শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫

জেনে নিন অরগানিক খাবার কেন কিনবেন?

ranna banna o beauty tips
অরগানিক খাবার
অরগানিক,কনভেনশনাল ও জিএমও খাদ্যের নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। অরগানিক খাদ্যের প্রসঙ্গে অনেকেই ভাবেন কেন এটা ভাল বা তার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আছে কিনা? আবার অনেকেই ভাবেন এটা স্বাস্থ্যকর নাকি অস্বাস্থ্যকর?

কনভেনশনাল বা প্রচলিত খাদ্য উৎপাদনে কৃত্রিম রাসায়নিক উপাদান যেমন- সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। মাটি এই রাসায়নিক উপাদানগুলো শোষণ করে নেয় যা কখনো দূর হয় না এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়। তাই খাদ্য স্বাদহীন হয়।

জেনেটিক্যালি মডিফাইড অরগানিজমকে জিএমও ফুড বলা হয়। অর্থাৎ জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এবং অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোন প্রয়োগের মাধ্যমে যে সকল খাদ্য উৎপাদন করা হয় তাদের জিএমও খাদ্য বলা হয়।

অরগানিক ফুড উর্বর মাটিতে চাষ করা হয় যা কৃত্রিম রাসায়নিক মুক্ত। এগুলো উৎপাদনে অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোন ব্যবহার করা হয়না। বিজ্ঞানীদের মতে অরগানিক ফুড অনেক বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। গবেষণায় দেখা গেছে যে জৈব খাদ্য বা অরগানিক ফুড শরীরের চর্বি কমায় এবং পেশীর গঠনে সহায়তা করে। আজ আমরা এমন কিছু জৈব খাদ্যের নাম জেনে নেব যাদেরকে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।

১। স্ট্রবেরি

সবচেয়ে ভাল সুপারফুড হচ্ছে স্ট্রবেরি। স্ট্রবেরি যদি অরগানিক না হয় তাহলে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায়। স্ট্রবেরির উপরের খোসায় খুব সহজেই কীটনাশক আটকে থাকতে পারে। স্ট্রবেরিকে কীটনাশক মুক্ত করার জন্য ধোয়াও কঠিন। তাই যদি অরগানিক স্ট্রবেরি না কিনা হয় তাহলে আপনার শরীরে কীটনাশক যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সুস্বাস্থ্যের নিশ্চিত করার জন্য অরগানিক স্ট্রবেরি খান।

২। শস্য

ইউএসডিএ পেস্টিসাইড প্রোগ্রামের মতে, কনভেনশনাল শস্যে ১৫ ধরণের কীটনাশক থাকে এবং কারসিনোজেন ও নিউরোটক্সিন থাকে যা বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে। অরগানিক শস্যদানা স্ট্রোক,হার্ট ডিজিজ ও দীর্ঘস্থায়ী অসুখের ঝুঁকি কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। বেশি পরিমাণে জৈব আস্ত শস্যদানা কিনে সংরক্ষণ করুন এতে খরচ বাঁচবে।

৩। আপেল

আপেল কীটনাশক দিয়ে খুব বেশি কলুষিত হয়। আপেল সতেজ রাখার জন্য এর উপরে মোমের প্রলেপ দেয়া হয় জা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অরগানিক আপেল খান।

৪। দুধ

যেসব ফার্মের গরুকে জিএমও ফুড খাওয়ানো হয়না এবং হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়না সেই গরুর দুধ পান করুন।

৫। মাংস

অরগানিক মাংস খাওয়া উচিৎ কারণ কনভেনশনাল মাংসে যে হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহার করা হয় তা ক্যান্সার এর ঝুঁকি বাড়ায় ও অন্যান্য ক্ষতিকর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে।অরগানিক মাংসের দাম বেশি হতে পারে কিন্তু এর পুষ্টিগুন অনেক বেশি।

এছাড়াও আরো কিছু খাবার আছে যা অরগানিক হওয়া ভালো, যেমন-আঙ্গুর,পিচ ফল,টমাটো,শশা,আলু ও মরিচ ইত্যাদি।   

লেখক-

সাবেরা খাতুন

থাই স্বাদে গ্রিল চিংড়ি

থাই স্বাদে গ্রিল চিংড়ি
উপকরণ -

মাঝারি থেকে বড় চিংড়ি -১২-১৬ টি
রসুন বাটা - ১ চা চামচ
টম ইয়াম পেস্ট - ২ চা চামচ (সুপার মার্কেট এ কিনতে পাওয়া যায় )
লেমন গ্রাস /থাই পাতা ছেচে নেয়া -৫-৬ টুকরা (২ ইঞ্চি সাইজের )
গোল মরিচ গুঁড়ো -আধা চা চামচ
লবণ - স্বাদমত
লেবুর রস - ৪ টেবিল চামচ
সয়াসস - ২ চা চামচ
ফিস সস - ১ চা চামচ
তেল - ২ চা চামচ
শাশলিক এর কাঠি -৪ টি

প্রণালী -

    -প্রথমে চিংড়ির লেজ রেখে মাথা ও খোসা ফেলে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।
    (দেশী গলদা চিংড়ি হলে মাথা ও লেজ রেখে খোসা ফেলে দিয়েও করা যায়। আর সামুদ্রিক চিংড়ি হলে ,শুধু লেজ রেখে মাথা ও খোসা ফেলে দিতে হবে )
    -মাথা ও খোসা ফেলে এখন একটা বাটিতে রসুন বাটা, টম ইয়াম পেস্ট , ছেঁচা লেমন গ্রাস , গোল মরিচ গুঁড়ো , লেবুর রস ,সয়াসস ,ফিস সস ,তেল ও সামন্য লবণ একসাথে মিশিয়ে নিয়ে.এর মধ্যে চিংড়ি গুলো দিয়ে মাখিয়ে ৩০ মিনিট মেরিনেট করতে হবে।
    -৩০ মিনিট পর শাশলিক এর কাঠি তে চিংড়ি গুলো গেথে নিতে হবে। একটি কাঠিতে ৪ টি করে চিংড়ি গেথে নিতে হবে।
    -এখন একটি গ্রিল প্যান খুব ভালো করে গরম করে অল্প তেল ছড়িয়ে দিতে হবে।প্যান ভালো মত গরম হলে চুলার আঁচ একটু কমিয়ে , তারপর কাঠি তে লাগানো চিংড়ি গরম গ্রিল প্যান এ দিয়ে গ্রিল করতে হবে। এক পিঠ ৪ মিনিট এর মত গ্রিল করতে হবে। এরপর কাঠি গুলো উল্টে দিয়ে আরো ৪ মিনিট গ্রিল করে ,একটু পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
    -চাইলে চিংড়ি গ্রিল করার সময় অল্প করে টম ইয়াম পেস্ট চিংড়ির উপরে ব্রাশ করে দিতে পারেন।

টিপস

    -৭-৮ মিনিটেই চিংড়ি সুসিদ্ধ হয়ে যায়। চিংড়ি যত বেশি সময় রান্না করা হবে ,তত শক্ত হয়ে যাবে, রাবারের মত।
    -Tom yum পেস্ট হচ্ছে- একটা থাই পেস্ট ,যা খুবই ঝাল লাল মরিচ ও লেমন গ্রাস এর একটা পেস্ট। এর পরিবর্তে শুকনা লাল মরিচ বাটা ও ব্যবহার করা যাবে। লাল মরিচ এর পেস্ট ব্যবহার করলে,সাথে সামান্য চিনি ও দিতে হবে।
    -যেহেতু এখানে ফিস সস ও সয়াসস ব্যবহার করা হয়েছে ,তাই লবণ খুব এ কম দিতে হবে। কারণ ফিস সস ও সয়াসস খুবই লবনাক্ত।
    -টম ইয়াম পেস্ট কম বেশি দেয়া যাবে। যেমন ঝাল চান সেই অনুযায়ী দিলেই হবে।
    -গ্রিল প্যান ছাড়াও ,নরমাল ফ্রাই প্যান/কাঠ কয়লায়/ওভেন এও গ্রিল করা যায়।

সাধারণ সুজি দিয়েই তৈরি করুন মজাদার "মালপোয়া পিঠা”

সাধারণ সুজি দিয়েই তৈরি করুন মজাদার "মালপোয়া পিঠা”
যা প্রয়োজন
সুজি-৫০০ গ্রাম(৩ কাপ)
বেকিং পাউডার- ১/৪ চা চামচ
লবণ- সামান্য
ডিম- ২টি
তেল- ভাজার জন্যে
লিকুইড দুধ- ২ লিটার
গুঁড়া দুধ- ১ কাপ
এলাচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
পেস্তা/বাদাম কুচি- সাজানোর জন্যে

যেভাবে করবেন

    -সুজির সাথে বেকিং পাউডার ও লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর ডিম মিশিয়ে পরিমান মতো কুসুম গরম দুধ দিয়ে ডো করে নিন।
    -ডো করা হলে গোল গোল করে বলের মতো বানিয়ে একটু চ্যাপটা আকৃতির মালপোয়া বানিয়ে নিন।
    -মাঝারি আঁচে তেল গরম করে মালপোয়াগুলি হালকা বাদামি করে ভেজে রাখুন।
    -আলাদা সসপ্যানে লিকুইড দুধের সাথে গুঁড়া দুধ ও এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে জ্বাল দিন। দুধ ঘন হলে ভেজে রাখা মালপোয়া মিশিয়ে ৪-৫ মিনিট জ্বাল করে আঁচ নিভিয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখুন।
    -ঠান্ডা করে পেস্তা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুন মজার সুজির মালপোয়া পিঠা।

বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫

শীতের খুশকি দূর করার সহজ উপায়

শীতের খুশকি দূর করার সহজ উপায়
মাথার তালুর সাদা বর্ণের মৃত চামড়াকে খুশকি বলে। মাথার তালু শুষ্ক হলে অথবা সেবোরহেইক ডারমাটাইটিস এর জন্য খুশকি হয়। এছাড়াও এক্সিমা, সোরিয়াসিস বা ম্যালাসেজিয়া নামক ছত্রাকের আক্রমনেও খুশকি হতে পারে। যে কোন বয়সের মানুষেরই খুশকির সমস্যা হতে পারে, তবে টিনএজার ও প্রাপ্তবয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে। এটা বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর একটি সমস্যা তবে মারাত্মক কোন সমস্যা নয়। খুশকির পরিমাণ বেশি হলে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা হতে পারে। খুশকি নিয়ন্ত্রণের জন্য সহজ ও কার্যকরী কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে। আসুন সেই পদ্ধতি গুলো জেনে নেই।

১। ভিনেগার

খুশকি দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে ভিনেগার যা সস্তা ও সহজ লভ্য।আপেল সিডার ভিনেগার বা সাদা ভিনেগার দুইটাই খুশকি নির্মূলের কাজে ব্যাবহার করা যায়।   

    -এক কাপের ৪ভাগের ১অংশ ভিনেগার এবং ৪ভাগের ৩অংশ পরিমাণ পানি    একসাথে মিশিয়ে চুল ধোয়ার পর ব্যাবহার করুন।
    -ভিনেগার দেয়ার পর আর চুল ধোবেন না।তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।চুল শোকানোর সাথে সাথে ভিনেগারের গন্ধও চলে যাবে।
    -যতদিন না খুশকি দূর হচ্ছে নিয়মিত ভিনেগার ব্যবহার করুন। 

২। নিম

নিমে ছত্রাক নাশক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান আছে।তাই শুধু খুশকি দূর করার জন্যই না মাথার তালুর অ্যাকনি,চুলকানি এবং চুল পড়া বন্ধ করতেও নিম ব্যাবহার করা হয়।নিমকে ইন্ডিয়ান লাইলাক ও বলা হয়।

    -   চার কাপ পানিতে এক মুঠো নিম পাতা দিয়ে সিদ্ধ করুন
    -   ঠান্ডা করে মিশ্রণটি ছেকে নিন
    -   এই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করুন সপ্তাহে ২-৩বার।

৩। নারিকেল তেল

ক্রাঞ্চিবেটি ডট কম এর মতে খুশকির চিকিৎসায় নারিকেল তেল প্রয়োগ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।

    -গোসলের আগে ৩-৫ টেবিল চামুচ নারিকেল তেল মাথার তালুতে লাগান এবং এক ঘন্টা রাখুন
    -তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৪। মাউথওয়াশ

খুশকির সমস্যা দূর করার জন্য মাউথ ওয়াশ ব্যাবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। খুশকির সমস্যা অনেক বেশি হলে চুল ধোয়ার পর মাথার তালুতে মাউথ ওয়াশ লাগান। এভাবে ৫-১০মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।চোখে যেন না লাগে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সপ্তাহে একবার এটা করতে পারেন।

৫। লেবু

খুশকি দূর করতে লেবু চমৎকার কাজ করে। গোসলের আগে মাথার তালুতে ভালো ভাবে লেবু ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলের আঠালো ভাব দূর করে এবং উজ্জ্বলতা দান করে। 

নিয়মিত চুল আঁচড়ান, এতে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বাড়বে এবং তেল এর নিঃসরণ বাড়বে। স্ট্রেস এর কারনে খুশকি বাড়তে পারে।তাই স্ট্রেস মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।স্বাস্থ্যকর খাবার খান।অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- ফাস্ট ফুড ও চিনি সমৃদ্ধ খাবার কম খান।ভিটামিন বি৬ ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খান,কারণ এগুলো চুল ও তালুর ত্বক ভালো রাখে।পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
লিখেছেন-

সাবেরা খাতুন


দারুণ সুস্বাদু ভারতীয় খাবার পনির টিক্কা মাসালা।

ranna banna o beauty tips
দারুণ সুস্বাদু ভারতীয় খাবার পনির টিক্কা মাসালা।
পনির দিয়ে করা রান্নাগুলোয় অন্যরকম এক মজা পাওয়া যায়। মাংস রান্নার ঝক্কি কম, আবার ভেজিটেরিয়ানদের জন্যেও পোয়াবারো। নভেম্বরের এই হালকা হালকা শীতের আমেজে একটু ঝাল আর একটু স্মোকি ফ্লেভারের স্বাদ নিতে তৈরি করে ফেলতে পারেন পনির টিক্কা মাসালা। বাড়িতেই পাবেন একদম রেস্টুরেন্টের মতো চমক।
উপকরণ:

টিক্কার জন্য

    -   ২৫০ গ্রাম পনির, দুই ইঞ্চি লম্বা করে ও ২ সেন্টিমিটার পুরু করে টুকরো করা
    -   এক কাপ পিঁয়াজ ও ক্যাপসিকাম চৌকো করে কাটা
    -   দুই টেবিল চামচ বেসন
    -   সিকি কাপ টক দই
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   আধা চা চামচ চাট মশলা
    -   এক চা চামচ লেবুর রস
    -   দেড় চা চামচ গরম মশলা
    -   দেড় চা চামচ আদা কুচি
    -   দেড় চা চামচ রসুন কুচি
    -   দেড় চা চামচ জিরা গুঁড়ো
    -   দুই চা চামচ কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো
    -   আধা চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
    -   চার টেবিল চামচ তেল

মশলার জন্য

    -   ৫টা টমেটো সেদ্ধ করে পেস্ট করা
    -   ৩টা পিঁয়াজ হালকা সাঁতলে পেস্ট করা
    -   ৫ টেবিল চামচ তেল
    -   আধা কাপ ধনেপাতা কুচি
    -   তিনটা কাঁচামরিচ মাঝখান থেকে ফাঁড়া
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   এক চা চামচ লেবুর রস
    -   এক চা চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার (এক টেবিল চামচ পানিতে গুলে নেওয়া)
    -   চারটা এলাচ, থেঁতো করা
    -   এক চা চামচ ধনে গুঁড়ো
    -   সিকি চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
    -   দেড় চা চামচ কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো
    -   আধা চা চামচ করে আদা ও রসুন বাটা
    -   এক চা চামচ ফ্রেশ ক্রিম
    -   লাল ফুড কালার (ইচ্ছে হলে দিতে পারেন)
    -   সিকি চা চামচ চিনি (ইচ্ছে হলে দিতে পারেন)

অন্যান্য

    -   দুই কাপ কয়লা
    -   কাঠের শিক ৫টা, আধা ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা (শাসলিকের কাঠি বা লম্বা টুথপিক ব্যবহার করতে পারেন)

প্রণালী:

১) একটি বোলে মিশিয়ে নিন টিক্কার জন্য সব শুকনো মশলা এবং বেসন। এতে অল্প অল্প করে টক দই মিশিয়ে নিন যাতে ঘন একটা পেস্ট হয়।

২) এতে মিশিয়ে নিন আদা, রসুন, লেবুর রস। একটা কড়াইতে দিন দুই টেবিল চামচ তেল। তেলটা থেকে ধোঁয়া ওঠা শুরু করলে চুলা নিভিয়ে দিন। এই স্মোকি গন্ধওয়ালা তেলটা ম্যারিনেটে মিশিয়ে নিন।

৩) ম্যারিনেটে দিয়ে দিন পিঁয়াজ, ক্যাপসিকাম এবং পনির। হাত দিয়ে ভালো করে ম্যারিনেট মাখিয়ে নিন সবকিছুতে। এরপর এর ওপরে প্লাস্টিক র‍্যাপার/ক্লিং ফিল্ম দিয়ে ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট।

৪) স্টিলের গ্যাস তন্দুর/বটি মেকার (ভিডিওতে দেখুন) এর ভেতরে কয়লা নিন। এর ওপরে গ্রিল র‍্যাক দিয়ে গরম করে নিন ১৫ মিনিট।

৫) ম্যারিনেট হওয়া পনির, পিঁয়াজ এবং ক্যাপসিকাম কাঠের শিকে লাগিয়ে এগুলোকে গ্রিল র‍্যাকের ওপরে রাখুন। ঢাকনা দিয়ে ২-৩ মিনিট গ্রিল হতে দিন।

৬) ম্যারিনেট যেটুকু বাকি থাকবে, তাতে ২ টেবিল চামচ তেল মিশিয়ে এগুলোকে পনিরের ওপরে একটু ব্রাশ করে দিতে পারেন। এরপর আরও ৩-৪ মিনিট গ্রিল করুন।

৭) এগুলোকে উল্টে দিতে পারেন সাবধানে। এরপর ঢাকনা খুলে রেখে আরও ২-৩ মিনিট রান্না করুন। এরপর এগুলোকে বের করে শিক থেকে খুলে প্লেটে রেখে দিন।

৮) এবার গ্রেভি তৈরি করার পালা। কড়াইতে তেল দিয়ে দিন। গরম হয়ে গেলে এতে এলাচ দিন। এরপর আদা-রসুন বাটা দিয়ে মশলাটা কষে নিন। এতে পিঁয়াজ বাটা দিয়ে ২-৩ মিনিট রান্না করে নিন। স্বাদমতো লবণ দিয়ে নিন এবং টমেটো পেস্ট যোগ করুন।

৯) তেল ওপরে ওঠা পর্যন্ত রান্না করুন। এরপর কাশ্মিরি মরিচের গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিন। মিনিট দুয়েক রান্না হতে দিন।

১০) এরপর দিতে পারেন ফুড কালারটুকু। ম্যারিনেটের মশলা বাদ থাকলে সেটুকুই দিয়ে দিন। চিনিটুকুও দিতে পারেন। এরপর ভালো করে মিশিয়ে কর্ন ফ্লাওয়ারের অর্ধেকটা দিয়ে মিশিয়ে নিন। এতে মিশ্রণটি মসৃণ হয়ে আসবে। আরও সুন্দর গ্রেভি চাইলে পুরো কর্ন ফ্লাওয়ারটা দিতে পারেন। এটাকে ভালো করে নেড়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না হতে দিন।

১১) এক চা চামচ ফ্রেশ ক্রিম, ধনেপাতা কুচি, কাঁচামরিচ এবং লেবুর রস দিয়ে নেড়ে নিন। এতে টিক্কাগুলো দিয়ে দিন এবং আলতো হাতে নাড়ুন। বেশি ঘন গ্রেভি হয়ে থাকলে সিকি কাপ পানি দিন। ঢাকনা দিয়ে দুই মিনিট রান্না করুন। ব্যাস, কাজ শেষ!

পনির টিক্কা মাসালা পরিবেশন করতে পারেন ভাত, রুটি, নান, পরোটার সাথে যে কোনো সময়ে।

পিজ্জা তৈরি করুন আটা দিয়েই!

পিজ্জা তৈরি করুন আটা দিয়েই!
বিভিন্ন রকমের পিজ্জা খেতে যেমন মজা, তেমনি এটা তৈরি করারও রয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতি। পিজ্জার ওপরে টপিংগুলো যেমন পরিবর্তন করা যায়, তেমনি পিজ্জার বেসটাও কিন্তু আপনি ইচ্ছে করলে ময়দার বদলে আটা দিয়েই তৈরি করতে পারবেন। যারা স্বাস্থ্যগত কারণে ময়দার বদলে আটা খেতে পছন্দ করেন, তারা সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন এই আটার পিজ্জা।
 
উপকরণ:

    -   এক কাপ আটা
    -   আধা কাপ কুসুম গরম পানি
    -   তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
    -   এক টেবিল চামচ পিজ্জার মশলা
    -   আধা চা চামচ চিনি
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   আধা টেবিল চামচ ইস্ট
    -   সিকি কাপ পিঁয়াজ কুচি
    -   সিকি কাপ ক্যাপসিকাম কুচি
    -   সিকি কাপ ভুট্টাদানা (পানিতে আধাসেদ্ধ করা)
    -   ৩ টেবিল চামচ পিজ্জা সস
    -   আধা কাপ পনির

প্রণালী:

১) একটা বাটিতে হালকা গরম পানিতে চিনি এবং ইস্ট মিশিয়ে নিন। ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।

২) আটা, লবণ এবং মশলা একসাথে মিশিয়ে নিন। এর সাথে ইস্টের মিশ্রণটি দিয়ে ভালো করে খামির করে নিন। আঠালো একটি মিশ্রণ হবে। দরকার হলে আরও কিছুটা কুসুম গরম পানি দিতে পারেন। একটি বোলে তেল মাখিয়ে তাতে রেখে দিন এই খামির এবং এবং একটা ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে উষ্ণ কোনো জায়গায় রেখে দিন ঘণ্টাখানেক। ফ্রিজে রাখবেন না অবশ্যই।

৩) এক ঘন্টা পর একটা প্রেশার কুকারে দুই কাপ লবণ দিয়ে এর ওপরে একটা র্যাক এবং পারফোরেটেদ প্লেট রাখুন। কুকার মাঝারি আঁচে গরম হতে দিন। গ্যাস তন্দুরেও তৈরি করতে পারেন। অথবা ওভেন ১০ মিনিট প্রি-হিট করে নিতে পারেন ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

৪) হাতে আটা মেখে নিয়ে এক মিনিট ধরে খামিরটাকে মাখান। এরপর এটাকে ইচ্ছেমত পুরুত্বে বেলে নিন। এটাকে বসিয়ে নিন একটা পিজ্জা প্যানে।

৫)  পিজ্জা প্যানটাকে প্রেশার কুকারের ভেতরে দিয়ে বেক করে নিন ২ মিনিট। ভালোভাবে হয়েছে কিনা দেখে নিন। কারণ ভেতরে কাঁচা কাঁচা গন্ধ থেকে যেতে পারে।

৬) এটাকে বের করে নিয়ে ওপরে ছড়িয়ে দিন সস, পনির, পিঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, ভুট্টা এবং লবণ। পাশে দিয়ে তেল মাখিয়ে নিন। এটাকে আবারো প্রেশার কুকার/তন্দুর/ওভেনে দিয়ে ১০ মিনিট বেক করুন। 

তৈরি হয়ে গেলো পিজ্জা। ওপরে মশলা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।

বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫

পুদিনা পাতা কেন খাবেন???

পুদিনা পাতা কেন খাবেন???
পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য স্থানীয় নাম— Mint, nana। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mentha Spicata। এটি Lamiaceae পরিবারের অন্তর্গত।

পেটের পীড়ায় : এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করে।

অ্যাজমা : পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।

এন্টিক্যান্সার : পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

পুদিনার ভেষজগুণ

পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর। আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো :

১. পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।
২. পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।
৩. কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন, লোকটি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে।
৪. পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করুন। যাদের চুলে উকুন আছে তারা খুব উপকার পাবেন।
৫. শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।
৬. মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।
৭. যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।

তাহলে এবার থাকে বেশি করে “পুদিনা পাতা” ব্যবহার করুন আর নিজে ঠিক থাকুন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.