বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৬

খুশকি তাড়ানোর স্থায়ী সমাধান

ranna banna o beauty tips
খুশকি তাড়ানোর স্থায়ী সমাধান
শীতের সময়ে ত্বকের পাশাপাশি চুলও রুক্ষ্ম-শুষ্ক হয়ে যায়। মাথার ত্বক এতোটায় রুক্ষ্ম হয় যে ছোট খুশকির আকারে গুড়া হয়ে ঝরতে থাকে। এমনকি আপনার সমস্ত চুলে খুশকি ছড়িয়ে যাচ্ছেতাই অবস্থা হয়। চুল হয়ে যায় নিষ্প্রাণ। কাঁধের ওপর খুশকি জমা হয়ে সবার সামনে স্মার্ট আপনার ইমেজ নষ্ট করে সহজেই। অ্যান্টি ড্যানড্রফ শ্যাম্পুতে সাময়িক মুক্তি দিলেও পরোক্ষণে খুশকি আবার ফিরে আসে। খুশকি তাড়ানোর স্থায়ী সমাধান হিসেবে জেনে নিতে পারেন সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়। এর মধ্যে যেকোনো উপায় অবলম্বন আপনাকে মুক্তি দিতে পারে সহজে।

- রাতে শোবার আগে অলিভ ওয়েল বা তিলের তেল মেখে ঘুমান। সকালে গোসল করার ১ ঘণ্টা আগে চুলের গোড়ায় লেবুর রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকির উপদ্রব কমে গেছে।

- চুলের খুশকি তাড়াতে ভিনেগার আর পানি সমপরিমাণে মিশিয়ে সারারাত চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 - আপেলের রস দিয়ে ভালো করে চুল ম্যাসেজ করুন, খুশকির হাত থেকে মুক্তি পাবেন সহজে।

- খুশকি তাড়াতে বিট মূলের রস, ভিনেগার আর আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে চুলের স্কাল্পে ম্যাসেজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। দ্রুত খুশকি দূর হবে।

 - ঘৃতকুমারীর রস চুলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

- চুলে শ্যাম্পু করার সময় এক চা চামচ বেকিং সোডা ভালো করে শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকি পালিয়েছে স্বমূলে।

- নিম পাতা বেটে ২০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলেই, খুশকি দূর হবে।

 - খুশকির উপদ্রব কমাতে রসুন বেশ কার্যকরী। রসুনের পেস্ট বানিয়ে চুলে ৩০ মিনিট রাখার পর কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকি দূর হয়ে গেছে।

মেহেদি প্যাকে রেশম কোমল মজবুত চুল

ranna banna o beauty tips
মেহেদি প্যাকে রেশম কোমল মজবুত চুল
শীত এলেই চুলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। খুশকি, চুলের আগা ফাটা সর্বোপরি প্রচুর পরিমাণে চুল উঠে যাওয়া এখন যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। চুল পড়া রোধ করে চুলের গোড়া মজবুত করার কাজে মেহেদি ব্যবহার হয়ে আসছে আদিযুগ থেকে। চুলে মেহেদি অনেকভাবে লাগানো যায়। মেহেদির কিছু প্যাক আছে যা খুশকি দূর করে, গোড়া মজবুত করে এবং রেশম কোমল চুল উপহার দেয়। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু উপকারী মেহেদির প্যাক সম্পর্কে।

- ডিমের সাদা অংশ, অলিভ অয়েল এবং মেহেদি গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলের গোড়ায় খুব ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

- একটি লেবুর রস, চার টেবিল চামচ মেহেদির গুঁড়ো এবং পরিমাণমত টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলের গোঁড়া থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুল খুশকিমুক্ত এবং ঝরঝরে হবে।

- মেহেদি গুঁড়ো, লেবুর রস, এক টেবিলচামচ অলিভ অয়েল, সাদা ভিনেগার, মেথি গুঁড়ো এবং দুই টেবিল চামচ টকদই ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার প্যাকটি ১২ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। পরেরদিন সকালে এই প্যাকটি মাথায় ভালো করে লাগিয়ে নিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি খুশকি দূর করবে, চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে স্বাস্থ্যোজ্বল করে তুলবে।

- রাতে একটি পাত্রে সরিষা তেল গরম করে নিন। তারপর এতে কিছু তাজা মেহেদি পাতা এবং দুই চা চামচ মেথি দিয়ে রেখে দিন। পরেরদিন এটি ছেঁকে পাতা এবং তেল আলাদা করে নিন। এই তেলটি নিয়মিত চুলে ম্যাসাজ করে লাগান। এক ঘণ্টা এই তেল মাথায় রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে মেহেদির তেল ব্যবহারে চুল পড়া রোধ করবে এবং খুশকি দূর হবে।

চিতই মজাতে দারুণ ভর্তা

ranna banna o beauty tips
ভর্তা
শীত এলেই নানা রকম পিঠা পুলির ধুম পড়ে যায়। কিন্তু ব্যস্ত নগরিক জীবনে এতো আয়োজন করে খাওয়ার সময় কোথায়। ভরসা রাস্তার ধারে কিনতে পাওয়া পিঠা। তাছাড়া মজার সব ভর্তার সঙ্গে চিতই পিঠার ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের উপস্থিতি মাতিয়ে তোলে যে কাউকে। এভাবে নিজের খাওয়া হলেও পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে পিঠা তৈরি করতেই হয়। তাছাড়া সবার সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে পরিচ্ছন্ন পরিবেষে নিজ হাতে পিঠা বানানোয় বেশি ভালো। কিন্তু পিঠার আকর্ষণীয় উপকরণ ভর্তা? এটাও হবে আপনারই হাতে। তাই শিখে নিতে পারেন চিতই পিঠাকে আরও বেশি মজাদার করতে কয়েকটি ভর্তা বানানোর পদ্ধতি।

ধনে পাতার চাটনি

যা যা লাগবে

ধনে পাতা ১ কাপ, তেঁতুল ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ২টা, রসুন ৪ থেকে ৫ কোয়া, লবণ স্বাদমতো, সরিষা তেল প্রয়োজনমতো।

যেভাবে করবেন

ধনে পাতা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার ধনে পাতা, তেঁতুল, কাঁচা মরিচ, রসুন পাটায় বেটে নিতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় লবণ আর সামান্য সরিষা তেল মিশিয়ে নিন।

সরিষা ভর্তা

যা যা লাগবে

সরিষা আধা কাপ, রসুন ২ কোয়া, শুকনো মরিচ ২টি, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন

নতুন সরিষা ধুয়ে বেটে নিতে হবে। রসুন শুকনো মরিচ তাওয়ায় টেলে নিতে হবে। এবার সরিষার সঙ্গে ধনেপাতা, রসুন, শুকনো মরিচ, লবণ দিয়ে আরও একবার বেটে নিতে হবে। ঠাণ্ডা-সর্দিতেও এই ভর্তা ওষুধের মতো কাজ করে।

লইট্টা ভর্তা
যা যা লাগবে

লইট্টা শুটকি, শুকনা মরিচ , পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, সরিষার তেল, লবণ।

যেভাবে করবেন

প্রথমে শুটকি মাছ গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পানি ঝরিয়ে তাওয়াতে তেল ছাড়া ভালো করে ভাজতে হবে। শুটকিগুলো ভাজা ভাজা হলে পাটায় বেটে নিতে হবে। এরপর ভাজা শুকনা মরিচ, ভাজা পেঁয়াজ কুচি, ভাজা রসুন কুচি সরিষার তেল, লবণ এবং ধনে পাতা দিয়ে মাখিয়ে লেবু দিয়ে পরিবেশন করুন মজার স্বাদের লইট্টা শুটকি ভর্তা।

সহজেই মজাদার চিকেন পাস্তা

ranna banna o beauty tips
সহজেই মজাদার চিকেন পাস্তা
সচারচার সৌখিন নাস্তায় নুডুলসের চল বেশি। তবে ইদানিং ইটালিয়ান খাবার পাস্তারও কদর বেড়েছে বেশ। কিছুটা নুডুলসের স্বাদের এই খাবারে রান্নার কৌশলে আছে সামান্য ভিন্নতা। তাই অনেকে রেস্টুরেন্ট থেকে মজা করে খেলেও বাড়িতে আর রান্নার ঝামেলায় যান না। অথচ খুব সহজে এর আসল স্বাদে পাস্তা রান্না হতে পারে আপনারই হাতে। পাস্তার আসল সসও তৈরি হবে আপনারই হাতে। এক নজরে দেখে নিন সহজেই মজাদার চিকেন পাস্তা রান্নার পদ্ধতি।

যা যা লাগবে

পাস্তা ৫০০ গ্রাম, চীজ আধা কাপ, চিকেন ছোট টুকরা ২ কাপ, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ ১ টি (মিহি কুচি), রসুন কোয়া কুচি ১ টেবিল চামচ, টমেটো কুচি ৫০০ গ্রাম, পার্সলে গুড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, গোলমরিচ পরিমাণ মতো।

যেভাবে করবেন

প্যানে অলিভ অয়েল দিয়ে এতে রসুন কুচি হালকা বাদামী করে ভেজে আলাদা করে তুলে রাখুন। এবার পেঁয়াজ ভেজে তারপর টমেটো দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। টমেটো গলে গেলে লবণ, গোলমরিচের গুড়া আর পার্সলে গুড়া দিয়ে আরও কয়েক মিনিট রান্না করতে হবে। হয়ে গেল পাস্তায় ব্যবহৃত আসল টমেটো সস।

আলাদা প্যানে অল্প তেলে সামান্য লবণ আর গোল মরিচের গুড়া দিয়ে চিকেন টুকরোগুলো ভেজে নিন। আলাদা পাত্রে পাস্তা সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে আধা চা চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মাখুন। এতে পাস্তা আঠার মত লেগে থাকবে না। টমেটো সসের মধ্যে পাস্তা আর চিকেন দিয়ে ২ মিনিট বেশি আঁচে ভাজুন। উপরে চীজ, মাংস, মরিচ, রসুন  ছড়িয়ে গরম তাপে রাখুণ কিছুক্ষণ। এবার পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন পাস্তা।

সহজেই বানিয়ে নিন টকদই

ranna banna o beauty tips
সহজেই বানিয়ে নিন টকদই
ওজন কমানো, হজমশক্তি বাড়ানো এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টকদইয়ের কদর সব সময়। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও টকদইয়ের তুলনা হয় না। অপরদিকে দাঁতের গঠনে সাহায্য করা, রক্ত বিশুদ্ধ করা এবং রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপকারী। তাইতো অনেকেরই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় টকদইয়ের উপস্থিতি থাকে। এতো গুণে ভরা টকদই খেতে সব সময়ই দোকানের ওপর নির্ভর করতে হবে ।না। খুব সহজেই নিজ হাতে বানিয়ে নিতে পারবেন।

যা যা লাগবে

দুধ ১ লিটার, পানি ১ কাপ, পুরানো দই ১ টেবিল চামচ, মাটির হাঁড়ি ১টি।

যেভাবে করবেন

দুধে ১ কাপ পানি মিশিয়ে মাঝারি আঁচে পাঁচ মিনিট জ্বাল দিন। দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে অল্প আঁচে আরও ১৫ মিনিট জ্বাল দিন। দুধ ঘন হলে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা করতে হবে। এবার মাটির হাঁড়িতে ঢেলে কুসুম গরম থাকা অবস্থায় পুরোনো দইটা দিয়ে নেড়ে দিন। তারপর ভালো করে ঢেকে রাখুন চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। এবার দেখুন দই জমে গেছে। ব্যাস খুব সহজেই হয়ে গেল ভেজাল মুক্ত টকদই। তাই দেরি না করে আজই বানিয়ে নিতে পারে উপকারী টকদই।

চিকেন টুইস্টারের রেসিপি

ranna banna o beauty tips
 চিকেন টুইস্টারের রেসিপি
কই সাথে মজাদার ও পেট ভরানোর মত স্ন্যাক্স তৈরি করে চান? দেখে নিন ইসরাত জাহান বিথীর একটি দারুণ রেসিপি।
চিকেন স্ট্রিপ এর জন্য যা লাগবে -
মুরগির হাড়ছাড়া বুকের মাংস - ২ টি (ফার্ম এর মুরগির )
রসুন বাটা - ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো  - ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো - আধা চা চামচ
লবণ -  ১ চা চামচ থেকে একটু কম
মাস্টার্ড পেস্ট /মাস্টার্ড পাউডার - ১ চা চামচ (মাস্টার্ড পেস্ট বা পাউডার না থাকলে সরিষা বাটা দেয়া যাবে )
ভিনেগার - ২ টেবিল চামচ
সয়াসস- ১ চা চামচ
টমেটো সস - ১ টেবিল চামচ
-মুরগির বুকের মাংসকে ফিঙ্গার কাট করে কেটে নিতে হবে (যে ভাবে ফিস ফিঙ্গার এর জন্য মাছ কে লম্বা করে পিস করে সেইভাবে ).৮-১০ পিস হবে।
-তারপর উপরের সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ৩-৪ ঘন্টা অথবা সারারাত  মেরিনেট করে রাখতে হবে।

এই মাংসের পিস গুলো ভাজার আগে দুইটা মিশ্রনে  কোট করে ভাজতে হবে।
মিশ্রণ (১)-
ডিম - ১ টি
কর্ণ ফ্লাওয়ার -৩ টেবিল চামচ
ঠান্ডা তরল দুধ - ৩-৪ টেবিল চামচ
লবণ - সামান্য
-সব মিশিয়ে একদম মসৃণ গোলা বানিয়ে নিতে হবে। একটু পাতলা হবে।
মিশ্রণ (২)-
ময়দা -  আধা কাপ
কর্ণ ফ্লাওয়ার - ৪ টেবিল চামচ
বেকিং পাউডার - ১ চা চামচ
লবণ - ১ চিমটি
পাপরিকা পাউডার /মরিচ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
গোল মরিচ গুঁড়ো -আধা চা চামচ
-সব একসাথে চেলে নিয়ে ,একটা ছড়ানো প্লেট এ রাখতে হবে।

প্রণালী - 
-কড়াইতে বেশি করে তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করতে হবে।
-এখন মেরিনেট করা মাংসের পিস গুলো একটা একটা করে প্রথমে ডিমের গয়লায় চুবিয়ে নিয়ে ,এরপর শুকনা ময়দার মিশ্রনে রেখে হাত দিয়ে চেপে চেপে ভালো করে মাংসের পিস এর গায়ে শুকনা  ময়দার মিশ্রন লাগাতে হবে।
-তারপর ময়দা থেকে তুলে আলতো করে ঝাকিয়ে বাড়তি ময়দা ফেলে সরাসরি গরম তেল এ ছাড়তে হবে। এইভাবে সব গুলো মাংসের পিস প্রথমে ডিম এর মিশ্রন এ,পরে শুকনা ময়দার মিশ্রন লাগিয়ে ডুবো তেল এ মাঝারি আঁচে সোনালী করে ভেজে কিচেন টিসু তে রাখতে হবে।

রুটির জন্য যা লাগবে -
ময়দা - দেড় কাপ
লবণ - আধা চা চামচ
বেকিং পাউডার -আধা চা চামচ
তেল - ২ টেবিল চামচ
পানি - পরিমান মত
-ময়দা,লবন,বেকিং পাউডার ও তেল একসাথে মিশিয়ে ,পরিমান মত পানি দিয়ে রুটির ডো/খামির বানিয়ে ,ঢেকে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে।
-৩০ মিনিট পর এই ডো দিয়ে একটু মোটা করে মাঝারি সাইজের রুটি বানিয়ে তাওয়া তে সেঁকে নিতে হবে। (রুটি গুলো ,  চিকেন স্ট্রিপ গুলো ভাজার আগেই বানিয়ে ঢেকে রাখবেন)

টুইস্টার  সস -
মেয়নিজ - আধা কাপ
লেবুর রস/ভিনেগার  - ১ টেবিল চামচ
গোল মরিচ গুঁড়ো - আধা চা চামচ
টমেটো সস - ২ টেবিল চামচ
লবণ - ১ চিমটি
-একটা  বাটিতে সব একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।

আরও লাগবে
শসা চিকন লম্বা করে কুচি করা ,টমেটো বিচি ফেলে লম্বা করে কুচি করা ও লেটুস পাতা কুচি করা।শসা, টমেটো না দিলেও চলবে। লেটুস লাগবে।

যেভাবে করবেন
-এখন একটা করে রুটি নিয়ে ,রুটির একপাশে কিছু লেটুস কুচি রেখে তারউপর দুই পিস চিকেন স্ট্রিপ রাখতে হবে।
-এখন স্ট্রিপ গুলোর উপরে কিছু শসা ও টমেটো কুচি দিয়ে ,এর উপরে ১ টেবিল চামচ টুইস্টার সস ছড়িয়ে দিয়ে রুটিটা রোল করে নিয়ে, স্যান্ডউইচ রেপার দিয়ে মুড়িয়ে নিতে  হবে। আর  নয়তো  একটা টুথপিক দিয়ে আটকে দিতে হবে।
-চাইলে  গ্রিল প্যান গরম করে টুইস্টার গুলো সেঁকে নিতে পারেন।

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৬

ফেসপ্যাক লাগানোর আগে করুন এই ৪টি কাজ

ranna banna o beauty tips
ফেসপ্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ব্রণ দূর করতে, ত্বকের কালো দাগ দূর করতে নানা কারণে আমরা ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকি। আপনি জানেন কি ফেসপ্যাক ব্যবহারে আগে আপনাকে কিছু কাজ করার প্রয়োজন? এই কাজগুলো করে ফেসপ্যাক লাগালে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব। অনেক সময় আমরা ফেসপ্যাক ময়লা ত্বকের উপর ব্যবহার করে থাকি, এতে করে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব হয় না। বরং দেখা যায় ত্বকে ব্রণ বা কালো কালো ভাব চলে এসেছে। তাই ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে কিছু কাজ করে নিন। এতে ফেসপ্যাক অনেক কার্যকরী হবে।
১। গোসলের আগে ফেসপ্যাক ব্যবহার
বেশিরভাগ সময় আমরা ফেসপ্যাক গোসলের আগে ব্যবহার করে থাকি। এতে ফেসপ্যাকের কার্যকারিতা কিছুটা কমে যায়। ফেসপ্যাক গোসলের পর লাগালে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব। প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখটি ধুয়ে ফেলুন। এতে করে ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে যাবে আর ফেসপ্যাকটি ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে। এছাড়া একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে মুখের উপর দিয়ে দিন। এভাবে কয়েক বার করে ৫ মিনিট করুন। এটিও আপনার ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে ফেলে। লক্ষ্য রাখবেন তোয়ালে যেন বেশি গরম না হয়ে যায়।
২। ম্যাসাজ করে ফেসপ্যাক লাগান
ত্বকেও ফেসপ্যাক ম্যাসাজ করে লাগান। আঙুল দিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে ফেসপ্যাক লাগান। এতে করে ফেসপ্যাকটি ত্বকের ভিতরে ভালভাবে প্রবেশ করবে। ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে তারপর শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন।
৩। ফেসপ্যাক মুখে খুব বেশি শুকাতে দিবেন না
এই কাজটি কম বেশি সবাই করে থাকেন। ফেসপ্যাক খুব শুকানোর না পর্যন্ত পরিষ্কার করেন না। কিন্তু এই কাজটি করা যাবে না। খুব বেশি শুকিয়ে গেলে ফেসপ্যাক আপনার ত্বককে রুক্ষ করে তুলবে। আর এর জন্য ত্বকে বলিরেখাও দেখা দিতে পারে। ফেসপ্যাক খুব বেশি শুকানোর আগে ধুয়ে ফেলুন।
৪। টোনার ব্যবহার করুন
ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলার পর টোনার ব্যবহার করুন। টোনার হিসেবে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করবে। এছাড়া গ্রিণ টি, মধু, গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন।
টিপস:
১। চেষ্টা করবেন সাথে সাথে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে। বাসি ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২। তরল ফেসপ্যাক ব্রাশ দিয়ে লাগান।
৩। হাত দিয়ে ফেসপ্যাক লাগানোর ক্ষেত্রে হাত ভালো করে পরিস্কার করে নিবেন। অনেক সময় হাতের ময়লা ত্বকে প্রবেশ করে ফেসপ্যাকের মাধ্যমে।
৪। সরাসরি পানি দিয়ে মুখ না ধুয়ে একটি তুলা বা তোয়েলা পানিতে ভিজিয়ে ত্বক থেকে ফেসপ্যাক তুলুন। এতে সময় কিছুটা বেশি লাগলেও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী হবে।
৫। ফেসপ্যাক ভাল হয় রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করলে। এতে ত্বক সারারাত বিশ্রামে থাকে এবং ফেসপ্যাক বেশি কার্যকর হয়।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.