বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৬

রূপার গয়নায় নারীর সাজ

ranna banna o beauty tips
রূপার গয়নায় নারীর সাজ
বেশ কিছু বছর আগে গ্রামবাংলার নারীর সাজে শোভা পেত রূপার বাহারি মল, হাতে বাজু আর কোমরে বিছা। স্টাইলিশ নারীদের কাছে স্বর্ণের বিপরীতে এর গুরুত্ব ছিলো কম। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে রূপার গয়নার ডিজাইনে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। ঐতিহ্যবাহী রূপার গয়না গ্রামবাংলার গণ্ডি পেরিয়ে প্রভাব বিস্তার করেছে হাল ফ্যাশনের জগতে।

রূপার গোল্ডপ্লেটেড পাথর বসানো আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট, রূপার মল, গলার হার ইত্যাদির ব্যবহার বেড়ে চলেছে। বাজারে অক্সিডাইজ রঙের রূপার মলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ফ্যাশন-সচেতন নারীদের কাছে রূপার গয়না এখন পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে। নারী ক্রেতাদের পাশাপাশি পুরুষের কাছেও রূপার ব্রেসলেট ও কানের রিং পাচ্ছে সমান জনপ্রিয়তা।

এ গয়নার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে হালকা-গাঢ় সব রঙের পোশাকের সঙ্গেই রুপার গয়না মানিয়ে যায়। জমকালো সালোয়ার কামিজ এবং ফতুয়ার সঙ্গেও রুপার বড় দুল বেশ চলছে। শাড়ির সঙ্গে পরার জন্য মেয়েরা রুপার ভারী গয়না বেশি পছন্দ করে।

ব্যবহারের পর গয়না ভালো করে নরম কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছে নিতে হবে। তারপর ভালো করে টিস্যুতে মুড়িয়ে গয়নার বাক্সে রেখে দিন।  গয়না কালো হয়ে গেলে টুথপেস্ট অথবা তেতুল গোলা দিয়ে হালকা করে ঘষে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন।

ডিজাইন ও আকার ভেদে প্রতিটি রেূপার নাকফুলের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। কানের দুল ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। বালা ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। টিকলি দেড় হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। ব্রেসলেট ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, খাড়ু ও বাজু ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, মাদুলি সেট আড়াই হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। গয়নার সেট কিনতে খরচ হবে দশ হাজার থেকে পনের হাজার টাকার মধ্যে । তবে জাঁকজমকপূর্ণ গয়নার সেট কিনতে হলে খরচ করতে হবে ৫০ হাজার টাকার বেশি।

আধুনিক ডিজাইনের রূপার গয়নার বিশাল সংগ্রহ রয়েছে ফ্যাশন হাউস আড়ং-এ। এখানে রুপার মল, নাকফুল, আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট থেকে শুরু করে গলার হার পর্যন্ত নানা নকশার গয়না পাওয়া যাবে। দাম নির্ভর করবে কী কিনছেন, তার ওপর। ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’স- এ পাবেন  আধুনিক ডিজাইনের রূপার গয়না। এই ফ্যাশন হাউসের গয়নার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা মোটিফ ডিজাইনে ব্যবহার করা হয়েছে। বসুন্ধরা শপিং মল-এ পাবেন রূপার গয়না। এছাড়া ঢাকার গাউছিয়া, মেট্রো শপিং মল, ইস্টার্ন মল্লিকাসহ বেশির ভাগ শপিং মলেই রূপার গয়না পাবেন। অনেক গয়নার দোকান থেকেই আপনি নিজের পছন্দমতো নকশায় অর্ডার দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন রূপার গয়না।

শীতে ঘর গরম রাখার উপায়

ranna banna o beauty tips
শীতে ঘর গরম রাখার উপায়
শীত বইছে পুরোদমে। শহরে শীতের আধিপত্য কম হলেও গ্রাম মুড়ে আছে শীতের চাদরে। কনকনে ঠাণ্ডার ফাঁকে রোদের উঁকি থাকে কখনো, কখনো আবার একেবারেই থাকে না। তাইতো গরম কাপড়ে নিজেকে উষ্ণ রাখার দারুণ প্রচেষ্টা। শীতের দাপুটে হাওয়ায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় অনেক সময়। কোনো মতে বাইরের কাজ শেষ করে নিজের ঘরে আশ্রয় নেয়া। অথচ বাইরের বাতাস ঠেকালেও তীব্র শীতে ঘরের ভেতরে থাকে কনকনে শীত। তাই দরকার ঘরকে উষ্ণ রাখা। কিন্তু কীভাবে-

- এই শীতে ঘর গরম করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ভারী বা কয়েক পরতের উজ্জ্বল রঙের পর্দা। উজ্জ্বল রঙের পর্দাগুলো যেমন ঘর গরম রাখবে, তেমনি ঘরের সৌন্দর্যে আনবে ভিন্নতা।

- বাইরের বাতাস ঢুঁকে ঘরকে ঠাণ্ডা করে ফেলে। তাই দরজা-জানালার ফাঁকা স্থানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। এসব জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন রাবারের বেল্ট, মোটা কাগজ বা কাপড়।

- ঘরে রোদ পড়ার ব্যবস্থা থাকলে আলো ঢোকার সুযোগ রাখতে হবে। দুপুরের দিকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও সূর্যের আলো ঢুঁকতে দরজা-জানালার পর্দা সরিয়ে দিতে পারেন। এতে ঘর কিছুটা হলেও গরম হবে।

- ঘরের দেয়ালে লাগিয়ে নিতে পারেন পাতলা ফয়েল কাগজ। ফয়েল কাগজে মুড়ে রাখলে দেয়াল থেকে ঠাণ্ডা বের হতে বাধা দেয়। গিফট শপে এসব কাগজ কিনতে পাওয়া যায়। পছন্দের রঙ ও ডিজাইনের কাগজ লাগিয়ে নিলেই হল।

- জানালা যদি ঘরে রোদ ঢোকার উৎস হয় তাহলে জানালার কাছেই বসিয়ে দিন বড় একটি আয়না। আয়নায় প্রতিফলিত তাপে আরও উষ্ণ হবে আপনার ঘর।

- প্রয়োজনে রুম হিটারও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঘরের তাপমাত্রার সঙ্গে মিলিয়ে হিটারের তাপমাত্রা ঠিক করতে ভুলবেন না।

- শীতের সকালে এবং সন্ধ্যায় বা রাতে রান্নাবান্নার কাজ চালাতে পারেন। এতে ঘর গরম হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। জানালা দরজা ফাঁকা না থাকলে উষ্ণতা বজায় থাকবে।

- শীতের এই সময়ে মেঝেতে কার্পেট বা মাদুর বিছিয়ে নিন। বাজারে নানা ধরণের কার্পেটের পাশাপাশি বেত ও পাটের তৈরি আধুনিক ডিজাইনের চাটাইও পাওয়া যায়। এগুলো মেঝে থেকে ঠাণ্ডা উঠতে বাধা দেয়।

দ্রুত পালাবে রান্নাঘরের কটু গন্ধ

ranna banna o beauty tips
দ্রুত পালাবে রান্নাঘরের কটু গন্ধ
রান্নাঘরের কোথাও কোনো ময়লা রাখেন না, ময়লার ঝুড়ি রাখেন বাইরে, থালা বাসনও পরিষ্কার থাকে। সবকিছু পরিষ্কার থাকার পরেও রান্নাঘরে ঢুঁকলেই একটা কটু গন্ধ নাকে বাধে। একটা বাজে গন্ধে ভারি হয়ে থাকে আপনার রান্নাঘর। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় রহস্যময় এই দুর্গন্ধ আসে সিঙ্কের পাইপ থেকে। পাইপ দিয়ে ময়লাযুক্ত পানি বের হওয়ার সময় কিছু খাবারের উচ্ছিষ্ট সেখানে আটকে থাকে। এতে জন্মানো ব্যাকটেরিয়া দুর্গন্ধ তৈরি করে। রান্নাঘরের দুর্গন্ধ দূর করতে সিঙ্কের পাইপ নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। সরু এই পাইপ পরিষ্কার রাখতে-

- বেকিং সোডা গোলানো এক কাপ গরম পানি অথবা এক কাপ সাদা ভিনেগার পাইপের মুখে ঢেলে দিন। ব্যাকটেরিয়া মরে দূর হবে কটু গন্ধ।

- এক কেতলি পানি গরম করে নিন। এবার এই পানি ঢেলে দিন পাইপের মুখে। পাইপ প্লাস্টিকের হলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।

- লেবুর খোসা কুচি করে পাইপের ভেতরে ছেড়ে দিলে দুর্গন্ধের বদলে সুগন্ধ পাবেন।

খুশকি তাড়ানোর স্থায়ী সমাধান

ranna banna o beauty tips
খুশকি তাড়ানোর স্থায়ী সমাধান
শীতের সময়ে ত্বকের পাশাপাশি চুলও রুক্ষ্ম-শুষ্ক হয়ে যায়। মাথার ত্বক এতোটায় রুক্ষ্ম হয় যে ছোট খুশকির আকারে গুড়া হয়ে ঝরতে থাকে। এমনকি আপনার সমস্ত চুলে খুশকি ছড়িয়ে যাচ্ছেতাই অবস্থা হয়। চুল হয়ে যায় নিষ্প্রাণ। কাঁধের ওপর খুশকি জমা হয়ে সবার সামনে স্মার্ট আপনার ইমেজ নষ্ট করে সহজেই। অ্যান্টি ড্যানড্রফ শ্যাম্পুতে সাময়িক মুক্তি দিলেও পরোক্ষণে খুশকি আবার ফিরে আসে। খুশকি তাড়ানোর স্থায়ী সমাধান হিসেবে জেনে নিতে পারেন সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়। এর মধ্যে যেকোনো উপায় অবলম্বন আপনাকে মুক্তি দিতে পারে সহজে।

- রাতে শোবার আগে অলিভ ওয়েল বা তিলের তেল মেখে ঘুমান। সকালে গোসল করার ১ ঘণ্টা আগে চুলের গোড়ায় লেবুর রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকির উপদ্রব কমে গেছে।

- চুলের খুশকি তাড়াতে ভিনেগার আর পানি সমপরিমাণে মিশিয়ে সারারাত চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 - আপেলের রস দিয়ে ভালো করে চুল ম্যাসেজ করুন, খুশকির হাত থেকে মুক্তি পাবেন সহজে।

- খুশকি তাড়াতে বিট মূলের রস, ভিনেগার আর আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে চুলের স্কাল্পে ম্যাসেজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। দ্রুত খুশকি দূর হবে।

 - ঘৃতকুমারীর রস চুলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

- চুলে শ্যাম্পু করার সময় এক চা চামচ বেকিং সোডা ভালো করে শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকি পালিয়েছে স্বমূলে।

- নিম পাতা বেটে ২০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলেই, খুশকি দূর হবে।

 - খুশকির উপদ্রব কমাতে রসুন বেশ কার্যকরী। রসুনের পেস্ট বানিয়ে চুলে ৩০ মিনিট রাখার পর কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকি দূর হয়ে গেছে।

মেহেদি প্যাকে রেশম কোমল মজবুত চুল

ranna banna o beauty tips
মেহেদি প্যাকে রেশম কোমল মজবুত চুল
শীত এলেই চুলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। খুশকি, চুলের আগা ফাটা সর্বোপরি প্রচুর পরিমাণে চুল উঠে যাওয়া এখন যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। চুল পড়া রোধ করে চুলের গোড়া মজবুত করার কাজে মেহেদি ব্যবহার হয়ে আসছে আদিযুগ থেকে। চুলে মেহেদি অনেকভাবে লাগানো যায়। মেহেদির কিছু প্যাক আছে যা খুশকি দূর করে, গোড়া মজবুত করে এবং রেশম কোমল চুল উপহার দেয়। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু উপকারী মেহেদির প্যাক সম্পর্কে।

- ডিমের সাদা অংশ, অলিভ অয়েল এবং মেহেদি গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলের গোড়ায় খুব ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

- একটি লেবুর রস, চার টেবিল চামচ মেহেদির গুঁড়ো এবং পরিমাণমত টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলের গোঁড়া থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুল খুশকিমুক্ত এবং ঝরঝরে হবে।

- মেহেদি গুঁড়ো, লেবুর রস, এক টেবিলচামচ অলিভ অয়েল, সাদা ভিনেগার, মেথি গুঁড়ো এবং দুই টেবিল চামচ টকদই ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার প্যাকটি ১২ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। পরেরদিন সকালে এই প্যাকটি মাথায় ভালো করে লাগিয়ে নিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি খুশকি দূর করবে, চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে স্বাস্থ্যোজ্বল করে তুলবে।

- রাতে একটি পাত্রে সরিষা তেল গরম করে নিন। তারপর এতে কিছু তাজা মেহেদি পাতা এবং দুই চা চামচ মেথি দিয়ে রেখে দিন। পরেরদিন এটি ছেঁকে পাতা এবং তেল আলাদা করে নিন। এই তেলটি নিয়মিত চুলে ম্যাসাজ করে লাগান। এক ঘণ্টা এই তেল মাথায় রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে মেহেদির তেল ব্যবহারে চুল পড়া রোধ করবে এবং খুশকি দূর হবে।

চিতই মজাতে দারুণ ভর্তা

ranna banna o beauty tips
ভর্তা
শীত এলেই নানা রকম পিঠা পুলির ধুম পড়ে যায়। কিন্তু ব্যস্ত নগরিক জীবনে এতো আয়োজন করে খাওয়ার সময় কোথায়। ভরসা রাস্তার ধারে কিনতে পাওয়া পিঠা। তাছাড়া মজার সব ভর্তার সঙ্গে চিতই পিঠার ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের উপস্থিতি মাতিয়ে তোলে যে কাউকে। এভাবে নিজের খাওয়া হলেও পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে পিঠা তৈরি করতেই হয়। তাছাড়া সবার সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে পরিচ্ছন্ন পরিবেষে নিজ হাতে পিঠা বানানোয় বেশি ভালো। কিন্তু পিঠার আকর্ষণীয় উপকরণ ভর্তা? এটাও হবে আপনারই হাতে। তাই শিখে নিতে পারেন চিতই পিঠাকে আরও বেশি মজাদার করতে কয়েকটি ভর্তা বানানোর পদ্ধতি।

ধনে পাতার চাটনি

যা যা লাগবে

ধনে পাতা ১ কাপ, তেঁতুল ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ২টা, রসুন ৪ থেকে ৫ কোয়া, লবণ স্বাদমতো, সরিষা তেল প্রয়োজনমতো।

যেভাবে করবেন

ধনে পাতা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার ধনে পাতা, তেঁতুল, কাঁচা মরিচ, রসুন পাটায় বেটে নিতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় লবণ আর সামান্য সরিষা তেল মিশিয়ে নিন।

সরিষা ভর্তা

যা যা লাগবে

সরিষা আধা কাপ, রসুন ২ কোয়া, শুকনো মরিচ ২টি, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন

নতুন সরিষা ধুয়ে বেটে নিতে হবে। রসুন শুকনো মরিচ তাওয়ায় টেলে নিতে হবে। এবার সরিষার সঙ্গে ধনেপাতা, রসুন, শুকনো মরিচ, লবণ দিয়ে আরও একবার বেটে নিতে হবে। ঠাণ্ডা-সর্দিতেও এই ভর্তা ওষুধের মতো কাজ করে।

লইট্টা ভর্তা
যা যা লাগবে

লইট্টা শুটকি, শুকনা মরিচ , পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, সরিষার তেল, লবণ।

যেভাবে করবেন

প্রথমে শুটকি মাছ গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পানি ঝরিয়ে তাওয়াতে তেল ছাড়া ভালো করে ভাজতে হবে। শুটকিগুলো ভাজা ভাজা হলে পাটায় বেটে নিতে হবে। এরপর ভাজা শুকনা মরিচ, ভাজা পেঁয়াজ কুচি, ভাজা রসুন কুচি সরিষার তেল, লবণ এবং ধনে পাতা দিয়ে মাখিয়ে লেবু দিয়ে পরিবেশন করুন মজার স্বাদের লইট্টা শুটকি ভর্তা।

সহজেই মজাদার চিকেন পাস্তা

ranna banna o beauty tips
সহজেই মজাদার চিকেন পাস্তা
সচারচার সৌখিন নাস্তায় নুডুলসের চল বেশি। তবে ইদানিং ইটালিয়ান খাবার পাস্তারও কদর বেড়েছে বেশ। কিছুটা নুডুলসের স্বাদের এই খাবারে রান্নার কৌশলে আছে সামান্য ভিন্নতা। তাই অনেকে রেস্টুরেন্ট থেকে মজা করে খেলেও বাড়িতে আর রান্নার ঝামেলায় যান না। অথচ খুব সহজে এর আসল স্বাদে পাস্তা রান্না হতে পারে আপনারই হাতে। পাস্তার আসল সসও তৈরি হবে আপনারই হাতে। এক নজরে দেখে নিন সহজেই মজাদার চিকেন পাস্তা রান্নার পদ্ধতি।

যা যা লাগবে

পাস্তা ৫০০ গ্রাম, চীজ আধা কাপ, চিকেন ছোট টুকরা ২ কাপ, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ ১ টি (মিহি কুচি), রসুন কোয়া কুচি ১ টেবিল চামচ, টমেটো কুচি ৫০০ গ্রাম, পার্সলে গুড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, গোলমরিচ পরিমাণ মতো।

যেভাবে করবেন

প্যানে অলিভ অয়েল দিয়ে এতে রসুন কুচি হালকা বাদামী করে ভেজে আলাদা করে তুলে রাখুন। এবার পেঁয়াজ ভেজে তারপর টমেটো দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। টমেটো গলে গেলে লবণ, গোলমরিচের গুড়া আর পার্সলে গুড়া দিয়ে আরও কয়েক মিনিট রান্না করতে হবে। হয়ে গেল পাস্তায় ব্যবহৃত আসল টমেটো সস।

আলাদা প্যানে অল্প তেলে সামান্য লবণ আর গোল মরিচের গুড়া দিয়ে চিকেন টুকরোগুলো ভেজে নিন। আলাদা পাত্রে পাস্তা সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে আধা চা চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মাখুন। এতে পাস্তা আঠার মত লেগে থাকবে না। টমেটো সসের মধ্যে পাস্তা আর চিকেন দিয়ে ২ মিনিট বেশি আঁচে ভাজুন। উপরে চীজ, মাংস, মরিচ, রসুন  ছড়িয়ে গরম তাপে রাখুণ কিছুক্ষণ। এবার পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন পাস্তা।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.