বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

জেনে নিন স্মুদি তৈরির ছোট্ট উপায়

ranna banna o beauty tips
জেনে নিন স্মুদি তৈরির ছোট্ট উপায়
স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট হিসেবে অনেকেই স্মুদি পছন্দ করেন। অন্যান্য পানীয়ের সাথে স্মুদির পার্থক্য হলো এতে সাধারণত চিনি থাকে না এবং থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। এ কারণেই সাধারণ চিনিযুক্ত এবং আঁশ-ছাড়া জুস, কোক-পেপসির চাইতে অনেক স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে স্মুদি। আজ দেখে নিন টাটকা ফল দিয়ে তৈরি দারুণ একটি স্মুদির রেসিপি। দারুণ মজার এই স্মুদি পেট ভরাও রাখবে বেশ কিছুক্ষণ।
উপকরণ

-   ২টি কলা, খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নেওয়া
-   ৮/১০ টি স্ট্রবেরি, ভেতরের বীজ ছাড়ানো
-   সিকি কাপ ব্লু বেরি
-   ১ টেবিল চামচ মধু
-   ১ কাপ দই, ঠাণ্ডা
-   স্ট্রবেরি সস
-   সাজানোর জন্য কিছু স্ট্রবেরি এবং ব্লুবেরি
প্রণালী

১) একসাথে ব্লেন্ড করে নিন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, কলা, মধু এবং দই। একদম মিহি না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তৈরি হলো স্মুদি।
২) লম্বা গ্লাসে কিছুটা করে স্ট্রবেরি সস দিয়ে ডিজাইন করে দিন এবং ওপরে ঢেলে দিন স্মুদি।
৩) ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন। গার্নিশ করে দিন স্ট্রবেরি এবং ব্লুবেরি দিয়ে।

রান্নার পুরো প্রণালীটি ভালভাবে দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

পেশওয়ারি নান

ranna banna o beauty tips
পেশওয়ারি নান
মুখরোচক এবং পেট ভরানোর মতো দারুণ একটা খাবার হলো নানরুটি। কিন্তু সাধারণ নান আর কতো? আজ দেখে নিন একদম শাহী ধাঁচের এক নানের রেসিপি। কোনো তরকারি বা ঝোল ছাড়াও এই নান খেতে লাগবে দারুণ। আর তৈরি করে ফেলতে পারবেন আপনার ওভেনেই! চলুন দেখে নেই রেসিপিটি।
উপকরণ

-   ৩ কাপ ময়দা
-   ১ চা চাম ইস্ট
-   ৩ চা চামচ ক্যাস্টর সুগার
-   ১ চা চামচ বেকিং পাউডার
-   ১ চা চামচ লবণ
-   ১ কাপ দুধ
-   ২ টেবিল চামচ মাখন+ ব্রাশ করার জন্য মাখন
-   সিকি কাপ পেস্তাবাদাম গুঁড়ো
-   সিকি কাপ সাদা তিল
-   সিকি কাপ পিঁয়াজের বীজ (কালঞ্জি)
-   সিকি কাপ মিষ্টিকুমড়ার বীজ
-   আধা কাপ মোজারেলা চিজ
প্রণালী

১) ওভেন ১৮০ ডিগ্রিতে প্রি-হিট করে নিন।
২) ময়দা, ইস্ট, লবণ, চিনি এবং বেকিং পাউডার একটা বোলে নিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন এই শুকনো উপকরণগুলো। এর পর দুধ যোগ করে সুন্দর করে খামির তৈরি করুন। নরম একটা ডো তৈরি হলে ১৫ মিনিট রেখে দিন।
৩) ১৫ মিনিট পর ডোটাকে সমান আটভাগে ভাগ করে নিন এবং বল তৈরি করে নিন। প্রতিটা বল চ্যাপ্টা করে নিন। এরপর হাত দিয়ে টেনে টেনে তেকোনা একটা আকৃতি দিন।
৪) রুটিটার একপাশে মাখন ব্রাশ করে নিন। এর ওপর ছড়িয়ে দিন কিছু তিল, কালঞ্জি, পেস্তাবাদাম গুঁড়ো এবং মিষ্টিকুমড়ার বীজ।
৫) এবার রুটি বেলার বেলন দিয়ে রুটিটাকে বেলে নিন। এতে বীজগুলো রুটিতে আটকে যাবে। এরপর সবগুলো রুটি একটা বেকিং ট্রেতে রেখে ওভেনে দিন ৫-১০ মিনিটের জন্য।
৬) এই সময়ের মাঝে নান তৈরি হয়ে যাবে। বের করে ওপরে চিজ গ্রেট করে দিন। এরপর আবার বেকিং ট্রে-তে দিন যতক্ষণ না চিজ গলে যায়।
এবার ওভেন থেকে বের করে নিন নানগুলোকে। বাটার ব্রাশ করে দিন ওপরে। টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন গরম গরম।

রান্নার পুরো প্রণালীটি দেখতে নীচের ভিডিও টি দেখতে পারেন 

বিস্কুট দিয়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার চিজকেক

ranna banna o beauty tips
বিস্কুট দিয়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার চিজকেক
চিজ কেক নামটা শুনলে জিভে পানি চলে আসে! মজাদার এই কেকটি খেতে চাইলেও সবসময় খাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। কারণ সবসময় সব দোকানে এই কেক পাওয়া যায় না। কিছু কিছু বেকারিতে এই কেক কিনতে পাওয়া যায়। তাই যখন তখন খেতে ইচ্ছা করলেও চিজ কেক খাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। এখন আর চিজকেক তৈরি করা কঠিন কিছু না। খুব সহজে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার এই চিজকেক।
উপকরণ:

২৫০ গ্রাম বা ৯টি ডাইজেস্টিভ বিস্কুট
৬ টেবিল চামচ গলানো মাখন
২ পাউন্ড ক্রিম চিজ
১ কাপ টক ক্রিম
১ কাপ চিনি
১ চা চামচ ভ্যানিলা
৫টি ডিম
১ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার
এক চিমটি লবণ
১টি লেবুর খোসা
প্রণালী:

১। প্রথমে বিস্কুটগুলো ভেঙ্গে গুঁড়ো করে নিন। এবার এর সাথে গলানো মাখন মিশিয়ে নিন। বিস্কুটের গুঁড়ো এবং মাখন খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। সম্ভব হলে ফুড প্রসেসর বা ব্লেন্ডার ব্যবহার করুন।
২। এরপর এটি ওভেন ট্রেতে ঢেলে দিন। চামচের পিছনের অংশ দিয়ে সমান করে বিছিয়ে দিন।
৩। ৩৫০ ফারেনহাইট বা ১৮০ সেলসিয়াসে ওভেন প্রিহিট করুন। ওভেন ট্রেটি প্রি হিট ওভেনে ১৩-১৫ মিনিট ব্রেক করুন।
৪। এবার কেকটি বের করে ওভেনকে ৩০০ ফারেনহাইট বা ১৫০ সেলসিয়াসে প্রি হিট করতে দিন।
৫। এখন একটি পাত্রে ক্রিম চিজ নিয়ে বিটার দিয়ে বিট করে নিন। বিট ততক্ষণ করুন যতক্ষন না ক্রিম নরম হয়।
৬। এবার এর সাথে চিনি মিশিয়ে আবার বিট করুন।
৭। তারপর কর্ণ ফ্লাওয়ার, লবণ দিয়ে বিট করুন। এরপর এতে একটি একটি করে ডিম দিন এবং বিট করুন।
৮। লেবুর খোসা, ভ্যানিলা এসেন্স এবং সাওয়ার ক্রিম দিয়ে বিট করুন।
৯। এবার এটি বিস্কুট কেকের উপর দিয়ে দিন।
১০। ৩০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা ১৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস প্রিহিট করা ওভেনে ৪৫-৫৫ মিনিট ব্রেক করতে দিন।  
১১। রুম তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন সারারাত।
১২। পছন্দের কোন ফল বা কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিজকেক।

রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

"ক্লিয়ার চিকেন সুপ উইথ ভেজিটেবলস"

ranna banna o beauty tips
"ক্লিয়ার চিকেন সুপ উইথ ভেজিটেবলস"
চাইনিজ রেস্তরাঁর স্যুপের বাইরে একেবারেই ভিন্ন কিছু খেতে চান? তাহলে আজ চেখে দেখুন সায়মা সুলতানার এই রেসিপিটি। যারা কিনা ডায়েট করছেন ওজন কমানর লক্ষ্যে, তাঁদের জন্যেও দারুণ হবে এই রেসিপিটি!

লা লাগবে 

  • চিকেন কিমা হাফ কাপ
  • চিকেন / ভেজিটেবল স্টক ২ কাপ
  • সিদ্ধ সবজি পছন্দ মত
  • রশুন কুচি
  • লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
  • অল্প ধনিয়া পাতা কুচি
  • লেমন গ্রাস স্টিক ( থাই পাতা ) কয়েকটা
  • লবন স্বাদ মত
  • অল্প অলিভ অয়েল

প্রনালি

-এই সুপের এর প্রধান উপকরণ হল চিকেন / ভেজিটেবল স্টক।
-এর জন্য ৩ কাপ পানিতে ২ কাপ পরিমাণ মুরগির হাড্ডি (মাংস সহ নিতে পারেন, হাড্ডি গুলো একটু ছেঁচে দিবেন), পেঁয়াজ টুকরো,রশুন কয়েক কোয়া, আদা টুকরা আস্ত গোলমরিচ, অল্প লবণ দিয়ে কম আঁচে রান্না করুন।
-পানিটা ১ কাপ এর আরেকটু বেশি থাকা অবস্থায় নামিয়ে নিন।শুধু পানিটা ছেঁকে নিবেন । 
(বাকি বেঁচে যাওয়া মাংস দিয়ে আপনি অন্য যেকোনো নাস্তা যেমন চিকেন সমুচাতে অথবা নুডুলস এ দিতে পারেন।ভেজিটেবল স্টকও একই ভাবে বানাতে পারেন।)
-এবার একটা হাঁড়িতে অল্প তেল দিয়ে তাতে চিকেন কিমা দিন। নাড়াচাড়া করে রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট।
- এবার ১ কাপ স্টক দিন।সাথে সিদ্ধ সবজি পছন্দ মত, রশুন কুচি,লেবুর রস,অল্প ধনিয়া পাতা কুচি,লেমন গ্রাস স্টিক ( থাই পাতা ) কয়েকটা,লবন স্বাদ মত দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন। সুপ রেডি!
-নামিয়ে বাটিতে নিয়ে উপরে হালকা অলিভ অয়েল ছিটিয়ে দিন।উপরে ধনিয়া পাতা কুচি আর টালা গোল মরিচ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন এই সুপ।

বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

মধুর যাদুকরী ৬ টি ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
মধুর যাদুকরী ৬ টি ব্যবহার
মধু আমাদের অনেকেরই প্রিয় খাবার। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন চিনির বদলে তাদের রোজকার খাবারে যোগ করছেন মধু। আমরা সাধারণত এক কাপ চায়ে বা গরম পানিতে এক চামচ মধু যোগ করে পান করি মেদ কমানোর জন্য। কিন্তু এটি ছাড়াও মধুর আছে আরো অনেক ব্যবহার। মধুর ঔষধি গুণ অনেক রোগের নিরাময় করতে সক্ষম। আসুন এমনই ১০ টি অজানা ব্যবহার জেনে নিই আজ।

ক্লিনজার হিসেবে

আপনি কি জানেন মধু একটি দারুণ ক্লিনজার? মধুর প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে, ব্যাক্টেরিয়া দূর করে। আবার ২ চামচ নারকেল তেলের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মানসম্পন্ন ফেসিয়াল স্ক্রাব। যা বাড়িয়ে দেবে আপনার ত্বকের সজীবতা।

এন্টিবায়োটিক

মধু শরীরে ব্যক্টেরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে ক্ষতস্থানে মধু লাগালে তা এন্টিবায়োটিকের মতই ক্ষত সারায়। বাজারে মধু কেনার সময় এর রঙ এর দিকে খেয়াল করুন। মধু যত গাঢ় হবে তত তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকবে।

অনিদ্রা কাটাতে

যাদের অনিদ্রা সমস্যা রয়েছে তারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে মধু খাওয়ার অভ্যাস করে দেখুন। গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। অথবা মধু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এমন খাবারও খেতে পারেন। যেমন, ফালুদায় মধু ব্যবহার করলেন অথবা আইসক্রিমের উপর ১ লেয়ার মধু দিয়ে নিলেন। মধু থেকে নিঃসৃত চিনি মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করে আপনার অনিদ্রা দূর করে দেবে।

অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে

শরীরের অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে মধু খুবই কার্যকরি। আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাটা দাগ, পোড়া দাগ, মোটা শরীরের ফাটা দাগ থাকে। এই দাগ দূর করতে মধুর চেয়ে ভাল সমাধান আর নেই। ১ চামচ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে দাগের উপর নিয়মিত প্রলেপ দিন। ১ সপ্তাহেই ফলাফল দেখতে পাবেন।

মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে

মধুর ব্যবহার আপনাকে দিতে পারে মুখের বিব্রতকর দূর্গন্ধ থেকে মুক্তি। বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করেও হয়ত উপকার পাচ্ছেন না, কিন্তু টাকা নষ্ট হচ্ছে, একই সাথে মুখের মাড়ির, দাঁতের ক্ষতিও হচ্ছে। এর পরিবর্তে ১/৮ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো আর মধু গরম পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত গার্গল করলে আপনি অচিরেই উপকার পাবেন।

ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে

শীতে আমাদের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ফেটে যায় কনুই, পায়ের গোড়ালি। এই সমস্যা দূর করতে প্রতি বছর আমরা দামী দামী লোশন, ময়েশ্চারাইজার কিনে অনেক টাকা ব্যয় করি। প্রাকৃতিক উপায়ে এর সমাধান করে মধু। গোসলের পর শুষ্ক ত্বকে মধু মেখে রাখুন। ১৫/২০ মিনিট পর গরম পানিতে টাওয়াল ভিজিয়ে মুছে ফেলুন। কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক আবার উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে।
খাঁটি মধু পাওয়া খুব কঠিন। বাজারে যেসব মধু পাওয়া যায় তাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি মিশ্রিত থাকে। সতর্কতার সাথে মধু কিনুন, ব্যবহার করে উপকৃত হোন।

টার্কিশ স্বাদের সুজির হালুয়া

ranna banna o beauty tips
টার্কিশ স্বাদের সুজির হালুয়া
সকালের নাস্তায় অনেকেই সুজি-রুটি খেয়ে থাকেন। সুজি এমন একটি খাবার যা রুটি, পরোটা, লুচি সবকিছুর সাথে খাওয়া যায়। সুজির হালুয়া অনেকের বেশ পছন্দের। এই সুজি দিয়ে তুরস্কে একটি মাজাদার খাবার তৈরি করা হয়, যার নাম সেমোলিনা হালুয়া। ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে সহজে তৈরি করা যায় ভিন্নদেশী এই খাবারটি। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সুজির এই ভিন্ন স্বাদের রেসিপিটি।
উপকরণ:


  • ১.৫ কাপ সুজি
  • ১.৫ কাপ চিনি
  • ২ কাপ দুধ
  • ২ টেবিল চামচ বাদাম কুচি
  • ২ টেবিল চামচ মাখন
  • ১/২ কাপ অলিভ অয়েল বা তেল বা ঘি

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে তেল এবং মাখন দিয়ে চুলায় গরম করতে দিন।
২। এর মাঝে বাদাম কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন।
৩। এরপর এতে সুজি দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে সুজি নাড়তে থাকুন।
৪। সুজি বাদামী রং ধারণ করার আগ পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
৫। এখন আরেকটি পাত্রে চিনি এবং দুধ ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৬। সুজি বাদামী রং হয়ে আসলে দুধ চিনির মিশ্রণ এতে দিয়ে দিন।
৭। এবার যতক্ষণ না সুজি দুধ সম্পূর্ণ শুষে না নেয় ততক্ষণ রান্না করুন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
৮। সুজি হয়ে গেলে বাদাম কুচি, কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার সেমোলিনা হালুয়া।

আপনাদের বোঝার জন্য একটি ভিডিও দেওয়া হোল।


বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ছানা গাজরের সুস্বাদু হালুয়া

ranna banna o beauty tips
ছানা গাজরের সুস্বাদু হালুয়া
পুষ্টি সমৃদ্ধ রঙ বাহারি গাজর অনেকেরই প্রিয়। শুধু খাওয়া বা নানা রকম রান্নায় গাজরের ব্যবহার চলে। শুধু গাজরের হালুয়া খেতেও বেশ দারুণ। হালুয়ার স্বাদ বাড়াতে যদি ছানা যোগ করা হয় তবে আর কথায় থাকে না। সুস্বাদু এই হালুয়া তৈরি করতে পারেন আপনিও। আজ দেখে নেয়া যাক ছানা গাজরের সুস্বাদু হালুয়ার রেসিপি।

যা যা লাগবে

গাজর কুচি ১ কাপ, ছানা ১ কাপ, কনডেন্স মিল্ক ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, রোস্টেড কাজু বাদাম গুঁড়া আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ, জাফরান ভেজানো পানি ১ টেবিল চামচ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, লিকুইড দুধ ১ কাপ।

যেভাবে করবেন

গাজর দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার প্যানে ঘি দিয়ে গাজর দিতে হবে। এরপর এলাচ গুঁড়া ও কিশমিশ দিয়ে নাড়ুন। খেয়াল রাখতে হবে যেন পুড়ে না যায়। গাজর আধা ভাজা হয়ে গেলে ছানা এবং বাকি সব উপকরণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। আঠালো হয়ে এলে একটি ডিশে ঘি মাখিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। ঠাণ্ডা হলে ইচ্ছামতো সাজিয়ে বা কেটে পরিবেশন করুন ছানা গাজরের হালুয়া।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.