সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬

ঢেঁড়সের একটি ভিন্ন স্বাদের রান্না

ranna banna o beauty tips
ঢেঁড়সের একটি ভিন্ন স্বাদের রান্না
স্বাস্থ্যকর মজাদার সবজি ঢেঁড়স। এই সবজিটি অনেকে বাচ্চারা খেতে চায় না। বাচ্চাদের এই সবজিটি খাওয়ানো যায় খুব সহজে। ভাবছেন কীভাবে? ঢেঁড়স ফ্রাই করে! অবাক হচ্ছেন? মুড়মুড়ে ক্রিসপি এই খাবারটি ছোট বড় সবাই অনেক পছন্দ করে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক মজাদার ক্রিসপি ঢেঁড়স ফ্রাইয়ের রেসিপিটি। 

উপকরণ: 
৩৫০ গ্রাম ঢেঁড়স 
২ টেবিল চামচ বেসন 
১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো 
১/৩ চা চামচ মৌরি 
১/৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো 
১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো 
১/২ চা চামচ আমচূর গুঁড়ো 
১/৩ চা চামচ জিরা গুঁড়ো 
লবণ স্বাদমত 

তেল প্রণালী: 
১। প্রথমে ঢেঁড়সগুলো পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। 
২। তারপর ঢেঁড়সের মাঝের অংশ বীচিসহ কেটে ফেলে দিন। ঢেঁড়স চিকন চিকন করে (ভিডিও অনুযায়ী) কাটুন। 
৩। একটি পাত্রে ঢেঁড়স, বেসন, চালের গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, আমচূর গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, মৌরি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। 
৪। ভাজার আগে লবণ দিয়ে আবার ভাল করে মিশিয়ে ফেলুন। 
৫। তারপর চুলায় তেল গরম হয়ে গেলে এতে ঢেঁড়সগুলো অল্প করে দিয়ে দিন। 
৬। ২ মিনিট ভাঁজুন। হালকা বাদামি রং হয়ে আসলে মাঝারি আঁচে আরও কিছুক্ষণ ভাঁজুন। 
৭। গাঢ় বাদামী রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। 
৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেলে মজাদার ঢেঁড়স ফ্রাই। ভাতের সাথে পরিবেশন করতে পারেন ঢেঁড়স ফ্রাই।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

চুলের রুক্ষতা দূর করতে ৫টি সহজ ও কার্যকরী হেয়ার প্যাক

হেয়ার প্যাক
চুলের যত্নে অথবা ত্বক পরিচর্যায় ঘরে তৈরি প্যাক ব্যবহার করা নিরাপদ এবং কার্যকরী। বিশেষত চুলে নানা স্টাইল করার জন্য রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করে অনেক ক্ষতি করে ফেলি আমরা নিজের অজান্তেই। চুল আয়রন, রং করা, ব্লো ড্রাই ইত্যাদি কত কিছু না করা হয়। এতসব হেয়ার স্টাইলের কারণে চুল পড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে, চুল হয়ে যাচ্ছে রুক্ষ, মলিন। এই রুক্ষতা দূর করুন রান্নাঘরে থাকা কিছু সাধারণ উপাদান দিয়ে। এই প্যাকগুলো নামী দামী হেয়ার ট্রিটমেন্ট থেকে অনেক নিরাপদ এবং কার্যকরী।

১। ডিম এবং অলিভ অয়েল

২-৩ টি ডিম খুব ভাল করে ফেটে নিন। এবার এর সাথে ৫-৬ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভাল করে মেশান। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। এটি চুলের গোঁড়ায় পৌঁছে চুলের রুক্ষতা ভিতর থেকে দূর করে দিয়ে থাকে।

২। ক্যামোমিল চা এবং আপেল সাইডার ভিনেগার

৩টি ক্যামোমিল টি ব্যাগ গরম পানিতে দিয়ে ২০-৩০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরসাথে ১/৪ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার এটি চুলে লাগিয়ে নিন। এটি চুলে ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি চুলকে নরম কোমল করার পাশাপাশি চুলকে হাইলাইট করে তুলবে।

৩। কলা, লেবু এবং মধু

পাকা কলা, লেবু এবং মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি খুব ভাল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে থাকে।

৪। কলা এবং বাদাম তেল

একটি পাকা কলা ম্যাশ করে নিন এবং এর সাথে ৩ ফোঁটা বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। বাদাম তেল এবং পাকা কলার প্যাক চুলে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ২৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে সাইনি এবং ঝলমলে করে তোলে।

৫। স্ট্রবেরি এবং মেয়নিজ হেয়ার প্যাক

একটি পাত্রে ৭-৯ টি স্ট্রবেরি ম্যাশ করে এতে ১ টেবিল চামচ মেয়নিজ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এইবার এই প্যাকটি চুলে লাগিয়ে নিন। ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। লক্ষ্য রাখবেন স্ট্রবেরিগুলো যেন পাকা হয়।

ব্রণ দূর করতে যে ৪টি উপাদান কার্যকর, যে ৪টি অকার্যকর

ব্রণ দূর করতে যে ৪টি উপাদান কার্যকর, যে ৪টি অকার্যকর 
ত্বকের সমস্যাগুলোর মাঝে অন্যতম হলো ব্রণ। খুব সহজেই এরা ত্বকে দাগ ফেলে দিতে পারে। কিন্তু সাধারণ একটা ব্রণের জন্য তো আর ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় না। এ কারণে আমরা বাড়িতেই এটাসেটা ব্যবহার করে ব্রণের উপদ্রব থেকে মুক্তি পাবার চেষ্টা করি। কিন্তু এসব উপায় কী সবসময় কাজ করে? ডার্মাটোলজিস্টদেড় মতে কিছু কিছু উপায় আসলেই কাজ করে, কিছু আবার উল্টো ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। চলুন জেনে নেই এগুলোর ব্যপারে।

কার্যকরী উপাদান- টি ট্রি অয়েল

গবেষণাতেই দেখা গেছে হালকা থেকে মাঝারি ধরণের ব্রণ দূর করতে এটি বেশ কার্যকরী। জ্বালাপড়া করতে থাকা, লালচে ব্রণের উপশম করতে পারে টি ট্রি অয়েল। এই অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে ব্রণ দূর করতে পারে। এটা ব্যবহার করার জন্য ৫ পার্সেন্ট টি-ট্রি অয়েল সলিউশন নিয়ে সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এই পানিতে একটা কটন বল ভিজিয়ে দিনে এক-দুইবার প্রয়োগ করুন ব্রণের ওপর।

কার্যকরী উপাদান- অ্যাসপিরিন

অ্যাসপিরিন মূলত ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডসের ক্ষেত্রে কাজ করে ভালোভাবে। এটা এক ধরণের স্যালিসাইলিক এসিড, যা কিনা অনেক ব্রণ দূর করার ক্রিমে থাকে। এটা পোর খুলে দিতে সাহায্য করে এবং ব্ল্যাকহেড বা হোয়াইটহেড দূর করে দেয়। এটা কীভাবে ব্যবহার করবেন? দুটো অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে নিন, ২ টেবিল চামচ পানির সাথে মেশান এবং এই পেস্ট ব্রণে দিয়ে রাখুন এক-দুই মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন।

কার্যকরী উপাদান- অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

ত্বকের ওপর অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের প্রভাব নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি কিন্তু এটার অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণ দূর করতে উপকারী হতে পারে। এটা অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট, এ কারণে তেল কমাতেও কার্যকরী। টি ট্রি অয়েলের মতোই সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে এটা ব্যবহার করতে হবে। এই মিশ্রণ তুলোয় ভিজিয়ে এক-দুই মিনিট ব্রণের ওপর রাখতে হবে।

কার্যকরী উপাদান- গ্রিন টি

গ্রিন টিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে এটা ব্রণের যন্ত্রণা কমায় আর ব্যাকটেরিয়াও দূর করে। কিছুটা গ্রিন টি তৈরি করে এটা ঠাণ্ডা করে একটা কাপড় ভিজিয়ে মুখে দিতে পারেন। অথবা টি ব্যাগটাকে ঠাণ্ডা করে সরাসরি ব্রণের ওপর রাখতে পারেন ২০ মিনিট পর্যন্ত।

এ তো গেলো কার্যকরী উপাদানের কথা। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন কিছু উপাদানও ব্যবহার করে থাকি যা আদতে ত্বকে প্রয়োগ করা মোটেই উচিৎ নয়। বরং এগুলোর ব্যবহারে ব্রণের উপদ্রব আরও বেড়ে যেতে পারে। দূরে থাকুন এসব উপাদান থেকে-

সবচাইতে খারাপ- রাবিং স্পিরিট

কারণ এটি ত্বক থেকে উপকারী তেল এবং প্রোটিন শুষে নেয়। ফলে ত্বকের অবস্থা আগের চাইতেও খারাপ হয়ে যায়।

বেশ খারাপ- টুথপেস্ট

ব্রণ দেখা দিলেই সাথে সাথে টুথপেস্ট লাগাতে হবে সেখানে, এমনটা যারা ভাবেন তারা ভুল। কারণ আমাদের দাঁতের মতো শক্তি জিনিসে প্রয়োগের জন্য টুথপেস্ট তৈরি করা হয়, ত্বকের মতো কোমল জায়গায় নয়। এটা ত্বক শুকিয়ে এবং জ্বালাপোড়া তৈরি করে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।

মোটামুটি খারাপ- লেবুর রস

লেবুর রস খারাপ, কারণ এটাও তেল শুষে নেয় ত্বক থেকে। আর এতে থাকা ফ্রুট এসিড ত্বকে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে এটা দেবার পর যদি আপনি রৌদ্রে যান তাহলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, হতে পারে র‍্যাশ।

তেমন ক্ষতিকর না হলেও অকার্যকর- মধু

মধু ত্বকের জন্য কোমল, এটা তেমন কোন ক্ষতি না করলেও আসলে ব্রণ দূর করতে তেমন কার্যকরী নয়। আর মধু ভারি হওয়ার কারণে এটা ত্বকের পোর বন্ধ করে উল্টো নতুন নতুন ব্রণ তৈরি করতে পারে।

শুধু এগুলোই নয়। ডাক্তারের দেওয়া ব্রণের ওষুধ ব্যবহার করেও দেখা যায় অনেকে ফল পান না, ব্রণ থেকেই যায়। যেসব ভুলের কারণে আপনার ব্রণ দূর হচ্ছে না তা হলো-
- মুখ পরিষ্কার না করেই ওষুধ দেওয়া
- আপনি বেশি স্ট্রেসে আছেন
- আপনার পোর বন্ধ হয়ে আছে
- আপনি বেশি ঘন ঘন মুখ ধুয়ে থাকেন
- আপনি অতিরিক্ত এক্সফলিয়েট করেন
- আপনি খুব বেশি বা খুব কম পরিমাণে ওষুধ ব্যবহার করেন

প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর না হলে আপনি ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন অবশ্যই। নিজে নিজে ত্বকে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করা থেকে বিরত থাকুন, ইনফেকশন হয়ে গেলে দাগ বসে যেতে পারে।

নিজেই তৈরি করে ফেলুন ত্বকের উপযোগী সানস্ক্রিন লোশন

ranna banna o beauty tips
সানস্ক্রিন লোশন
এই গরমে কোন প্রসাধনীটা মেয়েরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, সানস্ক্রিন লোশন। সানস্ক্রিন লোশন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার কথা চিন্তাই করা যায় না। বিশেষত যাদের দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হয়, তাদের জন্য সানস্ক্রিন একটি অপরিহার্য প্রসাধনীর নাম। বাজারে নানা ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন কিনতে পাওয়া যায়। অনেকেই বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে চান না। বিশেষত যারা
সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী তাঁদেরকে বাজারের সানস্ক্রিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হয়। আপনি চাইলে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন সানস্ক্রিন লোশন। কেমিক্যালমুক্ত সম্পূর্ণ পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়া এই লোশন আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে রক্ষা করে থাকবে।
যা যা লাগবে:
নারকেল তেল- এসপিএফ উপাদন সমৃদ্ধ
শিয়া বাটার- ত্বককে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করে থাকে।
জোজবা অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল অথবা তিলের তেল- এই তেলগুলো খুব সহজে ত্বকে মিশে যায় এবং ত্বককে রক্ষা করে থাকে।
ইউক্যালিপ্টাস তেল এবং ল্যাভেন্ডার তেল- ইউক্যালিপ্টাস তেলে খুব অল্প পরিমাণে এসপিএফ থাকে এবং ল্যাভেন্ডার তেল ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে লেবু বা লেমন এ্যাসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ভিটামিন ই অয়েল- ত্বককে ময়োশ্চারাইজ এবং পুষ্টি দিয়ে থাকে।
জিংক অক্সাইড (নন ন্যানো)- এটি সূর্যের ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্নি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। তবে খেয়াল রাখবেন জিংক অক্সাইড যেন নন-ন্যানো অর্থ্যাৎ টক্সিন মুক্ত হয়।
যেভাবে তৈরি করবেন
১। নারকেল তেল, শিয়া বাটার এবং জোজোবা/তিল/ সান ফ্লাওয়ার তেল একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন। একটি বড় পাত্রে পানি দিয়ে চুলায় দিন।
২। এবার এই পাত্রটির ভিতরে নারকেল তেলের পাত্রটি দিয়ে দিন।
৩। যতক্ষণ পর্যন্ত না শিয়া বাটার গলে যায়, ততক্ষণ এটি চুলায় রাখুন।
৪। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এবার এতে জিঙ্ক অক্সাইড, ভিটামিন ই এবং অন্যান্য এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন।
৫। জারে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন। এটি ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যবহারের পর অব্যশই সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রাখুন।
যে পরিমাণে জিঙ্ক অক্সাইড ব্যবহার করবেন
এসপিএফ ২-৫:৫% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ৫-১১: ১০% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ১২-১৯: ১৫% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ২০ এর উপর: ২০% জিঙ্ক অক্সাইড

টিপস:
·       দিনের মধ্যভাগ সময়ে সূর্যের আলোতে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
·       রোদে ছাতা ব্যবহার করুন।
·       এছাড়া বড় কোন হ্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
·       হালকা রং এর ঢোলাঢালা পোশাক ব্যবহার করুন।

যেভাবে কিচেন সাজালে কমবে আপনার ওজন!

ranna banna o beauty tips
যেভাবে কিচেন সাজালে কমবে আপনার ওজন!
অনেকের জন্যই ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি একটি অনন্ত প্রক্রিয়া। দেখা যায় কোনো একটি ব্যায়াম বা ডায়েট অনুসরণ করে কিছুদিনের জন্য ওজন কমলেও দ্রুতই তারা আবার ওজনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সবসময় খাওয়া দাওয়ার ওপর নজর রাখার মতো মানসিক শক্তি সবার থাকেও না। এমন একটি কৌশল আছে যাতে নিজের সচেতন ইচ্ছে ছাড়াই আপনার খাওয়া থাকবে নিয়ন্ত্রণে। আর তার জন্য আপনার কিচেনে আনতে হবে ছোট্ট কিছু পরিবর্তন। চলুন, দেখে নেই ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এসব পরিবর্তনের কথা।

১) স্ন্যাকজাতীয় খাবার রাখুন চোখের আড়ালে

আমরা সহজেই মিষ্টি কেক, বিস্কুট, চানাচুর এসবের দিকে হাত বাড়াই কারণ এগুলো থাকে টেবিল বা শেলফে, হাতের নাগালেই। এগুলো চোখের সামনে থাকার কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের BMI বেড়ে যেতে পারে। অপরদিকে, স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোকে চোখের সামনে রাখার ফলে সুস্থ ও ছিপছিপে শরীর ধরে রাখা সম্ভব হয়। যারা রান্নাঘরে ফল সাজিয়ে রাখেন তাদের BMI অন্যদের তুলনায় কম হতে দেখা যায়।

২) সুন্দর ডেজার্টের বাটি ব্যবহার বন্ধ করুন

অন্যরকম, সুন্দর ডিজাইনের মিষ্টি বা আইসক্রিম খাওয়ার বাটি বা চামচ আপনার এসব খাবার খাওয়ার ইচ্ছে অবধারিতভাবেই বাড়িয়ে দেবে। ডেজার্টের জন্য আলাদা বাটি না রেখে সাধারণ বাটি ও চামচ ব্যবহার করুন।

৩) ছোট প্লেট ব্যবহার করুন

স্বাভাবিক আকারের প্লেট ব্যবহারের বদলে খাওয়ার সময়ে ব্যবহার করুন হাফ প্লেট বা সালাদ প্লেট। তবে সাধারণ প্লেটের চাইতে খুব বেশি ছোট প্লেট ব্যবহার করবেন না। তাতে দেখা যাবে আপনি বারবার খাবার বেড়ে নিচ্ছেন এবং শেষতক খাওয়া কমার বদলে বেড়ে যাবে। ভাতের প্লেটের বদলে একটু ছোট একটা হাফ প্লেটে খাবার খান। এতে আপনার মনে হবে প্লেটটা বেশি ভোরে আছে এবং আপনার তৃপ্তির পরিমাণটাও বেশি হবে।

৪) টেবিলে বেশি খাবার রাখবেন না

খাবার আলাদা করে বোল-বাটিতে বেড়ে খাওয়ার টেবিলে রাখবেন না। এতে এক প্রস্থ খাওয়া হলে আপনি সহজেই খাবার তুলে নিয়ে আবার খেতে থাকবেন। বরং রান্নাঘর থেকে খাবার প্লেটে তুলে নিয়ে ডাইনিং রুমে চলে আসুন। এতে খাবার নিয়ে আসতে আপনার আবার উঠতে হবে। এই চিন্তা থেকেও আপনার খাওয়া কম হবে। আরেকটা কাজ করতে পারেন। অসাস্থ্যকর, ভারি খাবারগুলো রান্নাঘরে রাখত পারেন, কিন্তু স্বাস্থ্যকর সালাদটা রাখতে পারেন টেবিলে।

৫) বড় আকারের স্ন্যাক্সের প্যাকেট কিনবেন না

ফ্যামিলি সাইজের চিপস, বিস্কুট, চানাচুর ইত্যাদির প্যাকেট যদিও কেনা হয়, দেখা যায় আপনি একাই পুরোটা শেষ করে ফেলছেন, পরিবারের কেউ আর ভাগ বসাতে আসছে না। এমন জিনিস বাসায় পড়ে থাকলেও আপনার বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। নিজেকে যতই বোঝান না কেন একটু খেয়ে রেখে দেবেন, দেখা যায় অনেকটাই খাওয়া হয়ে যায়। ফলে আপনার ডায়েটের বারোটা বাজে। ছোট আকারের স্ন্যাক্সের প্যাকেট কিনুন। অথবা বড় প্যাকেট কিনে বাড়িতে এনেই ছোট ছোট জিপলক ব্যাগে আলাদা করে রাখুন অল্প অল্প পরিমাণে।

৬) ফ্রিজ সাজান বুদ্ধি করে

রেফ্রিজারেটরগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা থাকে যাতে সবজি থাকে একদম নিচে, যা চোখেই পড়ে না সহজে। আপনি মোটেও এই ডিজাইন অনুসরণ করতে যাবেন না। বরং ফল ও সবজি রাখুন এমন জায়গায় যাতে সহজেই চোখে পড়ে, ফ্রিজ খুললেই যেন দেখা যায় অনেকগুলো রঙ্গিন ফল-সবজি।

৭) ব্যবহার করুন চিকন গ্লাস ও সবুজ প্লেট

ছোট, মোটা গ্লাস বা মগে আপনি যতই পান করুন না কেন মনে হবে কম হয়ে গেলো। কিন্তু লম্বা, সরু গ্লাসে পানীয় পান করলে অল্পেই মনে হবে অনেকটা পান করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন কোক, পেপসি, অন্যান্য সফট ড্রিঙ্কস, মিল্কশেক এসব পান করার ক্ষেত্রে এই কৌশল কাজে আসবে। তবে অবশ্যই পানি পান করবেন প্রচুর পরিমাণে। আর প্লেটের রং কেন সবুজ করতে বলে হচ্ছে? কারণ সবুজ রঙের প্লেটে আপনি বেশি করে সবুজ সালাদ খেতে পারবেন। কিন্তু সাদাটে ধরণের খাবার যেমন শর্করা বা প্রোটিন খেতে গেলে তার রং এই সবুজের মাঝে বেশি বোঝা যাবে, ফলে এগুলো আপনি বেশি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হয়ে যাবেন।

এছাড়াও যেসব কাজ করতে পারেন তা হলো-
- স্বচ্ছ কন্টেইনারে রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার
- খাবার ঘরটাকে রাখুন গরম, কারণ ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় মানুষ বেশি খায়
- চিনির বদলে ব্যবহার করুন খেজুর
- সল্ট শেকার ব্যবহার না কর একটা বাটিতে লবণ রাখুন, হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে

বাচ্চাদের টিফিনে তৈরি করে ফেলুন পরোটা চিকেন ফ্র্যাঙ্কি

ranna banna o beauty tips
পরোটা চিকেন ফ্র্যাঙ্কি
বাচ্চাদের টিফিনে কী খাবার দেওয়া হবে তা নিয়ে মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। আজ বার্গার, কাল স্যান্ডউইচ, পরশু নতুন কোন খাবার। প্রতিদিন নতুন নতুন খাবার তৈরি করা খানিকটা কঠিন। এই সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন আজকের রেসিপি থেকে। চিকেন শর্মা সব বাচ্চারা পছন্দ করে থাকে। শর্মার মত মুরগি দিয়ে তৈরি একটি খাবার হল পরোটা চিকেন ফ্র্যাঙ্কি।
উপকরণ:
১/২ কাপ আটা
১টি ক্যাপসিকাম
১/২ চা চামচ চাট মশলা
৫০০ গ্রাম মুরগির মাংস
১ টেবিল চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
ধনেপাতা কুচি
১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো
১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
১টি ডিম
১ টেবিল চামচ আদা রসুনের পেস্ট
১টি লেবুর রস
১ কাপ ময়দা
২ টেবিল চামচ তেল
১টি পেঁয়াজ কুচি
৩টি টমেটো কুচি
হলুদ এক চিমটি
পানি
লবণ
প্রণালী:
১। একটি পাত্রে ময়দা, লবণ, আটা তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে পানি দিয়ে ভাল করে ডো তৈরি করুন। একটি পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন।
২। নন-স্টিক প্যান চুলায় দিন। এতে তেল দিয়ে দিন। তেল গরম হয়ে আসলে জিরা, আদা কুচি,রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ৫ মিনিট নাড়ুন।
৩। পেঁয়াজ বাদামী হয়ে আসলে এতে মুরগির মাংসগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৪। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে রান্না করুন।
৫। মাংস নরম হয়ে আসলে এতে লেবুর রস, চ্যাট মশলা, ধনে পাতা কুচি, চ্যাট মশলা দিয়ে দিন।
৬। এরপর ডো দিয়ে পাতলা করে বেলে পরোটা তৈরি করে নিন [পরোটা ভাজঁটি দেখে নিন ভিডিওতে]।
৭। এখন প্যানে পরোটাটি দিয়ে তার উপর তেল এবং ডিম ছড়িয়ে দিন।
৮। পরোটা ফুলে উঠলে নামিয়ে ফেলুন।
৯। এবার পরোটার ভিতরে মুরগির মাংস, পেঁয়াজ কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, লেবুর রস দিয়ে দিন। পরোটাটা রোল করে পেঁচিয়ে নিন।
১০। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার পরোটা চিকেন ফ্র্যাঙ্কি।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

স্বাদ বদলে কেরালা চিকেন রোস্ট

ranna banna o beauty tips
কেরালা চিকেন রোস্ট
একই সাথে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করা মোটেই সহজ কথা নয়। এমন খাবার রান্না করা যায় বটে কিন্তু সাধারণত তাতে অনেক দামী দামী উপকরণ লাগে, রান্না করতেও হয়তো শিখতে হয় বিভিন্ন মারপ্যাঁচ। কিন্তু আপনি যদি একদম কম ঝামেলায় সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চান, তাহলে এই রেসিপিটি আপনারই জন্য। দেখে নিন কেরালা চিকেন রোস্টের রেসিপি। খাবারটি যেমন মজাদার, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।

উপকরণ
- ৭৫০ গ্রাম হাড় সহ মুরগীর মাংস, মাঝারি টুকরো করে কাটা
- ৪/৫ কোয়া রসুন
- ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা কুচি
- ২/৩টা কাঁচামরিচ
- সিকি চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ ভিনেগার
- লবণ স্বাদমতো
- ২ টেবিল চামচ তেল
- ১টা বড় পিঁয়াজ কুচি
- পৌনে এক কাপ টমেটো পিউরি
- সিকি চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- অর্ধেকটা লেবুর রস

প্রণালী
১) রসুন, আদা, কাঁচামরিচ, ধনে গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ভিনেগার এবং অল্প করে পানি ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন।
২) মুরগীর টুকরোগুলোকে একটা বোলে নিন। এতে এই পেস্ট দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এরপর লবণ দিয়ে মেশান। ম্যারিনেট হতে রাখুন কিছুক্ষণ।
৩) একটা নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে নিন। এতে পিঁয়াজ দিয়ে ভালো করে সাঁতলে নিন। এতে ম্যারিনেট করা মুরগী দিয়ে দিন এবং সাঁতলে নিন যাতে সেদ্ধ হয়ে আসে।
৪) টমেটো পিউরি দিয়ে দিন এতে। ভালো করে মিশিয়ে ঢেকে রান্না হতে দিন ৩-৪ মিনিট।
৫) এরপর গরম মশলা গুঁড়ো দিন। ওপরে লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। রান্না হতে দিন আরও কয়েক মিনিট। এরপর নামিয়ে ফেলুন।

ওপরে ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.