সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

মেহেদি পাতার ৭টি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ব্যবহার

ranna banna o beauty tips
মেহেদি পাতার ৭টি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ব্যবহার
প্রাকৃতিকভাবে চুল রং করতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে মেহেদি পাতার জুড়ি নেই। মূলত চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া রোধ করতে মেহেদি ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু এই চুলের যত্ন ছাড়াও আরও কিছু কাজে মেহেদি ব্যবহার করা যায়। মেহেদির এমন কিছু ভিন্নধর্মী ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১। পায়ের জ্বলাপোড়া রোধ

তাজা মেহেদি পাতা ভিনেগারে ভিজিয়ে এক জোড়া মোজার ভিতরে রেখে দিন। এবার এই মোজাটি পায়ে সারারাত পরে থাকুন। এটি পায়ের জ্বলাপোড়া কমিয়ে দিবে অনেকখানি।

২। মাথাব্যথা হ্রাস করতে

মেহেদি গাছের ফুল মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। মেহেদি গাছের ফুল পেস্ট করে এর সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এটি কপালে অথবা ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এছাড়া আপনি মেহেদির পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন।

৩। মুখের ঘা ভাল করতে

এই মেহেদি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন, মাউতওয়াশ। মেহেদি পাতা গুঁড়ো পানিতে গুলিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি মুখের ঘা দ্রুত ভাল করে থাকে এবং মুখ জীবাণুমুক্ত করে তোলে।

৪। টাক পড়া রোধ

সরিষার তেলের সাথে কয়েকটি মেহেদি পাতা দিয়ে জ্বাল দিন। এটি ঠান্ডা হয়ে গেলে মাথার তালুতে ব্যবহার করুন। এটি টাক পড়া প্রতিরোধ করবে।

৫। খুশকি দূর করতে

খুশকি চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই খুশকি দূর করতে মেহেদি বেশ কার্যকরী। সরিষা তেল, মেথি, মেহেদি পাতা সিদ্ধ একসাথে যোগ করে এটি চুলে ব্যবহার করুন। ১ ঘন্টার পর শ্যাম্পু করে নিন। এটি খুশকি দূর করে চুলকে করে তুলবে ঝলমলে সুন্দর।

৬। ঘামচির জ্বালাপোড়া রোধ করতে

মেহেদির পেস্ট পিঠ, ঘাড় এবং ঘামাচি আক্রান্ত অন্যান্য স্থানে লাগান। এটি ঘামচির চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হ্রাস করতে সাহায্য করবে।

৭। বাতের ব্যথা রোধে

বাত এবং বাতজনিত সবরকম ব্যথা দূর করতে মেহেদি তেল বেশ কার্যকর। ব্যথার স্থানে মেহেদি তেল ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। ভাল ফল পেতে এটি প্রতিদিন এক থেকে দুই মাস করুন।

মাত্র ৩টি উপাদানে দূর করুন ঘরের পিঁপড়া

মাত্র ৩টি উপাদানে দূর করুন ঘরের পিঁপড়া
শীতকাল যেতে না যেতেই যে যন্ত্রণাতে কমবেশি সবাইকে ভুগতে হচ্ছে, তা হল “পিঁপড়া”। পিঁপড়া যে কতটা যন্ত্রণাদায়ক তা শুধু এর ভুক্তভোগীরাই বলতে পারে। এর যন্ত্রণায় ঘরে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার রাখা যায় না। শুধু কি তাই, চিনির বয়ামটির ঢাকনা শক্ত করে লাগানো হলেও এর ভিতরে পিঁপড়া দেখতে পাওয়া যায়। বাজার ঘুরলে পিঁপড়া মারার নানান ঔষধ কিনতে পাওয়া যায়। এই ঔষধ ব্যবহার করে সাময়িকভাবে পিঁপড়া মরলেও কিছুদিন পর আবার ফিরে আসে। আবার খাবার দ্রবের মধ্যে এইসব ঔষধ ব্যবহার করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ঘরে তৈরি করে ফেলুন পিঁপড়া দূর করার এই কার্যকরী ঔষধটি।

যা যা লাগবে:

বোরিক পাউডার
মধু
চিনি
গরম পানি
মগ
একটি খালি স্প্রে বোতল
যেভাবে তৈরি করবেন:
১। একটি মগ বা পাত্রে তিন চা চামচ চিনি, ছয় থেকে আট চা চামচ বোরিক পাউডার এবং গরম পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। চিনির দানা যেন পানির সাথে ভাল করে মিশে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
৩। এরপর এতে মধু দিয়ে দিন।
৪। এই মিশ্রণটি একটি স্প্রের বোতলে ভরে ফেলুন।
৫। ঘরের যেসকল স্থানে পিঁপড়া দেখা মিলবে সেখানে মিশ্রণটি স্প্রে করে দিন। আর দেখুন পিঁপড়া এক নিমিষে দূর হয়ে গেছে।

কার্যকারিতা:

মধু এবং চিনি পিঁপড়াকে আকর্ষণ করে। বোরিক পাউডারের উপাদান পিঁপড়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে থাকে। এই স্প্রেটি আপনার বাগানের পিঁপড়া মারতেও সাহায্য করবে।

বিকেলের নাস্তায় ঝটপট ইটালিয়ান ডেজার্ট

ranna banna o beauty tips
ইটালিয়ান ডেজার্ট
পুডিং আমাদের সবার বেশ পছন্দ। দুধ, ডিম ছাড়া পুডিং তো চিন্তাই করা যায় না। অনেকে আবার দুধ দিয়ে পুডিং তৈরি করে থাকে। ইটালিতে এক ধরণের খাবার আছে যা শুধু ক্রিম দিয়ে তৈরি করা হয়। পুডিং এর স্বাদ পেতে এই খাবারটি তৈরি করে নিতে পারেন। হঠাৎ ঘরে মেহমান চলে এসেছে? ঝটপট পরিবেশন করতে পারেন এই ইটালিয়ান খাবারটি।
উপকরণ:
৪০০ মিলিগ্রাম হুইপড ক্রিম
২ টি জেলাটিন শিট
২ টেবিল চামচ চিনি
২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
২৫০ গ্রাম চেরি জ্যাম
চেরি সাজানোর জন্য
প্রণালী:
১। প্রথমে একটি পাত্রে জেলাটিন ভিজিয়ে রাখুন।
২। একটি পাত্রে হুইপড ক্রিম মাঝারি আঁচে চুলায় দিয়ে দিন। গরম হওয়া পর্যন্ত হুইপড ক্রিম নাড়তে থাকুন।
৩। এরপর চুলা থেকে ক্রিম নামিয়ে এতে চিনি, ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
৪। এখন জেলাটিন গরম ক্রিমের মিশ্রণের সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৫। ছোট ছোট কাপ বা বাটিতে এটি ঢেলে ফ্রিজে কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা রেখে দিন।
৬। জমে গেলে ফ্রিজ থেকে বের করে একটি গরম পানির পাত্রে রেখে দিন।এতে সহজে পাত্র থেকে প্যানা কোটা বের হয়ে আসবে।
৭। চেরি সস তৈরির জন্য চেরির জ্যাম মাইক্রোওয়েভে ৩০ সেকেন্ড গরম করে নিন। সামান্য গরম পানি মিশিয়ে চেরির জ্যামটি পাতলা করে ফেলুন।
৮। এবার পরিবেশন পাত্রে প্যানা কোটা ঢেলে তার চারপাশে চেরি সস দিয়ে দিন। উপরে এক টুকরো চেরি দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন।
৯। ব্যস তৈরি হয়ে গেল ইটালিয়ান প্যানা কোটা।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

তোভার ডাল

ranna banna o beauty tips
তোভার ডাল
নিত্যদিনের খাবারগুলোর মধ্যে ডাল অন্যতম। অনেকেই ডাল ছাড়া খাবার খেতেই পারেন না। সাধারণত মসুরির ডালটা বেশি রান্না  করা হয়। অনেকে মুগ ডাল রান্না করে থাকেন মসুরি ডালের পরিবর্তে। অড়হর ডাল ঝামেলার কারণে অনেকেই রান্না করতে চান না। অথচ এই ডাল খেতে কিন্তু দারুণ। ভারতে গুজরাটে এই অড়হর ডাল দিয়ে একটি রান্না করা হয় "তোভার ডাল"। ভাত, রুটি সবকিছুর সাথে খেতে দারুন লাগে এই খাবারটি।
উপকরণ:
১/২ কাপ অড়হর ডাল
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
২ টি কাঁচা মরিচ
১/৪ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ কাপ টমেটো কুচি
১/৪ কাপ গুঁড়
লবণ স্বাদমত
১ টেবিল চামচ তেল
১ চা চামচ সরিষা
১/২ চা চামচ জিরা
২টি লবঙ্গ
১ টি ছোট দারুচিনি
৪-৫টি কারি পাতা
১/৪ চা চামচ হিং
১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ লেবুর রস
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

প্রণালী:
১। অড়হরের ডাল ১.৫ কাপ পানি দিয়ে প্রেশার কুকারে দিয়ে দিন। ৩টি শিষ দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সিদ্ধ হয়ে এলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলে ফেলুন।
২। রান্না করা ডালের সাথে ১ কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৩। এবার একটি প্যানে ব্লেন্ড করা ডাল, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ, আদা, টমেটো, গুঁড়, ১.৫ কাপ পানি এবং লবণ দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন।
৪। ডাল মাঝে মাঝে নাড়ুন।
৫। এখন আরেকটি প্যানে তেল গরম হয় এলে সরিষা, জিরা দিয়ে দিন। জিরা ফুটে আসলে এতে লবঙ্গ, দারুচিনি, কারি পাতা দিয়ে মাঝারি আঁচে কয়েক সেকেন্ড ভাঁজুন।
৬। এটি ফুটন্ত ডালে এটি দিয়ে দিন। এর সাথে হিং, মরিচ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে ৪ থেকে ৫ মিনিট রান্না করুন।
৭। সবশেষে লেবুর রস এবং ধনে পাতা কুচি দিয়ে ১-২ মিনিট নেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
৮। ভাত অথবা রুটির সাথে পরিবেশন করুন মজাদার তভার ডাল।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে


শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০১৬

স্ট্রবেরি জ্যাম

ranna banna o beauty tips
স্ট্রবেরি জ্যাম
আজকাল বাজারে একটি ফল খুব দেখা যায়, তা হল স্ট্রবেরি। মজাদার এই ফলটি দিয়ে নানা রকম খাবার তৈরি করা যায়। আইসক্রিম থেকে শুরু করে কেক পর্যন্ত সব রকম খাবার তৈরি করা যায় এই ফলটি দিয়ে। সকালের নাস্তায় রুটির সাথে জ্যাম খুব পরিচিত। কিন্তু বাজারের একই স্বাদের জ্যাম কত আর খাওয়া যায়! এরচেয়ে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার টক-মিষ্টি স্ট্রবেরি জ্যাম। অল্প কিছু উপাদান দিয়ে খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারেন এই জ্যামটি।
উপকরণ:
২ পাউন্ড স্ট্রবেরি
৪ কাপ চিনি গুঁড়ো
৩টি লেবুর রস
প্রণালী:
১। প্রথমে স্ট্রবেরি ভাল করে ধুয়ে মুখ কেটে নিন।
২। এবার একটি পাত্রে স্ট্রবেরিগুলো নিয়ে ভাল করে ম্যাশ করে নিন। ৪ কাপ পরিমাণে স্ট্রবেরি ম্যাশ করে নিন।
৩। একটি প্যানে ম্যাশ করা স্ট্রবেরি, চিনি এবং লেবুর রস দিয়ে চুলা দিয়ে দিন।
৪। অল্প আঁচে মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন, যতক্ষণ না চিনি গলে মিশে যায়।
৫। চিনি গলে গেলে চুলার তাপ বাড়িয়ে দিয়ে বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৬। মিশ্রণটি ঘন হওয়া অর্থ্যাৎ ২২০ ডিগ্রী ফারেনহাইট অথবা ১০৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছানো পর্যন্ত জ্বাল দিন।
৭। এবার ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে জ্যাম জারে ঢেলে দিন।
৮। গরম জ্যাম ঠান্ডা করে সংরক্ষণের জন্য একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি নিয়ে এতে জ্যামের জারগুলো রেখে দিন।
৯। যদি সাথে সাথে জ্যাম না খান, তবে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

ক্যারট রোল কেক

ranna banna o beauty tips
ক্যারট রোল কেক
মজাদার একটি সবজি গাজর। সালাদ, রান্না করা ছাড়াও এই গাজর দিয়ে তৈরি করা যায় মজার মজার সব খাবার। সাধারণত গাজরের হালুয়া, গাজরের পায়েস, গাজরের লাড্ডু বেশ পরিচিত। কিন্তু এই গাজর দিয়ে এক প্রকার কেক তৈরি করা হয়, যা ক্যারট কেক নামে পরিচিত। গাজর দিয়ে কেক অনেকই তৈরি করে থাকেন। ক্যারট কেক রোল একটু ভিন্ন ধরণের, ভিন্ন স্বাদের হয়ে থাকে।
উপকরণ:
কেক তৈরির জন্য
৩টি ডিম
২/৩ কাপ চিনি
১/২ চা চামচ লবণ
১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
২ টেবিল চামচ তেল
১ টেবিল চামচ লেবুর রস
২ কাপ গাজর কুচি
৩/৪ (১০০গ্রাম) কাপ ময়দা  
১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার
১/২ চা চামচ বেকিং সোডা
২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
১ চা চামচ আদা কুচি
১/৪ চা চামচ জয়ফল গুঁড়ো
ফিলিং তৈরির জন্য
১ কাপ (২৪০ মিলিগ্রাম) ক্রিম
৮ আউন্স( ২৫০ গ্রাম) চিজ
১/২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
১/২ কাপ(৬০ গ্রাম) চিনির গুঁড়ো
১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
প্রণালী:
১। প্রথমে ওভেন ৩৫০ ফারেনহাইট অথবা ১৮০ সেলসিয়াসে প্রিহিট করে নিন।
২। একটি পাত্রে ডিম, চিনি, লবণ এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ভাল করে বিট করে নিন। হলুদ রঙের ফেনা না উঠা পর্যন্ত বিট করতে থাকুন।
৩। এরপর এতে তেল দিয়ে আবার বিট করুন। গাজর কুচি এবং লেবুর রস দিয়ে আবার বিট করুন।
৪। এবার ময়দা, বেকিং পাউডার, বেকিং সোডা, দারুচিনি গুঁড়ো, আদা কুচি এবং জয়ফল গুঁড়ো গাজরের সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ভাল করে ময়দা মিশিয়ে নিবেন। অনেক সময় গাজর নরম হয়ে যেতে পারে অথবা বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে। নরম হয়ে গেলে এতে ১/২ কাপ অথবা ১/৪ কাপ ময়দা মিশিয়ে নিতে পারেন।
৫।  এখন বেকিং পাত্রে মাখন লাগিয়ে নিন। এরপর উপর বেকিং পেপার দিয়ে চিনি ছিটিয়ে নিন। তারপর কেকের মিশ্রণটি দিয়ে ১৫ মিনিট বেক করুন।
৬। কেকটি রোল করার জন্য একটি কিচেন টাওয়েলের উপর চিনি ছিটিয়ে কেকটি রাখুন। কেকের উপর চিনি ছিটিয়ে রোল করুন।
৭। ক্রিম বিটার দিয়ে বিট করে নিন। আরেকটি পাত্রে চিজ, চিনির গুঁড়ো, দারুচিনি এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে বিট করে নিন। ক্রিমের সাথে এই মিশ্রণটি মিশিয়ে ফেলুন।
৮। রোল করা কেকটির ভাঁজ খুলে এর মাঝে ক্রিমের মিশ্রণটি দিয়ে দিন।
৯। এখন রোল করা কেকটি ফ্রিজে সারা রাত অথবা কয়েক ঘণ্টা রাখুন।
১০। উপরে চিনির গুঁড়ো ছিটিয়ে পরিবেশন করুন ভিন্ন স্বাদের মজাদার ক্যারট কেক রোল।
টিপস:
১। আপনি চাইলে ফিলিংটা বাদ দিয়ে শুধু ক্যারট কেক তৈরি করে নিতে পারেন।

পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

নাশতায় মশলাদার মাশরুম ঝাল ফ্রেজি

ranna banna o beauty tips
মাশরুম ঝাল ফ্রেজি
যে কোনো সময়ের নাশতায় সব্জির তরকারি দিয়ে রুটি বা পরোটা খাওয়াটা যেমন সুস্বাদু, তেমনি বেশি স্বাস্থ্যকরও বটে। কিন্তু এই সবজি রান্নাও একটা সময়ে একঘেয়ে হয়ে পড়ে। পরোটা বা রুটির সাথে স্বাস্থ্যকর এবং একই সাথে নতুন কিছু খেতে চাইলে তৈরি করে ফেলতে পারেন মাখা মাখা মশলাদার মাশরুম ঝাল ফ্রেজি। কোনো রকমের প্রোটিন ছাড়াই এই রান্নাটি হবে ভীষণ সুস্বাদু। চাইলে ভাত বা ফ্রাইড রাইসের সাথেও খেতে পারেন যে কোনো বেলায়।

উপকরণ
- ২০০ গ্রাম মাশরুম, বড় কিউব করে কাটা
- ২ টেবিল চামচ মাখন
- ১ টেবিল চামচ তেল
- ১ চা চামচ জিরা
- ১টা মাঝারি পিঁয়াজ কুচি
- ১টা মাঝারি পিঁয়াজ কিউব করে কাটা
- ১ কাপ বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম কিউব করে কাটা
- ২ চা চামচ কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো
- ২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
- আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- লবণ স্বাদমতো
- কাঁচামরিচ কুচি স্বাদমতো
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ২ ইঞ্চি পরিমাণ আদা লম্বা কুচি করে কাটা
- সিকি চামচ আদা বাটা
- ১ কোয়া রসুন কুচি করা
- ১টা টমেটো
- ১ চা চামচ ধনেপাতা কুচি
- লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
- ৩ টেবিল চামচ হেভি ক্রিম

প্রণালী
১) একটা প্যান মাঝারি আঁচে গরম করে নিন। এতে মাখন এবং তেল দিন। মাখন গলে গিয়ে তেলটা গরম হয়ে ফেনা উঠবে। এ সময়ে দিয়ে দিন জিরা। এগুলো ফুটে উঠলে দিয়ে দিন পিঁয়াজ কুচি। এতে লবণ, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ঢেকে কম আঁচে রান্না হতে দিন যতক্ষণ না পিঁয়াজ লালচে হয়ে আসে। ৫ মিনিটে হয়ে যাবার কথা।
২) টমেটোটাকে কেটে টুকরো করে নিন। এবার আদা বাটা এবং রসুন কুচির সাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে পিউরি করে নিন এটাকে। মিহি পিউরি হয়ে গেলে বের করে ঢেলে রাখুন একটা বাটিতে।
৩) এবার চুলায় রাখা প্যানের ঢাকনা খুলে চেক করুন। এতে দিয়ে দিন কিউব করা পিঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, মাশরুম এবং লম্বা করে কাটা আদা। এগুলোর ওপরে দিয়ে দিন টমেটো পিউরি, কাঁচামরিচ, অল্প করে লবণ, কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো, গরম মশলা এবং ধনে গুঁড়ো। সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা চাপা দিয়ে ৫-১০ মিনিট রান্না করুন যতক্ষণে মাশরুম নরম হয়ে আসে।
৪) ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে চেক করুন রান্না হয়েছে কিনা। হয়ে গেলে এতে হেভি ক্রিম দিয়ে দিন। এর ওপরে লেবুর রস এবং ধনেপাতা কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন এবং আরও মিনিটখানেক রান্না হতে দিন। এরপর নামিয়ে নিন।
গরম গরম পরিবেশন করুন রুটি, পরোটা বা নানের সাথে। 

ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.