মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

জেনে নিন বেগুন ভর্তার একেবারেই নতুন একটি রেসিপি

ranna banna o beauty tips
জেনে নিন বেগুন ভর্তার একেবারেই নতুন একটি রেসিপি
ঝাল মশলায় চটপটে কিছু খেতে ভালোবাসেন? তাহলে ইসরাত জাহান বিথীর এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে খুব। চলুন, জেনে নিই গরম ভাতের সাথে একটি দারুণ ভর্তার রেসিপি। 
উপকরণ 
গোল বেগুন -বড় ১ টি  (লম্বা বেগুন দিয়েও করা যায়)
পিঁয়াজ কুচি -আধা কাপ 
রসুন মোটা করে  কুচি - ৪ টেবিল চামচ 
কাঁচা মরিচ ফালি করা -৪-৫ টি
রসুন বাটা - আধা চা চামচ 
হলুদ গুঁড়ো - আধা চামচ থেকে একটু কম
মরিচ গুঁড়ো -১ চা চামচ 
ধনিয়া গুঁড়ো -আধা চা চামচ 
লবণ -স্বাদমত 
আস্ত জিরা - ১ চিমটি 
কালো জিরা - ১ চিমটি 
ধনেপাতা কুচি -২ টেবিল চামচ 
সরিষার তেল  - ৪ টেবিল চামচ 

প্রণালী 
-প্রথমে বেগুন ধুয়ে নিয়ে ,বেগুনের গায়ে একটু তেল মাখিয়ে ,সরাসরি চুলাতে অথবা তাওয়াতে দিয়ে বেগুন পুড়ে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা করে বেগুনের পোড়া খোসা ফেলে দিয়ে হাত দিয়ে চটকে নিতে হবে। 
-কড়াইতে তেল গরম করে আস্ত জিরা ও কালোজিরার ফোড়ন দিতে হবে। তারপর পিঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে হবে। 
-পিঁয়াজ-রসুন কুচি নরম হয়ে আসলে অর্ধেক কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভাজতে হবে।
-যখন পিঁয়াজ,রসুন ও কাচা মরিচ হালকা বাদামী হতে শুরু করবে ,তখন এর মধ্যে রসুন বাটা ,মরিচ,হলুদ,ধনিয়া লবন ও অল্প পানি দিয়ে মশলা খুব ভালো করে কষাতে হবে। 
-মশলা ভালো করে কষানো হলে চটকে রাখা বেগুন ও বাকি কাচা মরিচ ফালি দিয়ে নেড়ে চেড়ে ২-৩ মিনিট রান্না করতে হবে। 
-বেগুন ভর্তা ভাজা ভাজা হয়ে তেল উপরে উঠলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। 
-এই ভর্তা গরম ভাত ,পোলাউ,রুটি এমনকি পরোটার সাথে খাওয়া যায়। 

মজাদার চিজি মার্বেল ব্রাউনি

ranna banna o beauty tips
মজাদার চিজি মার্বেল ব্রাউনি
বড় বড় পেস্ট্রি শপগুলোতে কেক, পেস্ট্রির সাথে আরেক ধরণের খাবার দেখতে পাওয়া যায়। তার নাম হল ব্রাউনি। অনেক সময়ে চকলেট ব্রাউনির পাশাপাশি ভ্যানিলা বা স্ট্রবেরি ব্রাউনিও পাওয়া যায়। মার্বেল কেকের মত মার্বেল ব্রাউনি খেয়েছেন কখনও? ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার চিজি মার্বেল ব্রাউনি।
উপকরণ:

ব্রাউনি তৈরির জন্য
২/৩ কাপ(১৫০ গ্রাম) মাখন
২০০ গ্রাম হালকা মিষ্টি চকলেট
২/৩ কাপ বা ১৩৫ গ্রাম চিনি
৪টি ডিম
১/৪ কাপ(৫০ মিলিগ্রাম) কফি
১ চা চামচ বা ৫ গ্রাম ভ্যানিলা এসেন্স
১/২ চা চামচ বা ২ গ্রাম আমন্ড এসেন্স
৩ টেবিল চামচ বা ২৪ গ্রাম কোকো পাউডার
১ কাপ বা ১২৫ গ্রাম ময়দা
১ চা চামচ বা ৪ গ্রাম বেকিং পাউডার
১/৪ চা চামচ বা ২ গ্রাম লবণ
ক্রিম চিজ তৈরির জন্য
১২ বা ৩৫০ গ্রাম ক্রিম
১/৩ কাপ বা ৬৫ গ্রাম চিনি
১ ডিম
একটি কমলার খোসা গুঁড়ো
৩ টেবিল চামচ কমলার রস
প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ৩৫০ ফারেনহাইট বা ১৮০ সেলসিয়াসে গরম করতে দিন।
২। এবার ক্রিম চিজ তৈরি করে নিন। ক্রিম বিট করে এর সাথে একে একে চিনি তারপর কমলার খোসা এবং কমলার রস মিশিয়ে বিট করে নিন।
৩। তারপর ডিম দিয়ে আবার বিট করুন। যতক্ষণ না সবগুলো উপাদান ভাল করে না মিশে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত বিট করতে থাকুন।
৪। আরেকটি পাত্রে ময়দা, কোকো পাউডার এবং বেকিং পাউডার দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৫। একটি পাত্রে মাখন এবং চকলেটের টুকরোগুলো নিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করতে দেওয়া পানির পাত্রে দিয়ে দিন। যতক্ষণ পর্যন্ত না গলে যায় ততক্ষণ নাড়তে থাকুন।
৬। এরপর নামিয়ে এতে চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
৭। এবার ডিম দিয়ে আবার নাড়ুন। এরপর এতে গলানো কফি, ভ্যানিলা এসেন্স এবং আমন্ড এসেন্স দিয়ে দিন।
৮। তারপর এতে ময়দা, কোকো পাউডারের মিশ্রণটি আস্তে আস্তে মিশিয়ে নিন।
৯। ওভেন ট্রেতে মাখন লাগিয়ে তাতে ময়দার মিশ্রণটি দিয়ে দিন। তার উপর ক্রিম চিজের মিশ্রণটি দিয়ে দিন।
১০। তারপর চকলেটের মিশ্রণটি কিছুটা দূরত্বে ছোট ছোট বল করে দিয়ে দিন।
১১। চামচের পিছনের অংশ দিয়ে চকলেটের বলগুলো ছড়িয়ে দিন।
১২। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট ওভেনে বেক করতে দিন।
১৩। এবার এটি ফ্রিজে সারা রাত অথবা কয়েক ঘন্টা রেখে দিন।
১৪। ঠান্ডা হয়ে গেলে চারকোনা করে কেটে পরিবেশন করুন মজাদার চকলেট চিজি ব্রাউনি।

মজার পিঠা "জামাই আদর"

ranna banna o beauty tips
মজার পিঠা "জামাই আদর"
একেক অঞ্চলে পিঠার নামগুলো হয় একেক রকম। আর আমাদের এই বাংলাদেশে রকমারি পিঠার নামগুলোও কিন্তু ভারি বাহারি! চলুন, শীত ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই জেনেই নিই দারুণ একটি পিঠার রেসিপি। 

উপকরণ 
 ১. ডিম -২ টা ২. ময়দা -১ কাপ ৩. তরল দুধ -১/২ কাপ ৪. চিনি -১/২ কাপ ৫. তেল - ভাজার জন্য   

প্রনালী 
-প্রথমে পানে ১ টা ডিম পোচ করতে হবে।  
-এবার তেল বাদে বাকি সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে মসৃন ব্যাটার তৈরি করতে হবে।  
-এবার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে ডিম পোচটা ব্যাটারে ডুবিয়ে বাদামী করে ভাজতে হবে। 
- আবার পিঠাটা ব্যাটারে ডুবিয়ে আবার ভাজতে হবে। -
এই ভাবে ৪/৫ বার পিঠাটি ব্যাটারে ডুবিয়ে ভাজতে হবে।  
-এবার পিঠা ঠান্ডা হয়ে গেলে কেটে টুকরা করে পরিবেশন করতে হবে মজাদার জামাই আদর পিঠা ।  

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বিভিন্ন ধরনের মজাদার স্যুপ

ক্রিম অব টমেটো স্যুপ

উপকরণ:
চিকেন বা ভেজিটেবল স্টক ৩ কাপ, পাকা টমেটো মাঝারি ৬টি (হাতে কচলে নেওয়া), হেভি ক্রিম ১ কাপ (সুপারশপে পাবেন), লবণ ১ চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনে পাতা ও তুলসী পাতা সাজানোর জন্য ৫-৬টি।
ranna banna o beauty tips
ক্রিম অব টমেটো স্যুপ

প্রণালি: 
সসপ্যানে চিকেন স্টক ও টমেটো মিশিয়ে জ্বাল দিন। ফুটতে শুরু করলে হেভি ক্রিমটুকু ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে চুলার জ্বাল কমিয়ে দিন। লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে ১৫ মিনিট অল্প জ্বালেই রাখুন। এবার ব্লেন্ডারে ঢেলে স্যুপ ভালোমতো ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন এবং আরও ২ মিনিট কম জ্বালে রাখুন। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে ধনে পাতা ও তুলসী পাতা সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ক্যাবেজ অ্যান্ড উইংস স্যুপ

উপকরণ: 
মুরগির পাখনা ৪-৫টি, বাঁধাকপির পাতা ছোট কিউব করে কাটা ১ কাপ, বাটন মাশরুম ৬টি (৪ ভাগ করে নেওয়া), সয়াবিন তেল ১ চা-চামচ, সয়াসস ৩ টেবিল চামচ, লবণ আধা চা-চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, পানি ১ লিটার, তেল প্রয়োজনমতো।

ক্যাবেজ অ্যান্ড উইংস স্যুপ

প্রণালি: 
মুরগির পাখনাগুলো লবণ ও গোলমরিচ মাখিয়ে ১০ মিনিট ম্যারিনেট করুন। তারপর বাদামি করে তেলে ভাজুন। তাতে বাঁধাকপি ও মাশরুম দিয়ে দিন এবং ৩-৪ মিনিট মাঝারি আঁচে ভাজুন। এবার পানি ও সয়াসস দিয়ে ১৫ মিনিট ঢাকনাসহ জ্বাল দিন মৃদু আঁচে। লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে দিন। নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

রাইস অ্যান্ড ফিশ স্যুপ

উপকরণ: 
বাসমতী বা পোলাওয়ের চাল ১ কাপ, পানি ২ কাপ, ১টি লেবুর খোসার সবুজ অংশটুকু কোরানো (লেমন জেস্ট) এবং সেই লেবুটির রস, চিকেন স্টক ৪ কাপ, তেলাপিয়া বা কোরাল মাছের ফিলে আধা কেজি, খোসা ছাড়ানো চিংড়ি আধা কাপ, জুলিয়ান কাট গাজর ১ কাপ, পুদিনা পাতা ৮-১০টি, লবণ ১ চা-চামচ বা স্বাদমতো।
ranna banna o beauty tips
রাইস অ্যান্ড ফিশ স্যুপ

প্রণালি: 
চাল ধুয়ে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন এবং ২ কাপ পানি চুলায় গরম হতে দিন। পানিতে বলক এসে গেলে চালের পানি ছেঁকে ভাত ফুটিয়ে নিন। হয়ে গেলে তাতে লেবুর রস ও লেমন জেস্ট দিয়ে মিশিয়ে ঢেকে রাখুন। গাজর ভাপিয়ে রাখুন।

এবার আলাদা একটি হাঁড়িতে চিকেন স্টক জ্বাল দিন। তাতে ফিশ ফিলে আর চিংড়ি দিয়ে ৪-৫ মিনিট রেখে লবণ দিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। এবার ৪টি স্যুপের বাটিতে রান্না করা ভাত সাজিয়ে এক পাশে গাজর দিন ও পরিমাণমতো স্যুপ ঢেলে দিন। মাছের ফিলেগুলো চামচ দিয়ে ছোট করে তাতে দিয়ে দিন। ওপরে পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

চিকেন ডাম্পলিং স্যুপ

উপকরণ: 
সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, ১টি পেঁয়াজ বড় করে কুচি করা, গাজর ২টি ছোট ছোট কিউব করে কাটা, সেলেরি ছোট ছোট করে কাটা ১ কাপ, ১টি মুরগির বুকের মাংস, তেজপাতা ২টি, মাখন ৪ টেবিল চামচ, পাতলা দুধ আধা কাপ, ময়দা আধা কাপ থেকে পৌনে ১ কাপ ও ১ চামচ, চিকেন স্টক ৪ থেকে ৬ কাপ, মটরশুঁটি আধা কাপ, মাশরুম কুচি আধা কাপ, লবণ ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।
চিকেন ডাম্পলিং স্যুপ

প্রণালি: 
৬ কাপ পানিতে মুরগির মাংস এবং তেজপাতা দিয়ে অন্তত ৪৫ মিনিট ঢেকে সেদ্ধ করে স্টক বানিয়ে রাখুন। স্টক থেকে মাংস উঠিয়ে হাত দিয়ে ছিঁড়ে নিন।
দুধের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মাখন গরম করে ময়দার সঙ্গে গুলিয়ে খামির বানান। ১ চিমটি লবণ দিতে হবে। এবার সোয়া ইঞ্চি পুরু করে রুটি বেলে নিন। ভেজা পাতলা কাপড় দিয়ে ২৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। এরার রুটিটা বরফি আকারে কেটে নিন ১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য-প্রস্থ করে। এটাকেই বলে ডাম্পলিং।
সসপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ, গাজর আর সেলেরি ভেজে নিন ৫ মিনিট। এবার চিকেন স্টক ঢেলে তাতে মটরশুঁটি, মাশরুম, লবণ, গোলমরিচ দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে ডাম্পলিংগুলো ছেড়ে ঢেকে দিন। দু মিনিট পর মুরগির মাংস দিয়ে জ্বাল কমিয়ে ঢেকে দিন।

আলাদা প্যানে ২ টেবিল চামচ মাখন গরম করে তাতে ১ চা-চামচ ময়দা দিয়ে ভাজুন। স্যুপের পানি থেকে আধা কাপ তুলে তাতে দিয়ে মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করুন। এবার পুরোটা ক্রিম স্যুপের সঙ্গে মিশিয়ে দিন ভালো করে। লেবুর রস দিয়ে দিন। নামিয়ে ধনে পাতা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।


টুনা সালসা গ্রিলড স্যান্ডউইচ

ranna banna o beauty tips
টুনা সালসা গ্রিলড স্যান্ডউইচ
উপকরণ: পাউরুটি ৮ টুকরা। টুনা মাছের কিমা ২০০ গ্রাম। টমেটো বড় ৪টি। কাঁচামরিচ ৫টি। পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। আদাকুচি এক চা-চামচ। ধনেপাতার কুচি ৪ চা-চামচ। তেল ২ টেবিল-চামচ। পনিরের টুকরা ৪টি। পানি আধা কাপ। লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: একটা কড়াইতে অর্ধেক তেল গরম করে তাতে টুনা মাছের কিমা হালকা ভেজে নিন। তারপর সেই তেলেই পেঁয়াজ ভেজে নেবেন। অন্য আরেকটা হাঁড়িতে বাকি তেলটুকু নিয়ে তাতে আদাকুচি ভেজে নিন। এরপর এতেই টমেটোকুচি ও লবণ দিয়ে ভেজে সিদ্ধ করুন।
টমেটো সিদ্ধ হয়ে গেলে হাতে চালানো ব্লেন্ডার দিয়ে টমেটো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। ঘন হয়ে আসলে এতে মরিচকুচি এবং ধনেপাতাকুচি দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন।

এই মিশ্রণ টুনা মাছের কিমা ও পেঁয়াজের কড়াইতে দিয়ে যতক্ষণ টমেটোটা মসলার মতো টুনা মাছের সঙ্গে মেখে না যায় ততক্ষণ রান্না করুন। রান্না হয়ে আসলে তেলটা মিশ্রণ থেকে আলাদা হয়ে যাবে।
পাউরুটির একটি স্লাইসের উপর পনিরের স্লাইস রেখে তার উপর টমেটোতে রান্না করা টুনা মাছের এক স্তর দিয়ে আরেকটি পাউরুটির স্লাইস দিয়ে ঢেকে দিন। এই স্যান্ডউইচ ইলেকট্রিক ওভেন বা স্যান্ডউইচ গ্রিল করার মেশিনে নিয়ে গ্রিল করে নিন।

সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মুখরোচক মিষ্টান্ন গাজরের লাড্ডু

ranna banna o beauty tips
মুখরোচক মিষ্টান্ন গাজরের লাড্ডু
ছোট বড় সবারই পছন্দ মজাদার লাড্ডু। বাচ্চাদের যখন তখন বায়না মেটাতেও লাড্ডুর তুলনা হয় না। সবার পছন্দ বিবেচনায় বাজারেও পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রকার লাড্ডু। আপনার পরিবারের সদস্যদের এমন মুখরুচি লাড্ডু খাওয়াতে দোকানের ওপর নির্ভর না করলেও চলবে। নিজে বানাতে পারেন গাজরের লাড্ডু। অতিথি আপ্যায়নেও এটি মুখরোচক মিষ্টান্ন হতে পারে। তাই খুব সহজে গাজরের লাড্ডু বানানোর উপায় শিখে নিতে পারেন।

যা যা লাগবে

গাজর কুচি ২ কাপ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ, এলাচ ২টা, ঘি ৪ টেবিল চামচ, চিনি স্বাদমতো, কাজু বাদাম কুচি ১ আধা কাপ।

যেভাবে করবেন

  • প্রথমে গাজর কুচি সেদ্ধ করে নিতে হবে। 
  • এবার বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে ভালোভাবে রান্না করতে হবে। 
  • গাজরের মিশ্রণে থাকা পানি একদম শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে রান্না করতে থাকুন। 
  • মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। 
  • বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে গাজরের মিশ্রণ শক্ত হয়ে যাবে এবং লাড্ডুর আকার দেয়া সম্ভব হবে না। হালকা গরম থাকা অবস্থায় দ্রুত হাতে লাড্ডু বানিয়ে নিতে হবে। 
  • খেতে সুস্বাদু করতে লাড্ডু বানিয়ে আবার গুঁড়ো দুধে গড়িয়ে নিন। 
  • সুন্দর কমলা রঙের লাড্ডু খেতেও অনেক মজার। 

অতিথি আপ্যায়ন বা নিজেদের খাওয়ার জন্য বেশ উপযোগী মিষ্টান্ন হতে পারে আপনার হাতে তৈরি গাজরের লাড্ডু।

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে এই ৭টি খাবার

ranna banna o beauty tips
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে এই ৭টি খাবার
ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। হলিউড কাঁপানো বিশ্বখ্যাত নায়িকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। স্তন ক্যান্সার মূলত দুটি কারণে হয়ে থাকে- পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ এবং অপরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ। জেনেটিক কারণ, বংশগত কারণ, ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাব ইত্যাদি অপরিবর্তনযোগ্য কারণ।  বক্ষবন্ধনী বা ব্রা সর্বক্ষণ পড়ে থাকা, ভুল সাইজের বক্ষবন্ধনী পড়া, দেরী করে সন্তান জন্মদান, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই না করা ইত্যাদি পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহের মধ্যে পড়ে। কিছু খাবার আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো রাখুন।
১। ব্রোকলি

ব্রোকলিতে সালফ্রোফেইন নামক উপাদান আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এটি স্তনে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় ব্রোকলি রাখুন।
২। মাশরুম

মাশরুম খাবারটি অনেকে পছন্দ করেন আবার অনেকে অপছন্দ করে। কিন্তু Nutrition and Cancer in 2010 সালের প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে মাশরুম খাওয়া স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি হ্রাস করে থাকে। মাশরুমে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৩। ডালিম

যুক্তরাষ্ট্রের City of Hope’s Beckman Research Institute বৈজ্ঞানিকদের মতে ডালিমে এ্যালাজিক অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ যা ক্যান্সার সৃষ্টি করা এনজাইমকে প্রতিরোধ করে থাকে। ডালিম শুধু ক্যান্সার নয় হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে থাকে। প্রতিদিন ২৫০ মিলিলিটার ডালিমের রস পান বা অর্ধেকটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪। পালং শাক

মেনোপজের আগে নারীরা স্তন ক্যান্সার হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। পালং শাকে হজমযোগ্য আঁশ আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৫। ডিম

ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কারো কোন সন্দেহ নেই। এই ডিম স্তন ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে থাকে। কোলিন নামক উপাদান ২৪% পর্যন্ত ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের জরিপ অনুসারে ডিমের কুসুমে থাকা উপাদানটি স্তন কোষের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করে থাকে। U.S. Institute of Medicine এর মতে প্রতিটি নারীর ৪২৫ মিলিগ্রাম কোলিন খাওয়া উচিত, একটি বড় ডিমে ১২৬ মিলিগ্রাম কোলিন থাকে।
। দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার

ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার দুধ। এই দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার ১৯% পর্যন্ত স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। স্যামন মাছ

স্যামন মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় স্যামন মাছ রাখুন। শুধু স্যামন মাছই নয় বরং সবরকমের সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
সচেতনতাই পারে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে। একটু সচেতন হন আর দূরে থাকুন মরণব্যাধি স্তন ক্যান্সার থেকে।

বাধাকপি দিয়ে বুটের ডাল

ranna banna o beauty tips
বাধাকপি দিয়ে বুটের ডাল 
শীতের অন্যতম একটি সবজি হল বাঁধাকপি। শীতকালে প্রায় সব বাসায় বাঁধাকপি ভাজি করা হয়। এমনকি বাঁধাকপি দিয়ে তরকারিও রান্না করা হয়ে থাকে! বাঁধাকপি কখনও বুটের ডাল দিয়ে ভাজি করেছেন? একটু ভিন্ন স্বাদের এই ভারতীয় ভাজি করে দেখতে পারেন। ভাত, পোলাও বা রুটি সবকিছুর সাথে খেতে দারুন লাগবে এই ভাজিটি।
উপকরণ:
২৫০ গ্রাম বাঁধাকপি কুচি
১/২ কাপ ভেজানো বুটের ডাল
২-৩ টেবিল চামচ তেল
১/২ চা চামচ সরিষা
১ চা চামচ জিরা
১ চিমটি হিং
৬-৮ টি কারিপাতা
১/৪ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো
১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ চিনি
২ টেবিল চামচ নারকেল কুচি
প্রণালী:
১। বুটের ডাল ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। কিংবা সারারাতও ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
২। একটি  প্যানে তেল গরম করতে দিন।
৩। তেল গরম হয়ে এলে এতে সরিষা দিয়ে দিন। সরিষা ফুটে উঠলে এতে জিরা, হিং এবং কারি পাতা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড নাড়ুন।
৪। এবার এতে ভেজানো বুটের ডাল দিয়ে দুই-তিন মিনিট নাড়ুন।
৫। তারপর এতে হলুদের গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
৬। এবার এতে বাঁধাকপি কুচি দিয়ে অল্প আঁচে ২ থেকে ৩ মিনিট রান্না করুন।
৭। লবণ এবং চিনি ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৮। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।
৯। ডাল সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে রান্না করুন।
১০। নারকেল কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বাঁধাকপি বুটের ডাল ভাজি।

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬

ব্রণের দাগমুক্ত ত্বকের জন্য

ranna banna o beauty tips
ব্রণের দাগমুক্ত ত্বকের জন্য
উজ্জ্বল ত্বকের ঝিলিক কার না ভালো লাগে। কিন্তু চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার মিল থাকে না অধিকাংশ সময়। নিয়মিত নামী-দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করেও মুখে থাকা ব্রণের দাগ দূর করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া উপাদান দিয়ে আপনার ত্বকের যত্ন নেয়া সম্ভব। এসবের সঠিক ব্যবহারে আপনি পেতে পারেন ব্রণের দাগমুক্ত নরম, কোমল, সুন্দর ত্বক। আর তাই..

- শশার রস, সামান্য চালের গুঁড়া, এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি স্ক্রাবারের কাজ করবে। সপ্তাহে মাত্র দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।

- কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো আর পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

- আপেল এবং মধুর মিশ্রণ হচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪ থেকে ৬ ফোটা মধু মেশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং মুখের রঙ উজ্জ্বল করে। সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন।

- ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

- প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর তাতে ২ থেকে ৩ ফোটা লেবুর রস মিশাণ। গোলাপ জলের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন ব্যবহার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

- গোলাপজলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।

কাঁচা হলুদে ত্বকের চর্চা

ranna banna o beauty tips
কাঁচা হলুদে ত্বকের চর্চা
বহু বছর আগে থেকে রান্নার কাজে হলুদের ব্যবহার হয়। মসলার এই উপকরণটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি, ধারা, অনুষ্ঠান-পর্বের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। রূপচর্চাতে এর রয়েছে উল্লেখ করার মতো অবদান। হলুদ স্পর্শে সুন্দর হওয়ার এই ধারাও বেশ পুরোনো। বিয়ের আগে বর-কনেকে হলুদ ছোঁয়ার মধ্য দিয়ে একটু সুন্দর দেখানোর চেষ্টা রীতিমতো একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। হলুদকে তাই প্রাকৃতিক প্রসাধনীও বলা যেতে পারে। এটি গায়ের রঙ যেমন উজ্জ্বল করে তেমনি অ্যালার্জি, ব্রণ, র‌্যাশ দূর করে। তাছাড়া বয়সের ছাপ আলজেইমার, ডায়বেটিস, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ থেকে উপশম পেতে সাহায্য করে। আজ শিখে নেব কাঁচা হলুদের স্পর্শে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।

- কাঁচা হলুদ বাটা, চন্দন গুঁড়া, লেবুর রস মিশিয়ে একটি মাস্ক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাছাড়া ব্রণের উপর কাঁচা হলুদ বাটা এবং পানি মিশিয়ে দিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন। ব্রণ তাড়াতাড়ি চলে যাবে। হলুদে এন্টিসেপ্টিক এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে যেটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।

- হলুদ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। চন্দন গুঁড়া এস্ট্রিঞ্জেন্ট এর কাজ করে এবং কমলার রস ত্বকের দাগ দূর করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, ১ চামচ চন্দন গুঁড়া এবং ৪ চামচ কমলার রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগান। তৈলাক্ত ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর হবে।

- এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ৩ ফোঁটা লেবুর রস, একটা ডিমের সাদা অংশ, গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগান। নিজেই লক্ষ্য করবেন ত্বকের ইতিবাচক পরিবর্তন। তাছাড়া শরীরে যেসব জায়গা শুষ্ক সেসব জায়গায়ও লাগাতে পারেন। আপনার শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময়ী হবে সহজে।

- হলুদ ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া, চালের গুঁড়া, টমেটো রস, কাঁচা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের ফাইন লাইন্স এবং ঝুলে পড়া ত্বককে স্বাভাবিক করতে এবং ত্বককে ফর্সা করতে অত্যন্ত কার্যকরী।

- সামান্য হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে মাখন মিশিয়ে চোখের নীচে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এটি চোখের নীচে বলিরেখা সহ কালো দাগও দূর করবে।

৫ মিনিটে তৈরি করে ফেলুন রেড ভেলভেট কেক

ranna banna o beauty tips
রেড ভেলভেট কেক
কেক তৈরির জন্য দরকার হয় অনেক প্রস্তুতি, অনেক উপাদান বের করে ব্যাটার তৈরি করতে হয়, ওভেন প্রি-হিট করতে হয়, আইসিং তৈরি করতে হয় আরও কতো কী! কিন্তু এই রেড ভেলভেট কেক তৈরি করতে আপনার একটুও কষ্ট হবে না। মাইক্রোওয়েভ ওভেনেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন দারুণ নরম আর মজাদার কেক। সময়টাও লাগবে খুবই কম। চলুন, দেখে নেই রেসিপিটি।
উপকরণ

-   ৬ টেবিল চামচ দুধ
-   ১ চা চামচ সাদা ভিনেগার
-   আধা কাপ ময়দা
-   সিকি কাপ চিনি
-   ২ চা চামচ কোকো পাউডার
-   আধা চা চামচ বেকিং পাউডার
-   সিকি চা চামচ লবণ
-   ২ টেবিল চামচ তেল
-   ১০ ফোঁটা লাল ফুড কালার
-   সিকি কাপ চকলেট চিপস
-   ১ টেবিল চামচ ক্রিম চিজ
-   পরিবেশনের জন্য আইসিং সুগার
-   পরিবেশনের জন্য স্প্রিঙ্কল বা সুগার বল
প্রণালী

১) বড় একটা সিরামিকের মগে দুধ, ভিনেগার, ময়দা, চিনি, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার, লবণ, তেল এবং লাল ফুড কালার মিশিয়ে নিন। এটাকে বিট করে নিন ভালো করে। ওপরে চকলেট চিপস দিয়ে আরেকবার নেড়ে মিশিয়ে নিন। এরপর মাঝ বরাবর ক্রিম চিজ দিয়ে এটাকে সাবধানে ব্যাটারের ভেতর ঢুকিয়ে দিন, নাড়বেন না।
২) এবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে হাই হিটে বেক হতে দিন ৫ মিনিট।
৩) এবার বের করে নিয়ে ওপরে আইসিং সুগার এবং স্প্রিঙ্কল ছড়িয়ে দিন।
ব্যাস, পরিবেশনের জন্য তৈরি আপনার রেড ভেলভেট কেক। এটা গরম গরমই খেতে ভালো লাগবে। একটু ঠাণ্ডা হলেও খেতে পারেন।

ছুটির দিনের বাহারি খাবার "লাহোরি চিকেন চারগাহ"

ranna banna o beauty tips
লাহোরি চিকেন চারগাহ
আজ ছুটির দিনের ডিনারে বিশেষ কিছু রাঁধতে চান? তাহলে চেখে দেখুন সুমনা সুমির এই দারুণ রেসিপিটি। ভিনদেশি এই খাবারটি তৈরিতে সহজ আর খেতেও দারুণ।
উপকরণ
• আস্ত মুরগী ১ টি
• লেবুর রস ২ টেবিল চামচ 
• টক দই ১/৪ কাপ
• টমেটো সস ২ টেবিল চামচ
• আদা বাটা ১ টেবিল চামচ 
• রসুন বাটা ১ চা চামচ 
• তন্দুরী মসলা ২ টেবিল চামচ
• মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ
• গরম মশলা পাউডার ১চা চামচ
• ভাজা জিরা গুঁড়ো ১চা চামচ
• চাট মশলা ১ টেবিল চামচ 
• ঘি ১/৪কাপ
প্রনালী
-মুরগী ভাল করে ধুয়ে রান ও বুকে দাগ কেটে দিন যাতে মেরিনেশনের মশলা ভেতরে ঢোকে।
-উপরের সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে মুরগীতে মাখিয়ে নিন।
-কমপক্ষে ৪ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
-স্টিম করার ৩০ মিনিট আগে ফ্রিজ থেকে নামিয়ে নিন।
-একটি পাতিলে স্টিমার দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। এখন মশলাসহ মুরগিটি স্টিমার এর উপর রেখে ঢেকে দিন। মাঝারি আছে ৩০ মিনিট ভাপে সিদ্ধ করুন।
-পরিবেশনের ৩০ মিনিট আগে কড়াইতে ১/২ লিটারের মত তেল দিন।
-তেল ফুটে উঠলে স্টিম করা মুরগী দিয়ে অল্প আঁচে ক্রিস্পি করে ভেজে তুলুন।
-উপরে ঘি ব্রাশ করুন।
-নান , রায়তা বা সালাদের সাথে পরিবেশন করুন।

কীভাবে আবিষ্কার হলো আপনার প্রিয় সানগ্লাসটি

কীভাবে আবিষ্কার হলো আপনার প্রিয় সানগ্লাসটি
পোশাকের সাথে মিলিয়ে বিভিন্ন রঙের সানগ্লাস  পরা এখন চলতি সময়ের জনপ্রিয় ফ্যাশন। নানান ডিজাইনের, রঙের সানগ্লাস পাওয়া যায় এখন বাজারে। সাদামাটা একটা পোশাকের সঙ্গে সানগ্লাস সহজেই এনে দেয় ফ্যাশনেবল লুক, যার ভক্ত কিশোর, তরুণ সবাই। আসুন জেনে নেই প্রিয় এই সানগ্লাস আবিষ্কারের গল্প।
সানগ্লাসের বাংলা নাম রোদচশমা, যদিও বাংলাটা আমাদের তেমন ব্যবহার করা হয় না। রোদচশমা নামটা শুনলে প্রথমেই মনে হবে যেন রোদে পরার জন্য যে চশমা ব্যবহার করা হয় তাকেই সানগ্লাস বা রোদচশমা বলা হয়। কিন্তু তা নয়। রোদকে আটকানোর জন্য রোদচশমার প্রচলন হয়নি। একটি বিশেষ কারণেই চৈনিক নির্মাতারা ধোঁয়াচ্ছন্ন লেন্সের চশমা প্রথম তৈরী করেন।
বিচারকদের চোখ ঢাকতে
১৩০০ সালের দিকে এই চশমা প্রথম তৈরী করা হয়। চোখের দৃষ্টির ত্রুটি অথবা রোদ প্রতিহত করতে নয় চীনের বিচারালয়ের জজ সাহেবদের চোখের দৃষ্টিকে আড়াল করতে এই চশমা ব্যবহার করা হয়।
বিচারকদের চোখ ঢাকার জন্য তারা ধোঁয়াচ্ছন্ন চশমা তৈরী করে ফেললেন। চীনাদের উদ্ভাবনী শক্তি সবসময়ই অসাধারণ। একশত বছর ধরে সানগ্লাসের ব্যবহার শুধু বিচারালয়ে হতে থাকলো। ১৪৩০ সালের দিকে রোদচশমা চীন থেকে ইতালীতে পাড়ি জমালো। তারাও বিচারিক কাজে রোদচশমা ব্যবহার করত।
নির্দিষ্ট দৃষ্টি ত্রুটি নিরাময় করতে
আঠারো শতকের মধ্যভাগে জেমস আয়ুসকফ চশমার অস্বচ্ছ লেন্স নিয়ে গবেষনা শুরু করলেন। আয়ুসকফ বিশ্বাস করতেন নীল অথবা সবুজ অস্বচ্ছ কাঁচ নির্দিষ্ট দৃষ্টি ত্রুটি নিরাময় করতে সক্ষম হবে। সূর্যালোককে প্রতিহত করার কোন চিন্তা ভাবনা তার মাথায় ছিলো না।
আমেরিকান মিলিটারিদের জন্য
বিংশ শতাব্দীতে এসে রোদচশমা রোদচশমা হিসেবে প্রাণ পায়। আমেরিকার মিলিটারি সানগ্লাস টেকনোলজির উন্নয়ন ও ব্যবহারে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ১৯২৯ সালে আধুনিক ধরনের রোদচশমার আবির্ভাব ঘটে।
আধুনিক রোদচশমা
১৯৩০ সালে ফস্টার গ্রান্ট কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ফস্টার আটলান্টিক সিটিতে ফস্টার গ্রান্ট সানগ্লাসের প্রথম জোড়া বিক্রি করেন। সত্তর দশকে হলিউড তারকারা রোদ- চশমা ব্যবহারের জন্য রীতিমত বিখ্যাত ছিলেন।
এখন রোদচশমা বা সানগ্লাস যা ই বলি না কেন তা পুরোপুরি একটি ফ্যাশনের উপকরন, দৈনন্দিন সাজসজ্জার উপকরন। রোদ না থাকলেও এমন কি রাতেও আমরা গ্লাস পরি নাইটগ্লাস নাম দিয়ে। যেভাবেই হোক প্রিয় চশমা থাকুক সাথে সবসময়।

তৈরি করে ফেলুন একেবারেই নতুন এই ডিমের স্ন্যাক্স

ranna banna o beauty tips
ডিমের স্ন্যাক্স
ডিম এমন একটা খাবার যেটা বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন উপকরণের সাথে খাওয়া যায় এবং এতে স্বাদ আরও বাড়ে। ডিমের ডেভিল কখনো খেয়েছেন কী? না খেয়ে থাকলে দেরি না করে তৈরি করে ফেলুন মাছের কিমা দিয়ে তৈরি ডিমের ডেভিল। হ্যাঁ, মাছ এবং ডিম দিয়েই তৈরি হবে স্বাস্থ্যকর এই স্ন্যাক্স। দেখে নিন রেসিপি এবং ছবি।
উপকরণ

- ৪০০ গ্রাম ভেটকি অথবা অন্য কোন কাঁটাছাড়া মাছ
- ৩টা আলু সেদ্ধ করে ভর্তা করা
- ১ কাপ পিঁয়াজ কুচি
- ২ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
- আধা কাপ ধনেপাতা কুচি
- ৫টা হার্ড বয়েল করা ডিম
- আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- মরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- ২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- ৩টা শুকনো মরিচ ভেঙ্গে নেওয়া
- ১ কাপ বেসন
- ২ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব
- ১ টেবিল চামচ চিনি
- লবণ স্বাদমতো
- তেল ভাজার জন্য
এই রেসিপির জন্য আপনি ভেটকি মাছ ছাড়াও অন্য মাছ ব্যবহার করতে পারেন তবে তার জন্য মাছের কাঁটা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
প্রণালী

১) নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে নিন। এপিঠ-ওপিঠ করে ভেজে নিন মাছের টুকরোগুলো। এরপর চামচ দিয়ে ভেঙ্গে নিন মাছ। এরপর ভাজা ভাজা হয়ে গেলে মাছটা নামিয়ে নিন। এখন লবণ দেবেন না।
২) ওই একই প্যানে কিছুটা তেল গরম করে নিন। এতে পিঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, শুকনো মরিচ, চিনি, লবণ, হলুদ, জিরা এবং মরিচ গুঁড়ো দিন। ভালো করে মিশিয়ে ভুনে নিন যতক্ষণ না পিঁয়াজ বাদামি হয়ে আসে। এর মাঝে ভাজা মাছটুকু দিয়ে মিশিয়ে নিন।

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৬

দিল্লীর জনপ্রিয় চিকেন ম্যাজেসটিক তৈরি করে ফেলুন ঘরেই

ranna banna o beauty tips
চিকেন ম্যাজেসটিক
দিল্লীর খুব বিখ্যাত একটি রান্না চিকেন ম্যাজেসটিক। এটি মূলত দিল্লীর হায়দ্রাবাদ এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে পাওয়া যায়। দিল্লীবাসীদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। চিকেন ম্যাজেসটিক নামটা শুনে কঠিন মনে হলেও এটি তৈরি করা তেমন কঠিন নয়। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক দিল্লীর এই বিখ্যাত খাবার তৈরির রেসিপিটি।
উপকরণ:

৩ টেবিল চামচ টকদই
১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো
১/২ গুচ্ছ পুদিনা পাতা কুচি
২টি কারি পাতা
৪টি কাঁচা মরিচ
১ চা চামচ আদা রসুনের পেস্ট
১টি ডিম
লবণ স্বাদমত
২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
২৫০ গ্রাম মুরগির মাংস
১/২ চা চামচ সয়াসস
১ চিমটি টেস্টিং সল্ট
ম্যারিনেট করার জন্য বাটার মিল্ক
প্রণালী:

১। প্রথমে মুরগির মাংসগুলোকে বাটার মিল্ক এবং লবণ দিয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা মেরিনেট করতে দিন।
২। এবার একটি পাত্রে মেরিনেট করা মাংসের সাথে কর্ণ ফ্লাওয়ার, লবণ, ডিম, আদা রসুনের পেস্ট, তেল ভাল করে মিশিয়ে ২ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
৩। তারপর তেল গরম করে মাংসগুলো ভেজে নিন।
৪। এখন একটি প্যানে রসুন কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, কারি পাতা, পুদিনা পাতা, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, টক দই, সয়া সস এবং লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।  
৫। এবার এতে টেস্টিং সল্ট এবং ভাজা মাংসগুলো দিয়ে দিন। ভাজা মাংস দিয়ে খুব বেশি রান্না করবেন না।
৬। মাংসগুলো কিছুক্ষণ নেড়ে লেবুর রস এবং ধনে পাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
৭। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার চিকেন ম্যাজেসটিক।

একই সাথে মজাদার এবং স্বাস্থ্যকর ফুলকপি দিয়ে মুগ ডাল

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর ফুলকপি দিয়ে মুগ ডাল
তেল চুপচুপে ভাজাভুজি, ঘিয়ের সুবাসে মৌ মৌ করা মোগলাই খাবার অথবা চর্বিতে চকচক করতে থাকা মাংস- এগুলোর রেসিপি দেখতে দেখতে যারা ক্লান্ত তারা আজ দেখে নিন স্বাস্থ্যকর একটি খাবারের রেসিপি। কম তেল-ঘি, লো-ক্যালোরির একেবারে খাস ভেজিটেরিয়ান একটি ডিশ হলো এই ফুলকপি দিয়ে মুগ ডালের রেসিপি। খাবারটি তৈরি এতো সহজ যে আপনি যে কোন দিনই ভাতের সাথে খাবার জন্য তৈরি করে ফেলতে পারেন এই ডাল। চলুন, ছবিতে দেখে নেই রেসিপিটি।
উপকরণ

২ কাপ মুগ ডাল
২ কাপ ফুলকপি, ছোট টুকরো করে কাটা
৪ টেবিল চামচ মটরশুঁটি
১ কাপ গাজর কুচি
আধা কাপ শিম কুচি
১ চা চামচ জিরা
২/৩টা শুকনো মরিচ
১/২টা তেজপাতা
আধা চা চামচ হলুদ
আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
১/২ চা চামচ চিনি
লবণ স্বাদমতো
১-২ চা চামচ
প্রণালী

১) বেশ আঁচে মিনিট দুয়েক টেলে নিন মুগ ডাল। এরপর ৩ কাপ পানিতে ৩০ মিনিট সেদ্ধ করে নিন ডাল। এছাড়াও ১০ মিনিট প্রেশার কুকারে ডাল ফুটিয়ে নিতে পারেন।

২) এরপর নন-স্টিক কড়াইতে এক চা চামচ তেল গরম করে নিন। এতে আস্ত জিরা দিয়ে দিন। এরপর দিন শুকনো মরিচ এবং তেজপাতা। এরপর দিয়ে দিন ফুলকপি। সাথে দিন মটরশুঁটি বাদে অন্যান্য সবজি। ওপরে ছড়িয়ে দিন হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, চিনি এবং লবণ। ২-৩ মিনিট সাঁতলে নিন।
৩) ঢাকনা চাপা দিয়ে রান্না হতে দিন সবজি যতক্ষণ না সব সবজি সেদ্ধ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে অল্প করে পানি দিতে পারেন যাতে শুকিয়ে না যায়। একটু নেড়েও দিতে পারেন।

৪) এবার ওপরে ঢেকে দিন সেদ্ধ করে রাখা মুগডাল। এবার দিয়ে দিন মটরশুঁটি। বেশি আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন ২-৩ মিনিট। লবণ চেখে দেখুন, দরকার হলে ঠিক করে নিন।

ব্যাস, তৈরি হয়ে গেলো দারুণ মজাদার এবং স্বাস্থ্যকর ফুলকপির ডাল। ভাত অথবা রুটি- দুটোর সাথেই পরিবেশন করতে পারেন এই ডাল।
টিপস
এই রেসিপিতে আপনি ফুলকপির পাশাপাশি যে কোন সবজি ব্যবহার করতে পারেন। লাউ, বিট, পালং শাক, কাঁচা পেঁপে সবকিছুই চলে। তবে ফুলকপির পরিমাণটা কম দেবেন না।

শীতের সবজি দিয়েই তৈরি করুন "চাইনিজ" পাকোড়া

ranna banna o beauty tips
"চাইনিজ" পাকোড়া 
শীতকালে একটু ভাজাপোড়া খেতে সবারই ভাল লাগে। আলুর চপ, ফুলকপির চপ, পেঁয়াজু কত রকমের পাকাড়োই তো তৈরি করে থাকেন। এইবার একটু ভিন্নধর্মী পাকোড়া তৈরি করে নিন। সবজি দিয়ে তৈরি এই পাকোড়াটি হতে পারে বিকেলের নাস্তা আবার হতে পারে হুটহাট অতিথির নাস্তাও।  আসুন তাহলে জেনে নিন চাইনিজ স্টাইল পাকোড়ার সহজ রেসিপিটি।
উপকরণ:
১ কাপ বাঁধাকপি কুচি
১ কাপ পেঁয়াজ কলি কুচি
১ টেবিল চামচ আদা রসুনের পেস্ট
৩ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি
২টি কাঁচা মরিচ কুচি
১ চা চামচ সয়াসস
১/২ চা চামচ ভিনেগার
৩ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
৬ টেবিল চামচ ময়দা
লবণ
গোলমরিচ গুঁড়ো
তেল ভাঁজার জন্য
সস তৈরির জন্য
২ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
১ টেবিল চামচ চিলি সস
১ চা চামচ সয়া সস
১ চা চামচ সাদা ভিনেগার
প্রণালী:
১। একটি পাত্রে বাঁধাকপি কুচি, ধনেপাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, আদা রসুনের পেস্ট, পেঁয়াজ কলি কুচি, ভিনেগার, সয়াসস, কর্ণ ফ্লাওয়ার, ময়দা, লবণ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো  দিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। এবার এটি ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট মেরিনেট করে রেখে দিন। এতে সবজি থেকে পানি বের হয়ে যাবে।
৩।  ১০ মিনিট পর সবজিগুলো হাত দিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করে দিন।
৪। প্রয়োজন হলে আরও ময়দা বা পানি মিশিয়ে নিন।
৫। চুলায় মাঝারি আঁচে তেল গরম করতে দিন। এবার পাকোড়াগুলো তেলে দিয়ে দিন।
৬। বাদামী রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
৭। পাকাড়ো তৈরির সাথে সাথে চাইনিজ সসটি তৈরি করে ফেলুন।
৮। টমেটো কেচাপ, চিলি গার্লিক সস, সয়া সস এবং ভিনেগার দিয়ে তৈরি করে নিন চাইনিজ সস।
৯। চাইনিজ সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চাইনিজ পাকোড়া।
টিপস
১। বাঁধাকপি মাঝারি আকৃতিতে কেটে নিন।
২। সবজির মিশ্রণে পানি দিবেন না।
৩। মাঝারি আঁচে পাকাড়ো ভাজি করুন।

পেরি পেরি চিকেন

ranna banna o beauty tips
পেরি পেরি চিকেন
আজকাল চিকেনের একটি খাবারের নাম শোনা যাচ্ছে। সেটি হল পেরি পেরি চিকেন। রেস্টুরেন্টে গেলে অনেকেই এই খাবারটি অর্ডার করে থাকেন। ঝাল ঝাল স্বাদের চিকেনের এই খাবারটি খেতে বেশ মজাদার। বাসায় এই মজাদার খাবারটি তৈরি করে নিতে পারেন খুব সহজেই।
উপকরণ:

৫০০ গ্রাম মুরগির রানের মাংস
১ চা চামচ+১/৪ কাপ+৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল বা তেল
৫-৬টি লাল মরিচ
৬-৮টি রসুনের কোয়া
১টি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ
২-৩টি ফ্রেশ ওরিগেনো
কয়েকটি পার্সলি পাতা
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো বা পাপরিকা পাউডার
লবণ স্বাদমত
১ টেবিল চামচ লাল ভিনেগার
২ টেবিল চামচ লেবুর রস
১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ মাখন
প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রি হিট করে নিন।
২। চুলায় প্যান গরম করতে দিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, লাল মরিচ এবং রসুন কুচি দিয়ে দিন।
৩। রসুন লাল হয়ে এলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ৪-৫ মিনিট রান্না করে নামিয়ে রাখুন।
৪। এবার মরিচ, পার্সলি, পাপরিকা, ওরিগেনো, লবণ, লেবুর রস, গোলমরিচ গুঁড়ো, লাল ভিনেগার এবং ৩ টেবিল চাচা মচ অলিভ অয়েল দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। একে পেরিপেরি সস বলা হয়।
৫। তারপর মাংসের টুকরোগুলো একটু করে কেটে নিন।
৬। এবার পেরিপেরি সস দিয়ে মাংসগুলো মাখিয়ে ফেলুন,
৭। মেরিনেট করা মাংসগুলো ২-৩ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
৮। এবার এই মেরিনেট করা মাংসগুলো ওভেনের ট্রেতে সাজিয়ে ওভেনে দিয়ে দিন।
৯। ১৫ থেকে ১৮ মিনিট ওভেনে বেক করুন।
১০। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পেরিপেরি চিকেন।

অন্যরকম স্ন্যাক্স মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় খাবার হামুস এবং ফালাফাল

ranna banna o beauty tips
অন্যরকম স্ন্যাক্স মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় খাবার হামুস এবং ফালাফাল
মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় একটি খাবার ফালাফাল। এর সাথে একটি সস খাওয়া হয়, যার নাম হামুস। হামুস এবং ফালাফাল ছোলার ডাল দিয়ে তৈরি একটি খাবার। একটু ভিন্ন স্বাদের এই খাবারটি খেতে দারুন। আলুর চপ, ডিম চপ, ডালের বড়া খেতে খেতে একঘেয়েমি ধরে গেছে? একঘেয়েমি দূর করে দিবে মধ্যপ্রাচ্যের মজাদার ফালাফাল এবং হামুস।
উপকরণ:

হামুস তৈরির জন্য  
২ কাপ সিদ্ধ ছোলার ডাল
১ কাপ তিল
১ কাপ অলিভ অয়েল
৩-৪ কোয়া রসুনের কোয়া
লবণ
লেবুর রস
ফালাফাল তৈরির জন্য
১ কাপ ভেজা ছোলার ডাল
১/২ কাপ পার্সলি পাতা কুচি
১টি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ কুচি
৩টি রসুন কুচি
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ খাবার সোডা
তেল ভাজার জন্য
সাজানোর জন্য
১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
পাপরিকা বা শুকনা মরিচ গুঁড়ো
কিছু সিদ্ধ ছোলার ডাল
প্রণালী:

১। খুব ভাল করে ছোলার ডাল সিদ্ধ করে নিন।
২। এবার ছোলার ডাল, তিল, অলিভ অয়েল, রসুনের কোয়া, লবণ এবং লেবুর রস দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। আপনি বেশি পাতলা করতে চাইলে পানি দিবেন না, আরও একটু অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিবেন।
৩। তারপর হামুস একটি পাত্রে ঢেলে সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে এক ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন।
৪। এখন ফালাফাল তৈরি করুন।
৫। সিদ্ধ ছোলার ডাল, পার্সলি পাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি, লবণ, জিরা, রসুন কুচি, এবং খাওয়ার সোডা দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৬। মাঝারি আঁচে তেল গরম করতে দিন। এরপর এতে ডালের মিশ্রণ দিয়ে ছোট ছোট বল বা চ্যাপ্টা বড়ার মত করে তেলে দিয়ে  দিন।
৭। বাদামী রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
৮। হামুসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার ফলাফল।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে-

ডিম ছাড়াই হবে ফ্রেঞ্চ টোস্ট

ranna banna o beauty tips
ডিম ছাড়াই হবে ফ্রেঞ্চ টোস্ট 
ব্রেকফাস্টে ঝটপট ফ্রেঞ্চ টোস্ট অথবা বোম্বে টোস্ট পছন্দ করেন অনেকেই। ডিমে ডুবিয়ে হালকা তেলে ভেজে তোলা পাউরুটি নিমেষেই হয়ে পড়ে মুখরোচক একটি নাশতা। কিন্তু যারা ডিম খেতে পারেন না তারা কী করবেন? চলুন, দেখে নেই একেবারে ডিম ছাড়া ফ্রেঞ্চ টোস্ট তৈরির একটি রেসিপি।
উপকরণ

-   ৪ স্লাইস বড় পাউরুটি
-   ১ কাপ দুধ
-   ২ চা চামচ চিনি (অথবা স্বাদমতো)
-   ভাজার জন্য মাখন
-   ২ চা চামচ কাস্টার্ড পাউডার
প্রণালী

১) একটা বোলে মিশিয়ে নিন কাস্টার্ড পাউডার এবং অল্প করে দুধ। ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন, মিশ্রণটা যেন বেশ মসৃণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
২) বাকি দুধটুকু গরম করুন। এর সাথে মিশিয়ে নিন চিনি। এরপর কাস্টার্ড পাউডারের পেস্ট এর সাথে মিশিয়ে নিন।
৩) রান্না করতে থাকুন যতক্ষণ না বেশ ঘন হয়ে আসে এই মিশ্রণ। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে রাখুন।
৪) একটা নন-স্টিক কড়াই বা তাওয়া গরম করে নিন। এর ওপরে মাখিয়ে নিন মাখন। পাউরুটির দুই দিকেই সমান করে কাস্টার্ড পেস্ট মাখিয়ে নিন। এরপর তাওয়ায় ভেজে নিন। একদিক ভাজা হলে উল্টে অন্যদিকে ভেজে নিন।
ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো আপনার ডিম-ছাড়া ফ্রেঞ্চ টোস্ট। পরিবেশন করুন গরম গরম।
টিপস
-   এটা ডিম দিয়ে তৈরি করা ফ্রেঞ্চ টোস্টের মতো বাদামি হবে না। হলদে-সোনালি হয়ে উঠবে ভাজার পর।
-   সার্ভ করতে পারেন ওপরে চকলেট সস বা ম্যাপল সিরাপ ছড়িয়ে।


প্রেসার কুকারে তৈরি করে ফেলুন মজাদার পাঁচমিশালী খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
পাঁচমিশালী খিচুড়ি
শীতের দিন দুপুরে একটু খিচুড়ি আর গরুর ভুনা খেতে পারলে দারুন লাগে। খিচুড়ি আমরা কম বেশি সবাই রান্না করতে পারি। সাধারণত ডাল, চাল মিশিয়ে আমরা খিচুড়ি রান্না করে থাকি। ডাল, চাল এবং সবজি মিশিয়ে রান্না করে নিতে পারেন, একটু ভিন্ন স্বাদের মজাদার পাঁচমিশালী খিচুড়ি। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মজাদার পাঁচমিশালী খিচুড়ির প্রণালীটি।
উপকরণ:

১.৫ কাপ বাসমতী চাল
১ টেবিল চামচ মসুর ডাল  
১ টেবিল চামচ ছোলার ডাল
১ টেবিল চামচ মুগ ডাল
১ টেবিল চামচ অড়হর ডাল
২ টেবিল চামচ ঘি
১ চা চামচ জিরা
১ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ কাপ পেঁয়াজ কিউব করে কাটা
১/২ কাপ বাঁধাকপি কিউব করে কাটা
৩/৪ কাপ ফুলকপি
১/২ কাপ আলু কিউব করে কাটা
১/২ কাপ মটরশুঁটি
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ চামচ ধনিয়া জিরা গুঁড়ো
১/২ কাপ টমেটো কুচি
লবণ স্বাদমত
প্রণালী:

১। চাল এবং ডাল ১৫ মিনিট একটি পাত্রে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন।
২। এবার প্রেশার কুকারে ঘি এবং জিরা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৩। এরপর এতে আদা রসুন দিয়ে মাঝারি আঁচে ১ মিনিট ভাজুন।
৪। আদা রসুন নরম হয়ে এলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আবার ১ মিনিট নাড়ুন।
৫। এতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, আলু এবং মটরশুঁটি দিয়ে মাঝারি আঁচে ২ মিনিট রান্না করুন।
৬। লাল মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো, টমেটো কুচি, চাল, ডাল, লবণ এবং ৩ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। প্রেশার কুকারে ২ বার হুইসেলের জন্য অপেক্ষা করুন।
৭। ব্যস তৈরি হয়ে গেল পাঁচমিশালী খিচুড়ি। ৬ জন মানুষের পরিবেশনযোগ্য।

মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৬

পুঁইপাতা ভাজি

ranna banna o beauty tips
পুঁইপাতা ভাজি
উপকরণ: ছোলার ডালের বেসন দেড় কাপ। চালের গুঁড়া আধা কাপ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। পুঁইশাকের পাতা বড় বড় ৭,৮টি। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। বেইকিং পাউডার ১ চা-চামচ। পেঁয়াজবাটা ১ চা-চামচ। রসুনবাটা আধা চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল (ভাজার জন্য) পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: সব উপকরণ মিলিয়ে পানিতে দিয়ে থকথকে গোলা করে এক ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে।

কড়াইয়ে তেল গরম করতে দিন। পুঁইশাকের পাতা দুতিনটি একসঙ্গে নিয়ে বেসনের গোলায় ডুবিয়ে, গরম ডুবো তেলে ছেড়ে দিন। মচমচে বাদামি রং করে ভাজতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে পরিবেশন করুন।

স্প্যানিশ অমলেট

ranna banna o beauty tips
স্প্যানিশ অমলেট
উপকরণ: ২টি মাঝারি আকারের আলু। ৩টি ডিম। ১টি বড় পেঁয়াজ। ১ কাপ অলিভ অয়েল। ১ চা-চামচ গোলমরিচ গুঁড়া। স্বাদ মতো লবণ। সামান্য ধনেপাতা ও গাজরকুচি (ইচ্ছা)।

পদ্ধতি: আলু ছিলে পাতলা ছোট ছোট করে কাটুন। পেঁয়াজ মোটা করে ঝুরি করে নিন। তেল গরম করে, আলুগুলো ভাজতে থাকুন। সামান্য লবণ ছিটিয়ে দিন।

আলু যখন প্রায় সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। দুই মিনিট পর তেল থেকে আলু ও পেঁয়াজ ছেঁকে তুলে নিন।

এবার আলাদা পাত্রে ডিম, লবণ, গাজরকুচি, ধনেপাতা এবং গোলমরিচ ফেটিয়ে এরমধ্যে ভাজাআলু ও পেঁয়াজ মেশান।
কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে তাতে মিশ্রণটা ঢেলে দিন। ঢেকে দিয়ে অল্প আঁচে ভাজুন। হয়ে গেলে পছন্দ মতো সালাদ দিয়ে পরিবেশন করুন।

সরষে ভাপা রুই

ranna banna o beauty tips
সরষে ভাপা রুই
উপকরণ: রুই মাছ ৫ টুকরা। পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ। আদাবাটা আধা টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। সরিষাবাটা ১ টেবিল-চামচ। কাঁচামরিচ বাটা ২,৩টি। ধনেপাতা-বাটা ১ টেবিল-চামচ। সরিষার তেল ৪ টেবিল-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা ইচ্ছা মতো।

পদ্ধতি: মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে ভালো করে পানি ঝরিয়ে রাখুন।

প্যানে তেল দিয়ে গরম হলে, মাছগুলো শুধু লবণ দিয়ে মাখিয়ে দুই পাশে দুই মিনিট ভেজে নিন। তাতে স্বাদ বেড়ে যাবে কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যেন না ভাঙে। এবার উঠিয়ে রাখুন।
 কি তেলে পেঁয়াজবাটা বাদামি করে ভেজে একে একে বাকি সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন যেন পানি না থাকে।
এবার প্যানে মাছগুলো ভালো করে বিছিয়ে নিন। কষাণো মশলা আস্তে আস্তে মাছের উপর ছড়িয়ে দিন। উপর দিয়ে কাঁচামরিচ ফালি আর ধনেপাতার কুচি দিয়ে ভালো করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন, যেন ভাপ বের হতে না পারে।

চুলায় তাওয়া গরম করে তার উপর প্যান বসিয়ে দিন। মাছ হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন ।

শীতেও ঝলমলে চুল

ranna banna o beauty tips
শীতেও ঝলমলে চুল
কয়েক দিন ধরেই জেঁকে বসেছে শীত৷ এই সময় ঠান্ডা পানিতে চুল ভেজানো তো এক দুরূহ কাজই বটে৷ গোসল করতে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা হয়, তাতেও চুলের বারোটা বাজতে দেরি হয় না৷ স্বাভাবিকভাবেই চুলের তাপমাত্রার চেয়ে গরম পানির তাপমাত্রা বেশি হয়ে থাকে৷ যে কারণে চুল আরও শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে যায়৷ আবার নিয়মিত চুলটা না ধুলেও তো দেখা দেয় নানা সমস্যা৷ এ জন্য গোসলের আগে চুলে শাওয়ার ক্যাপ পরে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন হারমোনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা৷ তিনি বললেন, ‘গোসল শেষে কুসুম গরম পানিটাকে আরেকটু ঠান্ডা করে নিন৷ এবার শাওয়ার ক্যাপ খুলে ভালো করে চুলগুলোকে ধুয়ে নিন৷ সবশেষে এক মগ হালকা কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ ভিনেগার দিয়ে চুলগুলোকে আবারও ধুয়ে নিন৷ ভিনেগারের গন্ধ যাঁদের পছন্দ নয় তাঁরা অবশ্য লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন৷ এতে গরম পানিতে গোসল করলেও চুল আর রুক্ষ হওয়ার ভয় থাকবে না৷

যাঁদের চুল প্রকৃতিগতভাবেই একটু শুষ্ক প্রকৃতির শীতের সময়টা তাঁদের একটু বেশিই ঝামেলা পোহাতে হয়৷ কারণ ঠান্ডার সময় চুলে প্যাক লাগালে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ তাই শীতের সময় চুলের রুক্ষতা দূর করতে এমন প্যাক বেছে নিতে হবে যেগুলো ধুতে খুব বেশি পানির প্রয়োজন হয় না৷ শীতে চুলের যত্নে মেহেদির প্যাকগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো৷ এর পরিবর্তে যাদের চুল একটু লম্বা তারা সপ্তাহে এক দিন পরিমাণমতো দুধ, মধু আর লেবুর রস মিলিয়ে লাগাতে পারেন৷ একটা কলার সঙ্গে আধা কাপ টক দই ভালো করে পেস্ট করে লাগাতে পারেন মাঝারি দৈর্ঘ্যের চুলে৷ তবে যেকোনো প্যাক ব্যবহারের আগে তা হালকা গরম করে নিন৷ শীতের সময় কোনো প্যাকেই চুলে ২০ মিনিটের বেশি রাখবেন না৷ চুলে তেল লাগিয়ে সারা রাত রাখলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে৷ তাই তেল গরম করে নিয়ে গোসলের আধা ঘণ্টা আগে চুলে লাগান৷ এরপর শ্যাম্পু করে নিন৷ চুল ধুতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার-সমৃদ্ধ শ্যাম্পু বেছে নিন৷ শীতকালে চুল রুক্ষ হওয়া ছাড়াও আরেকটা সমস্যা বেশ দেখা দেয় অনেকের৷ তা হলো চুলের ডগা ফেটে যাওয়া৷ এদিকে আবার অনেকেরই ধারণা যে শীতে চুল কাটলে সেই চুল আর লম্বা হবে না৷
রাহিমা সুলতানা জানালেন, এটা একেবারেই একটা ভুল ধারণা৷ বরং শীতে আগা ছাঁটলেই চুল আরও সুন্দর করে বেড়ে ওঠে৷ তাই চুল ফেটে গেলে সঙ্গেই সঙ্গেই ছেঁটে ফেলার পরামর্শ দিলেন এই রূপবিশেষজ্ঞ৷

চুলের যত্নে যা করা দরকার

ranna banna o beauty tips
চুলের যত্নে যা করা দরকার
চুলের যত্নে এই প্যাক, সেই প্যাক—আরও নানা কিছু ব্যবহার করছেন, কিন্তু পরিচর্যার একদম প্রাথমিক কিছু ধাপেই যদি থেকে যায় গলদ, তা হলে কি চলে? ‘শ্যাম্পু করা, তেল দেওয়া—এসব তো রোজকার ঘটনা, এতে আর অত মনোযোগের কী প্রয়োজন’—এমন ভেবেছেন তো ভুল করেছেন। চুলের যত্নে খুব সাধারণ কিছু বিষয়ও জেনে নেওয়া জরুরি। কারণ, অনেক ভুল ধারণাও রয়েছে এসব নিয়ে। এ প্রসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন ও শারমিন কচি।
চুল কি রোজ ধুতে হবে?
রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, আমাদের দেশের আবহাওয়ায় প্রতিদিনই শ্যাম্পু করা উচিত। যাঁরা রোজ বাইরে যান, তাঁদের জন্য এটি অবশ্যই করণীয়। বাইরে বের না হলে ধুলাবালুতে চুল তেমন ময়লা হয় না। তাই সে ক্ষেত্রে এক দিন পরপর চুল পরিষ্কার করলেও কোনো ক্ষতি নেই। তবে চুল ও মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে বাইরে বের না হলেও প্রতিদিনই শ্যাম্পু করার পরামর্শ দেন তিনি। এই নিয়ম যেকোনো ঋতুতেই মেনে চলা উচিত। আর শ্যাম্পু কী পরিমাণে নিতে হবে, তা নির্ভর করবে চুলের ঘনত্ব ও দৈর্ঘ্যের ওপর। শ্যাম্পুর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে নিলে চুল পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে। শ্যাম্পু করতে হবে দুবার। অর্থাৎ একবার শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে আবার করতে হবে। শারমিন কচি বলেন, ‘শীতের সময় ধুলাবালুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় খুশকির সমস্যা বৃদ্ধি পায়, এ সময় তাই প্রতিদিন শ্যাম্পু করা উচিত।’
কন্ডিশনিং কয়বার
চুল বেশি শুষ্ক হলে প্রতিবার শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনিং করা উচিত। অবশ্য চুল তেলতেলে হলে কন্ডিশনার এড়িয়ে যাওয়া যায়। মিশ্র ধরনের চুল হলে এক দিন পরপর কন্ডিশনার করলেও চলবে। আর এটি চুলে লাগাতে হবে চুলের আগা থেকে ওপরের দিকে। গোড়ায় কোনোমতেই লাগানো যাবে না। কন্ডিশনার ব্যবহারের পরিমাণও নির্ভর করবে চুলের দৈর্ঘ্যের ওপর। ছোট চুল হলে কম, লম্বা হলে অপেক্ষাকৃত বেশি কন্ডিশনার নিতে হবে।
তেল কত দিন পরপর
চুলের পুষ্টি জোগাতে নিয়মিত তেল ব্যবহার করতে হয়। তবে কি শ্যাম্পুর মতো তেলও রোজ লাগাতে হবে? না, প্রতিদিন চুলে তেল দেওয়াটা জরুরি নয়। তবে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে রাখার জন্য সপ্তাহে অন্তত এক দিন চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে তেল লাগাতেই হবে। চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হলে দুই দিন পরপর তেল ম্যাসাজ করা ভালো। তেল দিয়ে এক ঘণ্টার মতো রেখেই চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত চুল হলে এত ঘন ঘন তেল দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

যন্ত্রের ব্যবহার
চুল শুকাতে প্রায়ই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া স্টাইলিংয়ের জন্য আয়রন কিংবা কার্লারও ব্যবহার করেন অনেকে। তবে নিয়মিত চুলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা কি ঠিক? অথবা আয়রন বা হেয়ার কার্লারের মতো সরঞ্জাম ব্যবহার করলে চুলের কোনো ক্ষতি হয় কি না, প্রশ্ন করা হয়েছিল শারমিন কচি ও আফরোজা পারভীনের কাছে। উত্তরে তাঁরা দুজন একই মত জানান, খুব প্রয়োজন না হলে এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো, তবে একেবারে বাদও তো দেওয়া যাবে না। তাই চুলের ওপর দিয়ে এসবের ধকল গেলে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। নিয়মিত গরম তেল মালিশ এবং চুলের ধরন বুঝে হেয়ার প্যাকের ব্যবহারে চুলের এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। শারমিন কচি বলেন, গরম বাতাসের হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে ঠান্ডা বাতাসেরটি ব্যবহার করতে হবে। আর আয়রন বা হেয়ার কার্লারের তাপ চুলে লাগানোর পর বাড়ি ফিরে নিবিড় কন্ডিশনিং করতে হবে।

হেয়ার স্প্রে কি ক্ষতিকর?
চুল সেট করতে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে হতেই পারে। ভালো মানের হেয়ার স্প্রে চুলে রোজ ব্যবহার করলেও কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তবে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি এটি চুলে রাখা ঠিক হবে না। তেল দিয়ে স্প্রে তুলে ফেলে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। লক্ষ রাখবেন, ময়লা চুলে স্প্রে লাগাবেন না যেন। একইভাবে মুজ লাগানোর পরেও চুলের যত্ন নিন।

চুল রাঙাব কদিন বাদে?
আফরোজা পারভীনের মতে, যখনই মাথায় সাদা চুল দেখা যায়, তখনই চুলে রং করা যাবে। ফ্যাশনের জন্য হলে বছরে তিনবারের বেশি রং করা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, চুলে যেকোনো রাসায়নিকের ব্যবহারের পরেই বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার।’ এ প্রসঙ্গে রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘চুলে একবার রং করার পর ছয় মাসের মধ্যে পুনরায় রং করানো উচিত নয়। বছরে দুবারের বেশি রং করার দরকার নেই।’

পালং–চিংড়ির পোলাও

ranna banna o beauty tips
পালং–চিংড়ির পোলাও
উপকরণ: বাসমতী বা কালিজিরা চাল ২ কাপ, চিংড়ি ১ কাপ (মাঝারি), পালংশাক দেড় কাপ (গরম পানিতে চুবিয়ে তুলে নেওয়া), পেঁয়াজ ৫টা (বড় ১টা বাটা আর ৪টা কুচি), আদা ১ টেবিল চামচ (কুচি), রসুনবাটা চা-চামচের তিন ভাগের এক ভাগ, টমেটো পেস্ট ১ কাপ (গরম পানিতে ডুবিয়ে তুলে খোসা ও বিচি ফেলে পেস্ট করে নিতে হবে), কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ (টমেটো টক হলে পরিমাণে বেশি দিতে হবে), গরম মসলা (এক চিমটি জায়ফল, জয়ত্রীসহ) আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ পাঁচ-ছয়টা (আস্ত), লবণ স্বাদমতো, তেল ১ কাপ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, পানি প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। পালংশাক কেটে নিন। প্যানে অল্প ঘি গরম করে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে তুলে রাখুন। তারপর সেই ঘির সঙ্গে প্রয়োজনমতো তেল মিশিয়ে গরম করে তাতে লবণ-হলুদ মাখানো চিংড়ি হালকা করে নিন। তারপর বাটা পেঁয়াজ, টমেটো পেস্ট, রসুনবাটা, কাশ্মীরি মরিচবাটা, শুকনা মরিচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে কষান। এবার অল্প গরম পানি দিয়ে ভাজা চিংড়িগুলো দিয়ে স্বাদমতো চিনি দিয়ে দিন। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে চার-পাঁচ মিনিট রান্না করে ঘন ঝোলসহ নামান।
অন্য একটি প্যানে তেল গরম করে তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ আর আদাকুচি সোনালি করে ভেজে নিন। তাতে চাল দিয়ে তিন-চার মিনিট ভেজে প্রয়োজনমতো ফুটন্ত গরম পানি আর স্বাদমতো লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। পানি চালের সমান হয়ে এলে প্যানের নিচে তাওয়া দিয়ে পোলাও দমে বসান। পানি পুরো শুকিয়ে গেলে আস্ত কাঁচা মরিচগুলো দিয়ে ঢেকে দিন।
এবার অন্য একটি প্যানে প্রথমে পোলাওয়ের স্তর, তারপর চিংড়ির স্তর, তারপর অল্প পালংয়ের স্তর দিয়ে কিছু বেরেস্তা ছড়িয়ে দিন। একইভাবে আরও দুটি স্তর সাজিয়ে আবারও দমে বসান পাঁচ-সাত মিনিটের জন্য। বেশিক্ষণ দমে রাখলে পালংয়ের রং নষ্ট হয়ে যাবে। তারপর পরিবেশন পাত্রে নামিয়ে ওপরে বেরেস্তা ছড়িয়ে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

পালং পায়েস

ranna banna o beauty tips
পালং পায়েস
উপকরণ: ডাঁটা বাদে পালংপাতা ১ কাপ, গাজর ২টি, পোলাওয়ের চাল ৩ টেবিল চামচ, তরল দুধ ১ লিটার, কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন, ঘি ২ টেবিল চামচ, এলাচি গুঁড়া চা-চামচের তিন ভাগের এক ভাগ, গোলাপজল ১ চা-চামচ, বাদাম-আমন্ড-চেরি ৮-১০টি (সাজানোর জন্য)।
প্রণালি: পোলাওয়ের চাল ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন দুই ঘণ্টা। পালংপাতা সেদ্ধ করে ব্লেন্ডারে দিয়ে পিউরি করে নিন। গাজর মিহি করে গ্রেট করে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে একটা বলক উঠলে পানি ঝরানো পোলাওয়ের চাল হালকা ভেঙে দুধে দিয়ে দিন। অন্য একটি পাত্রে ঘি গরম করে গাজর দিয়ে বেশি আঁচে হালকা ভেজে (গাজরের কাঁচা গন্ধটা চলে গেলেই হবে) দুধের মধ্যে দিয়ে দিন। গাজর ভাজার সেই পাত্রে অল্প ঘি দিয়ে পালং পিউরি দিয়ে হালকা ভেজে নামিয়ে নিন। দুধের মধ্যে দেওয়া চাল আর গাজর ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে থকথকে হয়ে এলে প্রয়োজনমতো কনডেন্সড মিল্ক আর এলাচি গুঁড়া মিশিয়ে দিন। গোলাপ পানিটাও এ সময় মিশিয়ে দিতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে তারপর অল্প অল্প করে পালং পিউরি মেশান। পিউরি সবটা না-ও লাগতে পারে। হালকা সবুজ ভাব এলে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে বাদাম কুচি, লাল চেরি বা ভাজা গাজর কুচি দিয়ে সাজিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে তারপর পরিবেশন করুন।

ওটস-পালং পাকোড়া

ranna banna o beauty tips
ওটস-পালং পাকোড়া
উপকরণ: পালংশাক ১ কাপ (মিহিকুচি), ওটস ৪ টেবিল চামচ (প্রয়োজনে কমবেশি করা যেতে পারে), কর্নফ্লাওয়ার ৪ টেবিল চামচ, ডিম ১টা, চিকেন স্টকের কিউব ১টা, পেঁয়াজ ১টা (কুচি), আদা ১ চা-চামচ (কুচি), কাঁচা মরিচ তিন-চারটা (কুচি), লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি: একটা পাত্রে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন গোলা তৈরি করে নিন। প্যানে গরম তেলে প্রয়োজনমতো গোলা ঢেলে কম আঁচে দুই দিক সোনালি করে ভেজে নিন। পছন্দমতো সস বা চাটনির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মুরগি-পালং সালাদ

ranna banna o beauty tips
মুরগি-পালং সালাদ
উপকরণ: পালংশাক ২ আঁটি (ছোট পালং হলে ভালো), কর্ন (ভুট্টার দানা) আধা কাপ, সেদ্ধ মুরগি অথবা চিকেন সসেজ আধা কাপ, আনার দানা সিকি কাপ, জলপাই তেল ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা-চামচ, চিলি ফ্লেক্স ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ১ চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ।
প্রণালি: ডাঁটা বাদ দিয়ে পালংশাক বেছে নিয়ে ফুটন্ত পানিতে ছেড়ে দিয়ে এক মিনিট রেখে তুলে নিন। এবার বরফ পানিতে কিছুক্ষণ রেখে তুলে নিয়ে কিচেন টিস্যুতে ভালো করে মুছে হাত দিয়ে ছিঁড়ে রাখুন। কচি ভুট্টার দানা অল্প লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। মুরগি ব্যবহার করলে হাড় ছাড়ানো মুরগি ছোট টুকরা করে অল্প লবণ-হলুদ দিয়ে তেলে হালকা করে ভেজে নিন। চাইলে গ্রিল করা মুরগিও ব্যবহার করা যাবে। আর চিকেন সসেজ ব্যবহার করলে তাও ছোট ছোট টুকরা করে তেলে হালকা ভেজে নিন।
এবার ড্রেসিং তৈরির পালা। একটা পাত্রে অলিভ অয়েল, চিলি ফ্লেক্স, লেবুর রস, চিনি ও স্বাদমতো লবণ খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এতে ভুট্টার দানা, মুরগি অথবা চিকেন সসেজ মিশিয়ে নিন। হালকা হাতে পালংশাক আর আনার দানা ছড়িয়ে মিলিয়ে নিলেই সালাদ তৈরি। সেদ্ধ ডিম বা খোসা ছাড়ানো কমলা ওপরে ছড়িয়ে পরিবেশন করলে দেখতে ভালো দেখাবে। সালাদ সব সময় পরিবেশনের একদম আগ দিয়ে তৈরি করা উচিত নাহলেপানি ছেড়ে দিয়ে নরম হয়ে যায়। এ ছাড়া
মুরগি বা সসেজের পরিবর্তে চিংড়িও ব্যবহার করা যেতে পারে।

আলু–পালংয়ের অমলেট

ranna banna o beauty tips
আলু–পালংয়ের অমলেট
উপকরণ: ডিম ৪টি, আলু ২টি (বড়), পালংশাক ২ আঁটি, পেঁয়াজ ২টি (বড় আকারের, পাতলা কুচি করা), কাঁচা মরিচ ৩-৪টি (কুচি), লবণ স্বাদমতো, তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: ফুটন্ত গরম পানিতে পালংশাক (ডাঁটা বাদে) দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিন। পানি নিংড়ে ফেলে দিয়ে ছোট করে কেটে রাখুন। আলু ছোট কিউব করে কেটে নিন। ডিমগুলো স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালো করে ফেটে নিন। এখন প্যানে অল্প তেল গরম করে কিউব করে কাটা আলু লবণ মাখিয়ে ছেড়ে দিন। সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। তারপর তাতে পেঁয়াজ কুচি মিশিয়ে দিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে পালংশাক আর কুচোনো কাঁচা মরিচ মিশিয়ে ২-৩ মিনিট ভেজে নিন। নামিয়ে মিশ্রণটা একেবারে ঠান্ডা করে নিয়ে ফেটে রাখা ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে মিশ্রণটা ঢেলে দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। অমলেটের ওপরের দিকটা শুকিয়ে এলে সাবধানে উলটে দিয়ে অপর পাশটাও সোনালি করে ভেজে নিন। একটা টুথপিক বা কাঁটা চামচ অমলেটের ভেতরে ঢুকিয়ে দেখে নিন ভেতরে কাঁচা আছে কি না। হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৬

লাল পোশাকে নারীরা কেন এত আবেদনময়ী!

ranna banna o beauty tips
লাল পোশাকে নারীরা কেন এত আবেদনময়ী!
লাল রঙ নাকি ভালোবাসার রঙ! নারীরা তবে কি ছেলেদের কাছে ভালোবাসার পাত্রী হয়ে উঠার জন্যই লাল পোশাকে নিজেকে সাজাতে চান। আর না হলে কেন নারীরা লাল লিপস্টিক, লাল শাড়ি, লাল টিপেই বেশি সাজিয়ে তোলেন নিজেকে। 
অনেকেই মনে করেন লাল পোশাক পুরুষদের চোখে নারীদেরকে বেশি আবেদনময়ী করে তোলে।এ কারণেই নারীরা লাল পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পছন্দ করেন। আর নারীদের কে না চায় পুরুষদের চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় আর আবেদনময়ী করে উপস্তাপন করতে।যদিও এটা সব নারীর জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে বেশিরভাগ নারীর মনস্তত্ব প্রায় একই রকম। 
অবশ্য নারীদের এই মনস্তত্বের পেছনে বেশকিছু গবেষণাও রয়েছে। বেশিরভাগ গবেষণাতেই উল্লেখ রয়েছে লাল রঙের সঙ্গে যৌনতার একটি সম্পর্ক রয়েছে। বলা হয় যৌনতার সঙ্গে লাল রঙের রয়েছে প্রত্যক্ষ সংযোগ। আবার এও বলা হয় যে, লাল বর্ণের নারীদের সঙ্গে থাকলেও পুরুষরা সমানভাবে আকর্ষণ বোধ করেন। 
এসব মনগড়া কোন কথা নয়। এসব তথ্য বহু আগেই প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা জানিয়েছেন, লাল রঙের পোশাক আকর্ষণীয় নারীদের যৌন আবেদন আরও বাড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ইউরোপিয়ান জর্নাল অব সোস্যাল সাইকোলজি’র গবেষক স্টিভেন জি ইয়ং জানিয়েছেন নারী পুরুষের যৌন মিলনের ক্ষেত্রে রঙের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। লাল রঙ এক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। কারণ নারীদের যৌন-উত্তেজনার সঙ্গে তার ঠোঁট, গাল, গলা, বুক ইত্যাদি অঙ্গ রক্তাভ হয়ে ওঠে। এ কারণেই নারীদের লাল পোশাকে পুরুষদের কাছে আরও আবেদনময়ী করে তোলে। 

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.