ranna banna o beauty tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ranna banna o beauty tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৬

সহজলভ্য নারিকেল তেলের ৪টি কার্যকরী ফেসপ্যাক

ranna banna o beauty tips
নারিকেল তেলের ৪টি কার্যকরী ফেসপ্যাক
নারিকেল তেলের নাম শুনলে মনে হয় চুলের কথা। আদিকাল থেকে চুলের যত্নে নারিকেল তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু আপনি জানেন কি, নারিকেল তেল শুধু চুলের জন্য নয় ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী? শুষ্ক প্রাণহীন ত্বককে নরম, কোমল, প্রাণবন্ত করতে নারিকেল তেলের জুড়ি নেই। শুধু তাই নয় ফেসপ্যাক তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় নারিকেল তেল।

 লেবুর রস, মধু এবং নারিকেল তেলের ফেসপ্যাক 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ২ চা চামচ বিশুদ্ধ মধু এবং ১/২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মুখ পরিস্কার করে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। একটি নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। 

২। নারিকেল তেল এবং হলুদ 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।  এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে থাকবে।

 ৩। হলুদ গুঁড়ো, কলা এবং নারিকেল তেল 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ১/২ পাকা কলা এবং এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। ত্বক পরিষ্কার করে প্যাকটি লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পাকা বা খুব বেশি পাকা কলা হলে ভালভাবে ম্যাশ করা যায়। 

৪। নারিকেল তেল, টক দই এবং জায়ফল 

১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ১ চা চামচ জায়ফল এবং ১ টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি ম্যাসাজ করে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি বা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক আদ্র করে বলিরেখা দূর করে থাকে। নারিকেল তেলের এই প্যাকগুলো আপনার ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে ব্রণের দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের কালো দাগও দূর করে থাকে।

নাস্তায় হয়ে যাক আলু দিয়ে মজাদার মুগডাল ভুনা

ranna banna o beauty tips
নাস্তায় হয়ে যাক আলু দিয়ে মজাদার মুগডাল ভুনা
সকাল সকাল গরম গরম রুটির চাইতে ভালো খেতে কী আছে? স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হলে খেয়ে দেখতে পারেন লাল আটার রুটি। অনেক বাড়িতেই আবার খাওয়া হয় গরম গরম ভাত। রুটি কিংবা ভাত, আপনার সকালের মেন্যুতে যাই থাকুক না কেন, সায়মা সুলতানার এই মুগডালের খাবারটি খেতে লাগবে চমৎকার। চলুন, আলু দিয়ে মজাদার মুগডাল রান্নার রেসিপিটি জেনে নিই।  
যা লাগবে 
  • মুগ ডাল ১ কাপ 
  • সিদ্ধ আলু ১ কাপ 
  • হলুদ হাফ চা চামচ 
  • মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ
  • ধনিয়া গুঁড়ো ১ চা চামচ 
  • জিরা গুঁড়ো হাফ চা চামচ 
  • আদা বাটা ২ চা চামচ 
  • আস্ত জিরা ১ চা চামচ 
  • আস্ত সরিষা হাফ চা চামচ 
  • আদা মিহি কুচি ১ চা চামচ 
  • মরিচ কুচি  ধনিয়া পাতা কুচি 
  • ঘি ২ টেবিল চামচ
  • লবণ পরিমান মত 
প্রনালি 
প্রথমে একটা প্যানে মুগ ডাল নিয়ে হালকা লাল করে ভেজে নিন। -এবার এই ভাজা ডালের সাথে লবণ , হলুদ-মরিচ-ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো,আদা-রশুন বাটা , আড়াই কাপ গরম পানি দিয়ে সিদ্ধ বসিয়ে দিন। -ডাল সিদ্ধ হয়ে আসলে এতে সিদ্ধ আলু গুলিকে হাতে ভেঙে ডালের উপর ছিটিয়ে দিয়ে আরেকটু পানি দিয়ে রান্না করুন আর ১৫ মিনিট। -এবার একটা প্যানে ঘি নিয়ে এতে আস্ত জিরা, সরিষা দিয়ে ফুটে উঠলে ডাল এর উপর ফোঁড়ন দিন। -ফোঁড়ন এর পর আদা কুচি,মরিচ কুচি , বেশি করে ধনিয়া পাতা কুচি ছিটিয়ে দিন। আর ১ থেকে ২ মিনিট কম আঁচে রান্না করে নামিয়ে নিন। -রুটি,নান কিনবা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন। 

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৬

একেবারেই নতুন একটি খাবার হরিয়ালি কোফতা

ranna banna o beauty tips
 হরিয়ালি কোফতা
মাছ মাংসের কোফতা খেয়েছি আমরা সবাই। কিন্তু শাকের কোফতা, তাও আবার দারুন মুখরোচক এক গ্রেভিতে? হ্যা, পালং শাক এবং ধনেপাতার মতো স্বাস্থ্যকর সবুজে তৈরি হবে এই কোফতা। এক ঘণ্টারও কম সময়ে তৈরি হয়ে যাবে এই রান্নাটা, আর স্বাদের তারিফ কুড়োবেন আপনিই!।
উপকরণ

অনিয়ন পেস্টের জন্য
-   পৌনে দুই কাপ পিয়াজ কুচি
-   সিকি কাপ কাজু বাদাম
-   ৭ কোয়া রসুন
-   ২ টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়ার বিচি
-   আধা ইঞ্চি আদা
গ্রেভির জন্য
-   ৩ টেবিল চামচ তেল
-   ৩টা এলাচ
-   ৩টা লবং
-   ১ টেবিল চামচ কাচামরিচ কুচি
-   আধা চা চামচ গরম মশলা
-   পৌনে এক কাপ দই
-   ২ টেবিল চামচ ক্রিম
-   লবন স্বাদমতো
কোফতার জন্য
-   দেড় কাপ সেদ্ধ আলু
-   পৌনে এক কাপ ধনেপাতা কুচি
-   পৌনে এক কাপ পালং শাক কুচি
-   ২ চা চামচ কাচামরিচের পেস্ট
-   আধা চা চামচ গরম মশলা
-   ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
-   লবন স্বাদ মতো
-   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
অন্যান্য উপকরণ
-   আধা চা চামচ মরিচ গুড়ো
-   ২ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম
-   অল্প একটু জাফরান
-   ১ টেবিল চামচ দুধ
-   ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি (গার্নিশের জন্য)
প্রণালী

১) অনিয়ন পেস্টের জন্য সব উপকরণ এবং দেড় কাপ পানি একটা কড়াইতে নিন। ভালো করে মিশিয়ে মাঝারি আচে রান্না করুন ৮-১০ মিনিট। ঠাণ্ডা করে নিন। ব্লেন্ড করে মিহি পেস্ট করে নিন।
২) এবার তৈরি করুন গ্রেভি। কড়াইতে তেল গরম করে এতে এলাচ এবং লবং দিয়ে একটু ভেজে নিন। এরপর কাচামরিচ, অনিয়ন পেস্ট দিয়ে মাঝারি আচে সাঁতলে নিন ২-৩ মিনিট।
৩) গরম মশলা এবং দই দিয়ে নাড়তে থাকুন ১-২ মিনিট। এরপর ক্রিম এবং লবন দিয়ে মিনিটখানেক রান্না করে নামিয়ে ফেলুন।
৪) এবার কোফতা তৈরির পালা। কোফতার সব উপকরণ বোলে মিশিয়ে নিন। ১৬টা ভাগে ভাগ করে কোফতা গড়িয়ে নিন।
৫) ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম করে নিন। মাঝারি আচে সোনালি করে ভেজে তুলুন।
৬) একটা কড়াইতে গ্রেভিটা নিন। এতে যোগ করুন মরিচ গুড়ো, সিকি কাপ গরম পানি এবং মাঝারি আচে রাখুন দুয়েক মিনিট, নাড়তে থাকুন। ক্রিম দিয়ে আবার এক মিনিট রাখুন। এরপর ইচ্ছে হলে দুধে গুলে জাফরান দিয়ে দিতে পারেন। এবার কোফতা দিয়ে দিন। সাবধানে থাকুন যাতে না ভাঙ্গে। হাল্কা আচে কিছুক্ষন রেখে সাবধানে নামিয়ে নিন।
ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন হরিয়ালি কোফতা। সাকথে দিতে পারেন মুচমুচে পরোটা।

চিইজি পাপরিকা পটেটো

ranna banna o beauty tips
চিইজি পাপরিকা পটেটো
নাস্তা কিংবা ভারি খাবার হিসেবে দারুন একটি পদ।


উপকরন: 
মাঝারি আকারের আলু ৫,৬টি। রসুনকুচি ২ চা-চামচ। পেঁয়াজকুচি মিহি আধা কাপ। তেল ২ চা-চামচ। পাপরিকা পাউডার ২ চা-চামচ। গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ। অরিগানো আধা চা-চামচ। লবণ পরিমাণ মতো। পেঁয়াজকলি বা স্প্রিং অনিয়ন আধা কাপ। মোৎজারেলা চিজ আধা কাপ।

পদ্ধতি: 
আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। টুকরা করে রাখুন। প্যানে তেল দিয়ে তাতে রসুন ও পেঁয়াজ কুচি ভাজুন। সিদ্ধ আলু, পাপরিকা, অরিগানো, কালো গোলমরিচ, লবণ দিন। ভালো করে নেড়ে পেঁয়াজকলি অথবা স্প্রিং অনিয়ন দিয়ে নামিয়ে নিন।

এবার ইলেকট্রিক ওভেন প্রিহিটে দিন।
ওভেন প্রুভ বাটিতে আলু ঢেলে উপরে চিজ কুচি করে ছড়িয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের জন্য ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় বেইক করুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

যদি কেউ চিজ ছাড়াই খেতে চান তবে চিজ আর বেইকিং প্রয়োজন নেই। চিজ ছাড়াও খেতে অনেক সুস্বাদু।

মন জুড়ানো গুড়ের পায়েস

ranna banna o beauty tips
মন জুড়ানো গুড়ের পায়েস
শীতের সময় পাওয়া যায় খেজুরের গুড়। সেটা দিয়ে তৈরি করুন মজার মিষ্টান্ন।

উপকরণ: 
দুধ দেড় লিটার। আতপ চাল আধা কাপ। গুড় দেড় কাপ(ছোট ছোট করে কেটে রাখবেন)। চিনি স্বাদমতো। লবণ ১ চিমটি। তেজপাতা, এলাচ ও দারুচিনি ১টি করে।

পদ্ধতি: 
চাল ১০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।

এবার একটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিন। দুধ ফুটে উঠলে লবণ, চিনি ও চাল দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। সব উপকরণ আস্তে আস্তে মেশাতে হবে আর নাড়তে হবে।

চাল ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসলে আগে থেকে ছোট করে কেটে রাখা গুড় মিশিয়ে দিতে হবে আস্তে আস্তে।

এবার নামিয়ে ঠাণ্ডা করে একটি পাত্রে এক টুকরা খেজুরের গুড় দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে

ranna banna o beauty tips
নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে
সুন্দর দুটি হাতের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে নিতে নখ বড় রাখার বিকল্প নেই। এটি তরুণীদের একটি প্রিয় অভ্যাসও বটে। আজকাল ফ্যাশন সচেতন অনেক তরুণও নখের মাথা সামান্য বড় রাখতে পছন্দ করেন। নিজেদের সাজকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পরিচ্ছন্ন নখের আবেদন থাকে সব সময়। তবে কারো কারো নখ একটু বড় হলেই তা ভেঙে যায়। বিশেষ করে শীতের এই সময়টাতে নখ ভঙ্গুরতার হার বেশি দেখা যাচ্ছে। যাদের নখের গঠন কিছুটা নরম প্রকৃতির হয় তাদের এই সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। নখের ভঙ্গুরতা ঠেকাতে অবলম্বন করা যেতে পারে কিছু কার্যকরী ব্যবস্থা।

- এক চা চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নখে মাখতে হবে। এই মিশ্রণটি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার নখ হয়ে উঠবে মজবুত। নখ ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে আর আপনি পাবেন পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল নখ।

- আধা চামচ লবণ, আধা চামচ লেবুর রস এক কাপ পানিতে মিশিয়ে গরম করে নিন। লবণযুক্ত সেই গরম পানিতে নখ ডুবিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে একবারই যথেষ্ট। এভাবে চর্চা করে গেলে নখ মজবুত হবে।

- বিভিন্ন প্রকার তেল যেমন- তিলের তেল, বাদামের তেল, অলিভ অয়েল হাত পায়ের নখের জন্য বেশ উপকারী। তিনে ৩ বার তুলা ভিজিয়ে এই তেল হাত ও পায়ের নখে মাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

- রান্না-বান্না, সবজি কাটা কিংবা পাতিল ধোয়ার সময় গ্লাভস পরে নিলে নখে চোট লাগে কম। বিশেষ করে বাগান করার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরে নেয়া উচিৎ। এতে নখে চাপ পড়ে না। তাছাড়া গ্লাভস পরে নিলে বারে বারে ক্ষতিকর ডিটারজেন্ট ও ডিশ ওয়াসার লাগে না। ফলে নখ দূর্বল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

- সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর পেট্রোলিয়াম জেলি, ক্যাস্টর ওয়েল অথবা অলিভ ওয়েল মাখুন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত একবার এভাবে নখে ও নখের আশেপাশের ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। এতে নখের ভঙ্গুরতা কমে এবং রুক্ষ ভাব দূর হয়।

- সব সময় নেইল পলিশ লাগিয়ে রাখা অথবা ঘন ঘন নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়। এধরণের রাসায়নিক পদার্থ গুলো নখের আদ্রতা কেড়ে নেয় এবং নখকে দূর্বল করে দেয়। তাই সব সময়ে নেইল পলিশ লাগিয়ে না রেখে মাঝে মাঝে বিরতি দেয়া ভালো।

- প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার রাখুন। এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, সি, ডি ইত্যাদিও নখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান যেগুলোতে প্রচুর ভিটামিন আছে। খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই পর্যাপ্ত না পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। এতে শরীরের ভেতর থেকে নখে পুষ্টি পৌছাবে এবং নখ শক্ত ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে।

গোড়ালি ফাটা রোধে কার্যকরী উপায়

ranna banna o beauty tips
গোড়ালি ফাটা রোধে কার্যকরী উপায়
শীতের সকালে কাঁথা কম্বলের আদুরে পরশ থেকে বের হতে একদমই ইচ্ছা করে না। তবু বিছানা ত্যাগ করতে হয় কাজের তাগিদে। আড়মোড়া ছাড়তে ছাড়তে বিছানা থেকে মেঝেতে পা ফেলা। আর তখনই গোড়ালিতে কিঞ্চিৎ ব্যথার অনুভূতি। কেউ এটাকে পাত্তা দেন, কেউ হুড়মুড়িয়ে উঠতে গিয়ে টেরই পান না। শীতে ত্বকের শুষ্কতা পায়ের গোড়ালি ফাটা বা ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ। দেহের অন্যান্য অংশের চেয়ে পায়ের গোড়ালির ত্বক অত্যান্ত পুরু ও শক্ত হয়। তাই গোড়ালি ফাটার প্রবণতা বেশি থাকে। পায়ের গোড়ালির যত্নে দরকার সচেতনতা। নইলে খুব সুন্দর সাজের সঙ্গে অসামঞ্জস্য পা দুখানা আপনার সম্পূর্ণ ইমেজটিই নষ্ট করে দেবে। জেনে নিতে পারেন পায়ের গোড়ালি ফাটা রোধ এবং নরম ও কোমল রাখার কার্যকরী উপায়।

- প্রথমত পা সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ধুলাবালি পায়ের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই কাজ শেষে ঘরে ফিরে সামান্য স্ক্রাব বা ঘষে পা ধুয়ে নিন। পায়ে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। পা ধোয়ার পর পা ভেজা থাকা অবস্থায় মুছে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভোলা যাবে না।

- সকালে বিছানা থেকে নামার আগেই পায়ের গোড়ালিতে একটু পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। নিয়মিত করতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। কারণ পা ফাটার শুরু হয় এসময় থেকেই। তাই ব্যবস্থা শুরুতেই নিলে খুব বেশি ভয় থাকে না।

- গোসলের আগে পায়ে তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বক নরম থাকবে। তিল তেল বা যেকোনো ভেজিটেবল অয়েল পায়ের জন্য খুবই উপকারী। সারা বছর পায়ের ত্বক নরম রাখতে তিল তেল ভালো। ম্যাসাজের আগে সম্ভব হলে তেল অল্প গরম করে নিন।

- সপ্তাহে এক দিন পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে পারেন। সেজন্য রাতে শোবার আগে উষ্ণ গরম পানিতে লবণ, শ্যাম্পু মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। গরম পানির স্পর্শে গোড়লির মরা ত্বক নরম হলে স্ক্রাবার বা পা ঘষার পাথর দিয়ে গোড়ালি ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এতে মরা ত্বক ঝরে পড়বে, ফাটাও দূর হবে।

- পায়ের যেকোনো পরিচর্যায় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল হয়। অপরদিকে ঠাণ্ডা পানি ত্বককে আরও শক্ত করে ফেলে। বাইরে থেকে ফিরে সামান্য গরম পানিতে পা ধুয়ে নিয়ে আলতো করে ময়েশ্চারাইজার ও গ্লিসারিন মালিশ করে নিলেও উপকার পাবেন।

- পায়ের ত্বকের কোমলতার জন্য ময়দা, হলুদের গুঁড়া, লেবুর রস ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগালে উপকার পাবেন।

- পায়ে মুলতানি মাটি, শসার রস, কমলার রস ও টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

- নিয়মিত পরার জুতাটি শক্ত হলেও পা ফাটতে পারে। এ জন্য সব সময় পায়ের পক্ষে আরামদায়ক জুতা পরার চেষ্টা করুন। শীতে পায়ের গোড়ালি ঢাকা জুতা পরাই ভালো।

- যারা বাইরে নিয়মিত বের হন ও বেশি হাঁটাহাঁটি করেন তারা মোজাসহ পা-বন্ধ জুতা পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, পা যেন না ঘামে। প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা পরুন।

- পায়ে ঘাম ও ধুলোময়লা জমে অনেকেরই ছত্রাক সংক্রমণের সমস্যা দেখা যায়। এতে অতিরিক্ত পা ফাটার প্রবণতাও থাকে। সে ক্ষেত্রে জটিলতা বেশি হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

নাস্তায় মুচমুচে নুডুলস বল

ranna banna o beauty tips
নাস্তায় মুচমুচে নুডুলস বল
ঝটপট নাস্তা তৈরিতে প্রথমেই মনে আসে নুডুলসের কথা। ডিম, সবজি বা মাংসের মিশেলে মজাদার নুডুলস খেতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু মাঝে মাঝে এর ভিন্নতা ঘটলে মন্দ কি? নিজেদের খাওয়াসহ অতিথি আপ্যায়নে দ্রুত তৈরি করা যায় নুডুলস বল। পছন্দের সসের সঙ্গে মুচমুচে নুডুলস বল হয়ে উঠতে পারে বিকেলে নাস্তার সঙ্গী। বাড়ির ছোট সদস্যদের যখন তখন রকমারি খাবারের বায়না মেটাতেও দারুণ উপযোগী। তাই এক নজরে দেখে নিন মুচমুচে নুডুলস বলের সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

ম্যাগি নুডুলস ২ প্যাকেট, ডিম ১ টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টি, কর্ন ফ্লাওয়ার পরিমাণ মতো, ম্যাগি মসলা, আলু বা গাজর কুচি অল্প করে, লবণ পরিমাণমতো, তেল ভাজার জন্য।

যেভাবে করবেন

নুডুলস হালকা সেদ্ধ করে তার সঙ্গে সব উপকরণ মেখে নিতে হবে। মিশ্রণটি আঠালো করতে প্রয়োজনীয় কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে দিন। এবার বলের আকারে করে তেলে ভাজতে হবে। বাদামী রঙ হলে তুলে কিচেন টিস্যুতে মুড়ে রাখুন। বাড়তি তেল টিস্যুতে চুষে নেবে। ব্যাস, হয়ে গেল নুডুলস বল। এবার পছন্দের টমেট সস দিয়ে খেতে পারেন মুচমুচে নুডলস বল।

চকলেটের স্বাদে মজাদার বিবিখানা পিঠা

ranna banna o beauty tips
বিবিখানা পিঠা
মজাদার এই বিবিখানা পিঠা তৈরি করে থাকেন অনেকেই। চলুন, আজ জেনে নিই একই পিঠার ভিন্ন স্বাদের একটি রেসিপি। চকলেটের স্বাদে বিবিখানা পিঠার রেসিপি দিচ্ছেন বীথি জগলুল।
যা প্রয়োজন
চালের গুঁড়া-২ কাপ
ঘি- ১/২ কাপ
গুঁড়া দুধ-১ কাপ
কোকো পাউডার- ২ টে চামচ
গুড়- ২ কাপ
ডিম- ৩টি
কোড়ানো নারকেল- ১ কাপ
এলাচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
লবণ- ১ চিমটি
পানি- ১ কাপ
বাদাম/কিসমিস- ইচ্ছা
প্রণালী
-চালের গুঁড়া হালকা করে টেলে নিন। কেনা গুঁড়া হলে টালার দরকার নেই ।
-গুড় পানিতে জ্বাল দিয়ে ছেঁকে নিন। কোকো পাউডার, এলাচ গুঁড়া, গুঁড়া দুধ আর ডিম ভালো করে মিশিয়ে তারপর গুঁড়ের পানির সাথে মেশান।
-এইবার এই মিশ্রণের সাথে চালের গুঁড়া এবং ঘি মিলিয়ে নিন। সবশেষে নারকেল মিলিয়ে নিন।
-বেকিং ডিশে ঘি ব্রাশ করে খামির ঢেলে প্রি-হিটেড ওভেনে ১৬০' ডিগ্রী তাপে ৪০-৪৫ মিনিট বেক করুন ।
-৪৫ মিনিট পর একটি কাঠি বা টুথপিক ঢুকিয়ে দেখে নিন,কাঠিতে কিছু না লেগে থাকলে বুঝতে হবে পিঠা হয়ে গেছে। ৪০-৪৫ মিনিটের বেশী সময় লাগার কথা নয়।
-পিঠা পুরোপুরি ঠান্ডা হলে কেটে টুকরা করে পরিবেশন করুন।

নাস্তায় হয়ে যাক মজাদার স্প্যাগেটি

ranna banna o beauty tips
স্প্যাগেটি
রোজ রোজ সেই একই রুটি পরোটা খেয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন? স্বাদ বদলে চলুন আজ হয়ে যাক গার্লিক ফ্লেভারের সুস্বাদু স্প্যাগেটি। সকাল সকাল ভিন্ন স্বাদের এই খাবারটির রেসিপি নিয়ে এসেছেন শারমিন হক।

উপকরণ
- স্প্যাগেটি ১ প্যাকেট
- রসুন কুচি ৪ কোয়া
- এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল ৩ টেবিল চামচ
- শুকনা মরিচকুচি ২টা
- ওরিগানো হাফ চা চামচ (না দিলেও হয়)
- ধনেপাতা কুচি
- ওয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ (না দিয়েও হয়)
- লবণ পরিমানমত


প্রস্তুত প্রণালি
-হাঁড়িতে পানি ফুটে উঠলে সামান্য লবণ দিয়ে স্প্যাগেটি সিদ্ধ করে নিন।
-এবার ফ্রাইপ্যানে তেল, রসুনকুচি, মরিচকুচি, লবণ দিয়ে কিছুক্ষন ভেজে তাতে স্প্যাগেটি দিয়ে দিন।
-ভাল নেড়ে তাতে অয়েস্টার সস ও ওরিগানো,ধনেপাতা দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৬

রেইনবো কেক

ranna banna o beauty tips
রেইনবো কেক
একটু রঙিন কেক খেতে বাচ্চারা কিন্তু বেশ ভালোবাসে। চলুন, জেনে নিই নাজিয়া ফারহানার রেইনবো কেক রেসিপি। 
উপকরণ  
  • ডিম ৪ টা (নরমাল তাপমাত্রা)  
  • ময়দা ১ কাপ 
  • বেকিং পাউডার ১ চা চামচ 
  • চিনি গুঁড়ো করা ১ কাপ 
  • তেল ১/২ কাপ 
  • পাওডার দুধ ১/২ কাপ 
  • লাল রং ১ চা চামচ 
  • নীল রং ১ চা চামচ 
  • হলুদ রং ১ চা চামচ 
  • সবুজ রং ১ চা চামচ 
  • ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ  
প্রনালি :
 প্রথমে ডিমের সাদা অংশ ভাল করে বিট করে ফোম করে নিন। -চিনি দিয়ে বিট করুন ২/৩ মিনিট। ডিমের কুসুম দিয়ে বিট করুন ২/৩ মিনিট। তেল দিয়ে বিট করুন।   -ময়দা + দুধ + বেকিং পাউডার একসাথে চেলে নিয়ে ডিমে দিয়ে আস্তে আস্তে দিয়ে বিট করুন। -essence দিয়ে বিট করুন। -এবার ব্যাটারটা সমান ৫ ভাগে ভাগ করুন। একেকটা ভাগে একেকটা রং মেশান।  -তারপর কেকের ডাইসে প্রথমে এক চামচ রং দিয়ে , তার উপর অন্য একটা রং দিতে হবে. এভাবে সব রং এর ব্যাটার গুলা ডাইসে দিয়ে দিন।  -তারপর ইলেকট্রিক ওভেন এ ৪০/৪৫ মিনিট ২০০ ডিগ্রী তে বেক করব। হয়ে যাবে মজাদার রেইন বো কেক। 

রুমালী রুটি

ranna banna o beauty tips
রুমালী রুটি
রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তায় যে খাবারগুলো বেশি খাওয়া হয় তার মধ্যে পরোটা অন্যতম। পরোটার পরই রয়েছে রুমালি রুটির চাহিদা। তেলের কারণে অনেকই পরোটা খেতে চান না, তেল ছাড়া তৈরি করা হয় বলে এই রুমালি রুটি সবার বেশ পছন্দের। চলুন, জেনে নিই রেস্টুরেণ্টের মত রুমালী রুটি তৈরির সহজ রেসিপিটি।
উপকরণ:
১ কাপ আটা
২ কাপ ময়দা
১/২ চা চামচ (২-৩ চিমটি) বেকিং সোডা
১ চা চামচ লবণ
১-২ চা চামচ তেল
১.৫ কাপ পানি
প্রণালী:
১। প্রথমে আটা, ময়দা, লবণ, বেকিং সোডা এবং তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। এবার এতে অল্প একটু পানি মিশিয়ে আটা নরম করে নিন।
৩। এবার এতে বাকী পানিটুকু দিয়ে ভাল করে ডো তৈরি করুন।
৪। ডোটি একটি সুতির পাতলা কাপড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রাখুন।
৫। ২০ মিনিট পর হাতের তালুতে কিছু তেল নিয়ে ডোটি আবার মাখুন।
৬। এখন ডোটি থেকে অল্পএকটু ছিড়ে নিয়ে গোল করে পাতলা রুটি তৈরি করে নিন।
৭। রুটিটি যেন অনেক পাতলা হয়
৮। এখন তাওয়াটি উল্টো করে চুলায় গরম করতে দিন।
৯। তাওয়া গরম হয়ে গেলে এতে রুটিটি দিয়ে দিন। রুমালী রুটি হতে বেশি সময় লাগে না।
১০। একপাশ হয়ে গেলে রুটি উল্টিয়ে দিন।
১১। রুটি কিছুটা পোড়া পোড়া দাগ হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
১২। ব্যস তৈরি হয়ে গেল রেস্টুরেন্টের মত রুমালী রুটি।
টিপস:
রুমালী রুটি অনেক পাতলা হওয়ার কারণে খুব দ্রুত এটি শক্ত হয়ে যায়। তাই রুটি তৈরির সাথে সাথে বক্সে প্যাক করে ফেলুন।
সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

শীতের দিনে উষ্ণ মাটন মিটবল স্যুপ

ranna banna o beauty tips
মাটন মিটবল স্যুপ
গত কিছুদিন ধরে শীতটা একটু কমতির দিকে। কিন্তু তারপরেও সন্ধ্যার দিকে হিমেল হাওয়ায় কাঁপুনি আসে ঠিকই। এ সময়ে কি খাওয়া যায় বলুন তো? হ্যাঁ, সবচাইতে ভালো লাগবে ধোঁয়া ওঠা এক বাটি স্যুপ। আর তাতে যদি ভাসতে থাকে কয়েকটা মিটবল, তাহলে তো আরও ভালো! শীত যাবার সাথে সাথে উদরপূর্তিও হবে নিশ্চিন্তে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক রেসিপিটি।
উপকরণ

মিটবলের জন্য
-   ১ পাউন্ড খাসির মাংসের কিমা
-   ৩টি কাঁচামরিচ
-   ৪ কোয়া রসুন, মিহি কুচি
-   ২ ইঞ্চি আদা, মিহি কুচি
-   ২ টেবিল চামচ ধনেপাতা মিহি কুচি
-   আধা চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
-   আধা চা চামচ লবণ
-   ১ চা চামচ ভেজিটেবল অয়েল
-   ১টা মাঝারি ডিম
স্যুপের জন্য
-   দেড় টেবিল চামচ তেল
-   সিকি কাপ পিঁয়াজ বাটা
-   ১ টেবিল চামচ আদা রসুন বাটা
-   এক ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি
-   ১টা তেজপাতা
-   ২য়া লবঙ্গ
-   আধা চা চামচ গোলমরিচ
-   ১ চা চামচ ধনিয়া
-   সিকি চা চামচ জিরা
-   পৌনে এক চা চামচ কাশ্মিরি মরিচ পাউডার অথবা পাপরিকা
-   ২ মাঝারি টমেটো, ব্লেন্ডারে পিউরি করা
-   ৩ টেবিল চামচ ঘন দই
-   ৪ কাপ পানি
-   লবণ স্বাদমতো
-   গার্নিশ করার জন্য ধনেপাতা এবং লেবুর রস (ইচ্ছা)
প্রণালী

১) একটা বোলে মিটবলের সব উপকরণ নিন। হাতে মাখিয়ে নিন ভালো করে। এরপর হাতে অল্প করে তেল মেখে এটাকে ছোট ছোট মিটবলের আকৃতি দিন। এগুলোকে একটা প্লেট অথবা ট্রেতে রেখে প্লাস্টিক শিট বা ক্লিং ফিল্ম দিয়ে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর স্যুপ তৈরি করা শুরু করুন।
২) হামানদিস্তায় গুঁড়ো করে নিন গোলমরিচ, লবঙ্গ, ধনে এবং জিরা। একটা বড় প্যান গরম করে নিন মাঝারি আঁচে। এরপর তেল দিন। তেল থেকে ধোঁয়া উঠতে শুরু করলে এতে দিয়ে দিন দারুচিনি এবং তেজপাতা। ১০ সেকেন্ড পর এতে দিয়ে দিন পিঁয়াজ, আদা-রসুনের পেস্ট এবং আঁচ কমিয়ে দিন। মশলা ভুনে নিন যাতে রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়। ৫-৭ মিনিটের মাঝে হয়ে যাবে এবং মশলা থেকে সুন্দর গন্ধ আসবে।
৩) আঁচ কম রেখেই এতে দিয়ে দিন গুঁড়ো করা মশলা, টমেটো পিউরি, দই এবং লবণ। সবকিছু নেড়ে মিশিয়ে নিন। ৮-১০ মিনিট রান্না করুন। তেল ওপরে উঠে এলে পানি দিয়ে দিন। স্যুপ চেখে দেখুন লবণ ঠিক আছে কিনা। মাঝারি আঁচে এটাকে ফুটিয়ে নিন।
৪) স্যুপ ফুটতে শুরু করলে আবার আঁচ কমিয়ে দিন। এরপর ফ্রিজ থেকে মিটবল বের করে স্যুপে দিয়ে দিন। ওপরে ঢাকনা দিয়ে রান্না হতে দিন ১০-১২ মিনিট।
রান্না হয়ে গেলে ঢাকনা চাপা দিয়ে রেখে দিন দেড় থেকে দুই ঘন্টা। খাবার সময়ে আরেকবার কম আঁচে গরম করে নিন। তেজপাতা এবং দারুচিনি বের করে ফেলে দিন। ওপরে ধনেপাতা কুচি এবং একটু লেবুর রস চিপে দিয়ে পরিবেশন করুন।
শুনে মনে হতে পারে এই স্যুপ রান্নায় অনেক বেশি সময় লাগছে। কিন্তু এটা আগে থেকে তৈরি করে রাখা যায়, ফলে দরকারের সময়ে আসলে শুধু গরম করে নিলেই হয়।
টিপস
-   শুধু খাসির মাংস নয়, এটা তৈরি করতে পারেন চিকেন কিমা দিয়েও। চিকেন কিমা রান্না করতে সময় আরো কম লাগবে।
-   রুটির সাথে পরিবেশন করলে এই স্যুপ আপনি ব্রেকফাস্ট হিসেবেও খেতে পারেন।

সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৬

ঘরেই তৈরি করে ফেলুন হারবাল শ্যাম্পু

ranna banna o beauty tips
হারবাল শ্যাম্পু
চুলের ময়লা দূর করে চুলকে পরিষ্কার রাখতে শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু চুল পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি চুলকে নরম কোমল স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে তোলে। বাজারের নানা ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু কিনতে পাওয়া যায়। সবাই সাধারণত সেইসব শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি বলে এই শ্যাম্পুগুলো আছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। চুল পড়া বৃদ্ধি, খুশকি, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া সহ নানা সমস্যা দেখা দিতে বাজারের শ্যাম্পু ব্যবহার করে। খুব সহজে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন হারবাল শ্যাম্পু। এই শ্যাম্পু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি বিধায় এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। চুল পরিষ্কার করে চুলকে করে তুলবে সিল্কি, সুন্দর।
যা যা লাগবে:

রিঠা
শিকাকাই
আমলকি
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। ৫০০ মিলিলিটার পানিতে ৬-৭টি শিকাকাই, ৫-৬টি রিঠা এবং কয়েকটি আমলকি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
২। পরের দিন সকালে এই মিশ্রণটি চুলায় দিন। বলক আসলে চুলা নিভিয়ে দিন।
৩। এটি ঠান্ডা হয়ে গেলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৪। এটি করার সময় খেয়াল করবেন উপাদানগুলো থেকে প্রচুর ফেনা তৈরি হয়েছে।
৫। এবার এই মিশ্রণটি শ্যাম্পুর মত ব্যবহার করুন।
৬। এত ঝামেলায় যেতে না চাইলে আমলকি, রিঠা এবং শিকাকাই সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন, পরের দিন এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটিও শ্যাম্পুর মত কাজ করবে।
৭। রিঠা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে সেটির পেস্ট তৈরি করে নিন। এর সাথে শিকাকাই গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি চুলে ব্যবহার করুন, আপনি চাইলে এর সাথে শ্যাম্পু মিশিয়ে নিতে পারেন।
যেভাবে কাজ করে:

আমলকি চুল পড়া রোধ করে। এর সাথে বিভিন্ন ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে নরম, কোমল করে তোলে। এর ফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন  নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। রিঠা খুব ভাল পরিষ্কারক, ময়লা দূর করে ইনফেকশন রোধ করে থাকে। শিকাকাই চুলের জন্য খাদ্যস্বরূপ। এতে পিএচ লেভেল অনেক কম যার কারণে এটি চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হতে দেয় না। এরসাথে এটি চুল মজবুত করে তোলে।  এমনি খুশকি সমস্যাও সমাধান করে থাকে।
হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন আর পেয়ে যান সুন্দর স্বাস্থ্যজ্বল ঝলমলে চুল।

সুস্বাদু ভারতীয় খাবার ফুলকপি বাটার মাসালা

ranna banna o beauty tips
ফুলকপি বাটার মাসালা
বাটার চিকেন খেয়েছেন? ভারতীয় খুব জনপ্রিয় একটি খাবার এটি। বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। বাটার চিকেনের মত একটি খাবার হল ফুলকপি বাটার মসালা। ফুলকপি অনেকেরই পছন্দের সবজি। আর এই সবজিটি অনেকেই অনেকভাবে রান্না করে থাকেন। ফুলকপি দিয়ে এইবার রান্না করে ফেলুন ফুলকপি বাটার মাসালা।
উপকরণ:
  • ৩৫০ গ্রাম পেঁয়াজ
  • ১/৪ কাপ কাজুবাদাম
  • ১৫০ গ্রাম কাশ্মেরী মরিচ গুঁড়ো
  • লবণ
  • ১/২ কাপ মাখন
  • ১৫০০ গ্রাম টমেটো
  • ২ চা চামচ চিনি
  • ৮টি দারুচিনি
  • ৮টি লবঙ্গ
  • ৮টি এলাচ
  • ১টি তেজপাতা
  • ১ টেবিল চামচ আদা রসুনের পেস্ট
  • ১/৮ কাপ কাসরি মেথি
  • তেল
  • ১ চা চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
  • ১ চা চামচ ময়দা
  • ২টি ফুলকপি
  • ১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো

প্রণালী:
১। প্রথমে প্রেসার কুকারে মাখন দিয়ে দিন।
২। একটি সুতির পরিস্কার কাপড়ে দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা, লবঙ্গ ভাল করে বেঁধে নিন। এখন এই কাপড়ের পুটলিটি প্রেসার কুকারে দিয়ে দিন।
৩। এবার এতে পেঁয়াজ কুচি, কাজুবাদাম, দিয়ে ৫ মিনিট নাড়ুন।
৪। এবার এতে লবণ, আদা রসুনের পেস্ট দিয়ে ১ মিনিট নাড়ুন।
৫। আদা রসুন নরম হয়ে গেলে এতে কাশ্মেরী লাল মরিচ, কাঁচা মরিচ, টমেটো কুচি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১৫-২০ মিনিট রান্না করুন। প্রেসার কুকারে ৫-৬টি শিষ দিলে চুলা কমিয়ে দিবেন।
৬। এবার মিশ্রণটি ছেঁকে পানি ফেলে দিয়ে পেস্ট করে নিন।
৭। টমেটোর পেস্টটি ২০ মিনিট রান্না করুন। তারপর এতে লবণ, চিনি, কাসুরী মেথি দিয়ে দিন।
৮। বলক আসলে নামিয়ে ফেলুন। এই গ্রেভিটি আপনি ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন। পরবর্তীতে যেকোন রান্নায় এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
৯। এখন ফুলকপি কিছুটা বড় আকৃতি করে কেটে লবণ পানিতে সিদ্ধ করে নিন।
১০। কর্ণ ফ্লাওয়ার, ময়দা, গোল মরিচ, ধনিয়া গুঁড়ো, লবণ, পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
১১। ফুলকপির টুকরোগুলো এই পেস্টে ডুবিয়ে ভেজে নিন।
১২। বাদামী রং হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।
১৩। এখন প্যানে টমেটো, পেঁয়াজের পেস্ট, মাখন, ক্রিম দিয়ে ১-২ মিনিট রান্না করুন।
১৪। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার ফুলকপি বাটার মশলা।

ওটস ও মুগ ডাল দিয়ে মজাদার টিক্কি

ranna banna o beauty tips
ওটস ও মুগ ডাল দিয়ে মজাদার টিক্কি
স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ওট খেয়ে থাকেন অনেকেই। বিশেষ করে ব্রেকফাস্টে দুধ এবং ফলের সাথে ওট খাওয়াটা এখন আর অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু দুধ এবং ফল ছাড়া অন্য কিছু দিয়েও যে ওট খাওয়া যায়, এটা অনেকেই ভাবতে পারেন না। কিন্তু ওট আসলে অনেক রান্নাতেই ব্যবহার করা হয়, এমনকি ওট দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে দারুন স্বাস্থ্যকর এই টিক্কি। টিক্কি বা টিকিয়া বলতে অনেকে শুধু মাংসের টিকিয়া ভাবেন, কিন্তু এই টিক্কি তৈরিতে ব্যবহার হবে শুধু মুগ ডাল এবং ওট। আসুন, জেনে নেই ঝটপট এই রেসিপিটি।
উপকরণ

-   আধা কাপ মুগ ডাল
-   আধা কাপ কুইক কুকিং রোলড ওটস
-   ২ টেবিল চামচ দই
-   ৩ টেবিল চামচ পিঁয়াজ মিহি কুচি
-   আধা চা চামচ কাঁচামরিচ কুচি
-   ২ চা চামচ চাট মশলা
-   ২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
-   সিকি চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
-   সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
-   ১ চা চামচ আদা রসুন বাটা
-   ২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
-   লবন স্বাদমতো
-   ২ চা চামচ তেল
প্রণালী

১) ভালো করে ধুয়ে এক কাপ পানিতে সেদ্ধ করে নিন মুগ ডাল। সবটা পানি শুকিয়ে যাবে এবং ডাল নরম হয়ে যাবে। পানি থাকলে সেটা ঝরিয়ে ডালটুকু ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিন। তবে বেশি মিহি পেস্ট করার দরকার নেই।
২) একটা বোলে এই ডালের পেস্ট নিন। এর সাথে বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। মেশানো হয়ে গেলে এই মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট টিক্কি তৈরি করে নিন। মোটামুটি ১২টার মতো হবে।
৩) একটা নন-স্টিক কড়াই গরম করে নিন। এতে আধা চা চামচ তেল দিন। তেল গরম হলে এতে ভেজে নিন টিক্কিগুলো। দুপাশে সোনালি করে ভেজে নিন। তেল শুকিয়ে গেলে অল্প করে তেল দিতে পারেন।
ব্যাস, তৈরি হয়ে গেলো সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর মুগ ডাল এবং ওট টিক্কি। গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন যে কোনো চাটনি বা সসের সাথে। শীতের বিকেলে চায়ের সাথে দারুন মানিয়ে যাবে।

দারুণ সুস্বাদু চিকেন রেশমি কাবাব

ranna banna o beauty tips
দারুণ সুস্বাদু চিকেন রেশমি কাবাব
শীতকাল মানেই কাবাব খাবার ধুম। তবে হ্যাঁ, কাবাবে কিন্তু অনেকটাই ঝাল মশলা থাকে। যারা মশলা কম দিয়ে কাবাব খেতে চান, তাঁদের জন্য দারুণ একটি অপশন হচ্ছে চিকেন রেশমি কাবাব। চলুন, জেনে নিই জুরানা মাসুদের রেসিপি।  
উপকরণ:  
  • একটি মুরগির বুকের মাংস ৫০০ গ্রাম, পানি ছাড়া টক দই ৪ টে চামচ
  • কাজু বাদাম বাটা ১ টে চামচ
  • ফ্রেশ ক্রিম ১ টে চামচ 
  • আদা বাটা ১/২ চা চামচ 
  • রসুন বাটা ১/২ চামচ, তেল ৪ টে চামচ  লবন 
  • চিনি ২ চা চামচ 
গুঁড়ো মসলা তৈরি করতে লাগবে:  
  • ভাজা জিরা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
  • ভাজা ধনে গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
  • ভাজা কাবাব চিনি
  • জায়ফল ও জয়ত্রি গুঁড়ো একসাথে ১/২ চা চামচ
  • সাদা গোলমরিচ গুঁড়ো এক চা চামচ
  • কাবাব মসলা পাউডার ১/২ চা চামচ (ইচ্ছা) 
অন্যান্য উপকরন: 
  • বাশের স্টিক ৪-৫ টি
  • কয়লা ১-২ টুকরা
  • ঘি ১ চা চামচ
প্রনালি:  
মাংস পাতলা কিউব করে কেটে সব পানি মুছে সব উপকরন দিয়ে ম্যারিনেট করুন ২৪ ঘন্টা রেফ্রিজারেটরে। -বাশের স্টিক গুলো হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ২০ মি। -কাবাবে স্মোকি ফ্লেবার আনার জন্য গ্যাসের উপর এক টুকরা কয়লা জ্বালিয়ে বাটিতে রাখুন,তার উপর ১ চা চামচ ঘি দিয়ে ম্যারিনেট করা মাংসের বাটির মধ্যে রেখে কিছুক্ষন ঢেকে রাখুন। -ঘি স্মোকি ফ্লেবার মাংসে ছড়িয়ে দিবে। এবার মাংস টুকরা কাঠিতে গেঁথে নিন।উপরে তেল ব্রাশ করে নিন। -বেকিং ট্রেতে ফাকা করে রাখুন। ২০০ ডিগ্রি সে এ প্রিহিটেড ওভেনে ২০ মি বেক করুন। -১০ মি পর একবার উল্টে দিবেন। -ওভেনে broiler option থাকলে আরো ৫-৬ মি broiled করে নিন। না থাকলে আগুনে ঝলশে নিন। -ওভেন থেকে বের করে গরম গরম পরিবেশন করুন।   টিপস:  মাংস ম্যারিনেট করার আগে অবশ্যই পানি মুছে নিতে হবে না হয় ম্যারিনেশন কাজ করে না। মাংসের পানি মুছে না নিলে মাংস পানি ছেড়ে দেয় ও ভিতর ড্রাই হয়ে যায়। 

রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৬

মজাদার নাস্তায় নুডুলস কাটলেট

ranna banna o beauty tips
মজাদার নাস্তায় নুডুলস কাটলেট
চপ কিংবা কাটলেট মানে আলু থাকবেই। তাইনা? কিন্তু, আলু ছাড়াও যে চপ কিংবা কাটলেট বানানো যায়, সেটা কখনো চিন্তা করেছেন কি? আজ বিকেলে নাস্তার জন্য বানিয়ে ফেলুন সেইরকমই একটি ডিশ- আলু ছাড়া কাটলেট। চলুন, জেনে নিই বীথি জগলুলের রেসিপি।   
 যা প্রয়োজন 
ইনস্ট্যান্ট নুডুলস- ১ প্যাকেট
 ক্যানড মটর- ১ ক্যান 
বেসন- ২ টে চামচ 
জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ 
গরম মসলা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ হ
লুদ গুঁড়া- সামান্য 
ধনেপাতা কুচি
বেশ খানিকটা ব্রেড ক্রাম্বস অথবা বিস্কিটের গুঁড়া দরকার মত 
লবণ- স্বাদমতো তেল- ভাজার জন্যে   
প্রনালি 
নুডুলস সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। ক্যানের মটর যদি সেদ্ধ না থাকে তাহলে সেদ্ধ করে নিন। -বড়ো একটি বাটিতে মটর চটকে নিন। এবার এর সাথে নুডুলস ও অন্যান্য উপকরণ মেশান।  -এইসময় নুডুলসের প্যাকেটে যে মসলা থাকে সেটাও দিয়ে দিতে পারেন। বাইন্ডিং-এর জন্যে সামান্য তরল দুধ দিতে পারেন।  -মাখানো হলে ৮-১০টি কাটলেট বানিয়ে ব্রেডক্রাম্বস-এ গড়িয়ে নিন। -মাঝারি আঁচে নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে মৃদু আঁচে কাটলেটগুলি শ্যালো ফ্রাই করে নিন। অলিভ অয়েল ব্যবহারে ফ্লেভার ভালো আসবে। দুইপাশ গোল্ডেন করে ভেজে নিন। -গরম গরম পরিবেশন করুন গ্রীন চাটনি অথবা টমাটো কেচাপ দিয়ে।

ভিনেগারের স্বাদে কষানো খাসির মাংস

ranna banna o beauty tips
খাসির মাংস
খাসির মাংস রাঁধতে গেলে গন্ধ থেকে যাওয়া বা সেদ্ধ না হওয়াটা অনেক রাঁধুনিরি সমস্যা। জেনে নিন নদী সিনার রেসিপি, এখন থেকে এই ঝামেলা থাকবে না মোটেও!  

উপকরণ :  খাসির মাংস ১ কেজি  টক দই ১/২ কাপ   পেঁয়াজ বাটা ও পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ।   আদা বাটা, রসুন বাটা ২ চা চামচ   জিরা বাটা পরিমাণমতো।  হলুদের গুঁড়া ও শুকনা মরিচ ১ চা চামচ করে।  এলাচি ৪ টি    দারুচিনি ২ টুকরা    সয়াবিন তেল ১/৪ কাপ   লবণ পরিমাণমতো। ভিনেগার ২ টেবিল চামচ।    

প্রণালি :  
-টকদই, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা,ভিনেগার  দিয়ে মাংস মাখিয়ে রেখে দিন আধা ঘণ্টা। 
 -পাত্রে তেল নিয়ে গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি, এলাচি দানা, দারুচিনি দানা ফাটিয়ে ছেড়ে দিন। -পেঁয়াজ বাদামি হয়ে এলে তাতে মাংস ছেড়ে দিন। ১৫-২০ মিনিট নাড়াচাড়া করুন।  
-তেল মাংসের ওপর উঠে এলে দুই কাপ পানি দিয়ে মিনিট দশেক জ্বাল দিন।  
-মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে নামানোর দুই মিনিট আগে কয়েকটি কাঁচা মরিচ মাঝখানে লম্বালম্বি কেটে ছেড়ে দিন।  
-নামিয়ে মাংসের ওপর কাঁচামরিচ  ও ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

তুরস্কের মজাদার সুজির বিস্কুট তৈরি করুন ঘরেই

ranna banna o beauty tips
তুরস্কের মজাদার সুজির বিস্কুট তৈরি করুন ঘরে
কুকি বা বিস্কুট ছাড়া চায়ের কথা চিন্তাই করা যায় না। চায়ের সাথে হোক বা হুটহুটা ক্ষুধা মেটানোর জন্য একটি বিস্কুটই যথেষ্ট। অনেকেই বিস্কুট বাসায় তৈরি করে থাকেন। বিস্কুট নানভাবে তৈরি করা যায়। তুরস্কের একটি জনপ্রিয় বিস্কুট হল সুজির তৈরি বিস্কুট। সাধারণ কিছু উপাদান দিয়ে তুরস্কের এই বিস্কুটটি আপনিও তৈরি করে ফেলতে পারেন ঘরে।
উপকরণ:

১০০ গ্রাম মাখন
১০০ মিলিগ্রাম তেল
২ কাপ ময়দা
২টি ডিম
৩ টেবিল চামচ চিনির গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ নারকেল কুচি
২ টেবিল চামচ সুজি
১ চা চামচ বেকিং পাউডার
১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
সিরাপ তৈরির জন্য:
২.৫ কাপ চিনি
২.৫ কাপ পানি
১/৪ লেবুর রস
১ টি ডিম ব্রাশ করার জন্য
বাদাম এবং পেস্তা সাজানোর জন্য
প্রণালী:


১। প্রথমে চিনির সিরা তৈরি করে নিন। এর জন্য চুলায় পানি এবং চিনি সিদ্ধ করতে দিন। বলক আসলে এতে লেবুর রস দিয়ে দিন। লেবুর রস চিনির ময়লা দূর করে দিবে।
২। তারপর মাখন এবং চিনি খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩। মাখন এবং চিনি ভাল করে মিশে গেলে এতে তেল দিয়ে আবার বিট করুন।
৪। মাখন, চিনি এবং তেল বিট করার সাথে সাথে ডিম, ভ্যানিলা এসেন্স, নারকেল কুচি দিয়ে আবার ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৫। তারপর এতে সুজি মিশিয়ে বিট করুন।
৬। এরপর বেকিং পাউডার এবং ময়দা আস্তে আস্তে মিশিয়ে বিট করে নিন।
৭। ডো তৈরি হয়ে গেলে পছন্দের মত বিস্কুটের আকৃতি করে নিন।
৮। এখন ডিমের কুসুমের সাথে এক টেবিল চামচ অলিভ  অয়েল মিশিয়ে নিন।
৯। এটি দিয়ে বিস্কুটের উপর ব্রাশ করে নিন।
১০। এখন আপনি চাইলে বিস্কুটের উপর কাঁটা চামচ দিয়ে দাগ টেনে নিন কিংবা একটি বাদাম বিস্কুটের উপর দিয়ে দিন।
১১। এবার ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৩৬০ ফারেনহাইটে ২০-২৫ মিনিট বেক করুন।
১২। বিস্কুটগুলো তৈরি হয়ে গেলে এর উপর চিনির সিরা দিয়ে দিন।
১৩। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার সূজির বিস্কুট।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.