makeup লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
makeup লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৬

অলিভ ওয়েলের যত গুণ

ranna banna o beauty tips
অলিভ ওয়েলের যত গুণ
ভোজ্য তেল হিসেবে অনেক ধরনের তেল ব্যবহৃত হয়। তবে সারা বিশ্বে যত রকম ভোজ্য তেল রয়েছে তার মধ্যে স্বাস্থ্যকর তালিকার দিক থেকে শীর্ষস্থান দখল করে আছে অলিভ ওয়েল। সুস্থ ও ফিট দেহের জন্য অলিভ ওয়েলের চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক। অনেক দেশে অলিভ ওয়েল সাধারণত কেবল সালাদের তেল হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। আবার অনেক দেশের রান্নার জরুরি উপকরণ এটি। তবে কেবল রান্নাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে এই অলিভ ওয়েলকে আরও নানা প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। আসুন জেনে নেই, সালাদ বা রান্নার কাজ ছাড়াও অলিভ ওয়েলের কিছু অনন্য ব্যবহারের কথা-

১. মাঝে মাঝে দেখা যায় বাড়ির কোন দরজা খুলতে বা বন্ধ করতে গেলে ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়ার করে। সে ক্ষেত্রে সংযোগ কব্জাগুলোতে কিছু অলিভ ওয়েল দিয়ে দিন। আর শব্দ করবে না।

২. ওটমিল, সামান্য ক্রিমের সঙ্গে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে তা মুখ পরিষ্কারের স্কার্ব হিসাবে ব্যবহার করুন।

৩. লোহার যন্ত্রপাতি বা গ্রিলের মরিচা প্রতিরোধ করতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।

৪. বাচ্চাদের ম্যাসাজের জন্য অলিভ ওয়েলকে সেরা বলে ধরা হয়।

৫. বাড়িতে শেভিং ক্রিম না থাকলে মসৃণ শেভের জন্য অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

৬. এক কাপ অলিভ ওয়েলের সঙ্গে এক কাপ ভিনেগার মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে নিন। আসবাবপত্র পরিষ্কারের কাজে একে ব্যবহার করুন।

৭. হাতের কালশিটে ভাব দূর করতে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন।

৮. ওয়াক্সিংয়ের পর হাত ও পায়ের চিটচিটে ভাব দূর করতে অলিভ ওয়েল মাখুন।

৯. চুলকে স্থির করে রাখতে চাইলে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন চুলে। মনে হবে যেন জেল দিয়েছেন।

১০. মৌচাক থেকে প্রাপ্ত মোমের সঙ্গে সামান্য অলিভ ওয়েল মিশিয়ে একটি কৌটায় রেখে দিন। এটি পরে লিপজেলের কাজ করবে।

১১. চুলের কন্ডিশনার হিসাবে অলিভ ওয়েল দারুণ কাজে দেয়। চুলে মেখে একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন।

১২. ব্রাশগুলোকে চকচকে রাখতে এগুলো ধুয়ে অলিভ ওয়েলে পলিশ করুন।

১৩. মেকআপ মুছতে রিমুভার হিসেবে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

১৪. দাঁতের যত্নেও দারুণ এক উপাদান অলিভ ওয়েল।

১৫. শিশুদের নিতম্ব থেকে র‌্যাশ দূর করতে সামান্য অলিভ ওয়েল মাখিয়ে দিন।

রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬

নিজে তৈরি করে নিন পছন্দমত লিপস্টিক

ranna banna o beauty tips
নিজে তৈরি করে নিন পছন্দমত লিপস্টিক
নারীরা যে সকল কসমেটিকস প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে তার মধ্যে লিপস্টিক অন্যতম। ভার্সিটি বলেন কিংবা অফিস একটু লিপস্টিক এনে দেয় সাজে পূর্ণতা। পোশাকের রং এর সাথে মিলিয়ে সাজে লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। কিন্তু সব সময় কি আর পোশাকের রং এর সাথে মিলিয়ে লিপস্টিক কেনা সম্ভব হয়? হয় না। আবার বাজারের নন-ব্র্যন্ডের লিপস্টিক ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এইবার ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন নিজের পছন্দমত লিপস্টিক। ভাবছেন কীভাবে? খুব সহজে তৈরি করা সম্ভব।

যা যা লাগবে:

১ চা চামচ বিশুদ্ধ মোমের গুঁড়ো (মোমের রং পেন্সিল গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে পারেন)

১ চা চামচ কোকো বাটার বা শিয়া বাটার

১ চা চামচ নারকেল তেল

পছন্দমত রঙ

যেভাবে তৈরি করবেন:

১। প্রথমে একটি ঢাকনা ছাড়া কাঁচের বয়ামে নারকেল তেল, শিয়া বাটার এবং মোম মিশেয়ে নিন।

২। এবার এই কাঁচের বয়ামটি একটি গরম পানি রাখা পাত্রের উপর রাখুন।

৩। সব কয়েকটি উপাদান ভাল করে মিশে গেলে বয়ামটি পানি থেকে সরিয়ে ফেলুন। এরপর আপনার পছন্দমত রং মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪। সব উপাদান মিশে গেলে ড্রপার দিয়ে খালি লিপস্টিকের টিউবে ভরে ফেলুন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত কোটায় উপাদানগুলো রেখে দিতে পারেন।

৫। এবার এটি কোন ঠাণ্ডা স্থানে রেখে দিন, যাতে লিপস্টিক গলে না যায়।

পছন্দের রং তৈরি জন্য:

লাল রং এর জন্য:

১/৮ চা চামচ বিটের গুঁড়ো অথবা ১ ফোঁটা লাল ফুড কালার।

ব্রাউন রং এর জন্য:

১/৪ চা চামচ কোকো পাউডার, এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো অথবা হলুদের গুঁড়ো।

ম্যাট টেক্সচারের জন্য:

১/৪ চা চামচ বেনটনিক ক্লে ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া পছন্দমত আইশ্যাডো ব্যবহারে করে তৈরি করে নিতে পারেন যেকোন রং এর লিপস্টিক।

টিপস:

মোমের রং পেন্সিল ব্যবহার করলে বিট বা অন্য রং ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬

নেইল পলিশ রিমুভারে সতর্কতা

ranna banna o beauty tips
নেইল পলিশ রিমুভারে সতর্কতা
রং-বেরঙের নেইল পলিশ দিয়ে বেশ তো নখ রাঙাচ্ছেন! কখনো পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে, কখনও-বা ইচ্ছেমতো তুলির আঁচড়ে সেজে উঠছে নখ। রোজ তো আর এক পোশাকে বাইরে যাওয়া যায় না। তাই পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় নখের সাজও। ইন্টারনেট বলছে চীন দেশ থেকেই উদ্ভাবন হয়েছিল এই নখ রাঙানোর চল। এই যে একটার পর একটা রং দিয়ে নখের ক্যানভাসে নকশা করা, সেটার জন্য তো আগে নখটা পরিষ্কার থাকা চাই। নখে নেইল পলিশ দেওয়ার আগে তাই নখটা একেবারে সাদা করে নিতে হয়। একটা রং তুলে তারপর নতুন রং দেওয়ার জন্য ব্যবহার হয় নেইল পলিশ রিমুভার। নিয়মিত রিমুভার ব্যবহারে নখের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না তো?

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বেশিমাত্রায় রিমুভার ব্যবহারের কারণে আমাদের নখের এনামেলের পাশাপাশি চামড়ায়ও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। নেইল পেইন্ট রিমুভারগুলোতে সাধারণত অ্যাসিটোন নামের একধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকে। এ ছাড়া রিমুভার তৈরিতে অনেক সময় ইথাইল অ্যাসিটেট ব্যবহার করা হয়। তবে অ্যাসিটোনোর চাইতে ইথাইল অ্যাসিটেট কম সংবেদনশীল হওয়ায় ইথাইল অ্যাসিটেট দিয়ে তৈরি রিমুভার ব্যবহার করা ভালো। তাই রিমুভার কেনার সময় উপাদানের দিকেও খেয়াল করা উচিত।

বেশি বেশি রিমুভার ব্যবহার করলে আমাদের নখ ও চামড়ায় কী কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে, সে সম্পর্কে বললেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল ওয়াহাব। তিনি জানালেন, মাত্রাতিরিক্ত নেইল পলিশ ও নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহারের কারণে নখের স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে নখের এনামেল, যার প্রভাবে পাতলা হয়ে যেতে পারে হাত-পায়ের নখ। পাশাপাশি নখের পাশের ত্বকে প্রদাহজনিত রোগ ‘প্যারোনিকিয়া’ হতে পারে। ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও শক্ত। অনেক সময় হাত-পায়ের চামড়া উঠতে পারে।

বারবার রিমুভার ও নেইল পলিশ দেওয়ায় হারায় স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। কেননা, রিমুভারে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান হিসেবে যা থাকে, সেটা নখের স্বাভাবিক মসৃণতা বা উজ্জ্বলতা, কোনোটাই ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়।
রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বললেন, ‘নখের শুভ্রতা ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে হলে প্রতিবার রিমুভার ব্যবহারের পরে অবশ্যই কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে ভালোভাবে হাত-পা ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো চামড়া থেকে দূর হয়ে যাবে। ভালো করে হাত-পা পরিষ্কার করার পর পেট্রোলিয়াম জেলি, ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা) বা জলপাইয়ের তেল লাগাতে পারেন। ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায় এমন কোনো ভালো ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগাতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ময়েশ্চারাইজিং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।’
নেইল পলিশ রিমুভারের ব্যবহার নিয়ে আফরোজা পারভীনের পরামর্শ হলো:
* মাসে দুবারের বেশি রিমুভার ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি বেশি প্রয়োজন পড়ে সেটা যেন ছয়বারের বেশি না হয়।
* একই ব্র্যান্ডের নেইল পলিশ ও রিমুভার ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো হয়।
* যত ভালো ব্র্যান্ডই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা প্রতি তিন মাস অন্তর পরিবর্তন করতে হবে। এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে আসে।
* রিমুভার লাগিয়ে কটন-বাড বা কটন-বলের সাহায্যে খুবই আলতো করে ঘষে নেইল পলিশ তুলতে হবে।
* সতর্কতার সঙ্গে যে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে, তা হলো রিমুভার ব্যবহারের সময় যেন তা নখের পাশের চামড়ায় না লাগে।

সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬

ত্বকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করুন বেসনের ৪টি ফেস প্যাক

ranna banna o beauty tips
ত্বকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করুন বেসনের ৪টি ফেস প্যাক
প্রায়  সব বাসাতেই ছোলার ডালের ময়দা বা বেসন থাকে। বছরের পর বছর যাবত আমাদের দাদী-নানীরা ও মায়েরা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করে আসছেন ছোলার ময়দা বা বেসন। বেসন যেভাবে কাজ করে তা হল-

-   বেসন স্কিনের মরা চামড়া দূর করে স্কিনের পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করে
-   নিয়মিত বেসনের ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক নরম, মসৃণ ও দৃঢ় হয়ে থাকে।
-   ত্বক ফর্সা করার ও হেয়ার রিমুভাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে বেসন।
-   যেহেতু বেসন ক্ষারীয় প্রকৃতির তাই এটি ব্যবহারের পূর্বে দুধ, দই বা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে তারপর মুখে লাগাতে হবে।

আসুন আজ জেনে নিই বেসনের ফেস প্যাক তৈরি ও ব্যবহারের ৪ টি উপায় সম্পর্কে।

১। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকে তাহলে গোলাপ জলের সাথে বেসন মিশিয়ে আপনার মুখে লাগান এবং শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। চোখের চারপাশে লাগাবেন না। গোলাপ জল ও বেসনের ফেস প্যাক ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নিবে। আরেকটি ভালো ফেস প্যাক হচ্ছে বেসন ও দই এর ফেস প্যাক। এটি ত্বকের টক্সিন বাহির করে দিয়ে ত্বককে মসৃণ করে থাকে।  

২। শুষ্ক ত্বকের জন্য

শুষ্ক ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন হয়। ত্বককে আর্দ্র রাখার জন্য বেসনের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য যা যা লাগবে তা হল- বেসন, মধু, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া  ও দুধ। এই উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করলে ত্বকের ড্রাইনেস কমাবে।   

৩। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

ত্বকের তামাটে ভাব দূর করতে পারে বেসন। ৪/৫ টি কাঠ বাদামের গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ দুধ, লেবুর রস ও বেসন। এই উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে দীর্ঘক্ষণ মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ভালো ফল পাওয়ার জন্য। এই প্যাকটি লাগানোর ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।  

৪। ত্বকের দাগ দূর হতে সাহায্য করে

ত্বকের দাগ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে বেসন। বেসনের সাথে শশার রস মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন এবং একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।   

নিস্তেজ ও ক্ষতিগ্রস্থ চুলের মেরামতেও দারুন কাজ করে বেসন। বেসনের সাথে দই মিশিয়ে মাথার তালু ও চুলে লাগান। নিয়মিত এই মিশ্রণটি আপনার চুলে ব্যবহার করলে চুল উজ্জ্বল ও শক্তিশালী হবে। এই প্যাকটি খুশকি মুক্ত হতেও সাহায্য করবে।

বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সহজ ৭টি কৌশলে ঠিক করে ফেলুন নষ্ট হয়ে যাওয়া মেকআপ

ranna banna o beauty tips
সহজ ৭টি কৌশলে ঠিক করে ফেলুন নষ্ট হয়ে যাওয়া মেকআপ
কোন দাওয়াতে যাবেন, হঠাৎ করে দেখলেন মুখটা তেলে চিটচিটে হয়ে গেছে কিংবা নখটা ভেঙ্গে গেল তখন কি করবেন? হাতে তো এত সময়ও নেই যে মুখে কোন প্যাক ব্যবহার করবেন। তাহলে উপায়? এইরকম সমস্যার সমাধান করে দিবে ছোট ছোট কিছু কৌশল। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু কৌশল।


১। তেল চিটচিটে ত্বকের জন্য

তৈলাক্ত ত্বকের সবচেয়ে বেশি এই সমস্যাটা হয়ে থাকে। একটি স্প্রে বোতলে গোলাপজল এবং স্কিন টোনার মিশিয়ে নিন। এটি মুখে স্প্রে করুন। তারপর একটি টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। দেখবেন ত্বক ফ্রেশ এবং ক্লিন হয়ে গেছে। তার সাথে মুখের তেল চিটচিটে ভাবও দূর হয়ে গেছে। সাদা ভিনেগার এবং পানি দিয়ে টোনার তৈরি করে নিতে পারেন।
২। ভাঙ্গা নখ

হঠাৎ করে নখ ভেঙ্গে গেলে নেইল ফাইল বা নেইল কাটারের পিছনের অংশ দিয়ে কিছুটা ঘষে নখ সমান করে নিন। খুব বেশি ভেঙ্গে গেলে হাতের বাকী নখগুলো এক সমান করে কেটে নিতে পারেন। এতে সবকয়টি নখ সমান দেখাবে।
৩। অতিরিক্ত পাউডারের ব্যবহার

আপনি যদি মুখে অতিরিক্ত পাউডার দিয়ে থাকেন, তবে মুখ ফ্ল্যাট দেখাবে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুখে মেপআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। এটি অতিরিক্ত পাউডার শুষে নিয়ে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে তুলবে।
৪। ছড়িয়ে যাওয়া লিপস্টিক

লিপস্টিক লাগানোর পর অনেক সময় তা ছড়িয়ে ঠোঁটের চারপাশে লেগে যায়। একটি টিস্যু দিয়ে হালকা করে লিপস্টিক মুছে ফেলুন। ভাল হয় টিস্যুতে কিছুটা ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিলে। তারপর লিপস্টিক লেগে যাওয়া স্থানে কনসিলার লাগিয়ে নিন। দেখবেন আবার আগের মত হয়ে গেছে।
৫। এলোমেলো আগোছালো চুল

চুল যদি খুব বেশি এলোমেলো আগোছালো থাকে এবং চুল গোছানোর সময় না থাকে তবে সামনের চুলগুলো কিছুটা পাফ করে পিছনের চুলগুলো নিয়ে একটি পনিটেইল করে নিন। এলোমেলো চুলের সবচেয়ে সহজ সমাধান এটি।
৬। মুখের দুর্গন্ধ দূর

লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ ভিনেগার ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলি করে ফেলুন। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করে এক নিমিষে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে দিবে।
৭। মাশকারা সমস্যা
অনেক সময় চোখের পাঁপড়িতে মাশকারা দেওয়া সময় পাঁপড়িগুলো একটি আরেটির সাথে লেগে যায়। এই সমস্যা সমাধান করে দিবে একটি টুথপিক। টুথপিক দিয়ে চোখের পাঁপড়িগুলো প্রতিটি আলদা আলদা করে নিন। এতে আপনার মাশকরাও নষ্ট হবে না আবার চোখের পাঁপড়িগুলো আলাদা আলাদা হয়ে যাবে।
এছাড়াও আরও কিছু সমস্যা সচরাচর দেখতে পাওয়া যায়। অনেক সময় লিপস্টিক দাঁতে লেগে যায়। সেটা এড়ানোর জন্য লিপস্টিকের উপর হালকা করে পাউডার লাগিয়ে নিন। তারপর আবার লিপস্টিক লাগিয়ে ফেলুন। লিপস্টিক আর ছড়াবে না। মেকআপের সময় ত্বকে ফাউন্ডেশন বেশি পড়ে গেলে ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে চেপে দিন ত্বকের সাথে।

কনট্যুরিং মেকআপে বদলে ফেলুন আপনার চেহারা

ranna banna o beauty tips
কনট্যুরিং মেকআপে বদলে ফেলুন আপনার চেহারা
আজকাল সাজে মেকআপের একটি কৌশল ব্যবহার হতে দেখা যায়, সেটি হল ‘কনট্যুরিং’। ভরাট গালটা কেটে কিছুটা চ্যাপ্টা করে দেওয়া, কিন্তু নাকটা আরোও একটু খাড়া করে দেওয়া হল কনট্যুরিং এর কাজ। হলিউড, বলিউডের অনেক তারকাকেই কনট্যুরিং মেকআপ নিতে দেখা যায়। এর মঝে জনপ্রিয় হলিউড নায়িকা কিম কারদাশিয়ানও আছেন। নিত্যদিনের মেকআপে আপনার কনট্যুরিং করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু পার্টি বা বিয়ের অনুষ্ঠানে করে নিতে পারেন এইরকম ভিন্নধর্মী মেকআপটি। সবসময় তো আর মেকআপ করার জন্য পার্লারে যাওয়া সম্ভব নয়। বাসায় নিজে করে নিতে পারেন কনট্যুরিং মেকআপ। এটি খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। কিছু কৌশল জানা থাকলে আপনি নিজেই করে নিতে পারেন কনট্যুরিং মেকআপ। মুখের ধরণ অনুযায়ী কনট্যুরিং মেকআপে রয়েছে ভিন্নতা। মুখের ধরণ অনুযায়ী কেমন ধরণের কনট্যুরিং মেকআপ করবেন তা দেখে নিন ছোট এই ভিডিওতে।
যা যা লাগবে:

১টি লাইট ফাউন্ডেশন বা কনসিলার
১টি ডার্ক ফাউন্ডেশন বা কনসিলার
মিনারেল ব্রোঞ্জ পাউডার বা ব্রোঞ্জ ফেইস পাউডার বা ম্যাট পাউডার
মেকআপ ব্রাশ
মোটা ভালো মানের স্পঞ্জ বা বিউটি ব্লেন্ডার
যেভাবে করবেন:

১। প্রথমে মুখে ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার দিয়ে বেস মেকআপ করে নিন।
২। এবার চিবুক, নাক, কপাল যেসব স্থানে কনট্যুর করতে চান সেখানে গাঢ় রঙের ফাউন্ডেশন বা কনসিলার দিয়ে দাগ দিন।
৩। এবার যেসব ব্রাশ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিন।
৪। তারপর মিনারেল ব্রোঞ্জ পাউডার স্পঞ্জ দিয়ে ভাল করে ত্বকে মিশিয়ে নিন।
৫।  ব্যস হয়ে গেল কনট্যুর মেকআপ সম্পূর্ণ। আপনি চাইলে কনট্যুরিং ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.