বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

ডিম ছাড়া ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি

Ranna banna o beauty tips
ডিম ছাড়া ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি
মিষ্টি খাবার খেতে যারা পছন্দ করেন তাদের কাছে ব্রাউনি বেশ পছন্দের একটি খাবার। ব্রাউনিপ্রেমীদের কাছে চকলেট ব্রাউনি বেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন তো আর বেকারীতে গিয়ে চকলেট ব্রাউনি খাওয়া সম্ভব হয় না। ঘরেই যদি তৈরি করা যায় পেস্ট্রিশপের স্বাদের চকলেট ব্রাউনি তাহলে কেমন হয়? দারুন তাই তো? আজ তাহলে শিখে নিন পেস্ট্রিশপের মত পারফেক্ট চকলেট ব্রাউনি তৈরির রেসিপিটি।

উপকরণ:

৮০ গ্রাম মাখন

১৮০ গ্রাম কনডেন্সড মিল্ক

৩০ গ্রাম টকদই

কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স

১৬০ গ্রাম ডার্ক চকলেট

১২৫ গ্রাম ময়দা

১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা

১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার

৫০ গ্রাম চকলেট চিপস

প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রি হিট করে রাখুন।

২। একটি পাত্রে গলানো মাখন এবং কনডেন্সড মিল্ক ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৩। এরসাথে টকদই এবং ভ্যানিলা এসেন্স ভাল করে ফেটে নিন।

৪। এবার এতে গলানো ডার্ক চকলেট ভাল করে মেশান।

৫। একটি পাত্রে ময়দা, বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে রাখুন।

৬। একটি চালনিতে আস্তে আস্তে চেলে টকদইয়ের মিশ্রণের সাথে মেশান।

৭। এরপর এতে চকলেটের টুকরো দিয়ে আবার মেশান।

৮। ওভেন ট্রেতে মাখন বা তেল লাগিয়ে নিন। তারউপর কিছুটা ময়দা ছিটিয়ে দিন।

৯। ব্রাউনি মিশ্রণটি ওভেন ট্রেতে ঢেলে ২০ মিনিট বেক করুন। নামানোর আগে টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করুন।

১০। ঠান্ডা হয়ে গেলে পছন্দমত আকৃতিতে কেটে নিন। আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চকলেট ব্রাউনি।

বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬

বর্ষাকালে চুলের যত্ন

ranna banna o beauty tips
বর্ষাকালে চুলের যত্ন
বর্ষাকালে বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকে বলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয় বেশি। অনেকেই মনে করেন যে গ্রীষ্মকালে চুলের ক্ষতি অধিক। কিন্তু না, বর্ষাকালে চুলের বাহিরের কিউটিক্যাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চুল হয়ে পরে ভঙ্গুর, রুক্ষ ও শুষ্ক। বর্ষাকালে চুলের সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞের মতামত জেনে নিই চলুন।

১। চুল শুষ্ক রাখুন 

বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু বৃষ্টিতে বার বার আপনার চুল ভেজানোটা মোটেও উপকারী নয়। বৃষ্টির পানি এসিডিক হয় এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার চুলের দুর্দশাই কেবল বৃদ্ধি করবে। বর্ষায় বাহিরে যাওয়ার পূর্বে আপনার চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।

২। সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু করুন

চুল ও মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বৃষ্টিতে ভেজার পরে গোসল করে নিন। বৃষ্টির পানি দীর্ঘক্ষণ আপনার মাথায় থাকলে তা চুলকানির সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি আপনার চুলে ব্যাকটেরিয়াল বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং খুশকিও হতে পারে। অনেক ধরণের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই উচিৎ এবং হেয়ার স্প্রে এড়িয়ে চলুন।

৩। অয়েল ম্যাসাজ

আপনার ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। আপনার পছন্দের যেকোন তেল আপনার চুলের গোঁড়ায় ভালোভাবে ম্যসাজ করে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন বা একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে নিন মাথায়। এতে  আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হবে এবং চুলের শুষ্কতা দূর হবে।

৪। হেয়ার স্টাইল করা এড়িয়ে চলুন

বর্ষাকালে হেয়ার স্টাইল চুলের শুধু ক্ষতিই করে। বর্ষায় খুব শক্ত করে চুল বাঁধতে অনুৎসাহিত করা হয় কারণ এতে বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লে তা আবদ্ধ হয়ে থাকে এবং চলের আর্দ্রতাও বৃদ্ধি পায়। এতে চুলে গন্ধ হয় এবং চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে। হালকা করে চুল বাঁধুন। বর্ষায় চুল ছেটে ছোট করে রাখতে পারেন, এতে চুল পরিষ্কার করা ও যত্ন নেয়া সহজ হবে।

৫। অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট কিনুন হুডিসহ  

বর্ষায় যেকোন সময় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হবেনা এমন মনে হলেও বাহিরে যাওয়ার সময় সাথে হুডিসহ অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট রাখুন। অনেকেই এটা পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে সাথে একটি ছাতা রাখুন। আজকাল অনেক ধরণের রঙ্গিন ও ছোট ছাতা পাওয়া যায় যা ব্যাগে রাখা সম্ভব।

৬। হেয়ার মাস্ক

ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক কোন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন সপ্তাহে অন্তত একদিন। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।  

৭। প্রোটিন খান

ডারমাটোলজিস্ট ও কসমেটোলজিস্ট ডা. অপর্ণা সান্তারাম বলেন, “বর্ষায় চুলকে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান”।

এছাড়াও প্রতিদিন তাজা ফল, বাদান ও সবুজ শাকসবজি এবং ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন। চুলে  কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার লাগানোর পর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান যতে সব জায়গায় কন্ডিশনার পৌঁছে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।


মজাদার ও স্বাস্থ্যকর "আপেলের চিপস"

ranna banna o beauty tips
মজাদার ও স্বাস্থ্যকর "আপেলের চিপস"
একটু বৃষ্টি বৃষ্টি দিনে চিপস খাওয়ার মজাই আলাদা। কিন্তু কী চিপস খাবেন? দোকান থেকে কেনা চিপসে কী কী উপাদান থাকে তা নিশ্চিত হবার কোনো উপায় নেই। বাড়িতেও পটেটো চিপস তৈরি করলে তাতে থাকে অনেকটা কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট। স্বাস্থ্যকর চিপস খেতে চাইলে তৈরি করে নিন দারুণ সুস্বাদু আপেলের চিপস।

উপকরণ
- ২টা বড় লাল আপেল
- আধা কাপ কাস্টর সুগার
- ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
- অল্প করে দারুচিনি গুঁড়ো

প্রণালী
১) প্রথমে সুগার সিরাপ তৈরি করুন। একটি নন-স্টিক প্যানে গরম করে নিন কাস্টর সুগার। আধা কাপ পানি দিন। মিশিয়ে গরম করুন যতক্ষণ না চিনি গলে যায়। আঁচ কমিয়ে ৪-৫ মিনিট রাখুন যাতে ঘন হয়ে আসে। আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।
২) আপেলগুলোকে চিকন করে স্লাইস করে নিন।
৩) আপেলের স্লাইসের ওপর অল্প করে লেবুর জুস মাখিয়ে নিন। এরপর চিনির সিরাপে ফেলে দিন। ভালো করে আপেলের স্লাইসে মাখিয়ে নিন সিরাপ। এভাবে সিরাপে ভিজতে দিন ১০-১৫ মিনিট।
৪) ওভেন প্রিহিট করে নিন ১৮০ ডিগ্রিতে। একটা বেকিং ট্রে তে সিলিকন ম্যাট মেলে নিন। এর ওপর আপেলের স্লাইসগুলোকে রাখুন। ওপরে দারুচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে নিন।
৫) আপেলের স্লাইসগুলোকে বেক করে নিন ৩০-৪০ মিনিট।

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

নেইল পলিশ রিমুভারে সতর্কতা

ranna banna o beauty tips
নেইল পলিশ রিমুভারে সতর্কতা
রং-বেরঙের নেইল পলিশ দিয়ে বেশ তো নখ রাঙাচ্ছেন! কখনো পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে, কখনও-বা ইচ্ছেমতো তুলির আঁচড়ে সেজে উঠছে নখ। রোজ তো আর এক পোশাকে বাইরে যাওয়া যায় না। তাই পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় নখের সাজও। ইন্টারনেট বলছে চীন দেশ থেকেই উদ্ভাবন হয়েছিল এই নখ রাঙানোর চল। এই যে একটার পর একটা রং দিয়ে নখের ক্যানভাসে নকশা করা, সেটার জন্য তো আগে নখটা পরিষ্কার থাকা চাই। নখে নেইল পলিশ দেওয়ার আগে তাই নখটা একেবারে সাদা করে নিতে হয়। একটা রং তুলে তারপর নতুন রং দেওয়ার জন্য ব্যবহার হয় নেইল পলিশ রিমুভার। নিয়মিত রিমুভার ব্যবহারে নখের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না তো?

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বেশিমাত্রায় রিমুভার ব্যবহারের কারণে আমাদের নখের এনামেলের পাশাপাশি চামড়ায়ও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। নেইল পেইন্ট রিমুভারগুলোতে সাধারণত অ্যাসিটোন নামের একধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকে। এ ছাড়া রিমুভার তৈরিতে অনেক সময় ইথাইল অ্যাসিটেট ব্যবহার করা হয়। তবে অ্যাসিটোনোর চাইতে ইথাইল অ্যাসিটেট কম সংবেদনশীল হওয়ায় ইথাইল অ্যাসিটেট দিয়ে তৈরি রিমুভার ব্যবহার করা ভালো। তাই রিমুভার কেনার সময় উপাদানের দিকেও খেয়াল করা উচিত।

বেশি বেশি রিমুভার ব্যবহার করলে আমাদের নখ ও চামড়ায় কী কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে, সে সম্পর্কে বললেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল ওয়াহাব। তিনি জানালেন, মাত্রাতিরিক্ত নেইল পলিশ ও নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহারের কারণে নখের স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে নখের এনামেল, যার প্রভাবে পাতলা হয়ে যেতে পারে হাত-পায়ের নখ। পাশাপাশি নখের পাশের ত্বকে প্রদাহজনিত রোগ ‘প্যারোনিকিয়া’ হতে পারে। ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও শক্ত। অনেক সময় হাত-পায়ের চামড়া উঠতে পারে।

বারবার রিমুভার ও নেইল পলিশ দেওয়ায় হারায় স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। কেননা, রিমুভারে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান হিসেবে যা থাকে, সেটা নখের স্বাভাবিক মসৃণতা বা উজ্জ্বলতা, কোনোটাই ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়।
রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বললেন, ‘নখের শুভ্রতা ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে হলে প্রতিবার রিমুভার ব্যবহারের পরে অবশ্যই কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে ভালোভাবে হাত-পা ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো চামড়া থেকে দূর হয়ে যাবে। ভালো করে হাত-পা পরিষ্কার করার পর পেট্রোলিয়াম জেলি, ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) বা জলপাইয়ের তেল লাগাতে পারেন। ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায় এমন কোনো ভালো ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগাতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ময়েশ্চারাইজিং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।’
নেইল পলিশ রিমুভারের ব্যবহার নিয়ে আফরোজা পারভীনের পরামর্শ হলো:
* মাসে দুবারের বেশি রিমুভার ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি বেশি প্রয়োজন পড়ে সেটা যেন ছয়বারের বেশি না হয়।
* একই ব্র্যান্ডের নেইল পলিশ ও রিমুভার ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো হয়।
* যত ভালো ব্র্যান্ডই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা প্রতি তিন মাস অন্তর পরিবর্তন করতে হবে। এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে আসে।
* রিমুভার লাগিয়ে কটন-বাড বা কটন-বলের সাহায্যে খুবই আলতো করে ঘষে নেইল পলিশ তুলতে হবে।
* সতর্কতার সঙ্গে যে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে, তা হলো রিমুভার ব্যবহারের সময় যেন তা নখের পাশের চামড়ায় না লাগে।

বৃষ্টিতে খিচুড়ি

সসেজ ভুনা খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
সসেজ ভুনা খিচুড়ি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল আধা কেজি, মসুর ডাল আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি দেড় টেবিল চামচ, সসেজ ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, এলাচ-দারুচিনি কয়েকটা, কারিপাতা ৮-১০টা, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি কয়েকটা, ঘি ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালি: সসেজ টুকরো করে ঘিতে ভেজে তুলে রাখুন। এবার পেঁয়াজ কুচি, কারিপাতা, গরম মসলা সামান্য ভেজে আদাবাটা, রসুনবাটা, হলুদের গুঁড়া, চাল ও ডাল দিয়ে ৫ মিনিটের মতো কষান, পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি কিছুটা কমে এলে সসেজ ঢেলে নেড়ে দিন। কাঁচা মরিচ দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে দিন। হয়ে গেলে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

পাঁচমিশালি ডালে নরম খিচুড়ি
পাঁচমিশালি ডালে নরম খিচুড়ি
উপকরণ: সেদ্ধ চাল দেড় কাপ, পাঁচমিশালি ডাল ১ কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, জিরার গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনের গুঁড়া আধা চা-চামচ, তেজপাতা ২টা, এলাচ ৩-৪টা, দারুচিনি ২-৩ টুকরা, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, বাগারের জন্য ঘি দেড় টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: চাল ও ডাল ধুয়ে আদাবাটা, রসুনবাটা, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, পেঁয়াজ, লবণ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে চুলায় দিন। চাল ও ডাল সেদ্ধ হয়ে ঘন হয়ে এলে ঘিতে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে ঢেলে দিন। কয়েকটা কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে নামিয়ে নিন। গরুর মাংসের সঙ্গে পরিবেশন করুন। 
মুগডালের সাদা খিচুড়ি
মুগডালের সাদা খিচুড়ি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ৫০০ গ্রাম, মুগডাল ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি দেড় টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, এলাচ, দারুচিনি কয়েকটা, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, কারিপাতা ৮-১০টা, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ৫-৬টা, লবঙ্গ ২-৩টা।
প্রণালি: মুগডাল অল্প আঁচে টেলে নিন। চাল ও ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। ঘিতে পেঁয়াজ, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি ও কারিপাতা ভাজুন। এবার আদাবাটা, রসুনবাটা, চাল ও ডাল দিয়ে কয়েক মিনিট কষান। সাড়ে তিন কাপ-আন্দাজ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে রাখুন। পানি কমে এলে নেড়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে মৃদু আঁচে ঢেকে দিন। হয়ে গেলে ভাজা ডিমের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
সবজির বিন্নি খিচুড়ি
সবজির বিন্নি খিচুড়ি
উপকরণ: বিন্নি চাল ২ কাপ, মসুর ডাল ১ কাপ, বিভিন্ন রকম সবজি আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চ-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা কয়েকটা, ঘি ৩ টেবিল চামচ, পানি সাড়ে তিন কাপ
প্রণালি: বিন্নি চাল ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ফুলে ওঠার পর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। বিভিন্ন রকম সবজি ছোট ছোট টুকরো করে নিন। পাত্রে ঘি গরম করে পেঁয়াজ ও গরম মসলা ভেজে সবজি আদা ও রসুনবাটা দিয়ে সামান্য ভেজে নিন। এবার চাল ও ডাল ঢেলে কয়েক মিনিট ভাজুন। পানি দিয়ে ঢেকে দিন। প্রথমে মাঝারি ও পরে মৃদু আঁচে রান্না করুন।
কলিজার ঝাল খিচুড়ি
কলিজার ঝাল খিচুড়ি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, ডাল সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, কলিজা ১ কাপ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনের গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ কয়েকটা, কাবাব চিনি ৪টা, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ, ঘি বা তেল ৩ টেবিল চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: চাল ও ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কলিজা ছোট ছোট টুকরো করে সেদ্ধ করে নিন। ঘিতে পেঁয়াজ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ, আদা, রসুনবাটা ও সেদ্ধ কলিজা দিয়ে নাড়ুন। চাল ও ডাল দিয়ে কষান, পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে দিন। পানি কিছুটা কমে এলে সব গুঁড়া মসলা দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। মৃদু আঁচে রাখুন। খিচুড়ি হয়ে গেলে সালাদের সঙ্গে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬

চুল সিল্কি, খুশকিমুক্ত করবে বেসনের ৪ প্যাক

ranna banna o beauty tips
চুল সিল্কি, খুশকিমুক্ত করবে বেসনের ৪ প্যাক
রূপচর্চায় বেসনের ব্যবহার সেই আদিকাল থেকে হয়ে আসছে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ব্রণ, রোদে পোড়া দাগসহ ত্বকের কালো দাগ দূর করতে বেসনের প্যাক অনেক বেশি কার্যকর। বেসন শুধু ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হয়, তা কিন্তু নয় চুল ঝলমলে, সিল্কি করতে বেসনের জুড়ি নেই। বেসনের প্যাক চুলকে করে তুলে ঝলমলে, সিল্কি এবং স্বাস্থ্যোজ্বল। কীভাবে? জেনে নিন বেসনের কিছু কার্যকরী হেয়ার প্যাক।

১। চুলের গোড়া মজবুত করতে

৩ টেবিল চামচ বেসন

১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

১ টেবিল চামচ লেবুর রস

টকদই পরিমাণমত

টকদই, বেসন, লেবুর রস এবং অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। বেসন চুলের গোড়া মজবুত করে চুল সিল্কি করে তোলে।

২। চুলকে সিল্কি ও শাইনি করতে

১ টি ডিমের সাদা অংশ

২ টেবিল চাচামচ বেসন

১ চা চামচ টকদই

১/২ চাচামচ লেবুর রস

এই সবগুলো উপাদান দিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এরপর চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।এই হেয়ার প্যাকটি নিয়মিত করাতে চুল হয়ে উঠবে সিল্কি, শাইনি স্বাস্থ্যজ্জল ও সুন্দর।

৩। চুলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে

৪ চা চামচ বেসন

২ চা চামচ আমন্ড অয়েল

৬ চা চামচ টক দই

২ চা চামচ অলিভ অয়েল

সবগুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি চুলের গোড়ায় ভালো মতো লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার প্যাকটি ব্যবহার করুন। আর চুল যদি বেশি শুষ্ক এবং ড্যামেজ হয়ে থাকে তাহলে এর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল যোগ করতে পারেন। এই প্যাকটি আপনার চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতে সাহায্য করবে। চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর সাথে ১ বা ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪। শুষ্ক এবং খুশকি আক্রান্ত চুলের জন্য

বেসন

টকদই

বেসন এবং টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে করবে খুশকি মুক্ত।  

খুব সহজে ঝটপট তৈরি করে ফেলুন জিলাপি

ranna banna o beauty tips
খুব সহজে ঝটপট তৈরি করে ফেলুন জিলাপি
ইফতারে পরিচিত একটি খাবার হল জিলাপি। প্রায় সব বাসাতে ইফতারে জিলাপি রাখা হয়। ঝামেলার কারণে জিলাপি তৈরি করতে জানলেও অনেকে তৈরি করতে চান না। এইবার খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারবেন জিলাপি। ঝটপট কম সময়ে ইফতারে তৈরি করে নিন মজাদার জিলাপি।

উপকরণ:

সিরা তৈরির জন্য

৩ কাপ পানি
৩ কাপ চিনি
৮-১০টি জাফরান
২-৩ ফোঁটা খাওয়ার রং
জিলাপির ব্যাটার তৈরির জন্য

১ কাপ ময়দা
১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার
২ টেবিল চামচ ঘন টকদই
পানি
তেল
প্রণালী:

১। প্রথমে চিনির সিরা তৈরি করার জন্য পানি, চিনি এবং জাফরান মিশিয়ে নিন।

২। উচ্চ তাপে সিরা জ্বাল দিন। যেন চিনি সম্পূর্ণভাবে গলে যায়। চিনির সিরাটি যেন পাতলা না হয়, কিছুটা ঘন থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

৩। চিনির সিরা ঘন হয়ে আসলে এতে খাবারের রং মিশিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

৪। এবার একটি পাত্রে ময়দা, বেকিং পাউডার এবং টকদই একসাথে মেশান।

৫। এরসাথে অল্প পরিমাণ পানি মিশিয়ে কিছুটা ঘন করুন (ভিডিও অনুযায়ী)। ব্যাটার খুব বেশি পাতলা অথবা ঘন যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

৬। এবার মাঝারি আঁচে চুলায় তেল গরম করতে দিন। তেল যেন খুব বেশি গরম না হয়।

৭। কেচাপের বোতলে জিলাপির মিশ্রণটি ঢেলে নিন।

৮। তারপর গোল গোল (ভিডিও অনুযায়ী) করে জিলাপি তেলে দিন।

৯। বাদামী রং হয়ে আসলে তেল থেকে নামিয়ে সাথে সাথে গরম চিনির সিরায় দিয়ে দিন।

১০। এক মিনিট চিনির সিরায় রেখে নামিয়ে ফেলুন।

১১। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার জিলাপি।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.