মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০১৬

মাত্র ৪ ঘন্টায় তৈরি করে ফেলুন পারফেক্ট দই

ranna banna o beauty tips
মাত্র ৪ ঘন্টায় তৈরি করে ফেলুন পারফেক্ট দই 
পোলাও, বিরিয়ানি খাওয়ার পর দই হলে বেশ ভাল হয়। শুধু তাই নয় নানা রকম রান্না, সালাদে দই ব্যবহার করা হয়। যারা ডায়েট করছেন তাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় টক দই দেখতে পাওয়া যায়। টক দই খাবার হজম করতে সাহায্য করে এর সাথে শরীরে বাড়তি মেদ কমিয়ে দেয়। অনেকে দই ঘরে তৈরি করে থাকেন। তবে  তা ঠিক বাজারের দইয়ের মত হয় না। আসুন তাহলে বাজারের মত দই তৈরির রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ:

১/২ লিটার দুধ
১ টেবিল চামচ টকদই

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে মাঝারি আঁচে ১ থেকে ২ মিনিট দুধ জ্বাল হতে দিন। দুধ কুসুম গরম হয়ে আসলে এটি কিছুক্ষণ নাড়ুন। লক্ষ্য রাখবেন দুধ যেন খুব বেশি গরম না হয়ে যায়।
২। তারপর নামিয়ে ফেলুন।
৩। এখন যে বটিতে দই জমাবেন সেই বাটিতে এক টেবিল চামচ টকদই দিয়ে ছড়িয়ে দিন।
৪। এবার কুসুম কুসুম গরম দুধ বাটিতে ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৫। এখন এটি ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন।
৬। ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। ৪ ঘন্টার পর পেয়ে যান টক দই। পানিছাড়া একদম ঘন টকদই!

টিপস:

১। আপনি যদি লো ফ্যাট দুধ দিয়ে টকদই তৈরি করতে চান, তবে টকদইয়ে কিছুটা পানি উঠবে।
২। খুব দ্রুত টকদই জমাতে চাইলে ১.৫ টেবিল চামচ পর্যন্ত টক দই দিতে পারেন। এর বেশি টকদই ব্যবহার করলে দইটি বেশি টক হয়ে যাবে।
৩। মিষ্টি দই তৈরি করতে চাইলে ঠান্ডা দুধের সাথে চিনি মিশিয়ে নিবেন।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

সুস্বাদু ও রসালো মুরগির রোস্ট

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু ও রসালো মুরগির রোস্ট
কোনো উপলক্ষ্যে খাবার আয়োজন মানেই মুরগির রোস্ট। বাড়ির সদস্যদের বায়না মেটাতে ছুটির দিনটিও হয়ে যায় এমনই এক উপলক্ষ্য। বাড়িতে, অতিথির আপ্যায়নে বা রেস্টুরেন্টে খাওয়া একই রোস্টে থাকে স্বাদের ভিন্নতা। নিজের হাতে রান্না রোস্ট কোনো কোনোদিন একটু বেশিই ভালো লেগে যায়। রসালো এমন মুরগির রোস্টের নাম শুনতেই জিভে পানি চলে আসে যে কারো। কিন্তু নিশ্চিতভাবে সুস্বাদু এবং রসালো মুরগিরে রোস্ট করার কৌশল জানা থাকলে আর চিন্তা কি? আসুন এক নজরে শিখে নেয়া যাক।

যা যা লাগবে

রোস্টের আকারে চার টুকরো মুরগির মাংস, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, টকদই ২ টেবিল চামচ, নারিকেল বাটা ১ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, বড় এলাচ ১টি, ছোট এলাচ ৩টি, তেজপাতা ২টি, জিরা বাটা আধা টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ, ২ কাপ পানি, তেল, লবণ স্বাদমতো, লবঙ্গ ৪টি, দারুচিনি ২ টুকরা।

যেভাবে করতে হবে

মুরগিগুলো ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তেল, পেঁয়াজ আর পানি ছাড়া রান্না পাত্রে সব মসলা দিয়ে মাংস ভালো করে মেখে নিন। আধা ঘণ্টা রেখে পানিসহ পাত্রটি চুলোতে উঠিয়ে দিন। এবার অল্প আঁচে দশ মিনিট রান্না করতে হবে। তারপর আলাদা একটি কড়াইয়ে আধা কাপ তেল গরম করুন। তেল গরম হলে মংসগুলোকে ঝোল থেকে উঠিয়ে ভেজে নিতে হবে। মাংস বাদামী রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। ভাজা হলে মাংসগুলোকে আবার সে ঝোলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। মাংসে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে আবার দশ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন রসালো মুরগির রোস্ট।

সুস্বাদু ভর্তার পদ

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু ভর্তার পদ
ভর্তা ভাতে বাঙালির খাবার- এ আর নতুন কি? তবে খাবারের এই রীতির মধ্যে প্রচলিত আছে রকমারি ভর্তার পদ। সবার পক্ষে তাই সব ভর্তার পদ জানার কথা না। জানলেও তা অনেক সময় সুস্বাদু হয় না। তাই আজ শিখে নেব প্রচলিত কিছু ভর্তাকে সুস্বাদু করার কৌশল। আসছে পহেলা বৈশাখে সাদা ভাতের সঙ্গে রকমারি ভর্তার পদে যেন আপনিই সেরা থাকেন। বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে অতিথিদের বাহবা পেতেও সুস্বাদু এসব ভর্তার তুলনা হয় না।

বেগুন ভর্তা

উপকরণ
বড় গোলবেগুন ১টি, সরিষা বাটা ১ চা চামচ, নারকেল মিহি বাটা ২ চা চামচ, টমেটো কুঁচি১ কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ, মেথি আধা কাপ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।

যেভাবে করবেন
বেগুনের গায়ে তেল মাখিয়ে পুড়িয়ে নিন। এবার পানিতে রেখে খোসা ছাড়িয়ে মেখে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে মেথি ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি দিতে হবে। পেঁয়াজ একটু নরম হলে টমেটো সরিষা, নারকেল, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে বেগুন দিন। কড়াইয়ের তলা ছেড়ে এলে এবং একটু আঠালো হলে নামিয়ে নিতে হবে। হয়ে গেল বেগুন ভর্তা।

মসুর ডালের ভর্তা

যা যা লাগবে
মসুর ডাল ১ কাপ, পানি ৩ থেকে সাড়ে ৩ কাপ, রসুন কুঁচি আধা চামচ, ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি ১ চা চামচ, লবণ আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ফালি ২টি, সরিষা তেল ১ চা চামচ।

যেভাবে করবেন
ডাল, রসুন আর পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ঘন থকথকে হলে নামিয়ে আনুন। এবার স্বাদমতো লবণ আর বাকি উপকরণ দিয়ে মেখে ভর্তা করে নিন। পছন্দের আচার দিয়েও এই ভর্তা খেতে বেশ দারুণ।

টমেটো ভর্তা

যা যা লাগবে
ছোট টমেটো ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ মিহি কুঁচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ২টা, ধনেপাতা কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ১ চা চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন
শুকনো মরিচ তাওয়ায় টেলে বিচিসহ গুঁড়ো করে নিতে হবে। টমেটোর গায়ে তেল লাগিয়ে তাওয়ার ওপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। মাঝারি আঁচে চুলায় তুলে সব দিক সমানভাবে পুড়িয়ে নিলে বেশি ভালো হবে। ঠাণ্ডা হলে খোসা ছাড়িয়ে চটকে পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ, তেল, চিনি, লেবুর রস, ধনেপাতা দিয়ে মেখে ভর্তা করতে হবে।

টাকি মাছের ভর্তা

যা যা লাগবে
টাকিমাছ ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ পাতা ২ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, ধনে বাটা ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, হলুদ গুড়া সামান্য, মরিচ বাটা আধা চা চামচ।

যেভাবে করবেন
মাছ সেদ্ধ করে কাটা বেছে ১ কাপ মেপে নিতে হবে। তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা বাদামী রঙ করে ভেজে বাটা মসলা ও সামান্য পানি দিয়ে কষাতে হবে। কষানো হলে পেয়াজ পাতাসহ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার মাছ এবং লবণ দিয়ে নাড়ুন শুকনা হওয়া পর্যন্ত। এবার চুলা থেকে নামিয়ে হাত দিয়ে গোল গোল বল বানিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার টাকি মাছের ভাজা ভর্তা।

লাউশাক ভর্তা

যা যা লাগবে
লাউয়ের পাতা ৬ থেকে ৭টা, নারিকেল কুরানো ৪ চা চামচ, সরিষা ২ চা চামচ, সেদ্ধ কাঁচামরিচ ২টা, প্রয়োজনমতো লবণ।

যেভাবে করবেন
লাউশাক ভালো করে ধুয়ে মরিচসহ সেদ্ধ করুন। শাক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার কুরানো নারিকেল, সরিষা, লবণ, সেদ্ধ করা শাক ও কাঁচামরিচসহ পাটায় পিষে ভর্তা তৈরি করুন। ব্যাস হয়ে গেল মজাদার লাউশাক ভর্তা।

মেহেদি পাতার ৭টি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
মেহেদি পাতার ৭টি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ব্যবহার
প্রাকৃতিকভাবে চুল রং করতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে মেহেদি পাতার জুড়ি নেই। মূলত চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া রোধ করতে মেহেদি ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু এই চুলের যত্ন ছাড়াও আরও কিছু কাজে মেহেদি ব্যবহার করা যায়। মেহেদির এমন কিছু ভিন্নধর্মী ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১। পায়ের জ্বলাপোড়া রোধ

তাজা মেহেদি পাতা ভিনেগারে ভিজিয়ে এক জোড়া মোজার ভিতরে রেখে দিন। এবার এই মোজাটি পায়ে সারারাত পরে থাকুন। এটি পায়ের জ্বলাপোড়া কমিয়ে দিবে অনেকখানি।

২। মাথাব্যথা হ্রাস করতে

মেহেদি গাছের ফুল মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। মেহেদি গাছের ফুল পেস্ট করে এর সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এটি কপালে অথবা ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এছাড়া আপনি মেহেদির পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন।

৩। মুখের ঘা ভাল করতে

এই মেহেদি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন, মাউতওয়াশ। মেহেদি পাতা গুঁড়ো পানিতে গুলিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি মুখের ঘা দ্রুত ভাল করে থাকে এবং মুখ জীবাণুমুক্ত করে তোলে।

৪। টাক পড়া রোধ

সরিষার তেলের সাথে কয়েকটি মেহেদি পাতা দিয়ে জ্বাল দিন। এটি ঠান্ডা হয়ে গেলে মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। এটি টাক পড়া প্রতিরোধ করবে।

৫। খুশকি দূর করতে

খুশকি চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই খুশকি দূর করতে মেহেদি বেশ কার্যকরী। সরিষা তেল, মেথি, মেহেদি পাতা সিদ্ধ একসাথে যোগ করে এটি চুলে ব্যবহার করুন। ১ ঘন্টার পর শ্যাম্পু করে নিন। এটি খুশকি দূর করে চুলকে করে তুলবে ঝলমলে সুন্দর।

৬। ঘামচির জ্বালাপোড়া রোধ করতে

মেহেদির পেস্ট পিঠ, ঘাড় এবং ঘামাচি আক্রান্ত অন্যান্য স্থানে লাগান। এটি ঘামচির চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হ্রাস করতে সাহায্য করবে।

৭। বাতের ব্যথা রোধে

বাত এবং বাতজনিত সবরকম ব্যথা দূর করতে মেহেদি তেল বেশ কার্যকর। ব্যথার স্থানে মেহেদি তেল ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। ভাল ফল পেতে এটি প্রতিদিন এক থেকে দুই মাস করুন।

মাত্র ৩টি উপাদানে দূর করুন ঘরের পিঁপড়া

মাত্র ৩টি উপাদানে দূর করুন ঘরের পিঁপড়া
শীতকাল যেতে না যেতেই যে যন্ত্রণাতে কমবেশি সবাইকে ভুগতে হচ্ছে, তা হল “পিঁপড়া”। পিঁপড়া যে কতটা যন্ত্রণাদায়ক তা শুধু এর ভুক্তভোগীরাই বলতে পারে। এর যন্ত্রণায় ঘরে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার রাখা যায় না। শুধু কি তাই, চিনির বয়ামটির ঢাকনা শক্ত করে লাগানো হলেও এর ভিতরে পিঁপড়া দেখতে পাওয়া যায়। বাজার ঘুরলে পিঁপড়া মারার নানান ঔষধ কিনতে পাওয়া যায়। এই ঔষধ ব্যবহার করে সাময়িকভাবে পিঁপড়া মরলেও কিছুদিন পর আবার ফিরে আসে। আবার খাবার দ্রবের মধ্যে এইসব ঔষধ ব্যবহার করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ঘরে তৈরি করে ফেলুন পিঁপড়া দূর করার এই কার্যকরী ঔষধটি।

যা যা লাগবে:

বোরিক পাউডার
মধু
চিনি
গরম পানি
মগ
একটি খালি স্প্রে বোতল
যেভাবে তৈরি করবেন:
১। একটি মগ বা পাত্রে তিন চা চামচ চিনি, ছয় থেকে আট চা চামচ বোরিক পাউডার এবং গরম পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। চিনির দানা যেন পানির সাথে ভাল করে মিশে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
৩। এরপর এতে মধু দিয়ে দিন।
৪। এই মিশ্রণটি একটি স্প্রের বোতলে ভরে ফেলুন।
৫। ঘরের যেসকল স্থানে পিঁপড়া দেখা মিলবে সেখানে মিশ্রণটি স্প্রে করে দিন। আর দেখুন পিঁপড়া এক নিমিষে দূর হয়ে গেছে।

কার্যকারিতা:

মধু এবং চিনি পিঁপড়াকে আকর্ষণ করে। বোরিক পাউডারের উপাদান পিঁপড়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে থাকে। এই স্প্রেটি আপনার বাগানের পিঁপড়া মারতেও সাহায্য করবে।

বিকেলের নাস্তায় ঝটপট ইটালিয়ান ডেজার্ট

ranna banna o beauty tips
ইটালিয়ান ডেজার্ট
পুডিং আমাদের সবার বেশ পছন্দ। দুধ, ডিম ছাড়া পুডিং তো চিন্তাই করা যায় না। অনেকে আবার দুধ দিয়ে পুডিং তৈরি করে থাকে। ইটালিতে এক ধরণের খাবার আছে যা শুধু ক্রিম দিয়ে তৈরি করা হয়। পুডিং এর স্বাদ পেতে এই খাবারটি তৈরি করে নিতে পারেন। হঠাৎ ঘরে মেহমান চলে এসেছে? ঝটপট পরিবেশন করতে পারেন এই ইটালিয়ান খাবারটি।
উপকরণ:
৪০০ মিলিগ্রাম হুইপড ক্রিম
২ টি জেলাটিন শিট
২ টেবিল চামচ চিনি
২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
২৫০ গ্রাম চেরি জ্যাম
চেরি সাজানোর জন্য
প্রণালী:
১। প্রথমে একটি পাত্রে জেলাটিন ভিজিয়ে রাখুন।
২। একটি পাত্রে হুইপড ক্রিম মাঝারি আঁচে চুলায় দিয়ে দিন। গরম হওয়া পর্যন্ত হুইপড ক্রিম নাড়তে থাকুন।
৩। এরপর চুলা থেকে ক্রিম নামিয়ে এতে চিনি, ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
৪। এখন জেলাটিন গরম ক্রিমের মিশ্রণের সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৫। ছোট ছোট কাপ বা বাটিতে এটি ঢেলে ফ্রিজে কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা রেখে দিন।
৬। জমে গেলে ফ্রিজ থেকে বের করে একটি গরম পানির পাত্রে রেখে দিন।এতে সহজে পাত্র থেকে প্যানা কোটা বের হয়ে আসবে।
৭। চেরি সস তৈরির জন্য চেরির জ্যাম মাইক্রোওয়েভে ৩০ সেকেন্ড গরম করে নিন। সামান্য গরম পানি মিশিয়ে চেরির জ্যামটি পাতলা করে ফেলুন।
৮। এবার পরিবেশন পাত্রে প্যানা কোটা ঢেলে তার চারপাশে চেরি সস দিয়ে দিন। উপরে এক টুকরো চেরি দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন।
৯। ব্যস তৈরি হয়ে গেল ইটালিয়ান প্যানা কোটা।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

তোভার ডাল

ranna banna o beauty tips
তোভার ডাল
নিত্যদিনের খাবারগুলোর মধ্যে ডাল অন্যতম। অনেকেই ডাল ছাড়া খাবার খেতেই পারেন না। সাধারণত মসুরির ডালটা বেশি রান্না  করা হয়। অনেকে মুগ ডাল রান্না করে থাকেন মসুরি ডালের পরিবর্তে। অড়হর ডাল ঝামেলার কারণে অনেকেই রান্না করতে চান না। অথচ এই ডাল খেতে কিন্তু দারুণ। ভারতে গুজরাটে এই অড়হর ডাল দিয়ে একটি রান্না করা হয় "তোভার ডাল"। ভাত, রুটি সবকিছুর সাথে খেতে দারুন লাগে এই খাবারটি।
উপকরণ:
১/২ কাপ অড়হর ডাল
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ টি কাঁচা মরিচ
১/৪ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ কাপ টমেটো কুচি
১/৪ কাপ গুঁড়
লবণ স্বাদমত
১ টেবিল চামচ তেল
১ চা চামচ সরিষা
১/২ চা চামচ জিরা
২টি লবঙ্গ
১ টি ছোট দারুচিনি
৪-৫টি কারি পাতা
১/৪ চা চামচ হিং
১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ লেবুর রস
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

প্রণালী:
১। অড়হরের ডাল ১.৫ কাপ পানি দিয়ে প্রেশার কুকারে দিয়ে দিন। ৩টি শিষ দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সিদ্ধ হয়ে এলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলে ফেলুন।
২। রান্না করা ডালের সাথে ১ কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৩। এবার একটি প্যানে ব্লেন্ড করা ডাল, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ, আদা, টমেটো, গুঁড়, ১.৫ কাপ পানি এবং লবণ দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন।
৪। ডাল মাঝে মাঝে নাড়ুন।
৫। এখন আরেকটি প্যানে তেল গরম হয় এলে সরিষা, জিরা দিয়ে দিন। জিরা ফুটে আসলে এতে লবঙ্গ, দারুচিনি, কারি পাতা দিয়ে মাঝারি আঁচে কয়েক সেকেন্ড ভাঁজুন।
৬। এটি ফুটন্ত ডালে এটি দিয়ে দিন। এর সাথে হিং, মরিচ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে ৪ থেকে ৫ মিনিট রান্না করুন।
৭। সবশেষে লেবুর রস এবং ধনে পাতা কুচি দিয়ে ১-২ মিনিট নেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
৮। ভাত অথবা রুটির সাথে পরিবেশন করুন মজাদার তভার ডাল।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে


 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.