুডিসহ অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট রাখুন। অনেকেই এটা পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে সাথে একটি ছাতা রাখুন। আজকাল অনেক ধরণের রঙ্গিন ও ছোট ছাতা পাওয়া যায় যা ব্যাগে রাখা সম্ভব।

৬। হেয়ার মাস্ক

ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক কোন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন সপ্তাহে অন্তত একদিন। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।  

৭। প্রোটিন খান

ডারমাটোলজিস্ট ও কসমেটোলজিস্ট ডা. অপর্ণা সান্তারাম বলেন, “বর্ষায় চুলকে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান”।

এছাড়াও প্রতিদিন তাজা ফল, বাদান ও সবুজ শাকসবজি এবং ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন। চুলে  কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার লাগানোর পর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান যতে সব জায়গায় কন্ডিশনার পৌঁছে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।


 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.