বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই স্ট্রেইট করুন আপনার চুল

ranna banna o beauty tips
ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই স্ট্রেইট করুন আপনার চুল
বেশির ভাগ মানুষই সোজা বা স্ট্রেইট চুল পছন্দ করে কারণ সোজা চুলে যে কোন ধরণের হেয়ার স্টাইল ভালো লাগে। সবাই সোজা চুল নিয়ে জন্মগ্রহণ করেনা। একেক জনের চুলের ধরণ একেক রকম হয়। বর্তমানে স্ট্রেইট চুলের ট্রেন্ড চলছে। তাই চুল স্ট্রেইট করার জন্য অনেকেই অনেক ধরণের রাসায়নিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। স্থায়ী ভাবে চুল সোজা করলেও সেটা এক বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে। এক বছর পর চুলের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়, চুলের আগা ফেটে যায় ও শক্ত হয়ে যায়। কিন্তু আপনার রান্নাঘরেই এমন কিছু উপাদান আছে যা প্রাকৃতিকভাবে ও স্থায়ীভাবে আপনার চুলকে স্ট্রেইট করতে পারে। ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপাদান আপনার চুলের কোন ক্ষতি করেনা। তাই ঘরেই ঝলমলে, উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যবান ও সোজা চুল পেতে তৈরি হয়ে যান, প্রচুর অর্থ খরচ করা ছাড়াই।
১। দুধ
দুধের প্রোটিন চুলকে মসৃণ ও সোজা করে এবং চুলের কোঁকড়ানো ভাব দূর করে। তাই সোজা চুল পেতে চাইলে দুধ দিয়ে চুল ভেজান এবং দুধে ভেজা চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়ান যাতে সব চুলে দুধ পৌঁছাতে পারে ও চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে শক্তিশালী করতে পারে। আধাঘন্টা এভাবে রেখে দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ভাবে চুলে দুধ ব্যবহার ও সতর্কতার সাথে চুল আঁচড়ানোর ফলে পার্লারের মতই স্ট্রেইট চুল পাবেন।
২। কুসুম গরম তেল
মাথার তালুতে তেল ম্যাসাজ করলে রক্তনালীর মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এতে চুলের মধ্য দিয়ে পুষ্টির প্রবাহও ঠিক ভাবে হয়। এর ফলে চুল চকচকে ও শক্তিশালী হয় এবং চুল জমাট বাঁধেনা। নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে এই সুফলগুলো পাওয়া যায়। অলিভ অয়েল চুলকে আর্দ্রতা প্রদান করে ও এটি খুব ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত কুসুম গরম তেল মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে ও চুল আঁচড়ালে চুল সোজা হয়।
৩। লেবুর রস ও নারিকেলের দুধ
লেবুর রস ও নারিকেলের দুধ প্রাকৃতিক ভাবে চুল সোজা করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। লেবুর রসের সাথে নারিকেলের দুধ মিশালে ক্রিম কন্ডিশনার তৈরি হয় যা চুলকে সোজা করতে সাহায্য করে।  লেবুর রসের সাথে নারিকেলের দুধ মিশিয়ে ক্রিম তৈরি করে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন এই প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করুন। আপনি নিজেই পরিবর্তন লক্ষ করবেন।
৪। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
সবচাইতে ক্ষমতাশালী চুল স্ট্রেইট করার উপাদান আছে আপেল সাইডার ভিনেগারে । চুলের স্বাভাবিক pH  স্তর পুনরুদ্ধার করার মাধ্যমে চুলকে স্ট্রেইট করে আপেল সাইডার ভিনেগার। এছাড়াও এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং মাথার তালুর ইনফেকশন দূর করে।
৫। দুধ ও মধু
ছাগলের দুধ চুল ও ত্বকের জন্য চমৎকার কাজ করে। ছাগলের দুধ পুষ্টিকর ও উপকারী উপাদানে ভরপুর। ছাগলের দুধের সাথে মধু মিশিয়ে চুলে লাগালে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং চুলকে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করার পাশাপাশি চুলকে সোজা করে।
৬। কাঠ বাদামের তেল
চুলের জন্য চমৎকার ভাবে কাজ করে কাঠ বাদামের তেল। এটি চুলকে শক্তিশালী, জড়তাহীন, মসৃণ ও উজ্জল করে। এতে প্রচুর ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আপনার ব্যবহৃত কন্ডিশনারের সাথে ৩-৪ ফোঁটা কাঠ বাদামের তেল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে তিনদিন এটি ব্যবহার করলে আপনার চুল ঝলমলে ও স্ট্রেইট হবে।
৭। ডিম ও চালের গুঁড়ো
ডিমের সাদা অংশের সাথে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে এর সাথে এক কাপ মুলতানি মাটি ভালো ভাবে মিশান। এই মাস্কটি চুলকে সোজা করে। মাস্কটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে চুল আঁচড়ান ও এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিবর্তন লক্ষ করবেন।
এছাড়াও চুল সোজা করার জন্য আরো যে উপাদান গুলো কাজ করে সেগুলো হল- অ্যালোভেরা, কলা ও পেঁপের মাস্ক, মিল্ক হেয়ার স্প্রে যা ঘরেই তৈরি করা যায়, সয়াবিন তেল, ক্যাস্টর অয়েল, মুলতানি মাটি ইত্যাদি।     

এবার কাবাব হবে বেগুন দিয়েই!

ranna banna o beauty tips
এবার কাবাব হবে বেগুন দিয়েই!
বেগুন ভর্তা নাম শুনলে জিভে জল চলে আসে। খিচুড়ির সাথে বেগুন ভাজি হলে তো কোন কথাই নেই! এই বেগুন দিয়ে তৈরি করা যায় নানা মজাদার রান্না। ঠিক সেইরকমই একটি রান্না হল বেগুন কাবাব! নাম শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই তুরস্কে এই খাবারটি বেশ জনপ্রিয়। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বেগুন কাবাবের রেসিপি।
উপকরণ:
  • ৩টি বেগুন
  • ৪৫০ গ্রাম গরুর কিমা
  • ১টি পেঁয়াজ
  • ২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
  • ২ চা চামচ লাল শুকনো মরিচ গুঁড়ো
  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
  • ১ টেবিল চামচ টমেটো পেস্ট
  • ২-৩ টমেটো
  • ৭টি রসুনের কোয়া
  • ৬টি গোলমরিচ

প্রণালী:
১। প্রথমে বেগুনকে গোল গোল করে কেটে ২ চা চামচ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
২। তারপর একটি পাত্রে গরুর কিমা, পেঁয়াজ কুচি, লাল শুকনো মরিচের গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৩। এরপর কাবাবের মত চ্যাপ্টা চ্যাপ্টা করে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন।
৪। এখন ওভেনের ট্রেতে দুটি বেগুনের মাঝে একটি কাবাব দিয়ে দিন। এভাবে সম্পূর্ণ ওভেন ট্রেটি ভরে ফেলুন।
৫। এখন কাবাব সস তৈরি করে নিন। টমেটোর পেস্ট, গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ এবং এক কাপ গরম পানি মিশিয়ে নিন। এর সাথে অলিভ অয়েল দিয়ে দিন।
৬। সম্পূর্ণ সসটি বেগুন এবং কাবাবের উপর ঢেলে দিন।
৭। টমেটো এবং ক্যাপসিকাম টুকরো করে কেটে কাবাবের পাশে দিয়ে দিন। চাইলে ফ্লেভারের জন্য কয়েক কোয়া রসুন দিয়ে দিন।
৮। ওভেনে ৪০০ ফারেনহাইট অথবা ২০০ সেলসিয়াসে প্রিহিট করে নিন। এতে ওভেন ট্রেটি ৪৫ মিনিট বেক করুন।
৯। ৪৫ মিনিট পর পেয়ে যান মজাদার বেগুন কাবাব।

সরিষা বাটায় "ভেজিটেবল চিকেন"

ranna banna o beauty tips
সরিষা বাটায় "ভেজিটেবল চিকেন"
একই ধাঁচের মুরগী রান্না আর ভালো লাগছে না? তাহলে আজ জেনে নিন শারমিন হকের একটি নতুন রেসিপি আর সবজির সাথে মিলিয়ে সরিষার স্বাদে রেঁধে ফেলুন মুরগী।  

 উপকরণ -  
মুরগির  মাংস ১ কেজি - তেল পরিমান মত - পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ  - পেঁয়াজ বাটা ১কাপ  - দারুচিনি ,এলাচি,তেজপাতা  - সরিষা বাটা ২চা চামচ - ছোট  আলু  ১০ টা - ফুলকপি ১ কাপ - ব্রকলি ১কাপ - বরবটি হাফ কাপ - পেঁয়াজ কলি হাফ কাপ - মটরশুঁটি হাফ কাপ  - আদা বাটা ১ টেবিল চামচ  - রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ - ধনে গুঁড়ো ও জিরা গুঁড়ো,  - হলুদ গুঁড়ো ২চা চামচ - লাল মরিচ গুঁড়ো ৩ চা চামচ - কাচাঁ মরিচ ৫টা - লবণ

প্রস্তুত প্রনালি  -
মাংস ধুয়ে নিন।  -এবার হাড়িতে  এ তেল দারুচিনি,এলাচ,তেজপাতা, পেঁয়াজ কুচি ২কাপ ও পেঁয়াজ বাটা এককাপ,আদা বাটা,রসুন বাটা,সরিষা বাটা, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, লবণ, ২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে রান্না করুন।  -এরপর মাংসগুলো দিয়ে দিন। ভাল করে কষান। কষানো হলে পানি দিন ও সবজি গুলো দিন।  -সবজি সিদ্ধ হলে,ঝোল মাখা মাখা হলে কাচাঁ মরিচ দিয়ে নামিয়ে গরম গরম ভাত বা পোলাওর সাথে পরিবেশন করুন মজাদার সরিষার স্বাদে "চিকেন ভেজিটেবল"। 

মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ছোটমাছের চচ্চড়ি

ranna banna o beauty tips
ছোটমাছের চচ্চড়ি
উপকরণ:
ছোটমাছ ১৫০গ্রাম। পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল-চামচ। পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। আদাবাটা আধা চা-চামচ। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল ১/৪ কাপ। কাঁচামরিচ ৪টি। ধনেপাতা ইচ্ছামতো। 

পদ্ধতি: 
মাছগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।

কড়াইতে তেল গরম করে, পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি রং করে ভাজুন। এখন এতে অল্প গরম পানি সঙ্গে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও ধনেগুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে কষাতে হবে।

কষে আসলে, পেঁয়াজবাটা, রসুনবাটা ও লবণ দিয়ে আরেকটু কষিয়ে মাছগুলো দিয়ে, হালকা করে নেড়ে দিন। প্রয়োজন না হলে পানি দেবেন না।

রান্না হয়ে গেলে, নামিয়ে উপর দিয়ে কাঁচামরিচ আর ধনেপাতা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

চালকুমড়ার দুই পদ

ranna banna o beauty tis
চালকুমড়ার দুই পদ
ইলিশ চালকুমড়ার ঝোল ও সর্ষে চালকুমড়ার ছেঁচকি।

ইলিশ চালকুমড়ার ঝোল

উপকরণ: 
ইলিশ মাছ ৫ টুকরা। চালকুমড়া ১টি। চালকুমড়ার লম্বালম্বি ৪ ভাগের দেড় ভাগ। পেঁয়াজ ১টি (বড় আকারের, মিহিকুচি করা। হলুদগুঁড়া দেড় চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ। কাঁচামরিচ ৩,৪টি(আস্ত)। লবণ স্বাদ মতো। তেল ৫ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি:
চালকুমড়া লম্বা ভাবে ফালি করে বীজের অংশ (বুক) ফেলে দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে আধা ইঞ্চি পুরু করে কেটে নিতে হবে।
প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ দিয়ে তা সোনালি করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। সেই তেলেই হলুদগুঁড়া, শুকনা-মরিচগুঁড়া আর লবণ দিয়ে নেড়েচেড়ে ইলিশের টুকরোগুলো ছেড়ে দিয়ে কষিয়ে নিয়ে তুলে রাখতে হবে।
এবার সেই মসলার মধ্যেই চালকুমড়ার টুকরাগুলো ছেড়ে দিয়ে কষিয়ে প্রয়োজন মতো গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ভেজে রাখা পেঁয়াজ আর ধনেগুঁড়া একসঙ্গে পাতলা করে বেটে রাখতে হবে। চালকুমড়া সিদ্ধ হয়ে গেলে বেটে রাখা মসলা ও কাঁচামরিচ ফালি ছেড়ে দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট রেখে নামিয়ে নিতে হবে।

সর্ষে চালকুমড়ার ছেঁচকি

উপকরণ: 
চালকুমড়া অর্ধেকটা। পেঁয়াজ ১টি। কালোসরিষা আধা চা-চামচ। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। রসুনবাটা ১/৪ চা-চামচ। আদাবাটা ১/৩ চা-চামচ। চিনি ১/৩ চা-চামচ। কাঁচামরিচ ৩,৪টি। লবণ স্বাদ মতো। সয়াবিন তেল ৩ টেবিল-চামচ। সরিষার তেল ২ চা-চামচ।


পদ্ধতি: 
ইলিশ চালকুমড়ার তরকারির মতো করেই চালকুমড়া কেটে নিতে হবে। তারপর পেঁয়াজ, সরিষা, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচগুঁড়া একসঙ্গে বেটে নিতে হবে।
তারপর চালকুমড়ায় অল্প হলুদ আর লবণ মেখে প্যানে সবটুকু তেল গরম করে হালকা করে ভেঁজে তুলে রাখুন।
একই তেলে বেটে রাখা মসলা দিয়ে কষিয়ে তাতে ভেজে রাখা চালকুমড়া দিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট কষিয়ে প্রয়োজন মতো পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে।
চালকুমড়া সিদ্ধ হয়ে গেলে আস্ত কাঁচামরিচ ও চিনি দিয়ে গামাখা ঝোলসহ নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।

মজার পানীয় দই শরবত

ranna banna o beauty tips
মজার পানীয় দই শরবত
গরমে ঠাণ্ডা পানীয়তে তৃষ্ণা মেটানোর মতো আরামদায়ক কিছু হতে পারে? অনেকে আবার শীতের ভেতরও ঠাণ্ডা পানীয় বেশ উপভোগ করেন। তাছাড়া অতিথি আপ্যায়নে পানীয়র জুড়ি নেই। তাও যদি হয় মজাদার দই শরবত তবে তো কথায় থাকে না। তাই চটজলদি শিখে নিন দই শরবত বানানোর সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

মিষ্টি দই ১ কাপ, টক দই ১ কাপ, ঠাণ্ডা পানি ৩ কাপ, বরফ কুচি ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, বিট লবণ আধা চা-চামচ, লেবুপাতা ৫ থেকে ৬টি, পুদিনাপাতা ৭ থেকে ৮টি, সরষে গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১টি, চিনি স্বাদমতো।

যেভাবে করবেন

সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। মিশ্রণটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এবার সুদৃশ্য গ্লাসে ২ থেকে ৩ টুকরা বরফ ছড়িয়ে ওপর থেকে শরবত ঢেলে দিন। এবার পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করলেই হল।

নিজেই তৈরি করুন চুলের কন্ডিশনার

ranna banna o beauty tips
নিজেই তৈরি করুন চুলের কন্ডিশনার
শীতের এই সময়টাতে সবাই কম বেশি চুলের খুশকি, চুল পড়া, ড্যামেজ হওয়ার মতো নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন। চুলের ক্ষতিতে আপনিও থাকেন দারুণ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। মূলত আপনাকে সুন্দর দেখানোর বিষয়টি অনেকাংশেই নির্ভর করে সুন্দর চুলের ওপর।

তাইতো এমন সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ঘরোয়া উপায়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন নিজে হাতে। ঘরোয়া উপায়ে তৈরি কন্ডিশনার আপনার ড্যামেজ চুলেকে মসৃণ আর ঝলমলে করে তুলতে পারে সহজেই। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি কন্ডিশনারে নেই কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এছাড়া চুলের গোড়া থেকে পুষ্টি যুগিয়ে দূর করবে সমস্যা। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক।

রুক্ষ্ম চুলের জন্য

যা যা লাগবে

পাকা কলা ১টি, নারিকেল তেল ৪ টেবিল চামচ, মধু ৪ টেবিল চামচ, গ্লিসারিন ৪ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন

সব উপকরণ এক সঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেণ্ড করুন। তারপর পরিষ্কার চুলে লাগিয়ে মাথায় শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে ফেলুন। আধা ঘণ্টা পর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল নরম ও মোলায়েম হয়ে উঠেছে। শুষ্ক চুলের জন্য এই কন্ডিশনারটি খুবই উপকারী।

প্রাণহীন চুলের জন্য

যা যা লাগবে

পানি ১ কাপ, ডিমের কুসুম ১টি, নারিকেল তেল ১ চা চামচ।

যেভাবে করবেন

একটি বাটিতে ডিমের কুসুম নিয়ে খুব ভালো ভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। ফেনা হয়ে উঠলে নারিকেল তেল মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ ফেটাতে হবে। এবার মিশ্রণটির সঙ্গে পানি মিশিয়ে আবারও ফেটিয়ে নিন। এই কন্ডিশনারটি চুলে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে ৩০ মিনিটের মতো। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের গোড়া মজবুত হওয়াসহ ঝলমলে চুল পাবেন।

চুলে ডিপ কন্ডিশনিং

মেয়োনিজ ১ কাপ, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, বাদামের তেল ১ টেবিল চামচ নিতে হবে। এবার সবগুলো উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটিকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। আবারও ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করে লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। ব্যাস পেয়ে যান মনের মতো সুন্দর চুল।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.