মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১৬

দোকানের মত পারফেক্ট জিলাপি তৈরির পদ্ধতিটি আপনি জানেন কি?

ranna banna o beauty tips
জিলাপি তৈরির পদ্ধতি
বাঙ্গালী মাত্রই মিষ্টি পছন্দ করে। রসগোল্লা, চমচম, কালোজাম, রসমালাই, সন্দেশ নানা স্বাদের মিষ্টি পাওয়া যায় এই দেশে। এই মজার মজার মিষ্টির মধ্যে জিলাপি অন্যতম। জিলাপি ছোট বড় সবার বেশ পছন্দ। এই মাজাদার মিষ্টিটি ঘরে তৈরি করা গেলে কেমন হয় বলুন তো? দারুন না? আসুন তাহলে জিলাপি তৈরির পারফেক্ট রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ:
১ কাপ ময়দা
২ কাপ চিনি
১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার
১/৪ চা চামচ লেবুর রস অথবা ২-৩টি লেবুর খোসা
১ চিমটি হাইড্রো বা রানক্যাট
তেল
জাফরণ
ফুড কালার
জাফরান অল্প পরিমাণে
১/৩ কাপ পানি
প্রণালী:
১। প্রথমে সিরা তৈরি করার জন্য পানি এবং চিনি চুলায় দিয়ে জ্বাল দিন।
২। কিছুটা ঘন হয়ে আসলে সিরার ময়লা কাটার জন্য ২-৩ টেবিল চামচ দুধ দিয়ে দিন। যদি সিরায় ময়লা না থাকে, তবে দুধ মেশানোর প্রয়োজন নেি।
৩। চিনির ময়লা সিরায় উঠে আসলে চামচ দিয়ে উল্টিয়ে ফেলুন।
৪। এরপর এতে পছন্দমত ফুড কালার যোগ করুন। আপনি চাইলে ফুড কালার ব্যবহার নাও করতে পারেন।
৫। লক্ষ্য রাখবেন চিনির সিরা খুব বেশি ঘন বা পাতলা যেন না হয়।
৬। চিনির সিরার রংটি হালকা সোনালী করার জন্য এতে অল্প পরিমাণে লেবুর রস অথবা লেবুর খোসা দিয়ে দিতে পারেন।
৭। একটি পাত্রে ১/৩ কাপ পানি দিয়ে এতে এক চিমটি হাইড্রো বা র‍্যানক্যাট দিয়ে দিন।
৮। এরপর এতে ময়দা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ভাল করে ময়দা মিশিয়ে নিন। লক্ষ্য রাখবেন পানি যেন খুব বেশি না হয়ে যায়।
৯। ঘন হয়ে গেলে এতে বেকিং পাউডার দিয়ে দিন।
১০। এবার একটি কাগজের কোণ বানিয়ে তাতে জিলাপির ঘোলা দিয়ে দিন।
১১। তেল গরম হয়ে আসলে এতে ঘোলা করে জিলাপি আকৃতি করে দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে জিলাপিগুলো ভাজুন।
১২। জিলাপিগুলো ভাজা হয়ে গেলে সাথে সাথে চিনির সিরায় দিয়ে দিন। তেল থেকে উল্টিয়ে সাথে সাথে চিনির সিরায় দিয়ে দিবেন। দেরী করলে জিলাপি সোনালী রং ধারণ করবে না।
১৩। ব্যস তৈরি হয়ে গেলে দোকানের মত পারফেক্ট জিলাপি।
টিপস:
১। কাগজের কোণ তৈরি করতে না চাইলে বাজারে খালি সসের প্লাস্টিকের বোতল কিনতে পাওয়া যায়। জিলাপির শেইপ তৈরির জন্য সেটি ব্যবহার করতে পারেন।
২। হাইড্রো বা রানক্যাট বা হাইড্রো রানক্যাট যেকোন সুপার শোপগুলতে পাবেন।
রেছিপি টি ভাল্ভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

বুধবার, ২ মার্চ, ২০১৬

ঝাল ঝাল স্বাদে "মাশরুম মাসালা"

ranna banna o beauty tips
ঝাল ঝাল স্বাদে "মাশরুম মাসালা"
প্রচুর প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা স্বাস্থ্যকর একটা খাবার মাশরুম। কিন্তু সাধারণ স্যুপ বা পাকোড়া ছাড়া মাশরুম কী করে রান্না করতে হয় তা অনেকেই জানেন না। আর দেশি খাবারের মতো করে রান্না করা যায় না বলে অনেকেই আগ্রহ দেখান না। আজ দেখে নিন মাশরুম দিয়ে তৈরি ঝাল ঝাল একটা সবজি রেসিপি। একদম দেখি খাবারের মতোই কাঁচামরিচ এবং মশলা দিয়ে রান্না করে ফেলতে পারবেন আপনিও। দেখে নিন সহজ রেসিপিটি।

উপকরণ

- ২৫০ গ্রাম মাশরুম, মোটা করে স্লাইস করা
- সিকি চা চামচ সরিষা
- আধা কাপ টমেটো পিউরি
- ১টা মাঝারি পিঁয়াজ, মিহি কুচি করা
- ২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- ৪টা অথবা স্বাদমতো কাঁচামরিচ, মাঝখান থেকে চেরা
- লবণ স্বাদমতো
- ১ চা চামচ জিরা
- কয়েকটা কারী পাতা
- ১ চা চামচ জিরা গুরপ
- ১ চা চামচ গরম মশলা
- ২ চা চামচ অথবা স্বাদমতো মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ৩ টেবিল চামচ তেল
- ১টা কিউব করা ক্যাপসিকাম
- ২ টেবিল চামচ কুচি করা ধনেপাতা
- ২ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
- লেবুর রস অল্প
- গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- ৩টা রসুনের কোয়া কুচি
- ১ টেবিল চামচ মাখন

প্রণালী

১) একটা প্যান গরম করে এতে দিন দুই টেবিল চামচ তেল। তেল গরম হয়ে এলে এতে দিন সিকি চা চামচ সরিষা। সরিষা ফুটতে শুরু করলে এতে জিরা দিয়ে দিন। এরপর দিন ৪-৫টা কারী পাতা, কাঁচামরিচ, হলুদ গুঁড়ো এবং পিঁয়াজ কুচি। এর ওপর দিন আদা-রসুন বাটা এবগ্ন অল্প করে লবণ। এগুলোকে কষে নিন যতক্ষণ না আদা-রসুন বাটা ভালো করে রান্না হয়ে যায় এবং কাঁচা গন্ধটা চলে যায়। ৫ মিনিটের মতো লাগতে পারে।
২) এই মশলার মাঝে দিন জিরা গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং মরিচ গুঁড়ো। একই সাথে দিয়ে দিন ক্যাপসিকাম এবং টমেটো পিউরি। ভালো করে মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর দিয়ে দিতে পারেন মাশরুমগুলোও। ভালো করে নেড়ে নিন যাতে মাশরুম এবং ক্যাপসিকামে সব মশলা মেখে যায়। ঢেকে রান্না হতে দিন।
৩) মাশরুম এবং ক্যাপসিকাম রান্না হয়ে যাবে ৫ মিনিটের মাঝে। এ সময়ে লবণ চেখে দেখুন। খুব কম আঁচে চুলায় রাখুন তরকারিটা।
৪) এ সময়ে তৈরি করে নিন বাগার দেবার কিছু উপকরণ। ছোট একটা প্যানে মাখন গলিয়ে নিন। গলে গেলে এতে কয়েকটা কাঁচামরিচ, রসুনের কোয়া দিয়ে দিন। সুন্দর একটা ফ্লেভার উঠলে কারী পাতা, ধনেপাতা কুচি, লবণ এবং গোলমরিচ দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে সুগন্ধ উঠলে বুঝবেন এটা তৈরি।
৫) এবার কম আঁচে রাখা মাশরুমের তরকারীর ওপরে এটা ঢেলে মিশিয়ে নিন। নামানোর আগে ওপরে দিয়ে দিতে পারেন টাটকা লেবুর রস।
তৈরি হয়ে গেলো মাশরুম মাসালা। একে পরিবেশন করতে পারেন রুটি, পরোটা এবং নানের সাথে।
রান্নার পুরো প্রণালী টি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

স্পঞ্জ রসগোল্লা

ranna banna o beauty tips
স্পঞ্জ রসগোল্লা
বাঙালি মাত্রই “মিষ্টি” খেতে ভালোবাসে। আর মিষ্টির নাম শুনলে চোখের সামনে ভেসে উঠে গোল গোল রসে টুই টুম্বর রসগোল্লা। ডায়াবেটিসের কারণে অনেকেই রসগোল্লা খেতে পারেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে স্পঞ্জ রসগোল্লা। একটু হালকা মিষ্টি বলে সকলেই এটা খেতে ভালোবাসেন। বাসায় যতই চেষ্টা করেন না কেন দোকানের মত স্পঞ্জ রসগোল্লা কেন জানি হতে চায় না। দোকানের স্পঞ্জ মিষ্টির রহস্যটা তাহলে কি? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক দোকানের স্পঞ্জ মিষ্টির রহস্যটি।

উপকরণ:

১ লিটার দুধ
২ কাপ চিনি
২-৩ টেবিল চামচ লেবুর রস

প্রণালী:

১। চুলায় দুধ গরম করতে দিন। গরম করার সময় বার বার নাড়তে থাকুন।
২। লেবুর রসের সাথে ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে সেটি দুধে দিয়ে দিন।
৩। দুধ ফেটে ছানা হয়ে গেলে একটি পাতলা সুতির কাপড়ে পানি ঢেলে ছেঁকে নিন।
৪। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ছানা ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধু ছানাকে নরম করবে না, লেবুর ময়লাও দূর করে দেবে।
৫। এবার ছানা থেকে ভাল করে পানি বের করে নিন। আরও ভাল করে পানি বের করার জন্য ৩০ মিনিট কাপড়টি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখুন। লক্ষ্য রাখবেন ছানা যেন খুব বেশি ড্রাই না হয়ে যায়।
৬। এখন ১০ কাপ পানিতে দুই কাপ চিনি দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।
৭। ছানা কাপড় থেকে বের করে নিয়ে ভাল করে মথে নিন।
৮। লক্ষ্য রাখবেন ছানাতে যেন পানি না থাকে আবার খুব বেশি ড্রাইও যেন না হয়ে যায়।
৯। এবার ছানাগুলো দিয়ে ছোট ছোট রসগোল্লা তৈরি করে নিন।
১০। চিনির সিরা বলক আসলে এতে রসগোল্লাগুলো দিয়ে দিন।
১১। চিনির সিরা প্রেসারে কুকারে করলে উচ্চ তাপে ১৫ মিনিট সময় ঠিক করে নিন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নাড়া দিন। তারপর আবার ঢাকনা দিয়ে দিন।
১২। ১৫ মিনিট পর রসগোল্লাগুলো রসসহ একটি পাত্রে ঢেলে দিন।
১৩। এভাবে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা রেখে দিন।
১৪। ৬-৭ ঘন্টা পর তৈরি হয়ে যাবে নরম নরম স্পঞ্জ রসগোল্লা।
রেছিপি টি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি ভালভাবে দেখতে পারেন 


শিখে নিন মহারাষ্ট্রের এই টমেটো রেসিপিটি

ranna banna o beauty tips
শিখে নিন মহারাষ্ট্রের এই টমেটো রেসিপিটি
শীত শেষ এই সময় টমেটো কিছুটা সস্তা এবং সহজলভ্য। টমেটো কেচাপ, টমেটো চাটনি, টমেটোর টক তৈরির সবচেয়ে ভাল সময় এখন। অনেকেই টমেটো কেচাপ তৈরি করে সংরক্ষণ করে থাকে। এই গরমে  ভাতের সাথে কোন টক জাতীয় খাবার থাকলে খেতে দারুন লাগে। টমেটোর টক অনেকেই অনেকভাবে রান্না করে থাকেন। সঞ্জীব কাপুরের এই টমেটোর টকের একটি ভিন্ন রেসিপি দিয়েছেন। সাধারণত মহারাষ্ট্রে এই রান্নাটি করা হয়ে থাকে।  আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মহারাষ্ট্রের এই  রেসিপিটি।

উপকরণ:
  • ৪টি সিদ্ধ টমেটো
  • ৮-১০ ধনেপাতা
  • ৭-৮টি রসুনের কোয়া
  • ১-২টি কাঁচা মরিচ
  • ১ টেবিল চামচ ঘি
  • ১ চা চামচ সরিষা
  • ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
  • ১ ইঞ্চি আদা
  • ১ চা চামচ জিরা
  • ১ চিমটি হিং
  • ৭-৯ টি কারি পাতা
  • ১ টেবিল চামচ চিনি
  • লবণ স্বাদমত
প্রণালী:
১। প্রথমে ধনেপাতা, রসুনের কোয়া, আদা, কাঁচা মরিচ এবং কিছু পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
২। এবার সিদ্ধ টমেটো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। টমেটো ছেঁকে পিউরি আলদা করে রাখুন।
৩। তারপর টমেটো পিউরি, ধনেপাতা, রসুনের মিশ্রণ এবং পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪। এখন একটি নন-স্টিক প্যানে ঘি দিয়ে দিন। এতে আস্ত সরিষা দিয়ে নাড়ুন।
৫। তারপর এতে জিরা, কারি পাতা, হিং দিয়ে দিন।
৬। এরপর এতে টমেটোর মিশ্রণটি ঢেলে দিন। কিছুক্ষণ পর এতে চিনি এবং লবণ দিয়ে দিন।
৭। চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ থেকে ৭ মিনিট জ্বাল দিন।  
৮। পাত্রে ঢেকে পরিবেশন করুন মজাদার টমেটো সার।
রেছিপি টি ভালভাবে তৈরি করতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

হট থাই চিকেন উইংস

ranna banna o beauty tips
হট থাই চিকেন উইংস
আজকাল রেস্টুরেন্টে গেলে বাচ্চা থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীরা পর্যন্ত সকলেই একটা খাবার অর্ডার করে থাকেন। আর তা হল চিকেন উইংস। ক্রিপসি, ঝাল, মিষ্টি স্বাদের এই খাবারটি খেতে দারুন। থাই এই খাবারটি আপনি চাইলে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন। খুব সহজে অল্প কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন হট থাই চিকেন উইংস!

উপকরণ:

  • ১.৫ টেবিল চামচ থাই রেড কারী পেস্ট
  • ৮টি মুরগির পাখনা
  • ১ টেবিল চামচ তেল
  • ১ টেবিল চামচ আদা রসুন পেস্ট
  • লবণ স্বাদমত
  • গোল মরিচ গুঁড়ো স্বাদমত
  • ১/২ কাপ ময়দা
  • ১ টি ডিম
  • ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
  • ১ টি পেঁয়াজ কলির কুচি
  • ১ টেবিল চামচ রেড চিলি সস
  • ১ টেবিল চামচ ফিশ সস
  • ১ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
  • ৮-১০টি কচি সিম
  • ৬-৮ টি পুদিনা পাতা

প্রণালী:

১। একটি প্যানে তেল গরম করতে দিন।
২। এবার একটি পাত্রে মুরগির পাখনা আদা রসুনের পেস্ট, লবণ এবং গোল মরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মেরিনেইট করে রাখুন।
৩। ময়দা, লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো, ডিম এবং পানি ভাল করে মিশিয়ে বেটার তৈরি করে নিন।
৪। এখন ময়দার ঘোলাটা মুরিগের পাখনার সাথে মিশিয়ে নিন।
৫। প্যানে তেল গরম হয়ে গেলে এতে মুরগির পাখনাগুলো দিয়ে দিন।
৬। মুরগির পাখনাগুলো বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।
৭। এবার সস তৈরি করার জন্য একটি পাত্রে তেল দিন।
৮। এরপর এতে আদা রসুন কুচি, পেঁয়াজ কলি কুচি, থাই রেড কারী পেস্ট এবং পানি দিয়ে নাড়ুন।
৯। তারপর এতে চিলি সস, ফিশ সস, টমেটো কেচাপ এবং পানি দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন।
১০। ঘন হয়ে আসলে এতে চিকেন উইংসগুলো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
১১।  এতে সিম, পেঁয়াজ কলি কুচি, পুদিনা পাতা কুচি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন।
১২। ধনেপাতা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন উইংস।

কেবল শীতে কেন, বসন্তেও খেয়ে দেখুন হাঁস!

ranna banna o beauty tips
হাঁসের মাংস 
আর কদিন বাদেই কাঠ ফাটা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে জীবন। তাই শীতে যদি হাঁস খাওয়া না হয়ে থাকে, এখনোই সময় হাঁসের মাংস চেখে দেখার।, রেসিপি দিচ্ছেন শারমিন হক।    
উপকরণ -  
  • রাজ হাঁসের মাংস ১ কেজি (পরিমানমত) 
  • পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ 
  • পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ 
  • রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
  • আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
  • টমেটো পিউরি ২ কাপ
  • হলুদ গুঁড়ো ২ চা চামচ (ইচ্ছানুযায়ী বাড়াতে কমাতে পারেন)
  • মরিচ গুঁড়ো ৩ চা চামচ (ইচ্ছানুযায়ী বাড়াতে কমাতে পারেন)
  • ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ - জিরা গুঁড়ো ১চা চামচ
  • দারুচিনি ৩ টুকরা
  • এলাচ ৩ টুকরা
  • তেজপাতা ১টা
  • টমেটো কুচি ২ কাপ
  • লবণ (পরিমানমত)
  • কাচাঁ মরিচ ফালি ৪ টা
  • আস্ত কাচাঁ মরিচ ৮টা   


প্রস্তুত প্রনালী  
-একটা ডিসে কাচাঁ মরিচ বাদে সব মশলা দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে। 
 -এবার ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে।  
-১৫ মিনিট পর প্রেশার কুকারে দিয়ে কষাতে হবে।কষানো হলে তাতে রাজ  হাসেঁর মাংশ দিয়ে আবার কষাতে হবে। 
-পানি কমে গেলে একটু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন।কিছুক্ষণ পর ঢাকনা তুলে দেখুন। পানি কমে গেলে আবার পানি দিয়ে দিন।পানি কমে মাংস সিদ্ধ হলে তাতে আস্ত কাচাঁ মরিচ দিয়ে দিন।  ঝোল মাখা মাখা হলে ফালি করা কাচাঁ মরিচ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে গরম ভাত বা পোলাওর সাথে পরিবেশন করুন।    

টিপস হাসেঁর মাংস একটু বেশি কষাতে হয়। সাথে মশলাটাও ভাল করে কষাবেন মাংশ দেয়ার আগে। হাসেঁর মাংশ যত কষাবেন তত মজা হবে। 

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

পাঙ্গাস মাছ দিয়েই তৈরি করুন মজাদার ফিশ ফিঙ্গার

ranna banna o beauty tips
পাঙ্গাস মাছ দিয়েই তৈরি করুন মজাদার ফিশ ফিঙ্গার
চাষের পাঙ্গাস মাছটা খেতে চান না অনেকেই এর বাজে গন্ধের কারণে। কিন্তু এই চাষের পাঙ্গাস দিয়েই বানানো যায় দারুন মজার ফিঙ্গার। চলুন, আজ বীথি জগলুলের রেসিপি জেনে নেয়া যাক।

যা প্রয়োজনঃ
  • মাছের পেটি- ৫/৬ টুকরা
  • মাঝারি আলু-২টি
  • আদা বাটা- ২ চা চামচ
  • রসুন বাটা- ১ চা চামচ
  • জিরা বাটা- ১/২ চা চামচ
  • হলুদ গুঁড়া-- ১/২ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়া-- ২ চা চামচ
  • গরম মসলা গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • কাবাব মসলা- ১ চা চামচ
  • লেবুর রস- ১ চা চামচ
  • ধনেপাতা কুচি- ইচ্ছামতো
  • গোলমরিচ গুঁড়া- স্বাদমতো
  • লবণ- স্বাদমতো
  • ফেটানো ডিম- ১টি
  • ব্রেডক্রাম্বস/বিস্কিটের গুঁড়া- যা লাগে
  • তেল- ভাজার জন্যে

যেভাবে করবেন
-আদা-রসুন-জিরা বাটা, হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মাছ ও আলু সেদ্ধ করে নিন। মাছের কাঁটা বেছে আলুর সাথে চটকে রাখুন। 
-এবার ব্রেডক্রাম্বস, ডিম ও তেল ছাড়া অন্য উপকরণগুলি মাছের সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। আঙুলের আকারে বানিয়ে নিন। 
-সব বানানো হলে ফেটানো ডিমে চুবিয়ে বিস্কিটের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিন। মাঝারি আঁচে তেল গরম করে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে নিন।
-গরম গরম পরিবেশন করুন সস দিয়ে অথবা পোলাও দিয়েও পরিবেশন করতে পারেন।


 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.