women লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
women লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬

খুশকির কারণে চুল পড়া রোধ করতে চান?

ranna banna o beauty tips
খুশকির কারণে চুল পড়া রোধ করতে চান?
চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে মনবল নষ্ট হয়ে যায় অনেকেরই। ভিটামিনের ঘাটতি থেকে শুরু করে জটিল কোন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে চুল পড়তে পারে। চুল পড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে খুশকি। কীভাবে খুশকির কারণে চুল পড়ে যায় এবং এই চুল পড়া প্রতিরোধের উপায় কী- তাই জানবো আজ।

অত্যধিক চুলকানো ও আঁচড়ানো

খুশকি চুল পড়ে যাওয়ার জন্য সরাসরি দায়ী নয়। খুশকির কারণে প্রচন্ড চুলকানি হয়। চুলকানি কমানোর জন্য চুল ঘন ঘন আঁচড়ানোর ফলে মাথার তালু শুষ্ক হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত ঘর্ষণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল পড়া শুরু হয়। মাথার তালুর শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল এবং চুলকানিও প্রতিরোধ করে।    

ডারমাটাইটিস

মাথার তালুতে ডারমাটাইটিস হতে পারে সাবান, ডিটারজেন্ট বা রাসায়নিকের ব্যবহারের ফলে। ডারমাটাইটিসের কারণেও খুশকি হতে পারে এবং চুল পড়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাটির সমাধানের জন্য একজন ডারমাটোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।

ত্বকের কোষের স্খলন

খুশকির কারণে মাথার তালুর কোষ অধিক পরিমাণে ঝরে যায়। যা চুল পড়ে যাওয়া এবং চুলের বৃদ্ধির উপর ও প্রভাব ফেলে। আপনি হয়তো খুশকি দূর করার জন্য অ্যান্টিডেন্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন। কিন্তু মাথার তালুর এক্সফলিয়েটিং করার মত গুরুত্বপূর্ণ ধাপটিই হয়তোবা বাদ দিয়ে যাচ্ছেন আপনি। চুল পড়া বন্ধ করা এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এক্সফলিয়েটিং স্কাল্প মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।

ওটমিলের ফেসপ্যাক   

খুশকি মুক্ত হতে এবং চুল পড়া প্রতিরোধে সাহায্য করে ওটমিলের হেয়ার প্যাক। ওটমিলের হেয়ার প্যাক তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন এবং লাগানোর উপায় :

-   ৪ টেবিলচামচ ওটমিলের সাথে দুই টেবিলচামচ দুধ এবং দুই টেবিলচামচ আমন্ড অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।

-   আপনার চুলগুলোকে জটমুক্ত করে নিন এবং ওটমিলের প্যাকটি মাথার তালুতে ও চুলে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

-   সপ্তাহে ১ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। অত্যধিক তেলের উৎপাদন ও খুশকি মুক্ত হতে সাহায্য করবে ওটমিলের প্যাকটি।  

মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫

৭টি কৌশলে হয়ে উঠুন পারফেক্ট গৃহিণী

ranna banna o beauty tips
৭টি কৌশলে হয়ে উঠুন পারফেক্ট গৃহিণী
অনেকের ধারণা গৃহিণী হওয়া অনেক সহজ কাজ। যে কেউই ভাল গৃহিণী হতে পারেন। কিন্তু এটি আসলে ভীষণ ভুল ধারণা। একজন গৃহিণীকে অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়, অনেক কিছু একসাথেই সামাল দিতে হয়।  একজন সুগৃহিণী সব সময় চাইবেন সঠিকভাবে তার পরিবার ও ঘর সামলাতে। কিন্তু নানা ঝামেলার কারণে ইচ্ছা থাকার সত্ত্বেও সব সময় সব কাজ করা ঠিকমত হয়ে উঠে না। যদি পারফেক্ট গৃহিণী হওয়ার কোন ফর্মুলা থাকতো তাহলে দারুন হতো, তাই না? ঠিক ফর্মুলা না হলেও কিছু কৌশলের কথা জানিয়েছে myshaadi, youngwifesguide. এবং virtuedigest থেকে।

১। মনস্থির করুন

“সবকিছুর আগে পরিবার তারপর আপনার অন্য কাজ”- এই কথাটি মনে গেঁথে নিন। তারপর আপনার সারাদিনের পরিকল্পনাগুলো করুন।

২। একটি লিস্ট তৈরি করুন 

প্রতিদিনকার কাজের লিস্ট তৈরি করে নিন। রান্না করা, পরিস্কার করা, কেনাকাটা এমনকি বাচ্চাদের ঘুরতে নিয়ে  যাওয়াসহ সকল কাজের  একটি লিস্ট তৈরি করে নিন। আপনার যদি নতুন বিয়ে হয়ে থাকে তবে, কী কী কাজ করতে হবে এবং কী কী কাজ আপনি শিখতে আগ্রহী তার একটি লিস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এটি আপনাকে কাজের  কথা মনে করিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে আপনার কাজকে সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করবে। কাজের সময় নির্দিষ্ট করে নিতে পারেন। যেমন আপনি ঠিক করে রাখতে পারেন ১৫ মিনিটে শোবার ঘরটি গোছাবেন। এতে কাজ করা সহজ হবে সাথে সময় ম্যানেজ করা হয়ে যাবে।

৩। ঘর গোছানো

ঘর প্রতিনিয়ত আগোছালো হয়ে থাকে। বিশেষ করে যদি ঘরে বাচ্চা থাকে তবে তো কোন কথা নেই! বাচ্চা হোক বড় ঘর অনেক বেশি আগোছালো থাকে। আপনাকে ঘর কোন জিনিসটি কোথায় রাখবেন তা আগে পরিকল্পনা করে রাখুন। এছাড়া ঘর আগোছালো হলে দ্রুত গোছানোর চেষ্টা করুন। পরে করব বলে রেখে দিলে দেখা যাবে ঘরটি আর গোছানো হয়ে উঠছে না। 

৪। ঘর পরিষ্কার রাখা

ঘর সবসময় পরিষ্কার রাখুন। একজন মানুষের পক্ষে একা ঘর পরিস্কার করা কঠিন। তাই ঘর পরিষ্কার করতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাহায্য নিন। বয়স অনুযায়ী ঘরের সদস্যদের মধ্যে কাজ ভাগ করে দিন। ঘর পরিষ্কার করার সাথে সাথে ঘর সাজানোর দিকে লক্ষ্য রাখবেন। তবে খেয়াল রাখবেন ঘর যেন অতিরিক্ত সাজানো না হয়ে যায়।

৫। নিজেকে সময় দিন

সংসারের কাজ করতে করতে নিজের কথা ভুলে গেলে চলবে না। একজন পারফেক্ট গৃহিণী ঘরে সব কাজ করে নিজের জন্য কিছু সময় বের করে রাখেন। দিনে কিছুটা সময় নিজেকে দিন। ত্বকের যত্ন করুন বা চুলের যত্ন। সম্ভব হলে কোন পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করে আসতে পারেন। মনে রাখবেন আপনি যদি সুস্থ সুন্দর থাকেন, তবে আপনার পরিবারও সুস্থ সুন্দর থাকবে। তারা আপনার উপর নির্ভরশীল।

৬। ইতিবাচক থাকুন

আপনি সব সময় ইতিবাচক মত পোষণ করুন। কারণ আপনার কাছ থেকে অন্যরা অনুপ্রাণিত হবে। তাই আপনাকে নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে হবে।

৭। মজার কিছু রান্না জানুন

কথিত আছে ছেলেদের হৃদয়ের রাস্তা পেট দিয়ে যায়। এই কথাটি আপনার বর এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য। নতুন কিছু খাবারের রেসিপি শিখে নিন। এই খাবারগুলো তৈরি করে চমকে দিন প্রিয় মানুষদেরকে।

 একজন পারফেক্ট গৃহিণী হওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। এর জন্য প্রয়োজন শুধু ইচ্ছা, পরিবারের প্রতি ভালোবাসা আর মমতা।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.