রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬

ছুটির দিনের বাহারি খাবার "লাহোরি চিকেন চারগাহ"

ranna banna o beauty tips
লাহোরি চিকেন চারগাহ
আজ ছুটির দিনের ডিনারে বিশেষ কিছু রাঁধতে চান? তাহলে চেখে দেখুন সুমনা সুমির এই দারুণ রেসিপিটি। ভিনদেশি এই খাবারটি তৈরিতে সহজ আর খেতেও দারুণ।
উপকরণ
• আস্ত মুরগী ১ টি
• লেবুর রস ২ টেবিল চামচ 
• টক দই ১/৪ কাপ
• টমেটো সস ২ টেবিল চামচ
• আদা বাটা ১ টেবিল চামচ 
• রসুন বাটা ১ চা চামচ 
• তন্দুরী মসলা ২ টেবিল চামচ
• মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ
• গরম মশলা পাউডার ১চা চামচ
• ভাজা জিরা গুঁড়ো ১চা চামচ
• চাট মশলা ১ টেবিল চামচ 
• ঘি ১/৪কাপ
প্রনালী
-মুরগী ভাল করে ধুয়ে রান ও বুকে দাগ কেটে দিন যাতে মেরিনেশনের মশলা ভেতরে ঢোকে।
-উপরের সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে মুরগীতে মাখিয়ে নিন।
-কমপক্ষে ৪ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
-স্টিম করার ৩০ মিনিট আগে ফ্রিজ থেকে নামিয়ে নিন।
-একটি পাতিলে স্টিমার দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। এখন মশলাসহ মুরগিটি স্টিমার এর উপর রেখে ঢেকে দিন। মাঝারি আছে ৩০ মিনিট ভাপে সিদ্ধ করুন।
-পরিবেশনের ৩০ মিনিট আগে কড়াইতে ১/২ লিটারের মত তেল দিন।
-তেল ফুটে উঠলে স্টিম করা মুরগী দিয়ে অল্প আঁচে ক্রিস্পি করে ভেজে তুলুন।
-উপরে ঘি ব্রাশ করুন।
-নান , রায়তা বা সালাদের সাথে পরিবেশন করুন।

কীভাবে আবিষ্কার হলো আপনার প্রিয় সানগ্লাসটি

কীভাবে আবিষ্কার হলো আপনার প্রিয় সানগ্লাসটি
পোশাকের সাথে মিলিয়ে বিভিন্ন রঙের সানগ্লাস  পরা এখন চলতি সময়ের জনপ্রিয় ফ্যাশন। নানান ডিজাইনের, রঙের সানগ্লাস পাওয়া যায় এখন বাজারে। সাদামাটা একটা পোশাকের সঙ্গে সানগ্লাস সহজেই এনে দেয় ফ্যাশনেবল লুক, যার ভক্ত কিশোর, তরুণ সবাই। আসুন জেনে নেই প্রিয় এই সানগ্লাস আবিষ্কারের গল্প।
সানগ্লাসের বাংলা নাম রোদচশমা, যদিও বাংলাটা আমাদের তেমন ব্যবহার করা হয় না। রোদচশমা নামটা শুনলে প্রথমেই মনে হবে যেন রোদে পরার জন্য যে চশমা ব্যবহার করা হয় তাকেই সানগ্লাস বা রোদচশমা বলা হয়। কিন্তু তা নয়। রোদকে আটকানোর জন্য রোদচশমার প্রচলন হয়নি। একটি বিশেষ কারণেই চৈনিক নির্মাতারা ধোঁয়াচ্ছন্ন লেন্সের চশমা প্রথম তৈরী করেন।
বিচারকদের চোখ ঢাকতে
১৩০০ সালের দিকে এই চশমা প্রথম তৈরী করা হয়। চোখের দৃষ্টির ত্রুটি অথবা রোদ প্রতিহত করতে নয় চীনের বিচারালয়ের জজ সাহেবদের চোখের দৃষ্টিকে আড়াল করতে এই চশমা ব্যবহার করা হয়।
বিচারকদের চোখ ঢাকার জন্য তারা ধোঁয়াচ্ছন্ন চশমা তৈরী করে ফেললেন। চীনাদের উদ্ভাবনী শক্তি সবসময়ই অসাধারণ। একশত বছর ধরে সানগ্লাসের ব্যবহার শুধু বিচারালয়ে হতে থাকলো। ১৪৩০ সালের দিকে রোদচশমা চীন থেকে ইতালীতে পাড়ি জমালো। তারাও বিচারিক কাজে রোদচশমা ব্যবহার করত।
নির্দিষ্ট দৃষ্টি ত্রুটি নিরাময় করতে
আঠারো শতকের মধ্যভাগে জেমস আয়ুসকফ চশমার অস্বচ্ছ লেন্স নিয়ে গবেষনা শুরু করলেন। আয়ুসকফ বিশ্বাস করতেন নীল অথবা সবুজ অস্বচ্ছ কাঁচ নির্দিষ্ট দৃষ্টি ত্রুটি নিরাময় করতে সক্ষম হবে। সূর্যালোককে প্রতিহত করার কোন চিন্তা ভাবনা তার মাথায় ছিলো না।
আমেরিকান মিলিটারিদের জন্য
বিংশ শতাব্দীতে এসে রোদচশমা রোদচশমা হিসেবে প্রাণ পায়। আমেরিকার মিলিটারি সানগ্লাস টেকনোলজির উন্নয়ন ও ব্যবহারে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ১৯২৯ সালে আধুনিক ধরনের রোদচশমার আবির্ভাব ঘটে।
আধুনিক রোদচশমা
১৯৩০ সালে ফস্টার গ্রান্ট কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ফস্টার আটলান্টিক সিটিতে ফস্টার গ্রান্ট সানগ্লাসের প্রথম জোড়া বিক্রি করেন। সত্তর দশকে হলিউড তারকারা রোদ- চশমা ব্যবহারের জন্য রীতিমত বিখ্যাত ছিলেন।
এখন রোদচশমা বা সানগ্লাস যা ই বলি না কেন তা পুরোপুরি একটি ফ্যাশনের উপকরন, দৈনন্দিন সাজসজ্জার উপকরন। রোদ না থাকলেও এমন কি রাতেও আমরা গ্লাস পরি নাইটগ্লাস নাম দিয়ে। যেভাবেই হোক প্রিয় চশমা থাকুক সাথে সবসময়।

তৈরি করে ফেলুন একেবারেই নতুন এই ডিমের স্ন্যাক্স

ranna banna o beauty tips
ডিমের স্ন্যাক্স
ডিম এমন একটা খাবার যেটা বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন উপকরণের সাথে খাওয়া যায় এবং এতে স্বাদ আরও বাড়ে। ডিমের ডেভিল কখনো খেয়েছেন কী? না খেয়ে থাকলে দেরি না করে তৈরি করে ফেলুন মাছের কিমা দিয়ে তৈরি ডিমের ডেভিল। হ্যাঁ, মাছ এবং ডিম দিয়েই তৈরি হবে স্বাস্থ্যকর এই স্ন্যাক্স। দেখে নিন রেসিপি এবং ছবি।
উপকরণ

- ৪০০ গ্রাম ভেটকি অথবা অন্য কোন কাঁটাছাড়া মাছ
- ৩টা আলু সেদ্ধ করে ভর্তা করা
- ১ কাপ পিঁয়াজ কুচি
- ২ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
- আধা কাপ ধনেপাতা কুচি
- ৫টা হার্ড বয়েল করা ডিম
- আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- মরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- ২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
- ৩টা শুকনো মরিচ ভেঙ্গে নেওয়া
- ১ কাপ বেসন
- ২ কাপ ব্রেড ক্রাম্ব
- ১ টেবিল চামচ চিনি
- লবণ স্বাদমতো
- তেল ভাজার জন্য
এই রেসিপির জন্য আপনি ভেটকি মাছ ছাড়াও অন্য মাছ ব্যবহার করতে পারেন তবে তার জন্য মাছের কাঁটা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
প্রণালী

১) নন-স্টিক প্যানে তেল গরম করে নিন। এপিঠ-ওপিঠ করে ভেজে নিন মাছের টুকরোগুলো। এরপর চামচ দিয়ে ভেঙ্গে নিন মাছ। এরপর ভাজা ভাজা হয়ে গেলে মাছটা নামিয়ে নিন। এখন লবণ দেবেন না।
২) ওই একই প্যানে কিছুটা তেল গরম করে নিন। এতে পিঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, শুকনো মরিচ, চিনি, লবণ, হলুদ, জিরা এবং মরিচ গুঁড়ো দিন। ভালো করে মিশিয়ে ভুনে নিন যতক্ষণ না পিঁয়াজ বাদামি হয়ে আসে। এর মাঝে ভাজা মাছটুকু দিয়ে মিশিয়ে নিন।

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৬

দিল্লীর জনপ্রিয় চিকেন ম্যাজেসটিক তৈরি করে ফেলুন ঘরেই

ranna banna o beauty tips
চিকেন ম্যাজেসটিক
দিল্লীর খুব বিখ্যাত একটি রান্না চিকেন ম্যাজেসটিক। এটি মূলত দিল্লীর হায়দ্রাবাদ এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে পাওয়া যায়। দিল্লীবাসীদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। চিকেন ম্যাজেসটিক নামটা শুনে কঠিন মনে হলেও এটি তৈরি করা তেমন কঠিন নয়। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক দিল্লীর এই বিখ্যাত খাবার তৈরির রেসিপিটি।
উপকরণ:

৩ টেবিল চামচ টকদই
১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো
১/২ গুচ্ছ পুদিনা পাতা কুচি
২টি কারি পাতা
৪টি কাঁচা মরিচ
১ চা চামচ আদা রসুনের পেস্ট
১টি ডিম
লবণ স্বাদমত
২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
২৫০ গ্রাম মুরগির মাংস
১/২ চা চামচ সয়াসস
১ চিমটি টেস্টিং সল্ট
ম্যারিনেট করার জন্য বাটার মিল্ক
প্রণালী:

১। প্রথমে মুরগির মাংসগুলোকে বাটার মিল্ক এবং লবণ দিয়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা মেরিনেট করতে দিন।
২। এবার একটি পাত্রে মেরিনেট করা মাংসের সাথে কর্ণ ফ্লাওয়ার, লবণ, ডিম, আদা রসুনের পেস্ট, তেল ভাল করে মিশিয়ে ২ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
৩। তারপর তেল গরম করে মাংসগুলো ভেজে নিন।
৪। এখন একটি প্যানে রসুন কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, কারি পাতা, পুদিনা পাতা, হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, টক দই, সয়া সস এবং লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।  
৫। এবার এতে টেস্টিং সল্ট এবং ভাজা মাংসগুলো দিয়ে দিন। ভাজা মাংস দিয়ে খুব বেশি রান্না করবেন না।
৬। মাংসগুলো কিছুক্ষণ নেড়ে লেবুর রস এবং ধনে পাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
৭। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার চিকেন ম্যাজেসটিক।

একই সাথে মজাদার এবং স্বাস্থ্যকর ফুলকপি দিয়ে মুগ ডাল

ranna banna o beauty tips
স্বাস্থ্যকর ফুলকপি দিয়ে মুগ ডাল
তেল চুপচুপে ভাজাভুজি, ঘিয়ের সুবাসে মৌ মৌ করা মোগলাই খাবার অথবা চর্বিতে চকচক করতে থাকা মাংস- এগুলোর রেসিপি দেখতে দেখতে যারা ক্লান্ত তারা আজ দেখে নিন স্বাস্থ্যকর একটি খাবারের রেসিপি। কম তেল-ঘি, লো-ক্যালোরির একেবারে খাস ভেজিটেরিয়ান একটি ডিশ হলো এই ফুলকপি দিয়ে মুগ ডালের রেসিপি। খাবারটি তৈরি এতো সহজ যে আপনি যে কোন দিনই ভাতের সাথে খাবার জন্য তৈরি করে ফেলতে পারেন এই ডাল। চলুন, ছবিতে দেখে নেই রেসিপিটি।
উপকরণ

২ কাপ মুগ ডাল
২ কাপ ফুলকপি, ছোট টুকরো করে কাটা
৪ টেবিল চামচ মটরশুঁটি
১ কাপ গাজর কুচি
আধা কাপ শিম কুচি
১ চা চামচ জিরা
২/৩টা শুকনো মরিচ
১/২টা তেজপাতা
আধা চা চামচ হলুদ
আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
১/২ চা চামচ চিনি
লবণ স্বাদমতো
১-২ চা চামচ
প্রণালী

১) বেশ আঁচে মিনিট দুয়েক টেলে নিন মুগ ডাল। এরপর ৩ কাপ পানিতে ৩০ মিনিট সেদ্ধ করে নিন ডাল। এছাড়াও ১০ মিনিট প্রেশার কুকারে ডাল ফুটিয়ে নিতে পারেন।

২) এরপর নন-স্টিক কড়াইতে এক চা চামচ তেল গরম করে নিন। এতে আস্ত জিরা দিয়ে দিন। এরপর দিন শুকনো মরিচ এবং তেজপাতা। এরপর দিয়ে দিন ফুলকপি। সাথে দিন মটরশুঁটি বাদে অন্যান্য সবজি। ওপরে ছড়িয়ে দিন হলুদ, মরিচ গুঁড়ো, চিনি এবং লবণ। ২-৩ মিনিট সাঁতলে নিন।
৩) ঢাকনা চাপা দিয়ে রান্না হতে দিন সবজি যতক্ষণ না সব সবজি সেদ্ধ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে অল্প করে পানি দিতে পারেন যাতে শুকিয়ে না যায়। একটু নেড়েও দিতে পারেন।

৪) এবার ওপরে ঢেকে দিন সেদ্ধ করে রাখা মুগডাল। এবার দিয়ে দিন মটরশুঁটি। বেশি আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন ২-৩ মিনিট। লবণ চেখে দেখুন, দরকার হলে ঠিক করে নিন।

ব্যাস, তৈরি হয়ে গেলো দারুণ মজাদার এবং স্বাস্থ্যকর ফুলকপির ডাল। ভাত অথবা রুটি- দুটোর সাথেই পরিবেশন করতে পারেন এই ডাল।
টিপস
এই রেসিপিতে আপনি ফুলকপির পাশাপাশি যে কোন সবজি ব্যবহার করতে পারেন। লাউ, বিট, পালং শাক, কাঁচা পেঁপে সবকিছুই চলে। তবে ফুলকপির পরিমাণটা কম দেবেন না।

শীতের সবজি দিয়েই তৈরি করুন "চাইনিজ" পাকোড়া

ranna banna o beauty tips
"চাইনিজ" পাকোড়া 
শীতকালে একটু ভাজাপোড়া খেতে সবারই ভাল লাগে। আলুর চপ, ফুলকপির চপ, পেঁয়াজু কত রকমের পাকাড়োই তো তৈরি করে থাকেন। এইবার একটু ভিন্নধর্মী পাকোড়া তৈরি করে নিন। সবজি দিয়ে তৈরি এই পাকোড়াটি হতে পারে বিকেলের নাস্তা আবার হতে পারে হুটহাট অতিথির নাস্তাও।  আসুন তাহলে জেনে নিন চাইনিজ স্টাইল পাকোড়ার সহজ রেসিপিটি।
উপকরণ:
১ কাপ বাঁধাকপি কুচি
১ কাপ পেঁয়াজ কলি কুচি
১ টেবিল চামচ আদা রসুনের পেস্ট
৩ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি
২টি কাঁচা মরিচ কুচি
১ চা চামচ সয়াসস
১/২ চা চামচ ভিনেগার
৩ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
৬ টেবিল চামচ ময়দা
লবণ
গোলমরিচ গুঁড়ো
তেল ভাঁজার জন্য
সস তৈরির জন্য
২ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ
১ টেবিল চামচ চিলি সস
১ চা চামচ সয়া সস
১ চা চামচ সাদা ভিনেগার
প্রণালী:
১। একটি পাত্রে বাঁধাকপি কুচি, ধনেপাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, আদা রসুনের পেস্ট, পেঁয়াজ কলি কুচি, ভিনেগার, সয়াসস, কর্ণ ফ্লাওয়ার, ময়দা, লবণ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো  দিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। এবার এটি ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট মেরিনেট করে রেখে দিন। এতে সবজি থেকে পানি বের হয়ে যাবে।
৩।  ১০ মিনিট পর সবজিগুলো হাত দিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করে দিন।
৪। প্রয়োজন হলে আরও ময়দা বা পানি মিশিয়ে নিন।
৫। চুলায় মাঝারি আঁচে তেল গরম করতে দিন। এবার পাকোড়াগুলো তেলে দিয়ে দিন।
৬। বাদামী রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
৭। পাকাড়ো তৈরির সাথে সাথে চাইনিজ সসটি তৈরি করে ফেলুন।
৮। টমেটো কেচাপ, চিলি গার্লিক সস, সয়া সস এবং ভিনেগার দিয়ে তৈরি করে নিন চাইনিজ সস।
৯। চাইনিজ সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চাইনিজ পাকোড়া।
টিপস
১। বাঁধাকপি মাঝারি আকৃতিতে কেটে নিন।
২। সবজির মিশ্রণে পানি দিবেন না।
৩। মাঝারি আঁচে পাকাড়ো ভাজি করুন।

পেরি পেরি চিকেন

ranna banna o beauty tips
পেরি পেরি চিকেন
আজকাল চিকেনের একটি খাবারের নাম শোনা যাচ্ছে। সেটি হল পেরি পেরি চিকেন। রেস্টুরেন্টে গেলে অনেকেই এই খাবারটি অর্ডার করে থাকেন। ঝাল ঝাল স্বাদের চিকেনের এই খাবারটি খেতে বেশ মজাদার। বাসায় এই মজাদার খাবারটি তৈরি করে নিতে পারেন খুব সহজেই।
উপকরণ:

৫০০ গ্রাম মুরগির রানের মাংস
১ চা চামচ+১/৪ কাপ+৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল বা তেল
৫-৬টি লাল মরিচ
৬-৮টি রসুনের কোয়া
১টি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ
২-৩টি ফ্রেশ ওরিগেনো
কয়েকটি পার্সলি পাতা
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো বা পাপরিকা পাউডার
লবণ স্বাদমত
১ টেবিল চামচ লাল ভিনেগার
২ টেবিল চামচ লেবুর রস
১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ মাখন
প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রি হিট করে নিন।
২। চুলায় প্যান গরম করতে দিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, লাল মরিচ এবং রসুন কুচি দিয়ে দিন।
৩। রসুন লাল হয়ে এলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ৪-৫ মিনিট রান্না করে নামিয়ে রাখুন।
৪। এবার মরিচ, পার্সলি, পাপরিকা, ওরিগেনো, লবণ, লেবুর রস, গোলমরিচ গুঁড়ো, লাল ভিনেগার এবং ৩ টেবিল চাচা মচ অলিভ অয়েল দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। একে পেরিপেরি সস বলা হয়।
৫। তারপর মাংসের টুকরোগুলো একটু করে কেটে নিন।
৬। এবার পেরিপেরি সস দিয়ে মাংসগুলো মাখিয়ে ফেলুন,
৭। মেরিনেট করা মাংসগুলো ২-৩ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
৮। এবার এই মেরিনেট করা মাংসগুলো ওভেনের ট্রেতে সাজিয়ে ওভেনে দিয়ে দিন।
৯। ১৫ থেকে ১৮ মিনিট ওভেনে বেক করুন।
১০। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পেরিপেরি চিকেন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.