ranna banna লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ranna banna লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৬

ঝটপট হালকা স্ন্যাক্স অনিয়ন রিংস

ranna banna o beauty tips
অনিয়ন রিংস
স্ন্যাক্সের কথা চিন্তা করলেই ভয় লাগে। একদিকে অনেক অনেক ক্যালোরির ভয়, আরেকদিকে হরেক রকমের উপকরণ আর আয়োজন নিয়ে চিন্তা। কিন্তু এই স্ন্যাক্স তৈরিতে আপনার আদতে কিছুই লাগবে না। বাড়িতে ময়দা, পিঁয়াজ, তেল আর কিছু মশলা থাকলেই চোখের পলকে তৈরি করে ফেলতে পারবেন দারুণ মুচমুচে নাশতা। চলুন দেখে নেই অনিয়ন রিংস এর রেসিপিটি।

উপকরণ

- পৌনে এক কাপ ময়দা
- সিকি কাপ কর্ন ফ্লাওয়ার
- সিকি চা চামচ গার্লিক পাউডার
- আধা চা চামচ শুকনো মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ চাট মশলা
- এক চিমটি বেকিং সোডা
- লবণ স্বাদমতো
- সিকি কাপ ফেটানো টক দই
- ২টা বড় পিঁয়াজ, মোটা রিং করে কাটা
- ১ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব
- ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল

প্রণালী

১) পিঁয়াজ রিং করে কেটে রিংগুলোকে ছাড়িয়ে নিন। এগুলোকে আলাদা করে রাখুন।
২) একটা বোলে ময়দা, কর্ন স্টার্চ, মরিচের গুঁড়ো, বেকিং সোডা, লবণ, এক টেবিল চামচ ব্রেড ক্রাম্ব এবং দই মিশিয়ে নিন। ঘন করে ব্যাটার তৈরি করুন। দরকার হলে অল্প করে পানি দিন। ব্যাটার তৈরি হলে এতে গার্লিক পাউডার দিয়ে দিন এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৩) একটা বাটিতে ১ টেবিল চামচ ময়দা নিন। এই বাটিতে পিঁয়াজের রিংগুলোকে নিয়ে একটা প্লেট দিয়ে ঢেকে দিন। এবার ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এতে সব পিয়াজে ময়দা মেখে যাবে।
৪) এবার ময়দা মাখা রিংগুলোকে ব্যাটার ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। এবার এগুলোকে ডিপ ফ্রাই করে নিন। ব্রেড ক্রাম্ব ছাড়া শুধু ব্যাটারে ডুবিয়েও এটা তৈরি করে নিতে পারেন।
 পছন্দের যে কোনো সসের সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম। 
ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

স্বাদ বদলে জাপানি রাইস

ranna banna o beauty tips
স্বাদ বদলে জাপানি রাইস
রাইস ডিশ ছাড়া আসলে বাঙালির চলেই না। সাদা ভা থেকে শুরু করে পোলাও, বিরিয়ানি, ফ্রাইড রাইস ইত্যাদি কত কিছুই না খেয়ে থাকি আমরা। চলুন, আজ  আফরোজা নাজনীন সুমির হেঁসেল থেকে জেনে নিই ভিন্নধর্মী একটি রাইস ডিশের রেসিপি "জাপানি রাইস"।  

উপকরণ: 

আধা সিদ্ধ ভাত:
৪ কাপ মুরগির মাংস:
১ কাপ রসুন কুচি: ১ চা চামচ তেল:
২ টে: চামচ সাদা গোলমরিচ গুঁড়া:
১ টে: চামচ লবণ:
স্বাদমত টমেটো চিলিসস:
৪ টে: চামচ সিদ্ধ গাজর:
১টা ডিম:
২টা আদা বাটা :
আধা চা চামচ সয়াসস :
আধা চা চামচ  

প্রনালী:  

-প্রথমেই মাংস লবন, গোলমরিচ দিয়ে ম্যারিনেট করে নিন।
-এরপর গরম তেলে রসুন কুচি ভেজে তাতে মুরগীর মাংস ভেজে সিদ্ধ ভাত ও গাজর দিয়ে দিন।
-ভাল করে নেড়ে ভেজে এতে সস আর গরম মসলা গুঁড়া ও লবন দিন।
-উপরে ডিম ভাজা দিয়ে পরিবেশন করুন হট টমেটো সস দিয়ে মজাদার জাপানি রাইস। 

রেস্টুরেন্ট স্বাদের বার্গার তৈরি করে ফেলুন আলু দিয়ে

ranna banna o beauty tips
রেস্টুরেন্ট স্বাদের বার্গার তৈরি করে ফেলুন আলু দিয়ে
বার্গার ছোট বড় সবার পছন্দের একটি খাবার। অনেকে দুপুরের খাবার হিসেবে বার্গার খেয়ে থাকেন। আর বাচ্চাদের তো কথাই নেই, বার্গার হলে আর কিছুই লাগে না তাদের। কিন্তু প্রতিদিন বাইরের বার্গার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন রেস্টুরেন্ট স্বাদের বার্গার। তবে এই বার্গারটি একটু ভিন্ন ধরণের। সবজি খাওয়া নিয়ে প্রায় সব বাচ্চারাই বিরক্ত করে থাকে। কিন্তু আলু সব বাচ্চাদেরই পছন্দের সবজি। এই আলু দিয়েই তৈরি করুন মজাদার আলু টিক্কা বার্গার। টিফিনেও তৈরি করে দিতে পারেন এই খাবারটি।

উপকরণ

২টি সিদ্ধ আলুর ভর্তা
২ কাপ সিদ্ধ সবজি (পছন্দের যেকোন সবজি)
১ চা চামচ আদা মরিচ পেস্ট
ধনেপাতা কুচি
লবণ
১/৪ চা চামচ গরম মশলা
লেবুর রস
২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
কর্ণ ফ্লাওয়ার পেস্ট
৩ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
লবণ
পানি
ভাজা ব্রেড ক্রাম্বস
কোলস্ল তৈরির জন্য
১ কাপ মেয়নিজ
১/২ কাপ গাজর কুচি
১টি পেঁয়াজ লম্বা করে কাটা
সরিষার সস
গোলমরিচ
লবণ
বার্গার বন
মাখন
চিজ
টমেটো কেচাপ  
লেটুস পাতা
শসার টুকরো
টমেটোর টুকরো

প্রণালী:

১। প্রথমে সিদ্ধ আলু, আদা মরিচের পেস্ট, সিদ্ধ সবজি (মটরশুঁটি, বিনস, গাজর, ফুলকপি), ধনেপাতা কুচি, লবণ, গরম মশলা, লেবুর রস, কর্ণ ফ্লাওয়ার ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। হাতের তালুতে অল্প করে তেল লাগিয়ে নিন। তারপর সবজিগুলো দিয়ে বড় চপ তৈরি করুন।
৩। আরেকটি পাত্রে কর্ণ ফ্লাওয়ার, লবণ এবং পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
৪। সবজির চপটি কর্ণ ফ্লাওয়ারে ডুবিয়ে তারপর ব্রেড ক্রাম্বসে জড়িয়ে তেলে দিয়ে দিন। বাদামী রং হয়ে আসলে তেল থেকে নামিয়ে ফেলুন।
৫। এখন মেয়নিজ, গাজর কুচি, পেঁয়াজ, সরিষার সস, গোল মরিচ, লবণ একসাথে মিশিয়ে ক্লোসোল তৈরি করুন।
৬। বার্গার বনে মাখন লাগিয়ে নন-স্টিক প্যানে সেঁকুন। তারসাথে সবজির চপটি দিয়ে দিন।
৭। সবজি চপটির উপর চিজ দিয়ে একটি ছোট বাটি দিয়ে চিজসহ চপটি ঢেকে দিন।
৮। বার্গার বনে টমেটো কেচাপ, লেটুস, শসা, টমেটোর টুকরো, অল্প একটু লবণ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো, আলুর চপ, তার উপর কোলস্ল সালাদ দিয়ে দিন।
৯। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার আলু টিক্কা বার্গার।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

খুব সহজে তৈরি করুন স্পাইসি গ্রিলড চিকেন ড্রামস্টিক

ranna banna o beauty tips
স্পাইসি গ্রিলড চিকেন ড্রামস্টিক
ইদানিং রাস্তাঘাটে মোড়ে মোড়ে দেখা যায় গ্রিলড চিকেন তৈরি হচ্ছে। এর দারুণ সুগন্ধে যেন মুহূর্তেই বেড়ে যায় ক্ষুধা। কিন্তু গ্রিলড চিকেন আবার বাসায় তৈরি করার কথা ভাবতেই চান না কেউ। এটা লাগবে সেটা লাগবে এই ভেবে আর রান্না করা হয় না। চলুন দেখে নেই একদম ঘরোয়া উপায়ে, বাড়িতে থাকা উপকরণ দিয়েই স্পাইসি গ্রিলড চিকেন ড্রামস্টিক তৈরির পদ্ধতিটি। তেলে ভাজার দরকার হয় না বলে এটা বেশ স্বাস্থ্যকরও বটে।

উপকরণ
- ৪টা চিকেন ড্রামস্টিক
- লবণ স্বাদমতো
- লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
- ১ চা চামচ ধনে
- ১ চা চামচ আদা কুচি
- ১ চা চামচ রসুন কুচি
- ৮/১০টা শুকনো মরিচ
- ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
- ব্রাশ করার জন্য অল্প তেল

প্রণালী
১) প্রথমে ড্রামস্টিকগুলোর ওপরে ছুরি দিয়ে চিরে নিন কয়েক জায়গায়। এরপর এতে ২ চা চামচ লবণ এবং লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে ম্যারিনেট হতে রাখুন। এই ফাঁকে গ্রিলের মশলা তৈরি করে নিন।
২) মশলা তৈরির জন্য ধনে, আদা, রসুন, শুকনো মরিচ, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং অল্প করে পানি একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। একদম মিহি পেস্ট হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন।
৩) এই মশলা ড্রামস্টিকে মাখিয়ে ম্যরিনেট হতে দিন কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট।
৪) একটা বেকিং ট্রেতে তেল ব্রাশ করে নিন। এতে ম্যারিনেট করা ড্রামস্টিকগুলো রাখুন। মশলা বাকি থাকলে ওপরে দিয়ে দিন। ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে বেক করুন যতক্ষণ না চিকেন রান্না হয়ে যায় পুরোপুরি। ৪৫ মিনিটের মতো লাগতে পারে।

লেবুর টুকরো দিয়ে গার্নিশ করে নান অথবা তন্দুরি রুটির সাথে পরিবেশন করুন ঝাল ঝাল গ্রিলড চিকেন ড্রামস্টিক। 
ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

বারবিকিউ চিকেন উইংস তৈরির সবচাইতে সহজ উপায়

ranna banna o beauty tips
চিকেন উইংস
বিভিন্ন রেস্তরাঁয় সবসময়েই ভীষণ জনপ্রিয় একটি আইটেম হলো চিকেন উইংস। উইংসের বিভিন্ন ধরণের মাঝে আবার বারবিকিউ উইংসটাই বেশি মুখরোচক। বারবিকিউ সসে মাখা মুচমুচে এই উইংস আপনি কিন্তু নিজেও তৈরি করে নিতে পারেন বাড়িতেই। এতে খুব বেশি সময় লাগবে না। উপকরণও লাগবে কম। চলুন দেখে নেই প্রণালীটি।

উপকরণ

- সিকি কাপ বারবিকিউ সস
- ৮ পিস চিকেন উইং
- ১ টেবিল চামচ তেল
- ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
- লবণ স্বাদমতো
- গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- ২ টেবিল চামচ ময়দা
- ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
- গার্নিশ করার জন্য পিঁয়াজকলি কুচি

প্রণালী

১) প্যানে ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম হতে দিন।
২) একটা বোলে চিকেন উইংগুলো নিন। এতে দিন লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং ময়দা। ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৩) গরম তেলে ডিপ ফ্রাই করে নিন যাতে সোনালি ও মুচমুচে হয়ে আসে। তেল ঝরিয়ে নিন কাগজে।
৪) ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে নিন নন স্টিক প্যানে। এতে রসুন দিয়ে আধা মিনিট সাঁতলে নিন। এতে বারবিকিউ সস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এতে ভাজা চিকেন উইংগুলোকে দিয়ে দিন। টস করে নিন যাতে বারবিকিউ সস এতে ভালো করে মেখে যায়। এক মিনিট রান্না হতে দিন।

এবার নামিয়ে ওপরে পিঁয়াজকলি কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।
ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

তৈরি করে ফেলুন ভারতীয় স্ট্রিট ফুড পুরি চাট

ranna banna o beauty tips
 তৈরি করে ফেলুন ভারতীয় স্ট্রিট ফুড পুরি চাট
খুব সহজেফুচকা, পানিপুরি, দোসা কিংবা ভেলপুরি মুখরোচক এই স্ট্রিট ফুডগুলো সবার বেশ পছন্দ। ভারতীয় খাবারগুলোর মধ্যে স্ট্রিট ফুডগুলো দুই দেশেই সমান জনপ্রিয়। পুরি চাট এমনি একটি মুখরোচক স্ট্রিট ফুড। চটপটে, টক, ঝাল, মিষ্টি স্বাদের এই খাবারটি খেতে দারুন লাগে। আসুন তাহলে পুরি চাটের রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ:

পুরি তৈরির জন্য
১/৪ কাপ ময়দা
১/৪ কাপ সুজি
১ চিমটি বেকিং সোডা
১/২ চা চামচ লবণ
তেল ভাজার জন্য
ঘুগনি তৈরির জন্য
১ কাপ ডাবরি ডাল
১ চা চামচ লবণ
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/৮ চা চামচ বেকিং সোডা
চাটের জন্য
২টি পেঁয়াজ কুচি
২টি টমেটো কুচি
২টি সিদ্ধ আলু
২টি কাঁচা মরিচ কুচি
৫০০ মিলিগ্রাম টকদই
১/২ কাপ তেঁতুলের চাটনি
২ চা চামচ লবণ
২.৫ চা চামচ গোল মরিচ
২.৫ চা চামচ ভাঁজা জিরা গুঁড়ো
২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ চাট মশলা
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
৫ টেবিল চামচ ডালিম

প্রণালী:

১। ডাবরি ডাল সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে প্রেশার কুকারে পানি, ডাবরি ডাল, লবণ, হলুদ এবং বেকিং সোডা দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। ৪টি শিষ দিলে আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন।
২। একটি পাত্রে ময়দা, সুজি, লবণ, বেকিং সোডা, এবং পানি দিয়ে নরম ডো তৈরি করুন। একটি সুতির কাপড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রাখুন।
৩। এই ডো দিয়ে ছোট ছোট পুরি তৈরি করে নিন। তেল গরম হয়ে আসলে পুরিগুলো তেলে দিয়ে দিন। সোনালী রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
৪। একটি পুরির মুখটা ভেঙ্গে এর ভেতর ৩-৪ চা চামচ ঘুগনি, ২-৩ চামচ পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, আলু কুচি, অল্পকিছু কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ দিন।
৫। তার উপর টকদই, তেঁতুলের চাটনি, ধনেপাতা কুচি বা চাটনি, গোল মরচি গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, চাট মশলা, জিরা গুঁড়ো, চানাচুর দিয়ে দিন।
৬। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার চটপটে পুরি চাট।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

অল্প সময়ে ঝটপট তৈরি করে ফেলুন টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার

ranna banna o beauty tips
টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার
আমের মৌসুম চলে এসেছে। বাজারে কাঁচা আম উঠতে শুরু করেছে। কাঁচা আম নামটি শুনলে প্রথমে যে খাবারটির কথা মনে আসে তা হল টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার। আমের আচার খেতে সবাই পছন্দ করে, কিন্তু ঝামেলার কারণে এটি অনেকে  তৈরি করতে চায় না। ব্যস্ত এই নগরজীবনে আচার তৈরি করার মত সময় পাওয়া যায় না। যদি অল্প সময়ে টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার তৈরি করা যায়, তবে কেমন হয় বলুন তো? কী অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই অল্প কিছু উপাদানে স্বল্প সময়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার।   

উপকরণ:

২টি খোসা ছাড়ানো কাঁচা আমের কুচি
১ কাপ চিনি
১/২ কাপ গুড়
১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত

প্রণালী:

১। একটি প্যানে কাঁচা আমের কুচি, চিনি এবং গুড় দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। চিনি এবং গুড় না গলা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৩। তারপর এতে মরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, এবং লবণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। বলক আনা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৪। ঘন হয় আসলে চুলা নিভিয়ে দিন।
৫। ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিবেশন করুন মজাদার আমের টক ঝাল মিষ্টি আচার।
টিপস:
আপনি চাইলে এটি বেশি করে তৈরি করে সংরক্ষণ করতে পারেন।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

মুখরোচক মশলাদার নিরামিষ আলু-মটর

ranna banna o beauty tips
মুখরোচক মশলাদার নিরামিষ আলু-মটর
এই গরমে আমিষ জাতীয় খাবার একটু কমই খেয়ে থাকি আমরা। বরং নিরামিষ খাবারই বেশি খাওয়া দরকার। কিন্তু নিরামিষ খাবার যেন ঠিক আমিষের মতো মজা হয় না। আর নিরামিষের তেমন মুখরোচক রেসিপিও জানেন না অনেকেই। চলুন আজ দেখে নেই মশলাদার মুখরোচক দারুণ এক নিরামিষ রান্নার রেসিপি। মাখা মাখা এই রান্নাটি খেয়ে আপনি ভুলেই যাবেন আমিষের স্বাদ!

উপকরণ

- ৩টা মাঝারি আলু, চামড়া ছাড়িয়ে ১ ইঞ্চি কিউব করে কাটা
- আধা কাপ মটরশুঁটি
- ৩ টেবিল চামচ তেল
- ১টা মাঝারি পিঁয়াজ কুচি করা
- লবণ স্বাদমতো
- ২/৩টা কাঁচামরিচ
- ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
- ২ কোয়া রসুন
- সামান্য আদা কুচি
- ৩টা টমেটো কিউব করা
মশলার জন্য
- ১ টেবিল চামচ ধনে গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামচ কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- আধা চা চামচ আস্ত জিরা

প্রণালী

১) একটা ওভেন-প্রুফ বোলে এক চিমটি লবণ এবং এক টেবিল চামচ পানি দিন মটরশুটির সাথে। এটাকে ঢেকে মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিন ২ মিনিট। এতে মটরশুটির মিষ্টি ভাবটা চলে যাবে। এরপর বের করে রাখুন।
২) একটা প্রেশার কুকারে তেল মাঝারি আঁচে গরম করে নিন। এতে দিন জিরা, লম্বালম্বি চেরা কাঁচামরিচ এবং পিঁয়াজ। জিরা ফুটতে থাকলে এতে দিন ধনে গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো এবং মিশিয়ে সাঁতলে নিন ২ মিনিট।
৩) পিঁয়াজ নরম হতে দিন। এই সময়ের মাঝে কিউব করা টমেটো, আদা ও রসুন ব্লেন্ড করে পিউরি করে নিন। এই পিউরি প্রেশার কুকারে দিয়ে মিশিয়ে নিন মশলার সাথে।
৪) ২ মিনিট ভালো করে রান্না করে নিন এই টমেটোর পেস্ট। এরপর দিয়ে দিন আলু, সেদ্ধ মটরশুঁটি, পৌনে এক কাপ পানি এবং লবণ।
৩) ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা চাপা দিয়ে রান্না হতে দিন তিনটা শিষ দেওয়া পর্যন্ত। এরপর চুলা বন্ধ করে দিন। প্রেশার কুকার বন্ধ করে রাখুন, খুলবেন না। মিনিট পাঁচেক রেখে দিন, এর মাঝে কক্ষ তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা হয়ে আসবে প্রেশার কুকার। এরপর ঢাকনা খুলে একবার নেড়ে মিশিয়ে নিন। এতে ধনেপাতা মিশিয়ে নিন এবং পরিবেশন করুন গরম গরম। যে কোনো রুটি বা পরোটার সাথে এই মাখা মাখা সবজি দারুণ লাগবে।
ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

কলা দিয়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার পাউরুটি

ranna banna o beauty tips
কলা দিয়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার পাউরুটি
পাউরুটি সকালে নাস্তায় অনেকেই খেয়ে থাকেন। বাজারের পাউরুটি নানা অস্বাস্থ্যকর উপাদান তৈরি করে হয়ে থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই কারণে অনেকেই ঘরে পাউরুটি তৈরি করে থাকেন। কলা দিয়ে পাউরুটি তৈরি করেছেন কখনও? এইবার পাকা কলা এবং নারকেল দিয়ে তৈরি করে ফেলুন ভিন্ন স্বাদের পাউরুটি।

উপকরণ:

১ কাপ (১২৫ গ্রাম) ময়দা
১/৪ চা চামচ (২গ্রাম) বেকিং সোডা
২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ লবন
৩/৪ কাপ (১৫০গ্রাম) চিনি
২টি ডিম
১১৩ গ্রাম মাখন গলানো
৩ থেকে ৪টি পাকা কলা
১/৩ কাপ (৭০ গ্রাম) ক্রিম
১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
৩/৪ কাপ (৭৫ গ্রাম) কাজুবাদাম কুচি
১ কাপ নারকেল কুচি

প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ৩৫০ ফারেনহাইট অথবা ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রিহিট করে নিন।
২। একটি পাত্রে ময়দা, নারকেল গুঁড়ো, লবণ, বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার এবং দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
৩। আরেকটি পাত্রে মাখন এবং চিনি বিটার দিয়ে বিট করতে থাকুন। ক্রিমি টেক্সচার তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বিট করতে থাকুন। এরপর এতে ডিম এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে আবার বিট করুন। এরপর এতে অল্প অল্প করে ময়দার মিশ্রণটি ঢালুন এবং বিট করুন।
৪। কলা খুব ভাল করে চটকিয়ে নিন। চটকানো কলা চিনি এবং মাখনের মিশ্রণের সাথে মিশিয়ে আবার বিট করুন। মিশ্রণে কাজু বাদাম কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৫। বেকিং প্লেটে মাখন লাগিয়ে  নিন।
৬। এবার এতে কেকের মিশ্রণটি দিয়ে উপরে বাদাম কুচি দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ মিনিট বেক করুন।
৭। বাদামী রং হয়ে এলে একটি টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করে নামিয়ে ফেলুন।
৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার কলা নারকেলের পাউরুটি।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬

ওভেনে কাচ্চি বিরিয়ানি

ranna banna o beauty tips
ওভেনে কাচ্চি বিরিয়ানি
উপকরণ: 
খাসির মাংস ২ কেজি। পোলাওয়ের চাল ১ কেজি। আলু আধা কেজি। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ। আদাবাটা ২ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। জিরাগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ। শুকনা মরিচগুঁড়া ৫টি। ঘি ১ কাপ। আধা কাপ তেল। টক দই দেড় কাপ। এলাচবাটা ১ চা-চামচ। দারুচিনি বাটা আধা চা-চামচ। লবঙ্গগুঁড়া ৪টি। জায়ফল গুঁড়া ১টি। জয়ত্রীগুঁড়া আধা চা-চামচ। কমলা রং (ইচ্ছা)। গোলাপ জল ২ টেবিল-চামচ। কেওড়ার জল ২ টেবিল-চামচ। জাফরান আধা চা-চামচ। আলু বোখারা ১০টি। কিশমিশ ৩ টেবিল-চামচ। গুঁড়া দুধ ৩ টেবিল-চামচ। লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: 
মাংস ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন এক ঘণ্টা। চুলায় গরম পানি বসিয়ে রাখবেন। পেঁয়াজ কেটে ভেজে রাখতে হবে।

আলুতে হালকা রং মাখিয়ে, তেলে ভেজে রাখতে হবে। চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখবেন। আলু ও ঘি ছাড়া বাকি সব উপকরণ মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।

ওভেন প্রিহিট করবেন।
তারপর যে পাত্রে রান্না করা হবে (স্টিলের বা ননস্টিকের সস প্যান হলে ভালো হয়) সে পাত্রে প্রথমে অর্ধেক মাংস বিছিয়ে দিতে হবে। তার উপর আলু ছড়িয়ে, অর্ধেকটা চাল ছড়িয়ে দেবেন। এভাবে আবার মাংস ও চাল দেবেন।

সবশেষে ঘিয়ের সঙ্গে অল্প গরম পানি, দুধ, মিশিয়ে ছড়িয়ে দেবেন উপর দিয়ে। চালের সমান গরম পানি দিন। লবণ ঠিক আছে কিনা দেখবেন।

ঢাকনা দিয়ে ভালো করে মুখ বন্ধ করে, ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে দুই ঘণ্টা বেইক করবেন। এক ঘণ্টা পর ১৫০ ডিগ্রিতে কমিয়ে নিয়ে আসবেন। কিছুক্ষণ পরে ঢাকনা খুলবেন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

মজার স্বাদে ইলিশ কাসুন্দি

ranna banna o beauty tips
ইলিশ কাসুন্দি 
মাছে ভাতে বাঙালির নতুন বছরের যাত্রা ইলিশ দিয়েই হতে হবে। সংস্কৃতি প্রেমি এ জাতির কাছে ইলিশ পান্তা রীতিমতো প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখের সকালে প্রতিটি বাঙালি যেন কাঁচা মরিচ, এক টুকরো পেঁয়াজ আর ইলিশ-পান্তা দিয়ে নিজেকে হালনাগাদ করিয়ে নেন। হ্যা, এবারের পহেলা বৈশাখেও ইলিশই খাবেন তবে স্বাদে থাকতে হবে নতুনত্ব। শিখে নিন মজার স্বাদে ইলিশ কাসুন্দির সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

ইলিশ মাছ ৬ টুকরা, কাসুন্দি আধা কাপ, হলুদগুঁড়া কোয়ার্টার চা-চামট, মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ ৪ থেকে ৫টি, তেল কোয়ার্টার কাপ।

যেভাবে করবেন

কড়াইতে সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে মাছ টুকরোগুলো ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার একটি কড়াইয়ে মাখানো মাছ দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে দিন। ১৫ মিনিট পর মাছ সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন। ব্যাস হয়ে গেল মজার স্বাদে ইলিশ কাসুন্দি।

ঝটপট নাস্তা শানা পাকাড়ো

ranna banna o beauty tips
ঝটপট নাস্তা শানা পাকাড়ো
হঠাৎ করে মেহমান চলে এল, ঘরে তেমন কোন খাবার নেই। তখন কি করবেন? বাইরে যাবেন, নাস্তা কিনবেন, তারপর আপ্যায়ন করবেন? তারচেয়ে সহজ কোন কিছু ঘরে তৈরি করে ফেলুন। স্বল্প সময়ে অল্প কিছু উপাদান দিয়ে সহজে তৈরি করে নিতে পারেন শানা পাকোড়া! আসুন তাহলে জেনে নেওয়া মুড়মুড়ে শানা পাকাড়োর রেসিপিটি।

উপকরণ:

৪টি পেঁয়াজ কুচি
ধনেপাতা কুচি
২টি কাঁচা মরিচ কুচি
লবন স্বাদমত
১/২ চা চামচ জিরা
১/২ চা চামচ ধনিয়া
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ লাল শুকনো মরিচ
১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা
১.৫ কাপ বেসন
পানি
তেল ভাজার জন্য

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, ধনিয়া, কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ, জিরা, মরিচ গুঁড়ো, লাল শুকনো মরিচ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। তারপর এতে ময়দা অথবা বেসন এবং পানি দিয়ে ভাল করে মেশান। মিশ্রণটি যেন ঘন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
৩। প্যানে তেল গরম করতে দিন।
৪। তেল গরম হয়ে আসলে চামচ দিয়ে পাকোড়ার মিশ্রণটি ছোট ছোট বল করে দিয়ে দিন।
৫। বলগুলো বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।
৬। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মচমচে শানা পাকাড়ো। সস বা চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার এই খাবারটি।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০১৬

খুব সহজে ঘরে তৈরি করে ফেলুন চকবার আইসক্রিম

ranna banna o beauty tips
চকবার আইসক্রিম
গরম হোক বা শীত সব ঋতুতে আইসক্রিম খাওয়া হয়ে থাকে। তবে গরমকালে এটি একটু বেশি খাওয়া হয়। কাঠফাটা রোদে একটু শীতল পরশ পেতে আইসক্রিমের জুড়ি নেই। চকবার আইসক্রিমটি ছোট বড় সবার বেশ প্রিয়। এই আইসক্রিমটি পছন্দের হলেও বাসায় তৈরির কথা সাধারণত কেউ চিন্তা করে না। এই মজাদার আইসক্রিমটি যদি বাসায় তৈরি করা যায়, তবে কেমন হয় বলুন তো? দারুন না। আজ তাহলে চকবার তৈরির রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।  

উপকরণ:

১ কাপ হুইপড ক্রিম
২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
১/২ কাপ চকলেট
১ এবং ৩/৪ কাপ দুধ
১/৫ কাপ গুঁড়ো দুধ

প্রণালী:

১। প্রথমে একটি পাত্রে হুইপড ক্রিম বিটার দিয়ে বিট করে নিন। এতে চিনি দিয়ে আবার বিট করুন।
২। ক্রিম ভাল করে বিট করা হলে এতে ভ্যানিলা এসেন্স, গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে নিন।
৩। তারপর এতে তরল দুধ দিয়ে আবার ভালো করে মেশান।
৪। মিশ্রণটি ফ্রিজে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা রেখে দিন।
৫। আরেকটি পাত্রে চকলেট চুলায় দিয়ে গলিয়ে নিন।
৬। আইসক্রিমের ছাঁচে গলানো চকলেট চামচ দিয়ে ভাল করে লাগিয়ে নিন। আপনি চাইলে এতে বাদাম কুচি দিয়ে দিতে পারেন।
৭। এর ভেতর হুইপড ক্রিম দিয়ে দিন। খুব বেশি পরিমাণে হুইপড ক্রিম দিবেন না।
৮। এর মাঝে কাঠি দিয়ে দিন।
৯। আইসক্রিমের ছাঁচ ৩ থেকে ৪ ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন।
১০। পরিবেশনের সময় আইসক্রিমের ছাঁচটি সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে আইসক্রিম সহজে ছাঁচ থেকে বের হয়ে আসবে।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

ভিন্ন স্বাদে জিভে জল আনা প্রন স্প্যাগেটি

ranna banna o beauty tips
ভিন্ন স্বাদে জিভে জল আনা প্রন স্প্যাগেটি
স্প্যাগেটি খাবারটি আজকাল আমাদের দেশেও খুব জনপ্রিয়। বিফ কিংবা চিকেন নয়, স্বাদ বদলে চলুন চেখে দেখি প্রন স্প্যাগেটির স্বাদ। জেনে নিই শৌখিন রন্ধনশিল্পী সায়মা সুলতানার রেসিপি।

যা লাগবে 

স্প্যাগেটি সিদ্ধ করে নেয়া ১৫০ গ্রাম
খোসা ছাড়ানো চিংড়ি হাফ কাপ
রশুন কুচি ১ টেবল চামচ
শুকনা মরিচ টালা হাফ চা চামচ
ড্রাই পার্সলে ২ চা চামচ (সুপার শপ এ পাবেন)
গোল মরিচ ফাকি হাফ চা চামচ
ময়দা ২ চা চামচ
মাখন ২ চা চামচ
লবন পরিমাণ মত

প্রনালি

-প্রথমে প্যানে মাখন দিয়ে তাতে রশুন কুচি দিন ,সাথে দিন খোসা ছাড়ানো চিংড়ি, শুকনা মরিচ টালা। 
-নাড়াচাড়া করে এতে ময়দা আর ১/৪ কাপ পানি দিয়ে রান্না করুন ৩ থেকে ৫ মিনিট। 
-এই মিশ্রণ টা যখন ঘন হয়ে সস এর মত হতে থাকবে তখন একে একে সিদ্ধ করে নেয়া স্প্যাগেটি, গোল মরিচ ফাঁকি, লবণ পরিমাণ মত দিয়ে নাড়াচাড়া করে রান্না করুন ৩ থেকে ৪ মিনিট ।
-নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন এই ইজি প্রন স্প্যাগেটি ! সাথে কিছু পছন্দ মত সিদ্ধ সবজিও জুড়ে দিতে পারেন।

গরমে স্বাস্থ্যকর ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা স্মুদি

ranna banna o beauty tips
গরমে স্বাস্থ্যকর ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা স্মুদি
গ্রীষ্ম আসার আগেই ভীষণ ভ্যাপসা একটা গরম পড়ছে ইদানিং। একটু একটু বৃষ্টিতেও কমছে না সেই গরম। গরম কমানোর সবচাইতে মজাদার উপায় হলো মুখরোচক, বরফ শীতল পানীয়। তাই বলে কী প্রচুর চিনি, কৃত্রিম রং আর স্বাদে ভরা পানীয় পান করবেন? মোটেই না। একই সাথে গরম কমাবে এবং স্বাস্থ্যটাকেও ঠিক রাখবে এমন একটি পানীয় হলো স্মুদি। চলুন আজ দেখে নেই একই সাথে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু একটি স্মুদির রেসিপি। ঘরে থাকা উপাদান দিয়েই খুব কম সময়ে এই স্মুদি তৈরি হয়ে যাবে।

উপকরণ:

- ৫/৬ টা মাঝারি টমেটো
- ২টা মাঝারি গাজর
- ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
- ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
- লবণ স্বাদমতো
- ১ ইঞ্চি পরিমাণ সেলেরি (ইচ্ছা)

প্রণালী:

১) প্রথমে টমেটোগুলোকে ধুয়ে টুকরো করে নিন। গাজরগুলোকে ধুয়ে চাক চাক করে কেটে নিন। ১ ইঞ্চি পরিমাণ সেলেরি স্টিক কুচি করে কেটে নিন।
২) এবার একটা ব্লেন্ডার টমেটো, গাজর, সেলেরি, গোলমরিচ, লেবুর রস এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে নিন। ব্লেন্ড করুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি মিহি হয়ে আস।
এবার এই স্মুদি পছন্দের একটি গ্লাসে ঢেলে নিন। ওপরে গোলমরিচ গুঁড়ো এবং সেলেরি স্টিক দিয়ে সাজিয়ে নিজেও উপভোগ করতে পারেন, অন্যকেও পরিবেশন করতে পারেন।
ভালো করে বুঝতে দেখে নিতে পারেন রেসিপির ভিডিওটি-


টিপস

- স্মুদি ঠাণ্ডা করার জন্য ফ্রিজে রাখতে পারেন। অথবা ফ্রিজে রাখা টমেটো ব্যবহার করতে পারেন ব্লেন্ড করার সময়ে। সব উপকরণের সাথে বরফের টুকরো ব্লেন্ড করে নিলেও দারুণ একটা ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা স্বাদ আসবে এই স্মুদিতে।



মুখরোচক খাবার "ক্যাবেজ রোল ইন চিনি সস"

ranna banna o beauty tips
"ক্যাবেজ রোল ইন চিনি সস"
ফুরিয়ে যাচ্ছে বাঁধাকপির মৌসুম। এর আগেই চলুন চেখে দেখেই বাঁধাকপির একটি অসাধারণ খাবার। আর দারুণ এই রেসিপিটি দিচ্ছেন আফরোজা নাজনীন সুমি।   

 উপকরণ: 

বাঁধাকপির পাতা ভাপ দেয়া :  
৫টা  রান্না করা কিমা: 
১ কাপ চিলিসস: 
আধা কাপ পেঁয়াজ বাটা: 
১ টেবিল চামচ মরিচ গুঁড়া: 
১ চা চামচ আদা বাটা: 
আধা চা চামচ রসুন কুচি: 
আধা চা চামচ সয়াসস: 
১ চা চামচ তেল: 
পরিমানমত লবণ: 

প্রনালী:  

প্রথমেই ভাপ দেয়া বাঁধাকপির পাতার মাঝে রান্না করা কিমার পুর ভরে রোল করুন।  -এবার গরম তেলে রুসন কুচি ভেজে পেঁয়াজ বাটা, মরচিগুঁড়া, লবণ, আদা বাটা কষিয়ে সয়াসস, চিলিসস ও পানি দিন।  -এখন এরমধ্যে ক্যাবেজ রোলগুলো দিয়ে ঢেকে দিন।  মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন হট টমেটো সস দিয়ে ।

মাত্র ৪ ঘন্টায় তৈরি করে ফেলুন পারফেক্ট দই

ranna banna o beauty tips
মাত্র ৪ ঘন্টায় তৈরি করে ফেলুন পারফেক্ট দই 
পোলাও, বিরিয়ানি খাওয়ার পর দই হলে বেশ ভাল হয়। শুধু তাই নয় নানা রকম রান্না, সালাদে দই ব্যবহার করা হয়। যারা ডায়েট করছেন তাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় টক দই দেখতে পাওয়া যায়। টক দই খাবার হজম করতে সাহায্য করে এর সাথে শরীরে বাড়তি মেদ কমিয়ে দেয়। অনেকে দই ঘরে তৈরি করে থাকেন। তবে  তা ঠিক বাজারের দইয়ের মত হয় না। আসুন তাহলে বাজারের মত দই তৈরির রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ:

১/২ লিটার দুধ
১ টেবিল চামচ টকদই

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে মাঝারি আঁচে ১ থেকে ২ মিনিট দুধ জ্বাল হতে দিন। দুধ কুসুম গরম হয়ে আসলে এটি কিছুক্ষণ নাড়ুন। লক্ষ্য রাখবেন দুধ যেন খুব বেশি গরম না হয়ে যায়।
২। তারপর নামিয়ে ফেলুন।
৩। এখন যে বটিতে দই জমাবেন সেই বাটিতে এক টেবিল চামচ টকদই দিয়ে ছড়িয়ে দিন।
৪। এবার কুসুম কুসুম গরম দুধ বাটিতে ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৫। এখন এটি ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন।
৬। ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। ৪ ঘন্টার পর পেয়ে যান টক দই। পানিছাড়া একদম ঘন টকদই!

টিপস:

১। আপনি যদি লো ফ্যাট দুধ দিয়ে টকদই তৈরি করতে চান, তবে টকদইয়ে কিছুটা পানি উঠবে।
২। খুব দ্রুত টকদই জমাতে চাইলে ১.৫ টেবিল চামচ পর্যন্ত টক দই দিতে পারেন। এর বেশি টকদই ব্যবহার করলে দইটি বেশি টক হয়ে যাবে।
৩। মিষ্টি দই তৈরি করতে চাইলে ঠান্ডা দুধের সাথে চিনি মিশিয়ে নিবেন।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

সুস্বাদু ও রসালো মুরগির রোস্ট

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু ও রসালো মুরগির রোস্ট
কোনো উপলক্ষ্যে খাবার আয়োজন মানেই মুরগির রোস্ট। বাড়ির সদস্যদের বায়না মেটাতে ছুটির দিনটিও হয়ে যায় এমনই এক উপলক্ষ্য। বাড়িতে, অতিথির আপ্যায়নে বা রেস্টুরেন্টে খাওয়া একই রোস্টে থাকে স্বাদের ভিন্নতা। নিজের হাতে রান্না রোস্ট কোনো কোনোদিন একটু বেশিই ভালো লেগে যায়। রসালো এমন মুরগির রোস্টের নাম শুনতেই জিভে পানি চলে আসে যে কারো। কিন্তু নিশ্চিতভাবে সুস্বাদু এবং রসালো মুরগিরে রোস্ট করার কৌশল জানা থাকলে আর চিন্তা কি? আসুন এক নজরে শিখে নেয়া যাক।

যা যা লাগবে

রোস্টের আকারে চার টুকরো মুরগির মাংস, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, টকদই ২ টেবিল চামচ, নারিকেল বাটা ১ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, বড় এলাচ ১টি, ছোট এলাচ ৩টি, তেজপাতা ২টি, জিরা বাটা আধা টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ, ২ কাপ পানি, তেল, লবণ স্বাদমতো, লবঙ্গ ৪টি, দারুচিনি ২ টুকরা।

যেভাবে করতে হবে

মুরগিগুলো ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তেল, পেঁয়াজ আর পানি ছাড়া রান্না পাত্রে সব মসলা দিয়ে মাংস ভালো করে মেখে নিন। আধা ঘণ্টা রেখে পানিসহ পাত্রটি চুলোতে উঠিয়ে দিন। এবার অল্প আঁচে দশ মিনিট রান্না করতে হবে। তারপর আলাদা একটি কড়াইয়ে আধা কাপ তেল গরম করুন। তেল গরম হলে মংসগুলোকে ঝোল থেকে উঠিয়ে ভেজে নিতে হবে। মাংস বাদামী রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। ভাজা হলে মাংসগুলোকে আবার সে ঝোলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। মাংসে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে আবার দশ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন রসালো মুরগির রোস্ট।

সুস্বাদু ভর্তার পদ

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু ভর্তার পদ
ভর্তা ভাতে বাঙালির খাবার- এ আর নতুন কি? তবে খাবারের এই রীতির মধ্যে প্রচলিত আছে রকমারি ভর্তার পদ। সবার পক্ষে তাই সব ভর্তার পদ জানার কথা না। জানলেও তা অনেক সময় সুস্বাদু হয় না। তাই আজ শিখে নেব প্রচলিত কিছু ভর্তাকে সুস্বাদু করার কৌশল। আসছে পহেলা বৈশাখে সাদা ভাতের সঙ্গে রকমারি ভর্তার পদে যেন আপনিই সেরা থাকেন। বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে অতিথিদের বাহবা পেতেও সুস্বাদু এসব ভর্তার তুলনা হয় না।

বেগুন ভর্তা

উপকরণ
বড় গোলবেগুন ১টি, সরিষা বাটা ১ চা চামচ, নারকেল মিহি বাটা ২ চা চামচ, টমেটো কুঁচি১ কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ, মেথি আধা কাপ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে করবেন
বেগুনের গায়ে তেল মাখিয়ে পুড়িয়ে নিন। এবার পানিতে রেখে খোসা ছাড়িয়ে মেখে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে মেথি ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি দিতে হবে। পেঁয়াজ একটু নরম হলে টমেটো সরিষা, নারকেল, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে বেগুন দিন। কড়াইয়ের তলা ছেড়ে এলে এবং একটু আঠালো হলে নামিয়ে নিতে হবে। হয়ে গেল বেগুন ভর্তা।

মসুর ডালের ভর্তা

যা যা লাগবে
মসুর ডাল ১ কাপ, পানি ৩ থেকে সাড়ে ৩ কাপ, রসুন কুঁচি আধা চামচ, ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি ১ চা চামচ, লবণ আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ফালি ২টি, সরিষা তেল ১ চা চামচ।

যেভাবে করবেন
ডাল, রসুন আর পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ঘন থকথকে হলে নামিয়ে আনুন। এবার স্বাদমতো লবণ আর বাকি উপকরণ দিয়ে মেখে ভর্তা করে নিন। পছন্দের আচার দিয়েও এই ভর্তা খেতে বেশ দারুণ।

টমেটো ভর্তা

যা যা লাগবে
ছোট টমেটো ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ মিহি কুঁচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ২টা, ধনেপাতা কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ১ চা চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন
শুকনো মরিচ তাওয়ায় টেলে বিচিসহ গুঁড়ো করে নিতে হবে। টমেটোর গায়ে তেল লাগিয়ে তাওয়ার ওপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। মাঝারি আঁচে চুলায় তুলে সব দিক সমানভাবে পুড়িয়ে নিলে বেশি ভালো হবে। ঠাণ্ডা হলে খোসা ছাড়িয়ে চটকে পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ, তেল, চিনি, লেবুর রস, ধনেপাতা দিয়ে মেখে ভর্তা করতে হবে।

টাকি মাছের ভর্তা

যা যা লাগবে
টাকিমাছ ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ পাতা ২ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, ধনে বাটা ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, হলুদ গুড়া সামান্য, মরিচ বাটা আধা চা চামচ।

যেভাবে করবেন
মাছ সেদ্ধ করে কাটা বেছে ১ কাপ মেপে নিতে হবে। তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা বাদামী রঙ করে ভেজে বাটা মসলা ও সামান্য পানি দিয়ে কষাতে হবে। কষানো হলে পেয়াজ পাতাসহ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার মাছ এবং লবণ দিয়ে নাড়ুন শুকনা হওয়া পর্যন্ত। এবার চুলা থেকে নামিয়ে হাত দিয়ে গোল গোল বল বানিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার টাকি মাছের ভাজা ভর্তা।

লাউশাক ভর্তা

যা যা লাগবে
লাউয়ের পাতা ৬ থেকে ৭টা, নারিকেল কুরানো ৪ চা চামচ, সরিষা ২ চা চামচ, সেদ্ধ কাঁচামরিচ ২টা, প্রয়োজনমতো লবণ।

যেভাবে করবেন
লাউশাক ভালো করে ধুয়ে মরিচসহ সেদ্ধ করুন। শাক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার কুরানো নারিকেল, সরিষা, লবণ, সেদ্ধ করা শাক ও কাঁচামরিচসহ পাটায় পিষে ভর্তা তৈরি করুন। ব্যাস হয়ে গেল মজাদার লাউশাক ভর্তা।

মেহেদি পাতার ৭টি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
মেহেদি পাতার ৭টি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ব্যবহার
প্রাকৃতিকভাবে চুল রং করতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে মেহেদি পাতার জুড়ি নেই। মূলত চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া রোধ করতে মেহেদি ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু এই চুলের যত্ন ছাড়াও আরও কিছু কাজে মেহেদি ব্যবহার করা যায়। মেহেদির এমন কিছু ভিন্নধর্মী ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১। পায়ের জ্বলাপোড়া রোধ

তাজা মেহেদি পাতা ভিনেগারে ভিজিয়ে এক জোড়া মোজার ভিতরে রেখে দিন। এবার এই মোজাটি পায়ে সারারাত পরে থাকুন। এটি পায়ের জ্বলাপোড়া কমিয়ে দিবে অনেকখানি।

২। মাথাব্যথা হ্রাস করতে

মেহেদি গাছের ফুল মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। মেহেদি গাছের ফুল পেস্ট করে এর সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এটি কপালে অথবা ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এছাড়া আপনি মেহেদির পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন।

৩। মুখের ঘা ভাল করতে

এই মেহেদি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন, মাউতওয়াশ। মেহেদি পাতা গুঁড়ো পানিতে গুলিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি মুখের ঘা দ্রুত ভাল করে থাকে এবং মুখ জীবাণুমুক্ত করে তোলে।

৪। টাক পড়া রোধ

সরিষার তেলের সাথে কয়েকটি মেহেদি পাতা দিয়ে জ্বাল দিন। এটি ঠান্ডা হয়ে গেলে মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। এটি টাক পড়া প্রতিরোধ করবে।

৫। খুশকি দূর করতে

খুশকি চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই খুশকি দূর করতে মেহেদি বেশ কার্যকরী। সরিষা তেল, মেথি, মেহেদি পাতা সিদ্ধ একসাথে যোগ করে এটি চুলে ব্যবহার করুন। ১ ঘন্টার পর শ্যাম্পু করে নিন। এটি খুশকি দূর করে চুলকে করে তুলবে ঝলমলে সুন্দর।

৬। ঘামচির জ্বালাপোড়া রোধ করতে

মেহেদির পেস্ট পিঠ, ঘাড় এবং ঘামাচি আক্রান্ত অন্যান্য স্থানে লাগান। এটি ঘামচির চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হ্রাস করতে সাহায্য করবে।

৭। বাতের ব্যথা রোধে

বাত এবং বাতজনিত সবরকম ব্যথা দূর করতে মেহেদি তেল বেশ কার্যকর। ব্যথার স্থানে মেহেদি তেল ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। ভাল ফল পেতে এটি প্রতিদিন এক থেকে দুই মাস করুন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.