health tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
health tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৬

ঝুলে যাওয়া ত্বক টানটান করুন প্রাকৃতিক উপায়ে

ranna banna o beauty tips
ঝুলে যাওয়া ত্বক টানটান করুন প্রাকৃতিক উপায়ে
ময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। বয়সের লক্ষণের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের ইলাস্টিন ও কোলাজেনের গঠনে পরিবর্তন দেখা দেয় যার ফলে ত্বক স্থিতিস্থাপকতা হারায় এবং ত্বক নিজের ময়েশ্চারাইজিং উপাদান হারায়। তাই ত্বক ঝুলে পড়ে। এছাড়াও বয়স বৃদ্ধির জন্য চেহারার মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে ত্বক ঝুলে যায়।

ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে যাওয়ার কারণ হল, সূর্যের আলোতে বেশীক্ষণ থাকা, অতিরিক্ত ধূমপান করা, নিয়মিত অ্যালকোহল পান করা, স্থূলতা, প্রেগনেন্সি, দ্রুত ওজন কমা, কম খাওয়া, ভুল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা, পানিশূন্যতা এবং ত্বকে প্রখর রাসায়নিক ব্যবহার করা ইত্যাদি।
ত্বক ঝুলে যাওয়ার সাথে সাথে বিশেষ করে চেহারায় বলিরেখা ও ফাইন লাইন দেখা দেয়। এছাড়াও ত্বক ম্লান এবং স্বচ্ছ দেখায় এবং ত্বক অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে পরে। ঝুলে পড়া ত্বকে টানটান করার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় আছে। আজ সেগুলোই জেনে নেই আসুন।

১। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন ও হাইড্রেটেড থাকুন
প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার আপনার শরীরকে আভ্যন্তরীণ ভাবে হাইড্রেটেড রাখবে এবং ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক বাহ্যিক ভাবে নমনীয় থাকবে। শিয়া বাটার, আমন্ড তেল, ও অলিভ অয়েল হচ্ছে সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বককে কোমল রাখে।
২। মুখের ব্যায়াম করুন
সবচেয়ে খারাপ জায়গা হচ্ছে মুখের ও ঘাড়ের ত্বক ঝুলে পড়া। সৌভাগ্যক্রমে মুখের কিছু ব্যায়াম আছে যা নিয়মিত করলে মুখের ত্বক টানটান হয়। বিশেষ করে চিবুকের ত্বক ঝুলে পড়তে শুরু করে তাড়াতাড়ি। চিবুকের ত্বক টানটান করার জন্য মুখ ভর্তি করে বাতাস নিন, ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন, তারপর ছেড়ে দিন। ৩০ গুণতে যে সময় লাগে সেই সময় পর্যন্ত দিনে দুইবার করে করুন। এইরকম আরো মুখের ব্যায়াম আছে যেমন- চিবুক উঠিয়ে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকুন, ৩০ সেকেন্ড পর নামিয়ে নিন। এভাবে চেহার এক্সারসাইজ করলে আস্তে আস্তে ত্বকের ভাঁজ গুলো দূর হবে।
৩। হেলদি ডায়েট       
হেলদি ডায়েট ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে। ত্বক টানটান করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। যদি আপনি প্রতিদিন ফল ও সবজি খান তাহলে আপনার ত্বক আর্দ্র ও সুস্থ থাকবে। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য অ্যান্টিএজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফ্রি রেডিকেল ড্যামেজ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যখন আপনার খাদ্য তালিকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকেনা তখনই ত্বকের ঝুলে পড়ার সমস্যাটি দেখা দেয়। আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- গাজর, বিট ইত্যাদি রাখুন। তাহলে ত্বকের ইলাস্টিসিটি পুনরায় ফিরে পাবেন। কোলাজেন বৃদ্ধির জন্য সয়া প্রোডাক্ট খান।
৪। ফেসিয়াল মাস্ক
ত্বক টানটান করার জন্য অন্যতম উপায় হচ্ছে ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করা। বিভিন্ন প্রকার মাস্ক আছে যেমন- ডিমের সাদা অংশ, লেবু, অ্যালোভেরা, মধু ও শশা ইত্তাদি।
·         ডিমের সাদা অংশে অ্যাস্ট্রিজেন থাকে যা ঝুলে পড়া ত্বকের মেরামতের জন্য ভালো।
·         ১টি বা ২টি ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে নিয়ে ফেটাতে থাকুন যতক্ষণ না ফোমের মত হয়।
·         এবার এটি মুখে ও ঘাড়ে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
·         দৃঢ় ত্বকের জন্য সপ্তাহে ২ দিন এটি ব্যবহার করুন। 
৫। অয়েল ম্যাসাজ করুন
মুখে ও ঘাড়ে প্রাকৃতিক তেল যেমন- অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে ঝুলে পড়া ত্বক দৃঢ় হয়। অলিভ অয়েলে ভিটামিন এ ও ই থাকে যা অ্যান্টি এজিং হিসেবে কাজ করে।
·         অলিভ অয়েল সামান্য গরম করে মুখে লাগান
·         আঙ্গুল দিয়ে বৃত্তাকারে মুখে ম্যাসাজ করতে খাকুন ১০ মিনিট যাবত
·         প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এটা করুন।
·         এছাড়াও নারিকেল তেল, জোজোবা বা আমন্ড তেল ও ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও বাহিরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন যার SPF 15 বা তার উপরে। ঘুম কম হলে ত্বকের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ে যার ফলে বয়সের ছাপ দ্রুত পরে। তাই পর্যাপ্ত সময় ঘুমান প্রয়োজন। প্রচুর পানি পান করুন। ধূমপান বর্জন করুন। হঠাৎ করে ওজন না কমিয়ে এক্সারসাইজের মাধ্যমে ওজন কমান। 

রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৬

নতুন বছরে তৈরি করে ফেলুন মজাদার মশলা ডাক রোস্ট

ranna banna o beauty tips
মজাদার মশলা ডাক রোস্ট
শীত চলে এসেছে আর হাঁস খাওয়া হবে না, তা কি করে হয়? হাঁস খাওয়ার সবচেয়ে পারফেক্ট সময় হল শীতকাল। হাঁস রান্নাটি অন্য দশটি রান্না থেকে কিছুটা ভিন্ন। একটু মশালাদার, ঝাল না হলে খেতে ভাল লাগে না। সাধারণত আমরা হাঁস রান্না করতে নারকেল এবং নারকেলের দুধ ব্যবহার করে থাকি। অনেকের নারকেল খাওয়া নিষেধ থাকে, তারা নারকেল হাঁস খেতে পারেন না। নারকেল ব্যবহার না করেও ডাক রোস্ট তৈরি করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মশলা ডাক রোস্ট রেসিপি।
উপকরণ:
৫০০ গ্রাম হাঁসের মাংস
১০-১৫ কোয়া রসুনের কোয়া
২ ইঞ্চি আদা কুচি  
৮-১০ টি লাল মরিচ
২টি বড় আকৃতির পেঁয়াজ কুচি
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
১ চাচামচ চিনি
১ টেবিল চামচ কিশমিশ
তেল
২টি মাঝারি আকৃতির আলু
পানি
প্রণালী:
১। প্রথমে আদা কুচি, রসুন কুচি, লবণ, হলুদ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, গোল মরিচ গুঁড়ো, লাল মরিচ, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিন।
২। এখন একটি প্যানে হাঁসের মাংস,তেল, মশলার পেস্ট দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৩। এবার এটি ৩০ মিনিটের জন্য ম্যারিনেট করতে দিন।
৪। এখন আরেকটি প্যান চুলায় গরম করতে দিন। এতে কিউব করে কাটা আলুর টুকরোগুলো দিয়ে দিন।
৫। হালকা করে ভাজুন।
৬। আরেকটি প্যানে ম্যারিনেট করা মাংস চুলায় দিয়ে ৫ মিনিট জ্বাল দিন।
৭। এবার এতে চিনি, কিশমিশ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৮। তারপর পানি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৯। ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে ২০ মিনিট রান্না করুন।
১০।  এরপর ভাজা আলু, ধনে পাতা কুচি দিয়ে নাড়ুন।
১১। ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন।
১২। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মশালাদার ডাক রোস্ট।
১৩। পরোটা, পোলাও, সাদা ভাত সবকিছুর সাথে খেতে পারেন এই মজাদার খাবারটি।

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

নতুন বছরের আয়োজনে সুস্বাদু স্ট্রবেরি ক্ষীর

ranna banna o beauty tips
নতুন বছরের আয়োজনে সুস্বাদু স্ট্রবেরি ক্ষীর
বর্তমান সময়ে স্ট্রবেরি ফলটি প্রায় সব ফলের দোকানে পাওয়া যায়। শুধু ফলের দোকান নয় রাস্তার পাশে ঝুড়িতেও আজকাল স্ট্রবেরি বিক্রি করতে দেখা যায়। এই ফলটি দিয়ে মজাদার সব খাবার তৈরি করা যায় সহজেই। দোকানে গেলে দেখতে পাওয়া যায় স্ট্রবেরি কেক, স্ট্রবেরি আইসক্রিম আরও কত কি। ক্ষীর সবাই রান্না করে থাকেন। কিন্তু স্ট্রবেরি ক্ষীর কি তৈরি করছেন কখনও? স্ট্রবেরি ফল দিয়ে নতুন বছরের পার্টির জন্য তৈরি করে ফেলুন স্ট্রবেরি ক্ষীর। 

উপকরণ:

১/২ কাপ স্ট্রবেরি কুচি

১/২ কাপ স্ট্রবেরি পিউরি

২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার

১ টেবিল চামচ ঠান্ডা দুধ

৩ কাপ ফুল ফ্যাট মিল্ক

১/২ কাপ চিনি

১ চিমটি এলাচি গুঁড়ো

প্রণালী:

১। প্রথমে উচ্চ তাপে দুধ জ্বাল দিয়ে দিন। দুধ বলক হয়ে উঠলে চুলা কমিয়ে দিন।

২। তারপর চুলা অল্প আঁচে দিয়ে দুধ ৫ থেকে ৬ মিনিট জ্বাল দিন। জ্বাল দেওয়ার সময় নাড়তে থাকুন।

৩। এখন কর্ণ ফ্লাওয়ার এবং দুধ মিশিয়ে নিন।

৪। জ্বাল দেওয়া দুধের সাথে কর্ণ ফ্লাওয়ার, চিনি মিশিয়ে অল্প আঁচে ৭ থেকে ৮ মিনিট রান্না করুন। 

৫। এলাচ গুঁড়ো দিয়ে আরও কিছু মাঝারি আঁচে রান্না করুন।

৬। চুলা বন্ধ করে দিন।

৭। এরপর এতে স্ট্রবেরি পিউরি এবং স্ট্রবেরি কুচি মিশিয়ে নিন।

৮। ঠান্ডা হয়ে গেলে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন।

৯। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মজাদার স্ট্রবেরি ক্ষীর।

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

চুলের রঙে চেহারায় পান নতুনত্ব

Ranna banna o beauty tips
চুলের রঙে চেহারায় পান নতুনত্ব
নিজের চেহারায় নতুনত্ব চান। কিন্তু উপায় কি? সবচেয়ে সহজ উপায় হতে পারে আপনার চুলের স্টাইল বদলে নেয়া। মাথার চুলকে কেটেছেঁটে নতুন ডিজাইন আর সঙ্গে থাকুক নানা ঢঙে চুলের রঙ। ব্যস, চেহারায় পেয়ে যান পরিবর্তনের ছোঁয়া। তবে তার আগে জেনে নেয়া দরকার হালের ফ্যাশনে চুলের রঙের ধরনটা কেমন চলছে?

হুট করেই চুলের রঙ পরিবর্তন না করিয়ে বরং আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিন। চুলের রঙ আপনার শরীরের রঙের সঙ্গে না মিললে তা দেখতে বাজে দেখাবে। অনেক সময় সঠিক চুলের রঙ বাছাইয়ের অভাবে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। রঙ করানোর পর চুল রুক্ষ্ম, অমসৃণ হয়ে যাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়া ইত্যাদি হতে পারে। সে কারণে চুলের একটু বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন। তাই রঙ বাছাইয়ে ভালো ব্র্যান্ডকে প্রাধান্য দিতে হবে। এছাড়াও চুলের যত্নে একটু সময় ব্যয় করার মানসিকতা রাখতে পারলে তবেই চুলে রঙ করানোর সিদ্ধান্ত নিন।

অস্কার ব্লান্ডি স্যালনের শীর্ষ চুলের রং বিশেষজ্ঞ কাইল হোয়াইটের মতে, বর্তমানে চুলের রঙের ট্রেন্ড হলো স্বর্ণরঙা প্লাটিনাম। সঙ্গে বেছে নিতে পারেন ক্যারামেল রঙ। এছাড়াও ওমব্রেটাও কিন্তু বেশ চলছে। অর্থাৎ কাছাকাছি রঙের দুই রকম শেডের ব্যবহারও আপনি করতে পারেন।
আপনার চোখ ও ত্বকের বর্ণ যদি সোনালি, বাদামি বা হলুদ হয়, তাহলে চুলের রঙ লালচে, বাদামি, মেহগনি, সোনালি ইত্যাদি হওয়া উচিৎ। চোখ ও ত্বকের রঙ গোলাপি ধরনের হলে ধূসর বা প্লাটিনামের শেডগুলো, বেশ মানিয়ে যাবে। আমাদের দেশের মানুষের ত্বকের রঙ অনুযায়ী চুলের রঙ কখনোই একেবারে সাদা বা ধূসর হওয়া উচিৎ নয়। তাই এমন কোনো রঙ পছন্দ করতে হবে, যাতে ত্বকের রঙের সঙ্গে চুলের রঙের সুন্দর একটা মিশ্রণ থাকে।

বাড়িতে বসেই যেকোনো এক রঙে পুরো চুল রাঙানো বা হালকা হাইলাইট করা সম্ভব। বাড়িতে যারা চুল রঙ করতে চান, তারা প্যাকেটে প্রস্তুত রঙের নির্দেশনা অনুসরন করতে পারেন। বাড়িতে চুল রঙ করার সময় খেয়াল রাখবেন, যাতে চুলের গোড়ায় সেটা বেশি না লাগে। মাথার ত্বকে রঙ লাগলে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদি কয়েক রঙের শেড চান অথবা ওমব্রে করাতে চান, তাহলে পেশাদার কারও সাহায্য নেয়া ভালো।

চুল রঙ করানোর পর অন্তত এক দিন অপেক্ষা করুন। প্রথম কয়েক দিন চুলে ফ্ল্যাট-আয়রন ব্যবহার করুন, এতে চুলের রঙ দীর্ঘস্থায়ী হবে। অবশ্যই কোমল কোনো শ্যাম্পু অথবা রঙ করা চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধোয়া সবচেয়ে উত্তম।


সবজির মাংস!

ranna banna o beauty tips
সবজির মাংস!
বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে ‘কমন’ হলেও শহরে টাটকা শাক-সবজি পাওয়া দুষ্কর। তাই খাবারের তালিকায় বেশ ওপরেই থাকে মাংস, বিশেষ করে ব্রয়লার মাংস। কিন্তু চিকিৎসকের বিধি-নিষেধে সাধ তুলে রাখতে হয় অনেকের। তবে এবার পরিবর্তন আনতে পারেন খাবারে। অনায়াসেই খেতে পারেন মাংস। কেননা মাংস তৈরিই হচ্ছে শাক-সবজি থেকে।

ভাবছেন গুল মারছি? একেবারেই না। সত্যি সত্যি শাকসবজি থেকে তৈরি হচ্ছে নকল মাংস বিয়ন্ড মিট। আর এ মাংস খেতে অবিকল চিকেনের মতোই।

এমনকি মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও বিয়ন্ড মিটসের নকল মাংস খেয়ে বুঝতেই পারেননি। এর স্বাদ, টেক্সচার অবিকল চিকেনের মতো বলেই জানিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যত্‍ পৃথিবীর খাদ্য বিয়ন্ড মিট যোগাতে চলেছেও বলে মনে করছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনাঢ্য এই ব্যক্তি।
ইথান ব্রাউন

বিয়ন্ড মিটের চিন্তা প্রথম মাথায় ইথান ব্রাউনের। এই স্টার্টআপের সিইও তিনি। নিজের এই প্রযুক্তির পেটেন্ট নিয়েছেন ইথান ব্রাউন। এই নকল মাংস সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠলে প্রাণী হত্যা অনেক কমে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।

ইথান ব্রাউনের মতে, মাংসের জন্য পশুখামারের পেছনে প্রচুর খরচ করতে হয়। একটি প্রাণী থেকে এক পাউন্ড মাংস পেতে যে পরিমাণ জমি, শক্তি ও জন ব্যবহার করতে হয়, তা বিশাল। একটি প্রাণীর শরীরের মাত্র ৩০ শতাংশ মাংস আমরা খাই। বাকি পুরোটাই নষ্ট হয়। শক-সবজি থেকে প্রস্তুত নকল মাংস খেলে প্রচুর টাকা ও সময় বাঁচবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিরামিষ খাওয়া মানুষের শরীরের পক্ষে সবচেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররাও। নকল মাংস খেলে স্বাদের সঙ্গে সমঝোতা না করেই স্বাস্থ্য রক্ষা সম্ভব। ইথান ব্রাউন জানিয়েছেন যে মাংস শুধুমাত্র অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, খনিজ পদার্থ ও জলের সংমিশ্রণ। এই সব জিনিস যে সব গাছে থাকে, তা সংগ্রহ করে সেখানে মাংসের স্বাদ, টেক্সচার ও পুষ্টি কৃত্রিম ভাবে যোগ করেছেন তিনি।

রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

ভিন্ন রকম রেসিপি "বিজয় পরোটা"

ranna banna o beauty tips
 "বিজয় পরোটা"
চলে এসেছে আমাদের সবচাইতে আনন্দের উৎসব "বিজয় দিবস"। বিশেষ এই দিনের আনন্দে স্মরণীয় কিছু তৈরি করতে চান? বীথি জগলুলের দারুণ রেসিপিতে তৈরি করে ফেলুন বিজয় পরোটা। চলুন জেনে নিই।

যা প্রয়োজন
ময়দা- ২ কাপ
সুজি- ৪ টে চামচ
গুঁড়া দুধ- ৪ টে চামচ
লবণ- ১ চা চামচ
তেল- ৬ টে চামচ
জিরা গুঁড়া- ২ চা চামচ
আস্ত জিরা- ১ চা চামচ
চাট মসলা- ২ চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়া-- ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ

- উপরের সব উপকরণ আলাদা বাটিতে সমান দুইভাগে ভাগ করে একসাথে মিশিয়ে রাখুন।

এছাড়া লাগবে
পালং শাক কুচি- ১ কাপ
গ্রেটেড গাজর- ২-৩টি
তেল- ভাজার জন্যে

যেভাবে করবেন

    -পালং শাক ভাপিয়ে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পিউরি করে নিন। একইভাবে গাজরও পিউরি করে নিন।
    -এবার একভাগ ময়দার মিশ্রণে পরিমাণমতো পালং-এর পিউরি দিয়ে ডো করে নিন। অল্প অল্প করে পিউরি দেবেন। একবারে দিলে ডো নরম হয়ে যেতে পারে।
    -একইভাবে গাজরের পিউরি দিয়ে ডো করুন। ডো করা হলে ঢাকনা দিয়ে ১৫ মিনিটের জন্যে ঢেকে রাখুন।
    -পনেরো মিনিট পর ২ রঙের ডো দিয়ে ১০-১০ করে বিশটি লেচি কেটে নিন। একটি সবুজ ও একটি কমলা/লাল লেচি পাশাপাশি রেখে কয়েলের প্যাঁচের মতো প্যাঁচ দিয়ে গোল করে নিন।
    -এবার এটিকে বেলে গোল পরোটা বানিয়ে নিন। পরোটার সাইজ পুরির চেয়ে কিছুটা বড়ো হবে। সব বানানো হলে মোগলাই পরোটার মতো করে ভেজে নিন।
    -গরম গরম পরিবেশন করুন চিকেন অথবা বীফ ভুনা দিয়ে।

সুস্বাদু নার্গিসি কোফতা তৈরির একটি সহজ রেসিপি

ranna banna o beauty tips
নার্গিসি কোফতা
স্থানীয় ভাজাভুজির দোকানে সিঙ্গারা-সমুচার পাশাপাশি আরও একটা খাবার পাওয়া যায়, সেটা হলো ডিম-চপ। বাড়িতেও অনেকেই ডিম চপ তৈরি করেন অতিথি আপ্যায়নের জন্য। ডিম চপের আরও অভিজাত একটি ধরণ হলো নার্গিসি কোফতা। খুব সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন বাড়িতে। অতিথি আপ্যায়ন ছাড়াও বিকেল বেলার স্ন্যাক্স হিসেবে দারুণ লাগবে নার্গিসি কোফতা।
উপকরণ

    -   ৪টা সেদ্ধ ডিম
    -   ২৫০ গ্রাম চিকেন কিমা
    -   ২টা ছোট আলু, সেদ্ধ করে ভর্তা করা
    -   ভাজার জন্য ব্রেড ক্রাম্ব
    -   এক স্লাইস পাউরুটি, ভিজিয়ে পানি চিপে নেওয়া
    -   ৩ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
    -   সিকি চা চামচ গোলমরিচ
    -   ১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
    -   ১ চা চামচ গরম মশলা
    -   লবণ স্বাদমতো
    -   ১ চা চামচ আদা কুচি
    -   ১ চা চামচ রসুন কুচি
    -   ২টা কাঁচামরিচ কুচি
    -   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল

প্রণালী

১) একটা বাটিতে মিশিয়ে নিন চিকেন কিমা, আলু ভর্তা, রসুন কুচি, আদা কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, লবণ, জিরা, গরম মশলা, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং কিছুটা ধনেপাতা কুচি। এগুলো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটাকে মিক্সারে দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।

২) এই মিশ্রণে ভেজানো পাউরুটি এবং আরও কিছুটা ধনেপাতা কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর হাতে তেল মাখিয়ে অল্প কিছুটা মিশ্রণ হাতে নিন। প্যাটি বানিয়ে এর মাঝে একটা সেদ্ধ ডিম রেখে চারদিক দিয়ে মুড়ে কোফতার আকৃতি দিন।

৩) কোফতাটাকে ডিমে ডুবিয়ে নিয়ে তারপরে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। ডিমে না ডুবালেও চলবে। এবার গরম তেলে ডিপ ফ্রাই করে নিন কোফতাটাকে। এভাবে সবগুলো ডিম দিয়ে কোফতা তৈরি করে ভেজে নিন। বেশি কড়া করে ভাজবেন না। সোনালি হয়ে এলে নামিয়ে নিন।

নার্গিসি কোফতা মাঝ বরাবর কেটে গরম গরম সার্ভ করুন। সাথে দিতে পারেন সস অথবা চাটনি।

শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫

খুদের খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
খুদের খিচুড়ি
চালের কণা দিয়ে করতে পারেন উদরপূর্তি।
উপকরণ: 
খুদ ২ কাপ। মুগডাল আধা কাপ। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। পেঁয়াজপাতা কুচি করা ৪,৫টি (না থাকলে পেঁয়াজ দিতে পারেন)। পেঁয়াজকুচি ১টি। রসুনকুচি আস্ত ১টি। কাঁচামরিচ ফালি করা ৭,৮টি। আদাবাটা দেড় টেবিল-চামচ। জিরাবাটা ১ চা-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। তেজপাতা ২টি। এলাচ ৩টি। দারুচিনি ১ টুকরা। আস্তজিরা দেড় চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। তেল পরিমাণ মতো। পানি ৪ কাপ।

পদ্ধতি: 
মুগ ডাল ধুয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। খুদ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে চাল-ডাল মিশিয়ে রাখুন।

হাঁড়িতে তেল গরম করে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি ও আস্তজিরা ফোঁড়ন দিয়ে চাল-ডালের মিশ্রণ দিয়ে ভেজে নিন।

পোলাওয়ের চালের মতো করে খুদ ভেজে পানি দিন। এবার এর সঙ্গে অন্য সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। চাল ও পানি সমান স্তরে আসলে তাওয়ার উপর হাঁড়ি বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে দমে রাখুন।

১০ মিনিট পর আর একবার নেড়ে দিয়ে আবার দমে রাখুন। খুদ ফুটে গেলে নামিয়ে নিন। ডিম ভাজা, বিভিন্ন রকম ভর্তা দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

খেতে মজা কলিজা দোপেঁয়াজা

ranna banna o beauty tips
কলিজা দোপেঁয়াজা
মজার স্বাদে কলিজার দোপেঁয়াজা ছোট বড় সবারই পছন্দের রেসিপি বটে। খাবার টেবিলে কলিজা দোপেঁয়াজার অবস্থানও থাকে বেশ কদরের। তাই এবারের ঈদে আপনার হাতেই হোক মজার স্বাদের কলিজা দোপেঁয়াজা রান্না। নিজের রসনা তৃপ্তির সঙ্গে পরিবারের অন্যের কাছ থেকে প্রসংশা কুড়াতেও এই রেসিপি খুবই উপযোগী। দেরি না করে, এক নজরে দেখে নিন এখনি।

যা যা লাগবে

গরু বা খাসির কলিজা ৫০০ গ্রাম, আলু কিউব এক কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চা চামচ, রসুনবাটা ১ চা চামচ, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, চারটি এলাচ থেঁতো করা, দারুচিনি ৩ টুকরা, তেজপাতা ২টি, দুধ আধা কাপ, ভাজা জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৪ টি, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো।

যেভাবে করবেন

প্রথমে কলিজা কিউব করে কেটে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার দুধ, লবণ, আদা, রসুনবাটা দিয়ে মেখে রাখতে হবে ১০ মিনিট। টুকরো আলুতে হলুদ, লবণ মেখে লাল করে ভেজে তুলে রাখতে হবে। এরপর এক কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা করে নিতে হবে। এবার ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে ভাজা জিরার গুঁড়া ছাড়া বাকি সব মসলা সামান্য পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। মসলা কষানো হলে মেখে রাখা কলিজা মসলায় দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে মৃদু আঁচে ঢেকে দিতে হবে। পাঁচ মিনিট সেদ্ধ হলে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিতে হবে। রান্না শেষে ভাজা জিরার গুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন। ভাত, রুটি বা পরোটার সঙ্গে কলিজার দোপেঁয়াজা দারুণ উপযোগী।

সবজির এই অসাধারণ স্বাদ আপনি আগে কখনো পান নি!

ranna banna o beauty tips
সবজি তরকারি
সায়মা সুলতানার অসাধারণ ছবিতে দেখুন। যদি বলি প্রচ্ছদের এই দারুণ দেখতে তরকারিটি কেবলই সবজি দিয়ে তৈরি? হ্যাঁ, এই তরকারির মূল উপাদান হচ্ছে টমেটো, মটরশুঁটি ও নারিকেল। কী, বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে চলুন, জেনে নেবেন  অনবদ্য সেই রেসিপিটি।

 যা লাগবে
টমেটো টুকরা (হাফ করে কাটা,ছোট হলে আস্ত ) ২ কাপ
নারকেল বাটা ২ টেবল চামচ
মটরশুটি ১ কাপ
পেঁয়াজ বাটা ২ টেবল চামচ
আদা বাটা ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো হাফ চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ ( কম বেশি করা যাবে)
ধনিয়া গুঁড়ো হাফ চা চামচ
জিরা গুঁড়ো হাফ চা চামচ
কাসুরি মেথি / শুকনা মেথি পাতা গুঁড়ো ১ চা চামচ
আস্ত সরিষা হাফ চা চামচ
নারকেল দুধ হাফ কাপ
তেল ৩ টেবল চামচ
ধনিয়া পাতা মিহি কুচি ২ টেবল চামচ
চিনি ১ চা চামচ
ভাজা শুকনা মরিচ কয়েকটা ( না দিলেও হবে)
লবণ স্বাদমত

প্রণালি

    -প্রথমে প্যানে তেল দিয়ে তেল গরম হলে এতে আস্ত সরিষা দিন।
    - ফুটে উঠলে এতে বাটা মশলা দিন হালকা নাড়াচাড়া করে এতে সব গুঁড়ো মশলা দিয়ে সাথে নারকেল দুধ দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন।
    -এখন এই কষানো মসলাতে টুকরা করা টমেটো, নারিকেল বাটা, কাসুরি মেথি, চিনি ,লবণ আর হাফ কাপ পানি দিয়ে নেড়ে ঢাকনা লাগিয়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন ১০ থেকে ১২ মিনিট ।
    -এবার এতে মটরশুটি আর ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে রান্না করুন আরো ১২ মিনিট, টমেটো নরম হয়ে ঝোল হালকা ঘন হলে নামিয়ে নিন।
    - আর নামানোর আগে কয়েকটা ভাজা শুকনা মরিচ দিয়ে দিন ( না দিলেও হবে)

বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫

নিজেই তৈরি করুন মরক্কোর বিখ্যাত খাবার "হারিসা"

ranna banna o beauty tips
"হারিসা"
হারিসা কী? হারিসা হচ্ছে মরক্কোর মজাদার একটি চাটনি। পোলাও, রুটি বা পরোটা দিয়ে খাওয়ার জন্য উপযোগী এই মজাদার চাটনি তৈরি করতে কষ্ট করতে হয় না একেবারেই। চলুন, জেনে নিই তৃষা হকের রেসিপি।

উপকরণ
ধনে পাতা - ১ কাপ
পুদিনা পাতা- ১ কাপ
কাঁচা মরিচ- ৬/৭ টি (ঝাল বুঝে)
রসুন কোয়া- বড় রসুন এর ৬/৭ কোয়া
লেবুর জারক- ২ টি আস্ত লেবু বিচি ছাড়ানো খোসা সহ (লেবুকে ভিনেগার ও লবণ পানিতে ভিজিয়ে ৬ মাস সংরক্ষণ করে জারক বানানো হয়)
জিরা গুঁড়ো- ২ চা চামচ
বিট লবণ- স্বাদ বুঝে

প্রণালী

    -সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে মিক্স করে পরিবেশন করুন মজাদার চাটনি হারিসা।

শীতের বিকেলে চায়ের সাথে সুস্বাদু লেমন কেক

ranna banna o beauty tips
লেমন কেক
চায়ের সাথে হালকা স্বাদের কেকই সবচাইতে বেশি ভালো লাগে খেতে। বিশেষ করে ভ্যানিলা, অরেঞ্জ, লেমন এই ধরণের ফ্লেভারগুলো যা মুখে রেখে যায় রেশ। আর সেই ফ্রুটি ফ্লেভারের মিশেলে চায়ের স্বাদটাই যেন একেবারে বদলে যায়। চলুন, আজ আয়েশা সিদ্দিকার হেঁসেল থেকে জেনে নিই তেমনই একটি মিষ্টি সুগন্ধী কেকের রেসিপি।

উপকরণ
ময়দা ৩ কাপ
তেল/বাটার ২ কাপ
ডিম ৪ টি
ঘন দুধ ১কাপ
চিনি ২ কাপ
বেকিং পাউডার ২ টে চামচ
দারুচিনি পাউডার ১ চা চামচ
লেবুর খোসা মিহি কুচি ১ টি
লেবুর রস ১ টি

প্রনালি

    -লেবুর রস ও মিহি খোসা কুচি একসাথে মাখিয়ে রাখুন। ময়দা ও বেকিং পাউডার ও একসাথে মিশিয়ে রাখুন।
    -চিনি, বাটার ও ডিম একসাথে ভাল করে বিট করে তাতে দুধ দিয়ে আরেকটু বিট করে ময়দার মিশ্রন দিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর এতে লেমন মিক্স চামচ দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে দিন।
    -যে পাত্রে কেক বানাতে চান তাতে বাটার ব্রাশ করে শুকনা ময়দা ছড়িয়ে দিন। তারপর কেকের মিশ্রন ঢেলে রাখুন।
    -চুলায় তাওয়ার উপর বালি গরম করে তার উপর কেকের পাত্রটি বসিয়ে ভাল করে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ৪০-৪৫ মিনিটের মধ্যে কেক হয়ে যাবে। অথবা, ১৮০ ডিগ্রি সে. প্রি- হিটেড ওভেনে ২৫- ৩০ মিনিট বেক করুন।
    -ঠাণ্ডা হলে উপুর করে ঢেলে কেটে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

কাঁচা বরইয়ের আচার

ranna banna o beauty tips
কাঁচা বরইয়ের আচার
শীত মৌসুমে পাওয়া যায় হরেক স্বাদের বরই। মুখরোচক এই ফলটি কাঁচা-পাকা সব অবস্থাতেই খেতে সুস্বাদু। লবণ মরিচের গুড়া বা কাসুন্দি দিয়ে বরই ভর্তার নাম শুনলেই যে কারো জিভে জল আসতে বাধ্য। বরই দিয়ে মজাদার আচারও বানানো যায়। দীর্ঘদিন রেখে খেতে পারেন অনায়াসে। আচার বানাতে টক বরই উপযোগী, এরই মধ্যে বাজারে তার দেখা মিলছে। এমন স্বাদের আচার খেতে এক নজরে দেখে নিতে পারেন কাঁচা বরইয়ের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার রেসিপি।

যা যা লাগবে

কাঁচা বরই ১ কেজি, চিনি আধা কেজি, হলুদ গুড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুড়া ১ চা চামচ, পাঁচফোড়ন গুড়া ১ টেবিল চামচ, কালোজিরা টালা গুড়া আধা চা চামচ, লবণ ২ চা চামচ, সরিষার তেল ২৫০ গ্রাম।

যেভাবে করবেন

প্রথমে বোটা ফেলে বরই ধুয়ে পানি ঝরিয়ে এক দিন রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর বড়ই গুলো হালকা থেতো করে নিয়ে তাতে হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে আবার এক দিন রোদে শুকিয়ে নিন। এবার চিনি এবং অল্প পানি দিয়ে চুলায় বসান। কম আঁচে চিনি গলিয়ে ভালো করে জাল দিয়ে আঠালো করতে হবে। চিনির ভেতর বড়ই, পাঁচফোড়ন গুড়া, কালোজিরা টালা গুড়া ও সরিষার তেল দিয়ে নেড়ে মিশান। আচারটি শুকিয়ে এলে লবণ-মরিচ-চিনির পরিমাণ ঠিক আছে কিনা তা চেখে দেখতে হবে। আপনার পছন্দের স্বাদ উপযোগী হলে নামিয়ে আনুন। ব্যাস হয়ে গেল কাঁচা বরইয়ের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার। আচার ঠাণ্ডা হলে কাচের বোয়েমে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।

স্বাদে গন্ধে ভরা সবজি খিচুড়ি

ranna banna o beauty tips
সবজি খিচুড়ি
সময়টা এখন হরেক রকম তাজা সবজির। এসব সবজির মিশেলে সুস্বাদু খিচুড়ি হলে সকালের নাস্তাটা মন্দ হয় না। ছোট বড় সবার কাছে প্রিয় হতে পারে বিশেষ রেসিপিতে রান্না সবজি খিচুড়ি। স্বাদ আর গন্ধে মোহময় এমন খিচুড়ি রান্না হবে সহজে। এক নজরে দেখে নিতে পারেন তেমনি এক দারুণ রেসিপি।

যা যা লাগবে

বাসমতি চাল ২ কাপ, সবজি (গাজর, বরবটি, মটরশুঁটি, ফুলকপি) ছোট টুকরো সব মিলিয়ে ২ কাপ, আলু আধা কাপ, ভাজা মুগডাল ১ কাপ, আদা বাটা দেড় চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া দেড় চা চামচ, টক দই দুই টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ, চিনি ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২টি, তেজপাতা ২টি, গরম পানি ৬ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল আধা কাপ।

যেভাবে করবেন

মুগডাল ২ ঘণ্টা ও চাল আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। মটরশুঁটি ছাড়া সব সবজি একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে অর্ধেক তেল দিয়ে গরম হতে দিন। এবার তাতে গরম মসলা ও পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে টক দই, চিনি ও আধা চা চামচ লবণ দিন। একটু পর মসলা কষিয়ে সবজি দিন। সবজি কষানো হলে আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। এবার ওই কড়াইয়ে চাল দিয়ে ভাজতে থাকুন। ভাজা হয়ে গেলে গরম পানি ও আধা চা চামচ লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। চাল পানি সমান সমান হলে রান্না করা সবজি দিয়ে নেড়ে ঢেকে আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। এবার কাঁচামরিচ ও ঘি দিয়ে আরও ১৫ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

চোখের নিচে বলিরেখা দূর করার সহজ কিছু উপায়

ranna banna o beauty tips
চোখের নীচের বলিরেখার কারণে মুখের সার্বিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। মহিলারা এই বিষয়টাকে ভয় পায় এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা পার্লারে কাটিয়ে দেন এবং এতে পকেট থেকে অনেকগুলো টাকাও খরচ হয়ে যায় নিঃসন্দেহে। কিন্তু সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ে এবং কম সময়ে চোখের নীচের বলিরেখার দূর করা সম্ভব। আসুন আমরা জেনে নিই সেই উপায় গুলো সম্পর্কে।

১। আনারস

আনারসের জুসে ব্রোমেলাইন নামের সক্রিয় এনজাইম থাকে যা একটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান এবং আনারসের জুসে আলফা হাইড্রক্সি এসিড থাকে যা বলিরেখা নিরাময় করতে পারে। আনারসে অ্যাস্ট্রিঞ্জেট উপাদান থাকে ফলে এটা ত্বকের এক্সফলিয়েশনে সাহায্য করে। তাই আনারসের জুস নিয়ে চোখের নিচের বলিরেখায় লাগান। এভাবে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে দিতে থাকুন বলি রেখা দূর হবে।

২। নারিকেল তেল

নারিকেল তেলে যে ফ্যাট থাকে তা ত্বকের পুষ্টিসাধন করে এবং বলিরেখা দূর করতে সক্ষম। নারিকেল তেল নিয়ে চোখের নীচে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন। এভাবে প্রতিদিন ১০ মিনিট করে ম্যাসাজ করুন। ঘুমানোর আগে চোখের নীচে নারিকেল তেল দিয়ে রাখুন, এতে করে সকালে উঠে আপনার ত্বক নরম ও কোমল হবে।

৩। আদা

বলিরেখা দূরকরার চমৎকার ক্ষমতা আছে আদার কারণ আদাতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়াও আদা ইলাস্টিনের ছড়িয়ে পড়া রোধ করে যা আসলে বলিরেখা ও ফাইন লাইন সৃষ্টির কারণ। এক টুকরো আদাকে ভালোভাবে থেঁতলে নিয়ে এর সাথে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খান। আপনি চাইলে দিনে দুইবার আদা চাও খেতে পারেন।

৪। শসা

চোখের নীচের বলিরেখা দূর করতে শসা অনেক ভালো কাজ করে। চাক চাক করে শসা কেটে নিয়ে চোখের পাতার উপর রাখুন। এর ফলে চোখের নীচের বলিরেখা দূর হয় এবং চোখের ফোলা ভাব ও কমায়।

৫। কমলার রস

কমলার রস বলিরেখা কমায়। কমলার রসে কটন বল চুবিয়ে চোখের নীচে লাগান, এভাবে দিনে দুইবার লাগান। ফ্রেশ কমলার রস লাগানো যাবে না – এটা মনে রাখতে হবে। কয়েক সপ্তাহ পরে দেখবেন যে, বলিরেখা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দূর হয়েছে।

টিপস-

    ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ মাছ খান, বিশ্রাম নিন, ঘুমান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
    সান স্ক্রিন ব্যবহার করুন।
    অ্যালকোহল ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে কমিয়ে ফেলুন।
    অ্যালোভেরা, অলিভ ওয়েল, আমন্ড, কলা, গোলাপ জল ইত্যাদির ও চোখের নীচের বলিরেখা দূর করার ক্ষমতা আছে। 

অত্যন্ত সুস্বাদ বীটের কোরমা

ranna banna o beauty tips
অত্যন্ত সুস্বাদ বীটের কোরমা
শরীরের জন্য দারুণ উপকারী একটি সবজি হলো বীট। বিশেষ করে যারা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন তাদের জন্য বীট বেশ উপকারী। বীট দিয়ে সালাদ তৈরি করা যায় বটে, কিন্তু এর বাইরে বীটের রেসিপিগুলো বেশীরভাগ মানুষই জানেন না। আজ জেনে নিন বীটের দারুণ একটি রেসিপি। এই বীট কোর্মা অতিথি আপ্যায়নেও কাজে আসবে দারুণ।
উপকরণ

    -   ২৫০ গ্রাম বীটরুট কিউব করে কাটা
    -   ২৫০ গ্রাম আলু কিউব করে কাটা
    -   ৪টা লাল শুকনা মরিচ
    -   ৪টা সবুজ কাঁচামরিচ
    -   ১ টেবিল চামচ ধনে
    -   ১ চা চামচ জিরা
    -   আধা চা চামচ মৌরি
    -   ১০০ গ্রাম কাজুবাদাম
    -   ১ টেবিল চামচ পোস্তদানা
    -   ২টা লবঙ্গ
    -   ২ টুকরো দারুচিনি
    -   ১টা জায়ফল
    -   ২টা এলাচ
    -   আধা কাপ নারিকেল কোরানো
    -   আধা কাপ নারিকেলের দুধ
    -   ৩টা তেজপাতা
    -   ৬টা কারি পাতা
    -   ১ কাপ পিঁয়াজ কুচানো
    -   ১ টেবিল চামচ আদা রসুন বাটা
    -   সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
    -   আধা কাপ টক দই
    -   ৩টা টমেটো
    -   আধা কাপ মটরশুঁটি
    -   ২ টেবিল চামচ মরিচ গুঁড়ো
    -   বেশ কিছুটা টাটকা ধনেপাতা
    -   এক চা চামচ লেবুর রস

প্রণালী

১) শুকনো কড়াইতে টেলে নিন ধনে, শুকনা মরিচ, জিরা, মৌরি, কাজুবাদাম, পোস্তদানা এবং গরম মশলার সব উপকরণ। এগুলোর সাথে কোরানো নারিকেল মিশিয়ে একসাথে বেটে নিন অথবা গ্রাইন্ড করে নিন।

২) কড়াইতে তেল গরম করে নিন। এতে তেজপাতা, কুচানো পিঁয়াজ, লবণ কারি পাতা, সবুজ মরিচ, আদা রসুন বাটা, হলুদ দিন। বিট এবং আলুর কিউব এতে দিয়ে রান্না করুন কিছুক্ষণ।

৩) এরপর মশলার পেস্ট দিয়ে দিন এতে। সাথে দিয়ে দিন দই, টমেটো, মরিচ গুঁড়ো, মটরশুঁটি। কিছুটা পানি দিয়ে সবকিছু মিশিয়ে নিন। ঢাকনা দিয়ে রান্না হতে দিন ২৫ মিনিট। এরপর নারিকেলের দুধ দিয়ে চুলো বন্ধ করে দিন। ওপরে দিয়ে দিন লেবুর রস এবং ধনেপাতা কুচি।

তৈরি হয়ে গেলো দারুণ মুখরোচক বিট কোর্মা। গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন পরোটার সাথে।

মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

ক্রিস্পি সুইট পটেটো ফ্রাই

ranna banna o beauty tips
ক্রিস্পি সুইট পটেটো ফ্রাই
উপকরণ: মিষ্টি আলু ২টি। হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। চালের গুঁড়া অথবা টেম্পুরা পাউডার ২,৩ টেবিল-চামচ। লবণ পরিমাণ মতো। তেল ভাজার জন্য পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: মিষ্টি আলু খুব ভালো করে ধুয়ে নিন। লম্বা করে আলুগুলো কেটে নিন। আবার ভালো করে ধুয়ে কিচেন পেপার কিংবা কোনো কাপড় দিয়ে দিয়ে ভালো করে মুছে পানি শুষে নিন।

হলুদ, মরিচ আর লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে পাঁচ মিনিট রাখুন। চালের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে নিন। ডুবো তেলে ভাজা যায় এই পরিমাণ তেল প্যানে দিয়ে ভালো করে গরম করুন।

গরম তেলের আঁচ কমিয়ে মিষ্টি আলুগুলো ভালো করে মচমচে করে ভেজে নিন। গরম গরম আলু ভাজা টমেটো সস অথবা মেওনেজ দিয়ে পরিবেশন করুন।

চকলেট জেব্রা কেক

ranna banna o beauty tips
চকলেট জেব্রা কেক
উপকরণ: ময়দা ২ কাপ। বেইকিং পাউডার ২ চা-চামচ। গুঁড়াদুধ ১/৪ কাপ। কোকো পাউডার ২ টেবিল-চামচ। ডিম ৬টি। চিনিগুঁড়া আড়াই কাপ। তেল অথবা মাখন ২ কাপ। ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা-চামচ।

পদ্ধতি: ময়দা ও বেইকিং পাউডার চালনি দিয়ে চেলে নিন। এই মিশ্রণে গুঁড়াদুধ মিশিয়ে, দুই ভাগ করুন। এক ভাগের সঙ্গে কোকো পাউডার মিশিয়ে নিন।

ওভেন ১৬০ ডিগ্রি সে তাপমাত্রায় প্রি-হিট হতে দিন।

ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করে নিন। বড় একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ নিয়ে বিটার দিয়ে বিট করে, ফোম করে নিন।

ফোমের সঙ্গে একে একে এসেন্স, চিনি, কুসুম, বাটার দিয়ে আবার বিট করুন। সব বিট করা হলে এই মিশ্রণও দুই ভাগ করে নিন। এক ভাগের সঙ্গে কোকো মেশানো ময়দার মিশ্রণ হাত দিয়ে মিশিয়ে নিন। অন্য ভাগের সঙ্গে কোকো ছাড়া ময়দার মিশ্রণ মেশান।

এবার কেকের মোল্ডে বাটার ব্রাশ করে প্রথমে একটু সাদা মিশ্রণ ঢালুন। সাদা মিশ্রণের উপরে একটু কোকোর মিশ্রণ ঢালুন। এইভাবে তিন-চার বার পুনরাবৃত্তি করুন।

মণ্ড ঢালা হলে প্রি-হিট করা ওভেনে ১৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিনিট বেইক করে নিন। সময় শেষ হলে একটি কাঠি অথবা টুথপিক কেকের মাঝখানে ঢুকিয়ে দেখে নিন।

কাঠি পরিষ্কার বের হয়ে আসলে কেক হয়েছে, আর কাঠির গায়ে লেগে থাকলে ভাববেন, কেক হয়নি। সেক্ষেত্রে আরও পাঁচ থেকে ১০ মিনিট ওভেন চালু রাখুন।

হয়ে গেলে ঠাণ্ডা করে, পরিবেশন পাত্রে উপুর করে বের করে নিন। ছুরি দিয়ে টুকরা করে ক্রিম দিয়ে পরিবেশন করুন।

কেবল ডিম দিয়েই তৈরি করুন দারুণ মজার চাইনিজ খাবার "শেইং শেজুদান"

ranna banna o beauty tips
"শেইং শেজুদান"
বাড়িতে টমেটো ও ডিম আছে? তাতেই চলবে! এই দুটি উপাদান দিয়ে ঝটপট তৈরি করে ফেলতে পারেন ডিনারের জন্য একটি দারুণ ডিশ। রেসিপি দিচ্ছেন  শারমিন হক।

উপকরণ
- ডিম ৩ টি
- টমেটো ৩ টি (ডিম ও টমেটো সম পরিমাণ)
- স্প্রিং অনিয়ন
- ফুলকপি,ব্রকলি পাতলা করে কাটা  ( মূল চাইনিজ রেসিপিতে এটা দেয়া হয় না)
- কালো গোল মরিচ গুড়া
- লবণ
- তেল
- টমেটো সস (ঝাল পছন্দ করলে হট টমেটো সস দিতে পারেন।
- অয়েস্টার সস (না দিলেও সমস্যা নেই)

প্রস্তুত প্রনালি

    -ফ্রাই প্যানে অল্প তেল দিয়ে ফুলকপি, ব্রকলি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে তাতে টমেটো,স্প্রিং অনিয়ন, লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ৪/৫ মিনিট ভেজে নামিয়ে নিন।
    -এবার সামান্য লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ডিম গুলো ফেটে নিন। এমনভাবে ফেটাবেন যাতে ফেনা না হয়।
    -এবার প্যানে তেল দিন। তেল গরম হলে ডিম দিয়ে দিন। ২ মিনিট পর ডিমটা চামচ দিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে ভেজে রাখা টমেটো সবজি দিয়ে দিন।
    -অয়েস্টার সস দিয়ে ভাল করে নেড়ে নামিয়ে নিন। এবার পছন্দমত গার্নিশি করে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

রাশিয়ান পটেটো সালাদ

ranna banna o beauty tips
রাশিয়ান পটেটো সালাদ
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
  •     চৌকো করে কাটা সিদ্ধ আলু- ১ কাপ
  •     মটরশুঁটি, ফ্রেঞ্চ বিন, বরবটি, ভুট্টা ইত্যাদি যা যা আপনার পছন্দ- ১/২ কাপ (সিদ্ধ করে নেয়া, না দিলেও সমস্যা নেই)
  •     গাজর, টমেটো, ক্যাপ্সিকাম, আপেল, বীজ ফেলা শশা- ১/২ কাপ
  •     ডিম সিদ্ধ- ২ টি
  •     মেয়নেজ- ১/২ কাপ (চাইলে একটু বেশিও দিতে পারেন)
  •     চিনি সামান্য
  •     লেবুর রস- ১ চা চামচ
  •     কমলার রস- ২ টেবিল চামচ
  •     গোল মরিচ গুঁড়ো
  •     গলিত মাখন- ২ টেবিল চামচ
  •     মুরগির বুকের মাংস বা টুনা ফিশ ১ কাপ


প্রস্তুত প্রণালী:

    সব সবজি আলুর আকারেই কেটে নেবেন। সিদ্ধ করা সবজিগুলো ভালোভাবে ঠাণ্ডা করে নিবেন।
    ডিমের কুসুম দুটি বের করে নিন। তারপর সাদা অংশটিও চৌকো করে কেটে নিন।
    মুরগির মাংস বা টুনা ফিশকে হালকা আদা রসুন ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। ঠাণ্ডা করে টুকরো করুন বা ছাড়িয়ে নিন হাত দিয়ে।
    এবার ডিমের কুসুম দুটি একটি বাটিতে নিন। এর সাথে লেবু ও কমলার রস, মাখন, চিনি দিয়ে ভালো করে মেশান। কুসুম মসৃণ হলে মেয়নেজ দিন ও ভালো করে মেশান।
    তারপর আলু, সিদ্ধ সবজি ও মুরগি/টুনা দিয়ে দিন। এভাবে রেখে দিন ১০ মিনিট।
    পরিবেশনের ঠিক আগে কাঁচা সবজি ও গোলমরিচ মিশিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার রাশিয়ান সালাদ।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.