hair লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
hair লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬

খুশকির কারণে চুল পড়া রোধ করতে চান?

ranna banna o beauty tips
খুশকির কারণে চুল পড়া রোধ করতে চান?
চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে মনবল নষ্ট হয়ে যায় অনেকেরই। ভিটামিনের ঘাটতি থেকে শুরু করে জটিল কোন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে চুল পড়তে পারে। চুল পড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে খুশকি। কীভাবে খুশকির কারণে চুল পড়ে যায় এবং এই চুল পড়া প্রতিরোধের উপায় কী- তাই জানবো আজ।

অত্যধিক চুলকানো ও আঁচড়ানো

খুশকি চুল পড়ে যাওয়ার জন্য সরাসরি দায়ী নয়। খুশকির কারণে প্রচন্ড চুলকানি হয়। চুলকানি কমানোর জন্য চুল ঘন ঘন আঁচড়ানোর ফলে মাথার তালু শুষ্ক হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত ঘর্ষণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল পড়া শুরু হয়। মাথার তালুর শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল এবং চুলকানিও প্রতিরোধ করে।    

ডারমাটাইটিস

মাথার তালুতে ডারমাটাইটিস হতে পারে সাবান, ডিটারজেন্ট বা রাসায়নিকের ব্যবহারের ফলে। ডারমাটাইটিসের কারণেও খুশকি হতে পারে এবং চুল পড়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাটির সমাধানের জন্য একজন ডারমাটোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।

ত্বকের কোষের স্খলন

খুশকির কারণে মাথার তালুর কোষ অধিক পরিমাণে ঝরে যায়। যা চুল পড়ে যাওয়া এবং চুলের বৃদ্ধির উপর ও প্রভাব ফেলে। আপনি হয়তো খুশকি দূর করার জন্য অ্যান্টিডেন্ড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন। কিন্তু মাথার তালুর এক্সফলিয়েটিং করার মত গুরুত্বপূর্ণ ধাপটিই হয়তোবা বাদ দিয়ে যাচ্ছেন আপনি। চুল পড়া বন্ধ করা এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এক্সফলিয়েটিং স্কাল্প মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।

ওটমিলের ফেসপ্যাক   

খুশকি মুক্ত হতে এবং চুল পড়া প্রতিরোধে সাহায্য করে ওটমিলের হেয়ার প্যাক। ওটমিলের হেয়ার প্যাক তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন এবং লাগানোর উপায় :

-   ৪ টেবিলচামচ ওটমিলের সাথে দুই টেবিলচামচ দুধ এবং দুই টেবিলচামচ আমন্ড অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।

-   আপনার চুলগুলোকে জটমুক্ত করে নিন এবং ওটমিলের প্যাকটি মাথার তালুতে ও চুলে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

-   সপ্তাহে ১ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। অত্যধিক তেলের উৎপাদন ও খুশকি মুক্ত হতে সাহায্য করবে ওটমিলের প্যাকটি।  

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হারবাল বিউটি টিপস

ranna banna o beauty tips
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হারবাল বিউটি টিপস
বেশিরভাগ নারীই উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরণের কসমেটিক পণ্য ব্যবহার করেন। যদিও এর দ্বারা উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া হয়না। আপনার ত্বকের জন্য ভেতর থেকে এবং বাহির থেকে পুষ্টি প্রয়োজন। কেমিক্যাল কসমেটিক এই পুষ্টি সরবরাহ করতে পারেনা এবং এরা কেবল বাহিরের ত্বকেই কাজ করে। প্যাকেটজাত পণ্য দীর্ঘদিন ব্যবহার করাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য হারবাল পণ্য ব্যবহার করুন। এই হারবাল উপাদানগুলো আপনার রান্নাঘরেই পাবেন এবং এরা দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের উপর ভালো প্রভাব ফেলে। চলুন তাহলে জেনে নিই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী ভেষজ উপাদানগুলো সম্পর্কে।

১। আঙ্গুর

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আঙ্গুর ব্যবহার করতে পারেন। কয়েকটি আঙ্গুর থেঁতলে নিয়ে আপনার মুখের ত্বকে লাগান।

২। শশা, গ্লিসারিন ও গোলাপজল

শশা থেঁতলে রস বের করে এর সাথে গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। বাহিরে যাওয়ার পূর্বে ও বাসায় ফেরার পরে এই ফেস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারলে উপকার পাবেন।

৩। চন্দন, হলুদ এবং দুধ

চন্দনের মিহি গুঁড়োর সাথে সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ও সতেজ হবে।

৪। মধু ও দুধের সর

দুধের সরের সাথে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়, বিশেষ করে শীতের দিনে।

৫। টাটকা দুধ, লবণ ও লেবুর রস

টাটকা দুধের সাথে এক চিমটি লবণ ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের ছিদ্রগুলো উন্মুক্ত হয়।

৬। টমেটোর জুস

টমেটোর জুসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।

৭। হলুদ গুঁড়ো, আটা ও তিলের তেল

হলুদ গুঁড়ো, আটা ও তিলের তেল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়, সেইসাথে ত্বকের উজ্জলতাও বৃদ্ধি পায়।

৮। বাঁধাকপির জুস ও মধু

বাঁধাকপির কিছুটা অংশ থেঁতলে রস বের করুন। এই রসের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করা যায়।

৯। গাজরের জুস

ত্বকের উজ্জ্বলতা প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করার জন্য গাজরের জুস চমৎকার কাজ করে। গাজর ছোট ছোট টুকরা করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস তৈরি করে নিতে পারেন।

১০। মধু ও দারচিনি গুঁড়ো

মধু ও দারুচিনি গুঁড়া ৩ : ১ অনুপাতে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে লাগিয়ে সারারাত রাখুন। এতে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়।

১১। অ্যালোভেরা জুস

অ্যালোভেরা জুস ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ দূর হয় এবং ত্বক হাইড্রেটেড থাকে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে চমৎকার কাজ করে।

১২। মুলতানি মাটি, গোলাপের পাপড়ি, নিম, তুলসি ও গোলাপজল

মুলতানি মাটির সাথে গোলাপের পাপড়ি, নিম পাতার গুঁড়ো, তুলসি পাতার গুঁড়ো ও গোলাপ জল বা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ ত্বক পাওয়া যায়।

বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬

বর্ষাকালে চুলের যত্ন

ranna banna o beauty tips
বর্ষাকালে চুলের যত্ন
বর্ষাকালে বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকে বলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয় বেশি। অনেকেই মনে করেন যে গ্রীষ্মকালে চুলের ক্ষতি অধিক। কিন্তু না, বর্ষাকালে চুলের বাহিরের কিউটিক্যাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চুল হয়ে পরে ভঙ্গুর, রুক্ষ ও শুষ্ক। বর্ষাকালে চুলের সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞের মতামত জেনে নিই চলুন।

১। চুল শুষ্ক রাখুন 

বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু বৃষ্টিতে বার বার আপনার চুল ভেজানোটা মোটেও উপকারী নয়। বৃষ্টির পানি এসিডিক হয় এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার চুলের দুর্দশাই কেবল বৃদ্ধি করবে। বর্ষায় বাহিরে যাওয়ার পূর্বে আপনার চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।

২। সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু করুন

চুল ও মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বৃষ্টিতে ভেজার পরে গোসল করে নিন। বৃষ্টির পানি দীর্ঘক্ষণ আপনার মাথায় থাকলে তা চুলকানির সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি আপনার চুলে ব্যাকটেরিয়াল বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং খুশকিও হতে পারে। অনেক ধরণের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই উচিৎ এবং হেয়ার স্প্রে এড়িয়ে চলুন।

৩। অয়েল ম্যাসাজ

আপনার ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। আপনার পছন্দের যেকোন তেল আপনার চুলের গোঁড়ায় ভালোভাবে ম্যসাজ করে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন বা একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে নিন মাথায়। এতে  আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হবে এবং চুলের শুষ্কতা দূর হবে।

৪। হেয়ার স্টাইল করা এড়িয়ে চলুন

বর্ষাকালে হেয়ার স্টাইল চুলের শুধু ক্ষতিই করে। বর্ষায় খুব শক্ত করে চুল বাঁধতে অনুৎসাহিত করা হয় কারণ এতে বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লে তা আবদ্ধ হয়ে থাকে এবং চলের আর্দ্রতাও বৃদ্ধি পায়। এতে চুলে গন্ধ হয় এবং চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে। হালকা করে চুল বাঁধুন। বর্ষায় চুল ছেটে ছোট করে রাখতে পারেন, এতে চুল পরিষ্কার করা ও যত্ন নেয়া সহজ হবে।

৫। অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট কিনুন হুডিসহ  

বর্ষায় যেকোন সময় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হবেনা এমন মনে হলেও বাহিরে যাওয়ার সময় সাথে হুডিসহ অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট রাখুন। অনেকেই এটা পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে সাথে একটি ছাতা রাখুন। আজকাল অনেক ধরণের রঙ্গিন ও ছোট ছাতা পাওয়া যায় যা ব্যাগে রাখা সম্ভব।

৬। হেয়ার মাস্ক

ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক কোন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন সপ্তাহে অন্তত একদিন। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।  

৭। প্রোটিন খান

ডারমাটোলজিস্ট ও কসমেটোলজিস্ট ডা. অপর্ণা সান্তারাম বলেন, “বর্ষায় চুলকে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান”।

এছাড়াও প্রতিদিন তাজা ফল, বাদান ও সবুজ শাকসবজি এবং ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন। চুলে  কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার লাগানোর পর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান যতে সব জায়গায় কন্ডিশনার পৌঁছে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।


মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬

চুল সিল্কি, খুশকিমুক্ত করবে বেসনের ৪ প্যাক

ranna banna o beauty tips
চুল সিল্কি, খুশকিমুক্ত করবে বেসনের ৪ প্যাক
রূপচর্চায় বেসনের ব্যবহার সেই আদিকাল থেকে হয়ে আসছে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, ব্রণ, রোদে পোড়া দাগসহ ত্বকের কালো দাগ দূর করতে বেসনের প্যাক অনেক বেশি কার্যকর। বেসন শুধু ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হয়, তা কিন্তু নয় চুল ঝলমলে, সিল্কি করতে বেসনের জুড়ি নেই। বেসনের প্যাক চুলকে করে তুলে ঝলমলে, সিল্কি এবং স্বাস্থ্যোজ্বল। কীভাবে? জেনে নিন বেসনের কিছু কার্যকরী হেয়ার প্যাক।

১। চুলের গোড়া মজবুত করতে

৩ টেবিল চামচ বেসন

১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

১ টেবিল চামচ লেবুর রস

টকদই পরিমাণমত

টকদই, বেসন, লেবুর রস এবং অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। বেসন চুলের গোড়া মজবুত করে চুল সিল্কি করে তোলে।

২। চুলকে সিল্কি ও শাইনি করতে

১ টি ডিমের সাদা অংশ

২ টেবিল চাচামচ বেসন

১ চা চামচ টকদই

১/২ চাচামচ লেবুর রস

এই সবগুলো উপাদান দিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এরপর চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।এই হেয়ার প্যাকটি নিয়মিত করাতে চুল হয়ে উঠবে সিল্কি, শাইনি স্বাস্থ্যজ্জল ও সুন্দর।

৩। চুলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে

৪ চা চামচ বেসন

২ চা চামচ আমন্ড অয়েল

৬ চা চামচ টক দই

২ চা চামচ অলিভ অয়েল

সবগুলো উপাদান একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি চুলের গোড়ায় ভালো মতো লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার প্যাকটি ব্যবহার করুন। আর চুল যদি বেশি শুষ্ক এবং ড্যামেজ হয়ে থাকে তাহলে এর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল যোগ করতে পারেন। এই প্যাকটি আপনার চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতে সাহায্য করবে। চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর সাথে ১ বা ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪। শুষ্ক এবং খুশকি আক্রান্ত চুলের জন্য

বেসন

টকদই

বেসন এবং টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে করবে খুশকি মুক্ত।  

বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬

কেমন চুল কতবার শ্যাম্পু করা উচিত আপনি জানেন কি?

ranna banna o beauty tips
কেমন চুল কতবার শ্যাম্পু করা উচিত আপনি জানেন কি?
চুল পরিচর্যায়  প্রথম ধাপটি হল শ্যাম্পু করা। শ্যাম্পু চুলের ময়লা, ধুলো, বালি পরিষ্কার করে। অনেকে মনে করেন শ্যাম্পু করা, তেল দেওয়া তো রোজকার কাজ। এই কাজগুলোর জন্য বাড়তি যত্নের কী আর প্রয়োজন আছে? এমন ধারণাটি ভুল। চুলের যত্নে একটি ছোট ভুল চুলের ক্ষতি করতে পারে বহুগুণ। চুল কতবার শ্যাম্পু করা উচিত-এমন প্রশ্ন প্রায় সব নারীদের মনে। কেমন চুল কত দিন পর পর শ্যাম্পু করবেন  তা নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। শুষ্ক চুল

আপনি যদি শুষ্ক বা ড্রাই চুলের অধিকারী হয়ে থাকেন, তবে প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকুন। শুষ্ক চুল সপ্তাহে দুইবার শ্যাম্পু করা উচিত। এবং শ্যাম্পু করার পর অব্যশই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

২। সিল্কি চুল

গবেষণায় দেখা গেছে যে, তৈলাক্ত চুল বেশি তেল শোষণ করে অন্যান্য চুলের তুলনায়। এই কারণে এটি চুল শ্যাম্পু করার প্রয়োজন পড়ে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার চুল শ্যাম্পু করা উচিত। ঘরের বাইরে যদি প্রতিদিন বের হতে হয়, তবে প্রতিদিন শ্যাম্পু করা প্রয়োজন।

৩। মাঝারি, মোটা চুল

মাঝারি চুল সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করা প্রয়োজন। এটি তৈলাক্ত চুলের মত তেল শোষণ করে না। তবে চুলের ময়লা, তেল পরিষ্কার করার জন্য সপ্তাহে দুইবার শ্যাম্পু করা প্রয়োজন।

৪। ভারি চুল

ভারি চুল রোজ রোজ শ্যাম্পু করার প্রয়োজন পড়ে না। সপ্তাহে একদিন শ্যাম্পু করা প্রয়োজন ভারি চুলের জন্য। তবে হ্যাঁ ঘরের বাইরে যদি বেশি যাওয়া হয় তার জন্য বেশি শ্যাম্পু করা প্রয়োজন পড়ে।

শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন।

১। একই শ্যাম্পু খুব বেশিদিন ব্যবহার করা উচিত নয়।

২। চুলে শ্যাম্পু করার আগে চুল ভাল করে ভিজিয়ে নিন।

৩। চুলের ধরণ অনুযায়ী শ্যাম্পু পছন্দ করা উচিত।

৪। শ্যাম্পু করার সময় চুল অতিরিক্ত ঘষা থেকে বিরত থাকুন।

৫। চুল পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

চুলের রঙে চেহারায় পান নতুনত্ব

Ranna banna o beauty tips
চুলের রঙে চেহারায় পান নতুনত্ব
নিজের চেহারায় নতুনত্ব চান। কিন্তু উপায় কি? সবচেয়ে সহজ উপায় হতে পারে আপনার চুলের স্টাইল বদলে নেয়া। মাথার চুলকে কেটেছেঁটে নতুন ডিজাইন আর সঙ্গে থাকুক নানা ঢঙে চুলের রঙ। ব্যস, চেহারায় পেয়ে যান পরিবর্তনের ছোঁয়া। তবে তার আগে জেনে নেয়া দরকার হালের ফ্যাশনে চুলের রঙের ধরনটা কেমন চলছে?

হুট করেই চুলের রঙ পরিবর্তন না করিয়ে বরং আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিন। চুলের রঙ আপনার শরীরের রঙের সঙ্গে না মিললে তা দেখতে বাজে দেখাবে। অনেক সময় সঠিক চুলের রঙ বাছাইয়ের অভাবে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। রঙ করানোর পর চুল রুক্ষ্ম, অমসৃণ হয়ে যাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়া ইত্যাদি হতে পারে। সে কারণে চুলের একটু বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন। তাই রঙ বাছাইয়ে ভালো ব্র্যান্ডকে প্রাধান্য দিতে হবে। এছাড়াও চুলের যত্নে একটু সময় ব্যয় করার মানসিকতা রাখতে পারলে তবেই চুলে রঙ করানোর সিদ্ধান্ত নিন।

অস্কার ব্লান্ডি স্যালনের শীর্ষ চুলের রং বিশেষজ্ঞ কাইল হোয়াইটের মতে, বর্তমানে চুলের রঙের ট্রেন্ড হলো স্বর্ণরঙা প্লাটিনাম। সঙ্গে বেছে নিতে পারেন ক্যারামেল রঙ। এছাড়াও ওমব্রেটাও কিন্তু বেশ চলছে। অর্থাৎ কাছাকাছি রঙের দুই রকম শেডের ব্যবহারও আপনি করতে পারেন।
আপনার চোখ ও ত্বকের বর্ণ যদি সোনালি, বাদামি বা হলুদ হয়, তাহলে চুলের রঙ লালচে, বাদামি, মেহগনি, সোনালি ইত্যাদি হওয়া উচিৎ। চোখ ও ত্বকের রঙ গোলাপি ধরনের হলে ধূসর বা প্লাটিনামের শেডগুলো, বেশ মানিয়ে যাবে। আমাদের দেশের মানুষের ত্বকের রঙ অনুযায়ী চুলের রঙ কখনোই একেবারে সাদা বা ধূসর হওয়া উচিৎ নয়। তাই এমন কোনো রঙ পছন্দ করতে হবে, যাতে ত্বকের রঙের সঙ্গে চুলের রঙের সুন্দর একটা মিশ্রণ থাকে।

বাড়িতে বসেই যেকোনো এক রঙে পুরো চুল রাঙানো বা হালকা হাইলাইট করা সম্ভব। বাড়িতে যারা চুল রঙ করতে চান, তারা প্যাকেটে প্রস্তুত রঙের নির্দেশনা অনুসরন করতে পারেন। বাড়িতে চুল রঙ করার সময় খেয়াল রাখবেন, যাতে চুলের গোড়ায় সেটা বেশি না লাগে। মাথার ত্বকে রঙ লাগলে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদি কয়েক রঙের শেড চান অথবা ওমব্রে করাতে চান, তাহলে পেশাদার কারও সাহায্য নেয়া ভালো।

চুল রঙ করানোর পর অন্তত এক দিন অপেক্ষা করুন। প্রথম কয়েক দিন চুলে ফ্ল্যাট-আয়রন ব্যবহার করুন, এতে চুলের রঙ দীর্ঘস্থায়ী হবে। অবশ্যই কোমল কোনো শ্যাম্পু অথবা রঙ করা চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধোয়া সবচেয়ে উত্তম।


বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫

শীতে আর চুলের আগা ফাটা নয়

ranna banna o beauty tips
শীতে আর চুলের আগা ফাটা নয়
শীতের শুষ্ক হাওয়ায় ত্বকের সঙ্গে চুলও রুক্ষ্ম হয়ে যায়। ঝলমলে মসৃণ চুলগুলো হয়ে ওঠে নিষ্প্রাণ। কিছুদিন পর দেখা দেয় চুলের আগা ফাটার সমস্যা। বছরের অন্যান্য সময় এই সমস্যা একটু কমই দেখা দেয়। সেজন্য শীতের শুরুতেই চুলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা জরুরি। আগেভাগেই নিতে পারেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

- একটি ডিমের সঙ্গে এক চা চামচ মধু আর কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলে লাগান। বিশেষ করে চুলের আগায় বেশি করে লাগাতে হবে। এবার ২০ মিনিট রেখে কোনো মাইল্ড শাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

- চুলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

- দুটি এভোক্যাডো নিন। এরপর ভালো করে মেশান। অল্প মধু নিন। আর পেস্ট বানিয়ে নিন। চুলে লাগান, বিশেষ করে চুলের আগায়। ২০ মিনিট পরে ধুয়ে নিন।

- শীতের শুরুতে একবার চুল ছাঁটতে পারেন। নিজের পছন্দমতো আকারে হালকা করেও চুল ছেটে নিলে আর ফাটার ভয় থাকে না।

- চুলের আগা ফাটা রোধ করার পাশাপাশি চুলের কোমলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে হট টাওয়েল পদ্ধতি। প্রথমে চুলে ভালো করে তেল লাগান। গরমপানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চিপে নিতে হবে। এবার এই তোয়ালে গরম থাকা অবস্থায় পুরো মাথায় জড়িয়ে ফেলুন। দশ মিনিট পর খুলে ফেলুন। এভাবে তিন থেকে চারবার করুন। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

- অলিভ অয়েল চুলের জন্য খুবই উপকারী। চুলের গোড়ার সঙ্গে চুলের আগাতেও অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিন। চুলের আগা ফাটার পরিমাণ কমে যাবে।

- চায়ের ঠাণ্ডা লিকার কন্ডিশনার হিসেবে খুবই ভালো। চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করতেও এর জুড়ি নেই। একটি পাত্রে চায়ের লিকার নিয়ে চুলের আগা তাতে ডুবিয়ে রাখুন দশ মিনিট। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত চায়ের লিকার ব্যবহারে চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ হবে।

মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫

চুলের যত্নে মেহেদী

চুলের যত্নে মেহেদী
বহুকাল পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনো মেহেদী পাতার কদর কমেনি একটুও। এখনো সৌন্দর্য সচেতন নারীরা নিজের চুল গুলোকে সুন্দর ও ঝলমলে রাখার জন্য ব্যবহার করেন মেহেদী পাতা। জেনে নিন চুলের যত্নে মেহেদী পাতার কিছু ব্যবহার সম্পর্কে।

চুল পড়া কমাতে

অনেকেই চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন। যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে তারা চুল পড়া কমানোর জন্য মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন। মাসে দুই বার মেহেদী বাটা পুরো চুলে লাগিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। মেহেদীর সাথে আমলকীর গুড়া বা আমলকী বাঁটা মিশিয়ে নিলে আরো বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

কন্ডিশনার হিসেবে

কন্ডিশনার হিসেবে মেহেদীর জুড়ি নেই। দুই সপ্তাহ পরপর মেহেদী বাটার সাথে ডিমের সাদা অংশ ও কলা মিশিয়ে নিন। এরপর মিশণটি পুরো চুলে ভালো করে মেখে নিন। মাথায় শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। এভাবে একঘন্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়ম মেনে দুই সপ্তাহ পরপর ব্যবহার করলে চুলের ভঙ্গুর ভাব দূর হবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

চুল রাঙাতে

যাদের চুল পেকে গিয়েছে অথবা একটু একটু পাকা শুরু করেছে তারা বেশ দুশ্চিন্তায় থাকেন সাদা চুলগুলো নিয়ে। কিভাবে সাদা চুল ঢাকবেন তা নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। চুলের রং ব্যবহারেরও আছে নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই চুলের রঙও ব্যবহার করতে ইচ্ছে করে না। যারা এমন সমস্যায় আছেন তারা চুল রাঙাতে ব্যবহার করতে পারেন মেহেদী। মেহেদী পাতা বেঁটে চায়ের ঘন লিকার অথবা কফির লিকার মিশিয়ে নিন। এতে রং ভালো হবে।

খুশকির থেকে মুক্তি পেতে

খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও মেহেদীর জুড়ি নেই। যারা খুশকি সমস্যাতে আছেন তারা খুব সহজেই মেহেদী পাতা ব্যবহার করে খুশকির থেকে রেহাই পেতে পারবেন। মেহেদী বাঁটার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পুরো মাথায় মেখে রাখুন এক ঘন্টা। এরপর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মাসে দুইবার ব্যবহার করলে খুশকি থাকবে না।

আমাদের টিপস গুলো অবহেলা করবেন না। লাইক দিয়ে সব সময় এক্টিভ থাকুন।
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.