সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

টুনা সালসা গ্রিলড স্যান্ডউইচ

ranna banna o beauty tips
টুনা সালসা গ্রিলড স্যান্ডউইচ
উপকরণ: পাউরুটি ৮ টুকরা। টুনা মাছের কিমা ২০০ গ্রাম। টমেটো বড় ৪টি। কাঁচামরিচ ৫টি। পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। আদাকুচি এক চা-চামচ। ধনেপাতার কুচি ৪ চা-চামচ। তেল ২ টেবিল-চামচ। পনিরের টুকরা ৪টি। পানি আধা কাপ। লবণ স্বাদ মতো।

পদ্ধতি: একটা কড়াইতে অর্ধেক তেল গরম করে তাতে টুনা মাছের কিমা হালকা ভেজে নিন। তারপর সেই তেলেই পেঁয়াজ ভেজে নেবেন। অন্য আরেকটা হাঁড়িতে বাকি তেলটুকু নিয়ে তাতে আদাকুচি ভেজে নিন। এরপর এতেই টমেটোকুচি ও লবণ দিয়ে ভেজে সিদ্ধ করুন।
টমেটো সিদ্ধ হয়ে গেলে হাতে চালানো ব্লেন্ডার দিয়ে টমেটো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। ঘন হয়ে আসলে এতে মরিচকুচি এবং ধনেপাতাকুচি দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন।

এই মিশ্রণ টুনা মাছের কিমা ও পেঁয়াজের কড়াইতে দিয়ে যতক্ষণ টমেটোটা মসলার মতো টুনা মাছের সঙ্গে মেখে না যায় ততক্ষণ রান্না করুন। রান্না হয়ে আসলে তেলটা মিশ্রণ থেকে আলাদা হয়ে যাবে।
পাউরুটির একটি স্লাইসের উপর পনিরের স্লাইস রেখে তার উপর টমেটোতে রান্না করা টুনা মাছের এক স্তর দিয়ে আরেকটি পাউরুটির স্লাইস দিয়ে ঢেকে দিন। এই স্যান্ডউইচ ইলেকট্রিক ওভেন বা স্যান্ডউইচ গ্রিল করার মেশিনে নিয়ে গ্রিল করে নিন।

সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মুখরোচক মিষ্টান্ন গাজরের লাড্ডু

ranna banna o beauty tips
মুখরোচক মিষ্টান্ন গাজরের লাড্ডু
ছোট বড় সবারই পছন্দ মজাদার লাড্ডু। বাচ্চাদের যখন তখন বায়না মেটাতেও লাড্ডুর তুলনা হয় না। সবার পছন্দ বিবেচনায় বাজারেও পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রকার লাড্ডু। আপনার পরিবারের সদস্যদের এমন মুখরুচি লাড্ডু খাওয়াতে দোকানের ওপর নির্ভর না করলেও চলবে। নিজে বানাতে পারেন গাজরের লাড্ডু। অতিথি আপ্যায়নেও এটি মুখরোচক মিষ্টান্ন হতে পারে। তাই খুব সহজে গাজরের লাড্ডু বানানোর উপায় শিখে নিতে পারেন।

যা যা লাগবে

গাজর কুচি ২ কাপ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ, এলাচ ২টা, ঘি ৪ টেবিল চামচ, চিনি স্বাদমতো, কাজু বাদাম কুচি ১ আধা কাপ।

যেভাবে করবেন

  • প্রথমে গাজর কুচি সেদ্ধ করে নিতে হবে। 
  • এবার বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে ভালোভাবে রান্না করতে হবে। 
  • গাজরের মিশ্রণে থাকা পানি একদম শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে রান্না করতে থাকুন। 
  • মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। 
  • বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে গাজরের মিশ্রণ শক্ত হয়ে যাবে এবং লাড্ডুর আকার দেয়া সম্ভব হবে না। হালকা গরম থাকা অবস্থায় দ্রুত হাতে লাড্ডু বানিয়ে নিতে হবে। 
  • খেতে সুস্বাদু করতে লাড্ডু বানিয়ে আবার গুঁড়ো দুধে গড়িয়ে নিন। 
  • সুন্দর কমলা রঙের লাড্ডু খেতেও অনেক মজার। 

অতিথি আপ্যায়ন বা নিজেদের খাওয়ার জন্য বেশ উপযোগী মিষ্টান্ন হতে পারে আপনার হাতে তৈরি গাজরের লাড্ডু।

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে এই ৭টি খাবার

ranna banna o beauty tips
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে এই ৭টি খাবার
ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। হলিউড কাঁপানো বিশ্বখ্যাত নায়িকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। স্তন ক্যান্সার মূলত দুটি কারণে হয়ে থাকে- পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ এবং অপরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ। জেনেটিক কারণ, বংশগত কারণ, ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাব ইত্যাদি অপরিবর্তনযোগ্য কারণ।  বক্ষবন্ধনী বা ব্রা সর্বক্ষণ পড়ে থাকা, ভুল সাইজের বক্ষবন্ধনী পড়া, দেরী করে সন্তান জন্মদান, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই না করা ইত্যাদি পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহের মধ্যে পড়ে। কিছু খাবার আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো রাখুন।
১। ব্রোকলি

ব্রোকলিতে সালফ্রোফেইন নামক উপাদান আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এটি স্তনে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় ব্রোকলি রাখুন।
২। মাশরুম

মাশরুম খাবারটি অনেকে পছন্দ করেন আবার অনেকে অপছন্দ করে। কিন্তু Nutrition and Cancer in 2010 সালের প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে মাশরুম খাওয়া স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি হ্রাস করে থাকে। মাশরুমে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৩। ডালিম

যুক্তরাষ্ট্রের City of Hope’s Beckman Research Institute বৈজ্ঞানিকদের মতে ডালিমে এ্যালাজিক অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ যা ক্যান্সার সৃষ্টি করা এনজাইমকে প্রতিরোধ করে থাকে। ডালিম শুধু ক্যান্সার নয় হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে থাকে। প্রতিদিন ২৫০ মিলিলিটার ডালিমের রস পান বা অর্ধেকটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪। পালং শাক

মেনোপজের আগে নারীরা স্তন ক্যান্সার হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। পালং শাকে হজমযোগ্য আঁশ আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৫। ডিম

ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কারো কোন সন্দেহ নেই। এই ডিম স্তন ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে থাকে। কোলিন নামক উপাদান ২৪% পর্যন্ত ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের জরিপ অনুসারে ডিমের কুসুমে থাকা উপাদানটি স্তন কোষের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করে থাকে। U.S. Institute of Medicine এর মতে প্রতিটি নারীর ৪২৫ মিলিগ্রাম কোলিন খাওয়া উচিত, একটি বড় ডিমে ১২৬ মিলিগ্রাম কোলিন থাকে।
। দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার

ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার দুধ। এই দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার ১৯% পর্যন্ত স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। স্যামন মাছ

স্যামন মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় স্যামন মাছ রাখুন। শুধু স্যামন মাছই নয় বরং সবরকমের সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
সচেতনতাই পারে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে। একটু সচেতন হন আর দূরে থাকুন মরণব্যাধি স্তন ক্যান্সার থেকে।

বাধাকপি দিয়ে বুটের ডাল

ranna banna o beauty tips
বাধাকপি দিয়ে বুটের ডাল 
শীতের অন্যতম একটি সবজি হল বাঁধাকপি। শীতকালে প্রায় সব বাসায় বাঁধাকপি ভাজি করা হয়। এমনকি বাঁধাকপি দিয়ে তরকারিও রান্না করা হয়ে থাকে! বাঁধাকপি কখনও বুটের ডাল দিয়ে ভাজি করেছেন? একটু ভিন্ন স্বাদের এই ভারতীয় ভাজি করে দেখতে পারেন। ভাত, পোলাও বা রুটি সবকিছুর সাথে খেতে দারুন লাগবে এই ভাজিটি।
উপকরণ:
২৫০ গ্রাম বাঁধাকপি কুচি
১/২ কাপ ভেজানো বুটের ডাল
২-৩ টেবিল চামচ তেল
১/২ চা চামচ সরিষা
১ চা চামচ জিরা
১ চিমটি হিং
৬-৮ টি কারিপাতা
১/৪ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো
১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ চিনি
২ টেবিল চামচ নারকেল কুচি
প্রণালী:
১। বুটের ডাল ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। কিংবা সারারাতও ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
২। একটি  প্যানে তেল গরম করতে দিন।
৩। তেল গরম হয়ে এলে এতে সরিষা দিয়ে দিন। সরিষা ফুটে উঠলে এতে জিরা, হিং এবং কারি পাতা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড নাড়ুন।
৪। এবার এতে ভেজানো বুটের ডাল দিয়ে দুই-তিন মিনিট নাড়ুন।
৫। তারপর এতে হলুদের গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
৬। এবার এতে বাঁধাকপি কুচি দিয়ে অল্প আঁচে ২ থেকে ৩ মিনিট রান্না করুন।
৭। লবণ এবং চিনি ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৮। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।
৯। ডাল সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে রান্না করুন।
১০। নারকেল কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বাঁধাকপি বুটের ডাল ভাজি।

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬

ব্রণের দাগমুক্ত ত্বকের জন্য

ranna banna o beauty tips
ব্রণের দাগমুক্ত ত্বকের জন্য
উজ্জ্বল ত্বকের ঝিলিক কার না ভালো লাগে। কিন্তু চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার মিল থাকে না অধিকাংশ সময়। নিয়মিত নামী-দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করেও মুখে থাকা ব্রণের দাগ দূর করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া উপাদান দিয়ে আপনার ত্বকের যত্ন নেয়া সম্ভব। এসবের সঠিক ব্যবহারে আপনি পেতে পারেন ব্রণের দাগমুক্ত নরম, কোমল, সুন্দর ত্বক। আর তাই..

- শশার রস, সামান্য চালের গুঁড়া, এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি স্ক্রাবারের কাজ করবে। সপ্তাহে মাত্র দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।

- কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো আর পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

- আপেল এবং মধুর মিশ্রণ হচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪ থেকে ৬ ফোটা মধু মেশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং মুখের রঙ উজ্জ্বল করে। সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন।

- ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

- প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর তাতে ২ থেকে ৩ ফোটা লেবুর রস মিশাণ। গোলাপ জলের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন ব্যবহার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

- গোলাপজলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।

কাঁচা হলুদে ত্বকের চর্চা

ranna banna o beauty tips
কাঁচা হলুদে ত্বকের চর্চা
বহু বছর আগে থেকে রান্নার কাজে হলুদের ব্যবহার হয়। মসলার এই উপকরণটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি, ধারা, অনুষ্ঠান-পর্বের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। রূপচর্চাতে এর রয়েছে উল্লেখ করার মতো অবদান। হলুদ স্পর্শে সুন্দর হওয়ার এই ধারাও বেশ পুরোনো। বিয়ের আগে বর-কনেকে হলুদ ছোঁয়ার মধ্য দিয়ে একটু সুন্দর দেখানোর চেষ্টা রীতিমতো একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। হলুদকে তাই প্রাকৃতিক প্রসাধনীও বলা যেতে পারে। এটি গায়ের রঙ যেমন উজ্জ্বল করে তেমনি অ্যালার্জি, ব্রণ, র‌্যাশ দূর করে। তাছাড়া বয়সের ছাপ আলজেইমার, ডায়বেটিস, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ থেকে উপশম পেতে সাহায্য করে। আজ শিখে নেব কাঁচা হলুদের স্পর্শে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।

- কাঁচা হলুদ বাটা, চন্দন গুঁড়া, লেবুর রস মিশিয়ে একটি মাস্ক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাছাড়া ব্রণের উপর কাঁচা হলুদ বাটা এবং পানি মিশিয়ে দিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন। ব্রণ তাড়াতাড়ি চলে যাবে। হলুদে এন্টিসেপ্টিক এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে যেটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।

- হলুদ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। চন্দন গুঁড়া এস্ট্রিঞ্জেন্ট এর কাজ করে এবং কমলার রস ত্বকের দাগ দূর করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, ১ চামচ চন্দন গুঁড়া এবং ৪ চামচ কমলার রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগান। তৈলাক্ত ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর হবে।

- এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ৩ ফোঁটা লেবুর রস, একটা ডিমের সাদা অংশ, গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগান। নিজেই লক্ষ্য করবেন ত্বকের ইতিবাচক পরিবর্তন। তাছাড়া শরীরে যেসব জায়গা শুষ্ক সেসব জায়গায়ও লাগাতে পারেন। আপনার শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময়ী হবে সহজে।

- হলুদ ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া, চালের গুঁড়া, টমেটো রস, কাঁচা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের ফাইন লাইন্স এবং ঝুলে পড়া ত্বককে স্বাভাবিক করতে এবং ত্বককে ফর্সা করতে অত্যন্ত কার্যকরী।

- সামান্য হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে মাখন মিশিয়ে চোখের নীচে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এটি চোখের নীচে বলিরেখা সহ কালো দাগও দূর করবে।

৫ মিনিটে তৈরি করে ফেলুন রেড ভেলভেট কেক

ranna banna o beauty tips
রেড ভেলভেট কেক
কেক তৈরির জন্য দরকার হয় অনেক প্রস্তুতি, অনেক উপাদান বের করে ব্যাটার তৈরি করতে হয়, ওভেন প্রি-হিট করতে হয়, আইসিং তৈরি করতে হয় আরও কতো কী! কিন্তু এই রেড ভেলভেট কেক তৈরি করতে আপনার একটুও কষ্ট হবে না। মাইক্রোওয়েভ ওভেনেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন দারুণ নরম আর মজাদার কেক। সময়টাও লাগবে খুবই কম। চলুন, দেখে নেই রেসিপিটি।
উপকরণ

-   ৬ টেবিল চামচ দুধ
-   ১ চা চামচ সাদা ভিনেগার
-   আধা কাপ ময়দা
-   সিকি কাপ চিনি
-   ২ চা চামচ কোকো পাউডার
-   আধা চা চামচ বেকিং পাউডার
-   সিকি চা চামচ লবণ
-   ২ টেবিল চামচ তেল
-   ১০ ফোঁটা লাল ফুড কালার
-   সিকি কাপ চকলেট চিপস
-   ১ টেবিল চামচ ক্রিম চিজ
-   পরিবেশনের জন্য আইসিং সুগার
-   পরিবেশনের জন্য স্প্রিঙ্কল বা সুগার বল
প্রণালী

১) বড় একটা সিরামিকের মগে দুধ, ভিনেগার, ময়দা, চিনি, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার, লবণ, তেল এবং লাল ফুড কালার মিশিয়ে নিন। এটাকে বিট করে নিন ভালো করে। ওপরে চকলেট চিপস দিয়ে আরেকবার নেড়ে মিশিয়ে নিন। এরপর মাঝ বরাবর ক্রিম চিজ দিয়ে এটাকে সাবধানে ব্যাটারের ভেতর ঢুকিয়ে দিন, নাড়বেন না।
২) এবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে হাই হিটে বেক হতে দিন ৫ মিনিট।
৩) এবার বের করে নিয়ে ওপরে আইসিং সুগার এবং স্প্রিঙ্কল ছড়িয়ে দিন।
ব্যাস, পরিবেশনের জন্য তৈরি আপনার রেড ভেলভেট কেক। এটা গরম গরমই খেতে ভালো লাগবে। একটু ঠাণ্ডা হলেও খেতে পারেন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.