সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৬

নবাবী সবজি পোলাও

ranna banna o beauty tips
নবাবী সবজি পোলাও
“নবাবী” শব্দটি শুনলেই মনে হয় মাখা মাখা মাংস আর বাসমতী চালের সুবাসে মৌ মৌ করতে থাকা ভোজ। কিন্তু তাহলে নিরামিষভোজীদের কী হবে? তাদের কপালে কি নবাবী খাবার নেই? আছে নিশ্চয়ই। আজ দেখে নিন নবাবী খাবারেরই একটি নিরামিষ সংস্করণ। স্বাদে-গন্ধে মাংসের বিরিয়ানির চাইতে কোনো অংশে কম নয় এই সবজি পোলাও। অনেকগুলো উপকরণ থাকায় প্রতি কামড়েই আছে চমক। তৈরির সময়টাও লাগবে কম।

উপকরণ
২ কাপ (২০০ গ্রাম) চাল
২ টেবিল চামচ ঘি
আধা টেবিল চামচ তেল
১টা ছোট ফুলকপি
১টা মাঝারি গাজর
৬/৭টি সীম
আধা কাপ মটরশুঁটি
৮-১০টি মুগ ডালের বড়ি/ সয়া বল
১টি বড় পিঁয়াজ
১ টেবিল চামচ আদা কুচি
১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
৩টি কাচামরিচ মিহি কুচি
কয়েকটি তেজপাতা
৪/৬টি লবঙ্গ
৩/৪টি এলাচ
১টি শাহী এলাচ
৬/৭টি গোলমরিচ
১ ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি
১ চা চামচ আস্ত জিরা
আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
অল্প কিছু কাজুবাদাম ও কিসমিস
গার্নিশের জন্য ধনেপাতা কুচি

প্রণালী
১) বড়ি বা সয়া বল ডিপ ফ্রাই করে রাখুন।
২) একটি প্যানে তেল গরম করে নিন। এতে অর্ধেক পিঁয়াজ এবং অর্ধেক আদা ভেজে বেরেস্তা করে নিন। এরপর এতে দিন ফুলকপি, গাজর, সীম, মটরশুঁটি, এক চিমটি হলুদ এবং লবন। নেড়েচেড়ে ভেজে নিন ৫-৬ মিনিট। এরপর নামিয়ে রাখুন।
৩) প্রেশার কুকারে ঘি গরম করে নিন। এতে দিন তেজপাতা, জিরা, লবঙ্গ, গোলমরিচ, এলাচ এবং কয়েকটি কাজুবাদাম। ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না হাল্কা গোলাপি হয়ে আসে কাজুবাদাম। এরপর কিছু কিসমিস দিতে পারেন। বাকি পিঁয়াজ, আদা, রসুন, কাচামরিচ দিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়। এরপর বড়ি দিয়ে কয়েক মিনিট ভেজে নিন। বাকি হলুদ, মরিচ গুঁড়ো এবং ধনে গুঁড়ো দিন। ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
৪) এতে চাল দিয়ে দিন। অল্প লবণ ছিটিয়ে দিন। ৪ কাপ পানি দিয়ে প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে দিন। মাঝারি আচে রান্না হতে দিন। একটা সিটি দিলেই সেদ্ধ হয়ে যাবে।
৫) আচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার কমে গেলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলুন। এর ভেতরে সবজিগুলো দিয়ে দিন। ভালো করে নেড়ে সেদ্ধ পোলাওয়ের সাথে মিশিয়ে নিন। এরপর ঢাকনা বন্ধ করে রেখে দিন ১০ মিনিট। এতে সবজিগুলো সেদ্ধ হবে কিন্তু একটু কচকচেও থাকবে।

ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন নবাবী সবজি পোলাও। এর সাথে দিতে পারেন রায়তা। ব্যাস, আমিষের কোনো দরকারই হবে না!

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬

ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলুন ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাকের মাধ্যমে

ranna banna o beauty tips
ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলুন ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাকের মাধ্যমে
শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রোটিনের ভূমিকা সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানে। সুন্দর স্বাস্থ্যকর চুলের জন্যেও প্রোটিনের প্রয়োজন রয়েছে। আগা ফাটা, চুল পড়া, ক্ষতিগ্রস্ত চুলের সমস্যা সারিয়ে তুলতে প্রোটিন হেয়ার প্যাকের জুড়ি নেই। চুলের সমস্যা সামধানে অনেকেই পার্লারে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। কিন্তু সব সময় পার্লারে গিয়ে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করা সম্ভব হয় না। ঘরোয়া কিছু উপায়ে ঘরে করে ফেলতে পারেন পার্লারের মত প্রোটিন ট্রিটমেন্ট।

১। নারকেলের দুধ

নারকেলের দুধ প্রোটিনের অন্যতম উৎস। নারকেলের দুধ চুল শাইনি এবং স্ট্রং করে তোলে। কিছু পরিমাণ নারকেলের দুধ চুলের গোড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট এটি চুলে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তাৎক্ষনিক চুলের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

২। মেথি, দুধ এবং নারকেল তেলের প্যাক

৪ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়ো, ১/২ কাপ দুধ, ২ টেবিল চামচ টকদই, ৩ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ নারকেল তেল। গরম দুধে মেথি ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এবার এটি টকদই এবং নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে চুলটি ধুয়ে প্যাকটি লাগিয়ে ফেলুন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি চুল ধুয়ে ফেলুন।

৩। ডিমের হেয়ার প্যাক

১টি ডিম এবং ৫ চা চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। আপনার যদি তৈলাক্ত চুল হয়, তবে ডিমের সাদা অংশ, রুক্ষ চুল হলে ডিমের কুসুম আর নরমাল চুলের জন্য আপনি সম্পূর্ণ ডিম ব্যবহার করতে পারেন। ডিম আপনার চুলে পুষ্টি যোগায়। টকদই চুলকে সিল্কি, ঝলমলে করে তোলে।

৪। মেয়নিজ এবং অ্যাভোকাডো

মেয়নিজ ডিম এবং তেল দিয়ে তৈরি হওয়া এটি চুলের জন্য বেশ উপকারি। অ্যাভোকাডো চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা রোধ করে। দুই টেবিল চামচ মেয়নিজ এবং অর্ধেকটা অ্যাভোকাডো চটকে মিশিয়ে নিন। এটি সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার করুন। তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। ২০-৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৫। ডিম এবং মধুর প্যাক

ডিম এবং মধু ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলতে বেশ কার্যকর। এক চামচ মধু এবং দুটি ডিম একসাথে বিট করে মেশান। এটি মাথার তালুসহ সম্পূর্ণ চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে এর সাথে লেবুর রস মেশাতে পারেন। লেবুর রস খুশকি দূর করতে বেশ কার্যকর।

চিকেন কিমা টিকিয়া

ranna banna o beauty tips
চিকেন কিমা টিকিয়া
স্ন্যাক্স বলতেই আজকাল আমরা বুঝি খুব অস্বাস্থ্যকর, তেল চুপচুপে, কড়া করে ভাজা কিছু খাবার। এসব খাবার মুহূর্তের ক্ষুধা মেটালেও বেশিক্ষণ পেটে থাকে না, আর স্বাস্থ্যেরও খুব একটা উপকার করে না। স্বাস্থ্যকর এবং বেশ কিছুটা সময় পেট ভরিয়ে রাখবে এমন স্ন্যাক্স খুঁজতে থাকলে আজ দেখে নিন চিকেন কিমা টিকিয়ার এই রেসিপিটি। চিকেনের পাশাপাশি বেশ কিছু সবজির মিশ্রণে চমৎকার এই খাবারটি পছন্দ করবেন যে কেউ। 

উপকরণ: 

-২৫০ গ্রাম মুরগির মাংসের কিমা

-২ টেবিল চামচ আদা-কাঁচামরিচ বাটা

-৫/৬টা ফ্রেঞ্চ বিন, মিহি কুচি

-১টি ছোট গাজর, মিহি কুচি 

-২/৩ টেবিল চামচ মটরশুঁটি, সেদ্ধ করে পেস্ট করে নেওয়া

-২/৩ টেবিল চামচ ওটস

-১টি ছোট আলু, সেদ্ধ করা

-লবণ স্বাদমতো

-১টি ডিমের সাদা অংশ

-১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

-আধা কাপ ব্রেড ক্রাম্ব

-২ চা চামচ তেল

-ওপরে দেবার জন্য চাট মশলা

-অর্ধেকটা লেটুস, লম্বা করে ছিঁড়ে নেওয়া

-বড় পিঁয়াজের কিছু রিং

-১টি লেবু, লম্বা করে টুকরো কড়া

-৩/৪টি চেরি টমেটো

-পরিবেশনের জন্য পুদিনার চাটনি

প্রণালী: 

১) কিমা একটি পাত্রে নিন। এতে মিশিয়ে নিন আদা-কাঁচামরিচ বাটা, ফ্রেঞ্চ বিনস, গাজর, মটরশুঁটি এবং ওটস। ভালো করে মাখিয়ে নিন। 

২) আলু গ্রেট করে নি এই মিশ্রণে। এরপর লবণ, ডিমের সাদা অংশ এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে মাখিয়ে  নিন। 

৩) একটি প্লেটে ব্রেডক্রাম্ব ছড়িয়ে নিন। 

৪) কিমার মিশ্রণ দিয়ে সমান মাপের কয়েকটি টিকিয়ে তৈরি করে নিন। ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন।

৫) নন-স্টিক কড়াইতে তেল গরম করে নিন। এতে টিকিয়ে দিয়ে দুই পাশে উল্টেপাল্টে ভেজে নিন টিকিয়াগুলো। চিকেন কিমা পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে আসা পর্যন্ত ভাজুন। ভাজা হয়ে এলে ওপরে অল্প করে চাট মশলা ছড়িয়ে নিন। 

পরিবেশনের প্লেটে লেটুস পাতা, পিঁয়াজের রিং, লেবুর টুকরো এবং টমেটো সাজিয়ে নিন। লেটুসের ওপর টিকিয়া দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম। এটা স্ন্যাক্স হিসেবেও খেতে পারেন, পোলাও অথবা খিচুড়ির সাথেও সাইড ডিশ হিসেবে দিতে পারেন। 

শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬

আপনার ত্বক কি তৈলাক্ত? তাহলে ব্যবহার করুন ঘরে তৈরি চন্দনের ফেস প্যাক

ranna banna o beauty tips
আপনার ত্বক কি তৈলাক্ত? তাহলে ব্যবহার করুন ঘরে তৈরি চন্দনের ফেস প্যাক
সূর্যের আলোয় বাইরে বের হলেই ত্বকে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা তৈরি হয়। তৈলাক্ত ত্বকের মানুষদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরো বেড়ে যায়। ত্বকের তেল চিটচিটে ভাব দূর করে উজ্জ্বলতা ও কমনীয়তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে চন্দনের ফেস প্যাক। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্যই আমাদের আজকের এই ফিচার।

যেভাবে তৈরি করবেন চন্দনের ফেস প্যাক :

-   ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সাথে ১ চা চামচ চন্দনের গুঁড়া এমং ১ চিমটি হলুদ গুঁড়া মেশান। সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মেশান।

-   এর সাথে সামান্য দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি যেন পাতলা হয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। দুধের পরিবর্তে গোলাপ জল ও ব্যবহার করতে পারেন।   

-   এবার এই প্যাকটি মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকানোর জন্য।

-   তারপর মুখে সামান্য পানির ছিটা দিন এবং আঙ্গুল দিয়ে বৃত্তাকারে ঘষতে থাকুন। তাহলে খুব সহজেই প্যাকটি উঠে যাবে।

-   এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং মুখটি মুছে নিন।

-   সপ্তাহে ১ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল হবে ও ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর হবে।

যে কারণে এই ফেস প্যাকটি কার্যকরী :

এই ফেস প্যাকটিতে মুলতানি মাটি থাকে যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয়। এছাড়াও ত্বকের ধুলো-ময়লা ও মরা চামড়া দূর করে ত্বককে পরিষ্কার হতে সাহায্য করে মুলতানি মাটি। চন্দন ত্বককে ময়েশ্চারাইজ হতে সাহায্য করে এবং ত্বকে শীতল অনুভূতি দেয়। চন্দনে সেন্টানল নামক সক্রিয় উপাদান থাকে যা ত্বকের ছিদ্রগুলোকে সংকুচিত হতে সাহায্য করে প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে। হলুদে থাকে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান এবং দুধে থাকে এক্সফলিয়েটিং ও ত্বকের বর্ণ হালকা করার উপাদান। তাই চন্দনের এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করলে ত্বক নরম-কোমল হওয়ার পাশাপাশি ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততাও দূর হবে।

হায়দ্রাবাদি টক ডাল রেসিপি

ranna banna o beauty tips
হায়দ্রাবাদি টক ডাল রেসিপি
ডাল খেতে পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। উৎসব থাকুক আর না থাকুক, মুগ-মসুরই ভরসা। অন্যরকম ডাল খাবার শখ হলে হয়তো বুটের ডাল অথবা মাসকলাইয়ের ডাল রান্না করা হয়। কিন্তু আরও অনেক রকমের ডালের কথা ভুলে যাই আমরা, তার মাঝে একটি হলো অড়হরের ডাল। অনেকে হয়তো নামই শোনেননি কখনো, চোখে দেখা বা চেখে দেখা তো পরের কথা। এই অড়হরের ডাল দিয়েই তৈরি দারুন সুস্বাদু একটি ডালের রেসিপি জেনে নিন আজ। টক-ঝাল এই ডালের রেসিপিটি এসেছে হায়দ্রাবাদ থেকে।

উপকরণ
- ১ কাপ অড়হরের ডাল
- ১টি বড় টমেটো, মিহি কুচি করা
- আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
- ১ চা চামচ রসুন কুচি
- আধা চা চামচ আদা কুচি
- পৌণে এক চা চামচ কাঁচামরিচ কুচি
- এক কাপ তেঁতুল গোলা পানি

বাগাড় দেবার জন্য
- ১ চা চামচ তেল
- ১ চা চামচ সরিষা
- ১ চা চামচ জিরা
- ২/৩টি শুকনো মরিচ
- কয়েকটি কারি পাতা
- ৩/৪ কোয়া রসুন কুচি করা
- গার্নিশের জন্য ধনেপাতা কুচি

প্রণালী
১) প্রথমে ডাল ভালো করে ধুয়ে নিন। একটি প্রেশার কুকারে ডাল, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, কাঁচামরিচ, টমেটো এবং দুই কাপ পানি দিন। ঢাকনা আটকে দিয়ে বেশি আঁচে দুইটি সিটি দেওয়া পর্যন্ত রান্না হতে দিন। এরপর আঁচ কমিয়ে আরও ৩ মিনিট রান্না হতে দিন। এরপর আঁচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার নিজে থেকে কমে এলে এরপর ঢাকনা খুলুন।
২) ডাল রান্না হয়ে এলে ডাল রান্নার কাঠি দিয়ে নেড়ে একে আরও মিহি করে নিন। এতে তেঁতুলের পানি দিয়ে আবারও আঁচে দিন। ফুটে এলে আঁচ একেবারে কমিয়ে রাখুন। এই অবস্থায় বাগাড় প্রস্তুত করুন।
৩) বাগাড়ের জন্য একটি কড়াইতে তেল গরম করে নিন। এতে সরিষা ও জিরা দিন। এগুলো ফুটে এলে আদা দিয়ে ভাজুন। আদা বাদামি হয়ে এলে কারি পাতা ও শুকনো মরিচ দিন। কয়েক সেকেন্ড সাঁতলে নিন।
৪) ডালের ওপর বাগাড় ঢেলে দিন এবং ৪-৫ মিনিট রাখুন। এরপর আঁচ বন্ধ করে দিন।

তৈরি হয়ে গেলো দারুন টক-ঝাল স্বাদের হায়দ্রাবাদি ডাল। পরিবেশনের আগে ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিন। পরিবেশন করতে পারেন গরম ভাতের সাথে।

টিপস:
- অড়হর ডালের বদলে মসুর ডাল ব্যবহার করতে পারেন
- তেঁতুলের বদলে ব্যবহার করতে পারেন লেবুর রস

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬

ত্বকের সমস্যার সমাধান করবে গুঁড়ো দুধের এই ৫টি প্যাক

ranna banna o beauty tips
ত্বকের সমস্যার সমাধান করবে গুঁড়ো দুধের এই ৫টি প্যাক
চা বা কফি তৈরির অন্যতম উপাদান হল গুঁড়ো দুধ। শুধু চা কফি নয় পায়েস, পুডিং, মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় গুঁড়ো দুধ। আপনি কি জানেন ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যায় এই গুঁড়ো দুধ? ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা, ত্বকে কালো দাগ কিংবা ব্রণের কালো দাগ দূর করতে গুঁড়ো দুধের প্যাক ব্যবহার করুন। গুঁড়ো দুধের কার্যকর কিছু প্যাক নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

১। গুঁড়ো দুধ এবং লেবুর রস

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধের সাথে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

২। গুঁড়ো দুধ, পেঁপে এবং গোলাপ জল

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক টেবিল চামচ পেঁপের পেস্ট এবং ছয়-সাত ফোঁটা গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে নিন।  এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গোলাপ জল টোনার হিসেবে কাজ করে। আর গুঁড়ো দুধ এবং পেঁপে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

৩। গুঁড়ো দুধ এবং চালের গুঁড়ো

একটি পাত্রে চাল এবং গুঁড়ো দুধ পানিতে গুলিয়ে দুই ঘন্টা রেখে দিন। এরপর এই মিশ্রণটি বেটে পেস্ট করুন। এই পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে এতে লেবুর রস মেশাতে পারেন। এটি ত্বক নরম করার সাথে সাথে স্ক্রার্বেও কাজ করবে।

৪। গুঁড়ো দুধ এবং হলুদ

এক চা চামচ হলুদের গুঁড়োর সাথে কাঁচা দুধ মেশান। দুধ এবং হলুদের পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে মধু মেশাতে পারেন। প্যাক ব্যবহারের আগে মুখ কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের রোমকূপ খুলে যাবে এবং প্যাক ভালভাবে ত্বকে কাজ করবে।

৫। গুঁড়ো দুধ এবং কমলার খোসা

কমলার খোসা গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে চক্রাকারে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি তুলে ফেলার পর ত্বকে বরফ ঘষুন পাঁচ মিনিট। তাৎক্ষনিক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এই প্যাকটি।

অতিথি আপ্যায়নে ঝটপট আলু রোস্ট

ranna banna o beauty tips
অতিথি আপ্যায়নে ঝটপট আলু রোস্ট
বিপদের সময়ে আলুর বিকল্প নেই। সকালের নাস্তায় দ্রুত আলু ভাজা, দুপুরে ভাতের সাথে আলু ভর্তা, স্ন্যাক্স হিসেবে আলুর চপ, আর মাছ-মাংস বা ডিম রান্নায় আমিষের পাশাপাশি তো আছেই। কিন্তু শুধু আলু দিয়েই যে রোস্ট তৈরি করে ফেলা যায়, তা কখনও ভেবেছেন? খাবার টেবিলে আমিষের অনুপস্থিতি একবারেই ভুলিয়ে দেবে ঝটপট এই আলু মাসালা রোস্ট। চলুন দেখে নিই রেসিপিটি।

রান্নার সময়: ১২ মিনিট

কোটাবাছার সময়: ১৫ মিনিট

পরিবেশন: ৪ জন

উপকরণ
- ৩/৪টি বড় আলু
- দেড় টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো/কর্ন ফ্লাওয়ার
- ১ টেবিল চামচ তেল
- সিকি চা চামচ হিং/কাসুরি মেথি
- ১ চা চামচ জিরা
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- আধা চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- পৌনে এক চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
- লবণ ১ চা চামচ
- ১ টেবিল চামচ টাটকা ধনেপাতা কুচি

প্রণালী
১) দ্রুত আলু সেদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন প্রেশার কুকার। কুকারে ২ কাপ পানি দিন। আরেকটি পাত্রে ধোয়া আলু নিয়ে এই পানির ওপর রাখুন। আলু পানিতে দেবেন না। ঢাকনা লাগিয়ে দিন। বেশি আঁচে সেদ্ধ হতে দিন। ২টি হুইসেল আঁচ কমিয়ে রাখুন ৮-১০ মিনিট। এরপর আঁচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার কমে এলে ঢাকনা খুলে নিন। চামড়া ছাড়িয়ে কিউব করে কেটে নিন।
২) কিউব করা আলু একটি বড় পাত্রে নিন। এতে চালের গুঁড়ো দিন এবং পাত্রটি সাবধানে টস করুন যাতে আলুর কিউবে সমানভাবে চালের গুঁড়ো মেখে যায়।
৩) একটি ছোট পাত্রে লবণ, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
৪) তলাভারি একটি পাত্রে তেল গরম করে নিন। এতে আস্ত জিরা দিন। জিরা ফুটতে থাকলে আঁচ কমিয়ে ফেলুন। এতে মশলার মিশ্রণ দিয়ে দিন। তেলের সাথে নেড়ে মিশিয়ে নিন। কিন্তু সাবধান থাকুন যেন মশলা পুড়ে না যায়।
৫) চালের গুঁড়ো মাখানো আলুর কিউবগুলোকে এবার মশলার মাঝে ছেড়ে দিন। কম আঁচে নেড়েচেড়ে রান্না করুন ৮-১০ মিনিট। ওপরটা মুচমুচে লালচে-সোনালি হলে নামিয়ে নিন।

ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভাত বা পরোটার সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম।

টিপস:
- এক চিমটি গরম মশলা গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন
- মশলা দেবার সময়েই লবণ দিয়ে দিন, পরে দেবেন না
- চালের গুঁড়ো না থাকলে কর্ন ফ্লাওয়ার ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু চালের গুঁড়ো দিলে ক্রিস্পি ভাবটা ভালো আসবে

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.