মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

পান্তার সঙ্গে ইলিশ তন্দুরী

ranna banna o beauty tips
ইলিশ তন্দুরী
বৈশাখী রান্নার কথা ভাবতেই প্রথমেই আসে ইলিশ পান্তা। বছরের প্রথম দিনে জাতীয় মাছ ইলিশের অসাধারণ স্বাদ উপভোগ যেন বাঙালিত্বের হালনাগাদ করায়। একসময় বাঙালির সকালের তৃপ্তিকর নাস্তা ছিল ইলিশ পান্তা। বৈশাখ বরণে সেই রীতিকে স্বরণ করা এখন আমাদের সংস্কৃতিতে দাঁড়িয়েছে। ইলিশ দিয়ে অনেক রকমের রান্না করা হয়। তবে আজ আপনাদের জন্য রয়েছে একটা ভিন্ন স্বাদের রেসিপি। বৈশাখী রান্নায় আজ দেখে নেয়া যাক ইলিশ তন্দুরী।

যা যা লাগবে
মাছের টুকরা ৫টি
তন্দুরী মসলা ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস ২ চা চামচ
লবণ পরিমাণমতো
আদা ও রসুন বাটা আধা চা চামচ
তেল ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ

যেভাবে করবেন

মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। মাছের সঙ্গে সব উপকরণ মাখিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার ফ্রাইপ্যানে তেল মাখিয়ে চুলায় দিয়ে মাছ সাজিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। তারপর সেই মাছ তুলে একটি একটি করে আগুনে ঝলসিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার ইলিশ তন্দুরী। পান্তা ভাতের সঙ্গে দারুণ উপযোগী তন্দুরী ইলিশ। গরম ভাতের সঙ্গেও কম যায় না।

জেনে নিন বাটারস্কচ আইসক্রিম তৈরির সহজ প্রণালীটি


ranna banna o beauty tips
বাটারস্কচ আইসক্রিম
এই  কাঠফাটা গরমে প্রাণ জুড়াতে আইসক্রিমের তুলনা নেই। বাজারের আইসক্রিম কত আর খেতে ভাল লাগে বলুন। ঘরে যদি বাজারের মত মজাদার ফ্লেভারের আইসক্রিম তৈরি করা যায় কেমন হয় বলুন তো? দারুন তাই তো! আইসক্রিমের অনেকগুলো ফ্লেভারের মধ্যে বাটারস্কচ অন্যতম। অনেকের পছন্দের ফ্লেভার এটি। কিন্তু এই মজাদার ফ্লেভারটি সব স্থানে পাওয়া যায় না। তাই ইচ্ছা হলেই খেতে পারেন না প্রিয় ফ্লেভারের আইসক্রিমটি। এখন ইচ্ছা করলেই খেতে পারবেন যখন তখন বাটারস্কচ আইসক্রিম। তাও নিজে তৈরি করে। ভাবছেন কিভাবে? তাহলে জেনে নিন বাটারস্কচ আইসক্রিম তৈরির রেসিপিটি।

উপকরণ:
  • ৪ টেবিল চামচ চিনি
  • ২ টেবিল চামচ কাজুবাদাম
  • ১ টেবিল চামচ মাখন
  • ১.৫ কাপ লো ফ্যাট ক্রিম
  • ১/৩ কাপ চিনির গুঁড়ো
  • ১/২ কাপ দুধ
  • ১.৫ চা চামচ বাটারস্কচ এসেন্স  


প্রণালী:
১। প্রথমে একটি প্যানে চিনি দিয়ে ক্যারামেল তৈরি করে নিন।
২। তারপর চুলার আঁচ কমিয়ে এতে মাখন, কাজুবাদাম কুচি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩। এটি নামিয়ে একটি পাত্রে ঢেলে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন।
৪। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটির উপর কিচেন টাওয়েল রেখে বেলুন দিয়ে বেলে নিন।
৫। আরেকটি পাত্রে বরফ কুচির সাথে কিছু পানি দিয়ে তার উপর ঠান্ডা (ফ্রিজে রাখা) আরেকটি পাত্র রেখে দিন।
৬। এবার পাত্রের উপর ক্রিম বিটার দিয়ে ভাল করে বিট করুন।
৭। এটি দ্বিগুণ হয়ে গেলে এতে চিনির গুঁড়ো দিয়ে আবার বিট করুন। এরপর এতে দুধ, বাটারস্কচ এসেন্স, ক্যারামেল বাদাম কুচি, লেমন কালার মিশিয়ে আবার বিট করুন।  
৮। এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘন্টা।
৯। বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বাটারস্কচ আইসক্রিম।

সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬

গরম প্রাণ জুড়াতে ঝটপট ম্যাঙ্গো ডিলাইট

ranna banna o beauty tips
ম্যাঙ্গো ডিলাইট
বাজারে খুঁজলে এখনই পাওয়া যাবে কিছু কিছু পাকা আম। একেবারে প্যাচপ্যাচে এই গরমের এই দিনে আপনি যদি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কোনো ডেজার্ট খেতে চান, তাহলে তৈরি করে নিতে পারেন মৌসুমের স্বাদে ম্যাঙ্গো ডিলাইট। সহজ এই রেসিপিতে খাবার তৈরির জন্য আপনাকে পাকা রাঁধুনি হতে হবে না। একদম অল্প কিছু উপাদানে খুব কম সময়ে তৈরি হয়ে যাবে চোখ জুড়ানো ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা এই ডেজার্ট।

উপকরণ

- ১ কাপ হেভি হুইপিং ক্রিম
- ১ চা চামচ ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট
- ৩ টেবিল চামচ অথবা স্বাদমতো গুঁড়ো চিনি
- ১ কাপ পাকা আমের পাল্প
- কয়েক টুকরো আম গার্নিশের জন্য
- পুদিনা পাতা গার্নিশের জন্য

প্রণালী
১) একটা পরিষ্কার, ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করা বোলে হেভি ক্রিম নিন এবং মিডিয়াম স্পিডে আধা মিনিট হুইপ করে নিন যাতে ঘন হয়ে আসে।
২) ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট এবং গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে বিট করুন যতক্ষণ না “স্টিফ পিক” তৈরি হয়।
৩) সার্ভিং গ্লাস বা বাটিতে বড় এক চামচ হুইপড ক্রিম দিন। গ্লাসটা ধীরে ধীরে টেবিলে ঠুকে সমান করে নিন ক্রিম। এবার ওপরে এক স্তর আমের পাল্প দিয়ে নিন। আবারও সমান করে নিন।
৪) এবার ওপরে অল্প করে হুইপড ক্রিম দিন। একটু পুদিনা এবং কয়েক টুকরো আম দিয়ে পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা!

ওভেন ছাড়াই তৈরি করে ফেলুন সুস্বাদু গার্লিক ব্রেড

ranna banna o beauty tips
সুস্বাদু গার্লিক ব্রেড
প্রতিদিন সকালের নাস্তায় যে খাবারটি প্রায় সব বাসায়ই খাওয়া হয়, তা হল পাউরুটি। বাজারের অস্বাস্থ্যকর পাউরুটি খাওয়াটা অনেকেরই অপছন্দের। আবার পাউরুটি ওভেন ছাড়া তৈরি করা যায় না বলে, ইচ্ছা থাকলেও পাউরুটি ঘরে তৈরি করতে পারেন না। এই সমস্যার সমাধান করে দেবে আজকের এই রেসিপি। ওভেন ছাড়াই তৈরি করে নিতে পারবেন গার্লিক ব্রেড।

উপকরণ:
  • ২ কাপ ময়দা
  • ১ চা চামচ ইস্ট
  • ৩/৪ কাপ গরম পানি
  • ১ টেবিল চামচ চিনি
  • ৩/৪ চা চামচ লবণ
  • ২ টেবিল চামচ তেল
  • গার্লিক বাটার তৈরির জন্য
  • ২ টেবিল চামচ মাখন
  • ৪ কোয়া রসুন কুচি
  • লবণ স্বাদমত
  • গোলমরিচ গুঁড়ো
  • ১ চা চামচ ওরিগেনো, বেসলি এবং পার্সলি পাতা গুঁড়ো


প্রণালী:

১। একটি পাত্রে ১/২ কাপ গরম পানি, চিনি এবং ইস্ট মিশিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন।
২। ৫ মিনিট পর পানিতে বুদবুদ উঠলে এতে ময়দা, তেল, লবণ এবং বাকী ১/৪ কাপ পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।  
৩। ডো নরম হয়ে গেলে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট অথবা সুতির কাপড় দিয়ে ২ ঘন্টা ঢেকে রাখুন।
৪। আরেকটি পাত্রে রসুন কুচি, মাখন, ওরিগেনো, ব্রাসলি,পার্সলি পাতা গুঁড়ো, লবণ এবং গোল মরিচ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৫। এবার ডোটিকে দুই ভাগ করে নিন। এবার একটি ভাগ নিয়ে বড় রুটির মত বেলে নিই।
৬। রুটির মাঝে মাখন রসুনের মিশ্রণটি দিন। এবার রুটিটি রোল করুন।
৭। রোল করা রুটিটি ছুড়ি দিয়ে কয়েক টুকরো করে নিন।
৮। এখন নন-স্টিক প্যানে তেল দিয়ে কাটা ডোর টুকরোগুলো দিন।
৯। একটি কাপড় দিয়ে প্যানের ঢাকনাটি পেঁচিয়ে নিন, তারপর সেটি দিয়ে প্যানটি ঢেকে দিন।
১০। এবার প্যানটি গরম কোন স্থানে এক ঘন্টা রেখে দিন। এক ঘন্টা পর দেখবেন ডোটি ফুলে ডাবল হয়ে গেছে।
১১। এবার অল্প আঁচে প্যানটি ১০-১২ মিনিট চুলায় রাখুন।
১২। ১০ মিনিট পর পাউরুটির পাশ পরিবর্তন করে ৫-৬ মিনিট রান্না করুন।
১৩। দুই পাশ সোনালী রং হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করুন।
১৪। পাউরুটির উপরে মাখন ব্রাশ এবং ধনেপাতা কুচি করে নামিয়ে ফেলুন।
১৫। ব্যস তৈরি হয়ে গেল গার্লিক ব্রেড।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

ঢেঁড়সের একটি ভিন্ন স্বাদের রান্না

ranna banna o beauty tips
ঢেঁড়সের একটি ভিন্ন স্বাদের রান্না
স্বাস্থ্যকর মজাদার সবজি ঢেঁড়স। এই সবজিটি অনেকে বাচ্চারা খেতে চায় না। বাচ্চাদের এই সবজিটি খাওয়ানো যায় খুব সহজে। ভাবছেন কীভাবে? ঢেঁড়স ফ্রাই করে! অবাক হচ্ছেন? মুড়মুড়ে ক্রিসপি এই খাবারটি ছোট বড় সবাই অনেক পছন্দ করে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক মজাদার ক্রিসপি ঢেঁড়স ফ্রাইয়ের রেসিপিটি। 

উপকরণ: 
৩৫০ গ্রাম ঢেঁড়স 
২ টেবিল চামচ বেসন 
১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো 
১/৩ চা চামচ মৌরি 
১/৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো 
১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো 
১/২ চা চামচ আমচূর গুঁড়ো 
১/৩ চা চামচ জিরা গুঁড়ো 
লবণ স্বাদমত 

তেল প্রণালী: 
১। প্রথমে ঢেঁড়সগুলো পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। 
২। তারপর ঢেঁড়সের মাঝের অংশ বীচিসহ কেটে ফেলে দিন। ঢেঁড়স চিকন চিকন করে (ভিডিও অনুযায়ী) কাটুন। 
৩। একটি পাত্রে ঢেঁড়স, বেসন, চালের গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, আমচূর গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, মৌরি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। 
৪। ভাজার আগে লবণ দিয়ে আবার ভাল করে মিশিয়ে ফেলুন। 
৫। তারপর চুলায় তেল গরম হয়ে গেলে এতে ঢেঁড়সগুলো অল্প করে দিয়ে দিন। 
৬। ২ মিনিট ভাঁজুন। হালকা বাদামি রং হয়ে আসলে মাঝারি আঁচে আরও কিছুক্ষণ ভাঁজুন। 
৭। গাঢ় বাদামী রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। 
৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেলে মজাদার ঢেঁড়স ফ্রাই। ভাতের সাথে পরিবেশন করতে পারেন ঢেঁড়স ফ্রাই।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

চুলের রুক্ষতা দূর করতে ৫টি সহজ ও কার্যকরী হেয়ার প্যাক

হেয়ার প্যাক
চুলের যত্নে অথবা ত্বক পরিচর্যায় ঘরে তৈরি প্যাক ব্যবহার করা নিরাপদ এবং কার্যকরী। বিশেষত চুলে নানা স্টাইল করার জন্য রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করে অনেক ক্ষতি করে ফেলি আমরা নিজের অজান্তেই। চুল আয়রন, রং করা, ব্লো ড্রাই ইত্যাদি কত কিছু না করা হয়। এতসব হেয়ার স্টাইলের কারণে চুল পড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে, চুল হয়ে যাচ্ছে রুক্ষ, মলিন। এই রুক্ষতা দূর করুন রান্নাঘরে থাকা কিছু সাধারণ উপাদান দিয়ে। এই প্যাকগুলো নামী দামী হেয়ার ট্রিটমেন্ট থেকে অনেক নিরাপদ এবং কার্যকরী।

১। ডিম এবং অলিভ অয়েল

২-৩ টি ডিম খুব ভাল করে ফেটে নিন। এবার এর সাথে ৫-৬ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভাল করে মেশান। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। এটি চুলের গোঁড়ায় পৌঁছে চুলের রুক্ষতা ভিতর থেকে দূর করে দিয়ে থাকে।

২। ক্যামোমিল চা এবং আপেল সাইডার ভিনেগার

৩টি ক্যামোমিল টি ব্যাগ গরম পানিতে দিয়ে ২০-৩০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরসাথে ১/৪ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার এটি চুলে লাগিয়ে নিন। এটি চুলে ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি চুলকে নরম কোমল করার পাশাপাশি চুলকে হাইলাইট করে তুলবে।

৩। কলা, লেবু এবং মধু

পাকা কলা, লেবু এবং মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি খুব ভাল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে থাকে।

৪। কলা এবং বাদাম তেল

একটি পাকা কলা ম্যাশ করে নিন এবং এর সাথে ৩ ফোঁটা বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। বাদাম তেল এবং পাকা কলার প্যাক চুলে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ২৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে সাইনি এবং ঝলমলে করে তোলে।

৫। স্ট্রবেরি এবং মেয়নিজ হেয়ার প্যাক

একটি পাত্রে ৭-৯ টি স্ট্রবেরি ম্যাশ করে এতে ১ টেবিল চামচ মেয়নিজ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এইবার এই প্যাকটি চুলে লাগিয়ে নিন। ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। লক্ষ্য রাখবেন স্ট্রবেরিগুলো যেন পাকা হয়।

ব্রণ দূর করতে যে ৪টি উপাদান কার্যকর, যে ৪টি অকার্যকর

ব্রণ দূর করতে যে ৪টি উপাদান কার্যকর, যে ৪টি অকার্যকর 
ত্বকের সমস্যাগুলোর মাঝে অন্যতম হলো ব্রণ। খুব সহজেই এরা ত্বকে দাগ ফেলে দিতে পারে। কিন্তু সাধারণ একটা ব্রণের জন্য তো আর ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় না। এ কারণে আমরা বাড়িতেই এটাসেটা ব্যবহার করে ব্রণের উপদ্রব থেকে মুক্তি পাবার চেষ্টা করি। কিন্তু এসব উপায় কী সবসময় কাজ করে? ডার্মাটোলজিস্টদেড় মতে কিছু কিছু উপায় আসলেই কাজ করে, কিছু আবার উল্টো ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। চলুন জেনে নেই এগুলোর ব্যপারে।

কার্যকরী উপাদান- টি ট্রি অয়েল

গবেষণাতেই দেখা গেছে হালকা থেকে মাঝারি ধরণের ব্রণ দূর করতে এটি বেশ কার্যকরী। জ্বালাপড়া করতে থাকা, লালচে ব্রণের উপশম করতে পারে টি ট্রি অয়েল। এই অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে ব্রণ দূর করতে পারে। এটা ব্যবহার করার জন্য ৫ পার্সেন্ট টি-ট্রি অয়েল সলিউশন নিয়ে সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এই পানিতে একটা কটন বল ভিজিয়ে দিনে এক-দুইবার প্রয়োগ করুন ব্রণের ওপর।

কার্যকরী উপাদান- অ্যাসপিরিন

অ্যাসপিরিন মূলত ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডসের ক্ষেত্রে কাজ করে ভালোভাবে। এটা এক ধরণের স্যালিসাইলিক এসিড, যা কিনা অনেক ব্রণ দূর করার ক্রিমে থাকে। এটা পোর খুলে দিতে সাহায্য করে এবং ব্ল্যাকহেড বা হোয়াইটহেড দূর করে দেয়। এটা কীভাবে ব্যবহার করবেন? দুটো অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে নিন, ২ টেবিল চামচ পানির সাথে মেশান এবং এই পেস্ট ব্রণে দিয়ে রাখুন এক-দুই মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন।

কার্যকরী উপাদান- অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

ত্বকের ওপর অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের প্রভাব নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি কিন্তু এটার অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণ দূর করতে উপকারী হতে পারে। এটা অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট, এ কারণে তেল কমাতেও কার্যকরী। টি ট্রি অয়েলের মতোই সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে এটা ব্যবহার করতে হবে। এই মিশ্রণ তুলোয় ভিজিয়ে এক-দুই মিনিট ব্রণের ওপর রাখতে হবে।

কার্যকরী উপাদান- গ্রিন টি

গ্রিন টিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে এটা ব্রণের যন্ত্রণা কমায় আর ব্যাকটেরিয়াও দূর করে। কিছুটা গ্রিন টি তৈরি করে এটা ঠাণ্ডা করে একটা কাপড় ভিজিয়ে মুখে দিতে পারেন। অথবা টি ব্যাগটাকে ঠাণ্ডা করে সরাসরি ব্রণের ওপর রাখতে পারেন ২০ মিনিট পর্যন্ত।

এ তো গেলো কার্যকরী উপাদানের কথা। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন কিছু উপাদানও ব্যবহার করে থাকি যা আদতে ত্বকে প্রয়োগ করা মোটেই উচিৎ নয়। বরং এগুলোর ব্যবহারে ব্রণের উপদ্রব আরও বেড়ে যেতে পারে। দূরে থাকুন এসব উপাদান থেকে-

সবচাইতে খারাপ- রাবিং স্পিরিট

কারণ এটি ত্বক থেকে উপকারী তেল এবং প্রোটিন শুষে নেয়। ফলে ত্বকের অবস্থা আগের চাইতেও খারাপ হয়ে যায়।

বেশ খারাপ- টুথপেস্ট

ব্রণ দেখা দিলেই সাথে সাথে টুথপেস্ট লাগাতে হবে সেখানে, এমনটা যারা ভাবেন তারা ভুল। কারণ আমাদের দাঁতের মতো শক্তি জিনিসে প্রয়োগের জন্য টুথপেস্ট তৈরি করা হয়, ত্বকের মতো কোমল জায়গায় নয়। এটা ত্বক শুকিয়ে এবং জ্বালাপোড়া তৈরি করে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।

মোটামুটি খারাপ- লেবুর রস

লেবুর রস খারাপ, কারণ এটাও তেল শুষে নেয় ত্বক থেকে। আর এতে থাকা ফ্রুট এসিড ত্বকে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে এটা দেবার পর যদি আপনি রৌদ্রে যান তাহলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, হতে পারে র‍্যাশ।

তেমন ক্ষতিকর না হলেও অকার্যকর- মধু

মধু ত্বকের জন্য কোমল, এটা তেমন কোন ক্ষতি না করলেও আসলে ব্রণ দূর করতে তেমন কার্যকরী নয়। আর মধু ভারি হওয়ার কারণে এটা ত্বকের পোর বন্ধ করে উল্টো নতুন নতুন ব্রণ তৈরি করতে পারে।

শুধু এগুলোই নয়। ডাক্তারের দেওয়া ব্রণের ওষুধ ব্যবহার করেও দেখা যায় অনেকে ফল পান না, ব্রণ থেকেই যায়। যেসব ভুলের কারণে আপনার ব্রণ দূর হচ্ছে না তা হলো-
- মুখ পরিষ্কার না করেই ওষুধ দেওয়া
- আপনি বেশি স্ট্রেসে আছেন
- আপনার পোর বন্ধ হয়ে আছে
- আপনি বেশি ঘন ঘন মুখ ধুয়ে থাকেন
- আপনি অতিরিক্ত এক্সফলিয়েট করেন
- আপনি খুব বেশি বা খুব কম পরিমাণে ওষুধ ব্যবহার করেন

প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর না হলে আপনি ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন অবশ্যই। নিজে নিজে ত্বকে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করা থেকে বিরত থাকুন, ইনফেকশন হয়ে গেলে দাগ বসে যেতে পারে।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.