hair care লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
hair care লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬

রুক্ষ প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই ৫টি হেয়ারপ্যাক

ranna banna o beauty tips
রুক্ষ প্রাণহীন চুলকে ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই ৫টি হেয়ারপ্যাক
ধুলোবালি, রোদ, হেয়ার ট্রিটমেন্ট বিভিন্ন কারণে চুল রুক্ষ, প্রাণহীন ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। রুক্ষ প্রাণহীন চুলে কোন হেয়ার স্টাইল  ভালো লাগে না। নিয়মিত চুলে ব্লো-ড্রাই, হেয়ার স্ট্রেটনার, রোলার ব্যবহার ও পার্ম করে আমরা নিজেরাই চুলের ক্ষতি করে যাচ্ছি। তবে এসব ছাড়াও সঠিক পরিচর্যার অভাবে চুলে রুক্ষভাব আসতে পারে। প্রাণহীন রুক্ষ চুলকে সিল্কি ঝলমলে করে তুলবে মধুর এই প্যাকগুলো।

১। মধু, অলিভ অয়েল

এক টেবিল চামচ মধু, দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ ডিমের কুসুম একসাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ম্যাসাজ করে সম্পূর্ণ চুলে লাগান। ৩০ মিনিট চুলে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করবে।  

২। মধু এবং অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

১/৪ কাপ বিশুদ্ধ মধু এবং ১০ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার একসাথে মেশান। এটি চুলে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সম্ভব হলে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৩। টকদই এবং মধুর প্যাক

দুই টেবিল চামচ টকদই, দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক টেবিল চামচ মধু। সবগুলো উপাদান একসাথে মেশান। এবার এটি ম্যাসাজ করে সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৪। মধু এবং ভেজিটেবল অয়েল

মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। মধু আর ভেজিটেবল অয়েল চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি দিয়ে থাকে। দুই টেবিল চামচ মধু,  দুই টেবিল চামচ ভেজিটেবিল অয়েল মিশিয়ে নিন। এটি আপানার চুলে লাগিয়ে নিন। ১৫/২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

৫। মধু এবং কলার প্যাক

একটি পাকা কলা, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। চুল দুইভাগ করুন। তারপর এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। এটি চুলে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। কলা চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে শাইনি ঝলমলে করে তোলে।

মধু চুল আঠা আঠা করে তোলে। তাই শুধু মধু ব্যবহার না করে কোন না কোন উপাদানের সাথে মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। নিয়মিত এই প্যাকগুলো ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে সিল্কি এবং শাইনি।

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬

ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলুন ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাকের মাধ্যমে

ranna banna o beauty tips
ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলুন ৫টি প্রোটিন হেয়ার প্যাকের মাধ্যমে
শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রোটিনের ভূমিকা সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানে। সুন্দর স্বাস্থ্যকর চুলের জন্যেও প্রোটিনের প্রয়োজন রয়েছে। আগা ফাটা, চুল পড়া, ক্ষতিগ্রস্ত চুলের সমস্যা সারিয়ে তুলতে প্রোটিন হেয়ার প্যাকের জুড়ি নেই। চুলের সমস্যা সামধানে অনেকেই পার্লারে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। কিন্তু সব সময় পার্লারে গিয়ে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করা সম্ভব হয় না। ঘরোয়া কিছু উপায়ে ঘরে করে ফেলতে পারেন পার্লারের মত প্রোটিন ট্রিটমেন্ট।

১। নারকেলের দুধ

নারকেলের দুধ প্রোটিনের অন্যতম উৎস। নারকেলের দুধ চুল শাইনি এবং স্ট্রং করে তোলে। কিছু পরিমাণ নারকেলের দুধ চুলের গোড়া থেকে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট এটি চুলে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তাৎক্ষনিক চুলের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।

২। মেথি, দুধ এবং নারকেল তেলের প্যাক

৪ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়ো, ১/২ কাপ দুধ, ২ টেবিল চামচ টকদই, ৩ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ নারকেল তেল। গরম দুধে মেথি ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এবার এটি টকদই এবং নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে চুলটি ধুয়ে প্যাকটি লাগিয়ে ফেলুন। ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি চুল ধুয়ে ফেলুন।

৩। ডিমের হেয়ার প্যাক

১টি ডিম এবং ৫ চা চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি চুলে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। আপনার যদি তৈলাক্ত চুল হয়, তবে ডিমের সাদা অংশ, রুক্ষ চুল হলে ডিমের কুসুম আর নরমাল চুলের জন্য আপনি সম্পূর্ণ ডিম ব্যবহার করতে পারেন। ডিম আপনার চুলে পুষ্টি যোগায়। টকদই চুলকে সিল্কি, ঝলমলে করে তোলে।

৪। মেয়নিজ এবং অ্যাভোকাডো

মেয়নিজ ডিম এবং তেল দিয়ে তৈরি হওয়া এটি চুলের জন্য বেশ উপকারি। অ্যাভোকাডো চুলের রুক্ষতা এবং আগা ফাটা রোধ করে। দুই টেবিল চামচ মেয়নিজ এবং অর্ধেকটা অ্যাভোকাডো চটকে মিশিয়ে নিন। এটি সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার করুন। তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। ২০-৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৫। ডিম এবং মধুর প্যাক

ডিম এবং মধু ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারিয়ে তুলতে বেশ কার্যকর। এক চামচ মধু এবং দুটি ডিম একসাথে বিট করে মেশান। এটি মাথার তালুসহ সম্পূর্ণ চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে এর সাথে লেবুর রস মেশাতে পারেন। লেবুর রস খুশকি দূর করতে বেশ কার্যকর।

বুধবার, ২০ জুলাই, ২০১৬

বর্ষাকালে চুলের যত্ন

ranna banna o beauty tips
বর্ষাকালে চুলের যত্ন
বর্ষাকালে বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকে বলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয় বেশি। অনেকেই মনে করেন যে গ্রীষ্মকালে চুলের ক্ষতি অধিক। কিন্তু না, বর্ষাকালে চুলের বাহিরের কিউটিক্যাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে চুল হয়ে পরে ভঙ্গুর, রুক্ষ ও শুষ্ক। বর্ষাকালে চুলের সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞের মতামত জেনে নিই চলুন।

১। চুল শুষ্ক রাখুন 

বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু বৃষ্টিতে বার বার আপনার চুল ভেজানোটা মোটেও উপকারী নয়। বৃষ্টির পানি এসিডিক হয় এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার চুলের দুর্দশাই কেবল বৃদ্ধি করবে। বর্ষায় বাহিরে যাওয়ার পূর্বে আপনার চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।

২। সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু করুন

চুল ও মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। বৃষ্টিতে ভেজার পরে গোসল করে নিন। বৃষ্টির পানি দীর্ঘক্ষণ আপনার মাথায় থাকলে তা চুলকানির সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি আপনার চুলে ব্যাকটেরিয়াল বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং খুশকিও হতে পারে। অনেক ধরণের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই উচিৎ এবং হেয়ার স্প্রে এড়িয়ে চলুন।

৩। অয়েল ম্যাসাজ

আপনার ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। আপনার পছন্দের যেকোন তেল আপনার চুলের গোঁড়ায় ভালোভাবে ম্যসাজ করে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন বা একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে নিন মাথায়। এতে  আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হবে এবং চুলের শুষ্কতা দূর হবে।

৪। হেয়ার স্টাইল করা এড়িয়ে চলুন

বর্ষাকালে হেয়ার স্টাইল চুলের শুধু ক্ষতিই করে। বর্ষায় খুব শক্ত করে চুল বাঁধতে অনুৎসাহিত করা হয় কারণ এতে বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লে তা আবদ্ধ হয়ে থাকে এবং চলের আর্দ্রতাও বৃদ্ধি পায়। এতে চুলে গন্ধ হয় এবং চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে। হালকা করে চুল বাঁধুন। বর্ষায় চুল ছেটে ছোট করে রাখতে পারেন, এতে চুল পরিষ্কার করা ও যত্ন নেয়া সহজ হবে।

৫। অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট কিনুন হুডিসহ  

বর্ষায় যেকোন সময় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হবেনা এমন মনে হলেও বাহিরে যাওয়ার সময় সাথে হুডিসহ অয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট রাখুন। অনেকেই এটা পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে সাথে একটি ছাতা রাখুন। আজকাল অনেক ধরণের রঙ্গিন ও ছোট ছাতা পাওয়া যায় যা ব্যাগে রাখা সম্ভব।

৬। হেয়ার মাস্ক

ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক কোন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন সপ্তাহে অন্তত একদিন। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।  

৭। প্রোটিন খান

ডারমাটোলজিস্ট ও কসমেটোলজিস্ট ডা. অপর্ণা সান্তারাম বলেন, “বর্ষায় চুলকে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান”।

এছাড়াও প্রতিদিন তাজা ফল, বাদান ও সবুজ শাকসবজি এবং ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন। চুলে  কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার লাগানোর পর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান যতে সব জায়গায় কন্ডিশনার পৌঁছে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।


বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬

কেমন চুল কতবার শ্যাম্পু করা উচিত আপনি জানেন কি?

ranna banna o beauty tips
কেমন চুল কতবার শ্যাম্পু করা উচিত আপনি জানেন কি?
চুল পরিচর্যায়  প্রথম ধাপটি হল শ্যাম্পু করা। শ্যাম্পু চুলের ময়লা, ধুলো, বালি পরিষ্কার করে। অনেকে মনে করেন শ্যাম্পু করা, তেল দেওয়া তো রোজকার কাজ। এই কাজগুলোর জন্য বাড়তি যত্নের কী আর প্রয়োজন আছে? এমন ধারণাটি ভুল। চুলের যত্নে একটি ছোট ভুল চুলের ক্ষতি করতে পারে বহুগুণ। চুল কতবার শ্যাম্পু করা উচিত-এমন প্রশ্ন প্রায় সব নারীদের মনে। কেমন চুল কত দিন পর পর শ্যাম্পু করবেন  তা নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। শুষ্ক চুল

আপনি যদি শুষ্ক বা ড্রাই চুলের অধিকারী হয়ে থাকেন, তবে প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকুন। শুষ্ক চুল সপ্তাহে দুইবার শ্যাম্পু করা উচিত। এবং শ্যাম্পু করার পর অব্যশই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

২। সিল্কি চুল

গবেষণায় দেখা গেছে যে, তৈলাক্ত চুল বেশি তেল শোষণ করে অন্যান্য চুলের তুলনায়। এই কারণে এটি চুল শ্যাম্পু করার প্রয়োজন পড়ে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার চুল শ্যাম্পু করা উচিত। ঘরের বাইরে যদি প্রতিদিন বের হতে হয়, তবে প্রতিদিন শ্যাম্পু করা প্রয়োজন।

৩। মাঝারি, মোটা চুল

মাঝারি চুল সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করা প্রয়োজন। এটি তৈলাক্ত চুলের মত তেল শোষণ করে না। তবে চুলের ময়লা, তেল পরিষ্কার করার জন্য সপ্তাহে দুইবার শ্যাম্পু করা প্রয়োজন।

৪। ভারি চুল

ভারি চুল রোজ রোজ শ্যাম্পু করার প্রয়োজন পড়ে না। সপ্তাহে একদিন শ্যাম্পু করা প্রয়োজন ভারি চুলের জন্য। তবে হ্যাঁ ঘরের বাইরে যদি বেশি যাওয়া হয় তার জন্য বেশি শ্যাম্পু করা প্রয়োজন পড়ে।

শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন।

১। একই শ্যাম্পু খুব বেশিদিন ব্যবহার করা উচিত নয়।

২। চুলে শ্যাম্পু করার আগে চুল ভাল করে ভিজিয়ে নিন।

৩। চুলের ধরণ অনুযায়ী শ্যাম্পু পছন্দ করা উচিত।

৪। শ্যাম্পু করার সময় চুল অতিরিক্ত ঘষা থেকে বিরত থাকুন।

৫। চুল পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.