সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬

রুক্ষ প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই ৫টি হেয়ারপ্যাক

ranna banna o beauty tips
রুক্ষ প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই ৫টি হেয়ারপ্যাক
ধুলোবালি, রোদ, হেয়ার ট্রিটমেন্ট বিভিন্ন কারণে চুল রুক্ষ, প্রাণহীন ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। রুক্ষ প্রাণহীন চুলে কোন হেয়ার স্টাইল  ভালো লাগে না। নিয়মিত চুলে ব্লো-ড্রাই, হেয়ার স্ট্রেটনার, রোলার ব্যবহার ও পার্ম করে আমরা নিজেরাই চুলের ক্ষতি করে যাচ্ছি। তবে এসব ছাড়াও সঠিক পরিচর্যার অভাবে চুলে রুক্ষভাব আসতে পারে। প্রাণহীন রুক্ষ চুলকে সিল্কি ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই প্যাকগুলো।

১। মধু, অলিভ অয়েল

এক টেবিল চামচ মধু, দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ ডিমের কুসুম একসাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ম্যাসাজ করে সম্পূর্ণ চুলে লাগান। ৩০ মিনিট চুলে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করবে।  

২। মধু এবং অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

১/৪ কাপ বিশুদ্ধ মধু এবং ১০ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার একসাথে মেশান। এটি চুলে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সম্ভব হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৩। টকদই এবং মধুর প্যাক

দুই টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক টেবিল চামচ মধু। সবগুলো উপাদান একসাথে মেশান। এবার এটি ম্যাসাজ করে সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৪। মধু এবং ভেজিটেবল অয়েল

মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। মধু আর ভেজিটেবল অয়েল চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি দিয়ে থাকে। দুই টেবিল চামচ মধু,  দুই টেবিল চামচ ভেজিটেবিল অয়েল মিশিয়ে নিন। এটি আপানার চুলে লাগিয়ে নিন। ১৫/২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

৫। মধু এবং কলার প্যাক

একটি পাকা কলা, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। চুল দুইভাগ করুন। তারপর এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। এটি চুলে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। কলা চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে শাইনি ঝলমলে করে তোলে।

মধু চুল আঠা আঠা করে তোলে। তাই শুধু মধু ব্যবহার না করে কোন না কোন উপাদানের সাথে মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। নিয়মিত এই প্যাকগুলো ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে সিল্কি এবং শাইনি।

সপ্তাহে ৭দিন ব্যবহার করুন ৭টি ভিন্ন ফেসপ্যাক

ranna banna o beauty tips
সপ্তাহে ৭দিন ব্যবহার করুন ৭টি ভিন্ন ফেসপ্যাক
ত্বক সচেতন নারীরা রূপচর্চায় নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন। শত ব্যস্ততার মাঝে দিনের কিছুটা সময় বের করেন ত্বকের যত্নের জন্য। একই ফেসপ্যাক বার বার ব্যবহার করার পরিবর্তে সপ্তাহে সাত দিন সাতরকম ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের অনেকগুলো সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে সাথে ত্বক হয়ে উঠবে নিখুঁত উজ্জ্বল। শনিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন এই প্যাকগুলো।    

১। শনিবার

সপ্তাহ শুরু করুন মধু এবং লেবুর ক্লিনজার দিয়ে। লেবু এবং মধু একসাথে মিশিয়ে নিন। এটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করেন। এই প্যাক ব্যবহারের পূর্বে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। ত্বকের কালো দাগ এবং সানবার্ন দূর করে দেবে এই প্যাকটি।

২। রবিবার

ত্বক পরিষ্কার করার পর ব্যবহার করুন স্ট্রবেরি প্যাক। স্ট্রবেরি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এটি চটকে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি ত্বক ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে স্ট্রবেরির সাথে দুধ বা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩। সোমবার

ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে টকদইয়ের জুড়ি নেই। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে ত্বক নরম কোমল করে তোলে এটি। সেনসিটিভ ত্বকের জন্য টকদই বেশ উপকারি। টকদই সরাসরি অথবা কোন প্যাকের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

৪। মঙ্গলবার

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বেসন বেশ কার্যকর। বেসন এবং দুধ একসাথ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি ত্বক থেকে কালো দাগ দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৫। বুধবার

ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য মুলতানি মাটির প্যাক অনেক কার্যকর। মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল একসাথে মেশান। এই প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করবে তার সাথে ব্রণের দাগ দূর করে দেবে।

৬। বৃহস্পতিবার

বৃহস্পতিবার ব্যবহার করুন হলুদের ফেসপ্যাক। ত্বকের প্রায় সবধরণের সমস্যা দূর করে দেয় হলুদের ফেসপ্যাক। হলুদ এবং দুধ একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন। হলুদের নির্যাস দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৭। শুক্রবার

সপ্তাহ শেষ করুন চালের পানি দিয়ে। চাল সিদ্ধ করার পর তার পানি ফেলে না দিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের কালো দাগ, মেছতার দাগ দূর করবে। এরসাথে বলিরেখা পড়া রোধ করবে।

খাসির মাংসের ভিন্ন ধর্মী কাবাব তৈরি করুন ঘরে

ranna banna o beauty tips
খাসির মাংসের ভিন্ন ধর্মী কাবাব তৈরি করুন ঘরে
“কাবাব” নামটা শুনলে জিভে পানি চলে আসে। শিক কাবাব বেশি খাওয়া হলেও খাসির কাবাবও অনেক জনপ্রিয় কাবাবপ্রেমীদের কাছে। গরুর মাংসে অনেকের অ্যালার্জি থাকা তারা  শিক কাবাব খেতে পারেন না। তারা খাসির মাংস দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন দারুন এই কাবাবটি।

উপকরণ:

১/২ কেজি খাসির মাংস

২ টেবিল চামচ কাঁচা পেঁপে

লবণ

১ টেবিল চামচ আদার কুচি

১ টেবিল চামচ রসুনের কুচি

২টি দারুচিনি

৮টি লবঙ্গ

৬টি গোলমরিচ

১/২ চা চামচ দারুচিনির গুড়ো

১/২ জয়ত্রী গুড়ো

তেজপাতা

১ টেবিল চামচ বেসন

১টি পেঁয়াজ বেরেস্তা

১/২ কাপ ধনেপাতা কুচি

৪-৫টি কাঁচা মরচি

১টি ডিম

প্রণালী:

১। তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, শুকনো কাঁচা মরিচ, জয়ফল জয়ত্রি গুড়ো, গোল মরিচের গুড়ো। লবঙ্গ, এলাচ, আদা কুচি, রসুন কুচি, কাঁচা পেঁপে সব একসাথে পেস্ট করে নিন।

২। মশলা গুড়ো হয়ে আসলে এতে ডিম এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে ফেলুন।

৩। খাসির কিমা মিহি করে বেটে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।

৪। এরপর খাসির কিমার সাথে লবণ, মশলার পেস্ট দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৫। এতে এক টেবিল চামচ বেসন মেশান।

৬। মিশ্রণটি দিয়ে চ্যাপ্টা করে কাবাবের আকৃতি করে নিন।

৭। কাবাবগুলো ফ্রিজে রেখে দিন ১০ মিনিটের জন্য।

৮। একটি প্যানে তেল মাঝারি আঁচে তেল গরম করতে দিন।

৯। তেল গরম হয়ে আসলে এতে কাবাবগুলো দিয়ে দিন। বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।

১০। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার মাটন গুটি কাবাব।

প্রেশার কুকারে তৈরি করুন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি

ranna banna o beauty tips
প্রেশার কুকারে তৈরি করুন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি
বিরিয়ানি নামটা শুনলে মাংস আর তেল, মশলা দেওয়া খাবারের কথা মনে পড়ে যায়। তেল মশলা কম দিয়েও বিরিয়ানি রান্না করা সম্ভব। নানারকম সবজি দিয়ে রান্না করে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর সবজি বিরিয়ানি। প্রেশার কুকারে শীতের সবজি দিয়ে তৈরি করে নিন মজাদার সবজি বিরিয়ানি।

উপকরণ:

১ কাপ পোলাও চাল

৪টি লবঙ্গ

২টি দারুচিনি

১টি তেজপাতা

৮-১০ টি গোলমরিচ

১ চা চামচ জিরা

১/২ চা চামচ মরিচের গুঁড়ো

১ টেবিল চামচ ধনিয়া গুঁড়ো

২ টেবিল চামচ বিরিয়ানি মশলা

১/২ কাপ টকদই

১ কাপ পেঁয়াজ কুচি

১ টেবিল চামচ আদা রসুন কুচি

১/৪ কাপ ফুলকুপি

১/৪ কাপ বিনস

১/৪ কাপ গাজর কুচি

১/৪ কাপ আলু

১/৪ কাপ পুদিনা পাতা কুচি

১/৪ কাপ ধনেপাতা কুচি

তেল

লবণ

পানি

প্রণালী:

১। পোলাও চাল ভালো করে ধুয়ে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর পানি ফেলে দিন।

২। প্রেসার কুকারে তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হয়ে আসলে এতে তেজপাতা, এলাচ, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জিরা দিয়ে দিন।

৩। কিছুক্ষণ নাড়ুন তারপর এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।

৪। পেঁয়াজ বাদামী রং হয়ে আসলে এতে আদার পেস্ট, রসুনের পেস্ট, পুদিনা পাতা এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

৫। এরপর এতে আলু, গাজর, ফুলকুপি, বিনস দিয়ে দিন।

৬। সবজি রান্না হলে এতে লবণ, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, বিরিয়ানি মশলা এবং টকদই দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।

৭। এবার এতে চাল দিয়ে মশলার সাথে ৫ মিনিট নাড়ুন।

৮। এতে পৌনে দুই কাপ পানি দিয়ে প্রেসার কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে দিন।

৯। প্রেশার কুকারে হুইসেল দিলে চুলা বন্ধ করে দিন।

১০। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার সবজি বিরিয়ানি।

টিপস:

আপনি আপনার পছন্দমত সবজি দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করতে পারেন।

সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৬

নবাবী সবজি পোলাও

ranna banna o beauty tips
নবাবী সবজি পোলাও
“নবাবী” শব্দটি শুনলেই মনে হয় মাখা মাখা মাংস আর বাসমতী চালের সুবাসে মৌ মৌ করতে থাকা ভোজ। কিন্তু তাহলে নিরামিষভোজীদের কী হবে? তাদের কপালে কি নবাবী খাবার নেই? আছে নিশ্চয়ই। আজ দেখে নিন নবাবী খাবারেরই একটি নিরামিষ সংস্করণ। স্বাদে-গন্ধে মাংসের বিরিয়ানির চাইতে কোনো অংশে কম নয় এই সবজি পোলাও। অনেকগুলো উপকরণ থাকায় প্রতি কামড়েই আছে চমক। তৈরির সময়টাও লাগবে কম।

উপকরণ
২ কাপ (২০০ গ্রাম) চাল
২ টেবিল চামচ ঘি
আধা টেবিল চামচ তেল
১টা ছোট ফুলকপি
১টা মাঝারি গাজর
৬/৭টি সীম
আধা কাপ মটরশুঁটি
৮-১০টি মুগ ডালের বড়ি/ সয়া বল
১টি বড় পিঁয়াজ
১ টেবিল চামচ আদা কুচি
১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
৩টি কাচামরিচ মিহি কুচি
কয়েকটি তেজপাতা
৪/৬টি লবঙ্গ
৩/৪টি এলাচ
১টি শাহী এলাচ
৬/৭টি গোলমরিচ
১ ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি
১ চা চামচ আস্ত জিরা
আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
অল্প কিছু কাজুবাদাম ও কিসমিস
গার্নিশের জন্য ধনেপাতা কুচি

প্রণালী
১) বড়ি বা সয়া বল ডিপ ফ্রাই করে রাখুন।
২) একটি প্যানে তেল গরম করে নিন। এতে অর্ধেক পিঁয়াজ এবং অর্ধেক আদা ভেজে বেরেস্তা করে নিন। এরপর এতে দিন ফুলকপি, গাজর, সীম, মটরশুঁটি, এক চিমটি হলুদ এবং লবন। নেড়েচেড়ে ভেজে নিন ৫-৬ মিনিট। এরপর নামিয়ে রাখুন।
৩) প্রেশার কুকারে ঘি গরম করে নিন। এতে দিন তেজপাতা, জিরা, লবঙ্গ, গোলমরিচ, এলাচ এবং কয়েকটি কাজুবাদাম। ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না হাল্কা গোলাপি হয়ে আসে কাজুবাদাম। এরপর কিছু কিসমিস দিতে পারেন। বাকি পিঁয়াজ, আদা, রসুন, কাচামরিচ দিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়। এরপর বড়ি দিয়ে কয়েক মিনিট ভেজে নিন। বাকি হলুদ, মরিচ গুঁড়ো এবং ধনে গুঁড়ো দিন। ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
৪) এতে চাল দিয়ে দিন। অল্প লবণ ছিটিয়ে দিন। ৪ কাপ পানি দিয়ে প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে দিন। মাঝারি আচে রান্না হতে দিন। একটা সিটি দিলেই সেদ্ধ হয়ে যাবে।
৫) আচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার কমে গেলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলুন। এর ভেতরে সবজিগুলো দিয়ে দিন। ভালো করে নেড়ে সেদ্ধ পোলাওয়ের সাথে মিশিয়ে নিন। এরপর ঢাকনা বন্ধ করে রেখে দিন ১০ মিনিট। এতে সবজিগুলো সেদ্ধ হবে কিন্তু একটু কচকচেও থাকবে।

ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন নবাবী সবজি পোলাও। এর সাথে দিতে পারেন রায়তা। ব্যাস, আমিষের কোনো দরকারই হবে না!

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬

ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলুন ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাকের মাধ্যমে

ranna banna o beauty tips
ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলুন ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাকের মাধ্যমে
শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রোটিনের ভূমিকা সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানে। সুন্দর স্বাস্থ্যকর চুলের জন্যেও প্রোটিনের প্রয়োজন রয়েছে। আগা ফাটা, চুল পড়া, ক্ষতিগ্রস্ত চুলের সমস্যা সারিয়ে তুলতে প্রোটিন হেয়ার প্যাকের জুড়ি নেই। চুলের সমস্যা সামধানে অনেকেই পার্লারে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। কিন্তু সব সময় পার্লারে গিয়ে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করা সম্ভব হয় না। ঘরোয়া কিছু উপায়ে ঘরে করে ফেলতে পারেন পার্লারের মত প্রোটিন ট্রিটমেন্ট।

১। নারকেলের দুধ

নারকেলের দুধ প্রোটিনের অন্যতম উৎস। নারকেলের দুধ চুল শাইনি এবং স্ট্রং করে তোলে। কিছু পরিমাণ নারকেলের দুধ চুলের গোড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট এটি চুলে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তাৎক্ষনিক চুলের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

২। মেথি, দুধ এবং নারকেল তেলের প্যাক

৪ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়ো, ১/২ কাপ দুধ, ২ টেবিল চামচ টকদই, ৩ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ নারকেল তেল। গরম দুধে মেথি ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এবার এটি টকদই এবং নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে চুলটি ধুয়ে প্যাকটি লাগিয়ে ফেলুন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি চুল ধুয়ে ফেলুন।

৩। ডিমের হেয়ার প্যাক

১টি ডিম এবং ৫ চা চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। আপনার যদি তৈলাক্ত চুল হয়, তবে ডিমের সাদা অংশ, রুক্ষ চুল হলে ডিমের কুসুম আর নরমাল চুলের জন্য আপনি সম্পূর্ণ ডিম ব্যবহার করতে পারেন। ডিম আপনার চুলে পুষ্টি যোগায়। টকদই চুলকে সিল্কি, ঝলমলে করে তোলে।

৪। মেয়নিজ এবং অ্যাভোকাডো

মেয়নিজ ডিম এবং তেল দিয়ে তৈরি হওয়া এটি চুলের জন্য বেশ উপকারি। অ্যাভোকাডো চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা রোধ করে। দুই টেবিল চামচ মেয়নিজ এবং অর্ধেকটা অ্যাভোকাডো চটকে মিশিয়ে নিন। এটি সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার করুন। তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। ২০-৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৫। ডিম এবং মধুর প্যাক

ডিম এবং মধু ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলতে বেশ কার্যকর। এক চামচ মধু এবং দুটি ডিম একসাথে বিট করে মেশান। এটি মাথার তালুসহ সম্পূর্ণ চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে এর সাথে লেবুর রস মেশাতে পারেন। লেবুর রস খুশকি দূর করতে বেশ কার্যকর।

চিকেন কিমা টিকিয়া

ranna banna o beauty tips
চিকেন কিমা টিকিয়া
স্ন্যাক্স বলতেই আজকাল আমরা বুঝি খুব অস্বাস্থ্যকর, তেল চুপচুপে, কড়া করে ভাজা কিছু খাবার। এসব খাবার মুহূর্তের ক্ষুধা মেটালেও বেশিক্ষণ পেটে থাকে না, আর স্বাস্থ্যেরও খুব একটা উপকার করে না। স্বাস্থ্যকর এবং বেশ কিছুটা সময় পেট ভরিয়ে রাখবে এমন স্ন্যাক্স খুঁজতে থাকলে আজ দেখে নিন চিকেন কিমা টিকিয়ার এই রেসিপিটি। চিকেনের পাশাপাশি বেশ কিছু সবজির মিশ্রণে চমৎকার এই খাবারটি পছন্দ করবেন যে কেউ। 

উপকরণ: 

-২৫০ গ্রাম মুরগির মাংসের কিমা

-২ টেবিল চামচ আদা-কাঁচামরিচ বাটা

-৫/৬টা ফ্রেঞ্চ বিন, মিহি কুচি

-১টি ছোট গাজর, মিহি কুচি 

-২/৩ টেবিল চামচ মটরশুঁটি, সেদ্ধ করে পেস্ট করে নেওয়া

-২/৩ টেবিল চামচ ওটস

-১টি ছোট আলু, সেদ্ধ করা

-লবণ স্বাদমতো

-১টি ডিমের সাদা অংশ

-১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

-আধা কাপ ব্রেড ক্রাম্ব

-২ চা চামচ তেল

-ওপরে দেবার জন্য চাট মশলা

-অর্ধেকটা লেটুস, লম্বা করে ছিঁড়ে নেওয়া

-বড় পিঁয়াজের কিছু রিং

-১টি লেবু, লম্বা করে টুকরো কড়া

-৩/৪টি চেরি টমেটো

-পরিবেশনের জন্য পুদিনার চাটনি

প্রণালী: 

১) কিমা একটি পাত্রে নিন। এতে মিশিয়ে নিন আদা-কাঁচামরিচ বাটা, ফ্রেঞ্চ বিনস, গাজর, মটরশুঁটি এবং ওটস। ভালো করে মাখিয়ে নিন। 

২) আলু গ্রেট করে নি এই মিশ্রণে। এরপর লবণ, ডিমের সাদা অংশ এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে মাখিয়ে  নিন। 

৩) একটি প্লেটে ব্রেডক্রাম্ব ছড়িয়ে নিন। 

৪) কিমার মিশ্রণ দিয়ে সমান মাপের কয়েকটি টিকিয়ে তৈরি করে নিন। ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন।

৫) নন-স্টিক কড়াইতে তেল গরম করে নিন। এতে টিকিয়ে দিয়ে দুই পাশে উল্টেপাল্টে ভেজে নিন টিকিয়াগুলো। চিকেন কিমা পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে আসা পর্যন্ত ভাজুন। ভাজা হয়ে এলে ওপরে অল্প করে চাট মশলা ছড়িয়ে নিন। 

পরিবেশনের প্লেটে লেটুস পাতা, পিঁয়াজের রিং, লেবুর টুকরো এবং টমেটো সাজিয়ে নিন। লেটুসের ওপর টিকিয়া দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম। এটা স্ন্যাক্স হিসেবেও খেতে পারেন, পোলাও অথবা খিচুড়ির সাথেও সাইড ডিশ হিসেবে দিতে পারেন। 

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.