hair fall লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
hair fall লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫

শীতে আর চুলের আগা ফাটা নয়

ranna banna o beauty tips
শীতে আর চুলের আগা ফাটা নয়
শীতের শুষ্ক হাওয়ায় ত্বকের সঙ্গে চুলও রুক্ষ্ম হয়ে যায়। ঝলমলে মসৃণ চুলগুলো হয়ে ওঠে নিষ্প্রাণ। কিছুদিন পর দেখা দেয় চুলের আগা ফাটার সমস্যা। বছরের অন্যান্য সময় এই সমস্যা একটু কমই দেখা দেয়। সেজন্য শীতের শুরুতেই চুলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা জরুরি। আগেভাগেই নিতে পারেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

- একটি ডিমের সঙ্গে এক চা চামচ মধু আর কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলে লাগান। বিশেষ করে চুলের আগায় বেশি করে লাগাতে হবে। এবার ২০ মিনিট রেখে কোনো মাইল্ড শাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

- চুলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

- দুটি এভোক্যাডো নিন। এরপর ভালো করে মেশান। অল্প মধু নিন। আর পেস্ট বানিয়ে নিন। চুলে লাগান, বিশেষ করে চুলের আগায়। ২০ মিনিট পরে ধুয়ে নিন।

- শীতের শুরুতে একবার চুল ছাঁটতে পারেন। নিজের পছন্দমতো আকারে হালকা করেও চুল ছেটে নিলে আর ফাটার ভয় থাকে না।

- চুলের আগা ফাটা রোধ করার পাশাপাশি চুলের কোমলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে হট টাওয়েল পদ্ধতি। প্রথমে চুলে ভালো করে তেল লাগান। গরমপানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চিপে নিতে হবে। এবার এই তোয়ালে গরম থাকা অবস্থায় পুরো মাথায় জড়িয়ে ফেলুন। দশ মিনিট পর খুলে ফেলুন। এভাবে তিন থেকে চারবার করুন। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

- অলিভ অয়েল চুলের জন্য খুবই উপকারী। চুলের গোড়ার সঙ্গে চুলের আগাতেও অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিন। চুলের আগা ফাটার পরিমাণ কমে যাবে।

- চায়ের ঠাণ্ডা লিকার কন্ডিশনার হিসেবে খুবই ভালো। চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করতেও এর জুড়ি নেই। একটি পাত্রে চায়ের লিকার নিয়ে চুলের আগা তাতে ডুবিয়ে রাখুন দশ মিনিট। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত চায়ের লিকার ব্যবহারে চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫

শীতের খুশকি দূর করার সহজ উপায়

শীতের খুশকি দূর করার সহজ উপায়
মাথার তালুর সাদা বর্ণের মৃত চামড়াকে খুশকি বলে। মাথার তালু শুষ্ক হলে অথবা সেবোরহেইক ডারমাটাইটিস এর জন্য খুশকি হয়। এছাড়াও এক্সিমা, সোরিয়াসিস বা ম্যালাসেজিয়া নামক ছত্রাকের আক্রমনেও খুশকি হতে পারে। যে কোন বয়সের মানুষেরই খুশকির সমস্যা হতে পারে, তবে টিনএজার ও প্রাপ্তবয়স্কদের বেশি হয়ে থাকে। এটা বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর একটি সমস্যা তবে মারাত্মক কোন সমস্যা নয়। খুশকির পরিমাণ বেশি হলে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা হতে পারে। খুশকি নিয়ন্ত্রণের জন্য সহজ ও কার্যকরী কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে। আসুন সেই পদ্ধতি গুলো জেনে নেই।

১। ভিনেগার

খুশকি দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে ভিনেগার যা সস্তা ও সহজ লভ্য।আপেল সিডার ভিনেগার বা সাদা ভিনেগার দুইটাই খুশকি নির্মূলের কাজে ব্যাবহার করা যায়।   

    -এক কাপের ৪ভাগের ১অংশ ভিনেগার এবং ৪ভাগের ৩অংশ পরিমাণ পানি    একসাথে মিশিয়ে চুল ধোয়ার পর ব্যাবহার করুন।
    -ভিনেগার দেয়ার পর আর চুল ধোবেন না।তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।চুল শোকানোর সাথে সাথে ভিনেগারের গন্ধও চলে যাবে।
    -যতদিন না খুশকি দূর হচ্ছে নিয়মিত ভিনেগার ব্যবহার করুন। 

২। নিম

নিমে ছত্রাক নাশক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান আছে।তাই শুধু খুশকি দূর করার জন্যই না মাথার তালুর অ্যাকনি,চুলকানি এবং চুল পড়া বন্ধ করতেও নিম ব্যাবহার করা হয়।নিমকে ইন্ডিয়ান লাইলাক ও বলা হয়।

    -   চার কাপ পানিতে এক মুঠো নিম পাতা দিয়ে সিদ্ধ করুন
    -   ঠান্ডা করে মিশ্রণটি ছেকে নিন
    -   এই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করুন সপ্তাহে ২-৩বার।

৩। নারিকেল তেল

ক্রাঞ্চিবেটি ডট কম এর মতে খুশকির চিকিৎসায় নারিকেল তেল প্রয়োগ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।

    -গোসলের আগে ৩-৫ টেবিল চামুচ নারিকেল তেল মাথার তালুতে লাগান এবং এক ঘন্টা রাখুন
    -তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৪। মাউথওয়াশ

খুশকির সমস্যা দূর করার জন্য মাউথ ওয়াশ ব্যাবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। খুশকির সমস্যা অনেক বেশি হলে চুল ধোয়ার পর মাথার তালুতে মাউথ ওয়াশ লাগান। এভাবে ৫-১০মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।চোখে যেন না লাগে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সপ্তাহে একবার এটা করতে পারেন।

৫। লেবু

খুশকি দূর করতে লেবু চমৎকার কাজ করে। গোসলের আগে মাথার তালুতে ভালো ভাবে লেবু ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলের আঠালো ভাব দূর করে এবং উজ্জ্বলতা দান করে। 

নিয়মিত চুল আঁচড়ান, এতে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বাড়বে এবং তেল এর নিঃসরণ বাড়বে। স্ট্রেস এর কারনে খুশকি বাড়তে পারে।তাই স্ট্রেস মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।স্বাস্থ্যকর খাবার খান।অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- ফাস্ট ফুড ও চিনি সমৃদ্ধ খাবার কম খান।ভিটামিন বি৬ ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খান,কারণ এগুলো চুল ও তালুর ত্বক ভালো রাখে।পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
লিখেছেন-

সাবেরা খাতুন


 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.