skin লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
skin লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬

ত্বকের সমস্যার সমাধান করবে গুঁড়ো দুধের এই ৫টি প্যাক

ranna banna o beauty tips
ত্বকের সমস্যার সমাধান করবে গুঁড়ো দুধের এই ৫টি প্যাক
চা বা কফি তৈরির অন্যতম উপাদান হল গুঁড়ো দুধ। শুধু চা কফি নয় পায়েস, পুডিং, মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় গুঁড়ো দুধ। আপনি কি জানেন ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যায় এই গুঁড়ো দুধ? ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা, ত্বকে কালো দাগ কিংবা ব্রণের কালো দাগ দূর করতে গুঁড়ো দুধের প্যাক ব্যবহার করুন। গুঁড়ো দুধের কার্যকর কিছু প্যাক নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

১। গুঁড়ো দুধ এবং লেবুর রস

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধের সাথে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

২। গুঁড়ো দুধ, পেঁপে এবং গোলাপ জল

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, এক টেবিল চামচ পেঁপের পেস্ট এবং ছয়-সাত ফোঁটা গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে নিন।  এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গোলাপ জল টোনার হিসেবে কাজ করে। আর গুঁড়ো দুধ এবং পেঁপে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

৩। গুঁড়ো দুধ এবং চালের গুঁড়ো

একটি পাত্রে চাল এবং গুঁড়ো দুধ পানিতে গুলিয়ে দুই ঘন্টা রেখে দিন। এরপর এই মিশ্রণটি বেটে পেস্ট করুন। এই পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে এতে লেবুর রস মেশাতে পারেন। এটি ত্বক নরম করার সাথে সাথে স্ক্রার্বেও কাজ করবে।

৪। গুঁড়ো দুধ এবং হলুদ

এক চা চামচ হলুদের গুঁড়োর সাথে কাঁচা দুধ মেশান। দুধ এবং হলুদের পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে মধু মেশাতে পারেন। প্যাক ব্যবহারের আগে মুখ কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের রোমকূপ খুলে যাবে এবং প্যাক ভালভাবে ত্বকে কাজ করবে।

৫। গুঁড়ো দুধ এবং কমলার খোসা

কমলার খোসা গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে চক্রাকারে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি তুলে ফেলার পর ত্বকে বরফ ঘষুন পাঁচ মিনিট। তাৎক্ষনিক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এই প্যাকটি।

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হারবাল বিউটি টিপস

ranna banna o beauty tips
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হারবাল বিউটি টিপস
বেশিরভাগ নারীই উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরণের কসমেটিক পণ্য ব্যবহার করেন। যদিও এর দ্বারা উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া হয়না। আপনার ত্বকের জন্য ভেতর থেকে এবং বাহির থেকে পুষ্টি প্রয়োজন। কেমিক্যাল কসমেটিক এই পুষ্টি সরবরাহ করতে পারেনা এবং এরা কেবল বাহিরের ত্বকেই কাজ করে। প্যাকেটজাত পণ্য দীর্ঘদিন ব্যবহার করাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য হারবাল পণ্য ব্যবহার করুন। এই হারবাল উপাদানগুলো আপনার রান্নাঘরেই পাবেন এবং এরা দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের উপর ভালো প্রভাব ফেলে। চলুন তাহলে জেনে নিই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী ভেষজ উপাদানগুলো সম্পর্কে।

১। আঙ্গুর

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আঙ্গুর ব্যবহার করতে পারেন। কয়েকটি আঙ্গুর থেঁতলে নিয়ে আপনার মুখের ত্বকে লাগান।

২। শশা, গ্লিসারিন ও গোলাপজল

শশা থেঁতলে রস বের করে এর সাথে গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। বাহিরে যাওয়ার পূর্বে ও বাসায় ফেরার পরে এই ফেস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারলে উপকার পাবেন।

৩। চন্দন, হলুদ এবং দুধ

চন্দনের মিহি গুঁড়োর সাথে সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ও সতেজ হবে।

৪। মধু ও দুধের সর

দুধের সরের সাথে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়, বিশেষ করে শীতের দিনে।

৫। টাটকা দুধ, লবণ ও লেবুর রস

টাটকা দুধের সাথে এক চিমটি লবণ ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের ছিদ্রগুলো উন্মুক্ত হয়।

৬। টমেটোর জুস

টমেটোর জুসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।

৭। হলুদ গুঁড়ো, আটা ও তিলের তেল

হলুদ গুঁড়ো, আটা ও তিলের তেল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়, সেইসাথে ত্বকের উজ্জলতাও বৃদ্ধি পায়।

৮। বাঁধাকপির জুস ও মধু

বাঁধাকপির কিছুটা অংশ থেঁতলে রস বের করুন। এই রসের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করা যায়।

৯। গাজরের জুস

ত্বকের উজ্জ্বলতা প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করার জন্য গাজরের জুস চমৎকার কাজ করে। গাজর ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করে নিতে পারেন।

১০। মধু ও দারচিনি গুঁড়ো

মধু ও দারুচিনি গুঁড়া ৩ : ১ অনুপাতে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে লাগিয়ে সারারাত রাখুন। এতে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়।

১১। অ্যালোভেরা জুস

অ্যালোভেরা জুস ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ দূর হয় এবং ত্বক হাইড্রেটেড থাকে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে চমৎকার কাজ করে।

১২। মুলতানি মাটি, গোলাপের পাপড়ি, নিম, তুলসি ও গোলাপজল

মুলতানি মাটির সাথে গোলাপের পাপড়ি, নিম পাতার গুঁড়ো, তুলসি পাতার গুঁড়ো ও গোলাপ জল বা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ ত্বক পাওয়া যায়।

সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬

ত্বকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করুন বেসনের ৪টি ফেস প্যাক

ranna banna o beauty tips
ত্বকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করুন বেসনের ৪টি ফেস প্যাক
প্রায়  সব বাসাতেই ছোলার ডালের ময়দা বা বেসন থাকে। বছরের পর বছর যাবত আমাদের দাদী-নানীরা ও মায়েরা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করে আসছেন ছোলার ময়দা বা বেসন। বেসন যেভাবে কাজ করে তা হল-

-   বেসন স্কিনের মরা চামড়া দূর করে স্কিনের পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করে
-   নিয়মিত বেসনের ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক নরম, মসৃণ ও দৃঢ় হয়ে থাকে।
-   ত্বক ফর্সা করার ও হেয়ার রিমুভাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে বেসন।
-   যেহেতু বেসন ক্ষারীয় প্রকৃতির তাই এটি ব্যবহারের পূর্বে দুধ, দই বা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে তারপর মুখে লাগাতে হবে।

আসুন আজ জেনে নিই বেসনের ফেস প্যাক তৈরি ও ব্যবহারের ৪ টি উপায় সম্পর্কে।

১। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকে তাহলে গোলাপ জলের সাথে বেসন মিশিয়ে আপনার মুখে লাগান এবং শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। চোখের চারপাশে লাগাবেন না। গোলাপ জল ও বেসনের ফেস প্যাক ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নিবে। আরেকটি ভালো ফেস প্যাক হচ্ছে বেসন ও দই এর ফেস প্যাক। এটি ত্বকের টক্সিন বাহির করে দিয়ে ত্বককে মসৃণ করে থাকে।  

২। শুষ্ক ত্বকের জন্য

শুষ্ক ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন হয়। ত্বককে আর্দ্র রাখার জন্য বেসনের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য যা যা লাগবে তা হল- বেসন, মধু, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া  ও দুধ। এই উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করলে ত্বকের ড্রাইনেস কমাবে।   

৩। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

ত্বকের তামাটে ভাব দূর করতে পারে বেসন। ৪/৫ টি কাঠ বাদামের গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ দুধ, লেবুর রস ও বেসন। এই উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে দীর্ঘক্ষণ মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ভালো ফল পাওয়ার জন্য। এই প্যাকটি লাগানোর ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।  

৪। ত্বকের দাগ দূর হতে সাহায্য করে

ত্বকের দাগ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে বেসন। বেসনের সাথে শশার রস মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন এবং একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।   

নিস্তেজ ও ক্ষতিগ্রস্থ চুলের মেরামতেও দারুন কাজ করে বেসন। বেসনের সাথে দই মিশিয়ে মাথার তালু ও চুলে লাগান। নিয়মিত এই মিশ্রণটি আপনার চুলে ব্যবহার করলে চুল উজ্জ্বল ও শক্তিশালী হবে। এই প্যাকটি খুশকি মুক্ত হতেও সাহায্য করবে।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০১৬

ব্রণ হলে ভুলেও করবেন না এই ৫টি কাজ

ranna banna o beauty tips
ব্রণ হলে ভুলেও করবেন না এই ৫টি কাজ
ব্রণ সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। ছেলে মেয়ে উভয়কে এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ব্রণের এই সমস্যা নিয়ে সবাই বেশ বিরক্ত। ব্রণ চলে গেলেও থেকে যায় এর জেদী দাগ। আর এই দাগ দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয় কত শত ক্রিম। অথচ আপনি কি জানেন ব্রণ স্থায়ী এবং ব্রণের দাগের জন্য কিছুটা আপনি দায়ী। আপনার কিছু অভ্যাসের কারণে ত্বকে ব্রণের দাগ স্থায়ী হচ্ছে। ব্রণ হলে কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

১। অতিরিক্ত মুখ ধোয়া

দিনে দুই বার মুখ ধোয়া ত্বকের জন্য ভাল। এটি ত্বকের ময়লা ধুলো বালি দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখে। কিন্তু ব্রণের সময় দিনে একবার মুখ পরিষ্কার করা উচিত। অতিরিক্ত মুখ ধোয়া ত্বক শুষ্ক করে দেয়। শুষ্ক ত্বকে তেল বেশি উৎপন্ন হয়। যা ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি করে।

২। অতিরক্ত এক্সফলিয়েট

সপ্তাহে কয়েকবার এক্সফলিয়েট করা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এতে ব্রণের মুখ ভেঙ্গে যায়, ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া ত্বকে ছড়িয়ে আরও ব্রণ সৃষ্টি করে। ব্রণের সময় এক্সফলিয়েট করা থেকে বিরত থাকুন।

৩। ব্রণে নখ ব্যবহার  করা  

ব্রণ হলে প্রায় সব মেয়েদের যেই কাজটি করতে দেখা যায়, তা হল ব্রণ নখ দিয়ে খোঁচানো। আর এই কাজটি ত্বকে ব্রণের দাগ স্থায়ী করে দেয়। ব্রণ নখ দিয়ে খোঁচানো, চুলকানো থেকে বিরত থাকুন।

৪। অতিরিক্ত পণ্যের ব্যবহার

ব্রণ দূর করার জন্য নানা রকম পণ্য ব্যবহার করা হয়। কখন পেস্ট আবার কখন দারুচিনির গুঁড়ো। একই ব্রণে নানা পণ্য ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি ত্বকে ব্রণ স্থায়ী হয়।

৫। খুশকি থেকে দূরে থাকুন

খুশকি থেকে অনেক সময় ব্রণ দেখা দেয়। নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখুন। চুলে খুশকি দেখা দিলে তা দূর করার ব্যবস্থা করুন।

- See more at: http://www.priyo.com/2016/Jun/22/222903#sthash.v0dO9tAb.dpuf

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬

কাঁচা হলুদে ত্বকের চর্চা

ranna banna o beauty tips
কাঁচা হলুদে ত্বকের চর্চা
বহু বছর আগে থেকে রান্নার কাজে হলুদের ব্যবহার হয়। মসলার এই উপকরণটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি, ধারা, অনুষ্ঠান-পর্বের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। রূপচর্চাতে এর রয়েছে উল্লেখ করার মতো অবদান। হলুদ স্পর্শে সুন্দর হওয়ার এই ধারাও বেশ পুরোনো। বিয়ের আগে বর-কনেকে হলুদ ছোঁয়ার মধ্য দিয়ে একটু সুন্দর দেখানোর চেষ্টা রীতিমতো একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। হলুদকে তাই প্রাকৃতিক প্রসাধনীও বলা যেতে পারে। এটি গায়ের রঙ যেমন উজ্জ্বল করে তেমনি অ্যালার্জি, ব্রণ, র‌্যাশ দূর করে। তাছাড়া বয়সের ছাপ আলজেইমার, ডায়বেটিস, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ থেকে উপশম পেতে সাহায্য করে। আজ শিখে নেব কাঁচা হলুদের স্পর্শে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।

- কাঁচা হলুদ বাটা, চন্দন গুঁড়া, লেবুর রস মিশিয়ে একটি মাস্ক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাছাড়া ব্রণের উপর কাঁচা হলুদ বাটা এবং পানি মিশিয়ে দিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন। ব্রণ তাড়াতাড়ি চলে যাবে। হলুদে এন্টিসেপ্টিক এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে যেটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।

- হলুদ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। চন্দন গুঁড়া এস্ট্রিঞ্জেন্ট এর কাজ করে এবং কমলার রস ত্বকের দাগ দূর করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, ১ চামচ চন্দন গুঁড়া এবং ৪ চামচ কমলার রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগান। তৈলাক্ত ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর হবে।

- এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ৩ ফোঁটা লেবুর রস, একটা ডিমের সাদা অংশ, গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগান। নিজেই লক্ষ্য করবেন ত্বকের ইতিবাচক পরিবর্তন। তাছাড়া শরীরে যেসব জায়গা শুষ্ক সেসব জায়গায়ও লাগাতে পারেন। আপনার শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময়ী হবে সহজে।

- হলুদ ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া, চালের গুঁড়া, টমেটো রস, কাঁচা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের ফাইন লাইন্স এবং ঝুলে পড়া ত্বককে স্বাভাবিক করতে এবং ত্বককে ফর্সা করতে অত্যন্ত কার্যকরী।

- সামান্য হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে মাখন মিশিয়ে চোখের নীচে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এটি চোখের নীচে বলিরেখা সহ কালো দাগও দূর করবে।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.