মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

চুলের যত্নে মেহেদী

চুলের যত্নে মেহেদী
বহুকাল পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনো মেহেদী পাতার কদর কমেনি একটুও। এখনো সৌন্দর্য সচেতন নারীরা নিজের চুল গুলোকে সুন্দর ও ঝলমলে রাখার জন্য ব্যবহার করেন মেহেদী পাতা। জেনে নিন চুলের যত্নে মেহেদী পাতার কিছু ব্যবহার সম্পর্কে।

চুল পড়া কমাতে

অনেকেই চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন। যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে তারা চুল পড়া কমানোর জন্য মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন। মাসে দুই বার মেহেদী বাটা পুরো চুলে লাগিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। মেহেদীর সাথে আমলকীর গুড়া বা আমলকী বাঁটা মিশিয়ে নিলে আরো বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

কন্ডিশনার হিসেবে

কন্ডিশনার হিসেবে মেহেদীর জুড়ি নেই। দুই সপ্তাহ পরপর মেহেদী বাটার সাথে ডিমের সাদা অংশ ও কলা মিশিয়ে নিন। এরপর মিশণটি পুরো চুলে ভালো করে মেখে নিন। মাথায় শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। এভাবে একঘন্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়ম মেনে দুই সপ্তাহ পরপর ব্যবহার করলে চুলের ভঙ্গুর ভাব দূর হবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

চুল রাঙাতে

যাদের চুল পেকে গিয়েছে অথবা একটু একটু পাকা শুরু করেছে তারা বেশ দুশ্চিন্তায় থাকেন সাদা চুলগুলো নিয়ে। কিভাবে সাদা চুল ঢাকবেন তা নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। চুলের রং ব্যবহারেরও আছে নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই চুলের রঙও ব্যবহার করতে ইচ্ছে করে না। যারা এমন সমস্যায় আছেন তারা চুল রাঙাতে ব্যবহার করতে পারেন মেহেদী। মেহেদী পাতা বেঁটে চায়ের ঘন লিকার অথবা কফির লিকার মিশিয়ে নিন। এতে রং ভালো হবে।

খুশকির থেকে মুক্তি পেতে

খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও মেহেদীর জুড়ি নেই। যারা খুশকি সমস্যাতে আছেন তারা খুব সহজেই মেহেদী পাতা ব্যবহার করে খুশকির থেকে রেহাই পেতে পারবেন। মেহেদী বাঁটার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পুরো মাথায় মেখে রাখুন এক ঘন্টা। এরপর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মাসে দুইবার ব্যবহার করলে খুশকি থাকবে না।

আমাদের টিপস গুলো অবহেলা করবেন না। লাইক দিয়ে সব সময় এক্টিভ থাকুন।
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।

ডিম চপ

ডিম চপ
উপকরণ : সেদ্ধ ডিম ৪টি, সেদ্ধ আলু ৩ কাপ, কাচা ডিম ২টি, টোস্ট গুঁড়া ১কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা কুচি ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, টেস্টিং সল্ট আধা চা চামচ, সাধারণ লবণ পরিমাণ মতো, তেল পরিমাণ মতো।
যেভাবে তৈরি করবেন : প্রথমে কড়াইয়ে তেল গরম করে নিন। গরম তেলে পেঁয়াজ কুচি, আদা বাদামি রং করে ভেজে কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামিয়ে নিন। তেল ঝরিয়ে সেদ্ধ আলুগুলো পেঁয়াজের সঙ্গে মেখে নিন। এরপর আলুর সঙ্গে গোলমরিচ ও জিরা গুঁড়া মাখিয়ে আটটি ভাগ করে নিন। দ্বিতীয় পর্বে ৪টি সেদ্ধ ডিম লম্বা করে দুই ভাগে কেটে আটটি ভাগ করে নিন। অর্ধেক করে কাটা ডিমের পিস আলুর মধ্যে ভরে চপের মতো আকার করুন। এবার অন্য একটি পাত্রে কাচা ডিম দটি ফেটিয়ে চপগুলো ডিমে ডুবিয়ে টোস্টের গুঁড়া মেঘে ডুবো তেলে ছেড়ে দিন। ভাজা হয়ে গেলে তুলে ফেলুন। হয়ে গেলো ডিম চপ। এবার টমেটো সস বা তেঁতুলের চাটনি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

টক ঝাল মিষ্টিতে ভরপুর আপেলের চাটনি

টক ঝাল মিষ্টিতে ভরপুর আপেলের চাটনি
যা লাগবে
আপেল চাক করে কাটা ৮০০ গ্রাম
আস্ত সরিষা ২ চা চামচ
শুকনা মরিচ ফাঁকি ২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ
লেবুর রস ১/৪ কাপ
চিনি ১/৪ কাপ
সরিষার তেল ৩ টেবল চামচ
লবণ ১ চিমটি

 



প্রণালি

-প্রথমে হাড়িতে তেল দিয়ে তেল গরম হলে আস্ত সরিষা দিন ।
-ফুটে উঠলেই এতে হলুদ গুঁড়া আর চাক করে কাটা আপেল দিয়ে নাড়াচাড়া করুন ১ মিনিট।
-এখন এতে বাকি সব উপকরণ আর হাফ কাপ পানি দিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট।
-ঝোল টা যখন ঘন হয়ে আসবে আর আপেল্গুলু সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে গেলেই বুঝবেন হয়ে গেছে ।
-নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার কাঁচের বয়মে ভরে নিন। ফ্রিজে রেখে দেড় থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন এই চাটনি !
-ডাল ভাত,পোলাও কিনবা পরোটার সাথে দারুন জমে এই চাটনি !

গরুর মাংসের সুস্বাদু কালো ভুনা

গরুর মাংসের সুস্বাদু কালো ভুনা
এক কেজি মাংস রান্না করতে প্রয়োজন হবে ১ কাপ তেল, পিঁয়াজ কুচি মোটা করে ১ কাপ, হলুদ ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়ো, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা ১ টেবিল চামচ করে। সাথে ৩/৪টা এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, তেজপাতা আর সবশেষে লবণ পরিমাণমতো।

প্রথমেই মাংস মাঝারি আকার করে কেটে নিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর একটা চালুনিতে নিয়ে মাংস থেকে পানি ঝরান। এবার একটা পাত্রে সব মসলা ও মাংস মিশিয়ে ভালোমতো কষান।

ভালোভাবে কষানোর পর মাংসের ওপর তেল উঠে আসবে। এরপর আবার ২/৩ কাপ পানি ঢেলে দিন। এতে মাংস সেদ্ধ হতে সহজ হবে। সবার শেষে আরেকটি পাত্রে অল্প করে তেল ঢেলে নিয়ে অল্প আঁচে মাংস কালো করে ভেজে নিন। কালো কালো হয়ে যাওয়ার পর চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

চিংড়ির কাবাব

চিংড়ির কাবাব
উপকরণ : চিংড়ির কিমা এক কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, সিদ্ধ আলু পরিমাণমতো, কর্নফ্লাওয়ার পরিমাণমতো, ডিম ২টি, ব্রেডক্রাম পরিমাণমতো, টমেটো সস পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি : ডিম, ব্রেডক্রাম ও তেল বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার পছন্দমতো আকারে গড়ে ডিমে ডুবিয়ে ব্রেডক্রাম মেখে ডুবো তেলে বাদামি করে ভাজতে হবে।

চিকেন নাগেট

চিকেন নাগেট
উপকরণঃ
মুরগির মাংসের কিমা-৫০০গ্রাম
পেঁয়াজ (কেটে নেয়া) – ১টি
ডিম-১টি
পাউরুটির স্লাইস- ৬টি
ব্রেডক্রাম্ব- ১কাপ
ময়দা- ১কাপ
পানি- ১/২ কাপ
রসুনবাটা- ১চা চামচ
লবণ- ১চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো- ১/৪ চা চামচ
তেল- ভাজার জন্য
পদ্ধতিঃ
মুরগির মাংসের কিমা, পাউরুটির স্লাইস, রসুন, গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ ও পেঁয়াজ একসাথে নিয়ে একটি ফুড প্রসেসরে মিক্স করে নিন। এই মিশ্রণটি একটি বাটিতে নিন এবং ১ টেবিল চামচ করে মিশ্রণ নিয়ে নাগেটের আকৃতি দিন। আরেকটি পাত্রে ডিম ফেটিয়ে নিন এবং পানি মেশান। এবার অপর একটি পাত্রে ব্রেড ক্রাম্ব নিন। এখন নাগেট গুলো এক এক করে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ময়দা, ডিম এবং ব্রেডক্রাম্ব মেখে নিন। কয়েকটি করে নাগেট নিয়ে ৫-৬ মিনিট ডুবো তেলে ভাজুন, সোনালি-বাদামি রঙ না আসা পর্যন্ত। টমেটো সসের সাথে উপভোগ করুন মজাদার চিকেন নাগেট।

স্বাস্থ্যকর খাবার এগ টমেটো স্যুপ তৈরি করুন খুব সহজেই!

স্বাস্থ্যকর খাবার এগ টমেটো স্যুপ তৈরি করুন খুব সহজেই!
বিকেল বেলা হালকা ক্ষুধা লাগে। আর এই সময়টাতে কি খাবেন আর কি খাবেন না সেটা নিয়ে অনেকেই বেশ দ্বিধায় ভোগেন। বিকেলের নাস্তায় স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে চাইলে এগ টমেটো স্যুপ তৈরি করতে পারেন।

খুব সামান্য তেলে রাঁধা যায় এবং ডিমের কুসুম ও কর্ণফ্লাওয়ার ব্যবহার করা হয়না বলে যারা ডায়েট করছেন তাদের জন্যও এটা হতে পারে আদর্শ খাবার। জেনে নিন এগ টমেটো স্যুপের সহজ রেসিপিটি।

উপকরণঃ

টমেটো বড় ৩ টি
ভিনেগার ২ চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি ১ টি
সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ
তেল ১ টেবিল চামচ
ডিমের সাদা অংশ ৩ টি
চিকেন স্টক ৫ কাপ
চিনি ১/২ চা চামচ
লবণ পরিমাণমত
সয়াসস ১ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি
প্রস্তুত প্রণালি –

ফুটানো পানিতে টমেটো দিয়ে দিন। পাতলা খোসা ফেটে গেলে টমেটো তুলে খোসা ছাড়িয়ে নিন। টমেটোগুলোকে টুকরা করে নিন।
একটি পাত্রে তেল গরম করে নিন।
তেলে পেঁয়াজ ভাজুন। পেয়াজ সেদ্ধ হয়ে গেলে চিকেন স্টক, সয়াসস, ভিনেগার,গোলমরিচ এবং পরিমানমতো লবণ ও চিনি দিয়ে দিন।
ফুটে উঠার পরে মৃদু আঁচে ১০ মিনিট চুলায় রেখে দিন।
ডিমের সাদা অল্প ফেটে নিন। এরপর উপর থেকে ধীরে ধীরে স্যুপে ডিমের সাদা ঢেলে দিন। ডিম নেড়ে দিন
স্যুপে টমেটো দিয়ে ৩ মিনিট মৃদু আঁচে ফুটিয়ে নিন।
চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার এগ টমেটো স্যুপ।

'বেবি ব্লুজ' বা 'প্রসব পরবর্তীকালীন বিষন্নতা'

'বেবি ব্লুজ' বা 'প্রসব পরব্ররতীকালীন বিষন্নতা'
কিছুদিন আগে এক দাওয়াতে গিয়ে 'বেবি ব্লুজ' বা 'প্রসব প্রসব পরবর্তীকালীন বিষন্নতা' নিয়ে কথা ঊঠেছিলো।
টেবিলে বসা পুরুষদের একাংশের ধারণা এটা মর্ডান মেয়ে / মায়েদের হয় যেহেতু তারা ক্যারিয়ার / শপিং / স্টাইলিং ইত্যাদিকে জীবনে অত্যাধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকে যা আগের যুগের মায়েদের বেলায় হতনা ।
সেই রাত থেকেই মনে হচ্ছে একজন ডাক্তার ও মা হিসেবে আমার উচিত আমার বন্ধুদের কিছু জানানো যা আমি জানি;

বেবি ব্লুজ : বই অনুযায়ী ৭০% - ৮০% মায়েদেরই হয় । আমার ধারণা আরো বেশি সংখ্যায় হয়ে থাকে কিন্তু ডাক্তারের কাছে 'কেস' খুব কম আসে বলেই বইএ ডকুমেন্টেড কম আছে।

হওয়ার কারণ :
প্রেগন্যান্সির সময় প্রয়োজনীয়  হরমোন ১০০ - ১০০০ গুন (100- 10000 fold decrease) কমে যাওয়া
এবং MAO - A হরমোনের হঠাত বেড়ে যাওয়া যা ব্রেইন সেলে বিষন্নতা উতপন্নকারী হরমোন বাড়িয়ে দেয় ।

সময় : প্রসবের পর থেকে শুরু হয় এবং ২-৩ সপ্তাহ স্থায়ী হয় সাধারণত ।
দিনে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা হতে পারে এর স্থায়ীত্বকাল ।

স্টেজ: মোটা দাগে তিন ভাগে ভাগ করা যায় ।
(লক্ষণ সমূহ হিসেব করলে ডাক্তারী হিসেব মতে মোট ৬ টা স্টেজ , কিন্তু যারা ডাক্তার নন আবার সচেতন থাকতে চান তারা তিনটা জানলেই চলবে )
ক) বেবি ব্লুজ
মন খারাপ হয় কারণ ছাড়া, শুধু শুধুই কান্না পায় ( weeping ), খুব বেশি গূরুতর কারণ ছাড়াই বিরক্তি লাগে , মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে , বাচ্চা ও বাচ্চার যত্ন নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন হয় (বাচ্চার বাবার কোলে বাচ্চা দিতেও টেনশন হয় )
এর প্রতিকার :
শুধু মিস্টি ব্যাবহার , সহানুভূতীপূর্ণ কথা ও ব্যাবহার ( তুমি ঠিক পারবে , সবারি এরকম অসুবিধা হয় আর এটাই স্বাভাবিক ) বাচ্চা সামলাতে সহানুভূতিশীল সাহায্যই যথেস্ট '
'আমরা তো অমুক করেছি' বা 'আমরা যেন আর বাচ্চা সামলাই নাই ' টাইপ কথা বলা মানুষজনকে ১০০ x ২ = ২০০ হাত দূরে রাখা খুব দরকারী।

খ) পোস্টপারটাম ডিপ্রেশন :
বাচ্চা হবার তিন মাস পরেও যখন লক্ষণসমূহ থেকেই যায় বরং আগের সমস্ত লক্ষণ আরো প্রকট হয় , নিজের ছোট্ট বাচ্চাকে সহ্য করতে না পারা , নিজের উপরে নিজের অসন্তোস , নিজের ক্যারিয়ার + নিজের রূপ সবকিছু নিয়ে হিনমন্যতায় ভোগা, নিজের জীবনের প্রতি মায়া চলে যাওয়া
এর প্রতিকার :
কোন এমন মানুষের সাথে মনের কথা বলা যার উপরে মা পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন , বাচ্চা সামলানোর জন্যে সাহায্যকারী যাতে মা অন্য কিছু করেও নিজেকে ভুলিয়ে রাখতে পারেন, একটু কোথাও ঘুড়ে আসা তা পাশের পার্কেও হতে পারে

গ) পোস্টপারটাম সাইকোসিস :
মা মনে করতে থাকেন শুধু তিনি মরে গেলেই মানুষ বুঝবে যে তিনি তার শিশুকে কত্ত ভালোবাসতেন , আত্মহত্যার প্রচেষ্টা এবং শিশুকে মেরে ফেলার ঘটনাও লিপিবদ্ধ আছে ।

পরিশেষে বলবো , এরকম আগেও হত ( ঘরে ছোট ভাইবোন আসার পরে মায়ের পিট্টি খাওয়া বা অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে মায়ের খিটখিটে হয়ে যাওয়া বা মা- বাবার / মা- দাদীর ঝগড়া বেড়ে যাওয়ার স্মৃতি মনে করে দেখুন ) আর এর সাথে 'MODERNISM' কোন সম্পর্ক নেই ।

' উত্তম ব্যাবহারেই উন্নত বংশের পরিচয় ' আর 'সৃস্টিকর্তাও একজন প্রসবিনীর প্রসব-পূর্ব সমস্ত পাপ মাফ করে দেন ' এগুলো তো অনেক প্রচলিত জানা কথা ।
কাজেই একটু ধৈর্য ধরে সহানুভূতীশীল ব্যাবহার করুন কারণ প্রতিটি মা-ই তার সন্তানকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন । তাকে মন ও শরীরে সম্পূর্ণ সুস্থ একজন মা হয়ে ওঠার সময়টুকু দিন প্লিজ

সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫

উৎসবের আগ মুহূর্তের রূপচর্চা

উৎসব-পার্বণের সাথে সাজগোজ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর বাঙ্গালির উৎসব হলে তো কথাই নেই। তবে শুধু কস্মেটিক্স ব্যাবহার করলেই সুন্দর হওয়া যায় না। অর্থাৎ, আপনি পুরো মাস জুড়ে ত্বকের/চুলের যত্ন নিবেন না, অথচ বিশেষ দিনটিতে হয়ে উঠবেন অপরুপা, এই ধারনা কিন্তু ঠিক নয়। তাই বিশেষ দিনটিতে নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য আজ থেকেই রূপচর্চা শুরু করুন। এ কাজটিতে সাহায্য করার জন্য আপনাদের জন্য আমার কিছু টিপস থাকল। যারা চাকুরীজীবী তারাও এগুলো আনায়সে অনুসরণ করতে পারেন নিজের জন্য নির্দিষ্ট সময় বের করে।

পার্লারে যেয়ে সেবা নেয়া একদিকে যেমন সময়সাপেক্ষ, অন্যদিকে এক্ষেত্রে খরচের অঙ্কটাও একটু বেশি। তাই ঘরেই হাতের কাছে রাখুন কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট যেগুলো আপনি আপনার সুবিধামত ব্যাবহার করতে পারবেন। আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে কিছু প্রোডাক্টের নাম লিখলাম যেগুলো হাতের কাছেই পাবেন কম খরচে এবং মানও মোটামটি ভালো।

Young Chin Facial Scrub
Ayur/Shahnaz herbal massage cream
Meena Miracle Mask
Meena Moharani Face Pack
Meena Multani Powder

উৎসবের আগের এ কটা দিন রূপচর্চার জন্য দিনে অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট সময় বের করুন। যাদের সময় বের করা মুশকিল তারা রাতে ঘুমাবার আগে রূপচর্চা করতে পারেন।

ত্বকের চর্চা ঃ

প্রথমেই মুখ পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
Face scrub দিয়ে ৫ মিনিট আপ-ওয়ার্ড স্ট্রোকে ম্যাসেজ করে মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
এবার মুখ মুছে ম্যাসেজ ক্রিম দিয়ে আরও ৫ মিনিট একইভাবে মেসেজ করুন এবং ধুয়ে ফেলুন।
এরপর মুখ ভালমত মুছে ভালো কোন মাস্ক বা ফেস প্যাক, যা আপনার ত্বকে অবশই স্যুইট করে, সেটি লাগান। চাইলে উপরের উল্লেখিত প্রোডাক্ট গুলো ব্যাবহার করে দেখতে পারেন।
মাস্ক/ফেস প্যাক শুকিয়ে গেলে পানির ঝাপ্টা দিয়ে খুব ভালো করে ধুবেন এবং মুখ মুছে Moisturizer cream লাগান।

হাত-পা এর চর্চাঃ

হাত পা এর উজ্জলতার জন্য ২ দিন পর পর প্রথমে একটি বোলে হাল্কা গরম পানি, শ্যাম্পু, লবন এবং ভিনিগার মিশিয়ে তাতে হাত পা ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
এর পর ভালমত হাত পা মুছে নিন। একটি বাটিতে মুলতানি মাটি, সামান্য লেবুর রস এবং পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং হাতে পায়ে লাগিয়ে না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
শুকিয়ে গেলে খুব ভালো মত ধুয়ে এবং মুছে ভালো কোন বডি লোশন লাগান। বর্তমান আবহাওয়ার জন্য Vaseline Healthy White আমার প্রথম পছন্দ।

চুলের যত্নঃ

চুল ই যদি নির্জীব থাকে তাহলে উৎসবের সাজে কি পূর্ণতা আসবে বলুন? ঝলমলে চুলের জন্য এ সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন মাথায় তেল দিন। নারিকেল তেলের সাথে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে দিলে ভালো ফল পাবেন।
উৎসবের ঠিক ১ দিন আগে (আগের দিন নয় কিন্তু) আপনার চুলে আগে হট অয়েল ম্যাসেজ করুন, তারপর আমলা পাউডার ও ১/২ টি ডিম একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে চুলে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। এরপর খুব ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং কন্ডিশনার লাগান।

এ টিপসগুলো ফলো করুন এবং এ কয়েকদিনে নিজের পরিবর্তন নিজেই দেখুন। নিজের শরীরেরও যত্ন নিন। দিনে অন্তত ২০ মিনিট হাঁটুন অথবা কোন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। প্রচুর পানি, ফলমূল এবং শাকসবজি খান কেননা উৎসবে ভাজা পোড়া, তেল মশলা এবং রিচ ফুড স্বভাবতই বেশি খাওয়া হয়। মনকে প্রফুল্ল রাখুন এবং নিজে কনফিডেন্ট থাকুন। দেখুন তো, আয়নার সামনে দাঁড়ানো স্মার্ট এবং সুন্দর মেয়েটি আপনি কি না।

শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

চাইনিজ ফ্রাইড রাইস

উপকরণ:
চাইনিজ ফ্রাইড রাইস
চাল (বাসমতি) ৪ কাপ
মুরগি টুকরা ৪৫০ গ্রাম
সোয়াবিন তেল হাফ কাপ
চিংড়ি মাছ (মাঝারি সাইজ) ১২০ গ্রাম
টমেটো ১ কাপ (ইচ্ছা)
পেঁয়াজ ১ কাপ
গাজর ১ কাপ
ক্যাপসিকাম ১৫০ গ্রাম
ডিম ৪টি
লবণ পরিমাণ মতো
গোলমরিচ গুড়া কোয়ার্টার চামচ
সয়াসস ৩ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ ৪/৫টি
টেস্টিং সল্ট পরিমাণ মতো
চিনি ১ চা চামচ
সামান্য পরিমাণ ঘি
পানি পরিমাণ মতো


প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে ২ চামচ সয়াসস দিয়ে এবং একটু লবণ মাংস ১০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। তারপর একটি পাত্রে চুলায় দিয়ে তাতে তেল, চিংড়ি, মাংস, পেঁয়াজ, গাজর, ক্যাপসিকাম, কাঁচা মরিচ কুচি, টমেটো ও একটু লবণ দিয়ে ভেজে নিন। এবার ডিমগুলো ফেটিয়ে নিয়ে ফ্রাইপেনে হালকা তেল দিয়ে ডিমগুলো ছড়িয়ে দিয়ে পাতলা করে ভেজে নিয়ে চাকু দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে রাখুন।
এবার বাসমতি চাল গরম পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এরপর চালনিতে ছেকে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বড় একটি ফ্রাইপেনে একটু তেল/ঘি দিয়ে, চালনি থেকে চাল ঢেলে, ভাজা সবজি-মাংস, ভাজা ডিমগুলো, গোলমরিচ গুড়া, টেস্টিং সল্ট, সয়াসস, চিনি ও লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন। এভাবে উল্টে-পাল্টে ৫/৬ মিনিট ভাজুন। এবার চুলো থেকে নামিয়ে ফেলুন। হয়ে গেলো ফ্রাইড রাইস। এবার গরম গরম পরিবশেন করুন।


জেনে নিন গ্রিন টি কেন খাবেন

সাধারণ চা আর গ্রিন টি’র মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে প্রক্রিয়াজাতকরণে। অন্যান্য চা তৈরি করতে ‘ফারমেনটেইশন’ বা গাঁজন প্রক্রিয়া চালানো হয়ে, গ্রিন টি’র ক্ষেত্রে তা করা হয় না। ফলে অন্যান্য চা থেকে গ্রিন টি’তে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ও পলি-ফেনলস বেশি থাকে। তাই অন্যান্য চা থেকে গ্রিন টি’র উপকারিতা বেশি। চা গাছের সবুজ পাতাই মূলত গ্রিন টি। এই চায়ে রয়েছে ভিটামিন এ, ই ওসি। এছাড়াও রয়েছে ক্যালমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও বিভিন্ন মিনারেল।
.
চলুন জেনে নিই, গ্রিন টি`র কিছু উপকারিতা-
.
△ গ্রিন টি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ কাপ সবুজ চা খেলে অতিরিক্ত ৬৭ ক্যালোরি পোড়ানো যায়।
.
△ খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে, যা প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে গ্রিন টি। ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না।
.
△ গ্রিন টি খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ভালো কোষগুলোর কোনো ক্ষতি না করে সার্বিকভাবে ক্যান্সারের কোষ নির্মূল করে।
.
△ গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ায়।
.
△ গ্রিন টি’র ‘ক্যাটেকাইন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ভিতরের বিভিন্ন ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে। যা গলার ইনফেকশনসহ দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা কমিয়ে আনে।
.
△ নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে যায়।
.
△ প্রকৃতিকভাবেই ‘থিয়ানিন’ নামের অ্যামাইনো এসিড চা পাতায় পাওয়া যায়। এই উপাদান দুশ্চিন্তা ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
.
△ চায়ের ক্যাটেকাইন উপাদান অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে বেশ কার্যকর। ফলে ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত সব রকমের রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অনেক রোগ বিস্তারেও বাধা দেয় গ্রিন টি।
.
△ মুখে বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করতে গ্রিন টি’র জুড়ি নেই। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি উপাদান ত্বকে বলি রেখা পড়তে দেয় না।
.
তাছাড়া এটি ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমাতে ও ব্ল্যাক হেডস দূর করতে সাহায্য করে।
ক্যান্সারের জন্য দায়ী কোষ জন্মাতে বাধা দেয় গ্রিন টি, পাশাপাশি উপকারী কোষকে উজ্জীবিত করে।
.
.
.
ফেসবুক থেকে পেজের পোস্টের অর্গানিক রিচ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ি যে সব ফ্যান পেজের ৭৫%
পোস্টে লাইক/কমেন্ট না করবে তাদের হোম পেজে সেই পেজের পোস্ট শো করবেনা।

ইটালিয়ান স্ক্র্যাম্বল্ড এগ

ইটালিয়ান স্ক্র্যাম্বল্ড এগ
উপকরণ : ডিম ৪টি, দুধ ২ টেবিল চামচ, লবণ ১/২ চা চামচ, কুচি পেঁয়াজ ১/২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১/২ চা চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, বাটার ১ টেবিল চামচ, পনির গ্রেট ২ টেবিল চামচ, গোল মরিচ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, গাজর গ্রেট সিদ্ধ করা ৩ টেবিল চামচ।
প্রণালি : ডিম, দুধ, লবণ ও গোলমরিচ এক সাথে বিট করুন বিটার দিয়ে। চুলায় প্যান বসিয়ে দিন মাঝারি আঁচে। এরপর পেঁয়াজ, মরিচ কুচি ও গাজর ৫ মিনিট ভাজুন। জ্বালটা মাঝারি থেকে কমিয়ে ডিম দিয়ে দুই মিনিট ভাজুন। এবার পনির দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ভেজে মাখন দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। ব্রেড টোস্ট দিয়ে পরিশেন করুন।

ছানার সন্দেশ

ছানার সন্দেশ
উপকরণ : ছানা ২ কাপ, ব্রাউন সুগার পরিমাণমতো, সাদা চিনি ১ চা-চামচ, মাখন ২ টেবিল চামচ, ক্রিম ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ, হোয়াইট কুকিং চকলেট আধা কাপ (কোরানো), তরল দুধ ১ টেবিল চামচ ও ডার্ক কুকিং চকলেট পরিমাণমতো।
প্রণালি : চুলায় ছানা ও মাখন দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে নিন। এতে ব্রাউন সুগার ও সাদা চিনি দিয়ে ভুনতে থাকুন। এবার ক্রিম দিয়ে মিষ্টি পরখ করে নামিয়ে একটি গোলাকার পাত্রে পুরু করে চেপে চেপে বিছিয়ে দিন। ঠান্ডা হলে বরফি বা অন্য আকারে সন্দেশ কেটে নিন। এবার হোয়াইট চকলেট ও দুধ মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে কিছুক্ষণ দিয়ে গলিয়ে নিন। এটি সন্দেশের ওপর ঢেলে দিয়ে ফ্রিজে রাখুন। ৩০ মিনিট পর ডার্ক চকলেট একইভাবে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গলিয়ে ওপরে দিয়ে পরিবেশন করুন।

কোর্মা বিরিয়ানি

উপকরণ : খাসির মাংস ছোট করে কাটা ১ কেজি, বাসমতি চাল আধা কেজি, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ ধনে গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ছোট এলাচ ৪ টি, কিশমিশ সিকি কাপ, আলুবোখারা ৭/৮ টি, পুদিনা পাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৫/৬ টি, শাহি জিরা আধা চা-চামচ, জর্দার রং সামান্য, সিরকা ১ টেবিল চামচ, ঘি-তেল দেড় কাপ, কেওড়া জল ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো। কোর্মার মসলা (ছোট এলাচ ৬ টি, বড় এলাচ ৩ টির বিচি, লবঙ্গ ৪ টি, সাদা গোলমরিচ ৬টি ও দারুচিনি ৪/৫টা। এই মসলাগুলো চুলার পাশে রেখে মচমচে করে গুঁড়া করে
নিতে হবে)।

প্রণালি : দই, আদা-রসুন বাটা, ধনে গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ভাজা, জিরা, লবণ, সিকি কাপ তেল, ২ টেবিল চামচ ঘি,১ টেবিল চামচ কেওড়াজল ও কোর্মার মসলা অর্ধেক দিয়ে মাংস মেখে রাখুন। পাত্রের ১ কাপ তেল ও ঘি দিয়ে বেরেস্তা করে অর্ধেক তুলে নিন। বাকি অর্ধেক বেরেস্তার মধ্যে মাংস দিয়ে কোর্মার মতো রান্না করুন। নামানোর আগে বাকি অর্ধেক মসলা দিয়ে দিন। চাল ২০ মিনিট ভিজিয়ে পানি ছেঁকে নিন। অন্য পাত্রে চালের ৪ গুণ গরম পানি করে তাতে কাঁচামরিচ ৫/৬ টি, এলাচ ৪/৫ টি, পুদিনাপাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, দারুচিনি ২/৩ টুকরা ও শাহি জিরা আধা চা-চামচ দিন। পানি ফুটে গেল ভেজানো চাল দিন। চাল আধা সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বিরিয়ানি রান্নার পাত্রে ১ টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে দিন। এবার কিছুটা আধা সেদ্ধ চাল ছড়িয়ে অর্ধেক পরিমাণ মাংস ঢেলে দিন। এর ওপর বেরেস্তা ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। মাংসের ওপর আবার একইভাবে রান্না করা ভাত ও মাংসের স্তর সাজান। ওপরে আবার চাল দিন। এখানে ভাতের স্তর হবে তিনটি এবং মাংসের স্তর হবে দুটি। সবার ওপরে বাকি ঘি এবং দুধে ভেজানো কেওড়া ছড়িয়ে দিয়ে আলু বোখারা গুজে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ২০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.