hair treatment লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
hair treatment লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬

রুক্ষ প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই ৫টি হেয়ারপ্যাক

ranna banna o beauty tips
রুক্ষ প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই ৫টি হেয়ারপ্যাক
ধুলোবালি, রোদ, হেয়ার ট্রিটমেন্ট বিভিন্ন কারণে চুল রুক্ষ, প্রাণহীন ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। রুক্ষ প্রাণহীন চুলে কোন হেয়ার স্টাইল  ভালো লাগে না। নিয়মিত চুলে ব্লো-ড্রাই, হেয়ার স্ট্রেটনার, রোলার ব্যবহার ও পার্ম করে আমরা নিজেরাই চুলের ক্ষতি করে যাচ্ছি। তবে এসব ছাড়াও সঠিক পরিচর্যার অভাবে চুলে রুক্ষভাব আসতে পারে। প্রাণহীন রুক্ষ চুলকে সিল্কি ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই প্যাকগুলো।

১। মধু, অলিভ অয়েল

এক টেবিল চামচ মধু, দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ ডিমের কুসুম একসাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ম্যাসাজ করে সম্পূর্ণ চুলে লাগান। ৩০ মিনিট চুলে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করবে।  

২। মধু এবং অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

১/৪ কাপ বিশুদ্ধ মধু এবং ১০ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার একসাথে মেশান। এটি চুলে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সম্ভব হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৩। টকদই এবং মধুর প্যাক

দুই টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক টেবিল চামচ মধু। সবগুলো উপাদান একসাথে মেশান। এবার এটি ম্যাসাজ করে সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৪। মধু এবং ভেজিটেবল অয়েল

মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। মধু আর ভেজিটেবল অয়েল চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি দিয়ে থাকে। দুই টেবিল চামচ মধু,  দুই টেবিল চামচ ভেজিটেবিল অয়েল মিশিয়ে নিন। এটি আপানার চুলে লাগিয়ে নিন। ১৫/২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

৫। মধু এবং কলার প্যাক

একটি পাকা কলা, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। চুল দুইভাগ করুন। তারপর এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। এটি চুলে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। কলা চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে শাইনি ঝলমলে করে তোলে।

মধু চুল আঠা আঠা করে তোলে। তাই শুধু মধু ব্যবহার না করে কোন না কোন উপাদানের সাথে মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। নিয়মিত এই প্যাকগুলো ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে সিল্কি এবং শাইনি।

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬

ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলুন ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাকের মাধ্যমে

ranna banna o beauty tips
ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলুন ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাকের মাধ্যমে
শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রোটিনের ভূমিকা সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানে। সুন্দর স্বাস্থ্যকর চুলের জন্যেও প্রোটিনের প্রয়োজন রয়েছে। আগা ফাটা, চুল পড়া, ক্ষতিগ্রস্ত চুলের সমস্যা সারিয়ে তুলতে প্রোটিন হেয়ার প্যাকের জুড়ি নেই। চুলের সমস্যা সামধানে অনেকেই পার্লারে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। কিন্তু সব সময় পার্লারে গিয়ে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করা সম্ভব হয় না। ঘরোয়া কিছু উপায়ে ঘরে করে ফেলতে পারেন পার্লারের মত প্রোটিন ট্রিটমেন্ট।

১। নারকেলের দুধ

নারকেলের দুধ প্রোটিনের অন্যতম উৎস। নারকেলের দুধ চুল শাইনি এবং স্ট্রং করে তোলে। কিছু পরিমাণ নারকেলের দুধ চুলের গোড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট এটি চুলে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তাৎক্ষনিক চুলের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

২। মেথি, দুধ এবং নারকেল তেলের প্যাক

৪ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়ো, ১/২ কাপ দুধ, ২ টেবিল চামচ টকদই, ৩ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ নারকেল তেল। গরম দুধে মেথি ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এবার এটি টকদই এবং নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে চুলটি ধুয়ে প্যাকটি লাগিয়ে ফেলুন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি চুল ধুয়ে ফেলুন।

৩। ডিমের হেয়ার প্যাক

১টি ডিম এবং ৫ চা চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। আপনার যদি তৈলাক্ত চুল হয়, তবে ডিমের সাদা অংশ, রুক্ষ চুল হলে ডিমের কুসুম আর নরমাল চুলের জন্য আপনি সম্পূর্ণ ডিম ব্যবহার করতে পারেন। ডিম আপনার চুলে পুষ্টি যোগায়। টকদই চুলকে সিল্কি, ঝলমলে করে তোলে।

৪। মেয়নিজ এবং অ্যাভোকাডো

মেয়নিজ ডিম এবং তেল দিয়ে তৈরি হওয়া এটি চুলের জন্য বেশ উপকারি। অ্যাভোকাডো চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা রোধ করে। দুই টেবিল চামচ মেয়নিজ এবং অর্ধেকটা অ্যাভোকাডো চটকে মিশিয়ে নিন। এটি সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার করুন। তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। ২০-৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৫। ডিম এবং মধুর প্যাক

ডিম এবং মধু ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলতে বেশ কার্যকর। এক চামচ মধু এবং দুটি ডিম একসাথে বিট করে মেশান। এটি মাথার তালুসহ সম্পূর্ণ চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে এর সাথে লেবুর রস মেশাতে পারেন। লেবুর রস খুশকি দূর করতে বেশ কার্যকর।

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করুন সহজ এবং কার্যকরী ৫ হেয়ার প্যাকে

ranna banna o beauty tips
চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করুন
লম্বা চুলের খুব সাধারণ একটি সমস্যা হল চুলের আগা ফাটা। চুলের আগা ফেটে দুই ভাগ হয়ে যাওয়াকে মূলত আগা ফাটা বলে। এর কারণে চুলে কোন হেয়ার স্টাইল যেমন মানায় না তেমনি চুল লম্বা হয় না। বিভিন্ন কারণে চুলের আগা ফাটতে পারে। অতিরিক্ত চুল ধোয়া, সূর্যের রশ্নি, ধুলা বালি, দূষণে চুল থাকা, অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার, গরম পানিতে চুল ধোঁয়া, চুলের যত্ন না নেওয়া, তেল না দেওয়া, কেমিক্যাল পণ্য অতিরিক্ত ব্যবহার করা ইত্যাদি চুলের আগা ফাটার অন্যতম কারণ। চুলের আগা ফাটা রোধ করার জন্য অনেক নামী দামী হেয়ার ট্রিটমেন্ট করে থাকেন, কিন্তু এতেও এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এই সমস্যার সহজ সমাধান পাবেন আপনার ঘরে! ঘরোয়া কিছু উপায়ে চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করে ফেলুন।

১। ডিম
চুলের আগা ফাটা রোধে সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল ডিম। ডিম, অলিভ অয়েল অথবা বাদাম তেল, মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এছাড়া একটি ডিম এক চামচ পানি দিয়ে ফেটে চুলে লাগিয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার করুন।

২। হট অয়েল ডিপ কন্ডিশনার
অলিভ অয়েল, বাদাম তেল, নারকেল তেল অথবা কাস্টার অয়েল কিছুক্ষণ গরম করে নিন। এটি চুলে ভাল করে ম্যাসাজ করে লাগান। ৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার করুন। এটি চুলে পুষ্টি যুগিয়ে চুলের আগা ফাটা রোধ করে দিবে।

৩। পেঁপে
পাকা পেঁপের সাথে আধা কাপ টকদই ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পেঁপেতে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং আরও অনেক ভিটামিন রয়েছে যা চুলকে নরম কোমল করার পাশাপাশি আগা ফাটা রোধ করে দিবে।

৪। কলা
একটি পাকা কলা, দুই টেবিল চামচ টকদই, গোলাপ জল এবং লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর প্যাকটি চুলে লাগিয়ে ফেলুন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন। কলার পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন এবং ভিটামিন সি, এ,ই চুলের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে আগা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে।

৫। মধু 
মধু এবং টকদই মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। জাদুকরী এই প্যাকটি দ্রুত চুলের আগা ফাটা দূর করে থাকে।

বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই স্ট্রেইট করুন আপনার চুল

ranna banna o beauty tips
ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই স্ট্রেইট করুন আপনার চুল
বেশির ভাগ মানুষই সোজা বা স্ট্রেইট চুল পছন্দ করে কারণ সোজা চুলে যে কোন ধরণের হেয়ার স্টাইল ভালো লাগে। সবাই সোজা চুল নিয়ে জন্মগ্রহণ করেনা। একেক জনের চুলের ধরণ একেক রকম হয়। বর্তমানে স্ট্রেইট চুলের ট্রেন্ড চলছে। তাই চুল স্ট্রেইট করার জন্য অনেকেই অনেক ধরণের রাসায়নিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। স্থায়ী ভাবে চুল সোজা করলেও সেটা এক বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে। এক বছর পর চুলের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়, চুলের আগা ফেটে যায় ও শক্ত হয়ে যায়। কিন্তু আপনার রান্নাঘরেই এমন কিছু উপাদান আছে যা প্রাকৃতিকভাবে ও স্থায়ীভাবে আপনার চুলকে স্ট্রেইট করতে পারে। ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপাদান আপনার চুলের কোন ক্ষতি করেনা। তাই ঘরেই ঝলমলে, উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যবান ও সোজা চুল পেতে তৈরি হয়ে যান, প্রচুর অর্থ খরচ করা ছাড়াই।
১। দুধ
দুধের প্রোটিন চুলকে মসৃণ ও সোজা করে এবং চুলের কোঁকড়ানো ভাব দূর করে। তাই সোজা চুল পেতে চাইলে দুধ দিয়ে চুল ভেজান এবং দুধে ভেজা চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়ান যাতে সব চুলে দুধ পৌঁছাতে পারে ও চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে শক্তিশালী করতে পারে। আধাঘন্টা এভাবে রেখে দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ভাবে চুলে দুধ ব্যবহার ও সতর্কতার সাথে চুল আঁচড়ানোর ফলে পার্লারের মতই স্ট্রেইট চুল পাবেন।
২। কুসুম গরম তেল
মাথার তালুতে তেল ম্যাসাজ করলে রক্তনালীর মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এতে চুলের মধ্য দিয়ে পুষ্টির প্রবাহও ঠিক ভাবে হয়। এর ফলে চুল চকচকে ও শক্তিশালী হয় এবং চুল জমাট বাঁধেনা। নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে এই সুফলগুলো পাওয়া যায়। অলিভ অয়েল চুলকে আর্দ্রতা প্রদান করে ও এটি খুব ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত কুসুম গরম তেল মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে ও চুল আঁচড়ালে চুল সোজা হয়।
৩। লেবুর রস ও নারিকেলের দুধ
লেবুর রস ও নারিকেলের দুধ প্রাকৃতিক ভাবে চুল সোজা করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। লেবুর রসের সাথে নারিকেলের দুধ মিশালে ক্রিম কন্ডিশনার তৈরি হয় যা চুলকে সোজা করতে সাহায্য করে।  লেবুর রসের সাথে নারিকেলের দুধ মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন এই প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করুন। আপনি নিজেই পরিবর্তন লক্ষ করবেন।
৪। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
সবচাইতে ক্ষমতাশালী চুল স্ট্রেইট করার উপাদান আছে আপেল সাইডার ভিনেগারে । চুলের স্বাভাবিক pH  স্তর পুনরুদ্ধার করার মাধ্যমে চুলকে স্ট্রেইট করে আপেল সাইডার ভিনেগার। এছাড়াও এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং মাথার তালুর ইনফেকশন দূর করে।
৫। দুধ ও মধু
ছাগলের দুধ চুল ও ত্বকের জন্য চমৎকার কাজ করে। ছাগলের দুধ পুষ্টিকর ও উপকারী উপাদানে ভরপুর। ছাগলের দুধের সাথে মধু মিশিয়ে চুলে লাগালে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং চুলকে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করার পাশাপাশি চুলকে সোজা করে।
৬। কাঠ বাদামের তেল
চুলের জন্য চমৎকার ভাবে কাজ করে কাঠ বাদামের তেল। এটি চুলকে শক্তিশালী, জড়তাহীন, মসৃণ ও উজ্জল করে। এতে প্রচুর ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আপনার ব্যবহৃত কন্ডিশনারের সাথে ৩-৪ ফোঁটা কাঠ বাদামের তেল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে তিনদিন এটি ব্যবহার করলে আপনার চুল ঝলমলে ও স্ট্রেইট হবে।
৭। ডিম ও চালের গুঁড়ো
ডিমের সাদা অংশের সাথে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে এর সাথে এক কাপ মুলতানি মাটি ভালো ভাবে মিশান। এই মাস্কটি চুলকে সোজা করে। মাস্কটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে চুল আঁচড়ান ও এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিবর্তন লক্ষ করবেন।
এছাড়াও চুল সোজা করার জন্য আরো যে উপাদান গুলো কাজ করে সেগুলো হল- অ্যালোভেরা, কলা ও পেঁপের মাস্ক, মিল্ক হেয়ার স্প্রে যা ঘরেই তৈরি করা যায়, সয়াবিন তেল, ক্যাস্টর অয়েল, মুলতানি মাটি ইত্যাদি।     

মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৬

শীতেও ঝলমলে চুল

ranna banna o beauty tips
শীতেও ঝলমলে চুল
কয়েক দিন ধরেই জেঁকে বসেছে শীত৷ এই সময় ঠান্ডা পানিতে চুল ভেজানো তো এক দুরূহ কাজই বটে৷ গোসল করতে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা হয়, তাতেও চুলের বারোটা বাজতে দেরি হয় না৷ স্বাভাবিকভাবেই চুলের তাপমাত্রার চেয়ে গরম পানির তাপমাত্রা বেশি হয়ে থাকে৷ যে কারণে চুল আরও শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে যায়৷ আবার নিয়মিত চুলটা না ধুলেও তো দেখা দেয় নানা সমস্যা৷ এ জন্য গোসলের আগে চুলে শাওয়ার ক্যাপ পরে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন হারমোনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা৷ তিনি বললেন, ‘গোসল শেষে কুসুম গরম পানিটাকে আরেকটু ঠান্ডা করে নিন৷ এবার শাওয়ার ক্যাপ খুলে ভালো করে চুলগুলোকে ধুয়ে নিন৷ সবশেষে এক মগ হালকা কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ ভিনেগার দিয়ে চুলগুলোকে আবারও ধুয়ে নিন৷ ভিনেগারের গন্ধ যাঁদের পছন্দ নয় তাঁরা অবশ্য লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন৷ এতে গরম পানিতে গোসল করলেও চুল আর রুক্ষ হওয়ার ভয় থাকবে না৷

যাঁদের চুল প্রকৃতিগতভাবেই একটু শুষ্ক প্রকৃতির শীতের সময়টা তাঁদের একটু বেশিই ঝামেলা পোহাতে হয়৷ কারণ ঠান্ডার সময় চুলে প্যাক লাগালে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ তাই শীতের সময় চুলের রুক্ষতা দূর করতে এমন প্যাক বেছে নিতে হবে যেগুলো ধুতে খুব বেশি পানির প্রয়োজন হয় না৷ শীতে চুলের যত্নে মেহেদির প্যাকগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো৷ এর পরিবর্তে যাদের চুল একটু লম্বা তারা সপ্তাহে এক দিন পরিমাণমতো দুধ, মধু আর লেবুর রস মিলিয়ে লাগাতে পারেন৷ একটা কলার সঙ্গে আধা কাপ টক দই ভালো করে পেস্ট করে লাগাতে পারেন মাঝারি দৈর্ঘ্যের চুলে৷ তবে যেকোনো প্যাক ব্যবহারের আগে তা হালকা গরম করে নিন৷ শীতের সময় কোনো প্যাকেই চুলে ২০ মিনিটের বেশি রাখবেন না৷ চুলে তেল লাগিয়ে সারা রাত রাখলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে৷ তাই তেল গরম করে নিয়ে গোসলের আধা ঘণ্টা আগে চুলে লাগান৷ এরপর শ্যাম্পু করে নিন৷ চুল ধুতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার-সমৃদ্ধ শ্যাম্পু বেছে নিন৷ শীতকালে চুল রুক্ষ হওয়া ছাড়াও আরেকটা সমস্যা বেশ দেখা দেয় অনেকের৷ তা হলো চুলের ডগা ফেটে যাওয়া৷ এদিকে আবার অনেকেরই ধারণা যে শীতে চুল কাটলে সেই চুল আর লম্বা হবে না৷
রাহিমা সুলতানা জানালেন, এটা একেবারেই একটা ভুল ধারণা৷ বরং শীতে আগা ছাঁটলেই চুল আরও সুন্দর করে বেড়ে ওঠে৷ তাই চুল ফেটে গেলে সঙ্গেই সঙ্গেই ছেঁটে ফেলার পরামর্শ দিলেন এই রূপবিশেষজ্ঞ৷

চুলের যত্নে যা করা দরকার

ranna banna o beauty tips
চুলের যত্নে যা করা দরকার
চুলের যত্নে এই প্যাক, সেই প্যাক—আরও নানা কিছু ব্যবহার করছেন, কিন্তু পরিচর্যার একদম প্রাথমিক কিছু ধাপেই যদি থেকে যায় গলদ, তা হলে কি চলে? ‘শ্যাম্পু করা, তেল দেওয়া—এসব তো রোজকার ঘটনা, এতে আর অত মনোযোগের কী প্রয়োজন’—এমন ভেবেছেন তো ভুল করেছেন। চুলের যত্নে খুব সাধারণ কিছু বিষয়ও জেনে নেওয়া জরুরি। কারণ, অনেক ভুল ধারণাও রয়েছে এসব নিয়ে। এ প্রসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন ও শারমিন কচি।
চুল কি রোজ ধুতে হবে?
রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, আমাদের দেশের আবহাওয়ায় প্রতিদিনই শ্যাম্পু করা উচিত। যাঁরা রোজ বাইরে যান, তাঁদের জন্য এটি অবশ্যই করণীয়। বাইরে বের না হলে ধুলাবালুতে চুল তেমন ময়লা হয় না। তাই সে ক্ষেত্রে এক দিন পরপর চুল পরিষ্কার করলেও কোনো ক্ষতি নেই। তবে চুল ও মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে বাইরে বের না হলেও প্রতিদিনই শ্যাম্পু করার পরামর্শ দেন তিনি। এই নিয়ম যেকোনো ঋতুতেই মেনে চলা উচিত। আর শ্যাম্পু কী পরিমাণে নিতে হবে, তা নির্ভর করবে চুলের ঘনত্ব ও দৈর্ঘ্যের ওপর। শ্যাম্পুর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে নিলে চুল পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে। শ্যাম্পু করতে হবে দুবার। অর্থাৎ একবার শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে আবার করতে হবে। শারমিন কচি বলেন, ‘শীতের সময় ধুলাবালুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় খুশকির সমস্যা বৃদ্ধি পায়, এ সময় তাই প্রতিদিন শ্যাম্পু করা উচিত।’
কন্ডিশনিং কয়বার
চুল বেশি শুষ্ক হলে প্রতিবার শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনিং করা উচিত। অবশ্য চুল তেলতেলে হলে কন্ডিশনার এড়িয়ে যাওয়া যায়। মিশ্র ধরনের চুল হলে এক দিন পরপর কন্ডিশনার করলেও চলবে। আর এটি চুলে লাগাতে হবে চুলের আগা থেকে ওপরের দিকে। গোড়ায় কোনোমতেই লাগানো যাবে না। কন্ডিশনার ব্যবহারের পরিমাণও নির্ভর করবে চুলের দৈর্ঘ্যের ওপর। ছোট চুল হলে কম, লম্বা হলে অপেক্ষাকৃত বেশি কন্ডিশনার নিতে হবে।
তেল কত দিন পরপর
চুলের পুষ্টি জোগাতে নিয়মিত তেল ব্যবহার করতে হয়। তবে কি শ্যাম্পুর মতো তেলও রোজ লাগাতে হবে? না, প্রতিদিন চুলে তেল দেওয়াটা জরুরি নয়। তবে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত এক দিন চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে তেল লাগাতেই হবে। চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হলে দুই দিন পরপর তেল ম্যাসাজ করা ভালো। তেল দিয়ে এক ঘণ্টার মতো রেখেই চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত চুল হলে এত ঘন ঘন তেল দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

যন্ত্রের ব্যবহার
চুল শুকাতে প্রায়ই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া স্টাইলিংয়ের জন্য আয়রন কিংবা কার্লারও ব্যবহার করেন অনেকে। তবে নিয়মিত চুলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা কি ঠিক? অথবা আয়রন বা হেয়ার কার্লারের মতো সরঞ্জাম ব্যবহার করলে চুলের কোনো ক্ষতি হয় কি না, প্রশ্ন করা হয়েছিল শারমিন কচি ও আফরোজা পারভীনের কাছে। উত্তরে তাঁরা দুজন একই মত জানান, খুব প্রয়োজন না হলে এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো, তবে একেবারে বাদও তো দেওয়া যাবে না। তাই চুলের ওপর দিয়ে এসবের ধকল গেলে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। নিয়মিত গরম তেল মালিশ এবং চুলের ধরন বুঝে হেয়ার প্যাকের ব্যবহারে চুলের এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। শারমিন কচি বলেন, গরম বাতাসের হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে ঠান্ডা বাতাসেরটি ব্যবহার করতে হবে। আর আয়রন বা হেয়ার কার্লারের তাপ চুলে লাগানোর পর বাড়ি ফিরে নিবিড় কন্ডিশনিং করতে হবে।

হেয়ার স্প্রে কি ক্ষতিকর?
চুল সেট করতে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে হতেই পারে। ভালো মানের হেয়ার স্প্রে চুলে রোজ ব্যবহার করলেও কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তবে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি এটি চুলে রাখা ঠিক হবে না। তেল দিয়ে স্প্রে তুলে ফেলে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। লক্ষ রাখবেন, ময়লা চুলে স্প্রে লাগাবেন না যেন। একইভাবে মুজ লাগানোর পরেও চুলের যত্ন নিন।

চুল রাঙাব কদিন বাদে?
আফরোজা পারভীনের মতে, যখনই মাথায় সাদা চুল দেখা যায়, তখনই চুলে রং করা যাবে। ফ্যাশনের জন্য হলে বছরে তিনবারের বেশি রং করা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, চুলে যেকোনো রাসায়নিকের ব্যবহারের পরেই বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার।’ এ প্রসঙ্গে রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘চুলে একবার রং করার পর ছয় মাসের মধ্যে পুনরায় রং করানো উচিত নয়। বছরে দুবারের বেশি রং করার দরকার নেই।’

বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৬

মেহেদি প্যাকে রেশম কোমল মজবুত চুল

ranna banna o beauty tips
মেহেদি প্যাকে রেশম কোমল মজবুত চুল
শীত এলেই চুলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। খুশকি, চুলের আগা ফাটা সর্বোপরি প্রচুর পরিমাণে চুল উঠে যাওয়া এখন যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। চুল পড়া রোধ করে চুলের গোড়া মজবুত করার কাজে মেহেদি ব্যবহার হয়ে আসছে আদিযুগ থেকে। চুলে মেহেদি অনেকভাবে লাগানো যায়। মেহেদির কিছু প্যাক আছে যা খুশকি দূর করে, গোড়া মজবুত করে এবং রেশম কোমল চুল উপহার দেয়। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু উপকারী মেহেদির প্যাক সম্পর্কে।

- ডিমের সাদা অংশ, অলিভ অয়েল এবং মেহেদি গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলের গোড়ায় খুব ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

- একটি লেবুর রস, চার টেবিল চামচ মেহেদির গুঁড়ো এবং পরিমাণমত টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলের গোঁড়া থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুল খুশকিমুক্ত এবং ঝরঝরে হবে।

- মেহেদি গুঁড়ো, লেবুর রস, এক টেবিলচামচ অলিভ অয়েল, সাদা ভিনেগার, মেথি গুঁড়ো এবং দুই টেবিল চামচ টকদই ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার প্যাকটি ১২ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। পরেরদিন সকালে এই প্যাকটি মাথায় ভালো করে লাগিয়ে নিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি খুশকি দূর করবে, চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে স্বাস্থ্যোজ্বল করে তুলবে।

- রাতে একটি পাত্রে সরিষা তেল গরম করে নিন। তারপর এতে কিছু তাজা মেহেদি পাতা এবং দুই চা চামচ মেথি দিয়ে রেখে দিন। পরেরদিন এটি ছেঁকে পাতা এবং তেল আলাদা করে নিন। এই তেলটি নিয়মিত চুলে ম্যাসাজ করে লাগান। এক ঘণ্টা এই তেল মাথায় রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে মেহেদির তেল ব্যবহারে চুল পড়া রোধ করবে এবং খুশকি দূর হবে।

বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

সিল্কি চুলের জন্য কার্যকরী প্যাক

ranna banna o beauty tips
সিল্কি চুলের জন্য কার্যকরী প্যাক
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুন্দর চুল চেহারার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় বহুগুনে। সে সৌন্দর্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে কেউ রাজি নয়। অথচ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে ভুলে যাই। আর তা হল চুলের সঠিক পুষ্টির যোগান দেয়া হয় না। সুন্দর সিল্কি চুল পেতে হাতের কাছে থাকা উপাদান দিয়েই করা যায় উপযুক্ত পরিচর্যা। শিখে নিতে পারেন এমন কিছু কার্যকরী হেয়ার প্যাক যা আপনার চুলকে করবে সুন্দর সিল্কি।

টক দই

চুলের গোড়াসহ সম্পূর্ণ চুলে ভালোভাবে টকদই লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি আপনার চুলকে সিল্কি, ঝলমলে এবং স্বাস্থ্যজ্বল করে তুলবে।

মধু ও অলিভ অয়েল

আপনার শুষ্ক মলিন চুলকে স্বাস্থ্যজ্বল করে তুলতে মধু ও অলিভ অয়েল প্যাকের জুড়ি নেই। এই প্যাকটি চুলের আগা ফাটা দূর করে। এটি চুল বড় হতে সাহায্য করে এবং সিল্কি ও মসৃণ করে।

কলার প্যাক

একটি পাকা কলা ব্লেন্ড করে পেষ্ট করে নিন। এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। চুলের গোঁড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে এই প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। কলার প্যাক চুলের গোঁড়া মজবুত করার পাশপাশি চুলকে সিল্কি, মসৃণ করে।

ডিম এবং চা

এই শীতে হঠাৎ করে চুল রুক্ষ্ম ও শুষ্ক হয়ে গেছে। তাই চুলকে সিল্কি করে তুলতে ডিম চায়ের প্যাকটি অনেক বেশি কার্যকর। ডিমের সাদা অংশ এবং চায়ের লিকার দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। ডিমের সাদা অংশ চুলের গোঁড়া থেকে পুষ্টি জোগায়। অপরদিকে চায়ের লিকার প্রাকৃতিকভাবে আপনার চুলকে সিল্কি করে তুলবে।

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

চুলের যত্নে মেহেদী

চুলের যত্নে মেহেদী
বহুকাল পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনো মেহেদী পাতার কদর কমেনি একটুও। এখনো সৌন্দর্য সচেতন নারীরা নিজের চুল গুলোকে সুন্দর ও ঝলমলে রাখার জন্য ব্যবহার করেন মেহেদী পাতা। জেনে নিন চুলের যত্নে মেহেদী পাতার কিছু ব্যবহার সম্পর্কে।

চুল পড়া কমাতে

অনেকেই চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন। যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে তারা চুল পড়া কমানোর জন্য মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন। মাসে দুই বার মেহেদী বাটা পুরো চুলে লাগিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। মেহেদীর সাথে আমলকীর গুড়া বা আমলকী বাঁটা মিশিয়ে নিলে আরো বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

কন্ডিশনার হিসেবে

কন্ডিশনার হিসেবে মেহেদীর জুড়ি নেই। দুই সপ্তাহ পরপর মেহেদী বাটার সাথে ডিমের সাদা অংশ ও কলা মিশিয়ে নিন। এরপর মিশণটি পুরো চুলে ভালো করে মেখে নিন। মাথায় শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। এভাবে একঘন্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়ম মেনে দুই সপ্তাহ পরপর ব্যবহার করলে চুলের ভঙ্গুর ভাব দূর হবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

চুল রাঙাতে

যাদের চুল পেকে গিয়েছে অথবা একটু একটু পাকা শুরু করেছে তারা বেশ দুশ্চিন্তায় থাকেন সাদা চুলগুলো নিয়ে। কিভাবে সাদা চুল ঢাকবেন তা নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। চুলের রং ব্যবহারেরও আছে নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই চুলের রঙও ব্যবহার করতে ইচ্ছে করে না। যারা এমন সমস্যায় আছেন তারা চুল রাঙাতে ব্যবহার করতে পারেন মেহেদী। মেহেদী পাতা বেঁটে চায়ের ঘন লিকার অথবা কফির লিকার মিশিয়ে নিন। এতে রং ভালো হবে।

খুশকির থেকে মুক্তি পেতে

খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও মেহেদীর জুড়ি নেই। যারা খুশকি সমস্যাতে আছেন তারা খুব সহজেই মেহেদী পাতা ব্যবহার করে খুশকির থেকে রেহাই পেতে পারবেন। মেহেদী বাঁটার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পুরো মাথায় মেখে রাখুন এক ঘন্টা। এরপর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মাসে দুইবার ব্যবহার করলে খুশকি থাকবে না।

আমাদের টিপস গুলো অবহেলা করবেন না। লাইক দিয়ে সব সময় এক্টিভ থাকুন।
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.