বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

লেবুর সুঘ্রাণে লেমন চিজ কেক

ranna banna o beauty tips
লেবুর সুঘ্রাণে লেমন চিজ কেক
চিজ কেক খাবারটি যে কোন পার্টিতে মানিয়ে যায় বেশ। নতুন স্বাদের কোন একটা চিজ কেক পরিবেশন করতে চান? তাহলে জেনে নিন নাজিয়া ফারহানার লেমন চিজ কেকের রেসিপি।   উপকরণ ১. ক্রিম চিজ -২৫০ গ্রাম ২. ক্রিম-১ টিন ৩.সাদা জেলোটিন -১ প্যাকেট ৪.ঘন দুধ -১ কাপ ৫.চিনি -১ কাপ ৬. লেমন জেলো -১ প্যাকেট  ৭. লেবুর রস-২ টেবিল চামচ  ৮. মাখন-১০০ গ্রাম ৯. মারি বিস্কুট গুঁড়ো  -১ প্যাকেট ১০. লেবু গোল করে কাটা -৮/১০ টা
প্রনালী   -প্রথমে বিস্কুট গুঁড়ো আর মাখন ভালো করে মাখিয়ে কেক মোল্ডের নীচে সমান ভাবে বিছিয়ে ১০মিনিট ফ্রীজে রাখতে হবে। -এই বার লেবু কাটা আর লেমন জেলো বাদে বাকী সব উপকরণ একসাথে বিট করে বিস্কুটের লেয়ারের উপর সমান করে ঢেলে দিয়ে ২০ মিনিট আবার ফ্রীজে রাখতে হব।  -এই বার লেমন জেলো বানিয়ে এরউপর ঢেলে তার উপর লেবু কাটা সাজিয়ে ফ্রীজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে। 

ভীষণ মজার খাবার ব্রেডেড চিকেন মিটবল

ranna banna o beauty tips
ব্রেডেড চিকেন মিটবল 
স্ন্যাক্স হিসেবে সাধারণত হালকা ভাজাভুজি খাওয়া হলেও এগুলো আসলে পেট ভরানোর জন্য খুব একটা ভালো হয় না। সেই হিসেবে বেশ তৃপ্তিদায়ক একটা খাবার হলো মিটবল। এটা খেতেও যেমন মুখরোচক তেমনি পেটও ভরায়। অনেকেই ভাবেন মিটবল তৈরি করাটা অনেক ঝামেলা। কিন্তু চিকেন মিটবলের এই রেসিপিতে সেসব ঝামেলায় যেতে হবেনা মোটেই। আধা ঘন্টার মাঝেই প্রস্তুত হয়ে যাবে দারুণ স্বাদের খাবারটি।
উপকরণ

-   ২ কাপ ফ্রেশ ব্রেড ক্রাম্ব
-   ৪৫০ গ্রাম হাড় ছাড়া মুরগীর পায়ের মাংস, ছোট করে কাটা
-   ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
-   গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
-   সিকি চা চামচ জায়ফল গুঁড়ো
-   লবণ স্বাদমতো
-   ২ চা চামচ সয়া সস
-   ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার
-   ১টা মাঝারি পিঁয়াজ, মিহি কুচি করা
-   ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
-   ২ টেবিল চামচ ময়দা
-   ২টা ডিম
প্রণালী

১) বড় একটা প্যানে ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল গরম করতে দিন।
২) মুরগীর মাংস গোলমরিচ গুঁড়ো, জায়ফল গুঁড়ো, লবণ, সয়া সস এবং ভিনেগারের সাথে গ্রাইন্ড করে নিন। মুরগী কিমা হওয়া পর্যন্ত গ্রাইন্ড করুন। একটা বোলে ঢেলে নিন। এতে পিঁয়াজ এবং রসুন দিয়ে মিশিয়ে নিন। অর্ধেক পরিমাণ ব্রেড ক্রাম্ব মুরগীর কিমার সাথে মিশিয়ে নিন।
৩) একটা বোলে ময়দাটুকু ঢেলে নিন। আরেকটা বোলে ডিমগুলো ভেঙ্গে ভালো করে বিট করে নিন।
৪) হাতের তালু একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। মুরগীর কিমা আলাদা করে মিটবলের আকৃতিতে গড়ে নিন। এরপর বলগুলোকে ময়দায় গড়িয়ে নিন, ডিমে ডুবিয়ে আবার বাকি ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিন। এরপর এগুলোকে ডিপ ফ্রাই করে নিন সোনালি করে। কিচেন পেপারে তেল ঝরিয়ে নিন।
তৈরি হয়ে গেলো খুব সহজ ব্রেডেড চিকেন মিটবল। পরিবেশন করুন কিছু সালাদ এবং সস দিয়ে।

তুরস্কের জনপ্রিয় ডিম রান্না সাকসুকা

ranna banna o beauty tips
তুরস্কের জনপ্রিয় ডিম রান্না সাকসুকা
মাছ মাংস খেতে বিরক্ত হয়ে গেলে অনেক সময় ডিম রান্না করা হয়। সাধারণত ডিম ভুনা, ডিম কোর্মা এই দুই ধরণের রান্না করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই ডিম দিয়ে আরও একটি মজাদার রান্না করা সম্ভব। “সাকসুকা”-তুরস্কে জনপ্রিয় একটি রান্না এটি। মূলত ডিম এবং টমেটো দিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবারটি। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক তুরস্কের জনপ্রিয় ডিম রান্না সাকসুকা।
উপকরণ:
১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
১টি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ কুচি
২ কোয়া রসুন কুচি
১টি মাঝারি আকৃতির ক্যাপসিকাম কুচি’
৪০০ গ্রাম টমেটো কুচি
২ টেবিল চামচ টমেটো পেস্ট
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
১ চা চামচ পাপরিকা বা লাল মরিচ গুঁড়ো
১ চা চামচ চিনি
লবণ
৬টি ডিম
ধনে পাতা কুচি (সাজানোর জন্য)  
প্রণালী:
১। একটি প্যানে মাঝারি আঁচে অলিভ অয়েল দিন। এরপর এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ৫ মিনিট ভাজুন।
২। পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে এতে রসুন কুচি দিয়ে নাড়ুন।
৩। এবার এতে ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে মাঝারি আঁচে ৫-৭ মিনিট রান্না করুন।
৪। ক্যাপসিকাম কুচি নরম  হয়ে গেলে এতে টমেটো কুচি, টমেটো পিউরি দিয়ে দিন।
৫। তারপর এতে রসুন কুচি, জিরা গুঁড়ো, লাল মরিচ গুঁড়ো, পাপরিকা, শুকনো মরিচ গুঁড়ো, চিনি, লবণ এবং গোল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
৬। মাঝারি আঁচে ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন।
৭। গ্রেভি ঘন হয়ে এলে টমেটো গ্রেভির উপর ডিম ভেঙ্গে দিন।
৮। মাঝখানে একটি আর চারপাশে চারটি  ডিম ভেঙ্গে দিন।
৯। প্যান ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০-১৫ মিনিট রান্না করুন, যতক্ষণ না ডিম সিদ্ধ হয়ে থাকে ততক্ষণ।
১০। ডিম সিদ্ধ হয়ে গেলে ধনে পাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন তুরস্কের রান্না সাকসুকা।

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৬

মাখা ঝোলে আস্ত ইলিশ

ranna banna o beauty tips
মাখা ঝোলে আস্ত ইলিশ
বিশেষ রান্নায় উৎসবে আনবে সুস্বাদু আমেজ।
উপকরণ: ইলিশ মাছ ১টি (১২০০গ্রাম)। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ। আদাবাটা ১ চা-চামচ। রসুনবাটা আধা চা-চামচ। টমেটো সস আধা কাপ। জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ। ধনেগুঁড়া আধা চা-চামচ। কাশ্মেরি মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ। কয়লা ৩, ৪ টুকরা। ঘি ১ চা-চামচ। লবণ পরিমাণ মতো। তেল ১ কাপ। ধনেপাতা-কুচি ১/৪ কাপ। আস্ত কাঁচামরিচ ৭,৮টি। শাহিজিরা আধা চা-চামচ। পানি পরিমাণ মতো। টক দই আধা কাপ। চিনি সামান্য। টমেটোকুচি ১ কাপ।
পদ্ধতি: হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজকুচি নরম করে ভেজে তাতে একে একে সব মসলা দিয়ে ভালো ভাবে কষিয়ে আস্ত মাছ দিয়ে দিন।
দুই মিনিট পর মাছটা উল্টিয়ে পানি আর লবণ দিন। ফুটে উঠলে টক দই ফেটিয়ে ঝোলে দিতে হবে। ঝোল কমে আসলে তাতে চিনি, টমেটোকুচি, সস দিয়ে ঢেকে দিন। ঝোল কমে তেল উঠে আসলে তাতে কাঁচামরিচ দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।
একটা ছোট বাটিতে কয়লা গরম করে, বাটিসহ কয়লা মাছের হাঁড়িতে বসিয়ে তাতে ঘি দিয়ে ঢেকে দিন। ২০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে বাটি সরিয়ে সাবধানে ডিশে ঢালতে হবে যেন মাছ ভেঙে না যায়।
উপরে ধনেপাতা-কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

মুরগি–পেঁয়াজকলি ভাজি

ranna banna o beauty tips
মুরগি–পেঁয়াজকলি ভাজি
মুরগি–পেঁয়াজকলি ভাজি  শীতের সবজি দিয়ে উপাদেয় খাবার।  
উপকরণ: হাড় ছাড়া মুরগি ২০০ গ্রাম। পেঁয়াজকলি ২ আঁটি। পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল-চামচ। কাঁচামরিচ-কুচি ২ চা-চামচ (স্বাদ মতো দেওয়া ভালো)। ধনেপাতা-কুচি ১ টেবিল-চামচ। আদাকুচি আধা চা-চামচ। লেবুর রস ১ চা-চামচ। লেবুর খোসা (লেমন জেস্ট) ১/৪ চা-চামচ। গরম মসলাগুঁড়া ১ চিমটি। আদা-রসুনবাটা ১/৪ চা-চামচ। মরিচগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। সরিষার তেল দেড় টেবিল-চামচ।  

পদ্ধতি: আদা–রসুনবাটা, মরিচগুঁড়া, গরম মসলাগুঁড়া আর লবণ দিয়ে মুরগির মাংস সিদ্ধ করে হাত দিয়ে ছিড়ে নিতে হবে।  পেঁয়াজকলি আধা ইঞ্চি করে কেটে নিন।  প্যানে তেল গরম করে প্রথমে আদাকুচি ভেজে তারপর পেঁয়াজকুচি দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিতে হবে। এতে সিদ্ধ মুরগির মাংস দিয়ে হালকা ভেজে পেঁয়াজকলি দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে ভাজতে হবে।  পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ-কুচি, ধনেপাতা-কুচি, লেমন জেস্ট, লেবুর রস, স্বাদ মতো লবণ মিশিয়ে অল্প সরিষার তেল ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

খাবার টেবিলের সুন্দর সাজ

ranna banna o beauty tips
খাবার টেবিলের সুন্দর সাজ
প্রচণ্ড ক্ষুধার সময় যেনতেন টেবিলে বসে খাওয়াটা হতে পারে অনেক তৃপ্তির। কিন্তু বিশেষ কোনো খাবার আয়োজন বা অতিথি আপ্যায়ন হওয়া চাই বিশেষভাবে। সৌখিন খাবারের সঙ্গে পরিবেশনের জায়গাটাও হওয়া চাই দৃষ্টি নন্দন। পেটের সঙ্গে দৃষ্টি জুড়াতে খাবার টেবিলের চাই নান্দনিক সাজ। তাছাড়া রুচিশীল মানুষ তার খাবার টেবিলটি সাজাতে মোটেও কার্পণ্য করেন না। আপনার সৌন্দর্যবোধও সাহায্য করতে পারে খাবার টেবিলের সুন্দর সাজ এনে দিতে। আর তাই-

টেবিল ক্লথ

সুতি, প্লাস্টিক বা রাবারের তৈরি টেবিল ক্লথ বা টেবিলের ওপর বিছানো কাপড় পাওয়া যায়। টেবিল ক্লথগুলো পিস বা গজ হিসেবে বিক্রি হয়। বিভিন্ন রঙের ক্লথে ফুল, ফল ও বিভিন্ন প্রিন্টের নকশা করা থাকে। টেবিলের ধরন অনুযায়ী আপনি পছন্দের ক্লথ কিনতে পারবেন।

টেবিল ম্যাট

বাজারে বিভিন্ন ধরনের টেবিল ম্যাট আছে। বাঁশ, রাবার, ফাইবার, প্লাস্টিক, কাপড় ও পাটের ছোট, মাঝারি ও বড় ধরনের ম্যাট থেকে পছন্দেরটি বেছে নিতে পারেন। এগুলো গোল, চারকোনা, ত্রিকোনা ও ডিম্বাকার ডিজাইনের হয়। ম্যাটগুলো সাধারণত সেট হিসেবে বিক্রি করা হয়। বাঁশের তৈরি বিভিন্ন রঙের টেবিল ম্যাটের চাহিদা অনেক বেশি।

বাহারি ফুল-ফল

যারা খাবার টেবিলের ওপর কাঠের পরিবর্তে কাচ ব্যবহার করেন, তারা টেবিলের নিচে সেমি বক্সে নানা রকম কৃত্রিম ফুল ও ফল দিয়ে সাজাতে পারেন। সেক্ষেত্রে টেবিলের ওপর কিছু না রাখলেও চলবে। টেবিলের নিচের সাজটাই ওপরের শোভা বর্ধন করবে।

গ্লাস ঢাকনা

কাঠ, চাঁচ, কাচ ও ফাইবারের গ্লাস ঢাকনা পাওয়া যায়। গ্লাস ঢাকনাগুলো ছোট ও বড় আকারের হয়ে থাকে। ফুল, ফল, পাখি বিভিন্ন ডিজাইনের নকশা করা গ্লাস ঢাকনা কিনতে পারেন।

চামচ স্ট্যান্ড

চামচ সেটের সঙ্গেই স্ট্যান্ড পাওয়া যায়। এছাড়া স্টিলের স্ট্যান্ড, কাঠের স্ট্যান্ড চামচ রাখার জন্য কিনে নিতে পারেন। এগুলোর কোনোটায় শুধু চামচ রাখা যায়, আবার কোনোটায় ছুরিসহ চামচ রাখা যায়।

গ্লাস স্ট্যান্ড

গ্লাস স্ট্যান্ড স্টিল, প্লাস্টিক ও কাঠের হয়ে থাকে। গ্লাস স্ট্যান্ডগুলোতে ছয়টি ও ১২টি গ্লাস রাখা যায়। প্লাস্টিক ও কাঠের স্ট্যান্ডগুলো বিভিন্ন রঙের হয়।

প্লেট স্ট্যান্ড

প্লেট স্ট্যান্ডগুলো স্টিল, প্লাস্টিক, কাঠ ও ফাইবারের হয়। এগুলোর ছোট-বড় আকারের হতে পারে। কোনো স্ট্যান্ডে ছয়টি, কোনোটিতে ১২টি আবার কোনোটিতে ২৪টি প্লেটও রাখা যায়।

রানার

রানার দিয়ে টেবিলের বাড়তি সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে পারেন। কাপড়, পাট ও রাবারের রানার বিভিন্ন আকারের রয়েছে। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রঙের এবং বিভিন্ন নকশা করা রানারও রয়েছে।

ফুলদানি

টেবিলের মাঝখানে একটি ফুলদানি রাখতে পারেন। টেবিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ফুলদানিতে রাখতে পারেন কিছু তাজা ফুল। মাটি, কাচ, ক্রিস্টাল ইত্যাদির ফুলদানিও রাখা যায়। তবে টেবিলের আকার অনুযায়ী ফুলদানি রাখতে হবে।

টিস্যু বক্স

প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি টেবিলের সৌন্দর্যও বাড়ায় টিস্যু বক্স। টিস্যু বক্সে পাবেন বাঁশ, বেত, স্টিল ও কাপড়ের।

আপনিও সুন্দর থাকবেন সারাটিক্ষণ

ranna banna o beauty tips
ঘুরে ফিরে বারবার আয়নার সামনে যাওয়া। উঁকি দিয়ে নিজের চেহারাকে দেখা নিখুঁতভাবে। কেনই বা ইচ্ছা করবে না, এমন সুন্দর কোমল চেহারা হলে সবাই-ই এমন কাজ করে থাকে। অথচ ঋতু বদলের ধাক্কায় কখন জানি চুরি হয়ে যাচ্ছে আপনার সৌন্দর্য। শীতের শুষ্ক হাওয়াতে সবই শুকনো পাতার মতো মর্মর প্রায়। ব্যথিত মনে ক্ষোভ পুষে না রেখে করে নিন টুকিটাকি যত্ন-আত্মি। সামান্য চেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরে রাখুন আপনার প্রস্ফুটিত সৌন্দর্য। আপনিও সুন্দর থাকুন সারাটিক্ষণ। তাই আসুন শিখে নেয়া যাক খুটিনাটি কিছু উপায়...

সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে নয়

শীত কিংবা গরমে, ত্বকের সঠিক যত্নে সব ঋতুতেই চাই সানস্ক্রিন। সতেজ আর তারুণ্যদীপ্ত ত্বক ধরে রাখতে সানস্ক্রিন অত্যান্ত জরুরি। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের ক্যানসার এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার প্রধান কারণ। তাই ত্বককে কোমল রাখতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাইরে যাওয়ার অন্তত ১৫ মিনিট আগে ভালো করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। মনে রাখবেন সুন্দর থাকার মোক্ষম অস্ত্র সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে যাওয়া নয়।

ত্বকের আদ্রতা রক্ষা

সময়টা যেহেতু শীতকাল। তাই রুক্ষ্ম আর শুষ্কতার ধকল আপনাকে সহ্য করতেই হবে। তাই বলে তো আর ত্বককে অরক্ষিত রাখা যায় না। ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে প্রতিদিন শরীরে ময়েশ্চরাইজিং লোশন এবং মুখে ময়েশ্চার ক্রিম মাখুন। এতে আপনার শরীরের ত্বক ভালো থাকার পাশাপাশি বয়সের ছাপ পড়তে দেবে না। ত্বক টান টান থাকবে।

ত্বকের পরিচর্যা

প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। মাঝে মাঝে ত্বকের উপযোগী বিভিন্ন মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে বাড়তি ময়লা জমতে দেয়া ঠিক নয়। ত্বকের র‌্যাশ, ছোপ ছোপ দাগ, কালোভাব দূর করতে নিয়মিত সামান্য মাত্রায় পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে পারেন। 

টুকটাক ব্যায়াম

আপনার বয়সের সঙ্গে হয়তো ওজন ঠিকই আছে। যতই ফাস্টফুড খান না কেন তবু ওজন বাড়ে না। কোথাও কোনো বাড়তি মেদ চর্বি নেই। ঠিক এই অবস্থায় আপনি ভাবছেন কষ্ট করে ব্যায়াম করার কি দরকার? হ্যা আপনাকেই বলছি, আপনার শারীরিক অবস্থা এভাবে হয়তো দু’বছর বা পাঁচ বছর পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে। কিন্তু একটা সময় পর না চাইলেও আপনার ওজন বাড়তে থাকবে। দেহের আকারে হয়ে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন। তাই নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সামান্য ব্যায়ামের অভ্যাস রাখা জরুরি। ব্যায়াম দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিয়ে ত্বকে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ায়।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস

প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ ফল এবং সবজি খান। ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ এবং ‘ই’ খাওয়ার ওপর বেশি জোর দিন। এসব ভিটামিন ত্বকে অ্যান্টি-অক্সিজেন হিসেবে কাজ করে ত্বককে ভালো রাখে।

পর্যাপ্ত পানি পান

নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান করুন, যাতে পিপাসা না লাগে। এতে শরীর ভালো থাকার পাশাপাশি ত্বকও ভালো থাকবে। ত্বকের কোষ সজীব থাকে।

 

Copyright @ 2013 রান্না-বাণ্ণা ও বিউটি টিপস.