বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৬

আইলাইনারের নজরকাড়া নতুন ২৩টি স্টাইল শিখে নিন

ranna banna o beauty tips
আইলাইনারের নজরকাড়া নতুন ২৩টি স্টাইল
প্রত্যেক নারীর পছন্দের অন্যতম একটি প্রসাধনী হল আইলাইনার। অনেকেই শুধু আইলাইনারের ছোঁয়া দিয়ে মেকআপ শেষ করে থাকেন। আইলাইনার দেওয়া নিয়ে অনেকই সমস্যায় পড়ে থাকেন। হাতে কেঁপে গিয়ে লাইন বাঁকা হয়ে যাওয়া খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এছাড়া একই স্টাইলে আইলাইনার দিতে দিতে সাজে চলে আসে একঘেয়েমিতা। এই একঘেয়েমিতা কাটানোর জন্য আইলাইনারের স্টাইলে করা হয় ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইন। আবার সময়ের সাথে ফ্যাশনের তালে তালে পরিবর্তন হয়ে থাকে আইলাইনারে স্টাইল।

একসময় ছিল শুধু একটা লম্বা টান দিয়ে শেষ করা হয় আইলাইনারের সাজ। মাঝে কিছুদিন চল ছিল ঘন মোটা আইলাইনারের। আবার ক্যাট আই বা টানা লাইনার দেওয়াও ফিরে এসেছিল। টানা আইলাইনার দিলে চোখটাকে বেশ বড় দেখায়। এর কারণে যাদের চোখ ছোট তারা টানা আইলাইনার দেওয়াটা পছন্দ করে থাকেন। বড় চোখকে ছোট দেখানোর জন্যও আছে উপায়।
ফ্যাশন সচেতন নারীরা নিত্য নতুন স্টাইলে আইলাইনার দিতে পছন্দ করেন। তাদের এই পছন্দকে মাথায় রেখে আজকের এই ফিচারটি।

নিচের ভিডিওটিতে ২৩ রকম ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলে আইলাইনার দেওয়া দেখানো হয়েছে। আপনার চোখের আকৃতি, ধরণ অনুযায়ে বেছে নিন পছন্দের স্টাইলটি। ফ্যাশন সচেতন হলে ভিন্ন দিন ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলে সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার চোখটি।

তাহলে দেখে নেওয়া যাক ছোট ভিডিওটি

মাত্র ২ মিনিটে করে ফেলুন পার্লার স্টাইলে দারুণ মার্জিত খোঁপা!

ranna banna o beauty tips
পার্লার স্টাইলে দারুণ মার্জিত খোঁপা
নবর্বষ তো চলে এসেছে। বর্ষবরণকে সামনে রেখে শাড়ী, চুড়ি কেনা নিশ্চয়ই শেষ? কীভাবে সাজাবেন তারও পরিকল্পনা শেষ সকলেরই। চুলটা কীভাবে বাঁধবেন, তা কি ঠিক করেছেন? এই গরমে এমন একটি হেয়ার স্টাইল করতে হবে যা আপনাকে আরাম দেওয়ার পাশাপাশি এনে দেবে একটি মার্জিত ও রুচিশীল লুক। অনেকেই মনে করেন সুন্দর স্টাইলিশ খোঁপা করা বেশ সময় সাপেক্ষ। তাহলে জেনে রাখুন, খুব সহজে মাত্র ২ মিনিটে স্টাইলিশ ও মার্জিত ডিজাইনের খোঁপা পাওয়া সম্ভব। তাও ঘরে নিজেই করে নিতে পারেন এই খোঁপাটি।
স্টাইলিশ ও মার্জিত এই খোঁপাটি ছোট, লম্বা সব চুলে করে নিতে পারেন। আর তার সাথে খোঁপায় গুঁজে দিতে পারেন পছন্দের কোন ফুল। দিন অথবা রাতের যেকোন পার্টিতে মানিয়ে যাবে এই খোঁপাটি।

আসুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক এলিগেন্ট হেয়ার বানের ছোট এই ভিডিওটি

চুলের ৪ সমস্যা দূর করবে টক দইয়ের হেয়ার প্যাক

ranna banna o beauty tips
চুলের ৪ সমস্যা দূর করবে টক দই
চুলের যত্নে নানা রকম হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে মেহেদি প্যাক অন্যতম। এটি চুল পড়া রোধ করে প্রাকৃতিকভাবে চুল কালার করে থাকে। আরও একটি উপাদান আছে যা চুল নরম-কোমল করে, খুশকি রোধ করে চুলকে মজবুত করে তোলে। তা হল টক দই। অনেকেই জানেন চুলের খুশকি দূর করার জন্য টক দই বেশ কার্যকর। শুধু খুশকি দূর করা নয় চুলের আরও অনেক সমস্যা সমাধান করে দিতে পারে টক দই-এর হেয়ার প্যাক। 

১। চুল নরম কোমল করতে 
টক দই, নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।  প্রাণহীন, নির্জীব, রুক্ষ চুলকে নরম, কোমল, এবং ময়োশ্চারাইজ করে তুলবে এই প্যাকটি। নিয়মিত ব্যবহারে এই প্যাকটি চুলের রুক্ষতা দ্রুত দূর করে দেবে। 

২। চুল পড়া রোধ
 ১/৪ কাপ মেথি গুঁড়োর তার সাথে ১ কাপ টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মাথার তালুসহ সম্পূর্ণ চুলে এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। ২ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক বার ব্যবহার করুন।  এই প্যাকটি চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। 

৩। রুক্ষতা দূর করতে 
টকদই, বাদাম তেল এবং একটি ডিম ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলের গোড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। ডিমের পুষ্টি এবং তেলে চুলের রুক্ষতা দূর করে দিয়ে চুল স্লিকি করে তোলে। 
৪। খুশকি দূর করতে 
মাথার তালুর রুক্ষতা, খুশকি দূর করতে এই প্যাকটি বেশ কার্যকর। তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল টক দইয়ের সাথে ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি মাথার তালুতে ১০ মিনিট চক্রাকারে ম্যাসাজ করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করুন। 

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করুন সহজ এবং কার্যকরী ৫ হেয়ার প্যাকে

ranna banna o beauty tips
চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করুন
লম্বা চুলের খুব সাধারণ একটি সমস্যা হল চুলের আগা ফাটা। চুলের আগা ফেটে দুই ভাগ হয়ে যাওয়াকে মূলত আগা ফাটা বলে। এর কারণে চুলে কোন হেয়ার স্টাইল যেমন মানায় না তেমনি চুল লম্বা হয় না। বিভিন্ন কারণে চুলের আগা ফাটতে পারে। অতিরিক্ত চুল ধোয়া, সূর্যের রশ্নি, ধুলা বালি, দূষণে চুল থাকা, অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার, গরম পানিতে চুল ধোঁয়া, চুলের যত্ন না নেওয়া, তেল না দেওয়া, কেমিক্যাল পণ্য অতিরিক্ত ব্যবহার করা ইত্যাদি চুলের আগা ফাটার অন্যতম কারণ। চুলের আগা ফাটা রোধ করার জন্য অনেক নামী দামী হেয়ার ট্রিটমেন্ট করে থাকেন, কিন্তু এতেও এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এই সমস্যার সহজ সমাধান পাবেন আপনার ঘরে! ঘরোয়া কিছু উপায়ে চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করে ফেলুন।

১। ডিম
চুলের আগা ফাটা রোধে সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল ডিম। ডিম, অলিভ অয়েল অথবা বাদাম তেল, মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এছাড়া একটি ডিম এক চামচ পানি দিয়ে ফেটে চুলে লাগিয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার করুন।

২। হট অয়েল ডিপ কন্ডিশনার
অলিভ অয়েল, বাদাম তেল, নারকেল তেল অথবা কাস্টার অয়েল কিছুক্ষণ গরম করে নিন। এটি চুলে ভাল করে ম্যাসাজ করে লাগান। ৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার করুন। এটি চুলে পুষ্টি যুগিয়ে চুলের আগা ফাটা রোধ করে দিবে।

৩। পেঁপে
পাকা পেঁপের সাথে আধা কাপ টকদই ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পেঁপেতে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং আরও অনেক ভিটামিন রয়েছে যা চুলকে নরম কোমল করার পাশাপাশি আগা ফাটা রোধ করে দিবে।

৪। কলা
একটি পাকা কলা, দুই টেবিল চামচ টকদই, গোলাপ জল এবং লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর প্যাকটি চুলে লাগিয়ে ফেলুন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন। কলার পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন এবং ভিটামিন সি, এ,ই চুলের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে আগা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে।

৫। মধু 
মধু এবং টকদই মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। জাদুকরী এই প্যাকটি দ্রুত চুলের আগা ফাটা দূর করে থাকে।

কোকোনাট পুডিং

ranna banna o beauty tips
কোকোনাট পুডিং
উপকরণ: 
ডিম ৬টি। কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন। দুধ ৩ কাপ। কর্নস্টার্চ ২ টেবিল-চামচ। কোরানো নারিকেল ৪ টেবিল-চামচ। চিনি আধা কাপ।

পদ্ধতি: 
একটি পাত্রে আধা কাপ চিনি নিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। যখন গলে যেতে থাকবে নাড়তে থাকুন। বাদামি রং হলে যে পাত্রে পুডিং বানাবেন তাতে ক্যারামেল ঢেলে চারদিকে ছড়িয়ে দিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। ইচ্ছা হলে কিছুক্ষণ ফ্রিজারে রাখতে পারেন।

ব্লেন্ডার বা এগ বিটার দিয়ে কনডেন্সড মিল্ক, দুধ ও ডিম দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। সঙ্গে আবার কর্নস্টার্চ ও নারিকেল দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে।

মিশ্রণটি ক্যারামেলের পাত্রে আস্তে ঢেলে দিন।

পাত্রটি একটু উপর থেকে সমতল জায়গায় ছাড়ুন যাতে বুদবুদগুলো (এয়ার আউট) মিশে যায়।

ওভেনে তৈরির পদ্ধতি: 
একটি বড় ট্রেতে এমন ভাবে পানি ঢালুন যাতে পুডিংয়ের বাটি অর্ধেক ডুবে থাকে পানিতে।

ওভেনে ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা দিয়ে এক ঘণ্টা ঘন্টা বা ভিতরে জমে যাওয়া পর্যন্ত বেইক করতে থাকুন। খেয়াল রাখবেন যদি উপরে বেশি খয়েরি রং হয়ে যায়, ফয়েল পেপার দিয়ে ঢেকে দিতে হবে অথবা ওভেনের তাপ কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে।

চুলায় তৈরির পদ্ধতি: 
পুডিং প্যানটি বসানো যায়, এমন একটি পর্যাপ্ত বড় সসপ্যান নিন এবং এতে গরম পানি নিন। সসপ্যানে ততটুকু পরিমাণ পানি নিন যতটুকু পানির মাঝে আপনার পুডিং প্যানটি বসালে প্যানটির অর্ধেক মতো পানিতে ডুবে থাকবে এবং প্যান পানিতে ভাসবে না।

প্যান পানির মাঝে সঠিকভাবে বসানোর জন্য চাইলে একটি স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন বা পাতলা তোয়ালে বিছিয়ে তার উপর বসাতে পারেন।এতে চুলার তাপ সরাসরি পুডিংয়ে লাগে না।

এবার পুডিং প্যানটি সসপ্যানের মাঝে বসিয়ে দুটি প্যানই ঢেকে দিন এবং ৪৫ মিনিট চুলায় রাখতে হবে। মাঝে মাঝে সস প্যানের পানি দেখে নিন। প্রয়োজনে আরও পানি যোগ করুন।

একটি টুথপিক দিয়ে পুডিং হয়েছে কিনা দেখুন। টুথপিক পুডিংয়ের মাঝে হালকা করে ঢোকান। যদি টুথপিক পরিষ্কার বের হয়ে আসে, তাহলে পুডিং তৈরি হয়ে গেছে। আর যদি টুথপিকে আঠালো ডিমের মিশ্রণ লেগে থাকে তাহলে পুডিংটি আরও পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের জন্য চুলায় রেখে দিন এবং একই ভাবে টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করুন।

পুডিং তৈরি হয়ে গেলে তা ঠাণ্ডা করে নিন। ফ্রিজে রাখুন। ফ্রিজ থেকে বের করে সাবধানে প্যানের প্রান্ত বরাবর পুরো পুডিংয়ের চারপাশে ছুরি দিয়ে পুডিংটি আলাদা করে নিন। তারপর প্যানের উপর একটি প্লেট বসিয়ে,প্যানটি প্লেটটির উপর উল্টিয়ে পুডিংটি প্লেটে নিয়ে নিন। পরিবেশন করুন ।

অসাধারণ স্বাদের মাংস পুলি

ranna banna o beauty tips
অসাধারণ স্বাদের মাংস পুলি
বাঙালি পিঠার অধিকাংশই মিষ্টি জাতীয়। কিন্তু সব পিঠা তো মিষ্টি হয় না। আমাদের বাঙালিদের ঝুলিতে এমন কিছু অসাধারণ ঝাল জাতীয় পিঠা রয়েছে যার স্বাদ একবার খেলে দীর্ঘসময় মুখে লেগে থাকে। আজকে এমনই একটি অসাধারণ স্বাদের পিঠা নিয়ে আমাদের আয়োজন। বিকেলের নাস্তায় অতিথি আপ্যায়নে এই পিঠার জুড়ি নেই। আজকে শিখে নিবো খুব সুস্বাদু মাংস পুলির সবচেয়ে সহজ রেসিপি।

পুরের জন্য যা যা লাগবে
ছোট করে কাটা মাংস সেদ্ধ ১ কাপ, আধা কাপ আলু কুচি, আধা কাপ পেঁয়াজ মিহি কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি স্বাদ অনুযায়ী, ১ চা চামচ কাবাব মসলা, ১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা, এলাচ ২ টি, দারুচিনি ১ খণ্ড, লবঙ্গ ২ টি, তেল বা ঘি ২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

পিঠার জন্য
আটা বা ময়দা ৫০০ গ্রাম, সুজি ৫০ গ্রাম, ঘি দুই টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণ মতো, তেল ভাজার জন্য।

পুর যেভাবে করবেন
অল্প তেলে আদা-রসুন বাটা দিয়ে নেড়ে নিন। একটু লালচে হয়ে এলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম করতে থাকুন। গরম মসলা ও কাবাব মসলা দিয়ে লবণ দিয়ে দিন। এরপর তাতে আলু কুচি ও মাংস কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে ভাজা ভাজা করতে থাকুন। আলু সেদ্ধ ও মাংস ভাজা হলে পুর তৈরি হয়ে যাবে। স্বাদ দেখে নামিয়ে রাখুন।

পুলি তৈরি
প্রথমে আটা বা ময়দার সঙ্গে সুজি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর সামান্য লবণ এবং ঘি ঢেলে হাত দিয়ে মাখাতে থাকুন। তারপর পানি দিয়ে মেখে ডো তৈরি করে নিন। এরপর ছোট ছোট করে গোল রুটি তৈরি করতে হবে। এরপর ঠিক মাঝে পুর দিয়ে রুটিটি ভাঁজ করলে অর্ধেক চাঁদের মতো হবে। একটি কাটা চামচ দিয়ে রুটির মুখ আটকে ফেলুন, যাতে পুর ভেতর থেকে বেরিয়ে না যায়। তারপর বড় কড়াইয়ে ডুবো লালচে করে ভেজে তুলে নিন। ভাজা হলে একটি কিচেন টিস্যুতে রেখে তেল শুষে ফেলুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেলো মাংস পুলি। এবার সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।


গরমে প্রাণ জুড়ানো শরবত

ranna banna o beauty tips
শরবত
বৈশাখের খরতাপে দিনভর ঘোরাঘুরি আর ঘাম ঝরিয়ে ক্লান্ত হওয়া নিত্যদিনের কাজ। কাঠফাটা রোদ্দুরে যখন গলা শুকিয়ে চৌচির তখন পছন্দের ফলের একগ্লাস শরবত হতে পারে পরম আরাধ্য। তাই ঝটপট শিখে নিন কিছু তাজা ফলের প্রাণ জুড়ানো শরবত বানানোর সহজ রেসিপি।

কাঁচা আমের শরবত
মাঝারি আকারের কাঁচা আম ১টা, চিনি স্বাদমতো, গোল মরিচ ১ চা চামচ, বিটলবণ ১ চা চামচ, ধনে পাতা সামান্য, কাঁচা মরিচ ২টা, লবণ প্রয়োজনমতো, পানি আড়াই কাপ।

যেভাবে করবেন
আম কুচি কুচি করে কেটে সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন টক-ঝাল-মিষ্টি কাঁচা আমের শরবত।

তরমুজের শরবত
তরমুজের শরবত
তরমুজ ২০০ গ্রাম, আদা ৫ গ্রাম, লেবুর রস সামান্য, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, চিনি স্বাদমতো, পানি ১০০ মিলি।

যেভাবে করবেন
প্রথমে তরমুজ কেটে খোসা ফেলে টুকরো করে নিন। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। হয়ে গেল তরমুজের মজাদার শরবত।

বাঙ্গির শরবত
বাঙ্গির শরবত
বাঙ্গি কুচি ১ কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, বরফ কিউব পরিমাণমতো, লবণ এক চিমটি ( না দিলেও হবে)।

যেভাবে করবেন
বরফ বাদে বাঙ্গি কুচির সঙ্গে সব উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যাস হয়ে গেল সুস্বাদু এক গ্লাস শরবত। এবার বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।


 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.