delicious homemade recipes লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
delicious homemade recipes লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১৬

মেক্সিকান নাচোস

ranna banna o beauty tips
মেক্সিকান নাচোস 
দেখতে যেমন লোভনীয়, খেতেও দারুণ। বলছি নাচোসের কথা। সুদূর মেক্সিকোর মুখরোচক জনপ্রিয় খাবারটি এরই মধ্যে তরূণদের মাঝে বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে। তাইতো যে আড্ডাগুলোর প্রাণ ছিলো সিঙ্গারা-সমোচা, এরপরে চটপটি-ফুচকা, এখন সেখানে দেখা যায় নাচোসের রাজত্ব। 

মুচমুচে চিপসের সঙ্গে ক্রিমি ও চিজি চিকেন কিংবা ফ্রেশ টমেটো সালসা তৈরি হয় ভিন্ন স্বাদের নাচোস। 

আজ আপনাদের জন্য মুচমুচে নাচোসের রেসিপি:  

চিপসের উপকরণ: প্রথমেই চিপস তৈরি করে নিন। ভুট্টার আটা ২ কাপ, ময়দা আধা কাপ, পনির গ্রেট-২০০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, মাখন ২৫ গ্রাম, কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো।

 প্রণালী: ভুট্টার আটা, ময়দা, পনির, কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ ও মাখন একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে ভালো করে মেখে আধাঘণ্টা ঢেকে রাখুন। এবার পাতলা রুটি বেলে তিন কোনা করে কেটে ডুবোতেলে অল্প আঁচে হালকা বাদামি রং করে ভেজে তুলুন।

মাংস: মুরগির কিমা ২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদা কুচি ১ চা-চামচ, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, মাখন ৫০ গ্রাম, টমেটো সালসা আধা কাপ, পনির ২০০ গ্রাম, পেঁয়াজ গোল করে কাটা আধা কাপ, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ।

প্রণালী: মুরগির কিমা, সয়াসস, ওয়েস্টার সস দিয়ে মেখে ২০মিনিট রাখুন। এবার ফ্রাই প্যানে মাখন গরম করে আদা-রসুন ভেজে তাতে পেঁয়াজ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে মাখানো কিমা দিয়ে কষিয়ে নিন। টমেটো সস দিয়ে কিছুক্ষণ পরে লেবুর রস ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামাতে হবে। 

টমেটো সালসা: লাল ও সবুজ মরিচ পছন্দমতো, ধনেপাতা কুচি আধা কাপ, রসুন কুচি পোয়া কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লেবুর রস ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, অলিভ ওয়েল ২ টেবিল চামচ, টমেটো কুচি আধা কাপ। সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে ফ্রিজে রাখুন।

কিমা রেখে ওপরে টমেটো সালসা, পনির, ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সাজিয়ে প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। 
সবশেষে কর্নচিপস, চিকেন, সালসা সঙ্গে গলানো ক্রিমি চিজ, পছন্দমতো ক্রিম, মেয়োনেজ দিয়ে পছন্দের পাত্রে লেয়ার করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। 

রূপচাঁদা শুটকির দোপেঁয়াজা


ranna banna o beauty tips
রূপচাঁদা শুটকির দোপেঁয়াজা
উপকরণ: রূপচাঁদা শুটকি ১টি। তেল পরিমাণ মতো। পেঁয়াজকুচি ২ কাপ। রসুনকুচি আধা কাপ। টমেটোকুচি আধা কাপ। সামান্য আদাবাটা। ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া ৩ চা-চামচ। হলুদগুঁড়া দেড় চা-চামচ। কাঁচামরিচ ৬টি। লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: রূপচাঁদা শুটকি দুই ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হলে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে, ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার প্যানে তেল দিন।

তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজকুচি, রসুনকুচি, সামান্য আদাবাটা, ধনেগুঁড়া, মরিচ, হলুদ, তেল, লবণ, কাঁচামরিচ আর টমেটো-কুচি সব মসলা ভালো করে ভেজে নিন।

পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে তাতে মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। এবার অল্প পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে ঢেকে দিন। পানি কমে মাখা মাখা হলে তাতে কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

স্বাস্থ্যকর রান্নার জন্য ব্যবহার করুন ভিনেগার

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর রান্নার জন্য ব্যবহার করুন ভিনেগার
রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্যই ভিনেগার ব্যবহৃত হয় বলে অনেকের ধারণা। তবে এ ধারণাটি মোটেও ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি খাবারের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও খাবারকে স্বাস্থ্যকর করতে সহায়তা করে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। 

ভিনেগারে রয়েছে উচ্চমাত্রায় এসিটিক এসিড। এটি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসিটিক এসিড পেটের জন্যও উপকারি। ভিনেগার রান্নাঘরে রাখার কিংবা খাবারে ব্যবহার করার প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। এ কারণে আপনার রান্নাঘরে যেন এক বোতল ভিনেগার রাখা হয় এবং নিয়মিত তা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয় এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
 ১. উচ্চমাত্রায় এসিটিক এসিড থাকায় ভিনেগার দেহের জন্য উপকারি। এটি মূলত আপনার দেহের বিভিন্ন খনিজ উপাদান গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে দেহের পুষ্টি গ্রহণের হার বৃদ্ধি পায়।
 ২. নারীরা ভিনেগার গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দেহের খনিজ উপাদানের ঘাটতি রোধ করতে পারে। এছাড়া ভিনেগারের আরও কিছু উপকারিতা রয়েছে। 
৩. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভিনেগার ভূমিকা রাখে। 
৪. গবেষকরা বলছেন, হৃদরোগের সমস্যাতেও ভিনেগার উপকার করে। বিভিন্ন খাবারে লবণকে প্রতিস্থাপন করে ভিনেগার। 
৫. ভিনেগারে ক্যালরি কম থাকায় এটি সালাদে ব্যবহার করা সুবিধাজনক। 
৬. গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার আগে ভিনেগার খেলে পেটে পরিপূর্ণতার অনুভূতি হয়, যা পরবর্তীতে ক্ষুধা কমায় এবং বাড়তি খাওয়ার প্রবণতা রোধ করে।

মাছের লোভনীয় কয়েকটি রেসিপি

ranna banna o beauty tips
মাছের লোভনীয় কয়েকটি রেসিপি
গন্ধরাজী পাবদা

উপকরণ: পাবদামাছ ২০০ গ্রাম, কালোজিরে ১/৪ চা-চামচ, কাঁচালঙ্কা চেরা ৪টে, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, হিং ১ চিমটে, গন্ধরাজ লেবুপাতা ৪-৫টা, রসুনকুচি ২টো, টোম্যাটোবাটা ১ টেবলচামচ, নুন স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: পাবদামাছ ভেজে নিন, ওই তেলে কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা, হিং, রসুনকুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে টোম্যাটোবাটা, নুন, হলুদগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে জল দিন। জল ফুটলে মাছগুলো দিয়ে চাপা দিন। মাছ সিদ্ধ হলে লেবুপাতা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করুন। ১০ মিনিট ওই অবস্থায় ঢাকা দিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।

আম বড়ি ফুলকপি দিয়ে মৌরলামাছ

উপকরণ: মৌরলামাছ ২৫০ গ্রাম, ফুলকপি ছোট সাইজের ১টা, বড়ি ৪-৫টা, কাঁচা আম ১টা, আদাবাটা ১ চা-চামচ, জিরেবাটা ১/২ চা-চামচ, কাঁচালঙ্কা ২টো, হলুদগুঁড়ো ১ চা-চামচ, নুন-চিনি স্বাদমতো, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, পাঁচফোড়ন ১/৪ চা-চামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: মৌরলামাছে নুন, হলুদ মাখিয়ে ভাল করে ভেজে আলাদা করে রাখুন। ওই তেলে ফুলকপির ছোট টুকরোগুলো সোনালি করে বেজে তুলে নিন। আরও কিছুটা তেল দিয়ে বড়ি ভেজে তুলে রাখুন। এবার পাঁচফোড়ন, জিরেবাটা, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে হালকা আঁচে কষুন। মশলা থেকে তেল ছাড়লে আদাবাটা, কাঁচা আমবাটা ও কয়েকটা আমকুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে জল দিন। ভাজা ফুলকপির টুকরো ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে ঝোল ফুটতে দিন। ঝোলের মধ্যে মাছ ভাজা ও বড়ি ছাড়ুন। নুন, চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটতে দিন। সিদ্ধ হলে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে খান।

তিল ট্যাংরা

উপকরণ: ট্যাংরামাছ ৪টে, সাদা সরষে ২ চা-চামচ, সাদা তিল ৪ চা-চামচ, টক দই ১ টেবলচামচ, কাঁচালঙ্কাবাটা ৩টে, কাঁচালঙ্কা চেরা ৩টে, পাঁচফোড়ন ১/৪ চা-চামচ, নুন স্বাদমতো, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: মাছ কেটে ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। ওই তেলে পাঁচফোড়ন দিন। একটা বাটিতে টক দই ফেটিয়ে তাতে তিলবাটা, সাদা সরষেবাটা, লঙ্কাবাটা, নুন, হলুদ ও সামান্য জল দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে তেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। প্রয়োজনে সামান্য জলও দিতে পারেন। এবার ভেজে রাখা মাছ দিয়ে ফুটতে দিন। মাছ সিদ্ধ হলে চেরা কাঁচালঙ্কা দিন। নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

কাজলিমাছের বাটি চচ্চড়ি

উপকরণ: কাজলিমাছ ২৫০ গ্রাম, আলু মাঝারি মাপের ১টা, পেঁয়াজ মাঝারি মাপের ১টা, হলুদগুঁড়ো ১/২ টেবলচামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ টেবলচামচ, নুন স্বাদমতো, কাঁচালঙ্কা চেরা ৪টে, টোম্যাটোবাটা ১ টেবলচামচ, সরষেবাটা ১ টেবলচামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো, ধনেপাতাকুচি ২ টেবলচামচ।

প্রণালী: মাছে নুন, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ১০ মিনিট ম্যারিনেড করে রাখুন। আলু, পেঁয়াজ লম্বা করে কেটে নিন। তাতে চেরা কাঁচালঙ্কা, টোম্যাটো, কাঁচালঙ্কা, সরষেবাটা, নুন, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো সরষের তেল ধনেপাতাকুচি ও আগে থেকে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে গরম জলে টিফিন বক্সে ১৫ মিনিট ভাপিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর ঢাকা খুলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।

পুঁটি পটলের ঝাল

উপকরণ: পুঁটিমাছ ২৫০ গ্রাম, পটল ২টো, পেঁয়াজ ১টা, কাঁচালঙ্কা ৪টে, রসুনবাটা ১/২ চা-চামচ, সরষেবাটা ১ টেবলচামচ, পোস্তবাটা ১ টেবলচামচ, নারকেলবাটা ১ টেবলচামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, কালোজিরে ১ চা-চামচ, সরষের তেল পরিমাণমতো।

প্রণালী: মাছ হালকা করে ভেজে নিন। পটল সরু লম্বা করে কেটে ভেজে নিন। ওই তেলে কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিন। পেঁয়াজ সামান্য ভাজা হলে রসুনবাটা, লঙ্কাগুঁড়ো, পোস্ত, সরষে, নারকেলবাটা সব দিয়ে নুন, হলুদগুঁড়ো দিয়ে ভাজা পটলগুলো দিন। সামান্য জল দিয়ে ভাজা মাছগুলো দিয়ে কম আঁচে ১৫ মিনিট রাখুন। ঢাকা খুলে সরষের তেল ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে সার্ভ করুন।

ক্যাপসিকাম পার্শে 

উপকরণ: পার্শেমাছ ৫০০ গ্রাম, ক্যাপসিকাম বড় সাইজের ১টা, টোম্যাটো ১টা, নুন-চিনি স্বাদমতো, ধনেগুঁড়ো ১ চা-চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়ো ১/২ চা-চামচ।

প্রণালী: ক্যাপসিকাম একটু পুড়িয়ে নিয়ে পোড়া অংশ চেঁছে নিন ও মিক্সিতে পেস্ট করুন। পার্শেমাছ ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলে শুকনোলঙ্কা দিয়ে তাতে ক্যাপসিকামবাটা, নুন, চিনি, হলুদগুঁড়ো, ধনে, লঙ্কাগুঁড়ো ও টোম্যাটোবাটা দিয়ে কষে জল দিন। ভাজা মাছ দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। 

অন্য স্বাদে চেনা ইফতারি

ranna banna o beauty tips
অন্য স্বাদে চেনা ইফতারি
ইফতারের আয়োজনে বুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, হালিম, শরবত ইত্যাদি তো থাকবেই। ইফতারির এই পদগুলো চাইলে একটু ভিন্নভাবে বানাতে পারেন। তেমন রেসিপি দিয়েছেন জেবুন্নেসা  বেগম।

মুরগির হালিম
উপকরণ: মুরগি ১ কেজি, গম আধা কাপ, মুগ ডাল সিকি কাপ, মসুর ডাল সিকি কাপ, ছোলার ডাল সিকি কাপ, মাষকলাইয়ের ডাল সিকি কাপ, অড়হড় ডাল সিকি কাপ, পোলাওয়ের চাল আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা কয়েকটা, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ ও জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি: গম, মাষকলাই ডাল ও মুগ ডাল টেলে নিন। চাল, ডাল ও গম সেদ্ধ করে বেটে নিন। তেলে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে সব মসলা ও মুরগি দিয়ে কষান। সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। সেদ্ধ হলে বাটা ডালের মিশ্রণ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে নাড়ুন। হয়ে গেলে নামিয়ে বাটিতে ঢেলে, আদা কুচি, ধনে পাতা, মরিচ, বেরেস্তা ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পেঁয়াজু
উপকরণ: ডাল (মসুর, খেসারি বা বুট) ১ কাপ, আদা বাটা আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, রোস্টেড তিল ১ টেবিল চামচ ও বড় আলু ২-৩টা।
প্রণালি: ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর ডাল ফুলে উঠলে পানি ঝরিয়ে বেটে নিন। বেশি মিহি করে বাটবেন না। পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুচি করে নিন। বাটা ডালের সঙ্গে আদা বাটা, কাঁচা মরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লবণ, রোস্টেড তিল, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া দিয়ে মেখে নিন। আলুর খোসা ফেলে চিকন লম্বা করে কেটে নিন। সামান্য লবণ দিয়ে অল্প সেদ্ধ করে নিন। আলুর মধ্যে ডাল মুড়িয়ে ডুবে তেলে ভেজে নিন। ইফতারের টেবিলে পেঁয়াজুর সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

ফলের সালাদ
উপকরণ: মাল্টার রস ১ কাপ, আপেল আধা কাপ, আঙুর আধা কাপ, তরমুজ আধা কাপ, কলা ১টা, কাঁচা বা শুকনা মরিচ (টালা) ১টা, চিনি ১ টেবিল চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, পুদিনা কুচি ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া সামান্য, চাট মসলা আধা চা-চামচ ও লেবুর রস আধা চা-চামচ।
প্রণালি: আপেল টুকরা করে লবণ পানিতে ধুয়ে নিন। কলা টুকরা করে চিনি পানিতে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিন। তরমুজ ও আঙুর টুকরা করে নিন। মাল্টা অথবা কমলার রস নিয়ে এতে চাট মসলা, লেবুর রস, পুদিনা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এবার সব ফল একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ইফতারের আগে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

কিমা বেগুনি
উপকরণ: বেগুন ৩টা, বেসন দেড় কাপ, আদা বাটা আধা চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, ঠান্ডা পানি পৌনে এক কাপ (পরিমাণমতো), লবণ স্বাদমতো, বেকিং পাউডার সিকি চা-চামচ।
স্টাফিংয়ের জন্য: মুরগির কিমা ১ কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা-চামচ, অরিগানো ১ চা-চামচ, চিজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ ও তেল ১ চা-চামচ।
প্রণালি: তেলে মুরগির কিমা, কাঁচা মরিচ কুচি, অরিগানো, গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে ভেজে রাখুন। বেগুন লম্বা ও একটু মোটা করে কাটুন। মাঝখানে পকেটের মতো করে কাটুন। ধুয়ে সামান্য লবণ মেখে রাখুন। এবার বেগুনের ভেতর কিমার পুর ঢুকিয়ে চিজের কুচি দিন। বেসনের সঙ্গে আদা বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, লবণ, বেকিং পাউডার ও পানি দিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। বেগুন সাবধানে ব্যাটারে ডুবিয়ে নিন। যাতে কিমা বের হয়ে না যায়। ডুবো তেলে ভেজে ইফতারিতে গরম গরম পরিবেশন করুন।

দুধ বাদামের শরবত
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ কাপ, গোলাপজল ১ চা-চামচ, বরফ কুচি পরিমাণমতো ও মধু ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: দুধ ২-৩ বার ফুটে উঠলে ঠান্ডা করে রাখুন। দুধের সঙ্গে বাদাম বাটা, পেস্তাবাদাম বাটা, চিনি, গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

পুদিনায় দই বড়া
উপকরণ: মাষকলাইয়ের ডাল ১ কাপ, পুদিনা পাতা ৩ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, টক দই দেড় কাপ, জিরা টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ।
প্রণালি: মাষকলাইয়ের ডাল ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ১ টেবিল চামচ পুদিনা, অর্ধেকটা (আধা টেবিল চামচ) কাঁচা মরিচ বাটা মিশিয়ে নিন। সামান্য লবণ মেখে বড়া আকারে ভেজে নিন। ভাজা বড়া পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে চেপে পানি ঝরিয়ে নিন। টক দইয়ের সঙ্গে বিট লবণ, রোস্টেড জিরা গুঁড়া, বাকি পুদিনা ও কাঁচা মরিচ বাটা মিশিয়ে নিন। এবার সেটাতে ডালের বড়া দিয়ে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

বুন্দিয়া
উপকরণ: বুটের ডালের বেসন ১ কাপ, লবণ সিকি চা-চামচ (পরিমাণমতো), বেকিং পাউডার সিকি চা-চামচ, বেকিং সোডা সিকি চা-চামচ, খাবার রং কয়েক ফোঁটা, ঘি ও তেল ভাজার জন্য, শিরার জন্য ১ কাপ পানি ও ১ কাপ চিনি।
প্রণালি: বেসনের সঙ্গে বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, খাবার রং ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তেল ও ঘি গরম করে বুন্দিয়া ভেজে নিন। চিনি ও পানি দিয়ে শিরা তৈরি করুন। ভাজা বুন্দিয়া শিরায় ঢেলে দিন। শিরা বুন্দিয়ার ভেতরে ঢুকে গেলে তুলে নিন।

সবজি কিমা বুট
উপকরণ: বুট দেড় কাপ, বিফ কিমা আধা কাপ, বিভিন্ন রকম সবজি (সেদ্ধ) ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, সরিষা বাটা আধা চা-চামচ, এলাচি, দারুচিনি তেজপাতা কয়েকটা, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, টমেটো কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনে পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি: বুট পরিষ্কার করে ধুয়ে ৬-৭ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ফুলে ওঠার পর সামান্য হলুদ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। তেল গরম করে গরম মসলা, পেঁয়াজ কুচি, বাটা মসলা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, কষিয়ে কিমা দিয়ে ভাজুন। সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। এবার সেদ্ধ সবজি ঢেলে দিন। বুট দিয়ে নাড়ুন। ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, কাঁচা মরিচ, টমেটো দিন। ধনে পাতা দিয়ে নামিয়ে নিন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.