health tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
health tips লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬

সপ্তাহে ৭দিন ব্যবহার করুন ৭টি ভিন্ন ফেসপ্যাক

ranna banna o beauty tips
সপ্তাহে ৭দিন ব্যবহার করুন ৭টি ভিন্ন ফেসপ্যাক
ত্বক সচেতন নারীরা রূপচর্চায় নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন। শত ব্যস্ততার মাঝে দিনের কিছুটা সময় বের করেন ত্বকের যত্নের জন্য। একই ফেসপ্যাক বার বার ব্যবহার করার পরিবর্তে সপ্তাহে সাত দিন সাতরকম ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের অনেকগুলো সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে সাথে ত্বক হয়ে উঠবে নিখুঁত উজ্জ্বল। শনিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন এই প্যাকগুলো।    

১। শনিবার

সপ্তাহ শুরু করুন মধু এবং লেবুর ক্লিনজার দিয়ে। লেবু এবং মধু একসাথে মিশিয়ে নিন। এটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করেন। এই প্যাক ব্যবহারের পূর্বে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। ত্বকের কালো দাগ এবং সানবার্ন দূর করে দেবে এই প্যাকটি।

২। রবিবার

ত্বক পরিষ্কার করার পর ব্যবহার করুন স্ট্রবেরি প্যাক। স্ট্রবেরি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এটি চটকে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই প্যাকটি ত্বক ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে স্ট্রবেরির সাথে দুধ বা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩। সোমবার

ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে টকদইয়ের জুড়ি নেই। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে ত্বক নরম কোমল করে তোলে এটি। সেনসিটিভ ত্বকের জন্য টকদই বেশ উপকারি। টকদই সরাসরি অথবা কোন প্যাকের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

৪। মঙ্গলবার

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বেসন বেশ কার্যকর। বেসন এবং দুধ একসাথ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি ত্বক থেকে কালো দাগ দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৫। বুধবার

ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য মুলতানি মাটির প্যাক অনেক কার্যকর। মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল একসাথে মেশান। এই প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করবে তার সাথে ব্রণের দাগ দূর করে দেবে।

৬। বৃহস্পতিবার

বৃহস্পতিবার ব্যবহার করুন হলুদের ফেসপ্যাক। ত্বকের প্রায় সবধরণের সমস্যা দূর করে দেয় হলুদের ফেসপ্যাক। হলুদ এবং দুধ একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন। হলুদের নির্যাস দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৭। শুক্রবার

সপ্তাহ শেষ করুন চালের পানি দিয়ে। চাল সিদ্ধ করার পর তার পানি ফেলে না দিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের কালো দাগ, মেছতার দাগ দূর করবে। এরসাথে বলিরেখা পড়া রোধ করবে।

বুধবার, ৮ জুন, ২০১৬

চাইনিজ স্টাইলে ফিশ ফিঙ্গার

ranna banna o beauty tips
চাইনিজ স্টাইলে ফিশ ফিঙ্গার
ফাস্ট ফুড মানে কি শুধুই মাংস? না, মাছ দিয়েও হয় কিছু ফাস্ট ফুড। এদের মাঝে সবচাইতে পরিচিত হলো ফিশ ফিঙ্গার। মাছের কিমা দিয়ে নয়, আজ চলুন দেখে নিই মাছের টুকরো অর্থাৎ ফিলে দিয়ে তৈরি অন্যরকম একটি ফিশ ফিঙ্গারের রেসিপি। চাইনিজ স্বাদের এই ফিশ ফিঙ্গার তৈরি করতে পারবেন কম কাঁটাওয়ালা যেকোনো মাছ দিয়ে। আপনার ঝামেলাটাও হবে কম।

উপকরণ
- মাছের কাঁটা ছাড়া টুকরো লম্বা আঙ্গুলের মতো করে কাটা
- ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
- ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
- ১/২টা টাটকা লাল মরিচ কুচি
- গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- লবণ স্বাদমতো
- ১ চা চামচ সয়াসস
- ২/৩ চা চামচ অয়েস্টার সস
- ৬/৮টা টাটকা তুলসি পাতা/বেসিল পাতা
- ব্রেড ক্রাম্ব পরিমাণমতো
- ১টা ডিম
- গার্নিশ করার জন্য পিঁয়াজপাতা কুচি

প্রণালী
১) ভাজার জন্য প্রয়োজনমত তেল প্যানে গরম হতে দিন।
২) মাছ লম্বা করে কেটে নিন। এগুলোকে একটা বোলে নিয়ে এতে দিন রসুন, মরিচ, গোলমরিচ, লবণ, সয়াসস এবং অয়েস্টার সস। সব উপকরণ ভালো করে মাখিয়ে নিন। এরপর বেসিল পাতা ছিঁড়ে এতে দিয়ে আবার মেশান। ম্যারিনেট হতে দিন কিছুক্ষণ।
৩) ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন ফিশ ফিঙ্গারগুলোকে।
৪) ডিম ফেটিয়ে নিন এবং এতে ফিশ ফিঙ্গার ডুবিয়ে নিন। এরপর আবার ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন।
৫) তেল গরম হলে ডিপ ফ্রাই করে নিন ফিশ ফিঙ্গারগুলো। মুচমুচে সোনালি করে ভেজে তুলুন। কিচেন টাওয়েলে তেল ঝরিয়ে নিন।

মজাদার চিকেন ব্রেড পিজ্জা

ranna banna o beauty tips
মজাদার চিকেন ব্রেড পিজ্জা
এই রোজায় ইফতারে কি খাচ্ছেন? সেই সবসময়ের মতো পিঁয়াজু-বেগুনি-আলুর চপ? একটু স্বাদ বদলে চমকপ্রদ কিছু তৈরি করতে চাইলে দেখে নিন আজকের চিকেন ব্রেড পিজ্জার রেসিপিটি। মাংস, পনির এবং ক্যাপসিকামের দারুণ স্বাদে ইফতারে আপনার মনটাই ভালো হয়ে যাবে। পেট ভরাতে সহায়ক এই স্ন্যাক্সটি ইফতার পার্টিতে পরিবেশন করতে পারেন, আবার প্রতিদিনের ইফতারেও রাখতে পারেন। চলুন দেখে নিই সহজ রেসিপিটি।

উপকরণ
- ২টা গ্রিলড চিকেন ব্রেস্ট, শ্রেড করা
- ৮টা পাউরুটির স্লাইস
- পিজ্জা সস প্রয়োজনমতো
- ২ টেবিল চামচ মাখন
- ১ চা চামচ রসুন কুচি
- আধা চা চামচ শুকনো মরিচ
- ৩/৪টা ফ্রেশ বেসিল পাতা
- ১ কাপ বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকামের লম্বা টুকরো
- ২০০ গ্রাম মোজারেলা চিজ, ছোট কিউব করে কাটা
- ফ্রেশ অরিগানো প্রয়োজনমতো

প্রণালী
১) ওভেন ১৮০ ডিগ্রিতে প্রিহিট হতে দিন।
২) একটি পাত্রে মাখন নিন। এতে শুকনো মরিচ ভেঙ্গে নিন। রসুন এবং বেসিল পাতা ছিঁড়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৩) মাখনের মিশ্রণ প্রতিটি রুটির স্লাইসের ওপরে মাখিয়ে নিন এবং একটি বেকিং ট্রেতে রাখুন। এবার প্রিহিটেড ওভেনে দিয়ে ৪-৬ মিনিট বা মুচমুচে হওয়া পর্যন্ত বেক করে নিন।
৪) মুচমুচে এই ব্রেড স্লাইসের ওপরে পিজ্জা সস দিয়ে নিন। এর ওপরে চিকেন, ক্যাপসিকামের টুকরো, মোজারেলার টুকরো এবং কিছু অরিগানো দিয়ে দিন। এবার প্রিহিটেড ওভেনে আবার দিয়ে দিন। চিজ গলে যাওয়া পর্যন্ত বেক করে নিন।


মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করুন সহজ এবং কার্যকরী ৫ হেয়ার প্যাকে

ranna banna o beauty tips
চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করুন
লম্বা চুলের খুব সাধারণ একটি সমস্যা হল চুলের আগা ফাটা। চুলের আগা ফেটে দুই ভাগ হয়ে যাওয়াকে মূলত আগা ফাটা বলে। এর কারণে চুলে কোন হেয়ার স্টাইল যেমন মানায় না তেমনি চুল লম্বা হয় না। বিভিন্ন কারণে চুলের আগা ফাটতে পারে। অতিরিক্ত চুল ধোয়া, সূর্যের রশ্নি, ধুলা বালি, দূষণে চুল থাকা, অতিরিক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার, গরম পানিতে চুল ধোঁয়া, চুলের যত্ন না নেওয়া, তেল না দেওয়া, কেমিক্যাল পণ্য অতিরিক্ত ব্যবহার করা ইত্যাদি চুলের আগা ফাটার অন্যতম কারণ। চুলের আগা ফাটা রোধ করার জন্য অনেক নামী দামী হেয়ার ট্রিটমেন্ট করে থাকেন, কিন্তু এতেও এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এই সমস্যার সহজ সমাধান পাবেন আপনার ঘরে! ঘরোয়া কিছু উপায়ে চুলের আগা ফাটা চিরতরে দূর করে ফেলুন।

১। ডিম
চুলের আগা ফাটা রোধে সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হল ডিম। ডিম, অলিভ অয়েল অথবা বাদাম তেল, মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এছাড়া একটি ডিম এক চামচ পানি দিয়ে ফেটে চুলে লাগিয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার করুন।

২। হট অয়েল ডিপ কন্ডিশনার
অলিভ অয়েল, বাদাম তেল, নারকেল তেল অথবা কাস্টার অয়েল কিছুক্ষণ গরম করে নিন। এটি চুলে ভাল করে ম্যাসাজ করে লাগান। ৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার করুন। এটি চুলে পুষ্টি যুগিয়ে চুলের আগা ফাটা রোধ করে দিবে।

৩। পেঁপে
পাকা পেঁপের সাথে আধা কাপ টকদই ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পেঁপেতে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং আরও অনেক ভিটামিন রয়েছে যা চুলকে নরম কোমল করার পাশাপাশি আগা ফাটা রোধ করে দিবে।

৪। কলা
একটি পাকা কলা, দুই টেবিল চামচ টকদই, গোলাপ জল এবং লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর প্যাকটি চুলে লাগিয়ে ফেলুন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন। কলার পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন এবং ভিটামিন সি, এ,ই চুলের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে আগা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে।

৫। মধু 
মধু এবং টকদই মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। জাদুকরী এই প্যাকটি দ্রুত চুলের আগা ফাটা দূর করে থাকে।

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

চুলের রুক্ষতা দূর করতে ৫টি সহজ ও কার্যকরী হেয়ার প্যাক

হেয়ার প্যাক
চুলের যত্নে অথবা ত্বক পরিচর্যায় ঘরে তৈরি প্যাক ব্যবহার করা নিরাপদ এবং কার্যকরী। বিশেষত চুলে নানা স্টাইল করার জন্য রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করে অনেক ক্ষতি করে ফেলি আমরা নিজের অজান্তেই। চুল আয়রন, রং করা, ব্লো ড্রাই ইত্যাদি কত কিছু না করা হয়। এতসব হেয়ার স্টাইলের কারণে চুল পড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে, চুল হয়ে যাচ্ছে রুক্ষ, মলিন। এই রুক্ষতা দূর করুন রান্নাঘরে থাকা কিছু সাধারণ উপাদান দিয়ে। এই প্যাকগুলো নামী দামী হেয়ার ট্রিটমেন্ট থেকে অনেক নিরাপদ এবং কার্যকরী।

১। ডিম এবং অলিভ অয়েল

২-৩ টি ডিম খুব ভাল করে ফেটে নিন। এবার এর সাথে ৫-৬ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভাল করে মেশান। এটি চুলে ভাল করে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। এটি চুলের গোঁড়ায় পৌঁছে চুলের রুক্ষতা ভিতর থেকে দূর করে দিয়ে থাকে।

২। ক্যামোমিল চা এবং আপেল সাইডার ভিনেগার

৩টি ক্যামোমিল টি ব্যাগ গরম পানিতে দিয়ে ২০-৩০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরসাথে ১/৪ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার এটি চুলে লাগিয়ে নিন। এটি চুলে ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি চুলকে নরম কোমল করার পাশাপাশি চুলকে হাইলাইট করে তুলবে।

৩। কলা, লেবু এবং মধু

পাকা কলা, লেবু এবং মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি খুব ভাল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে থাকে।

৪। কলা এবং বাদাম তেল

একটি পাকা কলা ম্যাশ করে নিন এবং এর সাথে ৩ ফোঁটা বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। বাদাম তেল এবং পাকা কলার প্যাক চুলে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ২৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে সাইনি এবং ঝলমলে করে তোলে।

৫। স্ট্রবেরি এবং মেয়নিজ হেয়ার প্যাক

একটি পাত্রে ৭-৯ টি স্ট্রবেরি ম্যাশ করে এতে ১ টেবিল চামচ মেয়নিজ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এইবার এই প্যাকটি চুলে লাগিয়ে নিন। ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। লক্ষ্য রাখবেন স্ট্রবেরিগুলো যেন পাকা হয়।

ব্রণ দূর করতে যে ৪টি উপাদান কার্যকর, যে ৪টি অকার্যকর

ব্রণ দূর করতে যে ৪টি উপাদান কার্যকর, যে ৪টি অকার্যকর 
ত্বকের সমস্যাগুলোর মাঝে অন্যতম হলো ব্রণ। খুব সহজেই এরা ত্বকে দাগ ফেলে দিতে পারে। কিন্তু সাধারণ একটা ব্রণের জন্য তো আর ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় না। এ কারণে আমরা বাড়িতেই এটাসেটা ব্যবহার করে ব্রণের উপদ্রব থেকে মুক্তি পাবার চেষ্টা করি। কিন্তু এসব উপায় কী সবসময় কাজ করে? ডার্মাটোলজিস্টদেড় মতে কিছু কিছু উপায় আসলেই কাজ করে, কিছু আবার উল্টো ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। চলুন জেনে নেই এগুলোর ব্যপারে।

কার্যকরী উপাদান- টি ট্রি অয়েল

গবেষণাতেই দেখা গেছে হালকা থেকে মাঝারি ধরণের ব্রণ দূর করতে এটি বেশ কার্যকরী। জ্বালাপড়া করতে থাকা, লালচে ব্রণের উপশম করতে পারে টি ট্রি অয়েল। এই অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে ব্রণ দূর করতে পারে। এটা ব্যবহার করার জন্য ৫ পার্সেন্ট টি-ট্রি অয়েল সলিউশন নিয়ে সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এই পানিতে একটা কটন বল ভিজিয়ে দিনে এক-দুইবার প্রয়োগ করুন ব্রণের ওপর।

কার্যকরী উপাদান- অ্যাসপিরিন

অ্যাসপিরিন মূলত ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডসের ক্ষেত্রে কাজ করে ভালোভাবে। এটা এক ধরণের স্যালিসাইলিক এসিড, যা কিনা অনেক ব্রণ দূর করার ক্রিমে থাকে। এটা পোর খুলে দিতে সাহায্য করে এবং ব্ল্যাকহেড বা হোয়াইটহেড দূর করে দেয়। এটা কীভাবে ব্যবহার করবেন? দুটো অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে নিন, ২ টেবিল চামচ পানির সাথে মেশান এবং এই পেস্ট ব্রণে দিয়ে রাখুন এক-দুই মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন।

কার্যকরী উপাদান- অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

ত্বকের ওপর অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের প্রভাব নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি কিন্তু এটার অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণ দূর করতে উপকারী হতে পারে। এটা অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট, এ কারণে তেল কমাতেও কার্যকরী। টি ট্রি অয়েলের মতোই সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে এটা ব্যবহার করতে হবে। এই মিশ্রণ তুলোয় ভিজিয়ে এক-দুই মিনিট ব্রণের ওপর রাখতে হবে।

কার্যকরী উপাদান- গ্রিন টি

গ্রিন টিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে এটা ব্রণের যন্ত্রণা কমায় আর ব্যাকটেরিয়াও দূর করে। কিছুটা গ্রিন টি তৈরি করে এটা ঠাণ্ডা করে একটা কাপড় ভিজিয়ে মুখে দিতে পারেন। অথবা টি ব্যাগটাকে ঠাণ্ডা করে সরাসরি ব্রণের ওপর রাখতে পারেন ২০ মিনিট পর্যন্ত।

এ তো গেলো কার্যকরী উপাদানের কথা। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন কিছু উপাদানও ব্যবহার করে থাকি যা আদতে ত্বকে প্রয়োগ করা মোটেই উচিৎ নয়। বরং এগুলোর ব্যবহারে ব্রণের উপদ্রব আরও বেড়ে যেতে পারে। দূরে থাকুন এসব উপাদান থেকে-

সবচাইতে খারাপ- রাবিং স্পিরিট

কারণ এটি ত্বক থেকে উপকারী তেল এবং প্রোটিন শুষে নেয়। ফলে ত্বকের অবস্থা আগের চাইতেও খারাপ হয়ে যায়।

বেশ খারাপ- টুথপেস্ট

ব্রণ দেখা দিলেই সাথে সাথে টুথপেস্ট লাগাতে হবে সেখানে, এমনটা যারা ভাবেন তারা ভুল। কারণ আমাদের দাঁতের মতো শক্তি জিনিসে প্রয়োগের জন্য টুথপেস্ট তৈরি করা হয়, ত্বকের মতো কোমল জায়গায় নয়। এটা ত্বক শুকিয়ে এবং জ্বালাপোড়া তৈরি করে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।

মোটামুটি খারাপ- লেবুর রস

লেবুর রস খারাপ, কারণ এটাও তেল শুষে নেয় ত্বক থেকে। আর এতে থাকা ফ্রুট এসিড ত্বকে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে এটা দেবার পর যদি আপনি রৌদ্রে যান তাহলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, হতে পারে র‍্যাশ।

তেমন ক্ষতিকর না হলেও অকার্যকর- মধু

মধু ত্বকের জন্য কোমল, এটা তেমন কোন ক্ষতি না করলেও আসলে ব্রণ দূর করতে তেমন কার্যকরী নয়। আর মধু ভারি হওয়ার কারণে এটা ত্বকের পোর বন্ধ করে উল্টো নতুন নতুন ব্রণ তৈরি করতে পারে।

শুধু এগুলোই নয়। ডাক্তারের দেওয়া ব্রণের ওষুধ ব্যবহার করেও দেখা যায় অনেকে ফল পান না, ব্রণ থেকেই যায়। যেসব ভুলের কারণে আপনার ব্রণ দূর হচ্ছে না তা হলো-
- মুখ পরিষ্কার না করেই ওষুধ দেওয়া
- আপনি বেশি স্ট্রেসে আছেন
- আপনার পোর বন্ধ হয়ে আছে
- আপনি বেশি ঘন ঘন মুখ ধুয়ে থাকেন
- আপনি অতিরিক্ত এক্সফলিয়েট করেন
- আপনি খুব বেশি বা খুব কম পরিমাণে ওষুধ ব্যবহার করেন

প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর না হলে আপনি ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন অবশ্যই। নিজে নিজে ত্বকে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করা থেকে বিরত থাকুন, ইনফেকশন হয়ে গেলে দাগ বসে যেতে পারে।

নিজেই তৈরি করে ফেলুন ত্বকের উপযোগী সানস্ক্রিন লোশন

ranna banna o beauty tips
সানস্ক্রিন লোশন
এই গরমে কোন প্রসাধনীটা মেয়েরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, সানস্ক্রিন লোশন। সানস্ক্রিন লোশন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার কথা চিন্তাই করা যায় না। বিশেষত যাদের দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকতে হয়, তাদের জন্য সানস্ক্রিন একটি অপরিহার্য প্রসাধনীর নাম। বাজারে নানা ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন কিনতে পাওয়া যায়। অনেকেই বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে চান না। বিশেষত যারা
সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী তাঁদেরকে বাজারের সানস্ক্রিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হয়। আপনি চাইলে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন সানস্ক্রিন লোশন। কেমিক্যালমুক্ত সম্পূর্ণ পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়া এই লোশন আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে রক্ষা করে থাকবে।
যা যা লাগবে:
নারকেল তেল- এসপিএফ উপাদন সমৃদ্ধ
শিয়া বাটার- ত্বককে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করে থাকে।
জোজবা অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল অথবা তিলের তেল- এই তেলগুলো খুব সহজে ত্বকে মিশে যায় এবং ত্বককে রক্ষা করে থাকে।
ইউক্যালিপ্টাস তেল এবং ল্যাভেন্ডার তেল- ইউক্যালিপ্টাস তেলে খুব অল্প পরিমাণে এসপিএফ থাকে এবং ল্যাভেন্ডার তেল ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে লেবু বা লেমন এ্যাসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ভিটামিন ই অয়েল- ত্বককে ময়োশ্চারাইজ এবং পুষ্টি দিয়ে থাকে।
জিংক অক্সাইড (নন ন্যানো)- এটি সূর্যের ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্নি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। তবে খেয়াল রাখবেন জিংক অক্সাইড যেন নন-ন্যানো অর্থ্যাৎ টক্সিন মুক্ত হয়।
যেভাবে তৈরি করবেন
১। নারকেল তেল, শিয়া বাটার এবং জোজোবা/তিল/ সান ফ্লাওয়ার তেল একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন। একটি বড় পাত্রে পানি দিয়ে চুলায় দিন।
২। এবার এই পাত্রটির ভিতরে নারকেল তেলের পাত্রটি দিয়ে দিন।
৩। যতক্ষণ পর্যন্ত না শিয়া বাটার গলে যায়, ততক্ষণ এটি চুলায় রাখুন।
৪। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এবার এতে জিঙ্ক অক্সাইড, ভিটামিন ই এবং অন্যান্য এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন।
৫। জারে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন। এটি ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যবহারের পর অব্যশই সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রাখুন।
যে পরিমাণে জিঙ্ক অক্সাইড ব্যবহার করবেন
এসপিএফ ২-৫:৫% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ৫-১১: ১০% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ১২-১৯: ১৫% জিঙ্ক অক্সাইড
এসপিএফ ২০ এর উপর: ২০% জিঙ্ক অক্সাইড

টিপস:
·       দিনের মধ্যভাগ সময়ে সূর্যের আলোতে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
·       রোদে ছাতা ব্যবহার করুন।
·       এছাড়া বড় কোন হ্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
·       হালকা রং এর ঢোলাঢালা পোশাক ব্যবহার করুন।

যেভাবে কিচেন সাজালে কমবে আপনার ওজন!

ranna banna o beauty tips
যেভাবে কিচেন সাজালে কমবে আপনার ওজন!
অনেকের জন্যই ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি একটি অনন্ত প্রক্রিয়া। দেখা যায় কোনো একটি ব্যায়াম বা ডায়েট অনুসরণ করে কিছুদিনের জন্য ওজন কমলেও দ্রুতই তারা আবার ওজনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সবসময় খাওয়া দাওয়ার ওপর নজর রাখার মতো মানসিক শক্তি সবার থাকেও না। এমন একটি কৌশল আছে যাতে নিজের সচেতন ইচ্ছে ছাড়াই আপনার খাওয়া থাকবে নিয়ন্ত্রণে। আর তার জন্য আপনার কিচেনে আনতে হবে ছোট্ট কিছু পরিবর্তন। চলুন, দেখে নেই ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এসব পরিবর্তনের কথা।

১) স্ন্যাকজাতীয় খাবার রাখুন চোখের আড়ালে

আমরা সহজেই মিষ্টি কেক, বিস্কুট, চানাচুর এসবের দিকে হাত বাড়াই কারণ এগুলো থাকে টেবিল বা শেলফে, হাতের নাগালেই। এগুলো চোখের সামনে থাকার কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের BMI বেড়ে যেতে পারে। অপরদিকে, স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোকে চোখের সামনে রাখার ফলে সুস্থ ও ছিপছিপে শরীর ধরে রাখা সম্ভব হয়। যারা রান্নাঘরে ফল সাজিয়ে রাখেন তাদের BMI অন্যদের তুলনায় কম হতে দেখা যায়।

২) সুন্দর ডেজার্টের বাটি ব্যবহার বন্ধ করুন

অন্যরকম, সুন্দর ডিজাইনের মিষ্টি বা আইসক্রিম খাওয়ার বাটি বা চামচ আপনার এসব খাবার খাওয়ার ইচ্ছে অবধারিতভাবেই বাড়িয়ে দেবে। ডেজার্টের জন্য আলাদা বাটি না রেখে সাধারণ বাটি ও চামচ ব্যবহার করুন।

৩) ছোট প্লেট ব্যবহার করুন

স্বাভাবিক আকারের প্লেট ব্যবহারের বদলে খাওয়ার সময়ে ব্যবহার করুন হাফ প্লেট বা সালাদ প্লেট। তবে সাধারণ প্লেটের চাইতে খুব বেশি ছোট প্লেট ব্যবহার করবেন না। তাতে দেখা যাবে আপনি বারবার খাবার বেড়ে নিচ্ছেন এবং শেষতক খাওয়া কমার বদলে বেড়ে যাবে। ভাতের প্লেটের বদলে একটু ছোট একটা হাফ প্লেটে খাবার খান। এতে আপনার মনে হবে প্লেটটা বেশি ভোরে আছে এবং আপনার তৃপ্তির পরিমাণটাও বেশি হবে।

৪) টেবিলে বেশি খাবার রাখবেন না

খাবার আলাদা করে বোল-বাটিতে বেড়ে খাওয়ার টেবিলে রাখবেন না। এতে এক প্রস্থ খাওয়া হলে আপনি সহজেই খাবার তুলে নিয়ে আবার খেতে থাকবেন। বরং রান্নাঘর থেকে খাবার প্লেটে তুলে নিয়ে ডাইনিং রুমে চলে আসুন। এতে খাবার নিয়ে আসতে আপনার আবার উঠতে হবে। এই চিন্তা থেকেও আপনার খাওয়া কম হবে। আরেকটা কাজ করতে পারেন। অসাস্থ্যকর, ভারি খাবারগুলো রান্নাঘরে রাখত পারেন, কিন্তু স্বাস্থ্যকর সালাদটা রাখতে পারেন টেবিলে।

৫) বড় আকারের স্ন্যাক্সের প্যাকেট কিনবেন না

ফ্যামিলি সাইজের চিপস, বিস্কুট, চানাচুর ইত্যাদির প্যাকেট যদিও কেনা হয়, দেখা যায় আপনি একাই পুরোটা শেষ করে ফেলছেন, পরিবারের কেউ আর ভাগ বসাতে আসছে না। এমন জিনিস বাসায় পড়ে থাকলেও আপনার বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। নিজেকে যতই বোঝান না কেন একটু খেয়ে রেখে দেবেন, দেখা যায় অনেকটাই খাওয়া হয়ে যায়। ফলে আপনার ডায়েটের বারোটা বাজে। ছোট আকারের স্ন্যাক্সের প্যাকেট কিনুন। অথবা বড় প্যাকেট কিনে বাড়িতে এনেই ছোট ছোট জিপলক ব্যাগে আলাদা করে রাখুন অল্প অল্প পরিমাণে।

৬) ফ্রিজ সাজান বুদ্ধি করে

রেফ্রিজারেটরগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা থাকে যাতে সবজি থাকে একদম নিচে, যা চোখেই পড়ে না সহজে। আপনি মোটেও এই ডিজাইন অনুসরণ করতে যাবেন না। বরং ফল ও সবজি রাখুন এমন জায়গায় যাতে সহজেই চোখে পড়ে, ফ্রিজ খুললেই যেন দেখা যায় অনেকগুলো রঙ্গিন ফল-সবজি।

৭) ব্যবহার করুন চিকন গ্লাস ও সবুজ প্লেট

ছোট, মোটা গ্লাস বা মগে আপনি যতই পান করুন না কেন মনে হবে কম হয়ে গেলো। কিন্তু লম্বা, সরু গ্লাসে পানীয় পান করলে অল্পেই মনে হবে অনেকটা পান করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন কোক, পেপসি, অন্যান্য সফট ড্রিঙ্কস, মিল্কশেক এসব পান করার ক্ষেত্রে এই কৌশল কাজে আসবে। তবে অবশ্যই পানি পান করবেন প্রচুর পরিমাণে। আর প্লেটের রং কেন সবুজ করতে বলে হচ্ছে? কারণ সবুজ রঙের প্লেটে আপনি বেশি করে সবুজ সালাদ খেতে পারবেন। কিন্তু সাদাটে ধরণের খাবার যেমন শর্করা বা প্রোটিন খেতে গেলে তার রং এই সবুজের মাঝে বেশি বোঝা যাবে, ফলে এগুলো আপনি বেশি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হয়ে যাবেন।

এছাড়াও যেসব কাজ করতে পারেন তা হলো-
- স্বচ্ছ কন্টেইনারে রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার
- খাবার ঘরটাকে রাখুন গরম, কারণ ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় মানুষ বেশি খায়
- চিনির বদলে ব্যবহার করুন খেজুর
- সল্ট শেকার ব্যবহার না কর একটা বাটিতে লবণ রাখুন, হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে

রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

বারবিকিউ চিকেন উইংস তৈরির সবচাইতে সহজ উপায়

ranna banna o beauty tips
চিকেন উইংস
বিভিন্ন রেস্তরাঁয় সবসময়েই ভীষণ জনপ্রিয় একটি আইটেম হলো চিকেন উইংস। উইংসের বিভিন্ন ধরণের মাঝে আবার বারবিকিউ উইংসটাই বেশি মুখরোচক। বারবিকিউ সসে মাখা মুচমুচে এই উইংস আপনি কিন্তু নিজেও তৈরি করে নিতে পারেন বাড়িতেই। এতে খুব বেশি সময় লাগবে না। উপকরণও লাগবে কম। চলুন দেখে নেই প্রণালীটি।

উপকরণ

- সিকি কাপ বারবিকিউ সস
- ৮ পিস চিকেন উইং
- ১ টেবিল চামচ তেল
- ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
- লবণ স্বাদমতো
- গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
- ২ টেবিল চামচ ময়দা
- ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
- গার্নিশ করার জন্য পিঁয়াজকলি কুচি

প্রণালী

১) প্যানে ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম হতে দিন।
২) একটা বোলে চিকেন উইংগুলো নিন। এতে দিন লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং ময়দা। ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৩) গরম তেলে ডিপ ফ্রাই করে নিন যাতে সোনালি ও মুচমুচে হয়ে আসে। তেল ঝরিয়ে নিন কাগজে।
৪) ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে নিন নন স্টিক প্যানে। এতে রসুন দিয়ে আধা মিনিট সাঁতলে নিন। এতে বারবিকিউ সস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এতে ভাজা চিকেন উইংগুলোকে দিয়ে দিন। টস করে নিন যাতে বারবিকিউ সস এতে ভালো করে মেখে যায়। এক মিনিট রান্না হতে দিন।

এবার নামিয়ে ওপরে পিঁয়াজকলি কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।
ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

তৈরি করে ফেলুন ভারতীয় স্ট্রিট ফুড পুরি চাট

ranna banna o beauty tips
 তৈরি করে ফেলুন ভারতীয় স্ট্রিট ফুড পুরি চাট
খুব সহজেফুচকা, পানিপুরি, দোসা কিংবা ভেলপুরি মুখরোচক এই স্ট্রিট ফুডগুলো সবার বেশ পছন্দ। ভারতীয় খাবারগুলোর মধ্যে স্ট্রিট ফুডগুলো দুই দেশেই সমান জনপ্রিয়। পুরি চাট এমনি একটি মুখরোচক স্ট্রিট ফুড। চটপটে, টক, ঝাল, মিষ্টি স্বাদের এই খাবারটি খেতে দারুন লাগে। আসুন তাহলে পুরি চাটের রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ:

পুরি তৈরির জন্য
১/৪ কাপ ময়দা
১/৪ কাপ সুজি
১ চিমটি বেকিং সোডা
১/২ চা চামচ লবণ
তেল ভাজার জন্য
ঘুগনি তৈরির জন্য
১ কাপ ডাবরি ডাল
১ চা চামচ লবণ
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/৮ চা চামচ বেকিং সোডা
চাটের জন্য
২টি পেঁয়াজ কুচি
২টি টমেটো কুচি
২টি সিদ্ধ আলু
২টি কাঁচা মরিচ কুচি
৫০০ মিলিগ্রাম টকদই
১/২ কাপ তেঁতুলের চাটনি
২ চা চামচ লবণ
২.৫ চা চামচ গোল মরিচ
২.৫ চা চামচ ভাঁজা জিরা গুঁড়ো
২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ চাট মশলা
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
৫ টেবিল চামচ ডালিম

প্রণালী:

১। ডাবরি ডাল সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে প্রেশার কুকারে পানি, ডাবরি ডাল, লবণ, হলুদ এবং বেকিং সোডা দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। ৪টি শিষ দিলে আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন।
২। একটি পাত্রে ময়দা, সুজি, লবণ, বেকিং সোডা, এবং পানি দিয়ে নরম ডো তৈরি করুন। একটি সুতির কাপড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রাখুন।
৩। এই ডো দিয়ে ছোট ছোট পুরি তৈরি করে নিন। তেল গরম হয়ে আসলে পুরিগুলো তেলে দিয়ে দিন। সোনালী রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
৪। একটি পুরির মুখটা ভেঙ্গে এর ভেতর ৩-৪ চা চামচ ঘুগনি, ২-৩ চামচ পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, আলু কুচি, অল্পকিছু কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ দিন।
৫। তার উপর টকদই, তেঁতুলের চাটনি, ধনেপাতা কুচি বা চাটনি, গোল মরচি গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, চাট মশলা, জিরা গুঁড়ো, চানাচুর দিয়ে দিন।
৬। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার চটপটে পুরি চাট।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

অল্প সময়ে ঝটপট তৈরি করে ফেলুন টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার

ranna banna o beauty tips
টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার
আমের মৌসুম চলে এসেছে। বাজারে কাঁচা আম উঠতে শুরু করেছে। কাঁচা আম নামটি শুনলে প্রথমে যে খাবারটির কথা মনে আসে তা হল টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার। আমের আচার খেতে সবাই পছন্দ করে, কিন্তু ঝামেলার কারণে এটি অনেকে  তৈরি করতে চায় না। ব্যস্ত এই নগরজীবনে আচার তৈরি করার মত সময় পাওয়া যায় না। যদি অল্প সময়ে টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার তৈরি করা যায়, তবে কেমন হয় বলুন তো? কী অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই অল্প কিছু উপাদানে স্বল্প সময়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার টক ঝাল মিষ্টি আমের আচার।   

উপকরণ:

২টি খোসা ছাড়ানো কাঁচা আমের কুচি
১ কাপ চিনি
১/২ কাপ গুড়
১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত

প্রণালী:

১। একটি প্যানে কাঁচা আমের কুচি, চিনি এবং গুড় দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২। চিনি এবং গুড় না গলা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৩। তারপর এতে মরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, এবং লবণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। বলক আনা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৪। ঘন হয় আসলে চুলা নিভিয়ে দিন।
৫। ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিবেশন করুন মজাদার আমের টক ঝাল মিষ্টি আচার।
টিপস:
আপনি চাইলে এটি বেশি করে তৈরি করে সংরক্ষণ করতে পারেন।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

মুখরোচক মশলাদার নিরামিষ আলু-মটর

ranna banna o beauty tips
মুখরোচক মশলাদার নিরামিষ আলু-মটর
এই গরমে আমিষ জাতীয় খাবার একটু কমই খেয়ে থাকি আমরা। বরং নিরামিষ খাবারই বেশি খাওয়া দরকার। কিন্তু নিরামিষ খাবার যেন ঠিক আমিষের মতো মজা হয় না। আর নিরামিষের তেমন মুখরোচক রেসিপিও জানেন না অনেকেই। চলুন আজ দেখে নেই মশলাদার মুখরোচক দারুণ এক নিরামিষ রান্নার রেসিপি। মাখা মাখা এই রান্নাটি খেয়ে আপনি ভুলেই যাবেন আমিষের স্বাদ!

উপকরণ

- ৩টা মাঝারি আলু, চামড়া ছাড়িয়ে ১ ইঞ্চি কিউব করে কাটা
- আধা কাপ মটরশুঁটি
- ৩ টেবিল চামচ তেল
- ১টা মাঝারি পিঁয়াজ কুচি করা
- লবণ স্বাদমতো
- ২/৩টা কাঁচামরিচ
- ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
- ২ কোয়া রসুন
- সামান্য আদা কুচি
- ৩টা টমেটো কিউব করা
মশলার জন্য
- ১ টেবিল চামচ ধনে গুঁড়ো
- ১ টেবিল চামচ কাশ্মিরি মরিচ গুঁড়ো
- সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
- আধা চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
- আধা চা চামচ আস্ত জিরা

প্রণালী

১) একটা ওভেন-প্রুফ বোলে এক চিমটি লবণ এবং এক টেবিল চামচ পানি দিন মটরশুটির সাথে। এটাকে ঢেকে মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিন ২ মিনিট। এতে মটরশুটির মিষ্টি ভাবটা চলে যাবে। এরপর বের করে রাখুন।
২) একটা প্রেশার কুকারে তেল মাঝারি আঁচে গরম করে নিন। এতে দিন জিরা, লম্বালম্বি চেরা কাঁচামরিচ এবং পিঁয়াজ। জিরা ফুটতে থাকলে এতে দিন ধনে গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো এবং মিশিয়ে সাঁতলে নিন ২ মিনিট।
৩) পিঁয়াজ নরম হতে দিন। এই সময়ের মাঝে কিউব করা টমেটো, আদা ও রসুন ব্লেন্ড করে পিউরি করে নিন। এই পিউরি প্রেশার কুকারে দিয়ে মিশিয়ে নিন মশলার সাথে।
৪) ২ মিনিট ভালো করে রান্না করে নিন এই টমেটোর পেস্ট। এরপর দিয়ে দিন আলু, সেদ্ধ মটরশুঁটি, পৌনে এক কাপ পানি এবং লবণ।
৩) ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা চাপা দিয়ে রান্না হতে দিন তিনটা শিষ দেওয়া পর্যন্ত। এরপর চুলা বন্ধ করে দিন। প্রেশার কুকার বন্ধ করে রাখুন, খুলবেন না। মিনিট পাঁচেক রেখে দিন, এর মাঝে কক্ষ তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা হয়ে আসবে প্রেশার কুকার। এরপর ঢাকনা খুলে একবার নেড়ে মিশিয়ে নিন। এতে ধনেপাতা মিশিয়ে নিন এবং পরিবেশন করুন গরম গরম। যে কোনো রুটি বা পরোটার সাথে এই মাখা মাখা সবজি দারুণ লাগবে।
ভালো করে বুঝতে দেখে নিন রেসিপির ভিডিওটি

কলা দিয়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার পাউরুটি

ranna banna o beauty tips
কলা দিয়ে তৈরি করে ফেলুন মজাদার পাউরুটি
পাউরুটি সকালে নাস্তায় অনেকেই খেয়ে থাকেন। বাজারের পাউরুটি নানা অস্বাস্থ্যকর উপাদান তৈরি করে হয়ে থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই কারণে অনেকেই ঘরে পাউরুটি তৈরি করে থাকেন। কলা দিয়ে পাউরুটি তৈরি করেছেন কখনও? এইবার পাকা কলা এবং নারকেল দিয়ে তৈরি করে ফেলুন ভিন্ন স্বাদের পাউরুটি।

উপকরণ:

১ কাপ (১২৫ গ্রাম) ময়দা
১/৪ চা চামচ (২গ্রাম) বেকিং সোডা
২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ লবন
৩/৪ কাপ (১৫০গ্রাম) চিনি
২টি ডিম
১১৩ গ্রাম মাখন গলানো
৩ থেকে ৪টি পাকা কলা
১/৩ কাপ (৭০ গ্রাম) ক্রিম
১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
৩/৪ কাপ (৭৫ গ্রাম) কাজুবাদাম কুচি
১ কাপ নারকেল কুচি

প্রণালী:

১। প্রথমে ওভেন ৩৫০ ফারেনহাইট অথবা ১৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রিহিট করে নিন।
২। একটি পাত্রে ময়দা, নারকেল গুঁড়ো, লবণ, বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার এবং দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
৩। আরেকটি পাত্রে মাখন এবং চিনি বিটার দিয়ে বিট করতে থাকুন। ক্রিমি টেক্সচার তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বিট করতে থাকুন। এরপর এতে ডিম এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে আবার বিট করুন। এরপর এতে অল্প অল্প করে ময়দার মিশ্রণটি ঢালুন এবং বিট করুন।
৪। কলা খুব ভাল করে চটকিয়ে নিন। চটকানো কলা চিনি এবং মাখনের মিশ্রণের সাথে মিশিয়ে আবার বিট করুন। মিশ্রণে কাজু বাদাম কুচি দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৫। বেকিং প্লেটে মাখন লাগিয়ে  নিন।
৬। এবার এতে কেকের মিশ্রণটি দিয়ে উপরে বাদাম কুচি দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ মিনিট বেক করুন।
৭। বাদামী রং হয়ে এলে একটি টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করে নামিয়ে ফেলুন।
৮। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার কলা নারকেলের পাউরুটি।
পুরো রেসিপিটি দেখে নিন ভিডিওতে

রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

"ক্লিয়ার চিকেন সুপ উইথ ভেজিটেবলস"

ranna banna o beauty tips
"ক্লিয়ার চিকেন সুপ উইথ ভেজিটেবলস"
চাইনিজ রেস্তরাঁর স্যুপের বাইরে একেবারেই ভিন্ন কিছু খেতে চান? তাহলে আজ চেখে দেখুন সায়মা সুলতানার এই রেসিপিটি। যারা কিনা ডায়েট করছেন ওজন কমানর লক্ষ্যে, তাঁদের জন্যেও দারুণ হবে এই রেসিপিটি!

লা লাগবে 

  • চিকেন কিমা হাফ কাপ
  • চিকেন / ভেজিটেবল স্টক ২ কাপ
  • সিদ্ধ সবজি পছন্দ মত
  • রশুন কুচি
  • লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
  • অল্প ধনিয়া পাতা কুচি
  • লেমন গ্রাস স্টিক ( থাই পাতা ) কয়েকটা
  • লবন স্বাদ মত
  • অল্প অলিভ অয়েল

প্রনালি

-এই সুপের এর প্রধান উপকরণ হল চিকেন / ভেজিটেবল স্টক।
-এর জন্য ৩ কাপ পানিতে ২ কাপ পরিমাণ মুরগির হাড্ডি (মাংস সহ নিতে পারেন, হাড্ডি গুলো একটু ছেঁচে দিবেন), পেঁয়াজ টুকরো,রশুন কয়েক কোয়া, আদা টুকরা আস্ত গোলমরিচ, অল্প লবণ দিয়ে কম আঁচে রান্না করুন।
-পানিটা ১ কাপ এর আরেকটু বেশি থাকা অবস্থায় নামিয়ে নিন।শুধু পানিটা ছেঁকে নিবেন । 
(বাকি বেঁচে যাওয়া মাংস দিয়ে আপনি অন্য যেকোনো নাস্তা যেমন চিকেন সমুচাতে অথবা নুডুলস এ দিতে পারেন।ভেজিটেবল স্টকও একই ভাবে বানাতে পারেন।)
-এবার একটা হাঁড়িতে অল্প তেল দিয়ে তাতে চিকেন কিমা দিন। নাড়াচাড়া করে রান্না করুন ৫ থেকে ৭ মিনিট।
- এবার ১ কাপ স্টক দিন।সাথে সিদ্ধ সবজি পছন্দ মত, রশুন কুচি,লেবুর রস,অল্প ধনিয়া পাতা কুচি,লেমন গ্রাস স্টিক ( থাই পাতা ) কয়েকটা,লবন স্বাদ মত দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন। সুপ রেডি!
-নামিয়ে বাটিতে নিয়ে উপরে হালকা অলিভ অয়েল ছিটিয়ে দিন।উপরে ধনিয়া পাতা কুচি আর টালা গোল মরিচ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন এই সুপ।

মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

অনিদ্রা সমস্যায় ভুগছেন? প্রতিরাতে পান করুন এই জাদুকরী পানীয়টি

ranna banna o beauty tips
জাদুকরী পানীয়
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেয় ভাল একদফা ঘুম। পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম শারীরিক-মানসিক অনেক সমস্যা দূর করে থাকে। সুস্থ থাকার প্রধান চাবিকাঠি ভাল ঘুম। কিন্তু ইদানিং অনিদ্রা খুব সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে উচ্চ রক্তচাপ, হাইপারটেশন, হতাশা, হার্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। Institute of Medicine in America এর মতে ৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ঘুমের অভাবে নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।  আর এই ভাল ঘুমের জন্য খাওয়া হয় কত না ঘুমের ওষুধ। ঘুমের ওষুধ সাময়িকভাবে আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকে। তবে খুব বেশিদিন ঘুমের ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পানীয়টি পান করুন আর দেখুন এর ম্যাজিক।
উপকরণ:

১টি কলা
১ লিটার পানি
এক চিমটি দারুচিনি
যেভাবে তৈরি করবেন:

১। পানির মধ্যে একটি কলা দিয়ে দিন। এবার সেটি সিদ্ধ করুন।
২। ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন।
৩। এবার এটি মগে বা কাপে ঢেলে নিন।
৪। এর সাথে এক চিমটি দারুচিনি দিয়ে দিন।
৫। ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এটি পান করুন।
যেভাবে কাজ করে:

কলা:

কলাতে ট্রিপটোফেন নামক এক প্রকারে অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা শরীরের সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে। যা ঘুমকে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি আপনার মুড ঠিক রেখে খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি করে। কলাতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মত নানা মিনারেল যা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করে।
দারুচিনি:

দারুচিনির ফ্লেভার এবং সুগন্ধ আপনার শরীরকে রিল্যাক্স করে হজমে সহায়তা করে থাকে। যা আপনার চিন্তা দূর করে ঘুমাতে সাহায্য করে থাকবে।

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে এই ৭টি খাবার

ranna banna o beauty tips
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে এই ৭টি খাবার
ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। হলিউড কাঁপানো বিশ্বখ্যাত নায়িকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। স্তন ক্যান্সার মূলত দুটি কারণে হয়ে থাকে- পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ এবং অপরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহ। জেনেটিক কারণ, বংশগত কারণ, ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাব ইত্যাদি অপরিবর্তনযোগ্য কারণ।  বক্ষবন্ধনী বা ব্রা সর্বক্ষণ পড়ে থাকা, ভুল সাইজের বক্ষবন্ধনী পড়া, দেরী করে সন্তান জন্মদান, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই না করা ইত্যাদি পরিবর্তনযোগ্য কারণসমূহের মধ্যে পড়ে। কিছু খাবার আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো রাখুন।
১। ব্রোকলি

ব্রোকলিতে সালফ্রোফেইন নামক উপাদান আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এটি স্তনে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় ব্রোকলি রাখুন।
২। মাশরুম

মাশরুম খাবারটি অনেকে পছন্দ করেন আবার অনেকে অপছন্দ করে। কিন্তু Nutrition and Cancer in 2010 সালের প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে মাশরুম খাওয়া স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি হ্রাস করে থাকে। মাশরুমে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৩। ডালিম

যুক্তরাষ্ট্রের City of Hope’s Beckman Research Institute বৈজ্ঞানিকদের মতে ডালিমে এ্যালাজিক অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমূহ যা ক্যান্সার সৃষ্টি করা এনজাইমকে প্রতিরোধ করে থাকে। ডালিম শুধু ক্যান্সার নয় হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে থাকে। প্রতিদিন ২৫০ মিলিলিটার ডালিমের রস পান বা অর্ধেকটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪। পালং শাক

মেনোপজের আগে নারীরা স্তন ক্যান্সার হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। পালং শাকে হজমযোগ্য আঁশ আছে যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৫। ডিম

ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কারো কোন সন্দেহ নেই। এই ডিম স্তন ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে থাকে। কোলিন নামক উপাদান ২৪% পর্যন্ত ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের জরিপ অনুসারে ডিমের কুসুমে থাকা উপাদানটি স্তন কোষের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করে থাকে। U.S. Institute of Medicine এর মতে প্রতিটি নারীর ৪২৫ মিলিগ্রাম কোলিন খাওয়া উচিত, একটি বড় ডিমে ১২৬ মিলিগ্রাম কোলিন থাকে।
। দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার

ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার দুধ। এই দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার ১৯% পর্যন্ত স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
৭। স্যামন মাছ

স্যামন মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় স্যামন মাছ রাখুন। শুধু স্যামন মাছই নয় বরং সবরকমের সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
সচেতনতাই পারে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে। একটু সচেতন হন আর দূরে থাকুন মরণব্যাধি স্তন ক্যান্সার থেকে।

বাধাকপি দিয়ে বুটের ডাল

ranna banna o beauty tips
বাধাকপি দিয়ে বুটের ডাল 
শীতের অন্যতম একটি সবজি হল বাঁধাকপি। শীতকালে প্রায় সব বাসায় বাঁধাকপি ভাজি করা হয়। এমনকি বাঁধাকপি দিয়ে তরকারিও রান্না করা হয়ে থাকে! বাঁধাকপি কখনও বুটের ডাল দিয়ে ভাজি করেছেন? একটু ভিন্ন স্বাদের এই ভারতীয় ভাজি করে দেখতে পারেন। ভাত, পোলাও বা রুটি সবকিছুর সাথে খেতে দারুন লাগবে এই ভাজিটি।
উপকরণ:
২৫০ গ্রাম বাঁধাকপি কুচি
১/২ কাপ ভেজানো বুটের ডাল
২-৩ টেবিল চামচ তেল
১/২ চা চামচ সরিষা
১ চা চামচ জিরা
১ চিমটি হিং
৬-৮ টি কারিপাতা
১/৪ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো
১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
২ চা চামচ ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো
লবণ স্বাদমত
১/২ চা চামচ চিনি
২ টেবিল চামচ নারকেল কুচি
প্রণালী:
১। বুটের ডাল ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। কিংবা সারারাতও ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
২। একটি  প্যানে তেল গরম করতে দিন।
৩। তেল গরম হয়ে এলে এতে সরিষা দিয়ে দিন। সরিষা ফুটে উঠলে এতে জিরা, হিং এবং কারি পাতা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড নাড়ুন।
৪। এবার এতে ভেজানো বুটের ডাল দিয়ে দুই-তিন মিনিট নাড়ুন।
৫। তারপর এতে হলুদের গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া-জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নাড়ুন।
৬। এবার এতে বাঁধাকপি কুচি দিয়ে অল্প আঁচে ২ থেকে ৩ মিনিট রান্না করুন।
৭। লবণ এবং চিনি ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৮। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।
৯। ডাল সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে রান্না করুন।
১০। নারকেল কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বাঁধাকপি বুটের ডাল ভাজি।

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬

ব্রণের দাগমুক্ত ত্বকের জন্য

ranna banna o beauty tips
ব্রণের দাগমুক্ত ত্বকের জন্য
উজ্জ্বল ত্বকের ঝিলিক কার না ভালো লাগে। কিন্তু চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার মিল থাকে না অধিকাংশ সময়। নিয়মিত নামী-দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার করেও মুখে থাকা ব্রণের দাগ দূর করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া উপাদান দিয়ে আপনার ত্বকের যত্ন নেয়া সম্ভব। এসবের সঠিক ব্যবহারে আপনি পেতে পারেন ব্রণের দাগমুক্ত নরম, কোমল, সুন্দর ত্বক। আর তাই..

- শশার রস, সামান্য চালের গুঁড়া, এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এটি স্ক্রাবারের কাজ করবে। সপ্তাহে মাত্র দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।

- কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো আর পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

- আপেল এবং মধুর মিশ্রণ হচ্ছে ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪ থেকে ৬ ফোটা মধু মেশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং মুখের রঙ উজ্জ্বল করে। সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন।

- ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

- প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর তাতে ২ থেকে ৩ ফোটা লেবুর রস মিশাণ। গোলাপ জলের পরিবর্তে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন ব্যবহার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

- গোলাপজলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।

কাঁচা হলুদে ত্বকের চর্চা

ranna banna o beauty tips
কাঁচা হলুদে ত্বকের চর্চা
বহু বছর আগে থেকে রান্নার কাজে হলুদের ব্যবহার হয়। মসলার এই উপকরণটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি, ধারা, অনুষ্ঠান-পর্বের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। রূপচর্চাতে এর রয়েছে উল্লেখ করার মতো অবদান। হলুদ স্পর্শে সুন্দর হওয়ার এই ধারাও বেশ পুরোনো। বিয়ের আগে বর-কনেকে হলুদ ছোঁয়ার মধ্য দিয়ে একটু সুন্দর দেখানোর চেষ্টা রীতিমতো একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। হলুদকে তাই প্রাকৃতিক প্রসাধনীও বলা যেতে পারে। এটি গায়ের রঙ যেমন উজ্জ্বল করে তেমনি অ্যালার্জি, ব্রণ, র‌্যাশ দূর করে। তাছাড়া বয়সের ছাপ আলজেইমার, ডায়বেটিস, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ থেকে উপশম পেতে সাহায্য করে। আজ শিখে নেব কাঁচা হলুদের স্পর্শে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।

- কাঁচা হলুদ বাটা, চন্দন গুঁড়া, লেবুর রস মিশিয়ে একটি মাস্ক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাছাড়া ব্রণের উপর কাঁচা হলুদ বাটা এবং পানি মিশিয়ে দিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন। ব্রণ তাড়াতাড়ি চলে যাবে। হলুদে এন্টিসেপ্টিক এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে যেটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।

- হলুদ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। চন্দন গুঁড়া এস্ট্রিঞ্জেন্ট এর কাজ করে এবং কমলার রস ত্বকের দাগ দূর করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, ১ চামচ চন্দন গুঁড়া এবং ৪ চামচ কমলার রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগান। তৈলাক্ত ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর হবে।

- এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ৩ ফোঁটা লেবুর রস, একটা ডিমের সাদা অংশ, গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগান। নিজেই লক্ষ্য করবেন ত্বকের ইতিবাচক পরিবর্তন। তাছাড়া শরীরে যেসব জায়গা শুষ্ক সেসব জায়গায়ও লাগাতে পারেন। আপনার শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময়ী হবে সহজে।

- হলুদ ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া, চালের গুঁড়া, টমেটো রস, কাঁচা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের ফাইন লাইন্স এবং ঝুলে পড়া ত্বককে স্বাভাবিক করতে এবং ত্বককে ফর্সা করতে অত্যন্ত কার্যকরী।

- সামান্য হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে মাখন মিশিয়ে চোখের নীচে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এটি চোখের নীচে বলিরেখা সহ কালো দাগও দূর করবে।

৫ মিনিটে তৈরি করে ফেলুন রেড ভেলভেট কেক

ranna banna o beauty tips
রেড ভেলভেট কেক
কেক তৈরির জন্য দরকার হয় অনেক প্রস্তুতি, অনেক উপাদান বের করে ব্যাটার তৈরি করতে হয়, ওভেন প্রি-হিট করতে হয়, আইসিং তৈরি করতে হয় আরও কতো কী! কিন্তু এই রেড ভেলভেট কেক তৈরি করতে আপনার একটুও কষ্ট হবে না। মাইক্রোওয়েভ ওভেনেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন দারুণ নরম আর মজাদার কেক। সময়টাও লাগবে খুবই কম। চলুন, দেখে নেই রেসিপিটি।
উপকরণ

-   ৬ টেবিল চামচ দুধ
-   ১ চা চামচ সাদা ভিনেগার
-   আধা কাপ ময়দা
-   সিকি কাপ চিনি
-   ২ চা চামচ কোকো পাউডার
-   আধা চা চামচ বেকিং পাউডার
-   সিকি চা চামচ লবণ
-   ২ টেবিল চামচ তেল
-   ১০ ফোঁটা লাল ফুড কালার
-   সিকি কাপ চকলেট চিপস
-   ১ টেবিল চামচ ক্রিম চিজ
-   পরিবেশনের জন্য আইসিং সুগার
-   পরিবেশনের জন্য স্প্রিঙ্কল বা সুগার বল
প্রণালী

১) বড় একটা সিরামিকের মগে দুধ, ভিনেগার, ময়দা, চিনি, কোকো পাউডার, বেকিং পাউডার, লবণ, তেল এবং লাল ফুড কালার মিশিয়ে নিন। এটাকে বিট করে নিন ভালো করে। ওপরে চকলেট চিপস দিয়ে আরেকবার নেড়ে মিশিয়ে নিন। এরপর মাঝ বরাবর ক্রিম চিজ দিয়ে এটাকে সাবধানে ব্যাটারের ভেতর ঢুকিয়ে দিন, নাড়বেন না।
২) এবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে হাই হিটে বেক হতে দিন ৫ মিনিট।
৩) এবার বের করে নিয়ে ওপরে আইসিং সুগার এবং স্প্রিঙ্কল ছড়িয়ে দিন।
ব্যাস, পরিবেশনের জন্য তৈরি আপনার রেড ভেলভেট কেক। এটা গরম গরমই খেতে ভালো লাগবে। একটু ঠাণ্ডা হলেও খেতে পারেন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.