শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

পিনহুইল সমুচা

ranna banna o beauty tips
পিনহুইল সমুচা

বিকেলের সুস্বাদু নাস্তা। রেসিপি দিয়েছেন বীথি জগলুল।

উপকরণ

ডো’য়ের জন্য: ময়দা ১ কাপ। সুজি ২ টেবিল-চামচ। তেল ৩ টেবিল-চামচ। পানি ১/৪ কাপ।

লবণ আধা চা-চামচ। কালিজিরা ১ চা-চামচ।

পুরের জন্য: আলু সিদ্ধ ৪টি (মাঝারি)। মটরসিদ্ধ আধা কাপ। গরম মসলাগুঁড়া ১ চা-চামচ। জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ। আস্তজিরা ১ চা-চামচ। কাঁচামরিচ-কুচি ১ টেবিল-চামচ। ধনেপাতা-কুচি ইচ্ছা মতো। লবণ স্বাদ মতো।

আরও লাগবে: তেল, ময়দা ও পানি পরিমাণ মতো।

ডো তৈরি: ডো’র শুকনা উপকরণগুলো মিশিয়ে আস্তে আস্তে পানি দিয়ে ডো তৈরি করে নিন। তারপর ১৫ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন।

পুর তৈরি: আলু একটু গোটা গোটা রেখে চটকিয়ে সঙ্গের সব উপকরণ হাত দিয়ে মিশিয়ে নিন।

সমুচা তৈরি: ডো এবং পুর দেওয়ার উপকরণ সমান দুই ভাগে ভাগ করে নিন। এবার রুটি বেলার পিঁড়িতে তেল লাগিয়ে বড় করে একটি রুটি তৈরি করুন। রুটির উপর সমান করে ফিলিং বিছিয়ে বেলুন দিয়ে চেপে দিন।

একদিক থেকে রোল করে অপর প্রান্ত পর্যন্ত আসুন। শেষ প্রান্ত পানি দিয়ে লাগিয়ে দিন। আঁটসাঁট করে রোল করবেন। দুইপাশের এক ইঞ্চি বাদ দিয়ে আধা ইঞ্চি করে কেটে নিন। কাটা হলে হাত দিয়ে প্রতিটি পিনহুইলকে হালকা করে চেপে দিন।

প্যানে তেল গরম হতে দিন। এই ফাঁকে দুতিন টেবিল-চামচ ময়দা ও পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পাতলা ব্যাটার বা মণ্ড বানিয়ে নিন। একটি একটি করে পিনহুইল মণ্ডতে ডুবিয়ে গরম তেলে ছাড়ুন। মাঝারি আঁচে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে নিন।

ভাজা হলে চাটনি অথবা সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মসলা লেবু চা

ranna banna o beauty tips
মসলা লেবু চা

এই মৌসুমে সর্দি-কাশি দূর করতে ও শরীর তাজা করে তুলতে এই পানীয় অতুলনীয়। পদ্ধতি দিয়েছেন আনার সোহেল।

উপকরণ: পানি ২ কাপ। এক চিমটি লবণ। আদা পাতলা করে কাটা ২,৩টি। এলাচ ২টি। লবঙ্গ ২,৩টি। এক ইঞ্চি লম্বা দারুচিনি ২ টুকরা করা। তেজপাতা ১টি দুই টুকরা করা। লেবু ছোট ১টি। চা-পাতা ১ চা-চামচ। মধু বা চিনি ২ চা-চামচ (২ কাপ চায়ের জন্য)।

পদ্ধতি: মধু, লেবু, চা-পাতা বাদে পাত্রে পানি, আদা, সব মসলা ও এক চিমটি লবণ দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। ‍দুতিন বার বলগ উঠলে কিংবা ফুটে উঠলে চা-পাতা দিন।

চায়ের রং বের হলে নামিয়ে নিন। এবার দুটি কাপে লেবুর রস বের করে নিন এবং চা ছেঁকে দিন। সবশেষে মধু দিয়ে মেশান।

সবজি-পেঁয়াজু

Ranna Banna o beauty tips
সবজি-পেঁয়াজু

বিকেলের নাস্তায় চায়ের সঙ্গে চমৎকার নাস্তা। রেসিপি দিয়েছেন বীথি জগলুল।

উপকরণ: মসুর ডাল আধা কাপ। চালের গুঁড়া ২ মুঠ। বাঁধাকপি-কুচি ১ কাপ। গাজরকুচি ১টি। আলুকুচি ১টি। পেঁয়াজকুচি ১/৩ কাপ। কাঁচামরিচ-কুচি ৮ থেকে ১০টি। আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল-চামচ করে। হলুদ ও জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ করে। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: ডাল ভিজিয়ে রেখে ফুলে উঠলে পানি ঝরিয়ে আধা বাটা করে নিন। মাঝারি আঁচে তেল গরম করে নিন। এবার ডালের সঙ্গে বাকি সব উপকরণ মাখিয়ে নিন।

মিশ্রণ অল্প করে হাতে নিয়ে, পেঁয়াজুর আকারে ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে তুলুন। বিকেলের চায়ের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার সবজি পেঁয়াজু।

হালকা শীতের বিকেলে তৈরি করে ফেলুন মজাদার সবজি কাটলেট

Ranna Banna o beauty tips
মজাদার সবজি কাটলেট
কাটলেট শব্দটা শুনলে মাছ বা মাংসের কথা মনে আসে। কিন্তু সবজি দিয়ে অনেক মজাদার কাটলেট তৈরি করা যায়। যেসব বাচ্চারা সবজি খেতে চায় না, তাদেরকে সবজি খাওয়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল সবজির কাটলেট। শীতকালের মজাদার সবজি দিয়ে ঘরে তৈরি করে ফেলুন মজাদার সবজি কাটলেট।
 

উপকরণ:

    ৩-৪ টি সিদ্ধ আলু
    ১ টেবিল চামচ তেল
    ১টি মাঝারি পেঁয়াজ কুচি
    ২ টেবিল চামচ আদা রসূনের পেস্ট
    ১টি মাঝারি গজর কুচি
    ১/৪ কাপ কর্ণ
    ২টি কাঁচা মরিচ কুচি
    ১/৪ কাপ সিদ্ধ মটরশুঁটি
    ৩ টেবিল চামচ ক্যাপসিকাম কুচি
    লবণ স্বাদমত
    ১/২ চা চামচ হার্বস
    ১/২ চা চামচ লাল শুকনো মরিচ
    গোল মরিচ গুঁড়ো
    ১ চা চামচ লেবুর রস
    ১/২ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব
    ধনেপাতা কুচি
    ২ টেবিল চামচ ময়দা
    ১/২ কাপ পানি
    ১/২ কাপ কর্ণ ফ্লেক্স বা বিস্কুটের গুঁড়ো

প্রণালী:

১। একটি প্যানে তেল দিয়ে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন।

২। পেঁয়াজ কুচি লাল হয়ে এলে এতে আদা রসূনের পেস্ট, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে নাড়ুন।

৩। তারপর এতে গাজর কুচি, মটরশুঁটি, সুইট কর্ণ, ক্যাপসিকাম দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন।

৪। এবার এতে লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো, হার্বস, শুকনো মরিচ গুঁড়ো, লেবুর রস এবং সিদ্ধ আলু দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।

৫। আঠালো ডোর মত হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

৬। এবার এতে ব্রেড ক্রাম্বস, ধনে পাতা কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন।

৭। হাতে সামান্য তেল লাগিয়ে ডো দিয়ে নিজের পছন্দের মত আকৃতি করে নিন।

৮। এবার এটি প্রথমে ময়দায় তারপর কর্ণ ফ্লেক্স বা বিস্কুটের গুঁড়োর মধ্যে গড়িয়ে তেলে দিয়ে দিন।

৯। মাঝারি আঁচে কাটলেটগুলো ভাজুন।

১০। বাদামী হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন মজাদার ক্রিপসি সবজি কাটলেট।

ছুটির দিনের আমেজে "রেলওয়ে ভেজিটেবল কাটলেট"

Ranna Banna o beauty tips
"রেলওয়ে ভেজিটেবল কাটলেট"
রেনে যারা নিয়মিত ভ্রমণ করেন, কিংবা বিশেষ করে আগে করতেন, তাঁদের জিভে কিন্ত এখনো লেগে আছে সেই ভেজিটেবল কাটলেটের স্বাদ। আমাদের সবার স্মৃতিতেই হয়তো কমবেশি আছে এই কাটলেটের কথা। চলুন, আজ ছুটির দিনের অবসরে ঝালাই করে নেয়া যাক শৈশব স্মৃতিকে। রেলওয়ে ভেজিটেবল কাটলেটের রেসিপি নিয়ে এসেছেন আতিয়া আমজাদ।

উপকরণ

-১টি গাজর ও ২টি বরবটি মিহি করে কাটা, ও ১ মুঠো মটরশুটি সব মিলিয়ে ১ কাপ
-৩ টি সিদ্ধ আলু ভর্তা করে নেয়া
-পিয়াজ কুচি ৪ টে:চামচ
-২টি কাচা মরিচ কুচি
-আদা কুচি ১ টে:চা
-মরিচের গুরা ১ চা:চা
-চালের গুরা ১ টে:চা
-পুদিনাপাতা কুচি ১ টে:চা
- লবন হাফ চা:চা
- ময়দা ৪ টে:চা
-টোস্ট বিস্কিটের গুরা ১ কাপ
- তেল ৬ টে:চা

প্রণালি


    -১ কাপ ফুটন্ত পানিতে সবজি গুলো ৩ মিনিট সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখুন।আলু চটকে নিন।
    -প্যানে ১ টে:চা তেল গরম করে পিঁয়াজ,মরিচ ও আদা কুচি ভেজে নিন ১ মিনিট, এবার সিদ্ধ সব্জি গুলো দিয়ে আরো ৪/৫ মিনিট ভেজে আলু ভর্তার সাথে মিশিয়ে লবণ, গুঁড়ো মরিচ, চালের গুঁড়ো ও পুদিনা পাতা একত্রে মিশাতে হবে।
    - মিশ্রণ টি ৬ ভাগে ভাগ করে ৬ টি গোল চপের শেপ করে রাখুন। -ময়দার সাথে হাফ কাপ পানি দিয়ে গুলে পাতলা কাই করে নিন। আরেকটি প্লেটে বিস্কিটের গুঁড়ো ছরিয়ে নিন।
    -গোল চপ গুলো এখন ময়দার পাতলা কাই-এ চুবিয়ে বিস্কিটের গুঁড়োয় গরিয়ে নিন এবং কাটলেট-এর শেপ দিন হাতের তালুতে নিয়ে।
    -কাটলেট গুলো ভাজার আগে ১ ঘন্টা ফ্রিজে রাখতে হবে।
    -বাকি তেল গরম করে কম আঁচে একটু সময় নিয়ে কাটলেট গুলো বাদামি করে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।

বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

স্বাদে ভরা মাছের কাটলেট

ranna banna o beauty tips
মাছের কাটলেট
মাছ খেতে পছন্দ সবার। তবে কাঁটার ভয়ে কেউ কেউ মাছ এড়িয়ে যেতে চান। সেখানে কাঁটা ছাড়া মাছ দিয়ে যদি মজার কোনো খাবার তৈরি করা হয় তবে তা লুফে নেন সবাই। পুরোদমে মুখরোচক মাছের স্বাদ অথচ কাঁটা বেছে নেয়ার কোনো ঝামেলায় নেই। মজার সস দিয়ে নাস্তা, সাদা ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে মাছের কাটলেটের জুড়ি নেই। পরিবারের সদস্যদের মন ভরাতে আর অতিথির আপ্যায়নে স্বাদের যোগ করতে শিখে নিতে পারেন মাছের কাটলেট। স্বাদের ভূবনে হারিয়ে যেতে চট করে দেখে নেয়া যাক মাছের কাটলেট বানানোর সহজ পদ্ধতি।  

যা যা লাগবে

যেকোনো মাছ ২ কাপ, আদা বাটা আধা চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, রসুন বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, ধনে পাতা কুচি আধা কাপ, পাউরুটি ২ পিস, আদা মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, দুধ আধা কাপ, মুড়ির গুঁড়া ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো ও ময়দা আধা কাপ।

যেভাবে করবেন

মাছ আদা ও রসুন বাটা, লবণ, অল্প কাঁচামরিচ এবং পানি দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। এরপর কাঁটা বেছে নিতে হবে। পাউরুটি দুধে ভিজিয়ে মাছে মেশাতে হবে। সঙ্গে পেঁয়াজ, ধনে পাতা, আদা, কাঁচামরিচ কুচি, কর্নফ্লাওয়ার ও মুড়ির গুঁড়া ২ টেবিল চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ময়দা ১ কাপ পানিতে গুলিয়ে পেস্ট বানিয়ে রাখতে হবে। এবার মাখানো মাছ কাটলেটের মতো বানিয়ে ময়দার পেস্টে চুবিয়ে টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। এবার নামিয়ে ডিপ ফ্রাই করে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন যেকোনো কিছুর সঙ্গে।

শীতের শুরুতেই পায়ের যত্ন

ranna banna o beauty tips
শীতের শুরুতেই পায়ের যত্ন
খুব বেশি শীত অনুভূত হোক আর না হোক, প্রকৃতি কিন্তু বেশ রুক্ষ্ম হয়ে গেছে। এই রুক্ষ্মতার কবলে সবচেয়ে বেশি কাতর হচ্ছে আমাদের পায়ের সৌন্দর্য। পায়ের ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে ব্যবহার করতে হচ্ছে ময়েশ্চারাইজার। আর যখনই বাইরে বের হচ্ছি তাতে জড়িয়ে যাচ্ছে রাস্তার ধুলা বালি। ঠিক মতো যত্ন না করলে এতে পায়ের ত্বক আরও বেশি নাজুক হয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেও গোড়ালি ফেটে যাচ্ছে। ফাটলে জমছে ময়লা। দেখতে যেমন দৃষ্টিকটু অনুভূতিও তেমনি দিশেহারা। পায়ের সৌন্দর্য বজায় রাখতে এখন উপায়? শীতের শুরুতেই নিয়মিত নেয়া যত্নের সঙ্গে সামান্য আরেকটু যত্ন যোগ করতে হবে, তাহলে পেতে পারেন নরম কোমল মসৃণ পা। আর সেজন্য বাড়িতে বসেই সপ্তাহে অন্তত একবার সহজ উপায়ে স্ক্রাব করে নিতে পারেন। স্ক্রাব করতে যা যা লাগবে-

ব্রাউন সুগার ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, মধু ১ টেবিল চামচ, অলিভ অয়েল ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন

একটি বাটিতে সব উপাদান একসঙ্গে নিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। নরম পেস্ট তৈরি করে রেখে দিন। এবার আপনার পা দুটি একটি বড় গামলায় উষ্ণ গরম পানিতে চুবিয়ে রাখুন ১০ থেকে ২০ মিনিট। এতে পায়ের আলগা ময়লা স্তর নরম হয়ে যাবে। তারপর পায়ে বাটি থেকে পেস্ট নিয়ে লাগান এবং আলতো হাতে ঘষতে থাকুন। কিছু সময় এভাবে পায়ে ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর স্ক্রাবার দিয়ে আলতো ঘষে ময়লা পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। সবশেষে পা মুছে ব্যবহার্য ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি আপনার পায়ের মরাকোষ দূর করবে। শক্ত ভাব চলে যাবে নিমিষে আর পা হবে কোমল। এছাড়াও প্রতিদিন গোসল করার সময় স্ক্রাবার দিয়ে সামান্য ঘষে ময়লা দূর করতে হবে। গোসলের পর ক্রিম বা লোশন লাগাতে হবে নিয়মিত।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.