বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫

পুদিনা পাতা কেন খাবেন???

পুদিনা পাতা কেন খাবেন???
পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য স্থানীয় নাম— Mint, nana। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mentha Spicata। এটি Lamiaceae পরিবারের অন্তর্গত।

পেটের পীড়ায় : এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করে।

অ্যাজমা : পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।

এন্টিক্যান্সার : পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

পুদিনার ভেষজগুণ

পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর। আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো :

১. পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।
২. পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।
৩. কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন, লোকটি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে।
৪. পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করুন। যাদের চুলে উকুন আছে তারা খুব উপকার পাবেন।
৫. শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।
৬. মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।
৭. যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।

তাহলে এবার থাকে বেশি করে “পুদিনা পাতা” ব্যবহার করুন আর নিজে ঠিক থাকুন।

ভেজিটেবল স্প্রিং রোল ও অনিয়ন রিং

ভেজিটেবল স্প্রিং রোল ও অনিয়ন রিং
ভেজিটেবল স্প্রিং রোল যা লাগবে

  • পেঁপে কুঁচি
  • গাজর কুঁচি
  • পেয়াজ কলি কুঁচি
  • সয়া সস ২ চা চামুচ
  • আদা ,রসুন কুঁচি ১ চা চামচ
  • তেল ভাজার জন্য
প্রেস্ট্রি সিট( রেডি মেড কেনা ) যদি না পান তাহলে ময়দা,ডিম,লবন আর পানি গুলে অনেক পাতলা করে রুটি বানিয়ে নিয়ে করতে পারেন। প্রথমে প্যান এ অল্প তেল দিয়ে তাতে সবজি এর সাথে সয়া সস দিয়ে বেশি আঁচে রান্না করে নিন। বেশি রান্না করার প্রয়োজন নেই। রান্না হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার প্রেস্ট্রি সিট এ সবজির পুর ভরে গরম ডুবো তেলে ভেজে নিন ।

অনিয়ন রিং বানাতে যা লাগবে

  • হাফ কাপ ময়দা
  • ১ চা চামচ বেকিং পাউডার
  • পাপরিকা পাউডার / ( আপনি চাইলে লাল মরিচ গুড়া দিতে পারেন )
  • লবন স্বাদমত
  • গোল মরিচ গুড়া খানিকটা
  • ১ টা বড় পেয়াজ রিং মত গোল করে কেটে রিং গুলোকে আলাদা করে নিতে হবে।
পানি পেয়াজ এর রিং গুলো ছাড়া সব উপকরণ পানি দিয়ে মসৃন করে মিশিয়ে নিন। এটা বেশি ঘন হবে না আবার পাতলাও হবে না. এবার এই মিশ্রন টা তে পেয়াজ এর রিং গুলো কাটা চামচ এর সাহায্যে ডুবিয়ে ডুবো তেলে লাল করে ভেজে তুলুন। গরম গরম পরিবেশন করুন ।

সহজে ঘরে বসে তৈরি করুন সুস্বাদু ভ্যানিলা কেক

সহজে ঘরে বসে তৈরি করুন সুস্বাদু ভ্যানিলা কেক
স্পঞ্জ এর উপকরণ:

ডিম ৩ টা,
আইসিং সুগার ১ কাপ,
ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ,
ময়দা ১ কাপ
বেকিং পাউডার ১ চা চামচ।

স্পঞ্জ প্রস্তুত প্রণালি:

ময়দা, বেকিং পাউডার একসঙ্গে চেলে নিতে হবে।
বোলে ডিমের সাদা অংশ খুব করে বিট করে ফোম তুলে (ডিম এমন ভাবে বিট করতে হবে যেন বোল উল্টালে ফোম না পরে) চিনি দিয়ে ডিমের হলুদ অংশ দিয়ে আবার বিট করে নিতে হবে।
এতে হালকা হাতে ময়দার মিশ্রণ মিলিয়ে নিতে হবে। পরে এসেন্স মিলিয়ে বেকিং ডিশে ঢেলে প্রিহিটেড ওভেনে বেক করতে হবে মাঝারি আঁচে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট।
অথবা মাইক্রো ওভেন এ ৪-৫ মিনিট বেক করতে হবে। কেক হয়ে গেলে সুতা দিয়ে কেটে ৩ লেয়ার করে ঠাণ্ডা করতে হবে।

ক্রিম এর উপকরণ:

মাখন ৪০০ গ্রাম,
আইস সুগার ২০০ গ্রাম (চেলে নিতে হবে).
আইসকিউব ৪-৫টা। (বরফ কুচি করে নিতে হবে)
ভ্যানিল এসেন্স ১ চা চামচ।
স্প্রাইট ১/৩ বোতল ( 200 ml)

ক্রিম প্রস্তুত প্রণালি:

৫ মিনিট বিট করে ৫ মিনিট বিটার বন্ধ রাখতে হবে। সবশেষে এসেন্স দিয়ে বিট করতে হবে।
এখন (প্রয়োজনমতো রং মিলিয়ে) আইসিং তৈরি করতে হবে।
এরপর কেক এর উপর স্প্রাইট ব্রাশ করে ক্রিমের স্তর দিয়ে ওপরে অন্য টুকরা রাখুন।
এবার সাদা ক্রিম দিয়ে কেকটা ঢেকে দিন।
পছন্দ মত সাজান।

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

টমেটোর চাটনী

টমেটোর চাটনী
উপকরণ কি কি লাগবেঃ

টমেটো – ৫ টা (মাঝারী সাইজের)
পেয়াঁজ কুচি – ১ টেবিল চামচ (যত কুচি করা যায় ভাল লাগবে দেখতে-খেতে)
শুকনা মরিচ – ৩ টা (ভেঙ্গে বা চটকে নিতে হবে)
ধনেপাতা কুচি – ১ চা চামচ (চাইলে আরো বেশি দিতে পারেন, যেমন আপনার পছন্দ)
লবণ পরিমাণমতো
সরিষার তেল – আধা চা চামচ (স্বাদ বাড়িয়ে দিবে নিঃসন্দেহে)

কিভাবে করবেনঃ
ধোয়া টমেটোগুলো প্রথমে টেলে (ভেজে) নিন গরম-শুকনো তাওয়া’র উপর দিয়ে, খেয়াল রাখবেন তাওয়া যেন খুব গরম হয়ে না ওঠে। টালা টমেটোর খোসা ছাড়িয়ে টমেটোগুলো চটকে নিন। একটি বাটিতে পেয়াঁজ কুচি , শুকনা মরিচ , ধনেপাতা কুচি ও লবণ ভাল করে মেখে রাখুন। এবার বাটিতে মাখানো উপকরণেগুলোর সাথে চটকানো টমেটো মেশান, সরিষার তেল দিয়ে আরেকটু মেখে নিন, ভাল করে মিশে যাবে।

হয়ে গেলো টমেটোর চাটনী।

মিনি স্যান্ডউইচ

মিনি স্যান্ডউইচ
উপকরণ: স্যান্ডউইচ ব্রেড প্রয়োজনমতো, শসা ও গাজর কুচি করা প্রয়োজনমতো। স্যান্ডউইচ ফিলারের জন্য: ব্রয়লার মুরগির বুকের মাংস ২ টুকরা। পেঁয়াজ মোটা কুচি ১টা, আদা কুচি আধা চা-চামচ, লবণ সিকি চা-চামচ, পানি ১ কাপ।

প্রণালী: ওপরের সব উপকরণ দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নিন। মাংস হাড় থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে লম্বা কুচি করুন। মাংসকুচিতে মেয়োনেজ (স্বাদমতো) ও কাঁচা মরিচ (বিচি ফেলে দেওয়া) দিয়ে মেখে রাখুন। কুচি করা গাজর ও শসায় মেয়োনেজ মেখে নিন।
রুটিতে ১ স্তর মাংস, ১ স্তর গাজর ও শসা দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে তিন কোনা করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

রেশমি জিলাপি

রেশমি জিলাপি
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, খাওয়ার সোডা সিকি চা চামচ, মাষকলাই ডাল ২৫০ গ্রাম, চালের গুঁড়া সিকি কাপ , চিনি ৩ কাপ, পানি দেড় কাপ( প্রয়োজনে কম বা বেশি) , গোলাপজল ১ টেবিল-চামচ, ঘি বা তেল (ভাজার জন্য) পরিমাণমতো।

প্রণালি: ডাল ৪-৫ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, যেন খোসা না থাকে। ডাল মিহি করে বেটে নিতে হবে। চালের গুঁড়া ও ময়দা পানি দিয়ে ঘন করে গুলে ডালের সঙ্গে মিশিয়ে ৫-৬ ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে। মিশ্রণকে ভালোভাবে ফেটিয়ে চিকন ফানেলে ভরে বা একটি মোটা কাপড় ছিদ্র করে বড় ফ্রাইপ্যানে ঘি ও তেল গরম করে আড়াই প্যাঁচে দিয়ে জিলাপি মাঝারি আঁচে মচমচে করে ভেজে সিরায় দিতে হবে।
জিলাপি টসটসে হলে ঝাঁজরিতে করে উঠিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

চুলের যত্নে মেহেদী

চুলের যত্নে মেহেদী
বহুকাল পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনো মেহেদী পাতার কদর কমেনি একটুও। এখনো সৌন্দর্য সচেতন নারীরা নিজের চুল গুলোকে সুন্দর ও ঝলমলে রাখার জন্য ব্যবহার করেন মেহেদী পাতা। জেনে নিন চুলের যত্নে মেহেদী পাতার কিছু ব্যবহার সম্পর্কে।

চুল পড়া কমাতে

অনেকেই চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন। যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে তারা চুল পড়া কমানোর জন্য মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন। মাসে দুই বার মেহেদী বাটা পুরো চুলে লাগিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। মেহেদীর সাথে আমলকীর গুড়া বা আমলকী বাঁটা মিশিয়ে নিলে আরো বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

কন্ডিশনার হিসেবে

কন্ডিশনার হিসেবে মেহেদীর জুড়ি নেই। দুই সপ্তাহ পরপর মেহেদী বাটার সাথে ডিমের সাদা অংশ ও কলা মিশিয়ে নিন। এরপর মিশণটি পুরো চুলে ভালো করে মেখে নিন। মাথায় শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। এভাবে একঘন্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়ম মেনে দুই সপ্তাহ পরপর ব্যবহার করলে চুলের ভঙ্গুর ভাব দূর হবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

চুল রাঙাতে

যাদের চুল পেকে গিয়েছে অথবা একটু একটু পাকা শুরু করেছে তারা বেশ দুশ্চিন্তায় থাকেন সাদা চুলগুলো নিয়ে। কিভাবে সাদা চুল ঢাকবেন তা নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। চুলের রং ব্যবহারেরও আছে নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই চুলের রঙও ব্যবহার করতে ইচ্ছে করে না। যারা এমন সমস্যায় আছেন তারা চুল রাঙাতে ব্যবহার করতে পারেন মেহেদী। মেহেদী পাতা বেঁটে চায়ের ঘন লিকার অথবা কফির লিকার মিশিয়ে নিন। এতে রং ভালো হবে।

খুশকির থেকে মুক্তি পেতে

খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও মেহেদীর জুড়ি নেই। যারা খুশকি সমস্যাতে আছেন তারা খুব সহজেই মেহেদী পাতা ব্যবহার করে খুশকির থেকে রেহাই পেতে পারবেন। মেহেদী বাঁটার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পুরো মাথায় মেখে রাখুন এক ঘন্টা। এরপর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মাসে দুইবার ব্যবহার করলে খুশকি থাকবে না।

আমাদের টিপস গুলো অবহেলা করবেন না। লাইক দিয়ে সব সময় এক্টিভ থাকুন।
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.