বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

শীতের বিকেলে চায়ের সাথে সুস্বাদু লেমন কেক

ranna banna o beauty tips
লেমন কেক
চায়ের সাথে হালকা স্বাদের কেকই সবচাইতে বেশি ভালো লাগে খেতে। বিশেষ করে ভ্যানিলা, অরেঞ্জ, লেমন এই ধরণের ফ্লেভারগুলো যা মুখে রেখে যায় রেশ। আর সেই ফ্রুটি ফ্লেভারের মিশেলে চায়ের স্বাদটাই যেন একেবারে বদলে যায়। চলুন, আজ আয়েশা সিদ্দিকার হেঁসেল থেকে জেনে নিই তেমনই একটি মিষ্টি সুগন্ধী কেকের রেসিপি।

উপকরণ
ময়দা ৩ কাপ
তেল/বাটার ২ কাপ
ডিম ৪ টি
ঘন দুধ ১কাপ
চিনি ২ কাপ
বেকিং পাউডার ২ টে চামচ
দারুচিনি পাউডার ১ চা চামচ
লেবুর খোসা মিহি কুচি ১ টি
লেবুর রস ১ টি

প্রনালি

    -লেবুর রস ও মিহি খোসা কুচি একসাথে মাখিয়ে রাখুন। ময়দা ও বেকিং পাউডার ও একসাথে মিশিয়ে রাখুন।
    -চিনি, বাটার ও ডিম একসাথে ভাল করে বিট করে তাতে দুধ দিয়ে আরেকটু বিট করে ময়দার মিশ্রন দিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর এতে লেমন মিক্স চামচ দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে দিন।
    -যে পাত্রে কেক বানাতে চান তাতে বাটার ব্রাশ করে শুকনা ময়দা ছড়িয়ে দিন। তারপর কেকের মিশ্রন ঢেলে রাখুন।
    -চুলায় তাওয়ার উপর বালি গরম করে তার উপর কেকের পাত্রটি বসিয়ে ভাল করে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ৪০-৪৫ মিনিটের মধ্যে কেক হয়ে যাবে। অথবা, ১৮০ ডিগ্রি সে. প্রি- হিটেড ওভেনে ২৫- ৩০ মিনিট বেক করুন।
    -ঠাণ্ডা হলে উপুর করে ঢেলে কেটে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

সসের বদলে ঘরেই তৈরি করে নিন গ্রিন চাটনি

ranna banna o beauty tips
 গ্রিন চাটনি
শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম ভাজাভুজি খেতে ইচ্ছে করে সবারই। এই ভাজাভুজির সাথে আবার দরকার হয় সস। কিন্তু বাজারে যেসব সস পাওয়া যায় সেগুলো কি আসলে স্বাস্থ্যসম্মত? এতে দেওয়া হয় বিভিন্ন কেমিক্যাল, আর অনেকটা চিনি তো থাকেই। একেবারে স্বাস্থ্যসম্মত, প্রাকৃতিক সস দিয়ে স্ন্যাক্স খেতে চাইলে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলতে পারেন ধনেপাতা এবং পুদিনার মনমাতানো ফ্লেভারের গ্রিন চাটনি।
উপকরণ

    -   আধা কাপ ধনেপাতা কুচি করা
    -   সিকি কাপ পুদিনা পাতা কুচি করা
    -   ৩টা মরিচ
    -   ১০ কোয়া রসুন
    -   ১ টা পিঁয়াজ কুচি
    -   গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
    -   ২ চা চামচ জিরা, (তাওয়ায় টেলে গুঁড়ো করে নেওয়া)
    -   ১ টেবিল চামচ লেবুর রস
    -   আধা ইঞ্চি পরিমাণ আদা স্লাইস করা

প্রণালী

কী করতে হবে? তেমন কিছুই করতে হবে না। অল্প করে পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। অথবা পাটায় বেটেও নিতে পারেন। এই চাটনি পরিবেশন করতে পারেন বিভিন্ন রকম স্ন্যাক্সের সাথে।
 
টিপস

-   ইচ্ছে হলে এর সাথে অল্প করে চিনি ও লবণ দিতে পারেন। এতে টকমিষ্টি একটি স্বাদ তৈরি হবে।

-   লেবুর রস দেবার সময় ভিডিওর মতো হাতের ওপর চিপে নিন। এতে লেবুর বিচি মিশ্রণে যাবে না।

সহজে মজাদার "চকলেট কোকোনাট বল"

ranna banna o beauty tips
"চকলেট কোকোনাট বল"
নারিকেল দিয়ে ভিন্নধর্মী কিছু তৈরি করতে চান? তাহলে চকলেট ও নারিকেলের স্বাদে তৈরি করে ফেলুন এই ভীষণ মজার খাবারটি, যা বাচ্চারাও খাবে খুব মজা করেই। রেসিপি দিচ্ছেন নাদিয়া নাতাশা।

উপকরণ:
নারিকেল কুড়ানো ১১/২ কাপ
চকলেট ৩/৪-১কাপ
চিনি ১/২
কাপ
গুঁড়ো দুধ ২/৩ চা চামচ

প্রনালি:

-প্যানে নারিকেল ও চিনি একসাথে মিশিয়ে হালকা আঁচে নাড়তে থাকুন ৭/৮ মিনিট।
-চিনি ভালো করে গলে গেলে তাতে গুঁড়ো দুধ ও চকলেট দিয়ে দিন, চকলেট মেল্ট হতে দিন হালকা আঁচে।
-চকলেট মেল্ট হলে আঁচ হালকা বাড়িয়ে দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন, আঠালো হয়ে আসলে নামিয়ে নিন।
-একটু ঠান্ডা হতে দিন,হাত দিয়ে বলের মত আকার দিন। এবার মিহি করে কুড়ানো নারিকেলে গড়িয়ে নিন।

বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

মূলা দিয়ে শুটকি

ranna banna o beauty tips
মূলা দিয়ে শুটকি
উপকরণ: মূলাকুচি ২টি। ছোট শুটকিমাছ আধা কাপ। কাঁচামরিচ ফালি ১০,১২টি। পেঁয়াজকুচি ২টি। রসুনবাটা আধা চা-চামচ। রসুন মোটাকুচি বা আস্ত রসুনের কোঁয়া ২,৩ টেবিল-চামচ। ধনেপাতা কুচি করা অল্প। লবণ স্বাদ মতো। হলুদ সামান্য। তেল পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: শুটকি মাছগুলো হালকা আঁচে তেল ছাড়াই ভাজুন। তারপর ধুয়ে শুকিয়ে প্যানে তেল গরম করে সামান্য ভেজে নিন। ভাজা হলে একে একে মূলাকুচি, পেঁয়াজকুচি, রসুনবাটা, রসুনকুচি, কাঁচামরিচের ফালি, লবণ ও হলুদ দিয়ে ভালো মতো কষিয়ে অল্প আঁচে ঢেকে দিন।

রান্না প্রায় হয়ে গেলে, ধনেপাতা উপরে ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

কাঁচা বরইয়ের আচার

ranna banna o beauty tips
কাঁচা বরইয়ের আচার
শীত মৌসুমে পাওয়া যায় হরেক স্বাদের বরই। মুখরোচক এই ফলটি কাঁচা-পাকা সব অবস্থাতেই খেতে সুস্বাদু। লবণ মরিচের গুড়া বা কাসুন্দি দিয়ে বরই ভর্তার নাম শুনলেই যে কারো জিভে জল আসতে বাধ্য। বরই দিয়ে মজাদার আচারও বানানো যায়। দীর্ঘদিন রেখে খেতে পারেন অনায়াসে। আচার বানাতে টক বরই উপযোগী, এরই মধ্যে বাজারে তার দেখা মিলছে। এমন স্বাদের আচার খেতে এক নজরে দেখে নিতে পারেন কাঁচা বরইয়ের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার রেসিপি।

যা যা লাগবে

কাঁচা বরই ১ কেজি, চিনি আধা কেজি, হলুদ গুড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুড়া ১ চা চামচ, পাঁচফোড়ন গুড়া ১ টেবিল চামচ, কালোজিরা টালা গুড়া আধা চা চামচ, লবণ ২ চা চামচ, সরিষার তেল ২৫০ গ্রাম।

যেভাবে করবেন

প্রথমে বোটা ফেলে বরই ধুয়ে পানি ঝরিয়ে এক দিন রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর বড়ই গুলো হালকা থেতো করে নিয়ে তাতে হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে আবার এক দিন রোদে শুকিয়ে নিন। এবার চিনি এবং অল্প পানি দিয়ে চুলায় বসান। কম আঁচে চিনি গলিয়ে ভালো করে জাল দিয়ে আঠালো করতে হবে। চিনির ভেতর বড়ই, পাঁচফোড়ন গুড়া, কালোজিরা টালা গুড়া ও সরিষার তেল দিয়ে নেড়ে মিশান। আচারটি শুকিয়ে এলে লবণ-মরিচ-চিনির পরিমাণ ঠিক আছে কিনা তা চেখে দেখতে হবে। আপনার পছন্দের স্বাদ উপযোগী হলে নামিয়ে আনুন। ব্যাস হয়ে গেল কাঁচা বরইয়ের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার। আচার ঠাণ্ডা হলে কাচের বোয়েমে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।

স্বাদে গন্ধে ভরা সবজি খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
সবজি খিচুড়ি
সময়টা এখন হরেক রকম তাজা সবজির। এসব সবজির মিশেলে সুস্বাদু খিচুড়ি হলে সকালের নাস্তাটা মন্দ হয় না। ছোট বড় সবার কাছে প্রিয় হতে পারে বিশেষ রেসিপিতে রান্না সবজি খিচুড়ি। স্বাদ আর গন্ধে মোহময় এমন খিচুড়ি রান্না হবে সহজে। এক নজরে দেখে নিতে পারেন তেমনি এক দারুণ রেসিপি।

যা যা লাগবে

বাসমতি চাল ২ কাপ, সবজি (গাজর, বরবটি, মটরশুঁটি, ফুলকপি) ছোট টুকরো সব মিলিয়ে ২ কাপ, আলু আধা কাপ, ভাজা মুগডাল ১ কাপ, আদা বাটা দেড় চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া দেড় চা চামচ, টক দই দুই টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ, চিনি ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২টি, তেজপাতা ২টি, গরম পানি ৬ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল আধা কাপ।

যেভাবে করবেন

মুগডাল ২ ঘণ্টা ও চাল আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। মটরশুঁটি ছাড়া সব সবজি একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে অর্ধেক তেল দিয়ে গরম হতে দিন। এবার তাতে গরম মসলা ও পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে টক দই, চিনি ও আধা চা চামচ লবণ দিন। একটু পর মসলা কষিয়ে সবজি দিন। সবজি কষানো হলে আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। এবার ওই কড়াইয়ে চাল দিয়ে ভাজতে থাকুন। ভাজা হয়ে গেলে গরম পানি ও আধা চা চামচ লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। চাল পানি সমান সমান হলে রান্না করা সবজি দিয়ে নেড়ে ঢেকে আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। এবার কাঁচামরিচ ও ঘি দিয়ে আরও ১৫ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

চোখের নিচে বলিরেখা দূর করার সহজ কিছু উপায়

ranna banna o beauty tips
চোখের নীচের বলিরেখার কারণে মুখের সার্বিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। মহিলারা এই বিষয়টাকে ভয় পায় এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা পার্লারে কাটিয়ে দেন এবং এতে পকেট থেকে অনেকগুলো টাকাও খরচ হয়ে যায় নিঃসন্দেহে। কিন্তু সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ে এবং কম সময়ে চোখের নীচের বলিরেখার দূর করা সম্ভব। আসুন আমরা জেনে নিই সেই উপায় গুলো সম্পর্কে।

১। আনারস

আনারসের জুসে ব্রোমেলাইন নামের সক্রিয় এনজাইম থাকে যা একটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান এবং আনারসের জুসে আলফা হাইড্রক্সি এসিড থাকে যা বলিরেখা নিরাময় করতে পারে। আনারসে অ্যাস্ট্রিঞ্জেট উপাদান থাকে ফলে এটা ত্বকের এক্সফলিয়েশনে সাহায্য করে। তাই আনারসের জুস নিয়ে চোখের নিচের বলিরেখায় লাগান। এভাবে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে দিতে থাকুন বলি রেখা দূর হবে।

২। নারিকেল তেল

নারিকেল তেলে যে ফ্যাট থাকে তা ত্বকের পুষ্টিসাধন করে এবং বলিরেখা দূর করতে সক্ষম। নারিকেল তেল নিয়ে চোখের নীচে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন। এভাবে প্রতিদিন ১০ মিনিট করে ম্যাসাজ করুন। ঘুমানোর আগে চোখের নীচে নারিকেল তেল দিয়ে রাখুন, এতে করে সকালে উঠে আপনার ত্বক নরম ও কোমল হবে।

৩। আদা

বলিরেখা দূরকরার চমৎকার ক্ষমতা আছে আদার কারণ আদাতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়াও আদা ইলাস্টিনের ছড়িয়ে পড়া রোধ করে যা আসলে বলিরেখা ও ফাইন লাইন সৃষ্টির কারণ। এক টুকরো আদাকে ভালোভাবে থেঁতলে নিয়ে এর সাথে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খান। আপনি চাইলে দিনে দুইবার আদা চাও খেতে পারেন।

৪। শসা

চোখের নীচের বলিরেখা দূর করতে শসা অনেক ভালো কাজ করে। চাক চাক করে শসা কেটে নিয়ে চোখের পাতার উপর রাখুন। এর ফলে চোখের নীচের বলিরেখা দূর হয় এবং চোখের ফোলা ভাব ও কমায়।

৫। কমলার রস

কমলার রস বলিরেখা কমায়। কমলার রসে কটন বল চুবিয়ে চোখের নীচে লাগান, এভাবে দিনে দুইবার লাগান। ফ্রেশ কমলার রস লাগানো যাবে না – এটা মনে রাখতে হবে। কয়েক সপ্তাহ পরে দেখবেন যে, বলিরেখা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দূর হয়েছে।

টিপস-

    ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ মাছ খান, বিশ্রাম নিন, ঘুমান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
    সান স্ক্রিন ব্যবহার করুন।
    অ্যালকোহল ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে কমিয়ে ফেলুন।
    অ্যালোভেরা, অলিভ ওয়েল, আমন্ড, কলা, গোলাপ জল ইত্যাদির ও চোখের নীচের বলিরেখা দূর করার ক্ষমতা আছে। 

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.