ranna banna লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ranna banna লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

মাত্র ৩টি উপাদানে দূর করুন ঘরের পিঁপড়া

মাত্র ৩টি উপাদানে দূর করুন ঘরের পিঁপড়া
শীতকাল যেতে না যেতেই যে যন্ত্রণাতে কমবেশি সবাইকে ভুগতে হচ্ছে, তা হল “পিঁপড়া”। পিঁপড়া যে কতটা যন্ত্রণাদায়ক তা শুধু এর ভুক্তভোগীরাই বলতে পারে। এর যন্ত্রণায় ঘরে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার রাখা যায় না। শুধু কি তাই, চিনির বয়ামটির ঢাকনা শক্ত করে লাগানো হলেও এর ভিতরে পিঁপড়া দেখতে পাওয়া যায়। বাজার ঘুরলে পিঁপড়া মারার নানান ঔষধ কিনতে পাওয়া যায়। এই ঔষধ ব্যবহার করে সাময়িকভাবে পিঁপড়া মরলেও কিছুদিন পর আবার ফিরে আসে। আবার খাবার দ্রবের মধ্যে এইসব ঔষধ ব্যবহার করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ঘরে তৈরি করে ফেলুন পিঁপড়া দূর করার এই কার্যকরী ঔষধটি।

যা যা লাগবে:

বোরিক পাউডার
মধু
চিনি
গরম পানি
মগ
একটি খালি স্প্রে বোতল
যেভাবে তৈরি করবেন:
১। একটি মগ বা পাত্রে তিন চা চামচ চিনি, ছয় থেকে আট চা চামচ বোরিক পাউডার এবং গরম পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। চিনির দানা যেন পানির সাথে ভাল করে মিশে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
৩। এরপর এতে মধু দিয়ে দিন।
৪। এই মিশ্রণটি একটি স্প্রের বোতলে ভরে ফেলুন।
৫। ঘরের যেসকল স্থানে পিঁপড়া দেখা মিলবে সেখানে মিশ্রণটি স্প্রে করে দিন। আর দেখুন পিঁপড়া এক নিমিষে দূর হয়ে গেছে।

কার্যকারিতা:

মধু এবং চিনি পিঁপড়াকে আকর্ষণ করে। বোরিক পাউডারের উপাদান পিঁপড়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে থাকে। এই স্প্রেটি আপনার বাগানের পিঁপড়া মারতেও সাহায্য করবে।

বিকেলের নাস্তায় ঝটপট ইটালিয়ান ডেজার্ট

ranna banna o beauty tips
ইটালিয়ান ডেজার্ট
পুডিং আমাদের সবার বেশ পছন্দ। দুধ, ডিম ছাড়া পুডিং তো চিন্তাই করা যায় না। অনেকে আবার দুধ দিয়ে পুডিং তৈরি করে থাকে। ইটালিতে এক ধরণের খাবার আছে যা শুধু ক্রিম দিয়ে তৈরি করা হয়। পুডিং এর স্বাদ পেতে এই খাবারটি তৈরি করে নিতে পারেন। হঠাৎ ঘরে মেহমান চলে এসেছে? ঝটপট পরিবেশন করতে পারেন এই ইটালিয়ান খাবারটি।
উপকরণ:
৪০০ মিলিগ্রাম হুইপড ক্রিম
২ টি জেলাটিন শিট
২ টেবিল চামচ চিনি
২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
২৫০ গ্রাম চেরি জ্যাম
চেরি সাজানোর জন্য
প্রণালী:
১। প্রথমে একটি পাত্রে জেলাটিন ভিজিয়ে রাখুন।
২। একটি পাত্রে হুইপড ক্রিম মাঝারি আঁচে চুলায় দিয়ে দিন। গরম হওয়া পর্যন্ত হুইপড ক্রিম নাড়তে থাকুন।
৩। এরপর চুলা থেকে ক্রিম নামিয়ে এতে চিনি, ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
৪। এখন জেলাটিন গরম ক্রিমের মিশ্রণের সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৫। ছোট ছোট কাপ বা বাটিতে এটি ঢেলে ফ্রিজে কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা রেখে দিন।
৬। জমে গেলে ফ্রিজ থেকে বের করে একটি গরম পানির পাত্রে রেখে দিন।এতে সহজে পাত্র থেকে প্যানা কোটা বের হয়ে আসবে।
৭। চেরি সস তৈরির জন্য চেরির জ্যাম মাইক্রোওয়েভে ৩০ সেকেন্ড গরম করে নিন। সামান্য গরম পানি মিশিয়ে চেরির জ্যামটি পাতলা করে ফেলুন।
৮। এবার পরিবেশন পাত্রে প্যানা কোটা ঢেলে তার চারপাশে চেরি সস দিয়ে দিন। উপরে এক টুকরো চেরি দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন।
৯। ব্যস তৈরি হয়ে গেল ইটালিয়ান প্যানা কোটা।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

তোভার ডাল

ranna banna o beauty tips
তোভার ডাল
নিত্যদিনের খাবারগুলোর মধ্যে ডাল অন্যতম। অনেকেই ডাল ছাড়া খাবার খেতেই পারেন না। সাধারণত মসুরির ডালটা বেশি রান্না  করা হয়। অনেকে মুগ ডাল রান্না করে থাকেন মসুরি ডালের পরিবর্তে। অড়হর ডাল ঝামেলার কারণে অনেকেই রান্না করতে চান না। অথচ এই ডাল খেতে কিন্তু দারুণ। ভারতে গুজরাটে এই অড়হর ডাল দিয়ে একটি রান্না করা হয় "তোভার ডাল"। ভাত, রুটি সবকিছুর সাথে খেতে দারুন লাগে এই খাবারটি।
উপকরণ:
১/২ কাপ অড়হর ডাল
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ টি কাঁচা মরিচ
১/৪ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ কাপ টমেটো কুচি
১/৪ কাপ গুঁড়
লবণ স্বাদমত
১ টেবিল চামচ তেল
১ চা চামচ সরিষা
১/২ চা চামচ জিরা
২টি লবঙ্গ
১ টি ছোট দারুচিনি
৪-৫টি কারি পাতা
১/৪ চা চামচ হিং
১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ লেবুর রস
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

প্রণালী:
১। অড়হরের ডাল ১.৫ কাপ পানি দিয়ে প্রেশার কুকারে দিয়ে দিন। ৩টি শিষ দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সিদ্ধ হয়ে এলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলে ফেলুন।
২। রান্না করা ডালের সাথে ১ কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৩। এবার একটি প্যানে ব্লেন্ড করা ডাল, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ, আদা, টমেটো, গুঁড়, ১.৫ কাপ পানি এবং লবণ দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন।
৪। ডাল মাঝে মাঝে নাড়ুন।
৫। এখন আরেকটি প্যানে তেল গরম হয় এলে সরিষা, জিরা দিয়ে দিন। জিরা ফুটে আসলে এতে লবঙ্গ, দারুচিনি, কারি পাতা দিয়ে মাঝারি আঁচে কয়েক সেকেন্ড ভাঁজুন।
৬। এটি ফুটন্ত ডালে এটি দিয়ে দিন। এর সাথে হিং, মরিচ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে ৪ থেকে ৫ মিনিট রান্না করুন।
৭। সবশেষে লেবুর রস এবং ধনে পাতা কুচি দিয়ে ১-২ মিনিট নেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
৮। ভাত অথবা রুটির সাথে পরিবেশন করুন মজাদার তভার ডাল।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে


শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০১৬

স্ট্রবেরি জ্যাম

ranna banna o beauty tips
স্ট্রবেরি জ্যাম
আজকাল বাজারে একটি ফল খুব দেখা যায়, তা হল স্ট্রবেরি। মজাদার এই ফলটি দিয়ে নানা রকম খাবার তৈরি করা যায়। আইসক্রিম থেকে শুরু করে কেক পর্যন্ত সব রকম খাবার তৈরি করা যায় এই ফলটি দিয়ে। সকালের নাস্তায় রুটির সাথে জ্যাম খুব পরিচিত। কিন্তু বাজারের একই স্বাদের জ্যাম কত আর খাওয়া যায়! এরচেয়ে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার টক-মিষ্টি স্ট্রবেরি জ্যাম। অল্প কিছু উপাদান দিয়ে খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারেন এই জ্যামটি।
উপকরণ:
২ পাউন্ড স্ট্রবেরি
৪ কাপ চিনি গুঁড়ো
৩টি লেবুর রস
প্রণালী:
১। প্রথমে স্ট্রবেরি ভাল করে ধুয়ে মুখ কেটে নিন।
২। এবার একটি পাত্রে স্ট্রবেরিগুলো নিয়ে ভাল করে ম্যাশ করে নিন। ৪ কাপ পরিমাণে স্ট্রবেরি ম্যাশ করে নিন।
৩। একটি প্যানে ম্যাশ করা স্ট্রবেরি, চিনি এবং লেবুর রস দিয়ে চুলা দিয়ে দিন।
৪। অল্প আঁচে মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন, যতক্ষণ না চিনি গলে মিশে যায়।
৫। চিনি গলে গেলে চুলার তাপ বাড়িয়ে দিয়ে বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৬। মিশ্রণটি ঘন হওয়া অর্থ্যাৎ ২২০ ডিগ্রী ফারেনহাইট অথবা ১০৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছানো পর্যন্ত জ্বাল দিন।
৭। এবার ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে জ্যাম জারে ঢেলে দিন।
৮। গরম জ্যাম ঠান্ডা করে সংরক্ষণের জন্য একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি নিয়ে এতে জ্যামের জারগুলো রেখে দিন।
৯। যদি সাথে সাথে জ্যাম না খান, তবে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

ক্যারট রোল কেক

ranna banna o beauty tips
ক্যারট রোল কেক
মজাদার একটি সবজি গাজর। সালাদ, রান্না করা ছাড়াও এই গাজর দিয়ে তৈরি করা যায় মজার মজার সব খাবার। সাধারণত গাজরের হালুয়া, গাজরের পায়েস, গাজরের লাড্ডু বেশ পরিচিত। কিন্তু এই গাজর দিয়ে এক প্রকার কেক তৈরি করা হয়, যা ক্যারট কেক নামে পরিচিত। গাজর দিয়ে কেক অনেকই তৈরি করে থাকেন। ক্যারট কেক রোল একটু ভিন্ন ধরণের, ভিন্ন স্বাদের হয়ে থাকে।
উপকরণ:
কেক তৈরির জন্য
৩টি ডিম
২/৩ কাপ চিনি
১/২ চা চামচ লবণ
১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
২ টেবিল চামচ তেল
১ টেবিল চামচ লেবুর রস
২ কাপ গাজর কুচি
৩/৪ (১০০গ্রাম) কাপ ময়দা  
১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার
১/২ চা চামচ বেকিং সোডা
২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
১ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ চা চামচ জয়ফল গুঁড়ো
ফিলিং তৈরির জন্য
১ কাপ (২৪০ মিলিগ্রাম) ক্রিম
৮ আউন্স( ২৫০ গ্রাম) চিজ
১/২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
১/২ কাপ(৬০ গ্রাম) চিনির গুঁড়ো
১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
প্রণালী:
১। প্রথমে ওভেন ৩৫০ ফারেনহাইট অথবা ১৮০ সেলসিয়াসে প্রিহিট করে নিন।
২। একটি পাত্রে ডিম, চিনি, লবণ এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভাল করে বিট করে নিন। হলুদ রঙের ফেনা না উঠা পর্যন্ত বিট করতে থাকুন।
৩। এরপর এতে তেল দিয়ে আবার বিট করুন। গাজর কুচি এবং লেবুর রস দিয়ে আবার বিট করুন।
৪। এবার ময়দা, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, দারুচিনি গুঁড়ো, আদা কুচি এবং জয়ফল গুঁড়ো গাজরের সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ভাল করে ময়দা মিশিয়ে নিবেন। অনেক সময় গাজর নরম হয়ে যেতে পারে অথবা বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে। নরম হয়ে গেলে এতে ১/২ কাপ অথবা ১/৪ কাপ ময়দা মিশিয়ে নিতে পারেন।
৫।  এখন বেকিং পাত্রে মাখন লাগিয়ে নিন। এরপর উপর বেকিং পেপার দিয়ে চিনি ছিটিয়ে নিন। তারপর কেকের মিশ্রণটি দিয়ে ১৫ মিনিট বেক করুন।
৬। কেকটি রোল করার জন্য একটি কিচেন টাওয়েলের উপর চিনি ছিটিয়ে কেকটি রাখুন। কেকের উপর চিনি ছিটিয়ে রোল করুন।
৭। ক্রিম বিটার দিয়ে বিট করে নিন। আরেকটি পাত্রে চিজ, চিনির গুঁড়ো, দারুচিনি এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে বিট করে নিন। ক্রিমের সাথে এই মিশ্রণটি মিশিয়ে ফেলুন।
৮। রোল করা কেকটির ভাঁজ খুলে এর মাঝে ক্রিমের মিশ্রণটি দিয়ে দিন।
৯। এখন রোল করা কেকটি ফ্রিজে সারা রাত অথবা কয়েক ঘণ্টা রাখুন।
১০। উপরে চিনির গুঁড়ো ছিটিয়ে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের মজাদার ক্যারট কেক রোল।
টিপস:
১। আপনি চাইলে ফিলিংটা বাদ দিয়ে শুধু ক্যারট কেক তৈরি করে নিতে পারেন।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

নাশতায় মশলাদার মাশরুম ঝাল ফ্রেজি

ranna banna o beauty tips
মাশরুম ঝাল ফ্রেজি
যে কোনো সময়ের নাশতায় সব্জির তরকারি দিয়ে রুটি বা পরোটা খাওয়াটা যেমন সুস্বাদু, তেমনি বেশি স্বাস্থ্যকরও বটে। কিন্তু এই সবজি রান্নাও একটা সময়ে একঘেয়ে হয়ে পড়ে। পরোটা বা রুটির সাথে স্বাস্থ্যকর এবং একই সাথে নতুন কিছু খেতে চাইলে তৈরি করে ফেলতে পারেন মাখা মাখা মশলাদার মাশরুম ঝাল ফ্রেজি। কোনো রকমের প্রোটিন ছাড়াই এই রান্নাটি হবে ভীষণ সুস্বাদু। চাইলে ভাত বা ফ্রাইড রাইসের সাথেও খেতে পারেন যে কোনো বেলায়।

উপকরণ
- ২০০ গ্রাম মাশরুম, বড় কিউব করে কাটা
- ২ টেবিল চামচ মাখন
- ১ টেবিল চামচ তেল
- ১ চা চামচ জিরা
- ১টা মাঝারি পিঁয়াজ কুচি
- ১টা মাঝারি পিঁয়াজ কিউব করে কাটা
- ১ কাপ বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম কিউব করে কাটা
- ২ চা চামচ কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো
- ২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- লবণ স্বাদমতো
- কাঁচামরিচ কুচি স্বাদমতো
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ২ ইঞ্চি পরিমাণ আদা লম্বা কুচি করে কাটা
- সিকি চামচ আদা বাটা
- ১ কোয়া রসুন কুচি করা
- ১টা টমেটো
- ১ চা চামচ ধনেপাতা কুচি
- লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
- ৩ টেবিল চামচ হেভি ক্রিম

প্রণালী
১) একটা প্যান মাঝারি আঁচে গরম করে নিন। এতে মাখন এবং তেল দিন। মাখন গলে গিয়ে তেলটা গরম হয়ে ফেনা উঠবে। এ সময়ে দিয়ে দিন জিরা। এগুলো ফুটে উঠলে দিয়ে দিন পিঁয়াজ কুচি। এতে লবণ, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ঢেকে কম আঁচে রান্না হতে দিন যতক্ষণ না পিঁয়াজ লালচে হয়ে আসে। ৫ মিনিটে হয়ে যাবার কথা।
২) টমেটোটাকে কেটে টুকরো করে নিন। এবার আদা বাটা এবং রসুন কুচির সাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে পিউরি করে নিন এটাকে। মিহি পিউরি হয়ে গেলে বের করে ঢেলে রাখুন একটা বাটিতে।
৩) এবার চুলায় রাখা প্যানের ঢাকনা খুলে চেক করুন। এতে দিয়ে দিন কিউব করা পিঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, মাশরুম এবং লম্বা করে কাটা আদা। এগুলোর ওপরে দিয়ে দিন টমেটো পিউরি, কাঁচামরিচ, অল্প করে লবণ, কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো, গরম মশলা এবং ধনে গুঁড়ো। সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা চাপা দিয়ে ৫-১০ মিনিট রান্না করুন যতক্ষণে মাশরুম নরম হয়ে আসে।
৪) ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে চেক করুন রান্না হয়েছে কিনা। হয়ে গেলে এতে হেভি ক্রিম দিয়ে দিন। এর ওপরে লেবুর রস এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন এবং আরও মিনিটখানেক রান্না হতে দিন। এরপর নামিয়ে নিন।
গরম গরম পরিবেশন করুন রুটি, পরোটা বা নানের সাথে। 

ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১৬

কোল্ড কফি তৈরির সহজ রেসিপি

ranna banna o beauty tips
কোল্ড কফি তৈরির সহজ রেসিপি
ক্লান্তি, ঘুম দূর করতে কফির তুলনা নেই। এই গরমে প্রাণ জুড়াতে কোল্ড কফি অতুলনীয়। অনেকের পছন্দের পানীয় তালিকায় কোল্ড কফির নাম থাকে সবার প্রথমে। ঘরে কোল্ড কফি তৈরি করলে কেন জানি দোকানের মত হয় না। আবার অনেকে মনে করেন দোকানের মত কফি তৈরি করার জন্য কফি মেকারের প্রয়োজন পড়ে। এখন ঘরে তৈরি করে নিতে পারবেন দোকানের মত কোল্ড কফি তাও কফি মেকার ছাড়া!
উপকরণ:
৪ টেবিল চামচ কফি পাউডার
৪ কাপ ঠান্ডা দুধ
৩/৪ কাপ চিনির গুঁড়ো
৫ থেকে ৬ টি বরফ কুচি
চকলেট সস ( সাজানোর জন্য)
৪ চা চামচ চকলেট সস

প্রণালী:
১। প্রথমে একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ কুসুম গরম পানির সাথে কফির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
২। এবার ব্লেন্ডারে দুধ, কফির মিশ্রণ, চিনি এবং বরফের টুকরো দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৩। ফেনা না উঠা পর্যন্ত ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করতে থাকুন।
৪। এবার কফির কাপে অথবা গ্লাসের গায়ে চকলেট সস দিয়ে গ্লাসটি ঘুরিয়ে গায়ে লাগিয়ে নিন।
৫। ১ চা চামচ চকলেট সস গ্লাসের নিচে দিয়ে ঘুরিয়ে নিন।
৬। এভাবে ৩ থেকে ৪ বার করুন।
৭। এরপর কফি ঢেলে দিন।
৮। কফির উপর এক টুকরো আইসক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ক্লোড কফি।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

গোলাপ পিঠা

ranna banna o beauty tips
গোলাপ পিঠা
পিঠা পুলির দেশ বলা হয় বাংলাদেশকে। নানা স্বাদের নানারকম পিঠা তৈরি করে হয় এখানে। এর মধ্যে গোলাপ পিঠা অন্যতম। গোলাপের আকৃতিতে তৈরি করা হয়, বিধায় এই পিঠার নাম গোলাপ পিঠা। তুরস্কে এই গোলাপ পিঠাটি একটু ভিন্নভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। সুজি দিয়ে তৈরি করা যায় এই মজাদার পিঠাটি। তাহলে জেনে নেওয়া গোলাপ পিঠা তৈরির ভিন্ন রেসিপিটি।
উপকরণ:
১.৫ কাপ ময়দা
৩ কাপ চিনি
১ কাপ সুজি
১ কাপ টকদই
১/২ কাপ গলানো মাখন
১/২ কাপ তেল
২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স বা ভ্যানিলা পাউডার
২ চা চামচ বেকিং পাউডার
২০-২৫টি কাঠবাদাম
১/২ টা লেবুর রস
প্রণালী:
১। প্রথমে পানি এবং চিনি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।
২। পানি এবং চিনি গলানো হয়ে গেলে ময়লা কাটানোর জন্য লেবুর রস দিয়ে দিন। এতে করে চিনির ময়লা দূর হয়ে যাবে।
৩। প্রথমে একটি পাত্রে গলানো মাখন, তেল, টকদই, সুজি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিন।
৪। তারপর এতে অল্প করে ময়দা মেশাতে থাকেন। ভ্যানিলা এসেন্স এবং বেকিং পাউডার ডো তে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৫। বাকী ময়দা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৬। এবার ডোটি প্লাস্টিকের প্যাকেট দিয়ে ঢেকে ১৫ মিনিট গরম স্থানে রেখে দিন।
৭। এখন ডোটি চার টুকরো করে নিন।
৮। একটি ডো নিয়ে ৩ মিলিমিটার পুরু করে রুটি বেলে নিন।
৯। একটি গ্লাস দিয়ে ৫টি রুটি কেটে নিন। এবার পাঁচটি গোল রুটি একটি অপরটির নিচে নিচে (ভিডিও এর মত করে) সাজিয়ে নিন। প্রথম থেকে রোল করে শেষ পর্যন্ত নিয়ে নিন। দেখবেন গোলাপ আকৃতি হয়ে গেছে। শেষের অংশটুকু ছুরি দিয়ে কেটে ফেলুন।  
১০। গোলাপ পিঠার উপর একটি করে কাঠবাদাম দিয়ে দিন।
১১। ওভেন ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অথবা ৩৬০ ডিগ্রী ফারেনহাইটে প্রি হিট করে নিন।
১২। প্রি হিট ওভেনে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট বেক করুন।
১৩। এবার বেক করা পিঠাগুলোর উপর চিনির সিরা দিয়ে দিন।
১৪। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার গোলাপ পিঠা।
টিপস:
১। ওভেনের পরিবর্তে তেল গরম করে ভেজে নিতে পারেন গোলাপ পিঠা। বাদামী রং হয়ে আসলে চিনির সিরায় দিয়ে দিন।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে


ঝটপট নাশতা মাসালা ম্যাকারনি

ranna banna o beauty tips
ঝটপট নাশতা মাসালা ম্যাকারনি
নুডলস বা ম্যাকারনি দিয়ে পাস্তা রান্না করে খাওয়া হয় হরহামেশাই। কিন্তু এই ম্যাকারনি রান্নায় কখনো গরম মশলা ব্যবহার করেছেন কি? অনেকেই হয়তো ভাবছেন মাংস রান্নার এই উপাদান ম্যাকারনিতে মটেই মানাবে না। চলুন, দেখে নেই এমন একটি ম্যাকারনি রেসিপি যাতে মানিয়ে যাবে গরম মশলার ঝাঁঝালো স্বাদ। সকাল কিংবা দুপুর, যে কোনো সময়ে পেট ভরাতে এই খাবারটি দারুণ।

উপকরণ
- ১টা বড় পিঁয়াজ মিহি কুচি
- পৌনে এক কাপ ক্যাপসিকাম মিহি কুচি
- দেড় কাপ ম্যাকারনি
- ১ টেবিল চামচ তেল
- ২টা টমেটো
- ১ চা চামচ সরিষা
- কয়েকটা কারী পাতা কুচি
- ৩টা কাঁচামরিচ কুচি
- দেড় চা চামচ আদা কুচি
- ১ চা চামচ কাশ্মিরি মরিচের গুঁড়ো
- আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- লবণ স্বাদমতো
- ১ চা চামচ লেবুর রস
- ১ টেবিল চামচ টেমেটো কেচাপ
- ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

প্রণালী
১) মাঝারি আকারের একটা সসপ্যানে ৬ কাপ পানি এবং অল্প করে লবণ দিন। পানি ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত পানিতে ম্যাকারনি দিন। নরম হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। বেশি নরম করবেন না। পানি ঝরিয়ে রাখুন।
২) একটা ব্লেন্ডারে টমেটো ব্লেন্ড করে রাখুন।
৩) মাঝারি আকারের একটি ফ্রাইং প্যান গরম করুন। এতে তেল দিন এবং কিছুটা গরম হতে দিন। সরিষা দিয়ে দিন, এগুলো ফুটতে থাকবে। এরপর আদা, কাঁচামরিচ, কারী পাতা এবং পিঁয়াজ দিন। কয়েক মিনিট সাঁতলে নিন যাতে পিঁয়াজ নরম হয়ে আসে।
৪) পিঁয়াজ নরম হয়ে এলে টমেটো পিউরি দিয়ে দিন। আরও দিন মরিচ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, টমেটো কেচাপ। ভালো করে মিশিয়ে রান্না করুন ৩ মিনিট।
৫) এবার ক্যাপসিকাম দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে নিন। এরপর সেদ্ধ ম্যাকারনি দিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন যাতে পুরো মশলা মেখে যায় এতে। এরপর লেবুর রস এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিন। মিশিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। পরিবেশন করুন গরম গরম।

ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিও

মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১৬

দোকানের মত পারফেক্ট জিলাপি তৈরির পদ্ধতিটি আপনি জানেন কি?

ranna banna o beauty tips
জিলাপি তৈরির পদ্ধতি
বাঙ্গালী মাত্রই মিষ্টি পছন্দ করে। রসগোল্লা, চমচম, কালোজাম, রসমালাই, সন্দেশ নানা স্বাদের মিষ্টি পাওয়া যায় এই দেশে। এই মজার মজার মিষ্টির মধ্যে জিলাপি অন্যতম। জিলাপি ছোট বড় সবার বেশ পছন্দ। এই মাজাদার মিষ্টিটি ঘরে তৈরি করা গেলে কেমন হয় বলুন তো? দারুন না? আসুন তাহলে জিলাপি তৈরির পারফেক্ট রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ:
১ কাপ ময়দা
২ কাপ চিনি
১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার
১/৪ চা চামচ লেবুর রস অথবা ২-৩টি লেবুর খোসা
১ চিমটি হাইড্রো বা রানক্যাট
তেল
জাফরণ
ফুড কালার
জাফরান অল্প পরিমাণে
১/৩ কাপ পানি
প্রণালী:
১। প্রথমে সিরা তৈরি করার জন্য পানি এবং চিনি চুলায় দিয়ে জ্বাল দিন।
২। কিছুটা ঘন হয়ে আসলে সিরার ময়লা কাটার জন্য ২-৩ টেবিল চামচ দুধ দিয়ে দিন। যদি সিরায় ময়লা না থাকে, তবে দুধ মেশানোর প্রয়োজন নেি।
৩। চিনির ময়লা সিরায় উঠে আসলে চামচ দিয়ে উল্টিয়ে ফেলুন।
৪। এরপর এতে পছন্দমত ফুড কালার যোগ করুন। আপনি চাইলে ফুড কালার ব্যবহার নাও করতে পারেন।
৫। লক্ষ্য রাখবেন চিনির সিরা খুব বেশি ঘন বা পাতলা যেন না হয়।
৬। চিনির সিরার রংটি হালকা সোনালী করার জন্য এতে অল্প পরিমাণে লেবুর রস অথবা লেবুর খোসা দিয়ে দিতে পারেন।
৭। একটি পাত্রে ১/৩ কাপ পানি দিয়ে এতে এক চিমটি হাইড্রো বা র‍্যানক্যাট দিয়ে দিন।
৮। এরপর এতে ময়দা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ভাল করে ময়দা মিশিয়ে নিন। লক্ষ্য রাখবেন পানি যেন খুব বেশি না হয়ে যায়।
৯। ঘন হয়ে গেলে এতে বেকিং পাউডার দিয়ে দিন।
১০। এবার একটি কাগজের কোণ বানিয়ে তাতে জিলাপির ঘোলা দিয়ে দিন।
১১। তেল গরম হয়ে আসলে এতে ঘোলা করে জিলাপি আকৃতি করে দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে জিলাপিগুলো ভাজুন।
১২। জিলাপিগুলো ভাজা হয়ে গেলে সাথে সাথে চিনির সিরায় দিয়ে দিন। তেল থেকে উল্টিয়ে সাথে সাথে চিনির সিরায় দিয়ে দিবেন। দেরী করলে জিলাপি সোনালী রং ধারণ করবে না।
১৩। ব্যস তৈরি হয়ে গেলে দোকানের মত পারফেক্ট জিলাপি।
টিপস:
১। কাগজের কোণ তৈরি করতে না চাইলে বাজারে খালি সসের প্লাস্টিকের বোতল কিনতে পাওয়া যায়। জিলাপির শেইপ তৈরির জন্য সেটি ব্যবহার করতে পারেন।
২। হাইড্রো বা রানক্যাট বা হাইড্রো রানক্যাট যেকোন সুপার শোপগুলতে পাবেন।
রেছিপি টি ভাল্ভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

বুধবার, ২ মার্চ, ২০১৬

ঝাল ঝাল স্বাদে "মাশরুম মাসালা"

ranna banna o beauty tips
ঝাল ঝাল স্বাদে "মাশরুম মাসালা"
প্রচুর প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা স্বাস্থ্যকর একটা খাবার মাশরুম। কিন্তু সাধারণ স্যুপ বা পাকোড়া ছাড়া মাশরুম কী করে রান্না করতে হয় তা অনেকেই জানেন না। আর দেশি খাবারের মতো করে রান্না করা যায় না বলে অনেকেই আগ্রহ দেখান না। আজ দেখে নিন মাশরুম দিয়ে তৈরি ঝাল ঝাল একটা সবজি রেসিপি। একদম দেখি খাবারের মতোই কাঁচামরিচ এবং মশলা দিয়ে রান্না করে ফেলতে পারবেন আপনিও। দেখে নিন সহজ রেসিপিটি।

উপকরণ

- ২৫০ গ্রাম মাশরুম, মোটা করে স্লাইস করা
- সিকি চা চামচ সরিষা
- আধা কাপ টমেটো পিউরি
- ১টা মাঝারি পিঁয়াজ, মিহি কুচি করা
- ২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- ৪টা অথবা স্বাদমতো কাঁচামরিচ, মাঝখান থেকে চেরা
- লবণ স্বাদমতো
- ১ চা চামচ জিরা
- কয়েকটা কারী পাতা
- ১ চা চামচ জিরা গুরপ
- ১ চা চামচ গরম মশলা
- ২ চা চামচ অথবা স্বাদমতো মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ৩ টেবিল চামচ তেল
- ১টা কিউব করা ক্যাপসিকাম
- ২ টেবিল চামচ কুচি করা ধনেপাতা
- ২ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
- লেবুর রস অল্প
- গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- ৩টা রসুনের কোয়া কুচি
- ১ টেবিল চামচ মাখন

প্রণালী

১) একটা প্যান গরম করে এতে দিন দুই টেবিল চামচ তেল। তেল গরম হয়ে এলে এতে দিন সিকি চা চামচ সরিষা। সরিষা ফুটতে শুরু করলে এতে জিরা দিয়ে দিন। এরপর দিন ৪-৫টা কারী পাতা, কাঁচামরিচ, হলুদ গুঁড়ো এবং পিঁয়াজ কুচি। এর ওপর দিন আদা-রসুন বাটা এবগ্ন অল্প করে লবণ। এগুলোকে কষে নিন যতক্ষণ না আদা-রসুন বাটা ভালো করে রান্না হয়ে যায় এবং কাঁচা গন্ধটা চলে যায়। ৫ মিনিটের মতো লাগতে পারে।
২) এই মশলার মাঝে দিন জিরা গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং মরিচ গুঁড়ো। একই সাথে দিয়ে দিন ক্যাপসিকাম এবং টমেটো পিউরি। ভালো করে মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর দিয়ে দিতে পারেন মাশরুমগুলোও। ভালো করে নেড়ে নিন যাতে মাশরুম এবং ক্যাপসিকামে সব মশলা মেখে যায়। ঢেকে রান্না হতে দিন।
৩) মাশরুম এবং ক্যাপসিকাম রান্না হয়ে যাবে ৫ মিনিটের মাঝে। এ সময়ে লবণ চেখে দেখুন। খুব কম আঁচে চুলায় রাখুন তরকারিটা।
৪) এ সময়ে তৈরি করে নিন বাগার দেবার কিছু উপকরণ। ছোট একটা প্যানে মাখন গলিয়ে নিন। গলে গেলে এতে কয়েকটা কাঁচামরিচ, রসুনের কোয়া দিয়ে দিন। সুন্দর একটা ফ্লেভার উঠলে কারী পাতা, ধনেপাতা কুচি, লবণ এবং গোলমরিচ দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে সুগন্ধ উঠলে বুঝবেন এটা তৈরি।
৫) এবার কম আঁচে রাখা মাশরুমের তরকারীর ওপরে এটা ঢেলে মিশিয়ে নিন। নামানোর আগে ওপরে দিয়ে দিতে পারেন টাটকা লেবুর রস।
তৈরি হয়ে গেলো মাশরুম মাসালা। একে পরিবেশন করতে পারেন রুটি, পরোটা এবং নানের সাথে।
রান্নার পুরো প্রণালী টি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

স্পঞ্জ রসগোল্লা

ranna banna o beauty tips
স্পঞ্জ রসগোল্লা
বাঙালি মাত্রই “মিষ্টি” খেতে ভালোবাসে। আর মিষ্টির নাম শুনলে চোখের সামনে ভেসে উঠে গোল গোল রসে টুই টুম্বর রসগোল্লা। ডায়াবেটিসের কারণে অনেকেই রসগোল্লা খেতে পারেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে স্পঞ্জ রসগোল্লা। একটু হালকা মিষ্টি বলে সকলেই এটা খেতে ভালোবাসেন। বাসায় যতই চেষ্টা করেন না কেন দোকানের মত স্পঞ্জ রসগোল্লা কেন জানি হতে চায় না। দোকানের স্পঞ্জ মিষ্টির রহস্যটা তাহলে কি? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক দোকানের স্পঞ্জ মিষ্টির রহস্যটি।

উপকরণ:

১ লিটার দুধ
২ কাপ চিনি
২-৩ টেবিল চামচ লেবুর রস

প্রণালী:

১। চুলায় দুধ গরম করতে দিন। গরম করার সময় বার বার নাড়তে থাকুন।
২। লেবুর রসের সাথে ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে সেটি দুধে দিয়ে দিন।
৩। দুধ ফেটে ছানা হয়ে গেলে একটি পাতলা সুতির কাপড়ে পানি ঢেলে ছেঁকে নিন।
৪। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ছানা ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধু ছানাকে নরম করবে না, লেবুর ময়লাও দূর করে দেবে।
৫। এবার ছানা থেকে ভাল করে পানি বের করে নিন। আরও ভাল করে পানি বের করার জন্য ৩০ মিনিট কাপড়টি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখুন। লক্ষ্য রাখবেন ছানা যেন খুব বেশি ড্রাই না হয়ে যায়।
৬। এখন ১০ কাপ পানিতে দুই কাপ চিনি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।
৭। ছানা কাপড় থেকে বের করে নিয়ে ভাল করে মথে নিন।
৮। লক্ষ্য রাখবেন ছানাতে যেন পানি না থাকে আবার খুব বেশি ড্রাইও যেন না হয়ে যায়।
৯। এবার ছানাগুলো দিয়ে ছোট ছোট রসগোল্লা তৈরি করে নিন।
১০। চিনির সিরা বলক আসলে এতে রসগোল্লাগুলো দিয়ে দিন।
১১। চিনির সিরা প্রেসারে কুকারে করলে উচ্চ তাপে ১৫ মিনিট সময় ঠিক করে নিন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নাড়া দিন। তারপর আবার ঢাকনা দিয়ে দিন।
১২। ১৫ মিনিট পর রসগোল্লাগুলো রসসহ একটি পাত্রে ঢেলে দিন।
১৩। এভাবে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা রেখে দিন।
১৪। ৬-৭ ঘন্টা পর তৈরি হয়ে যাবে নরম নরম স্পঞ্জ রসগোল্লা।
রেছিপি টি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি ভালভাবে দেখতে পারেন 


শিখে নিন মহারাষ্ট্রের এই টমেটো রেসিপিটি

ranna banna o beauty tips
শিখে নিন মহারাষ্ট্রের এই টমেটো রেসিপিটি
শীত শেষ এই সময় টমেটো কিছুটা সস্তা এবং সহজলভ্য। টমেটো কেচাপ, টমেটো চাটনি, টমেটোর টক তৈরির সবচেয়ে ভাল সময় এখন। অনেকেই টমেটো কেচাপ তৈরি করে সংরক্ষণ করে থাকে। এই গরমে  ভাতের সাথে কোন টক জাতীয় খাবার থাকলে খেতে দারুন লাগে। টমেটোর টক অনেকেই অনেকভাবে রান্না করে থাকেন। সঞ্জীব কাপুরের এই টমেটোর টকের একটি ভিন্ন রেসিপি দিয়েছেন। সাধারণত মহারাষ্ট্রে এই রান্নাটি করা হয়ে থাকে।  আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মহারাষ্ট্রের এই  রেসিপিটি।

উপকরণ:
  • ৪টি সিদ্ধ টমেটো
  • ৮-১০ ধনেপাতা
  • ৭-৮টি রসুনের কোয়া
  • ১-২টি কাঁচা মরিচ
  • ১ টেবিল চামচ ঘি
  • ১ চা চামচ সরিষা
  • ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
  • ১ ইঞ্চি আদা
  • ১ চা চামচ জিরা
  • ১ চিমটি হিং
  • ৭-৯ টি কারি পাতা
  • ১ টেবিল চামচ চিনি
  • লবণ স্বাদমত
প্রণালী:
১। প্রথমে ধনেপাতা, রসুনের কোয়া, আদা, কাঁচা মরিচ এবং কিছু পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
২। এবার সিদ্ধ টমেটো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। টমেটো ছেঁকে পিউরি আলদা করে রাখুন।
৩। তারপর টমেটো পিউরি, ধনেপাতা, রসুনের মিশ্রণ এবং পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪। এখন একটি নন-স্টিক প্যানে ঘি দিয়ে দিন। এতে আস্ত সরিষা দিয়ে নাড়ুন।
৫। তারপর এতে জিরা, কারি পাতা, হিং দিয়ে দিন।
৬। এরপর এতে টমেটোর মিশ্রণটি ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ পর এতে চিনি এবং লবণ দিয়ে দিন।
৭। চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ থেকে ৭ মিনিট জ্বাল দিন।  
৮। পাত্রে ঢেকে পরিবেশন করুন মজাদার টমেটো সার।
রেছিপি টি ভালভাবে তৈরি করতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

হট থাই চিকেন উইংস

ranna banna o beauty tips
হট থাই চিকেন উইংস
আজকাল রেস্টুরেন্টে গেলে বাচ্চা থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীরা পর্যন্ত সকলেই একটা খাবার অর্ডার করে থাকেন। আর তা হল চিকেন উইংস। ক্রিপসি, ঝাল, মিষ্টি স্বাদের এই খাবারটি খেতে দারুন। থাই এই খাবারটি আপনি চাইলে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন। খুব সহজে অল্প কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন হট থাই চিকেন উইংস!

উপকরণ:

  • ১.৫ টেবিল চামচ থাই রেড কারী পেস্ট
  • ৮টি মুরগির পাখনা
  • ১ টেবিল চামচ তেল
  • ১ টেবিল চামচ আদা রসুন পেস্ট
  • লবণ স্বাদমত
  • গোল মরিচ গুঁড়ো স্বাদমত
  • ১/২ কাপ ময়দা
  • ১ টি ডিম
  • ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
  • ১ টি পেঁয়াজ কলির কুচি
  • ১ টেবিল চামচ রেড চিলি সস
  • ১ টেবিল চামচ ফিশ সস
  • ১ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
  • ৮-১০টি কচি সিম
  • ৬-৮ টি পুদিনা পাতা

প্রণালী:

১। একটি প্যানে তেল গরম করতে দিন।
২। এবার একটি পাত্রে মুরগির পাখনা আদা রসুনের পেস্ট, লবণ এবং গোল মরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মেরিনেইট করে রাখুন।
৩। ময়দা, লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো, ডিম এবং পানি ভাল করে মিশিয়ে বেটার তৈরি করে নিন।
৪। এখন ময়দার ঘোলাটা মুরিগের পাখনার সাথে মিশিয়ে নিন।
৫। প্যানে তেল গরম হয়ে গেলে এতে মুরগির পাখনাগুলো দিয়ে দিন।
৬। মুরগির পাখনাগুলো বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।
৭। এবার সস তৈরি করার জন্য একটি পাত্রে তেল দিন।
৮। এরপর এতে আদা রসুন কুচি, পেঁয়াজ কলি কুচি, থাই রেড কারী পেস্ট এবং পানি দিয়ে নাড়ুন।
৯। তারপর এতে চিলি সস, ফিশ সস, টমেটো কেচাপ এবং পানি দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন।
১০। ঘন হয়ে আসলে এতে চিকেন উইংসগুলো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
১১।  এতে সিম, পেঁয়াজ কলি কুচি, পুদিনা পাতা কুচি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন।
১২। ধনেপাতা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন উইংস।

কেবল শীতে কেন, বসন্তেও খেয়ে দেখুন হাঁস!

ranna banna o beauty tips
হাঁসের মাংস 
আর কদিন বাদেই কাঠ ফাটা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে জীবন। তাই শীতে যদি হাঁস খাওয়া না হয়ে থাকে, এখনোই সময় হাঁসের মাংস চেখে দেখার।, রেসিপি দিচ্ছেন শারমিন হক।    
উপকরণ -  
  • রাজ হাঁসের মাংস ১ কেজি (পরিমানমত) 
  • পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ 
  • পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ 
  • রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
  • আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
  • টমেটো পিউরি ২ কাপ
  • হলুদ গুঁড়ো ২ চা চামচ (ইচ্ছানুযায়ী বাড়াতে কমাতে পারেন)
  • মরিচ গুঁড়ো ৩ চা চামচ (ইচ্ছানুযায়ী বাড়াতে কমাতে পারেন)
  • ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ - জিরা গুঁড়ো ১চা চামচ
  • দারুচিনি ৩ টুকরা
  • এলাচ ৩ টুকরা
  • তেজপাতা ১টা
  • টমেটো কুচি ২ কাপ
  • লবণ (পরিমানমত)
  • কাচাঁ মরিচ ফালি ৪ টা
  • আস্ত কাচাঁ মরিচ ৮টা   


প্রস্তুত প্রনালী  
-একটা ডিসে কাচাঁ মরিচ বাদে সব মশলা দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে। 
 -এবার ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে।  
-১৫ মিনিট পর প্রেশার কুকারে দিয়ে কষাতে হবে।কষানো হলে তাতে রাজ  হাসেঁর মাংশ দিয়ে আবার কষাতে হবে। 
-পানি কমে গেলে একটু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন।কিছুক্ষণ পর ঢাকনা তুলে দেখুন। পানি কমে গেলে আবার পানি দিয়ে দিন।পানি কমে মাংস সিদ্ধ হলে তাতে আস্ত কাচাঁ মরিচ দিয়ে দিন।  ঝোল মাখা মাখা হলে ফালি করা কাচাঁ মরিচ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে গরম ভাত বা পোলাওর সাথে পরিবেশন করুন।    

টিপস হাসেঁর মাংস একটু বেশি কষাতে হয়। সাথে মশলাটাও ভাল করে কষাবেন মাংশ দেয়ার আগে। হাসেঁর মাংশ যত কষাবেন তত মজা হবে। 

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

পাঙ্গাস মাছ দিয়েই তৈরি করুন মজাদার ফিশ ফিঙ্গার

ranna banna o beauty tips
পাঙ্গাস মাছ দিয়েই তৈরি করুন মজাদার ফিশ ফিঙ্গার
চাষের পাঙ্গাস মাছটা খেতে চান না অনেকেই এর বাজে গন্ধের কারণে। কিন্তু এই চাষের পাঙ্গাস দিয়েই বানানো যায় দারুন মজার ফিঙ্গার। চলুন, আজ বীথি জগলুলের রেসিপি জেনে নেয়া যাক।

যা প্রয়োজনঃ
  • মাছের পেটি- ৫/৬ টুকরা
  • মাঝারি আলু-২টি
  • আদা বাটা- ২ চা চামচ
  • রসুন বাটা- ১ চা চামচ
  • জিরা বাটা- ১/২ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া-- ১/২ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া-- ২ চা চামচ
  • গরম মসলা গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • কাবাব মসলা- ১ চা চামচ
  • লেবুর রস- ১ চা চামচ
  • ধনেপাতা কুচি- ইচ্ছামতো
  • গোলমরিচ গুঁড়া- স্বাদমতো
  • লবণ- স্বাদমতো
  • ফেটানো ডিম- ১টি
  • ব্রেডক্রাম্বস/বিস্কিটের গুঁড়া- যা লাগে
  • তেল- ভাজার জন্যে

যেভাবে করবেন
-আদা-রসুন-জিরা বাটা, হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মাছ ও আলু সেদ্ধ করে নিন। মাছের কাঁটা বেছে আলুর সাথে চটকে রাখুন। 
-এবার ব্রেডক্রাম্বস, ডিম ও তেল ছাড়া অন্য উপকরণগুলি মাছের সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। আঙুলের আকারে বানিয়ে নিন। 
-সব বানানো হলে ফেটানো ডিমে চুবিয়ে বিস্কিটের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিন। মাঝারি আঁচে তেল গরম করে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে নিন।
-গরম গরম পরিবেশন করুন সস দিয়ে অথবা পোলাও দিয়েও পরিবেশন করতে পারেন।


ভ্যালেন্টাইন’স ডে রেসিপি: প্যানা কোটা উইথ স্ট্রবেরি সস

ranna banna o beauty tips
প্যানা কোটা উইথ স্ট্রবেরি সস
ভ্যালেন্টাইন’স ডে আসছে। এই দিনে প্রিয়জনকে নানান রকমের উপহার দেই আমরা। ভাবুন তো, দোকান থেকে কিনে আনা উপহারের চাইতে নিজের হাতে তৈরি উপহার বেশি ভালোবাসা প্রকাহস ক্রএ, তাই না? সেই ভাবনা যদি আপনার মাঝেও থাকে, তবে আপনি তৈরি করে ফেলতে পারেন ভ্যালেন্টাইন’স ডে’র এই বিশেষ ডেজার্ট। সবচাইতে ভালো ব্যাপার হলো, এই ডেজার্ট তৈরিতে দরকার হবে না কোনো বেকিং। রেসিপি অনুসরণ করলে নিতান্ত আনাড়ি রাঁধুনিও এটি তৈরি করতে পারবেন। চলুন, দেখে নিই রেসিপিটি।
উদাহরণ

প্যানা কোটার জন্য
-   ১ টেবিল চামচ পানি
-   দেড় চা চামচ জেলাটিন
-   আধা কাপ ক্রিম
-   ৩ টেবিল চামচ ম্যাপল সিরাপ
-   ৩ টেবিল চামচ ক্যাস্টর সুগার
-   সিকি কাপ হোয়াইট চকলেট চিপস
-   ১ কাপ বাটারমিল্ক
স্ট্রবেরি সসের জন্য
-   ১২টা স্ট্রবেরি, টুকরো করে কাটা
-   ৪ টেবিল চামচ ক্যাস্টর সুগার
-   ১ চা চামচ লেবুর রস
-   ডেকোরেশন তৈরির জন্য কিছুটা চিনি
প্রণালী

১) পানিতে জেলাটিন ভিজিয়ে রাখুন।
২) একটা সসপ্যানে ক্রিম, ম্যাপল সিরাপ, ক্যাস্টর সুগার, হোয়াইট চকলেট চিপস দিয়ে দিন এবং কম আঁচে গরম করুন।
৩) একটা বিটার বা হুইস্ক দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না চকলেট চিপস গলে মিশে যায়।
৪) এরপর ভেজানো জেলাটিন এতে দিয়ে দিন এবং আবারো নেড়ে মিশিয়ে নিন।
৫) বাটারমিল্ক দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
৬) এবার ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে মিশিয়ে নিন। ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন যাতে একদম মসৃণ একটা তরল পাওয়া যায়।
৭) ১৫ মিনিট বাইরে রেখে ঠাণ্ডা করুন। এরপর ১৫ মিনিটের জন্য ফ্রিজে ঠাণ্ডা হতে দিন।
৮) এবার স্ট্রবেরি সস তৈরির পালা। একটা গরম নন-স্টিক প্যানে স্ট্রবেরি এবং ক্যাস্টর সুগার দিয়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন। এটা রান্না করতে থাকুন যতক্ষণ না চিনি গলে যায় এবং স্ট্রবেরি নরম হয়ে আসে। তবে চিনি যেন পুড়ে ক্যারামেলাইজড হয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। এরপর লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিন এবং নামিয়ে নিন।
৯) এবার ভ্যালেন্টাইন’স ডে এর জন্য কিছু ডেকোরেশন তৈরির পালা। চিনি গলিয়ে নিন একটা নন-স্টিক প্যানে। একটা ট্রে-তে বাটার পেপার নিয়ে তার ওপরে ডিজাইন করে ঢেলে নিন চিনি। এটাকে ঠাণ্ডা হতে দিন, ঠাণ্ডা হলে সেট হয়ে যাবে। সেট হয়ে গেলে কাগজটা উল্টে খুলে নিন ডেকোরেশনগুলো।
এবার প্যানা কোটার বাটিতে স্ট্রবেরি এবং ডেকোরেশন পিস দিয়ে সাজিয়ে নিন। পরিবেশন করুন স্ট্রবেরি সস দিয়ে।

রান্নার পুরো প্রণালীটি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

নরম মোলায়েম অরেঞ্জ কেক

ranna banna o beauty tips
নরম মোলায়েম অরেঞ্জ কেক
একটু ভিন্ন স্বাদের কেক তৈরি করতে চান? দেখে নিন বীথি জগলুলের এই রেসিপিটি।

যা প্রয়োজন
ময়দা- ১ কাপ
বিপি- ১ চা চামচ
গুঁড়া দুধ- ১/২ কাপ
চিনি- ১/২ কাপ
চিনি গুঁড়া হলে- ১ কাপ
বাটার- ৫০ গ্রাম
ডিম- ২ টা
লিকুইড দুধ- ১ কাপ
অরেঞ্জ জুস- ১/২ কাপ
অরেঞ্জ জেস্ট- ১ চা চামচ
লেমন জুস- ১ চা চামচ

যেভাবে করবেন
-ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করে নিন। সাদা অংশ ফোম করে নিন। 
-ময়দা, বিপি ও গুঁড়া দুধ একসাথে মিশিয়ে রাখুন। বাটার গলিয়ে নিয়ে তার সাথে চিনি বিট করে নিন। 
-মসৃণ করে বিট করা হলে একে একে কুসুম, ময়দার মিশ্রণ, অরেঞ্জ-লেমন জুস, যেস্ট ও লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ভালো করে বিট করে নিন। 
-সবশেষে এই মিশ্রণের সাথে চামচ দিয়ে ফোল্ড করে করে ডিমের সাদা ফোম মিশিয়ে নিন। বেকিং ডিশে বাটার অথবা ঘি ব্রাশ করে ব্যাটার ঢেলে প্রি-হিটেড ওভেনে ১৬০ ডিগ্রি সে তাপমাত্রায় ৩০-৪০ মিনিট বেক করে নিন। 
-সময় শেষ হলে একটি কাঠি ঢুকিয়ে দেখে নিন কাঁচা রয়েছে কিনা। সেক্ষেত্রে সময় আর একটু বাড়িয়ে দেবেন। হয়ে গেলে কেক পুরোপুরি ঠান্ডা করে সারভিং ডিশে উল্টিয়ে বের করে নিন।
-ছুরি দিয়ে কেটে পরিবেশন করুন দারুন মজার অরেঞ্জ কেক।

ভাতের সাথে পেঁয়াজ কলি দিয়ে টমেটো ভুনা

ranna banna o beauty tips
ভাতের সাথে পেঁয়াজ কলি দিয়ে টমেটো ভুনা
বাজারে এখন মিলছে প্রচুর পরিমাণে টমেটো। এই টমেটো আমরা নানান তরকারির স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করি। কিন্তু চলুন, আজ জেনে নিই কেবল টমেটো দিয়েই একটি খাবার তৈরির রেসিপি। মজাদার রেসিপিটি দিচ্ছেন ইসরাত জাহান বিথী।

উপকরণ -
পাকা টমেটো -বড় ২/৩ টি (মোটা করে কুচি করা )
পেঁয়াজ কুচি - আধা কাপ
কাঁচা মরিচ ফালি করে কাটা -২-৩ টি
আস্ত জিরা - আধা চা চামচ থেকে একটু কম 
হলুদ গুঁড়ো - আধা চা চামচ 
মরিচ গুঁড়ো -১ চা চামচ (কম,বেশি দেয়া যাবে )
জিরা গুঁড়ো -আধা চা চামচ 
লবণ -স্বাদমত 
চিনি - ১ চিমটি 
তেল - ৪ টেবিল চামচ 
পিঁয়াজ কলি -আধা কাপ (১ ইঞ্চি লম্বা করে কাটা )
ধনে পাতা কুচি - ১ টেবিল চামচ

প্রণালী -
-কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে প্রথমে আস্ত জিরার ফোড়ন দিতে হবে। 
-তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে হবে। 
-পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে হলুদ, মরিচ, জিরার গুঁড়ো, লবণ ও অল্প পানি দিয়ে মশলা ভালো করে কষাতে হবে। 
-মশলা কষে তেল উপরে আসলে টমেটো কুচি দিয়ে ৪-৫ মিনিট ভাজতে হবে। তারপর অল্প আঁচে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে। 
-টমেটোর পানি শুকিয়ে,টমেটো প্রায় গলে আসলে, কাঁচা মরিচ ফালি, পিঁয়াজ পাতা ও চিনি দিয়ে আরো ২ মিনিট রান্না করতে হবে। 
-তেল উপরে উঠে আসলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলত হবে। এই টমেটো ভুনা গরম ভাত ,পোলাও ও রুটির সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে।


দারুণ সুস্বাদু খাবার মিটবল ইন নুডলস নেস্ট

ranna banna o beauty tips
মিটবল ইন নুডলস নেস্ট
সাধারণ মিটবল তো অনেক খাওয়া হলো। চলুন এবার নতুন কিছু করা যাক? রসালো মিটবলের সাথে ক্রিস্পি নুডলসের দারুণ এক সমন্বয় পাওয়া যাবে এই মিটবল ইন নুডলস নেস্ট খাবারটিতে। তৈরি করতে সময়টাও লাগবে অনেক কম। দেখে নিন রেসিপিটি।

উপকরণ

-   ১ কাপ মুরগীর মাংসের কিমা
-   ১ কাপ সেদ্ধ নুডলস
-   আধা চা চামচ শুকনো মরিচ
-   লবণ স্বাদমতো
-   ১ টেবিল চামচ+ ওপরে ছেটানোর জন্য কর্ন ফ্লাওয়ার
-   ২ টেবিল চামচ রসুন কুচি
-   ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা, কুচি করা
-   ২-৩টা টাটকা লাল মরিচ, কুচি করা
-   ১ টেবিল চামচ পিঁয়াজকলি কুচি
-   ২ টেবিল চামচ+ ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
-   ১ ইঞ্চি সেলেরি কুচি করা
-   ১ টেবিল চামচ লাল মরিচ বাটা
-   ১ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
-   আধা চা চামচ সয়াসস

প্রণালী

১) ওভেন ১৮০ ডিগ্রিতে প্রিহিট করে রাখুন।
২) একটা বোলে সেদ্ধ নুডলস নিন। এতে শুকনো মরিচ, লবণ এবং কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এক টেবিল চামচ তেল দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৩) মাফিনের ছোট ছোট সিলিকন ছাঁচে আলাদা করে নিন নুডলস। মাঝখানে একটু করে গর্ত করে রাখুন। মাফিনের ছাঁচগুলো বেকিং ট্রেতে রেখে ওভেনে দিন এবং ১৫-২০ মিনিট বেক হতে দিন।
৪) কিমা, ১ টেবিল চামচ আদা, রসুন, মরিচের অর্ধেকটা এবং পিঁয়াজকলির অর্ধেকটা মিশিয়ে নিন একটা বোলে।
৫) কড়াইতে বেশি করে তেল গরম করে নিন।
৬) হাতের তালুতে অল্প করে তেল  মাখিয়ে নিন। এরপর কিমার মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট বল গড়ে নিন।
৭) একটা পাত্রে অল্প করে কর্ন ফ্লাওয়ার নিয়ে লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। এতে মিটবলগুলোকে গড়িয়ে নিন। এরপর ডিপ ফ্রাই করে নিন। সোনালি হয়ে এলে উঠিয়ে তেল ঝরিয়ে নিন।
৮) আরেকটি কড়াইতে ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে নিন এতে দিন বাকি রসুন, আদা, সেলেরি এবং মরিচ। এক মিনিট সাঁতলে নিন। এরপর মরিচ বাটা দিয়ে আরও এক মিনিট সাঁতলে নিন। এরপর টমেটো কেচাপ দিন। মিশিয়ে নিন এবং রাখুন ৩০ সেকেন্ড। কিছু পানি দিয়ে মিশিয়ে আরও ৩০ সেকেন্ড থাকুন। এরপর সয়াসস দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর মিটবল দিয়ে রান্না করুন এক মিনিট।
৯) এ সময়ের মাঝে নুডলস নেস্ট হয়ে যাবে। এগুলোকে মাফিনের ছাঁচ থেকে ঠাণ্ডা করে খুলে নিন।
এবার পরিবেশনের পালা। প্লেটে একটা করে নুডলস নেস্ট রেখে তার মাঝে একটা করে মিটবল দিয়ে দিন। ওপরে পিঁয়াজকলি কুচি দিয়ে সার্ভ করুন গরম গরম!

রান্নার পুরো প্রণালী টি দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখুন 

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.