বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

নিজেই তৈরি করে ফেলুন ত্বকের উপযোগী সানস্ক্রিন লোশন

ranna banna o beauty tips
সানস্ক্রিন লোশন
এই গরমে কোন প্রসাধনীটা মেয়েরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, সানস্ক্রিন লোশন। সানস্ক্রিন লোশন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার কথা চিন্তাই করা যায় না। বিশেষত যাদের দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হয়, তাদের জন্য সানস্ক্রিন একটি অপরিহার্য প্রসাধনীর নাম। বাজারে নানা ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন কিনতে পাওয়া যায়। অনেকেই বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে চান না। বিশেষত যারা
সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী তাঁদেরকে বাজারের সানস্ক্রিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হয়। আপনি চাইলে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন সানস্ক্রিন লোশন। কেমিক্যালমুক্ত সম্পূর্ণ পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়া এই লোশন আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে রক্ষা করে থাকবে।
যা যা লাগবে:
নারকেল তেল- এসপিএফ উপাদন সমৃদ্ধ
শিয়া বাটার- ত্বককে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করে থাকে।
জোজবা অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল অথবা তিলের তেল- এই তেলগুলো খুব সহজে ত্বকে মিশে যায় এবং ত্বককে রক্ষা করে থাকে।
ইউক্যালিপ্টাস তেল এবং ল্যাভেন্ডার তেল- ইউক্যালিপ্টাস তেলে খুব অল্প পরিমাণে এসপিএফ থাকে এবং ল্যাভেন্ডার তেল ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে লেবু বা লেমন এ্যাসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ভিটামিন ই অয়েল- ত্বককে ময়োশ্চারাইজ এবং পুষ্টি দিয়ে থাকে।
জিংক অক্সাইড (নন ন্যানো)- এটি সূর্যের ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্নি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। তবে খেয়াল রাখবেন জিংক অক্সাইড যেন নন-ন্যানো অর্থ্যাৎ টক্সিন মুক্ত হয়।
যেভাবে তৈরি করবেন
১। নারকেল তেল, শিয়া বাটার এবং জোজোবা/তিল/ সান ফ্লাওয়ার তেল একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন। একটি বড় পাত্রে পানি দিয়ে চুলায় দিন।
২। এবার এই পাত্রটির ভিতরে নারকেল তেলের পাত্রটি দিয়ে দিন।
৩। যতক্ষণ পর্যন্ত না শিয়া বাটার গলে যায়, ততক্ষণ এটি চুলায় রাখুন।
৪। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এবার এতে জিঙ্ক অক্সাইড, ভিটামিন ই এবং অন্যান্য এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন।
৫। জারে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন। এটি ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যবহারের পর অব্যশই সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রাখুন।
যে পরিমাণে জিঙ্ক অক্সাইড ব্যবহার করবেন
এসপিএফ ২-৫:৫% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ৫-১১: ১০% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ১২-১৯: ১৫% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ২০ এর উপর: ২০% জিঙ্ক অক্সাইড

টিপস:
·       দিনের মধ্যভাগ সময়ে সূর্যের আলোতে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
·       রোদে ছাতা ব্যবহার করুন।
·       এছাড়া বড় কোন হ্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
·       হালকা রং এর ঢোলাঢালা পোশাক ব্যবহার করুন।

যেভাবে কিচেন সাজালে কমবে আপনার ওজন!

ranna banna o beauty tips
যেভাবে কিচেন সাজালে কমবে আপনার ওজন!
অনেকের জন্যই ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি একটি অনন্ত প্রক্রিয়া। দেখা যায় কোনো একটি ব্যায়াম বা ডায়েট অনুসরণ করে কিছুদিনের জন্য ওজন কমলেও দ্রুতই তারা আবার ওজনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সবসময় খাওয়া দাওয়ার ওপর নজর রাখার মতো মানসিক শক্তি সবার থাকেও না। এমন একটি কৌশল আছে যাতে নিজের সচেতন ইচ্ছে ছাড়াই আপনার খাওয়া থাকবে নিয়ন্ত্রণে। আর তার জন্য আপনার কিচেনে আনতে হবে ছোট্ট কিছু পরিবর্তন। চলুন, দেখে নেই ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এসব পরিবর্তনের কথা।

১) স্ন্যাকজাতীয় খাবার রাখুন চোখের আড়ালে

আমরা সহজেই মিষ্টি কেক, বিস্কুট, চানাচুর এসবের দিকে হাত বাড়াই কারণ এগুলো থাকে টেবিল বা শেলফে, হাতের নাগালেই। এগুলো চোখের সামনে থাকার কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের BMI বেড়ে যেতে পারে। অপরদিকে, স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোকে চোখের সামনে রাখার ফলে সুস্থ ও ছিপছিপে শরীর ধরে রাখা সম্ভব হয়। যারা রান্নাঘরে ফল সাজিয়ে রাখেন তাদের BMI অন্যদের তুলনায় কম হতে দেখা যায়।

২) সুন্দর ডেজার্টের বাটি ব্যবহার বন্ধ করুন

অন্যরকম, সুন্দর ডিজাইনের মিষ্টি বা আইসক্রিম খাওয়ার বাটি বা চামচ আপনার এসব খাবার খাওয়ার ইচ্ছে অবধারিতভাবেই বাড়িয়ে দেবে। ডেজার্টের জন্য আলাদা বাটি না রেখে সাধারণ বাটি ও চামচ ব্যবহার করুন।

৩) ছোট প্লেট ব্যবহার করুন

স্বাভাবিক আকারের প্লেট ব্যবহারের বদলে খাওয়ার সময়ে ব্যবহার করুন হাফ প্লেট বা সালাদ প্লেট। তবে সাধারণ প্লেটের চাইতে খুব বেশি ছোট প্লেট ব্যবহার করবেন না। তাতে দেখা যাবে আপনি বারবার খাবার বেড়ে নিচ্ছেন এবং শেষতক খাওয়া কমার বদলে বেড়ে যাবে। ভাতের প্লেটের বদলে একটু ছোট একটা হাফ প্লেটে খাবার খান। এতে আপনার মনে হবে প্লেটটা বেশি ভোরে আছে এবং আপনার তৃপ্তির পরিমাণটাও বেশি হবে।

৪) টেবিলে বেশি খাবার রাখবেন না

খাবার আলাদা করে বোল-বাটিতে বেড়ে খাওয়ার টেবিলে রাখবেন না। এতে এক প্রস্থ খাওয়া হলে আপনি সহজেই খাবার তুলে নিয়ে আবার খেতে থাকবেন। বরং রান্নাঘর থেকে খাবার প্লেটে তুলে নিয়ে ডাইনিং রুমে চলে আসুন। এতে খাবার নিয়ে আসতে আপনার আবার উঠতে হবে। এই চিন্তা থেকেও আপনার খাওয়া কম হবে। আরেকটা কাজ করতে পারেন। অসাস্থ্যকর, ভারি খাবারগুলো রান্নাঘরে রাখত পারেন, কিন্তু স্বাস্থ্যকর সালাদটা রাখতে পারেন টেবিলে।

৫) বড় আকারের স্ন্যাক্সের প্যাকেট কিনবেন না

ফ্যামিলি সাইজের চিপস, বিস্কুট, চানাচুর ইত্যাদির প্যাকেট যদিও কেনা হয়, দেখা যায় আপনি একাই পুরোটা শেষ করে ফেলছেন, পরিবারের কেউ আর ভাগ বসাতে আসছে না। এমন জিনিস বাসায় পড়ে থাকলেও আপনার বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। নিজেকে যতই বোঝান না কেন একটু খেয়ে রেখে দেবেন, দেখা যায় অনেকটাই খাওয়া হয়ে যায়। ফলে আপনার ডায়েটের বারোটা বাজে। ছোট আকারের স্ন্যাক্সের প্যাকেট কিনুন। অথবা বড় প্যাকেট কিনে বাড়িতে এনেই ছোট ছোট জিপলক ব্যাগে আলাদা করে রাখুন অল্প অল্প পরিমাণে।

৬) ফ্রিজ সাজান বুদ্ধি করে

রেফ্রিজারেটরগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা থাকে যাতে সবজি থাকে একদম নিচে, যা চোখেই পড়ে না সহজে। আপনি মোটেও এই ডিজাইন অনুসরণ করতে যাবেন না। বরং ফল ও সবজি রাখুন এমন জায়গায় যাতে সহজেই চোখে পড়ে, ফ্রিজ খুললেই যেন দেখা যায় অনেকগুলো রঙ্গিন ফল-সবজি।

৭) ব্যবহার করুন চিকন গ্লাস ও সবুজ প্লেট

ছোট, মোটা গ্লাস বা মগে আপনি যতই পান করুন না কেন মনে হবে কম হয়ে গেলো। কিন্তু লম্বা, সরু গ্লাসে পানীয় পান করলে অল্পেই মনে হবে অনেকটা পান করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন কোক, পেপসি, অন্যান্য সফট ড্রিঙ্কস, মিল্কশেক এসব পান করার ক্ষেত্রে এই কৌশল কাজে আসবে। তবে অবশ্যই পানি পান করবেন প্রচুর পরিমাণে। আর প্লেটের রং কেন সবুজ করতে বলে হচ্ছে? কারণ সবুজ রঙের প্লেটে আপনি বেশি করে সবুজ সালাদ খেতে পারবেন। কিন্তু সাদাটে ধরণের খাবার যেমন শর্করা বা প্রোটিন খেতে গেলে তার রং এই সবুজের মাঝে বেশি বোঝা যাবে, ফলে এগুলো আপনি বেশি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হয়ে যাবেন।

এছাড়াও যেসব কাজ করতে পারেন তা হলো-
- স্বচ্ছ কন্টেইনারে রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার
- খাবার ঘরটাকে রাখুন গরম, কারণ ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় মানুষ বেশি খায়
- চিনির বদলে ব্যবহার করুন খেজুর
- সল্ট শেকার ব্যবহার না কর একটা বাটিতে লবণ রাখুন, হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে

বাচ্চাদের টিফিনে তৈরি করে ফেলুন পরোটা চিকেন ফ্র্যাঙ্কি

ranna banna o beauty tips
পরোটা চিকেন ফ্র্যাঙ্কি
বাচ্চাদের টিফিনে কী খাবার দেওয়া হবে তা নিয়ে মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। আজ বার্গার, কাল স্যান্ডউইচ, পরশু নতুন কোন খাবার। প্রতিদিন নতুন নতুন খাবার তৈরি করা খানিকটা কঠিন। এই সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন আজকের রেসিপি থেকে। চিকেন শর্মা সব বাচ্চারা পছন্দ করে থাকে। শর্মার মত মুরগি দিয়ে তৈরি একটি খাবার হল পরোটা চিকেন ফ্র্যাঙ্কি।
উপকরণ:
১/২ কাপ আটা
১টি ক্যাপসিকাম
১/২ চা চামচ চাট মশলা
৫০০ গ্রাম মুরগির মাংস
১ টেবিল চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
ধনেপাতা কুচি
১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো
১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
১টি ডিম
১ টেবিল চামচ আদা রসুনের পেস্ট
১টি লেবুর রস
১ কাপ ময়দা
২ টেবিল চামচ তেল
১টি পেঁয়াজ কুচি
৩টি টমেটো কুচি
হলুদ এক চিমটি
পানি
লবণ
প্রণালী:
১। একটি পাত্রে ময়দা, লবণ, আটা তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে পানি দিয়ে ভাল করে ডো তৈরি করুন। একটি পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন।
২। নন-স্টিক প্যান চুলায় দিন। এতে তেল দিয়ে দিন। তেল গরম হয়ে আসলে জিরা, আদা কুচি,রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ৫ মিনিট নাড়ুন।
৩। পেঁয়াজ বাদামী হয়ে আসলে এতে মুরগির মাংসগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৪। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে রান্না করুন।
৫। মাংস নরম হয়ে আসলে এতে লেবুর রস, চ্যাট মশলা, ধনে পাতা কুচি, চ্যাট মশলা দিয়ে দিন।
৬। এরপর ডো দিয়ে পাতলা করে বেলে পরোটা তৈরি করে নিন [পরোটা ভাজঁটি দেখে নিন ভিডিওতে]।
৭। এখন প্যানে পরোটাটি দিয়ে তার উপর তেল এবং ডিম ছড়িয়ে দিন।
৮। পরোটা ফুলে উঠলে নামিয়ে ফেলুন।
৯। এবার পরোটার ভিতরে মুরগির মাংস, পেঁয়াজ কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, লেবুর রস দিয়ে দিন। পরোটাটা রোল করে পেঁচিয়ে নিন।
১০। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার পরোটা চিকেন ফ্র্যাঙ্কি।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

স্বাদ বদলে কেরালা চিকেন রোস্ট

ranna banna o beauty tips
কেরালা চিকেন রোস্ট
একই সাথে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করা মোটেই সহজ কথা নয়। এমন খাবার রান্না করা যায় বটে কিন্তু সাধারণত তাতে অনেক দামী দামী উপকরণ লাগে, রান্না করতেও হয়তো শিখতে হয় বিভিন্ন মারপ্যাঁচ। কিন্তু আপনি যদি একদম কম ঝামেলায় সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চান, তাহলে এই রেসিপিটি আপনারই জন্য। দেখে নিন কেরালা চিকেন রোস্টের রেসিপি। খাবারটি যেমন মজাদার, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।

উপকরণ
- ৭৫০ গ্রাম হাড় সহ মুরগীর মাংস, মাঝারি টুকরো করে কাটা
- ৪/৫ কোয়া রসুন
- ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা কুচি
- ২/৩টা কাঁচামরিচ
- সিকি চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ ভিনেগার
- লবণ স্বাদমতো
- ২ টেবিল চামচ তেল
- ১টা বড় পিঁয়াজ কুচি
- পৌনে এক কাপ টমেটো পিউরি
- সিকি চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- অর্ধেকটা লেবুর রস

প্রণালী
১) রসুন, আদা, কাঁচামরিচ, ধনে গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, ভিনেগার এবং অল্প করে পানি ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন।
২) মুরগীর টুকরোগুলোকে একটা বোলে নিন। এতে এই পেস্ট দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এরপর লবণ দিয়ে মেশান। ম্যারিনেট হতে রাখুন কিছুক্ষণ।
৩) একটা নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে নিন। এতে পিঁয়াজ দিয়ে ভালো করে সাঁতলে নিন। এতে ম্যারিনেট করা মুরগী দিয়ে দিন এবং সাঁতলে নিন যাতে সেদ্ধ হয়ে আসে।
৪) টমেটো পিউরি দিয়ে দিন এতে। ভালো করে মিশিয়ে ঢেকে রান্না হতে দিন ৩-৪ মিনিট।
৫) এরপর গরম মশলা গুঁড়ো দিন। ওপরে লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। রান্না হতে দিন আরও কয়েক মিনিট। এরপর নামিয়ে ফেলুন।

ওপরে ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

ওভেন ছাড়াই হবে একদম বেকারির মত চকলেট ফ্রুট কেক

ranna banna o beauty tips
চকলেট ফ্রুট কেক
বেকারির মজাদার কেক খেতে কে না পছন্দ করে। অনেকের কেক ঘরে তৈরি করার ইচ্ছা থাকলেও ওভেনের ঝামেলার কারণে কেক তৈরি করেন না। ওভেনের চিন্তা দূর করে দিবে এই রেসিপিটি। প্রেশার কুকারে তৈরি করতে পারবেন আপনার পছন্দের চকলেট ফ্রুট কেক! ভাবছেন কীভাবে? আসুন তাহলে জেনে নিন চকলেট ফ্রুট কেকের রেসিপিটি।
উপকরণ:
১ কাপ ময়দা
২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
১ চা চামচ বেকিং পাউডার
২ টেবিল চামচ কোকো পাউডার
১/৪ কাপ মাখন
১/৪ কাপ চিনি গুঁড়ো
১/২ কাপ কনডেন্সড মিল্ক
১.৫ টেবিল চামচ কাজুবাদাম কুচি
১.৫ টেবিল চামচ কাঠবাদাম কুচি
২ টেবিল চামচ ড্রাই ব্লুবেরি
১ টেবিল চামচ কিশমিশ
১ টেবিল চামচ খেজুর
১ কাপ লবণ
প্রণালী:
১। ১/২ কাপ গরম পানিতে কোকো পাউডার মিশিয়ে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন।
২। প্রেশার কুকারে লবণ দিয়ে এর মাঝে তারের স্ট্যান্ড দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে গরম করতে দিন।
৩। একটি পাত্রে ময়দা, কর্ন ফ্লাওয়ার এবং বেকিং পাউডার মিশিয়ে ছেঁকে নিন।
৪। আরেকটি পাত্রে মাখন এবং চিনি বিটার দিয়ে বিট করে নিন। মাখনের মত নরম হওয়া পর্যন্ত বিট করুন। এরপর এতে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ২-৩ মিনিট বিট করুন।
৫। এবার এই মিশ্রণের সাথে ময়দার মিশ্রণ, কোকো পাউডার, ড্রাই ফ্রুটস এবং বাদাম কুচি মিশিয়ে নিন। এর সাথে বাকী ময়দার মিশ্রণ দিয়ে দিন।
৬। অ্যালুমিনিয়াম অথবা স্টিলের পাত্রে মাখন লাগিয়ে কেকের মিশ্রণটি ঢেলে দিন। আপনি চাইলে মাখনের উপর ফয়েল পেপার দিয়ে কেকের মিশ্রণটি ঢেলে দিতে পারেন।
৭। হুইসেল সরিয়ে বেক করুন ৩০-৩৫ মিনিট।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৬

ঝটপট হালকা স্ন্যাক্স অনিয়ন রিংস

ranna banna o beauty tips
অনিয়ন রিংস
স্ন্যাক্সের কথা চিন্তা করলেই ভয় লাগে। একদিকে অনেক অনেক ক্যালোরির ভয়, আরেকদিকে হরেক রকমের উপকরণ আর আয়োজন নিয়ে চিন্তা। কিন্তু এই স্ন্যাক্স তৈরিতে আপনার আদতে কিছুই লাগবে না। বাড়িতে ময়দা, পিঁয়াজ, তেল আর কিছু মশলা থাকলেই চোখের পলকে তৈরি করে ফেলতে পারবেন দারুণ মুচমুচে নাশতা। চলুন দেখে নেই অনিয়ন রিংস এর রেসিপিটি।

উপকরণ

- পৌনে এক কাপ ময়দা
- সিকি কাপ কর্ন ফ্লাওয়ার
- সিকি চা চামচ গার্লিক পাউডার
- আধা চা চামচ শুকনো মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ চাট মশলা
- এক চিমটি বেকিং সোডা
- লবণ স্বাদমতো
- সিকি কাপ ফেটানো টক দই
- ২টা বড় পিঁয়াজ, মোটা রিং করে কাটা
- ১ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব
- ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল

প্রণালী

১) পিঁয়াজ রিং করে কেটে রিংগুলোকে ছাড়িয়ে নিন। এগুলোকে আলাদা করে রাখুন।
২) একটা বোলে ময়দা, কর্ন স্টার্চ, মরিচের গুঁড়ো, বেকিং সোডা, লবণ, এক টেবিল চামচ ব্রেড ক্রাম্ব এবং দই মিশিয়ে নিন। ঘন করে ব্যাটার তৈরি করুন। দরকার হলে অল্প করে পানি দিন। ব্যাটার তৈরি হলে এতে গার্লিক পাউডার দিয়ে দিন এবং ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৩) একটা বাটিতে ১ টেবিল চামচ ময়দা নিন। এই বাটিতে পিঁয়াজের রিংগুলোকে নিয়ে একটা প্লেট দিয়ে ঢেকে দিন। এবার ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এতে সব পিয়াজে ময়দা মেখে যাবে।
৪) এবার ময়দা মাখা রিংগুলোকে ব্যাটার ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। এবার এগুলোকে ডিপ ফ্রাই করে নিন। ব্রেড ক্রাম্ব ছাড়া শুধু ব্যাটারে ডুবিয়েও এটা তৈরি করে নিতে পারেন।
 পছন্দের যে কোনো সসের সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম। 
ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

স্বাদ বদলে জাপানি রাইস

ranna banna o beauty tips
স্বাদ বদলে জাপানি রাইস
রাইস ডিশ ছাড়া আসলে বাঙালির চলেই না। সাদা ভা থেকে শুরু করে পোলাও, বিরিয়ানি, ফ্রাইড রাইস ইত্যাদি কত কিছুই না খেয়ে থাকি আমরা। চলুন, আজ  আফরোজা নাজনীন সুমির হেঁসেল থেকে জেনে নিই ভিন্নধর্মী একটি রাইস ডিশের রেসিপি "জাপানি রাইস"।  

উপকরণ: 

আধা সিদ্ধ ভাত:
৪ কাপ মুরগির মাংস:
১ কাপ রসুন কুচি: ১ চা চামচ তেল:
২ টে: চামচ সাদা গোলমরিচ গুঁড়া:
১ টে: চামচ লবণ:
স্বাদমত টমেটো চিলিসস:
৪ টে: চামচ সিদ্ধ গাজর:
১টা ডিম:
২টা আদা বাটা :
আধা চা চামচ সয়াসস :
আধা চা চামচ  

প্রনালী:  

-প্রথমেই মাংস লবন, গোলমরিচ দিয়ে ম্যারিনেট করে নিন।
-এরপর গরম তেলে রসুন কুচি ভেজে তাতে মুরগীর মাংস ভেজে সিদ্ধ ভাত ও গাজর দিয়ে দিন।
-ভাল করে নেড়ে ভেজে এতে সস আর গরম মসলা গুঁড়া ও লবন দিন।
-উপরে ডিম ভাজা দিয়ে পরিবেশন করুন হট টমেটো সস দিয়ে মজাদার জাপানি রাইস। 

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.