বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

ত্বকের বলিরেখা দূর করুন জাদুকরী এই ক্রিম ব্যবহারে

ranna banna o beauty tips
ত্বকের বলিরেখা দূর করুন জাদুকরী এই ক্রিম ব্যবহারে
প্রাকৃতিক নিয়মে বয়স বৃদ্ধি পায়, আর বয়সের সাথে সাথে ত্বকে দেখা দেয় বলিরেখা বা রিংকেল। আর এই বলি রেখা বা বয়সের ছাপ দূর করার জন্য কত কিছুই না আমরা করে থাকি। অ্যাণ্টি রিংকেল ক্রিম, অ্যান্টি রিংকেল ফেসিয়াল, নামী দামী কত ক্রিমই না আমরা ব্যবহার করে থাকি। এই ক্রিমগুলো কি আসলেই কার্যকরী? কাজ করলেও কতটুকুই বা কার্যকরী? আবার বাজারে ক্রিম ব্যবহারে থাকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভয়। বাজারে ক্রিম সাময়িকভাবে ত্বক টানটান করে বলিরেখা দূর করে থাকলেও, দীর্ঘমেয়াদি ফল এর থেকে লাভ করা সম্ভব নয়। অনেক তো ব্যবহার করলেন বাজারের অ্যান্টি রিংকেল ক্রিম। এবার না হয় ঘরে নিজেই তৈরি করে ফেলুন অ্যান্টি রিংকেল ক্রিম। খুব সাধারণ, প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এই ক্রিম তৈরি করা হয় বিধায় এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আর নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন এই ক্রিমটি।
যা যা লাগবে:

১/৪ কাপ বিশুদ্ধ বাদাম তেল
২ টেবিল চামচ নারকেল তেল
২ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মোম
১/২ চা চামচ ভিটামিন ই অয়েল
১ টেবিল চামচ শিয়া বাটার
কয়েক ফোঁটা এসেন্সিয়াল অয়েল (ইচ্ছা)
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। একটি পাত্রে সবগুলো উপাদান মিশিয়ে নিন।
২। এবার পাত্রটি ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত পানি দিয়ে ভরে ফেলুন।
৩। এখন পাত্রটি চুলায় জ্বাল হতে দিন যতক্ষণ পর্যন্ত না সবগুলো উপাদান গলে না যায়, ততক্ষণ জ্বাল দিন।
৪। মাঝে মাঝে এটি নাড়ুন।
৫। সবগুলো উপাদান ভালমত মিশে গেলে এটি চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
৬। ক্রিমটি রুম তাপমাত্রায় ঠান্ডা হওয়ার জন্য রাখুন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন:

দিনে দুইবার সকাল এবং রাতে ব্যবহার করুন। ব্যবহারের আগে মুখে ধুয়ে নিবেন। ক্রিমটি ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন।
বাদাম তেল, নারকেল তেল, শিয়া বাটার প্রতিটি উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী। বাদাম তেল ত্বক নরম কোমল করে তোলে। নারকেল তেলের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ পরা রোধ করে। মোম এবং শিয়া বাটার উভয়ই অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে। যা ত্বকের বলিরেখা পরা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।

জেনে নিন ফরাসি সুন্দরীদের রূপের রহস্য!

ranna banna o beauty tips
জেনে নিন ফরাসি সুন্দরীদের রূপের রহস্য!
সৌন্দর্য ও ফ্যাশনের লীলাভূমি হচ্ছে ফ্রান্স। কিন্তু তাই বলে এটা ভেবে বসবেন না যে, ফ্রান্সের নারীরা তাদের ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় আধুনিক কৌশল ব্যবহার করে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ফরাসি নারীরা তাদের ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে প্রাকৃতিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করে থাকেন বেশি! তাদের ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যের মূল ভিত্তি হচ্ছে দাদীমাদের অর্থাৎ প্রাচীন রূপের রহস্য যা তারা আজও অনুসরণ করেন। ফরাসি সুন্দরীরা সাধারণত খুবই কম মেকআপ নিয়ে থাকেন এবং  ত্বককে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করার জন্য তারা সব সময় হ্যাট বা ছাতা ব্যবহার করে। আসুন আজ জেনে নেই ফরাসি রমণীদের সৌন্দর্য চর্চার আরো কিছু বিষয়।
১। প্রথাগত সৌন্দর্য পদ্ধতি অনুসরণ করে
ফ্রান্সের মানুষ ছোট বেলা থেকেই পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের থেকে সৌন্দর্যের বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন যেমন- তারা ঘুমানোর আগে ভালোভাবে মুখ ধোন। তারা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করেন, যেমন- চোখের উপর শশার টুকরা ১৫ মিনিট দিয়ে রাখা, স্ট্রবেরি ও মধু মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করা ইত্যাদি। তারা চুল ধোয়ার জন্য ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে এবং চুলের উজ্জ্বলতার জন্য লেবু বা ভিনেগার ব্যবহার করে।
২। ঘুমানোর আগের সৌন্দর্য চর্চা
রাতের বেলায় মানুষ যখন ঘুমায় তখন ত্বক তার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার কাজ করে এবং পুনর্জীবিত হয়। ফ্রান্সের রমণীরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ক্লিঞ্জিং ও স্ক্রাবিং করে এবং ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল ইত্যাদি ব্যবহার করেন।
৩। চুলে ড্রায়ার ব্যবহার করে না
ফ্রান্সের রমণীরা চুল ধোয়ার পর প্রাকৃতিক ভাবে শুকিয়ে নেন, তারা কখনোই ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকান না। কারণ ড্রায়ার দিয়ে চুল শোকালে চুল ভঙ্গুর, শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে যায়।
৪। প্রচুর পানি পান করে
সার্বিক স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্য পানির অপরিহার্যতাকে ফ্রান্সের রমণীরা খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বলে সব সময় হাইড্রেটেড থাকেন। তারা পর্যাপ্ত পানি পান করার পাশাপাশি প্রায়ই মুখে পানির ছিটা দেন।
৫। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে
ফ্রান্সের মেয়েরা সব সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করেন। এর ফলে তাদের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক উজ্জ্বল ও তরতাজা দেখায়। রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মুখে গোলাপি আভা দেখা যায়।
৬। রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করে
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ফরাসি মেয়েরা সব সময় ছাতা ব্যবহার করেন এবং বড় হ্যাট ব্যবহার করে। এজন্য তাদের বলিরেখা পড়েনা। তারা বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিনও ব্যবহার করেন।
৭। পাতলা দেহের জন্য তাদের কোন ঘোর কাজ করেনা
ফরাসি মেয়েরা সুস্থ ও সুখি জীবনে বিশ্বাস করে। তারা সাধারণ ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও খাবারকে উপভোগ করেন। পরিবারের সবার সাথে খাবার গ্রহণ করে। তারা ভোজনের সময় অনেক বেশি স্ন্যাক্স খান না। তারা তাজা ফলমূল, আস্ত শস্যদানা, অলিভ অয়েল, মাছ, মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবার খান বেশি। তাদের ওজন বৃদ্ধি পেলেও তারা জিমে যান না বরং সাধারণ এক্সারসাইজ যেমন- হাঁটা, দৌড়ানো ও এরোবিকস ইত্যাদি নিয়মিত করেন।
৮। বেশি মেকআপ করেন না
ফ্রান্সের মেয়েরা খুব বেশি মেকআপ করেন না কারণ তারা “ন্যাচারাল বিউটি” কথাটিতে বিশ্বাস করে। তাদের মেকআপ হয় “Done but not done look” এই বিখ্যাত উক্তিটির মতোই। আসলে স্বাস্থ্যবান উজ্জ্বল ত্বকের জন্য তেমন কোন মেকআপের প্রয়োজন হয় না। 
এছাড়াও ফরাসি সুন্দরীরা তাদের সৌন্দর্যের জন্য যে কাজ গুলো করেন- প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না, সব সময় পারফিউম ব্যবহার করেন, হাত পরিষ্কার করা ছাড়া মুখে হাত লাগান না, শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ান ইত্যাদি।

রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৫ ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ৫ ব্যবহার
অলিভ অয়েল ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ একটি তেল। এই তেল ত্বক এবং চুলের জন্য অনেক উপকারী। এমনকি সেনসিটিভ ত্বকেও এটি ব্যবহার করা যায় সহজে। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অলিভ অয়েলের অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট উপাদান ত্বকের বলিরেখা, রিংকেল দূর করে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। শুধু ত্বকের যত্নেই নয়। চুল নরম, শাইনি স্বাস্থ্যজ্বল করতে এর বিকল্প নেই।
১। গোসলে অলিভ অয়েল
বিশ্ববিখ্যাত অভিনেত্রী সোফিয়া লরেনকে মনে আছে? এই ইটালিয়ান সুন্দরী অলিভ অয়েল দিয়ে গোসল করতে পছন্দ করতেন। আপনার গোসলের পানিতে ৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে গোসল করুন। এক নিমিষে আপনার ত্বক নরম কোমল হয়ে উঠবে। এছাড়া গোসলের সময় অলিভ অয়েল  সারা শরীরে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। এই একটি কাজ নিয়মিত করার ফলে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে অবিশ্বাস্য রকমের নরম এবং কোমল।
২। শুষ্ক ত্বকের জন্য
শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের ত্বকের রুক্ষতার কারণে ত্বকে নান সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাদের জন্য অলিভ অয়েল সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী সমাধান। গোসলের পর আপনি কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল শরীরে ম্যাসাজ করুন। এরপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন শুকিয়ে যাওয়ার জন্য। এটি আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে থাকবে। অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে কোন লোশন ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না।  
৩। স্ট্রেচ মার্ক রিমুভার
অলিচ অয়েল ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখে। আপনার স্ট্রেচ মার্কের উপর অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন। এটি শুধু দাগ নয় পুরাতন স্ট্রেচ মার্কও হালকা করে থাকবে। তবে এটি নিয়মিত করতে হবে।
৪। সানস্ক্রিন
সমপরিমাণ অলিভ অয়েল এবং চায়ের লিকার পানি মিশিয়ে নিন। এটি আপনি মুখ এবং সারা শরীরে ম্যাসাজ করুন। এবার এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন না। এটি সানস্ক্রিনের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
৫। চুল শাইনি করতে
লেবুর রস, ডিমের কুসুম এবং দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এটি চুল নরম এবং সাইনি করে তুলবে। খুশকি দূর করার জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন।
ত্বক থেকে মেকআপ দূর করতে অলিভ অয়েল বেশ কার্যকরী। এক টুকরো তুলোয় অলিভ অয়েল লাগিয়ে ত্বকে ঘষুন। এটি সুন্দরভাবে ত্বক থেকে মেকআপ তুলে ফেলবে।

লেবুর সুঘ্রাণে লেমন চিজ কেক

ranna banna o beauty tips
লেবুর সুঘ্রাণে লেমন চিজ কেক
চিজ কেক খাবারটি যে কোন পার্টিতে মানিয়ে যায় বেশ। নতুন স্বাদের কোন একটা চিজ কেক পরিবেশন করতে চান? তাহলে জেনে নিন নাজিয়া ফারহানার লেমন চিজ কেকের রেসিপি।   উপকরণ ১. ক্রিম চিজ -২৫০ গ্রাম ২. ক্রিম-১ টিন ৩.সাদা জেলোটিন -১ প্যাকেট ৪.ঘন দুধ -১ কাপ ৫.চিনি -১ কাপ ৬. লেমন জেলো -১ প্যাকেট  ৭. লেবুর রস-২ টেবিল চামচ  ৮. মাখন-১০০ গ্রাম ৯. মারি বিস্কুট গুঁড়ো  -১ প্যাকেট ১০. লেবু গোল করে কাটা -৮/১০ টা
প্রনালী   -প্রথমে বিস্কুট গুঁড়ো আর মাখন ভালো করে মাখিয়ে কেক মোল্ডের নীচে সমান ভাবে বিছিয়ে ১০মিনিট ফ্রীজে রাখতে হবে। -এই বার লেবু কাটা আর লেমন জেলো বাদে বাকী সব উপকরণ একসাথে বিট করে বিস্কুটের লেয়ারের উপর সমান করে ঢেলে দিয়ে ২০ মিনিট আবার ফ্রীজে রাখতে হব।  -এই বার লেমন জেলো বানিয়ে এরউপর ঢেলে তার উপর লেবু কাটা সাজিয়ে ফ্রীজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে। 

ভীষণ মজার খাবার ব্রেডেড চিকেন মিটবল

ranna banna o beauty tips
ব্রেডেড চিকেন মিটবল 
স্ন্যাক্স হিসেবে সাধারণত হালকা ভাজাভুজি খাওয়া হলেও এগুলো আসলে পেট ভরানোর জন্য খুব একটা ভালো হয় না। সেই হিসেবে বেশ তৃপ্তিদায়ক একটা খাবার হলো মিটবল। এটা খেতেও যেমন মুখরোচক তেমনি পেটও ভরায়। অনেকেই ভাবেন মিটবল তৈরি করাটা অনেক ঝামেলা। কিন্তু চিকেন মিটবলের এই রেসিপিতে সেসব ঝামেলায় যেতে হবেনা মোটেই। আধা ঘন্টার মাঝেই প্রস্তুত হয়ে যাবে দারুণ স্বাদের খাবারটি।
উপকরণ

-   ২ কাপ ফ্রেশ ব্রেড ক্রাম্ব
-   ৪৫০ গ্রাম হাড় ছাড়া মুরগীর পায়ের মাংস, ছোট করে কাটা
-   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
-   গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
-   সিকি চা চামচ জায়ফল গুঁড়ো
-   লবণ স্বাদমতো
-   ২ চা চামচ সয়া সস
-   ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার
-   ১টা মাঝারি পিঁয়াজ, মিহি কুচি করা
-   ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
-   ২ টেবিল চামচ ময়দা
-   ২টা ডিম
প্রণালী

১) বড় একটা প্যানে ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম করতে দিন।
২) মুরগীর মাংস গোলমরিচ গুঁড়ো, জায়ফল গুঁড়ো, লবণ, সয়া সস এবং ভিনেগারের সাথে গ্রাইন্ড করে নিন। মুরগী কিমা হওয়া পর্যন্ত গ্রাইন্ড করুন। একটা বোলে ঢেলে নিন। এতে পিঁয়াজ এবং রসুন দিয়ে মিশিয়ে নিন। অর্ধেক পরিমাণ ব্রেড ক্রাম্ব মুরগীর কিমার সাথে মিশিয়ে নিন।
৩) একটা বোলে ময়দাটুকু ঢেলে নিন। আরেকটা বোলে ডিমগুলো ভেঙ্গে ভালো করে বিট করে নিন।
৪) হাতের তালু একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। মুরগীর কিমা আলাদা করে মিটবলের আকৃতিতে গড়ে নিন। এরপর বলগুলোকে ময়দায় গড়িয়ে নিন, ডিমে ডুবিয়ে আবার বাকি ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। এরপর এগুলোকে ডিপ ফ্রাই করে নিন সোনালি করে। কিচেন পেপারে তেল ঝরিয়ে নিন।
তৈরি হয়ে গেলো খুব সহজ ব্রেডেড চিকেন মিটবল। পরিবেশন করুন কিছু সালাদ এবং সস দিয়ে।

তুরস্কের জনপ্রিয় ডিম রান্না সাকসুকা

ranna banna o beauty tips
তুরস্কের জনপ্রিয় ডিম রান্না সাকসুকা
মাছ মাংস খেতে বিরক্ত হয়ে গেলে অনেক সময় ডিম রান্না করা হয়। সাধারণত ডিম ভুনা, ডিম কোর্মা এই দুই ধরণের রান্না করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই ডিম দিয়ে আরও একটি মজাদার রান্না করা সম্ভব। “সাকসুকা”-তুরস্কে জনপ্রিয় একটি রান্না এটি। মূলত ডিম এবং টমেটো দিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবারটি। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক তুরস্কের জনপ্রিয় ডিম রান্না সাকসুকা।
উপকরণ:
১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
১টি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ কুচি
২ কোয়া রসুন কুচি
১টি মাঝারি আকৃতির ক্যাপসিকাম কুচি’
৪০০ গ্রাম টমেটো কুচি
২ টেবিল চামচ টমেটো পেস্ট
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
১ চা চামচ পাপরিকা বা লাল মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ চিনি
লবণ
৬টি ডিম
ধনে পাতা কুচি (সাজানোর জন্য)  
প্রণালী:
১। একটি প্যানে মাঝারি আঁচে অলিভ অয়েল দিন। এরপর এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ৫ মিনিট ভাজুন।
২। পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে এতে রসুন কুচি দিয়ে নাড়ুন।
৩। এবার এতে ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে মাঝারি আঁচে ৫-৭ মিনিট রান্না করুন।
৪। ক্যাপসিকাম কুচি নরম  হয়ে গেলে এতে টমেটো কুচি, টমেটো পিউরি দিয়ে দিন।
৫। তারপর এতে রসুন কুচি, জিরা গুঁড়ো, লাল মরিচ গুঁড়ো, পাপরিকা, শুকনো মরিচ গুঁড়ো, চিনি, লবণ এবং গোল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৬। মাঝারি আঁচে ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন।
৭। গ্রেভি ঘন হয়ে এলে টমেটো গ্রেভির উপর ডিম ভেঙ্গে দিন।
৮। মাঝখানে একটি আর চারপাশে চারটি  ডিম ভেঙ্গে দিন।
৯। প্যান ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন, যতক্ষণ না ডিম সিদ্ধ হয়ে থাকে ততক্ষণ।
১০। ডিম সিদ্ধ হয়ে গেলে ধনে পাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন তুরস্কের রান্না সাকসুকা।

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৬

মাখা ঝোলে আস্ত ইলিশ

ranna banna o beauty tips
মাখা ঝোলে আস্ত ইলিশ
বিশেষ রান্নায় উৎসবে আনবে সুস্বাদু আমেজ।
উপকরণ: ইলিশ মাছ ১টি (১২০০গ্রাম)। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ। আদাবাটা ১ চা-চামচ। রসুনবাটা আধা চা-চামচ। টমেটো সস আধা কাপ। জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ। কাশ্মেরি মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ। কয়লা ৩, ৪ টুকরা। ঘি ১ চা-চামচ। লবণ পরিমাণ মতো। তেল ১ কাপ। ধনেপাতা-কুচি ১/৪ কাপ। আস্ত কাঁচামরিচ ৭,৮টি। শাহিজিরা আধা চা-চামচ। পানি পরিমাণ মতো। টক দই আধা কাপ। চিনি সামান্য। টমেটোকুচি ১ কাপ।
পদ্ধতি: হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজকুচি নরম করে ভেজে তাতে একে একে সব মসলা দিয়ে ভালো ভাবে কষিয়ে আস্ত মাছ দিয়ে দিন।
দুই মিনিট পর মাছটা উল্টিয়ে পানি আর লবণ দিন। ফুটে উঠলে টক দই ফেটিয়ে ঝোলে দিতে হবে। ঝোল কমে আসলে তাতে চিনি, টমেটোকুচি, সস দিয়ে ঢেকে দিন। ঝোল কমে তেল উঠে আসলে তাতে কাঁচামরিচ দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।
একটা ছোট বাটিতে কয়লা গরম করে, বাটিসহ কয়লা মাছের হাঁড়িতে বসিয়ে তাতে ঘি দিয়ে ঢেকে দিন। ২০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে বাটি সরিয়ে সাবধানে ডিশে ঢালতে হবে যেন মাছ ভেঙে না যায়।
উপরে ধনেপাতা-কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

মুরগি–পেঁয়াজকলি ভাজি

ranna banna o beauty tips
মুরগি–পেঁয়াজকলি ভাজি
মুরগি–পেঁয়াজকলি ভাজি  শীতের সবজি দিয়ে উপাদেয় খাবার।  
উপকরণ: হাড় ছাড়া মুরগি ২০০ গ্রাম। পেঁয়াজকলি ২ আঁটি। পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল-চামচ। কাঁচামরিচ-কুচি ২ চা-চামচ (স্বাদ মতো দেওয়া ভালো)। ধনেপাতা-কুচি ১ টেবিল-চামচ। আদাকুচি আধা চা-চামচ। লেবুর রস ১ চা-চামচ। লেবুর খোসা (লেমন জেস্ট) ১/৪ চা-চামচ। গরম মসলাগুঁড়া ১ চিমটি। আদা-রসুনবাটা ১/৪ চা-চামচ। মরিচগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। সরিষার তেল দেড় টেবিল-চামচ।  

পদ্ধতি: আদা–রসুনবাটা, মরিচগুঁড়া, গরম মসলাগুঁড়া আর লবণ দিয়ে মুরগির মাংস সিদ্ধ করে হাত দিয়ে ছিড়ে নিতে হবে।  পেঁয়াজকলি আধা ইঞ্চি করে কেটে নিন।  প্যানে তেল গরম করে প্রথমে আদাকুচি ভেজে তারপর পেঁয়াজকুচি দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিতে হবে। এতে সিদ্ধ মুরগির মাংস দিয়ে হালকা ভেজে পেঁয়াজকলি দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে ভাজতে হবে।  পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ-কুচি, ধনেপাতা-কুচি, লেমন জেস্ট, লেবুর রস, স্বাদ মতো লবণ মিশিয়ে অল্প সরিষার তেল ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

খাবার টেবিলের সুন্দর সাজ

ranna banna o beauty tips
খাবার টেবিলের সুন্দর সাজ
প্রচণ্ড ক্ষুধার সময় যেনতেন টেবিলে বসে খাওয়াটা হতে পারে অনেক তৃপ্তির। কিন্তু বিশেষ কোনো খাবার আয়োজন বা অতিথি আপ্যায়ন হওয়া চাই বিশেষভাবে। সৌখিন খাবারের সঙ্গে পরিবেশনের জায়গাটাও হওয়া চাই দৃষ্টি নন্দন। পেটের সঙ্গে দৃষ্টি জুড়াতে খাবার টেবিলের চাই নান্দনিক সাজ। তাছাড়া রুচিশীল মানুষ তার খাবার টেবিলটি সাজাতে মোটেও কার্পণ্য করেন না। আপনার সৌন্দর্যবোধও সাহায্য করতে পারে খাবার টেবিলের সুন্দর সাজ এনে দিতে। আর তাই-

টেবিল ক্লথ

সুতি, প্লাস্টিক বা রাবারের তৈরি টেবিল ক্লথ বা টেবিলের ওপর বিছানো কাপড় পাওয়া যায়। টেবিল ক্লথগুলো পিস বা গজ হিসেবে বিক্রি হয়। বিভিন্ন রঙের ক্লথে ফুল, ফল ও বিভিন্ন প্রিন্টের নকশা করা থাকে। টেবিলের ধরন অনুযায়ী আপনি পছন্দের ক্লথ কিনতে পারবেন।

টেবিল ম্যাট

বাজারে বিভিন্ন ধরনের টেবিল ম্যাট আছে। বাঁশ, রাবার, ফাইবার, প্লাস্টিক, কাপড় ও পাটের ছোট, মাঝারি ও বড় ধরনের ম্যাট থেকে পছন্দেরটি বেছে নিতে পারেন। এগুলো গোল, চারকোনা, ত্রিকোনা ও ডিম্বাকার ডিজাইনের হয়। ম্যাটগুলো সাধারণত সেট হিসেবে বিক্রি করা হয়। বাঁশের তৈরি বিভিন্ন রঙের টেবিল ম্যাটের চাহিদা অনেক বেশি।

বাহারি ফুল-ফল

যারা খাবার টেবিলের ওপর কাঠের পরিবর্তে কাচ ব্যবহার করেন, তারা টেবিলের নিচে সেমি বক্সে নানা রকম কৃত্রিম ফুল ও ফল দিয়ে সাজাতে পারেন। সেক্ষেত্রে টেবিলের ওপর কিছু না রাখলেও চলবে। টেবিলের নিচের সাজটাই ওপরের শোভা বর্ধন করবে।

গ্লাস ঢাকনা

কাঠ, চাঁচ, কাচ ও ফাইবারের গ্লাস ঢাকনা পাওয়া যায়। গ্লাস ঢাকনাগুলো ছোট ও বড় আকারের হয়ে থাকে। ফুল, ফল, পাখি বিভিন্ন ডিজাইনের নকশা করা গ্লাস ঢাকনা কিনতে পারেন।

চামচ স্ট্যান্ড

চামচ সেটের সঙ্গেই স্ট্যান্ড পাওয়া যায়। এছাড়া স্টিলের স্ট্যান্ড, কাঠের স্ট্যান্ড চামচ রাখার জন্য কিনে নিতে পারেন। এগুলোর কোনোটায় শুধু চামচ রাখা যায়, আবার কোনোটায় ছুরিসহ চামচ রাখা যায়।

গ্লাস স্ট্যান্ড

গ্লাস স্ট্যান্ড স্টিল, প্লাস্টিক ও কাঠের হয়ে থাকে। গ্লাস স্ট্যান্ডগুলোতে ছয়টি ও ১২টি গ্লাস রাখা যায়। প্লাস্টিক ও কাঠের স্ট্যান্ডগুলো বিভিন্ন রঙের হয়।

প্লেট স্ট্যান্ড

প্লেট স্ট্যান্ডগুলো স্টিল, প্লাস্টিক, কাঠ ও ফাইবারের হয়। এগুলোর ছোট-বড় আকারের হতে পারে। কোনো স্ট্যান্ডে ছয়টি, কোনোটিতে ১২টি আবার কোনোটিতে ২৪টি প্লেটও রাখা যায়।

রানার

রানার দিয়ে টেবিলের বাড়তি সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে পারেন। কাপড়, পাট ও রাবারের রানার বিভিন্ন আকারের রয়েছে। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রঙের এবং বিভিন্ন নকশা করা রানারও রয়েছে।

ফুলদানি

টেবিলের মাঝখানে একটি ফুলদানি রাখতে পারেন। টেবিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ফুলদানিতে রাখতে পারেন কিছু তাজা ফুল। মাটি, কাচ, ক্রিস্টাল ইত্যাদির ফুলদানিও রাখা যায়। তবে টেবিলের আকার অনুযায়ী ফুলদানি রাখতে হবে।

টিস্যু বক্স

প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি টেবিলের সৌন্দর্যও বাড়ায় টিস্যু বক্স। টিস্যু বক্সে পাবেন বাঁশ, বেত, স্টিল ও কাপড়ের।

আপনিও সুন্দর থাকবেন সারাটিক্ষণ

ranna banna o beauty tips
ঘুরে ফিরে বারবার আয়নার সামনে যাওয়া। উঁকি দিয়ে নিজের চেহারাকে দেখা নিখুঁতভাবে। কেনই বা ইচ্ছা করবে না, এমন সুন্দর কোমল চেহারা হলে সবাই-ই এমন কাজ করে থাকে। অথচ ঋতু বদলের ধাক্কায় কখন জানি চুরি হয়ে যাচ্ছে আপনার সৌন্দর্য। শীতের শুষ্ক হাওয়াতে সবই শুকনো পাতার মতো মর্মর প্রায়। ব্যথিত মনে ক্ষোভ পুষে না রেখে করে নিন টুকিটাকি যত্ন-আত্মি। সামান্য চেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরে রাখুন আপনার প্রস্ফুটিত সৌন্দর্য। আপনিও সুন্দর থাকুন সারাটিক্ষণ। তাই আসুন শিখে নেয়া যাক খুটিনাটি কিছু উপায়...

সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে নয়

শীত কিংবা গরমে, ত্বকের সঠিক যত্নে সব ঋতুতেই চাই সানস্ক্রিন। সতেজ আর তারুণ্যদীপ্ত ত্বক ধরে রাখতে সানস্ক্রিন অত্যান্ত জরুরি। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের ক্যানসার এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার প্রধান কারণ। তাই ত্বককে কোমল রাখতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাইরে যাওয়ার অন্তত ১৫ মিনিট আগে ভালো করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। মনে রাখবেন সুন্দর থাকার মোক্ষম অস্ত্র সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে যাওয়া নয়।

ত্বকের আদ্রতা রক্ষা

সময়টা যেহেতু শীতকাল। তাই রুক্ষ্ম আর শুষ্কতার ধকল আপনাকে সহ্য করতেই হবে। তাই বলে তো আর ত্বককে অরক্ষিত রাখা যায় না। ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে প্রতিদিন শরীরে ময়েশ্চরাইজিং লোশন এবং মুখে ময়েশ্চার ক্রিম মাখুন। এতে আপনার শরীরের ত্বক ভালো থাকার পাশাপাশি বয়সের ছাপ পড়তে দেবে না। ত্বক টান টান থাকবে।

ত্বকের পরিচর্যা

প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। মাঝে মাঝে ত্বকের উপযোগী বিভিন্ন মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে বাড়তি ময়লা জমতে দেয়া ঠিক নয়। ত্বকের র‌্যাশ, ছোপ ছোপ দাগ, কালোভাব দূর করতে নিয়মিত সামান্য মাত্রায় পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে পারেন। 

টুকটাক ব্যায়াম

আপনার বয়সের সঙ্গে হয়তো ওজন ঠিকই আছে। যতই ফাস্টফুড খান না কেন তবু ওজন বাড়ে না। কোথাও কোনো বাড়তি মেদ চর্বি নেই। ঠিক এই অবস্থায় আপনি ভাবছেন কষ্ট করে ব্যায়াম করার কি দরকার? হ্যা আপনাকেই বলছি, আপনার শারীরিক অবস্থা এভাবে হয়তো দু’বছর বা পাঁচ বছর পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে। কিন্তু একটা সময় পর না চাইলেও আপনার ওজন বাড়তে থাকবে। দেহের আকারে হয়ে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন। তাই নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সামান্য ব্যায়ামের অভ্যাস রাখা জরুরি। ব্যায়াম দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিয়ে ত্বকে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ায়।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস

প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ ফল এবং সবজি খান। ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ এবং ‘ই’ খাওয়ার ওপর বেশি জোর দিন। এসব ভিটামিন ত্বকে অ্যান্টি-অক্সিজেন হিসেবে কাজ করে ত্বককে ভালো রাখে।

পর্যাপ্ত পানি পান

নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান করুন, যাতে পিপাসা না লাগে। এতে শরীর ভালো থাকার পাশাপাশি ত্বকও ভালো থাকবে। ত্বকের কোষ সজীব থাকে।

স্বাদে গন্ধে ভরা সবজি খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
স্বাদে গন্ধে ভরা সবজি খিচুড়ি
সময়টা এখন হরেক রকম তাজা সবজির। এসব সবজির মিশেলে সুস্বাদু খিচুড়ি হলে সকালের নাস্তাটা মন্দ হয় না। ছোট বড় সবার কাছে প্রিয় হতে পারে বিশেষ রেসিপিতে রান্না সবজি খিচুড়ি। স্বাদ আর গন্ধে মোহময় এমন খিচুড়ি রান্না হবে সহজে। এক নজরে দেখে নিতে পারেন তেমনি এক দারুণ রেসিপি।

যা যা লাগবে

বাসমতি চাল ২ কাপ, সবজি (গাজর, বরবটি, মটরশুঁটি, ফুলকপি) ছোট টুকরো সব মিলিয়ে ২ কাপ, আলু আধা কাপ, ভাজা মুগডাল ১ কাপ, আদা বাটা দেড় চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া দেড় চা চামচ, টক দই দুই টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ, চিনি ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২টি, তেজপাতা ২টি, গরম পানি ৬ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল আধা কাপ।

যেভাবে করবেন

মুগডাল ২ ঘণ্টা ও চাল আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। মটরশুঁটি ছাড়া সব সবজি একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে অর্ধেক তেল দিয়ে গরম হতে দিন। এবার তাতে গরম মসলা ও পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে টক দই, চিনি ও আধা চা চামচ লবণ দিন। একটু পর মসলা কষিয়ে সবজি দিন। সবজি কষানো হলে আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। এবার ওই কড়াইয়ে চাল দিয়ে ভাজতে থাকুন। ভাজা হয়ে গেলে গরম পানি ও আধা চা চামচ লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। চাল পানি সমান সমান হলে রান্না করা সবজি দিয়ে নেড়ে ঢেকে আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। এবার কাঁচামরিচ ও ঘি দিয়ে আরও ১৫ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মাতোয়ারা স্বাদের ব্রেড পুডিং

Ranna banna o beauty tips
মাতোয়ারা স্বাদের ব্রেড পুডিং
চলে আসলো নতুন বছর। বাসায় আগত অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে কতো না ব্যবস্থা। ঝাল মিষ্টি নানা পদের খাবার আয়োজনের মাঝে মনকাড়া স্বাদের ব্রেড পুডিং হতে পারে আকর্ষণের অন্যতম বিষয়। অনেক সময় বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও উপাদেয় ডেজার্ট হিসেবে এর ব্যবহার চলে। ছোটদের সঙ্গে বড়রাও থাকে ব্রেড পুডিং এর স্বাদে মাতোয়ারা। নতুন বছরের খাবার তালিকা যোগ করতে আপনার হাতেও হয়ে যাক ইয়াম্মি স্বাদের ব্রেড পুডিং। 

যা যা লাগবে

কন্ডেন্সড মিল্ক ২০০ গ্রাম, পাউরুটি ৬ পিস, দুধ ২ কাপ, বাটার ২৫ গ্রাম, ডিম ২ টি, কিসমিস ৫০ গ্রাম, জায়ফল গুঁড়া ১ চিমটি।

যেভাবে করবেন

প্রথমেই ওভেন ১৬০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে প্রি হিট করতে দিন। এরপর পাউরুটিগুলোর চারপাশ থেকে শক্ত অংশ ফেলে দিতে হবে। এবার রুটির দুইপাশে বাটার লাগিয়ে কোণাকুণি করে কেটে নিন। এরপর একটি বেকিং মোল্ডে পাউরুটি স্লাইসগুলো সাজিয়ে নিন কয়েকটি লেয়ারে। প্রতিটি লেয়ারে কিশমিশ দিতে হবে। অপর একটি বাটিতে কন্ডেন্সড মিল্ক, ফেটানো ডিম, দুধ ও জায়ফল গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর বেকিং মোল্ডে সাজানো পাউরুটির উপর মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট কিংবা ব্রেডের ওপর গোল্ডেন ব্রাউন রঙ ধারণ করা পর্যন্ত বেক করে নিন। এরপর বের করে ঠাণ্ডা করে বা নিজের পছন্দে কেটে পরিবেশ করুন।

স্বাদে গন্ধে ভরা পোলাও জর্দা

ranna banna o beauty tips
স্বাদে গন্ধে ভরা পোলাও জর্দা
জর্দা মানেই অতি পরিচিত সুস্বাদু ডিজার্ড। অতিথি আপ্যায়নে এর জুড়ি মেলা দায়। স্বাদ আর গন্ধে ভরা পোলাও জর্দা ছোট বড় সবার পছন্দ। রান্নার কৌশল জানা না থাকায় সুস্বাদু এই খাবারটি যখন তখন খাওয়া জোটে না। আজ আমরা জেনে নেব কীভাবে খুব সহজে বাসায় রান্না করা যায় বিয়ে বাড়ির মজাদার পোলাও জর্দা।

যা যা লাগবে

পোলাও চাল ২ কাপ, গরম পানি ২ লিটার, দারুচিনি ২ টি, এলাচ ২ টি, তেজপাতা ২ টি, লবঙ্গ ৩ টি, জাফরান এক চিমটি, বাটার আধা কাপ, চিনি ২ স্বাদমতো, বাদাম কুচি ২ কাপ, ড্রাই ফ্রুটস দেড় কাপের একটু বেশি, দুধ ২ কাপ।

যেভাবে করবেন

পানি গরম হয়ে এলে পানিতে চাল, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা, খাবার রঙ বা দুধে ভিজানো জাফরান ছেড়ে দিতে হবে। এবার চাল প্রায় সেদ্ধ হয়ে এলে পানি ঝরিয়ে ফেলুন। প্যানে বাটার গরম হলে বাকি তেজপাতা, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ দিয়ে দিন। এক মিনিট ভেজে বাদাম কুচি দিয়ে হালকা ভাজতে হবে। চিনি আর দুধ দিয়ে দিন, চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এবার তাতে ড্রাই ফ্রুটস আর পানি ঝরানো চাল দিয়ে দিন। মাঝারি আছে পানি শুকানো পর্যন্ত রান্না করুন, খুব তাড়াতাড়ি পানি শুকিয়ে আঠালো হয়ে যাবে। তারপর নামিয়ে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পোলাও জর্দা।

ঘরেই তৈরি করে ফেলুন রেস্টুরেন্ট স্বাদের চিকেন অন্থন

ranna banna o beauty tips
রেস্টুরেন্ট স্বাদের চিকেন অন্থন
চাইনিজে স্যুপের সাথে একটি খাবার প্রায় সবাই অর্ডার দিয়ে থাকেন, তা হল অন্থন। মচমচে এই খাবারটি স্যুপ ছাড়াও খেতে দারুন লাগে। অন্থন মূলত চিকেনের হয়, কিন্তু এটি সবজি দিয়েও তৈরি করতে পারেন। বাসায় অনেকেই অন্থন তৈরির চেষ্টা করে থাকে, কিন্তু রেস্টুরেন্টের মত হয় না। আসুন আজ জেনে নিই রেস্টুরেণ্টের মত মচমচে চিকেন অন্থন তৈরির রেসিপিটি।
উপকরণ:

১ কাপ ময়দা
১/২ কাপ কর্ণ ফ্লাওয়ার
২ চা চামচ মাখন
লবণ
৩/৪ কাপ গরম পানি
১ কাপ মুরগির কিমা
১ চা চামচ তিলের তেল
১/২ কাপ বাঁধাকপি
২টি ডিমের কুসুম
১ চা চামচ সয়াসস
১ টেবিল চামচ হয়সিন সন (ইচ্ছা)
১ গুচ্ছ ধনে পাতা
১ টেবিল চামচ পেঁয়াজ পাতা কুচি
১ টেবিল চামচ গাজর
১ চা চামচ কাঁচামরিচ কুচি
১ চা চামচ আদাকুচি
১ চা চামচ রসুন কুচি
তেল
১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
প্রণালী:

১। প্রথমে ময়দা, কর্ণ ফ্লাওয়ার, মাখন, লবণ এবং গরম পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ডো তৈরি করে নিন।
২। এখন একটি পাত্রে মুরগির মাংস বাটা, তিলের তেল, লবণ, বাঁধাকপি কুচি, দুটি ডিমের কসুম, সয়া সস, হইসিন সস, ধনে পাতা কুচি, পেঁয়াজ পাতা কুচি, গোলমরিচ গুঁড়ো, গাজর কুচি, কাঁচামরিচ, আদা কুচি, রসুন কুচি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩। এখন মাংসের কিমার মাঝে অল্প একটু পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৪। এখন ময়দার ডো দিয়ে ছোট ছোট রুটির মত পাতলা অন্থন শিট তৈরি করে নিন।
৫। শিটের মাঝখানে মুরগির কিমা দিয়ে আঙ্গুলে পানি নিয়ে শিটের চারপাশে লাগিয়ে দিন।
৬। এবার শিট একপাশ থেকে ভাঁজ করে কিমার অংশটুকু ঢেকে মুড়িয়ে নিন।
৭। এরপর শিটের মাথা দুটোর মুখ মাঝখানে এনে লাগিয়ে দিন।
৮। তারপর গরম তেলে চিকেন অন্থন দিয়ে দিন।
৯। সোনালী রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।

সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৬

টমেটো দিয়ে মাছের দুই পদ

ranna banna o beauty tips
টমেটো দিয়ে মাছের দুই পদ
কাঁচা-পাকা টমেটোয় কইমাছ আর কাঁচাটমেটোয় শুটকি-মাছ ভুনা।

টমেটো দিয়ে কই মাছঃ
উপকরণ: কইমাছ ৯টি। বড় কাঁচাটমেটো ৪টি। মাঝারি পাকাটমেটো ২টি। মটরশুঁটি ১ কাপ। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ। রসুনবাটা আধা টেবিল-চামচ। আদাবাটা ১/৪ টেবিল-চামচ। গুঁড়ামরিচ আধা টেবিল-চামচ। হলুদ আধা টেবিল-চামচ। ধনেগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ। তেল আধা কাপ। কাঁচামরিচ ৪,৫টি। ধনেপাতা-কুচি ২ টেবিল-চামচ। লবণ স্বাদ মতো।
পদ্ধতি: কইমাছ ধুয়ে ২০ মিনিট লবণ, মরিচ, একটু হলুদ এবং তেলে দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর মাছগুলো ভেজে ফেলুন৷

কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ হালকা রং করে ভাজুন। পাকাটমেটো কুচি করে তেলে দিয়ে ভাজতে থাকুন। এরপর একে একে সব মসলা আর অল্প অল্প পানি দিয়ে দুই তিনবার কষাতে হবে।

এখন মাছ, কাঁচাটমেটো, মটরশুঁটি ও কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে ২০ মিনিট রান্না করুন। পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠে এলে, ধনেপাতা ছিটিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

কাঁচাটোমেটো শুটকি ঝাল ভুনা 
উপকরণ: শুটকি ৬টি বড় আকারের। কাঁচাটমেটো ৪টি। পেঁয়াজকুচি ২ কাপ। রসুনকুচি ১ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। মরিচগুঁড়া ২ টেবিল-চামচ। হলুদগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ। আলু ২টি বড় আকারের। কাঁচামরিচ ৩,৪টি। তেল পরিমাণ মতো। লবণ স্বাদ মতো।
পদ্ধতি: শুটকিগুলো ছোট ছোট টুকরা করে নিন এবং শুকনা কড়াইতে টেলে নিন৷ শুটকিগুলো যখন পোড়া পোড়া হয়ে যাবে, টালা বন্ধ করে দিন এবং হালকা গরম পানিতে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ভিজিয়ে রাখুন৷

ভেজানোর পর শুটকি নরম হয়ে যাবে তখন শুটকির ভেতরের কাঁটা খুলে ফেলে দিন এবং শুটকিগুলো খুব ভালো করে ধুয়ে রাখুন৷ আলুগুলো পাতলা লম্বা করে কেটে রাখুন৷

কড়াইতে তেল গরম করে শুটকি, পেঁয়াজ এবং রসুনকুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে সঙ্গে রসুনবাটা আর অল্প লবণ দিয়ে ভেজে নিন।

একটু পানি, মরিচ ও হলুদ দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন। তারপর মসলার সঙ্গে আলু দিয়ে ঢেকে রান্না করুন দুই মিনিট।

এবার কাটা কাঁচাটোমেটো দিয়ে লবণ পরখ করুন। লাগলে লবণ দিতে পারেন স্বাদ মতো। তারপর ঢেকে দিন শুটকিভুনা৷

পাঁচ থেকে ছয় মিনিট পর আলু পুরোপুরি সিদ্ধ আর টমেটো আধা সিদ্ধ হলে শুটকি ভুনা করে নামিয়ে ফেলুন।

কিভাবে মেক আপ ছাড়াই অপরুপা হয়ে উঠবেন

ranna banna o beauty tips
কিভাবে মেক আপ ছাড়াই অপরুপা হয়ে উঠবেন
নারীরা সবসময় চায় পুরুষদের চোখে সে হয়ে উঠুক অনন্যা। আর নিজেকে সুন্দরী করার প্রমানে, প্রয়াসের শেষ নেই।  আজকাল বিউটি পার্লারের এতো রমরমা, যে দিনের শেষে বা সপ্তাহের শেষে একবার না একবার যেতেই হবে। নানারকম প্রসাধনীর মাধ্যমে নিজেকে সুন্দর করে তোলার এ এক সুবর্ণ সুযোগ। এখন শীত, নানান সামাজিক অনুষ্ঠান রয়েছে। আর সেই সব দিনগুলোতে নিজেকে অনন্য সাধারণ করে তোলার জন্য মেক আপকেই বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। আগেকার দিনের মা খালারা কত সুন্দরী ছিলেন। একরাশ ঘন কালো চুল প্রায় অনেকেরই ছিল। তাঁরা কি তখন এতো প্রসাধনী ব্যবহার করত? একদম না। খুব সাধারন থেকেও তাঁরা ছিল অনন্যা। তাঁদের জীবনেও প্রেম আসত, তাঁদের জীবনেও বন্ধুত্ব ছিল। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।  বর্তমানে প্রসাধনী দ্রব্যের বিরাট ব্যবসার কারনে মানুষও আরও বেশি করে প্রভাবিত হচ্ছে। ভিতরের লাবন্য ক্রমাগত হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ পানি, পুষ্টিকর খাবার, ফলমূল, সবুজ সবজি খেলে ত্বক আপনা থেকেই উজ্জল হযে উঠবে। তাতেই নিজেকে সুন্দর দেখাবে। এবারে বলব মেক আপ ছাড়া নিজেকে কিভাবে সুন্দর দেখানো যাবে। 
রেগুলার কেয়ার: 
এটা সবাই জানে, দিনের বেলার সাজ সবসময় হালকা হবে। রাতের বেলা কড়া। কিন্তু খুব অল্প প্রসাধনী ব্যবহারেও নিজেকে সুন্দর দেখানো যায়। বাড়িতে থাকলে, সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ঘরোয়া ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে মাখুন। ঘরোয়া ফেসপ্যাক বলতে দুধের সর ও মুসুর ডালের ফেসপ্যাক বা ময়দা,দুধ,গোলাপ পানির ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। বাইরে থেকে এলে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। রাতে কোনও ভাল নাইট ক্রিম ম্যাসাজ করুন। গোসলের সময় সাবান কম ব্যবহার করুন। রোজ সাবান না দিয়ে একদিন অন্তর সাবান দিন। অলিভ অয়েল গায়ে মাখতে পারেন। শ্যাম্পু করলেও মাঝে মধ্যে মাথায় ডিম বা আমলকী বা হেনা বা টক দই লাগান। তেল ও খুব জরুরি সুন্দর মজবুত চুলের জন্য। হট অয়েল ম্যাসাজ করবেন মাঝেমধ্যে। 
দিনের সাজ: 
এইবার, দিনেরবেলা বাইরে বেরনোর সময় ছাতা আর সানগ্লাস অবশ্যই পড়বেন। রোদ না থাকলে পড়ার প্রয়োজন নেই। রোদের তেজ খুব থাকলে লম্বা হাতার পোশাক পরার চেষ্টা করুন। বাইরে বেরুনোর জন্য সাজ হবে, হালকা কাজল আর ঠোঁটে গ্লস বা বাম। চুল বাধতেও পারেন আবার খোলা চুলও রাখতে পারেন। খুব বেশি জুয়েলারি পরার দরকার নেই। কপালে একটা ছোট্ট টিপ পরতে পারেন। 
রাতের সাজ: 
রাতের বেলা যদি কোনও অনুষ্ঠান বাড়ি থাকে বা কোথাও ঘুরতে যাওয়া থাকে, তবে উদ্দেশ্য অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করবেন আপনি। এরপর বলব, যাদের লম্বা চুল তাঁরা নানান ফ্যাশনে হেয়ার স্টাইল করতে পারেন। ছোট চুল হলে ছেড়ে রাখতে পারেন বা একটা পনিটেল করে রাখতে পারেন। অনুষ্ঠান থাকলে পছন্দসই জুয়েলারি পরবেন। রাতে একটু ডিপ কালারের জামাকাপড় পরতে পারেন। সাজের ক্ষেত্রে বলব, চোখে কাজল আর আইলাইনার লাগান সরু বা মোটা করে, ঠোঁটে লিপস্টিক লাগান হালকা করে। আর মুখে অন্য কোনও প্রসাধনী নয়। দেখবেন এতেই আপনি মনকাড়া সুন্দরী হয়ে উঠবেন। পারফিউমের ব্যাপারে বলব হালকা মিষ্টি গন্ধের সুগন্ধি ব্যবহার করুন। টিপ পরতে চাইলে, একটু বড় টিপ পরুন। যারা একটু বেশি ঘামেন তাঁরা সবসময় হাতে ওয়েট টিস্যু রাখবেন। ঘামলে টিস্যু দিয়ে হালকা করে ঘামটা মুছে নেবেন। এভাবেই যত কম সাজবেন তত বেশি ন্যাচারাল লুক ফিরবে। ত্বকও ভাল থাকবে। মুখে ব্রণ কম হবে। 

ঝুলে যাওয়া ত্বক টানটান করুন প্রাকৃতিক উপায়ে

ranna banna o beauty tips
ঝুলে যাওয়া ত্বক টানটান করুন প্রাকৃতিক উপায়ে
ময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। বয়সের লক্ষণের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের ইলাস্টিন ও কোলাজেনের গঠনে পরিবর্তন দেখা দেয় যার ফলে ত্বক স্থিতিস্থাপকতা হারায় এবং ত্বক নিজের ময়েশ্চারাইজিং উপাদান হারায়। তাই ত্বক ঝুলে পড়ে। এছাড়াও বয়স বৃদ্ধির জন্য চেহারার মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে ত্বক ঝুলে যায়।

ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে যাওয়ার কারণ হল, সূর্যের আলোতে বেশীক্ষণ থাকা, অতিরিক্ত ধূমপান করা, নিয়মিত অ্যালকোহল পান করা, স্থূলতা, প্রেগনেন্সি, দ্রুত ওজন কমা, কম খাওয়া, ভুল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা, পানিশূন্যতা এবং ত্বকে প্রখর রাসায়নিক ব্যবহার করা ইত্যাদি।
ত্বক ঝুলে যাওয়ার সাথে সাথে বিশেষ করে চেহারায় বলিরেখা ও ফাইন লাইন দেখা দেয়। এছাড়াও ত্বক ম্লান এবং স্বচ্ছ দেখায় এবং ত্বক অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে পরে। ঝুলে পড়া ত্বকে টানটান করার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় আছে। আজ সেগুলোই জেনে নেই আসুন।

১। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন ও হাইড্রেটেড থাকুন
প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার আপনার শরীরকে আভ্যন্তরীণ ভাবে হাইড্রেটেড রাখবে এবং ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক বাহ্যিক ভাবে নমনীয় থাকবে। শিয়া বাটার, আমন্ড তেল, ও অলিভ অয়েল হচ্ছে সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বককে কোমল রাখে।
২। মুখের ব্যায়াম করুন
সবচেয়ে খারাপ জায়গা হচ্ছে মুখের ও ঘাড়ের ত্বক ঝুলে পড়া। সৌভাগ্যক্রমে মুখের কিছু ব্যায়াম আছে যা নিয়মিত করলে মুখের ত্বক টানটান হয়। বিশেষ করে চিবুকের ত্বক ঝুলে পড়তে শুরু করে তাড়াতাড়ি। চিবুকের ত্বক টানটান করার জন্য মুখ ভর্তি করে বাতাস নিন, ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন, তারপর ছেড়ে দিন। ৩০ গুণতে যে সময় লাগে সেই সময় পর্যন্ত দিনে দুইবার করে করুন। এইরকম আরো মুখের ব্যায়াম আছে যেমন- চিবুক উঠিয়ে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকুন, ৩০ সেকেন্ড পর নামিয়ে নিন। এভাবে চেহার এক্সারসাইজ করলে আস্তে আস্তে ত্বকের ভাঁজ গুলো দূর হবে।
৩। হেলদি ডায়েট       
হেলদি ডায়েট ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে। ত্বক টানটান করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। যদি আপনি প্রতিদিন ফল ও সবজি খান তাহলে আপনার ত্বক আর্দ্র ও সুস্থ থাকবে। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য অ্যান্টিএজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফ্রি রেডিকেল ড্যামেজ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যখন আপনার খাদ্য তালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকেনা তখনই ত্বকের ঝুলে পড়ার সমস্যাটি দেখা দেয়। আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- গাজর, বিট ইত্যাদি রাখুন। তাহলে ত্বকের ইলাস্টিসিটি পুনরায় ফিরে পাবেন। কোলাজেন বৃদ্ধির জন্য সয়া প্রোডাক্ট খান।
৪। ফেসিয়াল মাস্ক
ত্বক টানটান করার জন্য অন্যতম উপায় হচ্ছে ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করা। বিভিন্ন প্রকার মাস্ক আছে যেমন- ডিমের সাদা অংশ, লেবু, অ্যালোভেরা, মধু ও শশা ইত্তাদি।
·         ডিমের সাদা অংশে অ্যাস্ট্রিজেন থাকে যা ঝুলে পড়া ত্বকের মেরামতের জন্য ভালো।
·         ১টি বা ২টি ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে নিয়ে ফেটাতে থাকুন যতক্ষণ না ফোমের মত হয়।
·         এবার এটি মুখে ও ঘাড়ে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
·         দৃঢ় ত্বকের জন্য সপ্তাহে ২ দিন এটি ব্যবহার করুন। 
৫। অয়েল ম্যাসাজ করুন
মুখে ও ঘাড়ে প্রাকৃতিক তেল যেমন- অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে ঝুলে পড়া ত্বক দৃঢ় হয়। অলিভ অয়েলে ভিটামিন এ ও ই থাকে যা অ্যান্টি এজিং হিসেবে কাজ করে।
·         অলিভ অয়েল সামান্য গরম করে মুখে লাগান
·         আঙ্গুল দিয়ে বৃত্তাকারে মুখে ম্যাসাজ করতে খাকুন ১০ মিনিট যাবত
·         প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এটা করুন।
·         এছাড়াও নারিকেল তেল, জোজোবা বা আমন্ড তেল ও ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও বাহিরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন যার SPF 15 বা তার উপরে। ঘুম কম হলে ত্বকের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে যার ফলে বয়সের ছাপ দ্রুত পরে। তাই পর্যাপ্ত সময় ঘুমান প্রয়োজন। প্রচুর পানি পান করুন। ধূমপান বর্জন করুন। হঠাৎ করে ওজন না কমিয়ে এক্সারসাইজের মাধ্যমে ওজন কমান। 

চিকেন দিয়েই তৈরি করে ফেলুন অন্যরকম এক সুইস রোল

ranna banna o beauty tips
সুইস রোল
ছোটবেলা থেকেই সুইস রোলের সাথে পরিচিত সবাই। সচরাচর সুইস রোল বলতে আমরা বুঝি ক্রিম মাখানো কেকের রোল। কিন্তু ঝাল ঝাল সুইস রোল তৈরি করে ফেলতে পারলে কেমন হয়? হ্যাঁ, বাড়িতে চিকেন আর পাউরুটি থাকলেই আপনিও তৈরি করে ফেলতে পারবেন এই চিকেন সুইস রোল। তৈরি করে ফেলতে পারবেন অনেক কম সময়ে, কম ঝামেলায়। যে কোন পার্টিতে ফিঙ্গার ফুড হিসেবে ছোট্ট ছোট্ট এই সুইস রোল হয়ে উঠবে অতিথিদের প্রিয়।
উপকরণ

-   ১টা হাড় ছাড়া চিকেন ব্রেস্ট
-   ৬টা পাউরুটির স্লাইস
-   ১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
-   ১ চা চামচ ধনেপাতা কুচি
-   ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
-   আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
-   ১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
-   আধা চা চামচ জিরা গুঁড়ো
-   লবণ স্বাদমতো
-   তেল ডিপ ফ্রাই করার জন্য
প্রণালী

১) খুব পাতলা করে কেটে নিন মুরগীর মাংস। এরপর এগুলোকে আরও ছোট করে কেটে একটা বোলে রেখে দিন। এতে মিশিয়ে নিন লবণ, আদা-রসুন বাটা, ধনেপাতা কুচি, মরিচ গুঁড়ো, গরম মশলা, ধনে এবং জিরা গুঁড়ো। ভালো করে মাখিয়ে মেরিনেট হতে রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট।
২) পাউরুটির পাশের বাদামি অংশ কেটে বাদ দিয়ে দিন। পাউরুটি অর্ধেক করে কেটে রুটি বেলার বেলন দিয়ে চ্যাপ্টা করে নিন। এই রুটির টুকরোর মাঝে এক টুকরো চিকেন রাখুন। রোল করে টুথপিক দিয়ে আটকে নিন।
৩) কড়াইতে তেল গরম করে নিন। ডুবোতেলে ভেজে সোনালি করে তুলুন রোলগুলোকে। কিচেন পেপারে তেল ঝরিয়ে নিন।

ঘরেই তৈরি করে ফেলুন মজাদার পিজ্জা পরোটা

ranna banna o beauty tips
ঘরেই তৈরি করে ফেলুন মজাদার পিজ্জা পরোটা
সকালের নাস্তায় অনেকের পরোটা ছাড়া চলে না। পরোটা অনেকরমকভাবে তৈরি করা যায়। আলু পরোটা, ফুলকপির পরোটা, ডালের পরোটা কত রকমের পরোটা আমরা তৈরি করি। কিন্তু পিজ্জা পরোটা অন্য পরোটা থেকে কিছুটা ভিন্ন। এটি সকালের নাস্তায় খেতে পারেন। আবার চাইলে বিকেলের নাস্তায়ও এটি পরিবেশন করা যায়।
উপকরণ:

২ কাপ আটা
১.১/৪ কাপ চিজ
১/২ কাপ ক্যাপসিকাম কুচি
১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি
১/৪ কাপ বেবি কর্ণ
৮-১০ টি অলিভ কুচি
লাল শুকনো মরিচ গুঁড়ো
পিজ্জা সস
পেস্ত সস
তেল
লবণ
পানি
প্রণালী:

১। প্রথমে আটা, লবণ এবং পানি মিশিয়ে ডো তৈরি করে নিন।
২। ডোটিতে অল্প তেল দিয়ে মাখিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন।
৩। এখন আরেকটি প্যানে মোজারেলা চিজ, ক্যাপসিকাম কুচি, পেঁয়াজ কুচি, বেবি কর্ণ ( যা মাইক্রোওয়েবে ২০ সেকেন্ড গরম করা), অলিভ কুচি, লবণ, ইটালিয়ান সিজলিন, দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪। এখন ডো থেকে লেচী কেটে বড় একটা রুটি তৈরি করুন।
৫। এখন রুটির চারপাশে পিজ্জা সস ভাল করে লাগিয়ে নিন।
৬। তারপর চিজের পুরটি অর্ধেক পরোটার একপাশে ছড়িয়ে দিন।
৭। এবার পরোটা অপর পাশ থেকে ভাঁজ করে পুরটা ঢেকে দিন।
৮। এখন কাটা চামচের বিপরীত পাশ দিয়ে পরোটার মুখটি চাপ দিয়ে দিন।
৯। এবার আরেকটি পরোটায় পস্তো সস এবং চিজের পুর দিয়ে দিন।
১০। তারপর প্যানে অল্প তেল দিয়ে ভাজুন।
১১। বাদামী রং  হয়ে গেলে পরিবেশন করুন মজাদার পিজ্জা পরোটা।

রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৬

রান্নাঘর ঝকঝকে রাখবে এই ৩ টি লিকুইড ক্লিনার

ranna banna o beauty tips
৩ টি লিকুইড ক্লিনার
রান্নাঘর হলো এমন একটা জায়গা, প্রতিদিন পরিষ্কার না করলে নিমিষেই ভীষণ নোংরা হয়ে যায়। কিন্তু নানান রকমের কেমিক্যাল ক্লিনার ব্যবহার করলে তার কটু গন্ধ রয়ে যায় রান্নাঘরে, আর এগুলো স্বাস্থ্যের জন্যও খুব একটা ভালো নয়। এর বদলে আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন কিছু প্রাকৃতিক লিকুইড ক্লিনার। একদম ঘরোয়া কিছু উপাদান তৈরি এই ক্লিনারগুলো আপনার রান্নাঘর যেমন রাখবে পরিষ্কার তেমনি স্বাস্থ্যেরও কোন ক্ষতি করবে না মোটেই। দেখে নিন রান্নাঘর ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পরিষ্কারের এসব ক্লিনার তৈরির উপায়।
খুব সাধারণ কিছু উপাদান দরকার হবে এই ক্লিনারগুলো তৈরি করতে। এগুলো হলো:
১) ভিনেগার: এটা তেল কাটতে সাহায্য করে, দাগ তুলে ফেলে এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে।
২) বেকিং সোডা: পরিষ্কার করার পাশাপাশি এটা দুর্গন্ধ দূর করে থাকে।
৩) ক্যাসটাইল সোপ বা গ্লিসারিন সোপ:  এটা প্রাকৃতিক সাবান হিসেবে কাজ করে।
৪) লেবু বা কমলা: এগুলোর খোসায় লিমোনিন নামের এক ধরণের প্রাকৃতিক উপাদান থাকে যা তেল কাটে এবং খুব সুন্দর সুগন্ধ ছড়ায়।
লেবুর সুগন্ধে ভিনেগার

এর জন্য আপনার লাগবে ঢাকনা সহ একটা কাঁচের জার, ভিনেগার এবং পাকা লেবু। লেবু ধুয়ে শুকিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। খোসাগুলোকে জারের ভেতর রেখে বাকিটা ভিনেগার দিয়ে ভরে দিন। এবার ঢাকনা লাগিয়ে একটা অন্ধকার, শুকনো জায়গায় রেখে দিন দুই সপ্তাহ। বেশিদিন রাখলে এর কার্যকারিতাও বাড়বে। এরপর বের করে ভিনেগারটা ছেঁকে নিন। এই ভিনেগার আপনি এমনিই ব্যবহার করতে পারেন টেবিল, সিঙ্ক এগুলো মোছার জন্য অথবা তৈরি করতে পারেন এই ক্লিনারগুলো-
তেল কাটানোর ক্লিনার

-   ২/৩ ভাগ পানি
-   ১/৩ ভাগ ভিনেগার
-   ৩ চা চামচ বেকিং সোডা
-   ৪ চা চামচ ক্যাসটাইল সোপ
-   স্প্রে বোতল
পানি ও এসেনশিয়াল অয়েল ছাড়া উপকরণগুলো একসাথে ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিন এবং স্প্রে বোতলে ভরে নিন, কয়েক মিনিট পর পানিটুকু দিয়ে দিন। আরও কয়েক মিনিট পর ইচ্ছে হলে দিতে পারেন এসেনশিয়াল অয়েল। এটা ব্যবহার করা যাবে মাইক্রোওেভের ভেতরের তেলতেলেভাব দূর করতে অথবা চুলের আশেপাশের তেলতেলে ময়লা দূর করতে।
ফ্লোর ক্লিনার

-   ১ কাপ পানি
-   ১ কাপ ভিনেগার
-   ৪ টেবিল চামচ ক্যাসটাইল সোপ
-   ১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল
এটা রান্নাঘরের টাইলের মেঝে থেকে ময়লা ও তেল চিটচিটেভাব দূর করবে।
অল পারপাস ক্লিনার

- এক কাপ পানি
- এক কাপ ভিনেগার
- এসেনশিয়াল অয়েল
- স্প্রে বোতল
যে কোনও ময়লা দূর করতে এই স্প্রে কাজে আসবে চটজলদি।
এসব ক্লিনার শুধু যে নিরাপদ এবং কার্যকরী তাই নয়, বরং এগুলো টাকা বাঁচাতেও কাজে আসে।

নতুন বছরে তৈরি করে ফেলুন মজাদার মশলা ডাক রোস্ট

ranna banna o beauty tips
মজাদার মশলা ডাক রোস্ট
শীত চলে এসেছে আর হাঁস খাওয়া হবে না, তা কি করে হয়? হাঁস খাওয়ার সবচেয়ে পারফেক্ট সময় হল শীতকাল। হাঁস রান্নাটি অন্য দশটি রান্না থেকে কিছুটা ভিন্ন। একটু মশালাদার, ঝাল না হলে খেতে ভাল লাগে না। সাধারণত আমরা হাঁস রান্না করতে নারকেল এবং নারকেলের দুধ ব্যবহার করে থাকি। অনেকের নারকেল খাওয়া নিষেধ থাকে, তারা নারকেল হাঁস খেতে পারেন না। নারকেল ব্যবহার না করেও ডাক রোস্ট তৈরি করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মশলা ডাক রোস্ট রেসিপি।
উপকরণ:
৫০০ গ্রাম হাঁসের মাংস
১০-১৫ কোয়া রসুনের কোয়া
২ ইঞ্চি আদা কুচি  
৮-১০ টি লাল মরিচ
২টি বড় আকৃতির পেঁয়াজ কুচি
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
১ চাচামচ চিনি
১ টেবিল চামচ কিশমিশ
তেল
২টি মাঝারি আকৃতির আলু
পানি
প্রণালী:
১। প্রথমে আদা কুচি, রসুন কুচি, লবণ, হলুদ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, গোল মরিচ গুঁড়ো, লাল মরিচ, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিন।
২। এখন একটি প্যানে হাঁসের মাংস,তেল, মশলার পেস্ট দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৩। এবার এটি ৩০ মিনিটের জন্য ম্যারিনেট করতে দিন।
৪। এখন আরেকটি প্যান চুলায় গরম করতে দিন। এতে কিউব করে কাটা আলুর টুকরোগুলো দিয়ে দিন।
৫। হালকা করে ভাজুন।
৬। আরেকটি প্যানে ম্যারিনেট করা মাংস চুলায় দিয়ে ৫ মিনিট জ্বাল দিন।
৭। এবার এতে চিনি, কিশমিশ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৮। তারপর পানি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৯। ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ২০ মিনিট রান্না করুন।
১০।  এরপর ভাজা আলু, ধনে পাতা কুচি দিয়ে নাড়ুন।
১১। ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন।
১২। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মশালাদার ডাক রোস্ট।
১৩। পরোটা, পোলাও, সাদা ভাত সবকিছুর সাথে খেতে পারেন এই মজাদার খাবারটি।

বাদামের স্বাদে দারুণ মজার চিকেন স্টার ফ্রাই

ranna banna o beauty tips
চিকেন স্টার ফ্রাই
বাদাম খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু রান্নায় বাদাম ব্যবহার করার কাজটা সবাই পারেন না। তারা খুব চটজলদি তৈরি করে ফেলতে পারেন বাদামের স্বাদে চিকেন ফ্রাই। এই ফ্রাই স্ন্যাক্স হিসেবে যেমন, তেমনি ফ্রাইড রাইসের সাথেও খেতে দারুণ লাগবে। উৎসবের এই সময়টায় অন্যরকম এই স্বাদে অবাক করে দিন আপনার পরিবারকে।




উপকরণ

-   ৪০০ গ্রাম হাড়ছাড়া চিকেন ব্রেস্ট, চিকন করে কাটা
-   ২ টেবিল চামচ + ১ চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
-   ২ টেবিল চামচ ময়দা
-   ২ ইঞ্চি সেলেরি স্টিক, কুচি করা
-   ভাজার জন্য তেল
-   ৩টা পিঁয়াজকলির সাথে থাকা কচি পিঁয়াজ, কুচি করা
-   অর্ধেকটা হলুদ ক্যাপসিকাম, মাঝারি কিউব করে কাটা
-   অর্ধেকটা লাল ক্যাপসিকাম, মাঝারি কিউব করে কাটা
-   অর্ধেকটা সবুজ ক্যাপসিকাম, মাঝারি কিউব করে কাটা
-   আধা কাপ বিভিন্ন ধরণের বাদামের মিশ্রণ, মিহি কুচি করা
-   লবণ স্বাদমতো
-   সিকি কাপ টমেটো কেচাপ
-   সিকি কাপ পিঁয়াজকলি পাতা কুচি
-   ৫/৬টা রসুনের কোয়া কুচি
-   ১ চা চামচ সয়া সস
-   আধা চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
-   ২ টেবিল চামচ মরিচবাটা
-   ২টা ডিম
প্রণালী

১) একটা বড় বোলে মুরগীর টুকরো, লবণ, গোলমরিচ, রসুন, ১ টেবিল চামচ মরিচ বাটা, একটা ডিমের কুসুম নিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এটাকে ১০-১৫ মিনিট ম্যারিনেট হতে দিন।
২) আরেকটা বোলে একটা ডিমের সাদা অংশ, আরেকটা ডিমের পুরোটা, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে এটাকে ভালো করে বিট করে নিন।
৩) বাদাম, ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার, ২ টেবিল চামচ ময়দা, লবণ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
৪) চিকেনের টুকরোগুলোকে প্রথমে ডিমের মিশ্রণে ডুবিয়ে বাদামের মিশ্রণে গড়িয়ে নিন।
৫) ডিপ ফ্রাই করার মতো যথেষ্ট তেল গরম করে নিন কড়াইতে। চিকেনগুলোকে সোনালি করে ভেজে তুলুন। ঠিকমতো সেদ্ধ হয়েছে কিনা খেয়াল রাখবেন। কিচেন টাওয়েলে রাখুন যাতে তেল শুষে নেয়। 
৬) এবার সস তৈরি করুন। একটা কড়াইতে অল্প তেল গরম করে এতে রসুন এবং সেলেরি দিয়ে সাঁতলে নিন ২০ সেকেন্ড। এতে কচি পিঁয়াজ কুচি, মরিচ বাটা দিয়ে এক মিনিট ভুনে নিন। এরপর টমেটো কেচাপ দিয়ে মিশিয়ে নিন ভালো করে।
৭) ক্যাপসিকামগুলো দিয়ে টস করে নিন। ওপরে একটু পানি ছিটিয়ে সয়াসস, লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। এক চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ারের সাথে দুই টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে নিন। এটা সসে দিয়ে দিন, সস ঘন হবে। এটা মিশে গেলে সসে চিকেনগুলো দিয়ে টস করে মিশিয়ে নিন যাতে সস ভালো করে মেখে যায়। ওপরে পিঁয়াজকলি কুচি দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। গরম গরম সার্ভ করুন।

অন্যরকম স্বাদের স্ন্যাক পোচড প্রন ইন ডিপিং সস

ranna banna o beauty tips
স্ন্যাক পোচড প্রন
দারুণ ঝাল-মশলা সহ তেলে মুচমুচে করে ভাজা খাবার পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। কিন্তু এত তেল-মশলা আদতে স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো নয়। খুব কম উপকরণে অন্যরকম স্বাদের একটা স্ন্যাক্স তৈরি করতে চাইলে দেখে নিতে পারেন পোচড প্রনের এই রেসিপিটি। সাধারণ ফাস্ট ফুডের মতো অস্বাস্থ্যকর নয়, বরং সেদ্ধ করা হয় বলে বেশ স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স এটি। এর সাথে দেখে নিন ডিপিং সস তৈরির রেসিপিটিও।
উপকরণ

-   ১০টা মাঝারি আকৃতির চিংড়ি , পরিষ্কার করা কিন্তু লেজ রেখে দেওয়া
-   লবণ স্বাদমতো
-   ২ টেবিল চামচ ভিনেগার
-   ২ টেবিল চামচ পিঁয়াজকলি কুচি
-   ১ টেবিল চামচ আদা লম্বা করে কাটা
-   ২টা সবুজ কাঁচামরিচ
-   ১ টেবিল চামচ রাইস ভিনেগার
-   ১ টেবিল চামচ সয়াসস
-   ২ টেবিল চামচ তিলের তেল
প্রণালী

১) নন-স্টিক প্যানে ২ কাপ পানি গরম করে নিন। এতে লবণ এবং ভিনেগার দিয়ে ফুটিয়ে নিন।
২) ফুটন্ত পানিতে চিংড়িগুলো দিয়ে ২ মিনিট রান্না করুন। পানি ঝরিয়ে একটা বোলে রেখে দিন এগুলোকে।
৩) ডিপিং সস তৈরি করার জন্য ২ টেবিল চামচ পিঁয়াজকলি কুচি, আদা, কাঁচামরিচ, রাইস ভিনেগার এবং সয়াসস একটা বাটিতে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৪) নন-স্টিক প্যানে তিলের তেল গরম করে নিন যতক্ষণ না ধোঁয়া উঠতে থাকে। এরপর ডিপিং সসের সাথে এটা মিশিয়ে নিন। ৫ মিনিট রেখে দিন।
৫) পিঁয়াজকলি কুচি দিয়ে চিংড়ি গার্নিশ করে নিন। গরম গরম সার্ভ করুন ডিপিং সসের সাথে।

জেনে নিন ঘরেই দম বিরিয়ানি তৈরির প্রণালীটি

Ranna banna o beauty tips
দম বিরিয়ানি
বিরিয়ানি খেতে কে না পছন্দ করে? রেস্টুরেন্টে গেলে সবার আগে এই খাবারটির কথা মনে আসে। দক্ষিণ এশিয়ায় জনপ্রিয়  একটি খাবার এটি। সাধারণত গরু, খাসি, মুরগির বিরিয়ানি তৈরি করা হয়। রেস্টুরেন্টে গেলে বিভিন্ন নামের বিরিয়ানি কিনতে পাওয়া যায়। যেমন দম বিরিয়ানি, হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি ইত্যাদি। মূল উপাদান পোলাওয়ের চাল এবং মাংস হলেও মশলার ভিন্নতার কারণে এর স্বাদে ভিন্নতা পাওয়া যায়। দম বিরিয়ানি ভারতীয় খাবার হলেও বাংলাদেশে এটি বেশ জনপ্রিয়। সঞ্জীব কাপুরের রেসিপিতে জেনে নিন দম বিরিয়ানি রান্নার রেসিপিটি।
উপকরণ:

১/২ কেজি বাসমতী বা পোলাও চাল
১ কেজি খাসির মাংস
২ টেবিল চামচ আদা রসুন এবং কাঁচা মরিচের পেস্ট
১ চা চামচ কাঁচা পেঁপের পেস্ট
লবণ
১.৫ কাপ টকদই
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১.৫ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
১/২ চা চামচ জয়ফল গুঁড়ো
১টি লেবুর রস
৪টি লবঙ্গ
৪-৫ টি এলাচি
১ চা চামচ শাহী জিরা
১ চা চামচ জিরা
৪টি মাঝারি আকৃতির আলু
৪ টেবিল চামচ পুদিনা পাতা কুচি
৪ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি
১টি জয়ত্রি গুঁড়ো
১ ইঞ্চি দারুচিনি
১টি তেজপাতা
ঘি
৫টি গোলমরিচ গুঁড়ো
২টি কালো এলাচ
১ চা চামচ জাফরান ভেজানো পানি
১ কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা (সাজানোর জন্য)
প্রণালী:

১। প্রথমে একটি প্যানে পানি সিদ্ধ হতে দিন।
২। মাংসে লবণ, পেঁপের পেস্ট, আদা, রসুন এবং কাঁচা মরিচ পেস্ট দিয়ে মাখিয়ে নিন। এটি কমপক্ষে ৮ ঘন্টা মেরিনেট করার জন্য রেখে দিন। সম্ভব হলে সারা রাত এটি মেরিনেট করার জন্য রেখে দিন।
৩। মেরিনেট করা মাংসের মধ্যে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, লেবুর রস,লবঙ্গ, শাহী জিরা, তেজপাতা, জায়ফল গুঁড়ো (সামান্য), এলাচ, জিরা, পেঁয়াজ বেরেস্তা, আলু, ধনে পাতা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি এবং টক দই দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪। এখন সিদ্ধ করা পানির মধ্যে এক চা চামচ ঘি, আস্ত জয়ত্রি, তেজপাতা, কালো এলাচ, সবুজ এলাচ, শাহী জিরা, দারুচিনি, লবণ দিয়ে দিন।
৫। এরপর এতে পোলাও চাল দিয়ে দিন। চাল ১০-১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে নিবেন।
৬। চাল আধা সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। নামিয়ে পানি ঝরতে দিন।
৭। এখন একটি ভারী প্যানে ঘি দিয়ে দিন।
৮। ঘি গরম হয়ে এলে এতে মেরিনেইট করা মাংসগুলো দিয়ে দিন।
৯। এখন মাংসের উপর সিদ্ধ করা পানি ঝরানো চালগুলো দিয়ে দিন। মাংসের উপর পোলাও চাল লেয়ার করে দিবেন।
১০। তার উপর ধনে পাতা কুচি, পেঁয়াজ বেরেস্তা, জাফরন গোলানো পানি, সামান্য গরম মশলা গুঁড়ো, লবণ, পুদিনা পাতা এবং সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন।
১১। এখন প্যানটির ঢাকনার লাগিয়ে তার চারপাশে সিদ্ধ আটা দিয়ে লাগিয়ে দিন।
১২। মাঝারি আঁচে ৩৫ মিনিট রান্না করুন।
১৩। চুলা নিভিয়ে ফেলুন। ১৫ মিনিট চুলার উপর রেখে দিন।
১৪।  ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার দম বিরিয়ানি।

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

নতুন বছরের আয়োজনে সুস্বাদু স্ট্রবেরি ক্ষীর

ranna banna o beauty tips
নতুন বছরের আয়োজনে সুস্বাদু স্ট্রবেরি ক্ষীর
বর্তমান সময়ে স্ট্রবেরি ফলটি প্রায় সব ফলের দোকানে পাওয়া যায়। শুধু ফলের দোকান নয় রাস্তার পাশে ঝুড়িতেও আজকাল স্ট্রবেরি বিক্রি করতে দেখা যায়। এই ফলটি দিয়ে মজাদার সব খাবার তৈরি করা যায় সহজেই। দোকানে গেলে দেখতে পাওয়া যায় স্ট্রবেরি কেক, স্ট্রবেরি আইসক্রিম আরও কত কি। ক্ষীর সবাই রান্না করে থাকেন। কিন্তু স্ট্রবেরি ক্ষীর কি তৈরি করছেন কখনও? স্ট্রবেরি ফল দিয়ে নতুন বছরের পার্টির জন্য তৈরি করে ফেলুন স্ট্রবেরি ক্ষীর। 

উপকরণ:

১/২ কাপ স্ট্রবেরি কুচি

১/২ কাপ স্ট্রবেরি পিউরি

২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার

১ টেবিল চামচ ঠান্ডা দুধ

৩ কাপ ফুল ফ্যাট মিল্ক

১/২ কাপ চিনি

১ চিমটি এলাচি গুঁড়ো

প্রণালী:

১। প্রথমে উচ্চ তাপে দুধ জ্বাল দিয়ে দিন। দুধ বলক হয়ে উঠলে চুলা কমিয়ে দিন।

২। তারপর চুলা অল্প আঁচে দিয়ে দুধ ৫ থেকে ৬ মিনিট জ্বাল দিন। জ্বাল দেওয়ার সময় নাড়তে থাকুন।

৩। এখন কর্ণ ফ্লাওয়ার এবং দুধ মিশিয়ে নিন।

৪। জ্বাল দেওয়া দুধের সাথে কর্ণ ফ্লাওয়ার, চিনি মিশিয়ে অল্প আঁচে ৭ থেকে ৮ মিনিট রান্না করুন। 

৫। এলাচ গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছু মাঝারি আঁচে রান্না করুন।

৬। চুলা বন্ধ করে দিন।

৭। এরপর এতে স্ট্রবেরি পিউরি এবং স্ট্রবেরি কুচি মিশিয়ে নিন।

৮। ঠান্ডা হয়ে গেলে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন।

৯। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মজাদার স্ট্রবেরি ক্ষীর।

ঘরেই তৈরি করুন মজাদার মার্শম্যালো

ranna banna o beauty tips
মজাদার মার্শম্যালো
বাচ্চারা এই খাবারটি ভীষণ পছন্দ করে। শুধুই কি বাচ্চারা? বড়রাও কিন্তু ভীষণ খেতে ভালোবাসেন এই মার্শম্যালো নামের খাবারটি। নানান রকমের মিষ্টি আইটেম সাজাতেও কাজে লাগে বেশ। চলুন, আজ জেনে নিই ঘরেই মার্শম্যালো তৈরির রেসিপি। আর রেসিপিটি দিচ্ছেন শারমিন খান জিন্নাত।

উপকরণ

৩/৪ কাপ গরম পানি (জেলেটিন গলানোর জন্য)

২ টেবিল চামচ আনফ্লেভারড জিলেটিন

৩/৪ পানি

২ কাপ আইসিং সুগার

১/৩ কাপ কর্ণ ফ্লাওয়ার

১ কাপ কর্ণ সিরাপ/ গ্লুকোজ সিরাপ

১ চা চামচ ভ্যানিলা

১/৩ চামচ লবণ

 প্রনালি

    -৩/৪ কাপ গরম পানিতে জিলেটিন দিয়ে গুলিয়ে নিন।
    -এবার একটা প্যান চুলায় দিয়ে তাতে ৩/৪ পানি ,২ কাপ আইসিং সুগার,১ কাপ কর্ণ সিরাপ/গ্লুকোজ সিরাপ,১ চা চামচ ভ্যানিলা ,১/৩ চামচ লবণ দিয়ে ১ মিনিট বেশি জ্বালে রান্না করুন।
    -যখন ফেনা ফেনা হয়ে যাবে তখন নামিয়ে নিন।
    -ইলেকট্রিক বিটারে জিলেটিন দিন এবং গরম রান্না করা সিরাপ ঢেলে দিয়ে হাই স্পীডে বিট করে নিন। সাদা ক্রিমের মতো হলে একটা ওয়াক্স পেপারে তেল লাগিয়ে একটা কাঁচের ডিসের মাঝে দিয়ে তাতে বিট করা ক্রিমটা ঢেলে দিন।
    -অন্য আর একটা পেপার তার উপর দিয়ে হালকা করে চেপে ছড়িয়ে দিয়ে ৬ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন।
    -তারপর বের করে আইসিং সুগার আর কর্ণ ফ্লাওয়ার মিক্স করে কাটারের উপর ছড়িয়ে দিন।
    -জমে যাওয়া মার্শম্যালো ডিস থেকে বের করে কাটারের উপর রেখে ছুরি দিয়ে ১/২ ইঞ্চি বা ১ ইঞ্চি শেপে কেটে নিন। (চাইলে বিট করা মার্শম্যালোতে ইচ্ছেমত ফুড কালার মেশাতে পারেন) ।

গরম ভাতের সাথে মজাদার সর্ষে ফুলের বড়া

ranna banna o beauty tips
সর্ষে ফুলের বড়া
কুমড়ো ফুলের বড়া তো অনেক খেয়েছেন, সর্ষে ফুলে বড়া কি খেয়েছেন কখনো? শীতের এই সময়ে সর্ষে ফুলে ছেয়ে গিয়েছে গ্রাম বাংলার মাঠ। চলুন তাহলে, আজ বীথি জগলুলের হেঁসেল থেকে জেনে নিই সর্ষে ফুলের বড়ার রেসিপি। গরম গরম ভাতের সাথে জমবে দারুণ।






যা প্রয়োজন

সর্ষে ফুল কুচি- ২ কাপ

পিঁয়াজ কুচি- ৪-৫ টে চামচ

কাঁচামরিচ কুচি- ৪-৫টি

আদা/রসুন বাটা-- ১ চা চামচ করে

হলুদ/মরিচ গুঁড়া-- ১/২ চা চামচ করে

জিরা গুঁড়া-- ১ চা চামচ

চালের গুঁড়া-- ৩ মুঠি

সরিষার তেল-- ভাজার জন্যে

লবণ-- স্বাদমতো



যেভাবে করবেন

    -সব উপকরণ একসাথে মেখে সরিষার তেলে শ্যালো ফ্রাই করে নিন।
    -মৃদু আঁচে দুইপাশ গোল্ডেন হলে নামিয়ে নিন।
    -গরম গরম পরিবেশন করুন গরম ভাতের সাথে। পাকোড়া হিসাবে সস দিয়েও পরিবেশন করতে পারেন।

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

চুলের রঙে চেহারায় পান নতুনত্ব

Ranna banna o beauty tips
চুলের রঙে চেহারায় পান নতুনত্ব
নিজের চেহারায় নতুনত্ব চান। কিন্তু উপায় কি? সবচেয়ে সহজ উপায় হতে পারে আপনার চুলের স্টাইল বদলে নেয়া। মাথার চুলকে কেটেছেঁটে নতুন ডিজাইন আর সঙ্গে থাকুক নানা ঢঙে চুলের রঙ। ব্যস, চেহারায় পেয়ে যান পরিবর্তনের ছোঁয়া। তবে তার আগে জেনে নেয়া দরকার হালের ফ্যাশনে চুলের রঙের ধরনটা কেমন চলছে?

হুট করেই চুলের রঙ পরিবর্তন না করিয়ে বরং আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিন। চুলের রঙ আপনার শরীরের রঙের সঙ্গে না মিললে তা দেখতে বাজে দেখাবে। অনেক সময় সঠিক চুলের রঙ বাছাইয়ের অভাবে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। রঙ করানোর পর চুল রুক্ষ্ম, অমসৃণ হয়ে যাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়া ইত্যাদি হতে পারে। সে কারণে চুলের একটু বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন। তাই রঙ বাছাইয়ে ভালো ব্র্যান্ডকে প্রাধান্য দিতে হবে। এছাড়াও চুলের যত্নে একটু সময় ব্যয় করার মানসিকতা রাখতে পারলে তবেই চুলে রঙ করানোর সিদ্ধান্ত নিন।

অস্কার ব্লান্ডি স্যালনের শীর্ষ চুলের রং বিশেষজ্ঞ কাইল হোয়াইটের মতে, বর্তমানে চুলের রঙের ট্রেন্ড হলো স্বর্ণরঙা প্লাটিনাম। সঙ্গে বেছে নিতে পারেন ক্যারামেল রঙ। এছাড়াও ওমব্রেটাও কিন্তু বেশ চলছে। অর্থাৎ কাছাকাছি রঙের দুই রকম শেডের ব্যবহারও আপনি করতে পারেন।
আপনার চোখ ও ত্বকের বর্ণ যদি সোনালি, বাদামি বা হলুদ হয়, তাহলে চুলের রঙ লালচে, বাদামি, মেহগনি, সোনালি ইত্যাদি হওয়া উচিৎ। চোখ ও ত্বকের রঙ গোলাপি ধরনের হলে ধূসর বা প্লাটিনামের শেডগুলো, বেশ মানিয়ে যাবে। আমাদের দেশের মানুষের ত্বকের রঙ অনুযায়ী চুলের রঙ কখনোই একেবারে সাদা বা ধূসর হওয়া উচিৎ নয়। তাই এমন কোনো রঙ পছন্দ করতে হবে, যাতে ত্বকের রঙের সঙ্গে চুলের রঙের সুন্দর একটা মিশ্রণ থাকে।

বাড়িতে বসেই যেকোনো এক রঙে পুরো চুল রাঙানো বা হালকা হাইলাইট করা সম্ভব। বাড়িতে যারা চুল রঙ করতে চান, তারা প্যাকেটে প্রস্তুত রঙের নির্দেশনা অনুসরন করতে পারেন। বাড়িতে চুল রঙ করার সময় খেয়াল রাখবেন, যাতে চুলের গোড়ায় সেটা বেশি না লাগে। মাথার ত্বকে রঙ লাগলে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদি কয়েক রঙের শেড চান অথবা ওমব্রে করাতে চান, তাহলে পেশাদার কারও সাহায্য নেয়া ভালো।

চুল রঙ করানোর পর অন্তত এক দিন অপেক্ষা করুন। প্রথম কয়েক দিন চুলে ফ্ল্যাট-আয়রন ব্যবহার করুন, এতে চুলের রঙ দীর্ঘস্থায়ী হবে। অবশ্যই কোমল কোনো শ্যাম্পু অথবা রঙ করা চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধোয়া সবচেয়ে উত্তম।


সবজির মাংস!

ranna banna o beauty tips
সবজির মাংস!
বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে ‘কমন’ হলেও শহরে টাটকা শাক-সবজি পাওয়া দুষ্কর। তাই খাবারের তালিকায় বেশ ওপরেই থাকে মাংস, বিশেষ করে ব্রয়লার মাংস। কিন্তু চিকিৎসকের বিধি-নিষেধে সাধ তুলে রাখতে হয় অনেকের। তবে এবার পরিবর্তন আনতে পারেন খাবারে। অনায়াসেই খেতে পারেন মাংস। কেননা মাংস তৈরিই হচ্ছে শাক-সবজি থেকে।

ভাবছেন গুল মারছি? একেবারেই না। সত্যি সত্যি শাকসবজি থেকে তৈরি হচ্ছে নকল মাংস বিয়ন্ড মিট। আর এ মাংস খেতে অবিকল চিকেনের মতোই।

এমনকি মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও বিয়ন্ড মিটসের নকল মাংস খেয়ে বুঝতেই পারেননি। এর স্বাদ, টেক্সচার অবিকল চিকেনের মতো বলেই জানিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যত্‍ পৃথিবীর খাদ্য বিয়ন্ড মিট যোগাতে চলেছেও বলে মনে করছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনাঢ্য এই ব্যক্তি।
ইথান ব্রাউন

বিয়ন্ড মিটের চিন্তা প্রথম মাথায় ইথান ব্রাউনের। এই স্টার্টআপের সিইও তিনি। নিজের এই প্রযুক্তির পেটেন্ট নিয়েছেন ইথান ব্রাউন। এই নকল মাংস সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠলে প্রাণী হত্যা অনেক কমে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।

ইথান ব্রাউনের মতে, মাংসের জন্য পশুখামারের পেছনে প্রচুর খরচ করতে হয়। একটি প্রাণী থেকে এক পাউন্ড মাংস পেতে যে পরিমাণ জমি, শক্তি ও জন ব্যবহার করতে হয়, তা বিশাল। একটি প্রাণীর শরীরের মাত্র ৩০ শতাংশ মাংস আমরা খাই। বাকি পুরোটাই নষ্ট হয়। শক-সবজি থেকে প্রস্তুত নকল মাংস খেলে প্রচুর টাকা ও সময় বাঁচবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিরামিষ খাওয়া মানুষের শরীরের পক্ষে সবচেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররাও। নকল মাংস খেলে স্বাদের সঙ্গে সমঝোতা না করেই স্বাস্থ্য রক্ষা সম্ভব। ইথান ব্রাউন জানিয়েছেন যে মাংস শুধুমাত্র অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, খনিজ পদার্থ ও জলের সংমিশ্রণ। এই সব জিনিস যে সব গাছে থাকে, তা সংগ্রহ করে সেখানে মাংসের স্বাদ, টেক্সচার ও পুষ্টি কৃত্রিম ভাবে যোগ করেছেন তিনি।

খেজুর গুড়ের মজার পায়েস

ranna banna o beauty tips
খেজুর গুড়ের মজার পায়েস
শীতের এই সময়টাতে পাওয়া যাচ্ছে সুগন্ধি খেজুর গুড়। বাঙালিয়ানা খাবার রীতিতে নতুন খেজুর গুড়ের পায়েস একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। নিজেদের খাওয়ার সঙ্গে অতিথি আপ্যায়নে এই পায়েসের জুড়ি নেই। খেজুর গুড়ের এই পায়েসের স্বাদ অন্য কোনো খাবারে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সে স্বাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে রাজি নয় কেউ। খুব ঘন ঘন খাওয়া না হলেও প্রতিটি বাঙালি পরিবারে বছরে অন্তত একবার খাওয়া চাই-ই। প্রায় সবাই রান্না করতে পারেন খেজুর গুড়ের পায়েস। কিন্তু পায়েসকে আরও বেশি মজাদার করতে জানা দরকার সামান্য কিছু কৌশল। তাই দেখে নিতে পারেন এক নজরে..

যা যা লাগবে

পোলাও চাল ৫০০ গ্রাম, খেজুরের গুড় স্বাদমতো, দুধ ৪ লিটার, এলাচ ৪টি, দারুচিনি ৪ টুকরা, তেজপাতা ২টি, বাদাম-কিশমিশ পছন্দমত।

যেভাবে করবেন

প্রথমে চাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। দুধ আর গুড় একটি পাত্রে ঘন করে  জ্বাল দিয়ে নিন। এবার আলাদা পাত্রে চাল ফুটিয়ে দুধ-গুড়ের পাত্রে ঢেলে দিতে হবে। ফুটে ওঠা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এবার তাতে এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে আবারও আস্তে আস্তে নাড়তে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন পাতিলের নিচে পায়েস পুড়ে লেগে না যায়। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে বাদাম-কিশমিশ দিয়ে পছন্দমত সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার খেজুর গুড়ের পায়েস।

রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর বিট রুটের টিক্কি

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর বিট রুটের টিক্কি
সবজি হিসাবে বিট দারুণ স্বাস্থ্যকর হলেও অনেকেই এই সবজিটি খেতে চান না একেবারেই। কেন? কারণ আসলে ঠিক মত রান্না করতে না পারলে বিট খেতে ততটা ভালো লাগে না। চলুন, আজ জেনে নিই নাদিয়া নাতাশার চমৎকার একটি রেসিপি। বিট খেতে এত সুস্বাদু আগে কখনো লাগেনি আপনার!

উপকরণ:
বিট রুট মিহি কুচি ১ কাপ
রোষ্টেট পিনাট ১/২কাপ
আলু সেদ্ধ ১কাপ
পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ
কাচামরিচ কুচি ৩/৪ টা
লেবুর রস ২/৩ চা চামচ
ধনে পাতা কুচি ২ চা চামচ
আদা বাটা ১/২ চা চামচ
রসুন বাটা ১/২চা চামচ
জিরা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
গোল মরিচ গুঁড়ো সামান্য
লবণ পরিমান মত
ব্রেড ক্রামব ১ কাপ
ময়দা ১/২ কাপ
পানি ১/২ কাপ
তেল ভাজার জন্য

প্রনালি:

    -বিট রুট কুচি সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা।
    -আধা ঘন্টা পর ভালভাবে চেপে রস নিংড়ে নিন।
    -এবার সব মসলা আলু বাদাম পেঁয়াজ কুচি কাঁচামরিচ কুচি ধনে পাতা দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে টিক্কির আকার দিন।
    -ময়দা আর পানি গুলিয়ে পাতলা মিশ্রন তৈরি করুন।
    -এবার টিক্কি ময়দায় চুবিয়ে ব্রেড ক্রামে গড়িয়ে নিন। নরমাল ফ্রিজে রাখুন ১ ঘন্টার জন্য। এবার ডুবো তেলে ভাজুন আর গরম গরম সার্ভ করুন।

ভিন্ন রকম রেসিপি "বিজয় পরোটা"

ranna banna o beauty tips
 "বিজয় পরোটা"
চলে এসেছে আমাদের সবচাইতে আনন্দের উৎসব "বিজয় দিবস"। বিশেষ এই দিনের আনন্দে স্মরণীয় কিছু তৈরি করতে চান? বীথি জগলুলের দারুণ রেসিপিতে তৈরি করে ফেলুন বিজয় পরোটা। চলুন জেনে নিই।

যা প্রয়োজন
ময়দা- ২ কাপ
সুজি- ৪ টে চামচ
গুঁড়া দুধ- ৪ টে চামচ
লবণ- ১ চা চামচ
তেল- ৬ টে চামচ
জিরা গুঁড়া- ২ চা চামচ
আস্ত জিরা- ১ চা চামচ
চাট মসলা- ২ চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়া-- ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ

- উপরের সব উপকরণ আলাদা বাটিতে সমান দুইভাগে ভাগ করে একসাথে মিশিয়ে রাখুন।

এছাড়া লাগবে
পালং শাক কুচি- ১ কাপ
গ্রেটেড গাজর- ২-৩টি
তেল- ভাজার জন্যে

যেভাবে করবেন

    -পালং শাক ভাপিয়ে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পিউরি করে নিন। একইভাবে গাজরও পিউরি করে নিন।
    -এবার একভাগ ময়দার মিশ্রণে পরিমাণমতো পালং-এর পিউরি দিয়ে ডো করে নিন। অল্প অল্প করে পিউরি দেবেন। একবারে দিলে ডো নরম হয়ে যেতে পারে।
    -একইভাবে গাজরের পিউরি দিয়ে ডো করুন। ডো করা হলে ঢাকনা দিয়ে ১৫ মিনিটের জন্যে ঢেকে রাখুন।
    -পনেরো মিনিট পর ২ রঙের ডো দিয়ে ১০-১০ করে বিশটি লেচি কেটে নিন। একটি সবুজ ও একটি কমলা/লাল লেচি পাশাপাশি রেখে কয়েলের প্যাঁচের মতো প্যাঁচ দিয়ে গোল করে নিন।
    -এবার এটিকে বেলে গোল পরোটা বানিয়ে নিন। পরোটার সাইজ পুরির চেয়ে কিছুটা বড়ো হবে। সব বানানো হলে মোগলাই পরোটার মতো করে ভেজে নিন।
    -গরম গরম পরিবেশন করুন চিকেন অথবা বীফ ভুনা দিয়ে।

সুস্বাদু নার্গিসি কোফতা তৈরির একটি সহজ রেসিপি

ranna banna o beauty tips
নার্গিসি কোফতা
স্থানীয় ভাজাভুজির দোকানে সিঙ্গারা-সমুচার পাশাপাশি আরও একটা খাবার পাওয়া যায়, সেটা হলো ডিম-চপ। বাড়িতেও অনেকেই ডিম চপ তৈরি করেন অতিথি আপ্যায়নের জন্য। ডিম চপের আরও অভিজাত একটি ধরণ হলো নার্গিসি কোফতা। খুব সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন বাড়িতে। অতিথি আপ্যায়ন ছাড়াও বিকেল বেলার স্ন্যাক্স হিসেবে দারুণ লাগবে নার্গিসি কোফতা।
উপকরণ

    -   ৪টা সেদ্ধ ডিম
    -   ২৫০ গ্রাম চিকেন কিমা
    -   ২টা ছোট আলু, সেদ্ধ করে ভর্তা করা
    -   ভাজার জন্য ব্রেড ক্রাম্ব
    -   এক স্লাইস পাউরুটি, ভিজিয়ে পানি চিপে নেওয়া
    -   ৩ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
    -   সিকি চা চামচ গোলমরিচ
    -   ১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
    -   ১ চা চামচ গরম মশলা
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   ১ চা চামচ আদা কুচি
    -   ১ চা চামচ রসুন কুচি
    -   ২টা কাঁচামরিচ কুচি
    -   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল

প্রণালী

১) একটা বাটিতে মিশিয়ে নিন চিকেন কিমা, আলু ভর্তা, রসুন কুচি, আদা কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, লবণ, জিরা, গরম মশলা, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং কিছুটা ধনেপাতা কুচি। এগুলো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটাকে মিক্সারে দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।

২) এই মিশ্রণে ভেজানো পাউরুটি এবং আরও কিছুটা ধনেপাতা কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর হাতে তেল মাখিয়ে অল্প কিছুটা মিশ্রণ হাতে নিন। প্যাটি বানিয়ে এর মাঝে একটা সেদ্ধ ডিম রেখে চারদিক দিয়ে মুড়ে কোফতার আকৃতি দিন।

৩) কোফতাটাকে ডিমে ডুবিয়ে নিয়ে তারপরে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। ডিমে না ডুবালেও চলবে। এবার গরম তেলে ডিপ ফ্রাই করে নিন কোফতাটাকে। এভাবে সবগুলো ডিম দিয়ে কোফতা তৈরি করে ভেজে নিন। বেশি কড়া করে ভাজবেন না। সোনালি হয়ে এলে নামিয়ে নিন।

নার্গিসি কোফতা মাঝ বরাবর কেটে গরম গরম সার্ভ করুন। সাথে দিতে পারেন সস অথবা চাটনি।

শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫

খুদের খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
খুদের খিচুড়ি
চালের কণা দিয়ে করতে পারেন উদরপূর্তি।
উপকরণ: 
খুদ ২ কাপ। মুগডাল আধা কাপ। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। পেঁয়াজপাতা কুচি করা ৪,৫টি (না থাকলে পেঁয়াজ দিতে পারেন)। পেঁয়াজকুচি ১টি। রসুনকুচি আস্ত ১টি। কাঁচামরিচ ফালি করা ৭,৮টি। আদাবাটা দেড় টেবিল-চামচ। জিরাবাটা ১ চা-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। তেজপাতা ২টি। এলাচ ৩টি। দারুচিনি ১ টুকরা। আস্তজিরা দেড় চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল পরিমাণ মতো। পানি ৪ কাপ।

পদ্ধতি: 
মুগ ডাল ধুয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। খুদ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে চাল-ডাল মিশিয়ে রাখুন।

হাঁড়িতে তেল গরম করে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি ও আস্তজিরা ফোঁড়ন দিয়ে চাল-ডালের মিশ্রণ দিয়ে ভেজে নিন।

পোলাওয়ের চালের মতো করে খুদ ভেজে পানি দিন। এবার এর সঙ্গে অন্য সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। চাল ও পানি সমান স্তরে আসলে তাওয়ার উপর হাঁড়ি বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে দমে রাখুন।

১০ মিনিট পর আর একবার নেড়ে দিয়ে আবার দমে রাখুন। খুদ ফুটে গেলে নামিয়ে নিন। ডিম ভাজা, বিভিন্ন রকম ভর্তা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.